24/10/2025
**মর্মান্তিক ও লজ্জাজনক ঘটনা: মৃত্যুর পরও ধর্ষণের শিকার তরুণী — সুইসাইড নোটে হৃদয়বিদারক বার্তা**
ময়মনসিংহে ঘটে গেছে এক বেদনাবিধুর ও অকল্পনীয় ঘটনা। জীবনের অবসান ঘটিয়ে আত্মহত্যা করা এক তরুণী মৃত্যুর পরও রেহাই পাননি নৃশংসতার হাত থেকে। ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মরদেহেও ঘটে ধর্ষণের মতো ভয়াবহ ঘটনা।
আত্মহত্যার আগে তরুণী রেখে গেছেন একটি সুইসাইড নোট—যার প্রতিটি শব্দ যেন হৃদয় ছুঁয়ে যায়, সমাজের প্রতি এক নীরব আর্তনাদ হয়ে ধ্বনিত হয়।
তিনি লিখেছিলেন—
> “আমায় তোমরা ক্ষমা করে দিও। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী আমার দুর্ভাগ্য।
> ছোট ভাইবোনদের পড়াশোনা চালিয়ে নিও। আমার জন্য যে খরচ দিতে, তা দিয়ে তাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ করিও।
> আমার ছাগলগুলো বিক্রি কোরো না। উপযুক্ত বয়স হলে আমার নামে কোরবানি দিও।
>
> আমার লাশটা পোস্টমর্টেম কোরো না, কারণ আমার মৃত্যুর কোনো রহস্য নেই।
> এই দুনিয়া থেকে আমার মন উঠে গেছে, তাই চলে যাচ্ছি।
> কবর দেওয়ার পর চারপাশে বেড়া দিও, যেন কোনো কুকুরও না ঢুকতে পারে।
> আমার ফুলগাছগুলো যত্ন নিও—যেদিন ফুল ফুটবে, বুঝবে আমি হাসছি।
> কবরের পাশে একটি স্থলপদ্ম গাছ লাগিও, আমি তখন শান্তিতে থাকব।”
চিঠির প্রতিটি লাইন যেন সমাজের অবহেলা, দারিদ্র্য, নিঃসঙ্গতা ও অপমানের ভারে নুয়ে পড়া এক তরুণীর অন্তর্দহনকে প্রকাশ করে।
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস—মৃত্যুর পরও শেষ হয়নি তার দুর্ভাগ্য। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে তার মরদেহের ওপর ঘটে অমানবিক নির্যাতন।
এই ঘটনার পর স্থানীয় জনতা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো ক্ষোভে ফেটে পড়েছে।
তাদের বক্তব্য—
“এটি শুধু এক নারীর নয়, গোটা সমাজের লজ্জা। একজন মৃত নারীও যদি নিরাপদ না হন, তবে আমাদের মানবতা কোথায়?”
প্রশ্ন এখন একটাই—
**এ কেমন সমাজে বাস করছি আমরা, যেখানে মৃত্যুর পরও নারীর মর্যাদা সুরক্ষিত নয়?**