স্বপ্নশীলন

স্বপ্নশীলন বাঁধ ভেঙে দাও… ভাল বই পড়ুন........সফল জীবন গড়ুন

স্বপ্নশীলন এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্যাংক উঁচ্চ বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক কর্মশালা বিতর্কে হাতেখড়ি॥ যুক্তি তর্কে তুখোর ...
14/09/2025

স্বপ্নশীলন এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্যাংক উঁচ্চ বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক কর্মশালা বিতর্কে হাতেখড়ি॥ যুক্তি তর্কে তুখোর তারুণ্য স্লোগানে দুইদিন ব্যাপী এ কর্মশালায় বিতর্কের ধরণ, ধারণা, স্ক্রীপ্ট লেখা, উপস্থাপনা ও যুক্তিখন্ডন নানা প্রয়োগিক বিষয়ে আলোচনা হবে

https://thedailycampus.com/scholarship/214976
24/08/2025

https://thedailycampus.com/scholarship/214976

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়তে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে চাইলে আগে থেকেই পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। বিশেষজ.....

মাকসুদার শাবাব এর স্বপ্নযাত্রা
24/08/2025

মাকসুদার শাবাব এর স্বপ্নযাত্রা

বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে উদ্‌যাপন হলো শাবাব লেদারের দশ বছর পূর্তি। নারী উদ্যোক্ত.....

17/08/2025

ব্যর্থ ব্যক্তিরা পৃথিবী বদলে দিয়েছেন----
১) মাত্র চার মাস পর টমাস আলভা এডিসনকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল; তার শিক্ষক তাকে মানসিকভাবে দুর্বল বলে চিহ্নিত করেছিলেন। পরে তিনি ইতিহাসের অন্যতম সেরা আবিষ্কারক হয়ে ওঠলেন ।

২) চার্লস ডারউইনকে চিকিৎসাবিদ্যা ত্যাগ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল, তার বাবা তিক্তভাবে বলেছিলেন: "তুমি তোমার কল্পনা ছাড়া আর কিছুই পরোয়া করো না!" তিনি শেষ পর্যন্ত জীববিজ্ঞানে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন।

৩) " সৃজনশীলতার অভাব "_এর জন্য ওয়াল্ট ডিজনিকে একটি সংবাদপত্রের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এরপর তিনি বিশ্বব্যাপী প্রজন্মের কাছে প্রিয় একটি বিনোদন সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন।

৪) বিথোভেনের সঙ্গীত শিক্ষক তাকে সম্পূর্ণ প্রতিভাহীন বলে অভিহিত করেছিলেন। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে কালজয়ী কিছু মাস্টারপিস রিদোমিক আইডিয়া তৈরি করেছিলেন।

৫) আলবার্ট আইনস্টাইন চার বছর বয়স পর্যন্ত কথা বলতেন না এবং তার শিক্ষক তাকে মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। তিনি ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী হয়ে উঠেন ।

৬) আর্ট স্কুলের প্রবেশিকা পরীক্ষায় তিনবার ব্যর্থ হওয়ার পর অগাস্ট রডিনের বাবা তাকে "বোকা" ঘোষণা করেছিলেন। রডিন এখন সর্বকালের সেরা ভাস্করদের একজন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

৭) সম্রাট ফার্দিনান্দ বিখ্যাতভাবে মোজার্টের "দ্য ম্যারেজ অফ ফিগারো"-এর সমালোচনা করেছিলেন "অনেক বেশি নোট" হিসেবে। আজ, মোজার্টের প্রতিভা প্রশ্নাতীত।

৮) দিমিত্রি মেন্ডেলিফ রসায়নে গড় নম্বর অর্জন করেছিলেন, তবুও তিনি পরে পর্যায় সারণী তৈরি করেছিলেন, যা বিজ্ঞানকে মৌলিকভাবে রূপান্তরিত করেছিল।

৯) অটোমোবাইলের কিংবদন্তি স্রষ্টা হেনরি ফোর্ড মৌলিক স্বাবলম্বীতার সাথে লড়াই করেছিলেন এবং অসাধারণ সাফল্য অর্জনের আগে একাধিকবার দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন।

১০) যখন মার্কনি রেডিও আবিষ্কার করেছিলেন এবং বাতাসের মাধ্যমে শব্দ প্রেরণের বর্ণনা দিয়েছিলেন, তখন তার বন্ধুরা তাকে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান, ভেবেছিলেন যে তিনি তার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। কয়েক মাস পরে, তার আবিষ্কার সমুদ্রে অসংখ্য জীবন বাঁচিয়েছিল। এবং তার ফলশ্রুতি এখন মোবাইল-স্যাটেলাইট!!

ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা: অন্যের দৃষ্টিভঙ্গিকে কখনই আপনার সম্ভাবনাকে সংজ্ঞায়িত করতে দেবেন না। মহত্ত্ব প্রায়শই ব্যর্থতা দিয়ে শুরু হয়-অন্যায়কারী সবসময়ই ন্যায়কারীকে হিংসে করবে-ভেঙে না পড়ে- নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন !
( সংগৃহীত)

একুশ বছরের তরুণী ক্যাথরিন বাংলাদেশে এসেছিলেন নিজের পিএইচডি ডিগ্রির একটা কোর্স করার জন্য। বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিল...
17/08/2025

একুশ বছরের তরুণী ক্যাথরিন বাংলাদেশে এসেছিলেন নিজের পিএইচডি ডিগ্রির একটা কোর্স করার জন্য। বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, তিনি নিজেও চেয়েছিলেন শিক্ষক হতে। যে বিষয়ে ক্যাথরিন পড়ছিলেন, সেটার নাম ডেভেলপমেন্ট ইকোনমি। এক বছরের জন্য উন্নয়নশীল কোন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে থিসিস করতে হবে, সেদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং গতিপ্রকৃতি নিয়ে। ক্যাথরিন বেছে নিলেন বাংলাদেশকে। ১৯৮৬ সালে ঢাকার বিমানে চড়ার মুহূর্তে ক্যাথেরিনের কল্পনাতেও ছিল না, যেখানে তিনি যাচ্ছেন, সেই দেশ, সেদেশের মানুষজনের সাথে তার একটা আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয়ে যাবে, মায়ার বন্ধনটা তিনি কাটাতে পারবেন না কখনও।

বাংলাদেশে আসার পরে ঘটনাক্রমে আহমেদ ছফার সঙ্গে পরিচয় হলো ক্যাথরিনের। স্পষ্টভাষী এবং প্রখর বুদ্ধিমত্তার এই মানুষটির বাগ্মিতায় ক্যাথরিন মুগ্ধ। ছফার বাসাটাকে আশেপাশের লোকজন বলতো পাগলের আড্ডা। কারণ সারাদিন নানা কিসিমের লোকজন আসছে সেখানে, খাওয়াদাওয়া হচ্ছে, তর্ক জমছে, আড্ডা বাড়ছে- সেই পাগলের আড্ডার নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠলেন ক্যাথরিন।

ক্যাথরিনের জন্ম আর বেড়ে ওঠা আমেরিকার শিকাগোতে। তার পরিবারটা ভীষণ বনেদি, অজস্র ইতিহাস আর ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে তাদের পরিবারের সঙ্গে। ক্যাথরিনের দাদার বাবা ছিলেন বিখ্যাত আর্কিওলজিস্ট, পেরুর ইনকা সভ্যতার অজস্র নিদর্শন আবিস্কার করেছিলেন তিনি, অভিযান চালিয়েছিলেন আমাজনের গহীন রেইন ফরেস্টে। ইন্ডিয়ানা জোন্স নামের সিনেমাও বানানো হয়েছে তার জীবনকাহিনী অবলম্বনে। পরিবারের সদস্যরা সবাই ছিলেন ভীষণ উচ্চশিক্ষিত। কেউ প্রফেসর, কেউ বিজ্ঞানী, কেউবা ডাক্তার- কেউ আবার আবিস্কার আর গবেষণায় মত্ত। ক্যাথরিন জানতেন, তাকেও পড়ালেখাতেই মন দিতে হবে, সেভাবে তিনি এগিয়েও যাচ্ছিলেন। মিশনে বাধ সাধলো তার বাংলাদেশ অধ্যায়।

আহমদ ছফা একদিন ক্যাথরিনকে পরিচয় করিয়ে দিলেন লম্বাটে এক যুবকের সঙ্গে, বললেন, 'ক্যাথরিন, মিট মাই ফ্রেন্ড তারেক। হি ইজ এ ফিল্মমেকার।' 'নাইস টু মিট ইউ' বলে হাত মেলালেন ক্যাথরিন, সেদিন ভাবতেও পারেননি, তারেক মাসুদ নামের এই মানুষটার সাথে তার জীবনের গল্পটা জড়িয়ে যাবে ওতপ্রোতভাবে, সাত সাগর তেরো নদীর এপাড়ের এক অজানা তরুণকে তিনি ভালোবেসে ফেলবেন হৃদয়ের সবটুকু অনুভূতি উজাড় করে দিয়ে।

ছোটবেলা থেকেই চিত্রাঙ্কনের প্রতি ক্যাথরিনের ঝোঁক ছিল। নিজেও আঁকাআঁকি করতেন। তারেক মাসুদ তখন কিংবদন্তী চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ওপর একটা ডকুমেন্টরি বানাচ্ছেন, নাম আদম সুরত। সেটার কাজের জন্য আজ ঢাকা, কাল নড়াইল দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। তারেক মাসুদ ঢাকায় এলে তার সঙ্গে দেখা হয় ক্যাথরিনের, রাত বাড়ে, আড্ডা জমে। তারেক মাসুদ খুব ভালো রান্না করতে পারেন, তার হাতের রান্না খেয়ে ক্যাথরিনের মুগ্ধতা বাড়ে। আহমদ ছফা খানিকটা টের পান সেটা। এটা সেটা অজুহাত দিয়ে তিনি উঠে যান আড্ডা থেকে, দুজনকে সুযোগ দেন নিজেদের জেনে নেয়ার, বুঝে নেয়ার।

তবে সংস্কৃতি আলাদা হবার কারণেই কিনা, ছফা উঠে গেলে দুজনই একটু আড়ষ্ট হয়ে যান। আহমদ ছফার নজর এড়ালো না সেটাও। তিনি দুজনের সাথেই মজা করেন। ক্যাথরিনকে বলেন, 'ডু ইউ নো, তারেক রিয়েলি লাইকস ইউ!' আর তারেক মাসুদকে বলেন, 'ক্যাথরিন তো তোমার প্রেমে হাবুডুবু খাইতেছে মিয়া, কি জাদু করলা!' লজ্জা পেয়ে দুজনই প্রসঙ্গটা সন্তর্পণে এড়িয়ে যান। ছফা একদিন ক্যাথরিনকে প্রস্তাব দিলেন, 'আর্টের প্রতি তোমার এত আগ্রহ, তুমি তো তারেকের ডকুমেন্টরিতে কাজ করতে পারো?' ক্যাথরিন আকাশ থেকে পড়লেন। ফিল্ম নিয়ে তার কোন জানাশোনা নেই, আগ্রহও নেই খুব একটা। তারেকের মুখে এসএম সুলতানের বৈচিত্র‍্যময় জীবনের গল্প শুনতে তার ভালো লাগে সত্যি, কিন্ত এই প্রোজেক্টে কিভাবে অবদান রাখবেন তিনি?

উত্তর দিলেন তারেকই, বললেন, 'আমাদের তো এডিটিং শুরু হয়েছে, তুমি চাইলে সাবটাইটেলের কাজে আমাকে সাহায্য করতে পারো।' ক্যাথরিন সানন্দে রাজী হলেন। শুরু হলো অন্যরকম একটা দুনিয়ায় ক্যাথরিনের পথচলা। আদম সুরতের কাজ করতে করতেই কখন যে ফিল্ম আর তারেক- দুটোর প্রেমেই পড়ে গেছেন, সেটা জানেন না ক্যাথরিন। ভনিতা না করে তারেককে খুলে বললেন তিনি সবটা। তারেক জানালেন, ক্যাথরিনকেও তিনি বন্ধুর চেয়ে বেশি কিছু ভাবেন। প্রণয়ের সূত্রপাত হলো দুজনের মধ্যে। তবে সেটা পরিণয়ে গড়ালো খুব অদ্ভুতভাবেই।

১৯৮৮ সালের কথা, ক্যাথরিন বাংলাদেশে এসেছেন দু'বছর হয়ে গেছে তখন। এতসব কাণ্ডের মধ্যে ক্যাথরিনের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল দুইবার, প্রতিবারই রিনিউ করানো হয়েছে। তৃতীয়বার আর অনুমতি মিললো না, কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করেন না ক্যাথরিন, সেখান থেকে ছাড়পত্র মিললো না। উদ্দেশ্য ছাড়া অকারণে তো অন্য একটা দেশে পড়ে থাকতে পারবে না কেউ। উপায়ন্তর না দেখে তারেক বললেন, 'তোমার যদি আপত্তি না থাকে, চলো আমরা বিয়ে করে ফেলি। তাহলে ভিসা-পাসপোর্টের ঝামেলায় আর যেতে হবে না, আমার স্ত্রী হিসেবে বৈধভাবেই তুমি বাংলাদেশে থাকতে পারবে।'

ক্যাথরিন রাজী হলেন এক কথায়। পরিবারের কাউকে জানালেন না, এক দুপুরে রিক্সায় চড়ে চলে গেলেন পল্টনের এক ম্যারেজ রেজিস্ট্রার অফিসে, কোর্ট ম্যারেজ করতে। সেখানে গিয়ে শুনলেন বিয়ে করতে ছবি লাগবে, বের হয়ে স্টুডিও খুঁজে বের করলেন, ছবি তুলে সেগুলো ওয়াশ করে ফিরতে ফিরতে বিকেল গড়িয়ে গেল। কোন আয়োজন ছিল না, পরিকল্পনাও তো ছিল না, এক কাপ চা'ও খাওয়াতে পারেননি সেদিন কাউকে, এমনই অনাড়ম্বর একটা অবস্থা ছিল। বিয়ের কথা বাড়িতে জানাননি তারেক মাসুদও। ক্যাথরিন পরে চিঠি লিখে পরিবারকে জানিয়েছেন বিয়ের কথা। তারেক মাসুদের পরিবারে জানানোর পরে তারা মন খারাপ করেছে, তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে মেনেও নিয়েছে সবকিছু।

পরের দুই যুগ এই দম্পতি হাতে হাত ধরে ছুটে বেড়িয়েছেন গোটা দেশজুড়ে। ডকুমেন্টরি বানিয়েছেন, সিনেমা বানিয়েছেন, গল্পের জন্য, শুটিং স্পট খোঁজার জন্য ঘুরেছেন টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া। ধীরে ধীরে সিনেমা জিনিসটা বুঝতে শিখেছেন ক্যাথরিন, পরিচয় হয়েছে তারেকের অন্যান্য নির্মাতা এবং কলাকূশলী বন্ধুদের সঙ্গে। যোগাযোগের প্রয়োজনে নিজ তাগিদেই বাংলা ভাষাটা রপ্ত করেছেন ক্যথেরিন, যাতে তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কেউ বিড়ম্বনায় না পড়ে। শীতের দেশের মানুষ তিনি, ঢাকার গরমে হাঁসফাস করতেন, তার ওপর শুটিংয়ের কাজে তাকে ছুটতে হতো তপ্ত রোদের মধ্যে, গ্রামে গঞ্জে। কোনদিন এক বিন্দু অভিযোগ করেননি তিনি, সহ্য করেছেন সব, মানিয়ে নিয়েছেন।

একটা ইন্টারভিউতে ক্যাথরিনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এই যে এমন দূরদেশে পড়ে আছেন বাবা-মা-ভাইকে ছেড়ে, পরিবেশ, আবহাওয়া, খাবার, ভাষা- সবই তো অচেনা প্রায়। খারাপ লাগে না? ক্যাথরিন চটজলদি জবাব দিয়েছিলেন, 'খারাপ লাগবে কেন? আমি তো আমার ভালোবাসার মানুষটার সাথে আছি। এদেশের কত মানুষ বিদেশে কাজ করে, একা থাকে, পাঁচ-সাত বছরে একবার দেশে আসে, তাদের বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তান সবাই এখানে। তবুও তারা থাকছেন না বিদেশে? আমি তো তাদের চেয়ে ভালো আছি, আমার স্বামী আমার পাশে আছেন। চাইলেই আমি আমেরিকায় যেতে পারছি বাবা-মায়ের কাছে। খারাপ থাকার কারণ নেই।'

ক্যাথরিন মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। তারেক মাসুদের সাথে পরিচয়ের পরেই বাঙালীর স্বাধীনতা সংগ্রামের এই গৌরবের অধ্যায়টা সম্পর্কে জেনেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় তারেক মাসুদের বয়স ছিল কম, যুদ্ধে অংশ নিতে পারেননি তিনি। পরিণত বয়সে তাই তিনি ক্যামেরা নিয়ে যুদ্ধ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধকে নিজের আঙ্গিকে ফুটিয়ে তুলেছেন সেলুলয়েডে। তারেকের সঙ্গে থাকতে থাকতে, মুক্তির গান, মুক্তির কথা বা মাটির ময়নায় কাজ করতে করতে মুক্তিযুদ্ধ বড্ড আপন হয়ে গেছে ক্যাথরিনেরও। ভীনদেশ থেকে আসা এই তরুণী তার হৃদয় দিয়ে যেভাবে ত্রিশ লাখ শহীদ বা দুই লক্ষ বীরাঙ্গনার আত্মত্যাগকে অনুভব করেছেন, আমি বাজি রেখে বলতে পারি, কোটি কোটি বঙ্গসন্তান মুক্তিযুদ্ধকে ক্যাথেরিনের মতো করেও কখনও অনুভব করার চেষ্টা করেনি।

তারেক মাসুদ এবং ক্যাথরিন মাসুদ- দুজনের মধ্যে মিল ছিল প্রচুর। স্বভাবে, অভ্যাসে, ভালোলাগায়, মন্দ লাগায়। আবার কিছু অমিলও ছিল, যেখানে তারা একে অন্যের পরিপূরক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। খেয়ালি, ইমোশনাল তারেক মাসুদকে আগলে রেখেছিলেন ক্যাথেরিন। যেসব সাহসী নির্মাণ তারেক মাসুদের হাত থেকে বেরিয়ে আসছিল, হুমকি দেয়া হচ্ছিল প্রতিনিয়ত, সিনেমা হল নিচ্ছিল না তার সিনেমা। ক্যাথরিন তখন স্বামীর কাঁধে ভরসার হাত রেখেছেন। টাকা পয়সা যা আয় করেছেন, সব সিনেমার পেছনে ঢেলেছেন, বাসা ভাড়া বাকি পড়েছে, পরনের কাপড় পুরনো হয়েছে, সেসবকে পাত্তা না দিয়ে দুজনে মিলে ছুটেছেন শহরে শহরে, প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন, দর্শকের কাছে নিয়ে গেছেন সিনেমাকে। রূপকথার গল্পের মতোই ছিল তাদের বিচরণ।

তারপর তেরোই আগস্টের দিনটা এলো। কাগজের ফুল সিনেমার শুটিং স্পট দেখতে মানিকগঞ্জ গিয়েছিলেন সবাই। ফেরার পথে তাদের মাইক্রোবাসের ড্রাইভার একটা গাড়িকে ওভারটেক করতে গেলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলো অপরপাশ থেকে আসা একটা বাসের সঙ্গে। নিকষ কালো অন্ধকার নেমে এলো ক্যাথরিনের সামনে। হাসপাতালে যখন জ্ঞান ফিরলো, তখন জানতে পারলেন তার ভালোবাসার মানুষটা আর নেই, মারা গেছেন তারেক মাসুদ। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ফিরে এলেন ক্যাথরিন, ছোট্ট বাচ্চাটার জন্য তাকে যে বেঁচে থাকতেই হতো!

ক্যাথরিন এখন আমেরিকায় থাকেন, তাদের সন্তান সেখানে পড়াশোনা করছেন। তবে নিয়ম করে তিনি প্রতি বছর বাংলাদেশে আসেন। এদেশের একটা মানুষকে তিনি সর্বস্ব উজাড় করে ভালোবেসেছিলেন। নিয়তি তার কাছ থেকে মানুষটাকে কেড়ে নিয়েছে। তার স্মৃতিগুলো তো কেড়ে নিতে পারেনি। রাজধানী শহরজুড়ে, দেশের আনাচেকানাচে তারেকের স্মৃতি ছড়িয়ে আছে। বাংলাদেশে এসে ক্যাথরিন সেসব জায়গায় যান, বন্ধুদের আড্ডায় যোগ দেন। তার মনে হয়, ছায়ার মতো তারেক মাসুদ যেন তার পাশে আছেন, এক্ষুণি তার হাত ধরে চিরচেনা হাসিটা দেবেন, কিন্ত কাঙ্ক্ষিত সেই স্পর্শটা পাওয়া হয়না ক্যাথরিনের।

এই দেশ, এদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তারেক মাসুদকে হারিয়েছে, তার মতো গুণী নির্মাতার অভাব কখনও পূরণ হবে না। ১৩ই আগস্টের দিনটাতে সবাই তারেক মাসুদকে স্মরণ করে। আমি আজ ক্যাথরিন মাসুদকে স্মরণ করলাম, যিনি আমাদের চেয়ে অনেক বেশি, অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু হারিয়েছেন, যিনি ভালোবাসার মানুষটাকে হারিয়ে ফেলেছেন চিরতরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রাখা মাইক্রোটার ধ্বংসস্তুপের সামনে দাঁড়ানো ক্যাথরিনের ছবিটা আমি দেখি, ক্যাথরিন হয়তো মনে মনে আরণ্যক বসুর কবিতা আবৃত্তি করেন- 'এই জন্মের দূরত্বটা পরের জন্মে চুকিয়ে দেব...' আমরা তার কষ্ট, শূন্যতা, তার যন্ত্রণাটা অনুভব করতে পারি না, তবু আমার হৃদয় অদ্ভুত রকমের একটা হাহাকারে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ক্যাথরিন মাসুদ, এদেশের কেউ না হয়েও যিনি দেশটাকে আমাদের মতোই ভালোবেসেছেন, আপন করে নিয়েছেন, সেই মানুষটার ব্যথায় মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক...
লেখা- সাইদুজ্জামান আহাদ

একটা সময় টিকাটুলি ছিল পুরান ঢাকার অন্যতম অভিজাত এলাকা। সেই টিকাটুলির অভয় দাস লেনে ছিল বনেদি ব্যবসায়ী সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর এ...
17/08/2025

একটা সময় টিকাটুলি ছিল পুরান ঢাকার অন্যতম অভিজাত এলাকা।

সেই টিকাটুলির অভয় দাস লেনে ছিল বনেদি ব্যবসায়ী সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহর এক সুরম্য বাড়ি, নাম ‘তারাবাগ’।

ওই বাড়িতেই ১৯৫৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জন্ম নিয়েছিলেন সৈয়দা কানিজ ফাতেমা রোকসানা।

মায়ের নাম সৈয়দা রাজিয়া সুলতানা।

এই রোকসানাই জীবনে অনেক চড়াই–উতরাই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের প্রথম নারী পাইলট।

কানিজ ফাতেমা রোকসানার ডাকনাম ‘তিতলী’। তিতলী অর্থ ‘প্রজাপতি’।

বৈমানিক হওয়ার স্বপ্ন ছোটবেলা থেকেই।

আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য রোকসানা ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ ফ্লাইং ক্লাবে ভর্তি হন।

কঠোর পরিশ্রমের ফলে দুই বছরের মাথায় ১৯৭৮ সালে পেয়ে যান কমার্শিয়াল বিমান চালানোর লাইসেন্স।

তাঁর দক্ষতা ও সাহসিকতার পুরস্কার হিসেবে দুই বছরের মাথায় ফ্লাইং ক্লাবে ‘ইনস্ট্রাক্টর’–এর দায়িত্ব পান।

ফ্লাইং ক্লাবে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করলেও তাঁর লক্ষ্য ছিল, যে করেই হোক বিমানে পাইলট হিসেবে ঢোকা।

একদিন ১৯৭৮ সালের ১৯ নভেম্বর ক্যাডেট পাইলট নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ বিমান।

৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ওই পরীক্ষায় রোকসানা সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন।

তবে নারী হওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাঁর নিয়োগ আটকে দেয়।

১৯৭৯ সালের ২৫ মে ক্যাডেট পাইলট হিসেবে নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ বিমান আরেকটি বিজ্ঞপ্তি দেয়।

সেখানে বলা হয়, শুধু পুরুষ প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবে।

অর্থাৎ নারীরা আবেদনই করতে পারবে না। সেই ঘটনা তাঁকে প্রতিবাদী করে তোলে।

যোগ্যতা সত্ত্বেও নিয়োগ না পাওয়া এবং বিজ্ঞপ্তিতে নারীদের পাইলট হিসেবে আবেদনের সুযোগ না দেওয়ার বিষয়গুলো উল্লেখ করে রোকসানা ১৯৭৯ সালের ৩১ মে দৈনিক ইত্তেফাকে চিঠি লিখেন।

শিরোনাম ছিল ‘বাংলাদেশ বিমান বনাম মহিলা বৈমানিক’।

তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সংসদের নারী সদস্যদের উদ্দেশে লেখা দীর্ঘ চিঠিতে বিমানের ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি যে নারী–পুরুষের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল, সেটি বিস্তারিত তুলে ধরেন।

রোকসানার সেই চিঠি ইত্তেফাকে ছাপা হওয়ার পর সারা দেশে ব্যাপক আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়। উত্তপ্ত আলোচনা জাতীয় সংসদ পর্যন্ত গড়ায়। নারী সংসদ সদস্য, অধিকারকর্মী, কবি, শিল্পী, সাহিত্যিকসহ প্রগতিশীল মানুষেরা তাঁর সমর্থনে এগিয়ে আসেন।

অবশেষে সরকারের হস্তক্ষেপে বিমান কর্তৃপক্ষ তাদের বিজ্ঞপ্তিতে ‘লিঙ্গবৈষম্যের’ শর্ত তুলে নিতে বাধ্য হয়।

পরে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৭৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর সৈয়দা কানিজ ফাতেমা রোকসানা বাংলাদেশের প্রথম নারী ক্যাডেট পাইলট হিসেবে নিয়োগ পান।

পাইলট রোকসানার নীল আকাশে ডানা মেলে ওড়া বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।

তিনি ক্যাডেট পাইলট থেকে প্রমোশন পেয়ে ফার্স্ট অফিসার হন।

এরপর অপেক্ষায় ছিলেন ক্যাপ্টেন হওয়ার।

দেখতে দেখতে চলে যায় ৪ বছর ৮ মাসের মতো।

এরই মাঝে ঘটে হৃদয়বিদারক বিমান দুর্ঘটনা।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে ফকার–২৭ বিমানে করে ঢাকায় জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টির মধ্যে পড়েন।

ওই দিন বিমানের মূল পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টেন কায়েস আহমদ মজুমদার এবং কো–পাইলট ছিলেন ফার্স্ট অফিসার কানিজ ফাতেমা রোকসানা।

তীব্র বাতাসের কারণে তাঁরা রানওয়েতে দুই দফা ল্যান্ড করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

তৃতীয় দফায় অবতরণের জন্য কন্ট্রোল টাওয়ারের কাছ থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরই বিমানটির সঙ্গে কন্ট্রোল টাওয়ারের বেতার সংযোগ পুরোপুরি ‘বিচ্ছিন্ন’ হয়ে যায়।

এ কারণে বেলা ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে কুয়াশার মধ্যে ওপর থেকে বাউনিয়া বিলকে ‘রানওয়ে’ মনে করে ল্যান্ড করতে গিয়ে ‘মিস জাজমেন্ট’ হয়।

বিধ্বস্ত হয়ে বিমানটি ২০ থেকে ২৫ ফুট পানির নিচে ডুবে যায়।

ওই দুর্ঘটনায় ৪৪ জন যাত্রীসহ দুই পাইলট, তিন ক্রুসহ ৪৯ জনের সবার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশের ভেতরে এখন পর্যন্ত সেটিই সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা।

বিমানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন (অব.) শেখ নাসির উদ্দীন আহমেদ।

১৯৮৪ সালের ৫ আগস্ট তিনি ফ্লাইট অফিসার কানিজ ফাতেমা রোকসানার সহকর্মী ছিলেন।

শেখ নাসির বলেন, ‘আমার জানা মতে, পাকিস্তান ও তুরস্কের মেয়েরা আমাদের মেয়েদের পরে বৈমানিক হয়েছেন। তবে ভারতে দুর্বা ব্যানার্জি বাংলাদেশের মেয়েদের আগে পাইলটের খাতায় নাম লিখেছিলেন।’

বিমান চালানোর প্রচণ্ড আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা পাইলট সৈয়দা কানিজ ফাতেমা রোকসানার জীবনপ্রদীপ নিভে গেছে বিমানের মধ্যেই।

অদম্য সাহসী সেই নারী শুধু নিজেই ডানা মেলে আকাশে ওড়েননি, তাঁকে দেখে উড়তে শিখেছেন পরবর্তী প্রজন্মের সাহসী মেয়েরাও। #স্বপ্নশীলন

©প্রথম আলো

02/08/2025
বিদেশে উচ্চশিক্ষা: পড়ালেখা করেই কোটিপতিDr. Md Ashiqur Rahmanবাংলাদেশে মাস শেষে বেতন নিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে যখন দেখবেন আপনা...
01/07/2025

বিদেশে উচ্চশিক্ষা: পড়ালেখা করেই কোটিপতি
Dr. Md Ashiqur Rahman

বাংলাদেশে মাস শেষে বেতন নিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে যখন দেখবেন আপনার হিসাব মেলাতে গিয়ে টানাটানি, ঠিক তখনই আপনার সহপাঠীরা বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে মাসে ৩-৫ লাখ টাকা আয় করছে! হ্যাঁ, পড়ালেখা করেই। এটা কোনো গল্প নয়, এটা স্কলারশিপ পাওয়া শিক্ষার্থীদের বাস্তবতা। বাংলাদেশে চাকরি করলে যে টাকা কামাতে আপনার ৫-৭ বছর লাগবে, বিদেশে স্কলারশিপে সেটা সম্ভব মাত্র ১ বছরেই!

(বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন দেখেন, কিন্তু শুরু করব করব করে এখনো শুরু করতে পারেননি, আপনার জন্যই এই লিখা! এই লিখার শেষে রয়েছে ২১টি বিশ্বসেরা স্কলারশিপের মাসিক টাকার পরিমাণ এবং আবেদন লিংক, যা আপনাকে স্বপ্নপূরণের পথ দেখাবে)

আজকের বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা কেন বিদেশের দিকে ছুটছে, জানেন? উত্তরটা শুধু "ভালো শিক্ষা" নয়, বরং এর পিছনে আছে “আর্থিক স্বাধীনতার বিশাল সুযোগ”।

আপনি কি জানেন, বাংলাদেশের একজন সাধারণ গ্র্যাজুয়েট আর একজন স্কলারশিপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর আয়ের মধ্যে পার্থক্য আকাশ-পাতাল? আজকে আমরা এমন কিছু বাস্তব উদাহরণ দেখবো যা আপনার চোখ কপালে তুলে দেবে!

বাংলাদেশে একজন ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটের চাকরির বাস্তবতা:
মাসিক বেতন: ২০,০০০-৫০,০০০ টাকা
মাসিক ব্যয়:
o বাসা ভাড়া: ১০,০০০-২০,০০০ টাকা
o পরিবহন: ৩,০০০-১০,০০০ টাকা
o খাবার: ৮,০০০-১৫,০০০ টাকা

বিদেশে স্কলারশিপধারী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর আয়:
মাসিক স্টাইপেন্ড: ১.৫-৫ লাখ টাকা (মাস্টার্স – PhD লেভেল)
সামার ইন্টার্নশিপ: ৩-১০ লাখ টাকা/৩ মাস
গবেষণা ফান্ড: ১০-৩০ লাখ টাকা/বছর (PhD লেভেল)


(আমার পেজ, লাইক দিয়ে রেখে দিতে পারেন, যেখানে এখন থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পর্কিত নিয়মিত পোস্ট পাবেনঃ https://www.facebook.com/ashiqurpage
আমার Youtube চ্যানেল যেখানে উচ্চশিক্ষা সম্পর্কিত অনেক গুলো ভিডিও আপলোড করা হয়েছে, আরও অনেকগুলো আপলোড হচ্ছে প্রতিদিনঃ https://www.youtube.com/.ASHIQUR )

স্কলারশিপে পড়লে টাকা আসে কোথা থেকে?
1. স্টাইপেন্ড (মাস্টার্স – PhD লেভেল):
o যুক্তরাষ্ট্রে RA/TA: মাসিক ৩-৫ লাখ টাকা
o ইউরোপে Erasmus+: মাসিক ২.৫ লাখ টাকা (মাস্টার্স লেভেল)
o জার্মানিতে DAAD: মাসিক ১.৫-৩ লাখ টাকা
o কানাডায় Vanier স্কলারশিপ: মাসিক ৩-৫ লাখ টাকা

2. ইন্টার্নশিপ:
o গুগল/ফেসবুক: ১০-১৫ লাখ টাকা/সামার
o অ্যামাজন/মাইক্রোসফট: ৮-১৩ লাখ টাকা/সামার
o জার্মান কোম্পানিগুলো: ৬-১০ লাখ টাকা/সামার

3. গবেষণা ফান্ড:
o PhD - PostDoc গবেষণা ফান্ড: বছরে ১০-৫০ লাখ টাকা
o কনফারেন্স ট্রাভেল গ্রান্ট: বছরে ৫-১০ লাখ টাকা
o পেটেন্ট ও রিসার্চ বোনাস: এককালীন ১০-৩০ লাখ টাকা

শুধু টাকা নয়, টাকার গ্যারান্টিঃ বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে গেলে টিউশন ফি ১০০% ফ্রি – প্রতি সেমিস্টারে ১০-২০ লাখ টাকা বেঁচে যাচ্ছে! বাড়তি সুবিধা হিসেবে বিদেশে ফ্রি হাউজিং, হেলথ ইনস্যুরেন্স, ট্রাভেল ফান্ড পাওয়া যায়, আর বাংলাদেশে বেতনের ৫০% যায় বাসা ভাড়া ও পরিবহনে!

৫ বছর পরের টাকার হিসাব যা আপনাকে চমকে দেবে!
বিষয় - বাংলাদেশ - বিদেশে স্কলারশিপ
মাসিক আয় -৩৫,০০০-৫৫,০০০ টাকা - ১.৬-৪ লাখ টাকা
৫ বছরে আয় - ২১-৩৩ লাখ টাকা - ১-৩ কোটি টাকা
ইন্টার্নশিপ আয় - নেই - ৩-১০ লাখ টাকা/সামার
গবেষণা ফান্ড - নেই - ১০-৩০ লাখ টাকা/বছর

স্বপ্ন দেখুন, কিন্তু হিসেব করে
"বিদেশে পড়ব" এই স্বপ্ন শুধু ডিগ্রির জন্য নয়—এটি একটি স্মার্ট ফাইনান্সিয়াল ইনভেস্টমেন্ট। আজকে ১ বছর প্রস্তুতি নিয়ে স্কলারশিপ পেলে, পরের ৫ বছর আপনি আয় করবেন কোটি টাকা, অর্জন করবেন বিশ্বমানের ডিগ্রি + আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার + আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা।

শুধু টাকা নয়, জীবন বদলে দেওয়ার গল্প
বিদেশে পড়ালেখা মানে শুধু ক্লাসরুম নয়—আপনি কাজ করবেন বিশ্বসেরা গবেষকদের সাথে, শিখবেন আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডের কাজের সংস্কৃতি। এই অভিজ্ঞতা আপনাকে পরবর্তীতে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, রিমোট জব, বা ইউনিভার্সিটি প্রফেসর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে, যেখানে আয় হবে বাংলাদেশের গতানুগতিক জবের চেয়ে অনেক গুণ বেশি।

আপনার পরিবারের জন্য স্বপ্ন দেখুন
আপনার বাবা-মা কি কখনো সুইজারল্যান্ড বা কানাডার মতো দেশে ঘুরতে যেতে পারবেন? আপনি স্কলারশিপ পেলে পরিবারকে নিয়ে সেখানে যেতে পারবেন, তাদের ভালো জীবন দিতে পারবেন। এটা শুধু আপনার সাফল্য নয়, পুরো পরিবারের ভাগ্য বদলের সুযোগ!

এখনই সিদ্ধান্ত নিন
• আজকে ১ বছর কষ্ট = স্কলারশিপের জন্য প্রস্তুতি
• পরের ৫ বছর = মাসে লাখ টাকা ইনকাম + বিশ্বজয়ের সুযোগ
- পেছনে ফিরে তাকালে দেখবেন, স্কলারশিপের জন্য করা আপনার সেই ১ বছরের পরিশ্রমই জীবন বদলে দিয়েছে!

সুন্দর ব্যালেন্সড জীবন লিড করার এই সুযোগ কেউ আপনার হাতে তুলে দেবে না – আপনাকেই ছিনিয়ে নিতে হবে! ✈️ সময় নষ্ট করবেন না! আজই বিদেশে উচ্চশিক্ষা স্কলারশিপের জন্য প্রস্তুতি শুরু করুন। একটি মাত্র সঠিক সিদ্ধান্তই পারে আপনার জীবন বদলে দিতে!

আজকের বোনাস: ২১টি বিশ্ববিখ্যাত স্কলারশিপে প্রতি মাসে কত টাকা দেওয়া হয়, সেই হিসাব:

1. ইরাসমুস মুন্ডুস Masters স্কলারশিপ (ইউরোপ)
• €1,400-€1,500 (≈ ১.৮ লাখ টাকা)
https://www.eacea.ec.europa.eu/scholarships_en
2. ফুলব্রাইট স্কলারশিপ (যুক্তরাষ্ট্র)
• 2,500−2,500−3,000 (≈ ২.৯-৩.৫ লাখ টাকা)
https://foreign.fulbrightonline.org/
3. চেভেনিং স্কলারশিপ (যুক্তরাজ্য)
• £1,200-£1,500 (≈ ১.৫-১.৯ লাখ টাকা)
https://www.chevening.org/
4. DAAD স্কলারশিপ (জার্মানি)
• €850-€1,200 (≈ ১-১.৪ লাখ টাকা)
https://www.daad.de/en/
5. MEXT স্কলারশিপ (জাপান)
• ¥144,000-¥147,000 (≈ ১.২-১.৩ লাখ টাকা)
https://www.studyinjapan.go.jp/en/

6. অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ
• AUD 2,000-2,500 (≈ ১.৫-১.৯ লাখ টাকা)
https://www.dfat.gov.au/people-to-people/australia-awards
7. কমনওয়েলথ স্কলারশিপ (যুক্তরাজ্য ও কমনওয়েলথ দেশসমূহ)
• £1,100-£1,400 (≈ ১.৪-১.৭ লাখ টাকা)
https://cscuk.fcdo.gov.uk/
8. গেটস কেমব্রিজ স্কলারশিপ (যুক্তরাজ্য)
• £1,800-£2,200 (≈ ২.২-২.৭ লাখ টাকা)
https://www.gatescambridge.org/
9. রোডস স্কলারশিপ (অক্সফোর্ড, যুক্তরাজ্য)
• £1,500-£1,800 (≈ ১.৯-২.২ লাখ টাকা)
https://www.rhodeshouse.ox.ac.uk/
10. সুইস এক্সিলেন্স স্কলারশিপ (সুইজারল্যান্ড)
• CHF 1,900-2,200 (≈ ২.৩-২.৭ লাখ টাকা)
https://www.sbfi.admin.ch/.../scholarships-and-grants.html

11. নেদারল্যান্ডস স্কলারশিপ (হল্যান্ড)
• €1,000-€1,300 (≈ ১.২-১.৫ লাখ টাকা)
https://www.studyinnl.org/finances/scholarships
12. নিউজিল্যান্ড স্কলারশিপ
• NZD 2,000-2,300 (≈ ১.৩-১.৫ লাখ টাকা)
https://www.studywithnewzealand.govt.nz/scholarships
13. অক্সফোর্ড ক্ল্যারেনডন স্কলারশিপ
• £1,500-£1,800 (≈ ১.৯-২.২ লাখ টাকা)
https://www.ox.ac.uk/clarendon
14. সিঙ্গাপুর সরকারী স্কলারশিপ (SGUS)
• SGD 1,500-2,000 (≈ ১.৩-১.৭ লাখ টাকা)
https://www.moe.gov.sg/financial-matters/awards-scholarships
15. কানাডা ভ্যানিয়ার স্কলারশিপ
• CAD 2,500 (≈ ২.১ লাখ টাকা)
https://vanier.gc.ca/

16. সুইডিশ ইনস্টিটিউট স্কলারশিপ
• SEK 10,000-12,000 (≈ ১.১-১.৩ লাখ টাকা)
https://si.se/en/apply/scholarships/
17. নরওয়ে আর্কটিক স্কলারশিপ
• NOK 10,000-12,000 (≈ ১.২-১.৪ লাখ টাকা)
https://www.studyinnorway.no/scholarships
18. অস্ট্রিয়ান সরকারী স্কলারশিপ
• €1,000-€1,200 (≈ ১.২-১.৪ লাখ টাকা)
https://grants.at/en/
19. হংকং PhD ফেলোশিপ
• HKD 15,000-18,000 (≈ ১.৮-২.২ লাখ টাকা)
https://www.polyu.edu.hk/hkpf/
20. ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT) স্কলারশিপ
• 2,500−2,500−3,000 (≈ ২.৯-৩.৫ লাখ টাকা)
https://mitadmissions.org/
21. হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ
• 2,800−2,800−3,200 (≈ ৩.৩-৩.৮ লাখ টাকা)
https://college.harvard.edu/financial-aid

দ্রষ্টব্যঃ টাকার conversion হিসাব Bank বিনিময় হার অনুযায়ী (১ USD ≈ ১১৭ BDT, ১ EUR ≈ ১২৬ BDT, ১ GBP ≈ ১৫০ BDT); বাস্তব হিসেবে টাকার পরিমাণ আরও বেশি হবে!
………………..
বিদেশে উচ্চশিক্ষার সম্পূর্ণ গাইডলাইন – পর্ব ০৪
Dr-Ashiqur Rahman

The Griffin Financial Aid Office provides need-based aid that allows us to bring the best students to Harvard, regardless of their ability to pay.

২০২৩ সালের এশিয়ার সেরা ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেলেন ২ বাংলাদেশি বিজ্ঞানী!গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এশিয়ার...
29/06/2025

২০২৩ সালের এশিয়ার সেরা ১০০ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান পেলেন ২ বাংলাদেশি বিজ্ঞানী!

গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা এশিয়ার শীর্ষ ১০০ জন বিজ্ঞানীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক সাময়িকী ‘এশিয়ান সায়েন্টিস্ট’। এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই বিজ্ঞানী। এরা হলেন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) পরিচালক সেঁজুতি সাহা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেসা চৌধুরী।

অধ্যাপল গাউসিয়া চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর লাভের পাশাপাশি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পাশাপাশি জলজ বাস্তুতন্ত্র ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণি সংরক্ষণে অবদানের জন্য ২০২২ সালে তিনি ওডব্লিউএসডি-এলসেভিয়ার ফাউন্ডেশন অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থা, ওয়াইল্ডটিম এবং বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির বোর্ড সদস্য।

অপরদিকে ড. সেঁজুতি সাহা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ বাংলাদেশ থেকে ও লেভেল শেষ করে ২০০৫ সালে কানাডার টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ভর্তি হন। জৈব রসায়নে স্নাতক শেষ করে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ে আণবিক জিনতত্ত্বে পিএইচডি করেন। ২০২০ সালে বাংলাদেশে প্রথম ক*রো*না রোগী শনাক্ত হওয়ার পর তার নেতৃত্বেই দেশে প্রথম ক*রো*নাভাই*রাসের জিন নকশা উন্মোচিত হয়। পাশাপাশি ২০১৮ সালে তিনি বিল গেটসের 'বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস অ্যাওয়ার্ড' লাভ করেন।

ফ্যাশনে পরিণত হওয়ার আগে ডেনিমের গল্পটা ছিল বেশ হৃদয়বিদারক। পশ্চিম আফ্রিকায় একটি মোটা-টেকসই কাপড় দাসশ্রেণীর মানুষদের মধ...
21/06/2025

ফ্যাশনে পরিণত হওয়ার আগে ডেনিমের গল্পটা ছিল বেশ হৃদয়বিদারক।
পশ্চিম আফ্রিকায় একটি মোটা-টেকসই কাপড় দাসশ্রেণীর মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা হত যাতে তারা ক্ষেত-খামার এবং বাড়িতে কাজ করার সময় পরতে পারে।
এই মোটা-টেকসই কাপড়টি ছিল কখনও ডেনিম বা কখনও রুক্ষ সুতি বা লিনেন - যাকে প্রকাশ্যে "নিগ্রো কাপড়" হিসাবে উল্লেখ করা হত।
দাসদেরকে ডেনিম পরতে দেওয়ার উদ্দেশ্য বলা হত কাপড়ের দীর্ঘস্থায়িত্বতা, কিন্তু মূল উদ্দেশ্য ছিল দাসদেরকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা এবং নিয়ন্ত্রণ করা।

এটি শুধুমাত্র কাপড়ের ব্যাপার ছিল না, এটি ছিল জাত বা বর্ণ পরিচয়ের ব্যাপার।
দাসশ্রেণীর মানুষদের নিজের পোশাক বেছে নেওয়ার অনুমতি ছিল না, তাদের ইউনিফর্ম হিসেবে ডেনিম পরতে দেওয়া হত।

দ্যা আইরনি?
ব্লু ইন্ডিগো জিন্স বুননের প্রক্রিয়া, ডাইং করার প্রসেস সবকিছুই পশ্চিম আফ্রিকার ঐতিহ্যের অংশ হয়ে গেছে। ব্লু ডেনিমের রঙের সৌন্দর্য, টেকনোলোজি - অনেক কিছুই দাসদের নিজের আবিষ্কার।

এর কয়েক দশক পরে, ১৮৭৩ সালে, লেভি স্ট্রস এবং জ্যাকব ডেভিস পেটেন্ট করেছেন যা আমরা এখন ব্লু জিন্স নামে জানি।
সময়ের সাথে সাথে ডেনিম কেবল একটা নির্দিষ্ট স্টাইলেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, এটি প্রতিনিয়ত বিকশিত হয়েছে।
কাউবয়রা ডেনিম পরতে শুরু করল, কারখানার শ্রমিকরা ডেনিমকে আপন করে নিল।
কবি, শিল্পী, কর্মী, সঙ্গীতজ্ঞ - প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রিতে বর্ণবাদ এবং দাসপ্রথার বিরুদ্ধে পরিবর্তনকামী মানুষদের দৈনন্দিন পোশাক হয়ে উঠল ডেনিম।

আজ ডেনিম সর্বত্র।
কিন্তু ডেনিমের প্রতিটি সেলাইয়ের মধ্যে লুকিয়ে আছে এক ভুলে যাওয়া ইতিহাস।
আমরা কেবল স্টাইলের জন্য এটি পছন্দ করি সেটা নয়, বরং আমরা তাদের ঐতিহ্য বহন করি যাদেরকে বর্ণবাদ আর দাসত্বের পোশাক হিসেবে ডেনিমকে পরতে দেওয়া হয়েছিল, যারা কখনও ডেনিমকে নিজের জন্য পছন্দ করে বেছে নিতে পারে নি।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when স্বপ্নশীলন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to স্বপ্নশীলন:

Share