20/10/2025
মানুষ অভিমান করে কেন, জানেন?
কারণ সে চায়-তার অভিমান ভাঙানোর জন্য কেউ ব্যাকুল হয়ে উঠুক।
ছোটবেলা থেকেই আমরা অভিমান শিখি।
মা একটু দেরি করলে, খেলনা না কিনে দিলে, কিংবা মন খারাপ করে দরজা বন্ধ করে বসা-এসবই তো ছিল আমাদের প্রথম অভিমান। আর বড় হয়ে সেই একই অভিমান জমা হয় প্রিয় মানুষটার কাছে-যার কাছে আমরা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা, সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব চাই।
প্রচণ্ড অভিমানে মানুষ নিজেকে গুটিয়ে ফেলে, আড়ালে রাখে। কিন্তু সে ভেতরে ভেতরে চায়—কেউ যেন খুঁজে বের করে, দরজা খুলে তার মনের কাছে পৌঁছায়। অভিমান সবসময় হয় শুধু প্রিয় মানুষটার ওপর। যাকে ভালোবাসা নেই, তাকে নিয়ে কখনোই অভিমান জন্মায় না।
অভিমান আসলে ভালোবাসার আরেক রূপ।
শরতের আকাশে জমে ওঠা হঠাৎ মেঘের মতো-কিছুক্ষণের জন্য আড়াল করে দেয় আলোকে, কিন্তু বৃষ্টির ফোঁটার পরেই আবার আকাশ ভরে ওঠে নির্মল স্বচ্ছতায়।
একটা মানুষ যতই অভিমান নিয়ে বসে থাকুক না কেন, সেই অভিমান ভাঙাতে পারে কেবল সেই মানুষটিই, যার প্রতি ভালোবাসা আছে। অভিমান করা মানে আসলে প্রিয়জনের কাছে গুরুত্ব খোঁজা, একটু আদরের দাবি তোলা, তার পাশে থাকার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করা।
তাই দেখবেন, অভিমানে মানুষ প্রিয়জনকে ব্লক করলেও কোথাও না কোথাও ঠিক একটা পথ খোলা রাখে-যাতে প্রিয়জন সেই পথ খুঁজে নিয়ে তাকে ছুঁতে পারে।
মনে অভিমান জমিয়ে রাখা আসলে এক নিদারুণ কষ্ট-যা একমাত্র অভিমানীরাই বোঝে। কিন্তু যদি সেই অভিমান ভেঙে যায়, তখন বোঝা যায় কতটা ব্যাকুল হয়ে অপেক্ষা করছিল সে।
সমস্ত ইগো সরিয়ে একবার চেষ্টা করে দেখুন না-প্রিয় মানুষটার অভিমান ভাঙিয়ে দিন। দেখবেন, অভিমানের পর যে ভালোবাসা ফিরে আসে, তা হাজারো কথার চেয়েও শক্তিশালী, হাজারো প্রতিশ্রুতির চেয়েও স্থায়ী।