Poly Media

Poly Media Digital content creator

আকাশ আর মেঘলার গল্পটা ছিল আর দশটা সাধারণ গল্পের মতোই, কিন্তু তাদের ভালোবাসার বুনন ছিল একান্তই তাদের নিজস্ব। আকাশের দিন শ...
23/07/2025

আকাশ আর মেঘলার গল্পটা ছিল আর দশটা সাধারণ গল্পের মতোই, কিন্তু তাদের ভালোবাসার বুনন ছিল একান্তই তাদের নিজস্ব। আকাশের দিন শুরু হতো ভোরের আলো ফুটতেই, আর মেঘলার দিন শুরু হতো সুরের মূর্ছনায়। আকাশ ছিল একজন স্থপতি, স্বপ্ন দেখতো ইট-কাঠের শহরে জীবনের প্রতিচ্ছবি আঁকতে। আর মেঘলা ছিল একজন সঙ্গীত শিক্ষিকা, যার আঙুলের ছোঁয়ায় পিয়ানোর সাদা-কালো কী-গুলো জীবন্ত হয়ে উঠতো।
তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল একটি পুরনো বইয়ের দোকানে। আকাশ তার পছন্দের স্থাপত্য বিষয়ক বই খুঁজছিল, আর মেঘলা খুঁজছিল একটি হারিয়ে যাওয়া সুরের স্বরলিপি। একটি শেলফের দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে তাদের চোখাচোখি হয়। বইয়ের ভাঁজে লুকোনো হাসিতেই যেন তাদের প্রথম কথোপকথন শেষ হয়। আকাশ দেখেছিল মেঘলার চোখের গভীরতা, আর মেঘলা মুগ্ধ হয়েছিল আকাশের শান্ত দৃষ্টিতে।
এর কিছুদিন পর, একটি ক্যাফেতে তাদের আবার দেখা। এবার আর নীরবতা নয়, শুরু হলো কথার জাল বোনা। তাদের পছন্দ-অপছন্দ, স্বপ্ন-আকাঙ্ক্ষা, ছোটবেলার স্মৃতি—সবকিছুই একে অপরের কাছে উন্মোচিত হতে থাকলো। আকাশ দেখলো মেঘলার মাঝে এক অদ্ভুত সারল্য, আর মেঘলা মুগ্ধ হলো আকাশের প্রজ্ঞায়। তাদের গল্পগুলো এক হতে শুরু করলো, যেন দুটি ভিন্ন নদীর ধারা এসে মিশে গেল এক মোহনায়।
তাদের ভালোবাসার পথটা মসৃণ ছিল না। আকাশের কাজের চাপ, মেঘলার সঙ্গীতের প্রতি একাগ্রতা—কখনো কখনো তাদের মাঝে দূরত্ব তৈরি করতো। কিন্তু প্রতিটি ছোটখাটো মান-অভিমান, প্রতিটি নীরবতা কেবল তাদের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করেছে। আকাশের আঁকা নকশার পাশে মেঘলার সুরের রেশ মিলেমিশে একাকার হয়ে যেত। মেঘলা যখন কোনো নতুন সুর তৈরি করতো, প্রথম শ্রোতা হতো আকাশ। আর আকাশ যখন কোনো নতুন ভবনের নকশা করতো, মেঘলার চোখে ফুটে উঠতো মুগ্ধতা।
একদিন, আকাশ মেঘলাকে নিয়ে গেল একটি পুরনো ছাদে, যেখানে তারা প্রথম সূর্যোদয় দেখেছিল একসঙ্গে। আকাশ মেঘলার হাত ধরে বলল, "মেঘলা, তুমি আমার জীবনে আসার আগে, আমার পৃথিবীটা ছিল শুধু ছক আর নকশার শুকনো কাগজ। তুমি এসেছো, আর আমার প্রতিটি রেখায় যেন প্রাণ এনে দিয়েছো। আমার সুরহীন জীবনে তুমিই এনেছো ভালোবাসার মিষ্টি সুর। তুমি কি আমার সাথে বাকি জীবনটা এই সুরেই বাঁধা পড়বে?"
মেঘলার চোখ ছলছল করে উঠলো। সে আকাশের কাঁধে মাথা রেখে ফিসফিস করে বলল, "আমি তো কবেই তোমার ছক আর নকশায় আমার সুর মিশিয়ে দিয়েছি, আকাশ। আমি তোমার সাথেই বাঁচতে চাই, ভালোবাসার এই সুরের মূর্ছনায়।"
সেইদিন থেকে তাদের জীবনটা যেন এক সুরে বাঁধা পড়লো। আকাশ আর মেঘলা—তারা শুধু দুটি নাম ছিল না, তারা ছিল ভালোবাসার এক অখণ্ড প্রতিচ্ছবি। তাদের গল্পটা হয়তো কোনো রূপকথার মতো অসাধারণ ছিল না, কিন্তু তাদের ভালোবাসায় ছিল সত্যিকারের জীবনের প্রতিচ্ছবি, যা প্রতিটি সাধারণ মুহূর্তকে করে তুলতো অসাধারণ

একসময় এক কচ্ছপ ছিল, যার খুব ইচ্ছা ছিল আকাশে উড়ার। কিন্তু কচ্ছপের তো ডানা নেই, সে কীভাবে উড়বে? সে প্রতিদিন ঈগলদের আকাশ...
23/07/2025

একসময় এক কচ্ছপ ছিল, যার খুব ইচ্ছা ছিল আকাশে উড়ার। কিন্তু কচ্ছপের তো ডানা নেই, সে কীভাবে উড়বে? সে প্রতিদিন ঈগলদের আকাশে উড়তে দেখত এবং দীর্ঘশ্বাস ফেলত। কচ্ছপের এই প্রবল ইচ্ছার কথা জানতে পারল এক বুদ্ধিমান ঈগল। ঈগল কচ্ছপকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিল।
ঈগল কচ্ছপকে তার পিঠে বসিয়ে আকাশে উড়িয়ে নিয়ে গেল। কচ্ছপ প্রথমবার আকাশে উড়ে খুবই আনন্দিত হলো। সে নিচে পৃথিবীর সুন্দর দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেল। কিন্তু উড়ার আনন্দ বেশিদিন টিকল না। ঈগল কচ্ছপকে নিয়ে উড়েছিল তার খাবারের সন্ধানে এবং কিছু দূর যাওয়ার পর ঈগলের খপ্পর থেকে কচ্ছপ পড়ে যায়।
কচ্ছপ দ্রুত বুদ্ধি খাটিয়ে একটি বড় গাছের ডালে আঁকড়ে ধরে নিজেকে রক্ষা করে। কিন্তু এবার সে আকাশে উড়ার চেয়ে নিরাপদে নিচে নামার উপায় খুঁজতে শুরু করল। অনেক চিন্তা করে কচ্ছপ একটি পরিকল্পনা করল। সে গাছের পাতা এবং ডালপালা দিয়ে একটি প্যারাসুটের মতো কিছু তৈরি করল। তারপর সাবধানে গাছ থেকে নিচে নামল।
গল্পের শিক্ষা
এই গল্পটি আমাদের শেখায় যে, আমাদের জীবনে অনেক সময় এমন কিছু আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়, যা হয়তো আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। কিন্তু বুদ্ধি, ধৈর্য এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা কঠিন পরিস্থিতি থেকেও নিজেদের রক্ষা করতে পারি এবং লক্ষ্য অর্জনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি। কচ্ছপের মতো, আমাদেরও প্রতিকূলতার মুখে ভেঙে না পড়ে বরং নতুন সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।

অনেককাল আগে লেবাননের একটি ছোট গ্রামে আহমদ নামে এক গরীব কাঠুরে বাস করত। সে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করত...
22/07/2025

অনেককাল আগে লেবাননের একটি ছোট গ্রামে আহমদ নামে এক গরীব কাঠুরে বাস করত। সে তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করত। প্রতিদিন সে কাঠ কাটতে বনে যেত, কিন্তু তাতে যা রোজগার হত, তাতে ঠিকমতো খাবারও জুটত না।
একদিন আহমদ বনে কাঠ কাটতে কাটতে ক্লান্ত হয়ে একটি গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছিল। হঠাৎ সে দেখতে পেল, একটি ছোট ইঁদুর তার সামনে দিয়ে দ্রুত ছুটে যাচ্ছে, আর তার মুখে ধরা একটি রুটির টুকরো। আহমদ কৌতূহলী হয়ে ইঁদুরটির পিছু নিল। ইঁদুরটি একটি ছোট গর্তে ঢুকে গেল, আর আহমদ উঁকি মেরে দেখল, গর্তের ভেতর অনেক শুকনো রুটির টুকরো জমা করা আছে।
আহমদ ভাবল, "এই ইঁদুরগুলো এত রুটি কোথায় পায়?" সে পরের দিন আবার সেই জায়গায় গেল এবং লুকিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল। দেখতে পেল, গ্রামের ধনী বেকারের বাড়ি থেকে কিছু রুটির টুকরো ফেলে দেওয়া হচ্ছে, যা ইঁদুরগুলো কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
আহমদ তখন একটি বুদ্ধি আঁটল। সে বেকারকে গিয়ে বলল, "জনাব, আপনার বাড়িতে অনেক রুটি নষ্ট হয় দেখছি। যদি আপনি আমাকে সেই রুটিগুলো দেন, আমি সেগুলো গরীবদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে পারি। এতে আপনার রুটিও নষ্ট হবে না, আর গরীবদেরও উপকার হবে।"
বেকার প্রথমে রাজি না হলেও, আহমদের কথায় যুক্তি খুঁজে পেল। সে ভাবল, রুটি ফেলে দেওয়ার চেয়ে কাউকে দেওয়া ভালো। তাই সে আহমদকে প্রতিদিন বাড়তি রুটি দিতে শুরু করল। আহমদ সেই রুটিগুলো নিয়ে গ্রামের গরীব ও ক্ষুধার্ত মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিতে লাগল।
খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আহমদের এই কাজ গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল। মানুষ তাকে "রুটিওয়ালা আহমদ" নামে ডাকতে শুরু করল। তার সততা আর উদারতা দেখে গ্রামের অন্য ধনীরাও উৎসাহিত হলো এবং তারাও গরীবদের সাহায্য করতে এগিয়ে এল। ধীরে ধীরে গ্রামে আর কেউ অভুক্ত রইল না।
আহমদ কাঠুরে থেকে হয়ে উঠল গ্রামের একজন সম্মানিত ব্যক্তি। সে প্রমাণ করল যে, ছোট একটি পদক্ষেপও কীভাবে সমাজের বড় পরিবর্তন আনতে পারে। এই গল্প লেবাননে সততা, উদারতা এবং ভাগ করে নেওয়ার গুরুত্ব শেখায়। এটি মনে করিয়ে দেয় যে, অন্যের প্রয়োজনে এগিয়ে আসার মাধ্যমে কেবল অন্যেরই নয়, নিজের জীবনও আলোকিত করা যায়।

শহরের কোলাহল থেকে দূরে, এক নিভৃত গ্রামে বাস করত একজন প্রবীণ কৃষক। সারাজীবন তিনি সততা আর নিষ্ঠার সাথে জীবনযাপন করেছেন। তা...
22/07/2025

শহরের কোলাহল থেকে দূরে, এক নিভৃত গ্রামে বাস করত একজন প্রবীণ কৃষক। সারাজীবন তিনি সততা আর নিষ্ঠার সাথে জীবনযাপন করেছেন। তার একমাত্র ছেলে, আসিফ, শহরে পড়াশোনা করে একটি ভালো চাকরি পেয়েছে। কৃষক তার ছেলের জন্য গর্বিত, কারণ আসিফ পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে।
আসিফ তার বাবা-মাকে শহরে নিয়ে যেতে চায়, তাদের জন্য ভালো চিকিৎসা আর আধুনিক জীবনযাত্রার সুবিধা দিতে চায়। কৃষক প্রথমদিকে রাজি হননি, গ্রামের মায়া ত্যাগ করা তার জন্য কঠিন ছিল। কিন্তু আসিফের পীড়াপীড়িতে এবং নিজেদের ক্রমবর্ধমান বয়সের কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত তারা রাজি হলেন।
শহরে এসে তাদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এলো। আধুনিক ফ্ল্যাট, সব ধরনের সুবিধা – কিন্তু কৃষকের মন কেমন যেন একটা শূন্যতা অনুভব করত। তার মনে হতো, তারা যেন নিজেদের শিকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। আসিফ খুব ব্যস্ত থাকত তার কাজ নিয়ে। সে বাবা-মায়ের সব চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করত, কিন্তু তাদের সাথে বসে গল্প করার বা গ্রামের স্মৃতিচারণ করার মতো সময় তার থাকত না।
একদিন কৃষক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন। আসিফ তার বাবার চিকিৎসার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নিল, সেরা ডাক্তার দেখাল, নামীদামি হাসপাতালে ভর্তি করল। কিন্তু কৃষক ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছিলেন। একদিন তিনি আসিফকে কাছে ডেকে দুর্বল কণ্ঠে বললেন, "বাবা, আমি জানি তুই আমার ভালোর জন্যই সব করছিস। কিন্তু আমার মনটা গ্রামের জন্য বড় কাঁদে। আমি শেষবারের মতো আমার ভিটায় ফিরতে চাই। আমার পরিচিত মাটি, পরিচিত বাতাস – ওখানেই আমার শান্তি।"
আসিফ একটা কঠিন নৈতিক দ্বিধায় পড়ে গেল। একদিকে তার বাবা গুরুতর অসুস্থ, এই অবস্থায় গ্রামে নিয়ে যাওয়া ঝুঁকির। শহরের আধুনিক চিকিৎসা তাকে বাঁচাতে পারে। অন্যদিকে, বাবার শেষ ইচ্ছা পূরণ করা তার নৈতিক দায়িত্ব। সে কি বিজ্ঞান আর যুক্তির ওপর ভরসা করবে, নাকি তার বাবার মানসিক শান্তিকে প্রাধান্য দেবে? সে ভাবল, যদি গ্রামে নিয়ে গিয়ে বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়, তাহলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারবে না। আবার বাবার শেষ ইচ্ছা অপূর্ণ রাখলে সে সারাজীবন অনুশোচনায় ভুগবে।
আসিফ তার ডাক্তারের সাথে কথা বলল। ডাক্তার ঝুঁকিগুলো তুলে ধরলেন, কিন্তু এটাও বললেন যে রোগীর মানসিক শান্তিও চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আসিফ বহু চিন্তা করে শেষ পর্যন্ত বাবার শেষ ইচ্ছা পূরণের সিদ্ধান্ত নিল। সে গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সব ব্যবস্থা করল, অ্যাম্বুলেন্স, নার্স – সব।
গ্রামে ফিরে কৃষক যেন এক নতুন প্রাণ ফিরে পেলেন। পরিচিত পরিবেশে, গ্রামের মানুষের ভালোবাসার মাঝে তার মুখে এক অনাবিল হাসি দেখা দিল। যদিও তার শারীরিক অবস্থার খুব একটা উন্নতি হলো না, কিন্তু তার চোখে ছিল এক গভীর তৃপ্তি। কিছুদিনের মধ্যেই কৃষক শান্তিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।

গল্পের নৈতিক শিক্ষা: এই গল্পের নৈতিক শিক্ষা হলো জীবনের কিছু সিদ্ধান্ত কেবল যুক্তি বা সুবিধা দিয়ে নেওয়া যায় না, সেখানে মানবিক মূল্যবোধ, সম্পর্ক এবং প্রিয়জনের মানসিক শান্তিকে প্রাধান্য দেওয়াও অপরিহার্য। অনেক সময়, আমরা যা "ভালো" মনে করি, তা সবসময় অন্যের জন্য "উপযুক্ত" নাও হতে পারে, বিশেষত যখন সেই ভালোটা আমাদের নিজেদের ধারণার ওপর ভিত্তি করে হয়। প্রকৃত ভালোবাসা ও দায়িত্বের অর্থ হলো অন্যের গভীরতম আকাঙ্ক্ষাগুলোকে সম্মান জানানো, এমনকি তা যদি আমাদের পরিকল্পনা বা যুক্তির পরিপন্থীও হয়।

এক দেশে এক জ্ঞানী ফকির ছিলেন, যিনি গ্রামের বাইরে একটি ছোট কুঁড়েঘরে বাস করতেন। তার কাছে প্রতিদিন বহু মানুষ আসত নিজেদের স...
22/07/2025

এক দেশে এক জ্ঞানী ফকির ছিলেন, যিনি গ্রামের বাইরে একটি ছোট কুঁড়েঘরে বাস করতেন। তার কাছে প্রতিদিন বহু মানুষ আসত নিজেদের সমস্যা আর জিজ্ঞাসার উত্তর খুঁজতে। সবাই তাকে খুব শ্রদ্ধা করত।
একদিন সকালে, এক বৃদ্ধ মালি কাঁদতে কাঁদতে ফকিরের কাছে এলেন। তার চোখ লাল, শরীর কাঁপছে। তিনি বললেন, "হুজুর, আমার বাগানের সব ফুল চুরি হয়ে গেছে! কাল রাতে বাগানে এত সুন্দর ফুল ফুটেছিল, আমি ভেবেছিলাম সেগুলো বাজারে বিক্রি করে কিছু টাকা পাব। কিন্তু সকালে উঠে দেখি একটা ফুলও নেই!"
ফকির মনোযোগ দিয়ে সব শুনলেন। তারপর শান্তভাবে বললেন, "মালি সাহেব, আপনি এত চিন্তিত কেন? আপনার বাগান থেকে ফুল চুরি হয়েছে, এতে তো আপনার কোনো ক্ষতি হয়নি।"
মালি অবাক হয়ে বললেন, "কী বলছেন হুজুর? আমার এত কষ্ট করে লাগানো ফুলগুলো চুরি হয়ে গেল, আর আপনি বলছেন আমার ক্ষতি হয়নি?"
ফকির হাসলেন। তিনি বললেন, "আপনার বাগানে ফুল ফোটে, এটি একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। ফুল ফোটানোর কাজটি তো আপনি খুব যত্ন করে করেছেন, তাই না?"
মালি বললেন, "হ্যাঁ হুজুর, আমি প্রতিটি চারা লাগিয়েছি, জল দিয়েছি, সার দিয়েছি, কীটনাশক দিয়েছি। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে আমিই এই বাগান গড়ে তুলেছি।"
ফকির বললেন, "তাহলে দেখুন, আপনি আপনার কাজটি সততা ও নিষ্ঠার সাথে করেছেন। ফুলগুলো আপনার বাগানে ফুটেছে, আর আপনি সেগুলোর যত্ন নিয়েছেন। ফুলগুলো তো চিরকাল আপনার হয়ে থাকবে না, আজ হোক বা কাল, সেগুলো শুকিয়ে যেত। এখন অন্য কেউ সেগুলোকে নিয়ে গেছে। আপনার যে পরিশ্রম ও ভালোবাসা দিয়ে ফুল ফুটিয়েছেন, তা তো কেউ চুরি করতে পারবে না। আপনার সততা, আপনার পরিশ্রম, আপনার ভালোবাসা—এগুলো আপনার মধ্যেই রয়ে গেছে। এগুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি।"
মালি কিছুক্ষণের জন্য চুপ করে রইলেন। ফকিরের কথাগুলো তিনি মন দিয়ে শুনলেন এবং ভাবতে লাগলেন। কিছুক্ষণ পর তার মুখে এক শান্ত হাসি ফুটে উঠল। তিনি বুঝলেন, যা তিনি দিয়েছেন, তা কখনোই হারায় না। যা তিনি তৈরি করেছেন, তার মূল্য তার নিজের কর্মেই নিহিত। ফুলগুলো চলে গেছে ঠিকই, কিন্তু ফুল ফোটানোর আনন্দ আর পরিশ্রমের তৃপ্তি তার কাছেই রয়ে গেছে।
তিনি মাথা নত করে ফকিরকে সালাম জানিয়ে ফিরে গেলেন। তার মন থেকে সব দুঃখ চলে গেছে। তিনি বুঝলেন, আসল ধন বাইরের বস্তুতে নয়, নিজের ভেতরের সৎ কর্মেই নিহিত।

নীতিশিক্ষা: এই গল্পটি আমাদের শেখায় যে, আমাদের আসল মূল্য বাড়ে আমাদের কর্মের গুণগত মানের উপর, ফলাফলের উপর নয়। যখন আমরা সততা, নিষ্ঠা এবং ভালোবাসা দিয়ে কিছু করি, তখন সেই কাজের মূল্য আমাদের ভেতরেই থেকে যায়, বাইরের কোনো ক্ষতি বা প্রাপ্তি তা কেড়ে নিতে পারে না।

পুরুষ জলহস্তী কেন নিজ শিশুকে হত্যা করে?একবার ভাবুন তো, জলহস্তী পরিবারে ২৪৩ দিন গর্ভধারণের পর একটা শিশু জলহস্তীর জন্ম। কি...
21/07/2025

পুরুষ জলহস্তী কেন নিজ শিশুকে হত্যা করে?
একবার ভাবুন তো, জলহস্তী পরিবারে ২৪৩ দিন গর্ভধারণের পর একটা শিশু জলহস্তীর জন্ম। কিন্তু ছেলে সন্তান হলেই বাড়ে যত বিপত্তি। পিতার হাতে ছেলে খুন। এমন ভাবনায় পরিবারের বাকি সদস্যরা সন্তানকে সারাক্ষণ পাহাড়ায় রাখে, যাতে বাবা তার সন্তানকে হত্যা করতে না পারে। আর বাবা সারাক্ষণই সুযোগ খুঁজে বেড়ায়। একটা ছোট সুযোগই যথেষ্ট; বাবার বিশালাকৃতি মুখের ১ ফুট লম্বা তীক্ষ্ণ দাঁতের আঘাতে সন্তানকে হত্যা করার জন্য।

কিন্তু বাবার হাতে ছেলে খুনের কেনো এই নৃশংসতা?

ডাঙ্গায় থাকা প্রাণীদের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম প্রাণী হচ্ছে জলহস্তী। তৃণভোজী এই প্রাণীর ওজন, ১৩০০-১৮০০ কেজি পর্যন্ত হয়। এদের এক একটি দলে ৬-১০ টি পর্যন্ত সদস্য থাকে। যাদের মধ্যে একটিই মাত্র পুরুষ সদস্য। বাকিসব নারী সদস্য। পুরুষ সদস্যটি তার হেরেমে কখনো অন্য পুরুষকে আশ্রয় দিতে চায়না। কারণ, সে কখনো তার রাজত্ব হাতছাড়া করতে চায়না। পরিবারে কণ্যা সন্তানের জন্ম হলে পরম মমতায় সে বড় হয়। আর ছেলে সন্তানের জন্ম মানেই তার রাজত্বের জন্য হুমকি। তাই পুরুষ সদস্যটি সুযোগ পেলে ছেলে জন্মের পরপরই হত্যা করে ফেলে। তবে ছেলে সন্তানটি যদি বাবার পায়ে পড়ে বশ্যতা স্বীকার করে, তখন কোন কোন ক্ষেত্রে বাবা তাকে হত্যা করে না। তবে সবসময়ই সতর্ক থাকে। রাজ্যের জন্য হুমকি মনে হলে মৃত্যু ব্যাতিত অন্য কোন পথ নেই।

তবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ছেলে সন্তানটিকে লুকিয়ে বড় করার চেষ্টা করে। তবে সেজন্য ২৪ ঘন্টাই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এক সময় সন্তান যখন পরিনত হয়, তখন সে বাবার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। তখন পিতা ও সন্তানের মাঝে জীবন মরন লড়াই হয়। সেখানে মৃত্যু বা পরাজয় বরণ করে মৃতপ্রায় হয়ে দলত্যাগ ব্যাতিত ভিন্ন কোন সুযোগ নেন। প্রকৃতিতে আরো কিছু প্রাণীদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখা গেলেও জলহস্তীদের মধ্যে এর প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।

কার্টেসীঃ Animal Welfare Society of SAU

18/07/2025

রাত্রি আর আদনান দুইজনেই শহরের এক ব্যস্ত রাস্তায় হঠাৎ করে একে অপরের সাথে ধাক্কা খেল। দু’জনেই ব্যস্ত, দু’জনেরই চোখে বিরক্তি—কিন্তু কিছুক্ষণ পরই সেই বিরক্তি বদলে গেল চমকে।

রাত্রি তাকিয়ে দেখল এই ছেলেটিই তার স্কুলের পুরনো বন্ধু—যার সাথে শেষ দেখা হয়েছিল ১০ বছর আগে। আদনানও হাসিমুখে বলল, 👉 “তুমি কি… সেই রাত্রি? যাকে আমি ক্লাস এইটে ভালোবাসতাম, কিন্তু বলতে পারিনি?”

রাত্রির মুখ লাল হয়ে গেল। সে আস্তে বলল, 👉 “আমি ভেবেছিলাম তুমি ভুলে গেছো…”

আদনান হেসে বলল, 👉 “ভুলিনি। বরং তোমাকে খুঁজতেই শহরে ফিরেছি।”

দু’জনের মাঝে হঠাৎ নীরবতা নেমে এলো। কিন্তু চোখে চোখ পড়তেই সব কথা যেন অপ্রয়োজনীয় মনে হলো। রাত্রি মৃদু হেসে বলল, 👉 “তাহলে এইবার আর দেরি করো না, বলো।”

আদনান হাত ধরে বলল, 👉 “তুমি কি এবার আমার জীবনের গল্পের নায়িকা হবে?”

রাত্রি হেসে মাথা নাড়ল। ব্যস্ত শহরের সেই মোড়েই দুজনের পুরনো ভালোবাসা নতুন রূপ নিল।

❤️ শেষে বার্তা: 👉 “সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো হারায় না, শুধু সময়ের অপেক্ষা করে।”

একটা গ্রামে ছিল রফিক নামের এক মুচি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে সে জুতো মেরামত করত। একদিন এক ধনী মান...
17/07/2025

একটা গ্রামে ছিল রফিক নামের এক মুচি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে সে জুতো মেরামত করত। একদিন এক ধনী মানুষ তার কাছে এসে দামি জুতো সারাতে দিল। জুতো ঠিক করার পর রফিক সেই জুতোর ভেতরে টাকা ভর্তি একটি খাম খুঁজে পেল।

রফিক ভাবল, “ইচ্ছা করলেই এই টাকা রেখে দিতে পারি। কে আর জানবে?”
কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই তার মন বলল, “সৎ মানুষ হওয়া সহজ নয়, কিন্তু সেটিই ঠিক।”

পরের দিন সেই ধনী মানুষ এলো। রফিক টাকা ভর্তি খামটি তার হাতে দিয়ে বলল,
“আপনার জুতোর ভেতর এটা ছিল। আমি তাই রেখে দিয়েছি।”

ধনী মানুষটি অবাক হয়ে বলল,
“তুমি তো চাইলেই এটা রেখে দিতে পারতে। তুমি সত্যিই মহান!”

ধনী মানুষ তার সৎ আচরণের জন্য রফিককে পুরস্কার দিল এবং তার দোকানটি বড় করতে সাহায্য করল।

🌿 শিক্ষা: সৎ থাকা সবসময় সহজ নয়, কিন্তু সৎ মানুষের জীবনেই প্রকৃত শান্তি ও সম্মান আসে।

এক গ্রামে ছিল এক দরিদ্র কিশোর, নাম তার রাকিব। সে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাত। একদিন সকালে রাকিব মাঠের দিকে যাচ্ছিল কাজ...
15/07/2025

এক গ্রামে ছিল এক দরিদ্র কিশোর, নাম তার রাকিব। সে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাত। একদিন সকালে রাকিব মাঠের দিকে যাচ্ছিল কাজের জন্য। হঠাৎ তার চোখে পড়ল একটি ভারী মানিব্যাগ, মাটিতে পড়ে আছে। ব্যাগটি খুলে সে অবাক হয়ে গেল—ভিতরে মোটা অঙ্কের টাকা ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র।

তার মনের মধ্যে লড়াই শুরু হলো। টাকাগুলো নিলে সে মায়ের ঋণ শোধ করতে পারবে, বোনের জন্য নতুন জামা কিনতে পারবে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তার বাবার শেখানো নীতির কথা মনে পড়ল—
"সততা হারালে মানুষ সবকিছু হারায়।"

রাকিব ঠিক করল ব্যাগটি যার সেই তাকে ফেরত দেবে। গ্রামের চেয়ারম্যানের সাহায্যে সে ব্যাগের মালিককে খুঁজে বের করল। ব্যাগের মালিক এক ধনী ব্যবসায়ী, তিনি কেঁদে ফেললেন ব্যাগটি ফিরে পেয়ে।

তিনি বললেন, “ছেলে, আজ তুমি দেখালে সত্যিকারের মানুষ কারা। এই টাকা তোমার জীবনের কিছুটা সমস্যা মেটাতে পারবে।” তিনি রাকিবকে কিছু টাকা উপহার দিতে চাইলেন। কিন্তু রাকিব বিনয়ের সঙ্গে তা নিল না।

ধনী লোকটি অভিভূত হয়ে ঠিক করল রাকিবের পড়াশোনার সমস্ত খরচ বহন করবে এবং তার মাকে একটা স্থায়ী চাকরি দেবে।

রাকিবের সততা বদলে দিল তার জীবন। গ্রামের মানুষও তাকে উদাহরণ হিসেবে দেখতে শুরু করল।

📖 শিক্ষা:
সততা ও নৈতিকতা মানুষকে শুধু মহান নয়, অপ্রত্যাশিতভাবে সমৃদ্ধও করে।

একটি গ্রামের স্কুলে রফিক নামের এক ছাত্র পড়ত। রফিক ছিল খুবই গরিব, কিন্তু পড়াশোনায় মেধাবী এবং নীতিবান। একদিন স্কুলে সবা...
11/07/2025

একটি গ্রামের স্কুলে রফিক নামের এক ছাত্র পড়ত। রফিক ছিল খুবই গরিব, কিন্তু পড়াশোনায় মেধাবী এবং নীতিবান। একদিন স্কুলে সবাই মিলে ক্রিকেট খেলার সময় রফিকের বন্ধুর ব্যাটটি হারিয়ে যায়। বন্ধুরা সবাই সন্দেহ করল যে রফিক ব্যাটটি চুরি করেছে, কারণ তার নিজের ব্যাট ছিল না।

রফিককে সবাই ঘিরে ধরল। কিন্তু সে মাথা নিচু করে বলল,
“আমি ব্যাট নিইনি। আমি চুরি করতে শিখিনি।”

সবার সন্দেহ আর কথার মাঝে সে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল। পরদিন স্কুলের মাঠের পাশে দেখা গেল, হারানো ব্যাটটি এক গাছের নিচে পড়ে আছে। আসলে এক ছোট বাচ্চা ভুলে সেখানে ফেলে গিয়েছিল।

সেই মুহূর্তে বন্ধুরা রফিকের কাছে এসে লজ্জা পেয়ে বলল,
“তুই সত্যিই আমাদের সবার থেকে বড়। আমরা তোকে অন্যায়ভাবে সন্দেহ করেছি।”

রফিক হেসে বলল,
“সততা কখনও হারায় না, সময়ই তার প্রমাণ আনে।”

ছোট্ট এক গ্রামে থাকতো রবিউল নামে এক কিশোর। পরিবার গরিব, তবে তার বাবা তাকে সবসময় শিখিয়েছিলেন— “সততা হারালে সব হারাবে।” রব...
10/07/2025

ছোট্ট এক গ্রামে থাকতো রবিউল নামে এক কিশোর। পরিবার গরিব, তবে তার বাবা তাকে সবসময় শিখিয়েছিলেন— “সততা হারালে সব হারাবে।” রবিউলও সেটাই মনে প্রাণে বিশ্বাস করতো।

একদিন গ্রামের বাজারে সে একটি মানিব্যাগ খুঁজে পেল। ব্যাগ খুলে দেখে ভিতরে মোটা অঙ্কের টাকা আর কিছু কাগজপত্র। রবিউল বুঝতে পারলো এটা গ্রামের বড় ব্যবসায়ী হাশেম সাহেবের।

তার বন্ধুরা বলল,
👉 “এই টাকায় তো তোমার অনেক উপকার হবে! বাবা-মার ঔষধ, পড়াশোনা সব হয়ে যাবে। ধরে রাখ।”
কিন্তু রবিউল বলল,
🌿 “আমার দরকার আছে ঠিক, কিন্তু এটা আমার নয়। যা আমার নয় তা রাখলে আমি মানুষ থাকবো না।”

সে সোজা হাশেম সাহেবের দোকানে গিয়ে মানিব্যাগটা ফেরত দিল। হাশেম সাহেব অবাক হয়ে বললেন,
💬 “বাবা, এই টাকা পেলে অনেকেই ফেরত দিতো না। তোমার মত সৎ ছেলে আজকাল বিরল।”

তিনি আনন্দে রবিউলকে সামান্য পুরস্কার দিলেন, এবং তার পড়াশোনার খরচের দায়িত্ব নিলেন। গ্রাম জুড়ে রবিউলের সততার গল্প ছড়িয়ে পড়ল।

অর্কের বন্ধু বিল্টু কয়েকদিনের জন্য গ্রামে গিয়েছিল।  বাড়ি ফিরে আসার কথা থাকলেও, তার ফোন বারবার নট রিচেবল দেখাচ্ছিল।  অর্ক...
09/07/2025

অর্কের বন্ধু বিল্টু কয়েকদিনের জন্য গ্রামে গিয়েছিল। বাড়ি ফিরে আসার কথা থাকলেও, তার ফোন বারবার নট রিচেবল দেখাচ্ছিল। অর্ক চিন্তিত হয়ে পড়ল। একদিন রাতে সে বিল্টুর বাড়ির দিকে হাঁটতে বের হলো। আকাশে মেঘ, ঝোড়ো হাওয়া, এবং হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল। বিল্টুর বাড়ির সামনে এসে সে গেটের তালা দেখে হতাশ হলো।

হঠাৎ, অর্ক লক্ষ্য করল, কেউ গেটের তালা খুলে বাড়ির ভিতরে ঢুকছে। এটা ছিল বিল্টু। অর্ক ডাক দিলো, কিন্তু বিল্টু কোনো সাড়া দিলো না। অর্ক দ্রুত বাড়ির দরজায় গিয়ে আবার ডাক দিলো। কিন্তু দরজা খুলে গেলো না। অর্ক দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকলো।

ঘরটি অন্ধকার, কিন্তু মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইটে অর্ক দেখতে পেলো, ঘরের মেঝে শুকনো, অথচ বিল্টু ভিজে ভিজে ফিরেছে। কোথাও বিল্টু নেই। হঠাৎ, আয়নার দিকে তাকিয়ে অর্ক ভয় পেয়ে গেলো। পেছনে দাঁড়িয়ে ছিল বিল্টুর ছায়ামূর্তি।

অর্ক চিৎকার করতে চাইল, কিন্তু গলা দিয়ে কোনো আওয়াজ বের হলো না। মাথার কাছে অদৃশ্য হাত অনুভব করতে লাগলো। হঠাৎ, এক ধাক্কায় অর্ক মেঝেতে লুটিয়ে পড়লো।

চোখ খুলতেই অর্ক দেখতে পেলো, চারপাশে অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। তারা বললো, "বিল্টু তো আগেই আত্মহত্যা করেছে।" অর্ক বুঝতে পারলো, সে বিল্টুর আত্মাকে দেখেছিল।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Poly Media posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share