Radha

Radha Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Radha, Digital creator, Ramakrishna, Dhaka.

'সনাতন' ধর্মের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্মীয় গ্রন্থ গীতা।।আসুন গীতা পড়ি এবং ঈশ্বরের শরণাপন্ন হই এবং জীবনের নৌকোকে সঠিক পথে পরিচালিত করি🙏🙏
* বলতে চাই,যা উপলব্ধি করি তা শেয়ার করতে চাই🌺
* মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়!!
* ভুল কিছু চোখে পড়লে বলবেন,শুধরানোর চেষ্টা করবো🙏

 #পঞ্চ ইন্দ্রিয় সংযম কেন দরকার?পঞ্চ ইন্দ্রিয় সংযম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে আত্মিক উন্নতি, মানসিক শান্তি এবং জীবনকে স...
07/07/2025

#পঞ্চ ইন্দ্রিয় সংযম কেন দরকার?
পঞ্চ ইন্দ্রিয় সংযম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে আত্মিক উন্নতি, মানসিক শান্তি এবং জীবনকে সঠিক পথে পরিচালনার জন্য। এখানে ব্যাখ্যা করছি কেন এটা দরকার:

🔹 পঞ্চ ইন্দ্রিয় কী কী?
পঞ্চ ইন্দ্রিয় বা পাঁচটি ইন্দ্রিয় হলো:

চক্ষু (দৃষ্টিশক্তি)

কর্ণ (শ্রবণশক্তি)

নাসিকা (ঘ্রাণশক্তি)

জিহ্বা (স্বাদগ্রহণ)

ত্বক (স্পর্শ)

🔸 কেন সংযম দরকার?
১. মন ও ইন্দ্রিয় পরস্পর সংযুক্ত
ইন্দ্রিয়গুলো বাইরের জগতের প্রতি আকৃষ্ট হয়। যদি সংযম না থাকে, তাহলে মন সহজেই ছুটে যায় সেই আকর্ষণের পেছনে। এতে করে মন অস্থির হয়ে পড়ে।

২. আত্ম-নিয়ন্ত্রণ ছাড়া আত্মিক উন্নতি সম্ভব নয়
ভগবদ্গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন:

"ইন্দ্রিয়াণাং হি চরতাং ইয়ন্মনোনু বিদীয়তে,
তদস্য হরতি প্রজ্ঞাং বায়ুর্নাওমিভাম্ভসি॥"
(গীতা ২.৬৭)
অর্থ: যখন মন ইন্দ্রিয়দের অনুসরণ করে, তখন সেটা যেমন বাতাসে নৌকাকে ভাসিয়ে নেয়, তেমনই প্রজ্ঞাবান মানুষকেও নিজের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করে দেয়।

৩. আসক্তি ও দুঃখের মূল
ইন্দ্রিয় যদি সংযত না হয়, তাহলে তা কামনা সৃষ্টি করে। কামনা পূর্ণ না হলে দুঃখ হয়, ক্রোধ হয়। তাই ইন্দ্রিয় সংযম আসক্তি থেকে মুক্তির পথ।

৪. অভ্যাস ও সংযমে স্থিরতা আসে
যোগসাধনা হোক বা সংসারজীবন, ইন্দ্রিয় সংযম মানুষকে ধৈর্য, স্থিতি ও আত্মবিশ্বাস দেয়।

🧘 উদাহরণ:
চোখ যদি সংযত না থাকে, তাহলে অপ্রয়োজনীয় জিনিস দেখা বা পরনিন্দা দেখা ইত্যাদি করে মন অস্থির করে।

জিহ্বা সংযত না থাকলে অতিরিক্ত খাওয়া বা মন্দ কথা বলা হয়।

কর্ণ সংযত না থাকলে গুজব বা পরনিন্দায় মন আটকে যায়।

✅ উপকারিতা:
মানসিক শান্তি

আত্মসংযমে জীবনে শৃঙ্খলা

ধর্ম, জ্ঞান ও মোক্ষের পথে অগ্রগতি

চরিত্রে দৃঢ়তা ও গভীরতা আসে

ইন্দ্রিয় সংযম মানেই সবকিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া নয়। বরং, সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করা – এটাই প্রকৃত সংযম।
#হরে ゚

কিছু মানুষ বলে এসব উপস করে কি লাভ তাদের কি উত্তর দিব?এসব উপোস করে কি লাভ?” অনেকেই ঠাট্টা করে বা অবিশ্বাস থেকে এমন প্রশ্ন...
06/07/2025

কিছু মানুষ বলে এসব উপস করে কি লাভ তাদের কি উত্তর দিব?
এসব উপোস করে কি লাভ?” অনেকেই ঠাট্টা করে বা অবিশ্বাস থেকে এমন প্রশ্ন করে। আপনি যদি এমন প্রশ্নের সম্মানজনক ও জ্ঞানভিত্তিক উত্তর দিতে চান, তাহলে নিচের মতো করে উত্তর দিতে পারেন:

🔸 ১. আত্মসংযম ও নিয়ন্ত্রণ শেখা:
"উপোস মানে শুধু না খাওয়া না, উপোস আমাদের ইচ্ছা, জিদ, খাওয়া-পাওয়া, চিন্তা — সব কিছুর উপর নিয়ন্ত্রণ করতে শেখায়। এই নিয়ন্ত্রণই জীবনকে সুন্দর করে তোলে।"

🔸 ২. মনকে পরিশুদ্ধ করা:
"যখন আমরা উপোস করি, তখন শুধু শরীর নয়, মনও এক ধরনের বিশ্রাম পায়। আমরা নিজের ভেতরের কথা শুনতে শিখি, ঈশ্বরকে স্মরণ করি। এটা একটা মানসিক শুদ্ধির সুযোগ।"

🔸 ৩. ভক্তির প্রকাশ:
"ভক্তি বা বিশ্বাস জিনিসটা শুধু যুক্তিতে হয় না। যেমন কেউ গান গেয়ে শান্তি পায়, কেউ উপোস করে ঈশ্বরের কাছে নিবেদন করে। এতে মানসিক শান্তি মেলে, সেটাই সবচেয়ে বড় লাভ।"

🔸 ৪. বৈজ্ঞানিক দিক থেকেও উপকার:
"আধুনিক বিজ্ঞানও বলে সময় সময় শরীরকে কিছু সময় উপোসে রাখা ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে বিশ্রাম দেয়, মেটাবলিজম ঠিক রাখে। অনেক ওজন কমানোর থেরাপিতেও উপোসের ব্যবহার আছে।"

🔸 ৫. লাভ খুঁজে পাবেন বিশ্বাসে:
"যে হৃদয় থেকে করে, সে-ই লাভ পায়। যে শুধু বাইরের দিকে দেখে, সে শুধু প্রশ্ন তোলে। ঠিক যেমন প্রেম বা ভক্তি – বাইরে থেকে দেখা যায় না, ভেতর থেকেই বোঝা যায়।"

🔹 শেষ কথা:
আপনি হাসিমুখে শুধু এটুকুও বলতে পারেন —
"এটা আমার বিশ্বাস আর ভক্তির একটা পথ। আপনি যদি না বুঝেন, তাও আমি শ্রদ্ধা করি, কিন্তু আমার বিশ্বাসটাকেও ছোট করে দেখবেন না।"

#হরেকৃষ্ণ ゚

একাদশী ব্রত কি?একাদশী ব্রত হিন্দু ধর্মে একটি পবিত্র উপবাস বা ব্রত, যা প্রতি চন্দ্রমাসের শুক্লপক্ষ (পূর্ণিমার পর) এবং কৃষ...
06/07/2025

একাদশী ব্রত কি?
একাদশী ব্রত হিন্দু ধর্মে একটি পবিত্র উপবাস বা ব্রত, যা প্রতি চন্দ্রমাসের শুক্লপক্ষ (পূর্ণিমার পর) এবং কৃষ্ণপক্ষ (অমাবস্যার পর) এর একাদশী তিথিতে পালন করা হয়। বছরে মোট ২৪ বা কখনো কখনো ২৬টি একাদশী পড়ে।

🔹 একাদশী ব্রতের মূল কথা:
"একাদশী" শব্দের অর্থ হল "একাদশ তিথি", অর্থাৎ হিন্দু চান্দ্র পঞ্জিকার ১১তম দিন।

এই দিনটি ভগবান বিষ্ণু-এর উপাসনার জন্য উৎসর্গীকৃত।

এই ব্রতে উপবাস করে শরীর ও মনের শুদ্ধি হয় বলে বিশ্বাস করা হয়।

🔹 ব্রত পালনের নিয়ম:
পূর্ব দিন (দশমী তিথি) রাতে উপবাসের প্রস্তুতি নেয়া হয়, সাধারণত নিরামিষ আহার গ্রহণ করা হয়।

একাদশী তিথিতে উপবাস রাখা হয় — কেউ সম্পূর্ণ উপবাস রাখে (নির্জলা), কেউ ফলাহার বা শুধু জল পান করে।

ভগবান বিষ্ণুর নামস্মরণ, পাঠ, ভজন-কীর্তন করা হয়।

দ্বাদশী তিথিতে (পরদিন) ব্রত ভঙ্গ করা হয়—একে বলে পরন বা পরান।

🔹 একাদশী ব্রতের উপকারিতা:
আধ্যাত্মিক উপকারিতা: পাপক্ষয়, মন ও আত্মার শুদ্ধি, ভগবানের কৃপা লাভ।

স্বাস্থ্যগত দিক: উপবাস শরীরকে ডিটক্স করে, পাচনতন্ত্র বিশ্রাম পায়।

মানসিক দিক: আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ধৈর্য শেখায়।

🔹 কিছু বিশেষ একাদশী:
নির্জলা একাদশী – সবচেয়ে কঠিন ব্রত (জলবিহীন উপবাস)

পাপমোচনী একাদশী

উৎপন্না একাদশী

বৈকুণ্ঠ একাদশী – বিষ্ণুভক্তদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়
゚ #হরেকৃষ্ণ

হরে কৃষ্ণ 🌺🙏 ゚
06/07/2025

হরে কৃষ্ণ 🌺🙏

উল্টো রথের শুভেচ্ছা সবাইকে।ঠাকুর সহায় হোক সবার প্রতি,জয় জগন্নাথ 🙏🙏
05/07/2025

উল্টো রথের শুভেচ্ছা সবাইকে।ঠাকুর সহায় হোক সবার প্রতি,
জয় জগন্নাথ 🙏🙏

পর নির্ভরশীলতা নিয়ে ভগবান কি বলেছেন?পর নির্ভরশীলতা (অর্থাৎ অন্যের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল থাকা) সম্পর্কে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ...
03/07/2025

পর নির্ভরশীলতা নিয়ে ভগবান কি বলেছেন?

পর নির্ভরশীলতা (অর্থাৎ অন্যের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল থাকা) সম্পর্কে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ গীতায় সরাসরি কিছু না বললেও, তিনি আত্মনির্ভরশীলতা ও নিজের কর্তব্য পালনের উপর জোর দিয়েছেন, যা আমাদের শিক্ষা দেয় যে পর নির্ভরশীলতা ক্ষতিকর।

📖 ভগবদ গীতা – অধ্যায় ৬, শ্লোক ৫:
"উদ্ধরেত্‌ আত্মনাত্মানং নাত্মানমবসাদয়েত্।
আত্মৈব হ্যত্মনো বন্ধু: আত্মৈব রিপুরাত্মন:"

বাংলা অনুবাদঃ
“নিজেকে নিজের দ্বারা উন্নীত করো, নিজের পতন ঘটিও না। কারণ তুমি নিজেই নিজের বন্ধু, আবার নিজেই নিজের শত্রু।”

🧠 ব্যাখ্যা ও শিক্ষা:
এই শ্লোকে ভগবান বলছেন — নিজের উন্নতির জন্য নিজেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। যদি তুমি সবসময় অন্যের উপর নির্ভর করো, তাহলে নিজের উন্নতি কখনো হবে না। মানুষ তখন নিজের শত্রু হয়ে যায়, যখন সে নিজের ক্ষমতা ব্যবহার না করে শুধু অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকে।

📖 ভগবদ গীতা – অধ্যায় ৩, শ্লোক ৮:
"নিয়তং कुरु कर्म त्वं कर्म জ্যায়ো হ্যকর্মণ:।"

বাংলা অনুবাদঃ
“তুমি নিয়মিতভাবে নিজের কর্তব্য পালন করো, কারণ কর্ম করা অকর্মের (অর্থাৎ কিছু না করার) থেকে শ্রেয়।”

🧠 ব্যাখ্যা ও শিক্ষা:
এখানে স্পষ্টভাবে বলা হচ্ছে, নিজের দায়িত্ব নিজেকেই পালন করতে হবে। কেউ এসে আমাদের কাজ করে দেবে — এমন আশায় বসে থাকা উচিত নয়।

🎯 বাস্তব জীবনের উদাহরণ:
যেমন ধরো, একজন ছাত্র যদি সবসময় তার বন্ধুর উপর নির্ভর করে পড়াশোনার জন্য, তাহলে সে নিজের জ্ঞান বাড়াতে পারবে না। জীবনের কঠিন সময়ে সেই বন্ধু পাশে না থাকলে সে একেবারে ভেঙে পড়বে।

✅ কী করবো?
নিজের কাজ নিজে করার চেষ্টা করো

পরামর্শ নিতে পারো, কিন্তু কাজের দায়িত্ব নিজে নাও

নিজের উপর বিশ্বাস তৈরি করো (self-confidence)

পর নির্ভরতা কমিয়ে নিজের ক্ষমতা বাড়াও

কোন কাজ আশানুরূপ না হলে তা নিয়ে ভাবতে থাকা, এমন নিয়ে ভগবান কি বলেছেন??ভগবানের (বিশেষ করে শ্রীকৃষ্ণের) বাণীতে ভগবদ্ গীতা-...
01/07/2025

কোন কাজ আশানুরূপ না হলে তা নিয়ে ভাবতে থাকা, এমন নিয়ে ভগবান কি বলেছেন??
ভগবানের (বিশেষ করে শ্রীকৃষ্ণের) বাণীতে ভগবদ্ গীতা-তে এমন অবস্থা নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ না হলে হতাশ হওয়া, চিন্তিত হয়ে পড়া—এসব মানবিক, কিন্তু এগুলোর মধ্যেই আটকে থাকলে জীবনের শান্তি নষ্ট হয়। এ বিষয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কী বলেছেন, চলুন দেখা যাক:

🌼 ভগবদ্ গীতার উপদেশ:
শ্লোক:
"কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন।
মা কর্মফলহেতুর্ভূর্মা তে সঙ্গোস্ত্বকর্মণি॥"
📘— গীতা ২:৪৭

বাংলা অর্থঃ
“তোমার অধিকার শুধু কাজ করাতেই, কিন্তু তার ফলের ওপর নয়। কখনোই তুমি নিজের কর্মফলকে উদ্দেশ্য করো না, এবং অলসতাও বেছে নিও না।”

🪷 ভগবানের বার্তা কী?
ফল নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনা বাদ দাও:
কাজ করো মন দিয়ে, কিন্তু ফলাফল নিয়ে চিন্তায় না পড়ে নিজেকে কাজেই নিযুক্ত রাখো। আশানুরূপ না হলেও সেটিই হয়তো তোমার মঙ্গলের জন্য ঠিক।

ফল আসে সময়মতো:
আজ যা হচ্ছে না, কাল সেটাই হতে পারে। ভগবান বলেন — সময়, পরিশ্রম আর ধৈর্যের ফল সবসময় পাওয়া যায়, কিন্তু সেটা হয়তো তোমার চাওয়া অনুযায়ী নয়, তোমার প্রয়োজন অনুযায়ী।

হতাশা নয়, শিক্ষা নাও:
আশানুরূপ ফল না পেলে হতাশ হয়ে না থেকে, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার চেষ্টা করো। সেটাই প্রকৃত ভক্তি ও আত্মনিয়ন্ত্রণ।

🧘🏻‍♂️ বাস্তব উদাহরণ:
ধরো, তুমি একটি চাকরির জন্য অনেক চেষ্টা করলে কিন্তু হয়নি। এই ব্যর্থতায় ডুবে গেলে তুমি পরের সুযোগও হারাবে। কিন্তু যদি ভাবো, "ভগবান যা করেন ভালোর জন্য করেন", তাহলে তোমার মন শান্ত থাকবে এবং তুমি নতুন উদ্যমে আবার চেষ্টা করতে পারবে।

🕉️ সংক্ষিপ্ত উপদেশ:
"ফল নয়, কর্তব্যে মন দাও। ব্যর্থতা ভাবনা নয়, শিক্ষা—আর সেই শিক্ষা দিয়ে আবার এগিয়ে যাও।" – শ্রীকৃষ্ণ

অলসতা নিয়ে ভগবান কি বলেছেন?,অলসতা (আলস্য) সম্পর্কে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ গীতা-য় খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং বাস্তবধর্মী উপদেশ দি...
30/06/2025

অলসতা নিয়ে ভগবান কি বলেছেন?,
অলসতা (আলস্য) সম্পর্কে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ গীতা-য় খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং বাস্তবধর্মী উপদেশ দিয়েছেন। তিনি অলসতাকে আত্ম-উন্নতির, কর্তব্যবোধের এবং সফলতার পথে এক ভয়ানক বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

🔥 ভগবানের বক্তব্য অলসতা নিয়ে:
📖 ভগবদ গীতা ১৮ অধ্যায়, শ্লোক ২৬:
"মুক্তসঙ্গো অনহংবাদী, ধৃত্যুৎসাহসমন্বিতঃ।
সিদ্ধ্যসিদ্ধ্যোঃ নির্বিকারঃ, কার্ত্তা সাত্ত্বিক উচ্যতে॥"

বাংলা অনুবাদ:
যে ব্যক্তি মোহহীন, অহংকারহীন, ধৈর্যশীল, উদ্যমী (উৎসাহী), এবং সফলতা-ব্যর্থতায় নিরপেক্ষ— সে সত্যিকারের কর্মযোগী।

📌 👉 এখানে "উৎসাহ" বা চঞ্চল কর্মে আগ্রহ – অলসতার বিপরীত।
ভগবান বলছেন, যে অলসতা করে, সে প্রকৃত কর্মযোগী হতে পারে না। সত্যিকারের মানুষ সে-ই, যে আলস্য ত্যাগ করে নিজের কাজ করে।

📖 ভগবদ গীতা ৩ অধ্যায়, শ্লোক ৮:
"নিয়তং কর্তব্যং কর্ম, ত্বং কর্ম জ্যায়ো হ্যকর্মণঃ।
শরীরযাত্রাপি চ তে, ন প্রসিদ্ধ্যেদকর্মণঃ॥"

বাংলা অনুবাদ:
তোমার কর্তব্য অনুযায়ী কাজ করো। কাজ করা অলসতার চেয়ে শ্রেয়। অলসতা করলে শরীর পর্যন্ত ভালোভাবে টিকবে না।

📌 👉 আলস্য মানেই জীবনের পিছিয়ে পড়া। ভগবান স্পষ্ট বলেন – কিছু না করা মানে নিজেকে নষ্ট করা।

📖 ভগবদ গীতা ৬.১৬:
"ন চ অতিস্বপ্নশীলস্য..."
অতিরিক্ত ঘুমানো, অলসতা, এবং অনিয়ম – যোগ (আত্ম-উন্নতি) এর পথে বাধা।

🌿 বাস্তব উদাহরণ:
একজন কৃষক যদি অলস হয় আর বলে “আগামীকাল বীজ বপন করবো”, তাহলে ফসল হবে না। ঠিক তেমনি, আমাদের জীবনের প্রতিটি কাজ সময়মতো করতে না পারলে সাফল্য আসবে না।

🪔 ভগবানের মূল শিক্ষা:
🔸 অলসতা মানেই আত্মার পতন।
🔸 কাজেই ভক্তি আছে, অলসতায় অন্ধকার।
🔸 প্রত্যেকটা মানুষ নিজের কর্ম দিয়ে ঈশ্বরের সেবা করতে পারে।

✨ যদি তুমি অলসতা কাটাতে চাও, ভগবানের এই বাক্য মনে রেখো:
"উঠো, জাগো, এবং লক্ষ্য না পাওয়া পর্যন্ত থেমো না।" – (যদিও এটি ঋষি অরবিন্দ ও স্বামী বিবেকানন্দের মতাদর্শে জনপ্রিয়, তবু গীতার ভাবনার সাথে সম্পূর্ণ মিলে যায়) ゚

 #প্রকৃতি ছাড় দেয়,ছেড়ে দেয় না কখনো,,,,,মনে আছ তো দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের প্রচেষ্টায় মহাবিধ্বংস হয়ছিল, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ  হয়...
29/06/2025

#প্রকৃতি ছাড় দেয়,ছেড়ে দেয় না কখনো,,,,,
মনে আছ তো দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের প্রচেষ্টায় মহাবিধ্বংস হয়ছিল, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ হয়েছিল, মহাভারত হয়েছিল, লক্ষ লক্ষ পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছিল, লক্ষ লক্ষ স্ত্রী বিধবা হয়েছিল, লক্ষ লক্ষ সন্তান পিতৃহারা হয়েছিল। পুরো একটা সভ্যতা বিধ্বংসের সাক্ষী হয়েছিল।

প্রকৃতিতে যখনই কোনো নারীর প্রতি এইরূপ দুর্ব্যবহার করা হয় তখন প্রকৃতি বারবার স্বয়ং নিজের জন্য যুদ্ধ প্রস্তুত করে। প্রকৃতির এই যুদ্ধাশঙ্কায় আপনি কতটুকু প্রস্তুত ?

কারো জন্য অতিরিক্ত চিন্তা বা কোন বিষয় নিয়ে ভাবনা সবসময়, এ নিয়ে ভগবান কি বলেছেন?ভগবদ্গীতাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ খুব গভীরভাবে ...
28/06/2025

কারো জন্য অতিরিক্ত চিন্তা বা কোন বিষয় নিয়ে ভাবনা সবসময়, এ নিয়ে ভগবান কি বলেছেন?

ভগবদ্গীতাতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ খুব গভীরভাবে আমাদের চিন্তা ও সংযমের বিষয়ে শিক্ষা দিয়েছেন। কারো জন্য অতিরিক্ত ভাবনা বা বারবার তাকে নিয়ে মাথায় চিন্তা ঘোরানো — এই বিষয়টি আসক্তি (attachment) বা মোহ (delusion) হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়।

ভগবদ্গীতা, অধ্যায় ২, শ্লোক ৬২-৬৩-এ ভগবান বলেছেন:

ধ্যায়то বিষয়ান্ পুংসঃ সঙ্গস্তেষুপজায়তে।
সঙ্গাৎ সঞ্জায়তে কামঃ কামাৎ ক্রোধোऽভিজায়তে॥

ক্রোধাদ্ ভবতি সম্মোহঃ সম্মোহাৎ স্মৃতিভ্রমঃ।
স্মৃতিভ্রংশাদ্ বুদ্ধিনাশো বুদ্ধিনাশাত্ প্রণশ্যতি॥

বাংলা ব্যাখ্যা:

যখন একজন ব্যক্তি কোনো বিষয়ের বা কারো প্রতি বারবার মনযোগ দেয় বা ভাবতে থাকে, তখন তার প্রতি আসক্তি জন্ম নেয়।

আসক্তি থেকে কামনা (চাওয়ার আগ্রহ) তৈরি হয়।

কামনা পূর্ণ না হলে জন্ম নেয় ক্রোধ।

ক্রোধ থেকে বিভ্রান্তি হয়, বিভ্রান্তি থেকে স্মৃতিভ্রান্তি (ভুল সিদ্ধান্ত), তারপর বুদ্ধির বিনাশ হয়, আর শেষ পর্যন্ত তার পতন ঘটে।

এই শ্লোকের বাস্তব জীবনের উদাহরণ:

ধরো, তুমি কারো কথা বা আচরণ নিয়ে সারাক্ষণ চিন্তা করছো — সে কেন এমন করলো, কি ভাবছে, আমাকে কি পছন্দ করে বা ঘৃণা করে? এসব ভাবতে ভাবতে তোমার মনে হয়তো আশা জন্ম নেবে। এই আশা পূর্ণ না হলে তুমি কষ্ট পাবে, হতাশ হবে, হয়তো রাগ করবে, এবং মনের শান্তি হারাবে।

ভগবানের উপদেশ:
ভগবান আমাদের শিক্ষা দেন –
"নিরাসক্তভাবে নিজের কর্তব্যে মনোযোগ দাও, ফলাফলের আশা বা অন্যের প্রতিক্রিয়ার উপর নির্ভর করো না।"

"কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন।" (অধ্যায় ২, শ্লোক ৪৭)

অর্থ: তোমার অধিকার আছে শুধুমাত্র কর্ম করার ওপর, কিন্তু ফলাফলের ওপর নয়।

তুমি কী করতে পারো?
ভক্তির মাধ্যমে নিজের মন ভগবানের দিকে ফেরাও।

নিজেকে জিজ্ঞেস করো: আমি যাকে নিয়ে চিন্তা করছি, সে কি আমার চিন্তায় সাড়া দিচ্ছে? যদি না দেয়, তাহলে নিজেকে কষ্ট দিয়ে লাভ কী?

ধ্যান বা মনোসংযম চর্চা করো — এতে মন শান্ত হবে।

নিয়মিত গীতা পাঠ বা শুনো, এটা চিন্তার ভার হালকা করতে সাহায্য করবে।
゚ #সবাইকে

Address

Ramakrishna
Dhaka
1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Radha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share