29/08/2023
বান্দরবন ট্যুর : প্রকৃতি, পাহাড়, মেঘের সন্ধানে!!
গত বছর 30 জুলাই 2022 যাত্রা শুরু করি কলাবাগান বাসষ্ট্যান্ড থেকে রাত্রী 11:15 মিনিটে। আমি, আমার ওয়াইফ আর দুই মেয়ে (ছয় এবং দুই বছর বয়স)। আমরা শ্যামলী এন আর বিজনেস ক্লাসএ কলাবাগান থেকে যাত্রা করি। ভাড়া নিয়েছিল 1500 টাকা করে। আমরা তিনটা সিট নিয়েছিলাম। রাত 2:30 এ কুমিল্লার জমজম নামক হোটেলে যাত্রা বিরতি দেয়। সকাল 7 টার দিকে বান্দরবন এর কয়েক কিলোমিটার আগে একটি যৌথবাহিনীর চেকপোস্টএ সবার NID চেক করে। সকাল 7:30 এর দিকে আমাদেরকে হোটেল হলিডেইন এর সামনে নামিয়ে দেয়। আমরা আগেই বাসের সুপারভাইজারকে বলে রেখেছিলাম কারন আমরা যে রিসর্টএ থাকব, তাদেরই অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হলো হলিডে ইন। রিসর্ট কতৃপক্ষ এখান থেকেই পিকআপ সুবিধা প্রদান করেছেন। আমরা হলিডে রিসর্টএর রেষ্টুরেন্টে গিয়ে ফ্রেস হই। এদের রেষ্টুরেন্ট 8:30 থেকে অর্ডার নেয় তাই আমরা বসে বসে রেস্ট নিই। এই রেষ্টুরেন্টে নাস্তা শেষে আমরা হলিডে ইন রিসর্টের বিপরীতে অবস্থিত মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রে ঘুরতে যাই। এখানে এন্ট্রী ফি 50 টাকা প্রতিজন। বাচ্চাদের কোন এন্ট্রি ফি লাগে নাই। পর্যটন কেন্দ্রটি বেশ সাজানোগোছানো এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। এখানে দুটি ঝুলন্ত ব্রীজ, একটি গন্ডোলা (50 টাকা পে করতে হবে), কয়েকটি পশুর খাঁচা আছে। আর বসার বেশ কিছু সুন্দর ব্যবস্থা। আমারা মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র ঘুরাঘুরি শেষে Eco Sence রিসর্টএ ওদের গাড়িতে যাত্রা করি।
Eco Sence রিসর্টটি নীলাচল রোডে। এ রোডে ঢুকতেই একটি পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের চেকপোস্টএ 100 টাকা টোল দিতে হইল। কিছুক্ষণ পাহাড়ি উচু-নীচু পথবেয়ে আমরা পৌঁছে যাই Eco Sence রিসর্টে। রিসর্টটি তখনও under construction ষ্টেজে ছিল। রিসিপসনটি রাস্তা থেকে বেশ নীচুতে। মেইন রাস্তা থেকে রিসিপসান পর্যন্ত রাস্তাটি খুবই ঢালু তাই একটু ভয়ও লাগছিল। রিসিপসন কাম রেষ্টুরেন্টের বেলকুনিটি অসাধারন। বেলকুনিতে দাড়িয়ে চারিদকের সবুজ পাহাড় এবং দূরের বান্দরবন শহর দেখতে অন্যরকম এক অনূভুতি টের পাচ্ছিলাম। দূরের ঊচু উচু পাহাড়ের গায়ে মেঘের আলিঙ্গন কিংবা দূরে বৃষ্টির ধারা এক অপার্থিব সৌন্দর্যের স্বাদ অবলোকনের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। আমরা বেশকিছুক্ষন বেলকনিতে বসে এর পরে আমাদের রুমে যাই। রুমগুলো পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে বানানো। একটি থেকে অন্যটির যথেষ্ট দুরত্ব মেইনটেইন করা হয়েছে। যারা প্রিয়জনের সাথে একান্তে সময় কাটাতে চান তাদের জন্য এক অন্যন্য স্থান। রুমগুলো প্রধানত বাঁশের এবং কাঠের তৈরী। ফ্লোরে শীতল পাটি ব্যবহার করা। বাথরুমটিও মোটামুটি বড় ও পরিস্কার এবং প্রয়োজনীয় এমিনিটিস ছিল। রুমের বেলকনিটি ছিল সবচাইতে অসাধারণ। বেলকনিটি ছিল খুবই সুন্দর ও প্রাইভেসি সম্পন্ন। একান্ত সময় কাটানোর মত এত প্রাইভেসি ও প্রাকৃতিক বেলকনি আমরা আগে কখনও পাই নাই। রিসর্টটি সম্পূর্ন ইকো পরিবেশ বজায় রাখতে পোকামাকড় নিরোধক কোন কেমিক্যাল ব্যবহার করে নাই। ফলে চারদিক থেকে শুধুই বিভিন্ন প্রাকৃতিক শব্দের আধিক্য। একসময় তো একটি বিশাল তক্ষক কে সাপ ভেবে ভয়ই পেয়ে গেছিলাম। এখানে দুপুর বা রাতের খাবারের জন্য আগেই অর্ডার করতে হয়। আমরা চেকইনের সময়ই দুপুরের খাবার অর্ডার করেছিলাম। খাবারের দাম একটু বেশি হইলেও মান এবং স্বাদ অনেক ভালো ছিল।
বিকালের দিকে আমরা নিলাচলে যাই সূর্যাস্ত উপভোগ করতে। নিলাচলে এন্ট্রি ফি পঞ্চাশ টাকা জনপ্রতি। জায়গাটি বেশ বিস্তৃত ও অনেক সুন্দর। সূন্দর্য উপভোগের জন্য এখানে বেশ কয়েকটি ভিউ পয়েন্ট আছে। এখানে কিছু ভাসমান দোকান আছে। আমরা একটি দোকান থেকে পাহাড়ী আনারস ও পেঁপের স্বাদ নেই এরপর রিসর্টে ফিরে আসি। রাতে রিসর্টে এক অপার্থিব পরিবেশ তৈরি হয়। খুবই নিরব পরিবেশে শুধুই ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ। দূরে বান্দরবন শহরের আলোকিত রুপ। আমরা নিস্তব্ধতার মাঝে রেস্টুরেন্টের বারান্দায় বসে পাহাড়ের নির্মল বাতাস ও নিস্তব্ধতা উপভোগ করি। এরপর রাতের খাবার খেয়ে লোহার সিড়ি বেয়ে নেমে আসি ঘরে। বাচ্চারা বসে পড়ে টিভি নিয়ে আর আমরা বেলকুনির বেঞ্চিতে বসে স্মৃতি রোমন্থনে।
পরদিন সকাল আটটায় যাই রেস্টুরেন্টে কম্পিমেন্টরি নাস্তা করতে। নাস্তার মেনু ও পরিবেশনা ছিল চমকপ্রদ। মেনুতে ছিল পরাটা, ডিম, লাচ্ছা, গরুর নলী, ডাল, সবজী, ফলের জুস ও কয়েক পদের মৌসুমী ফল। এরপর আমরা রুমে ফিরে এসে পরের গন্তব্যস্থল যাত্রার প্রস্তুতি গ্রহন করি।
রিসর্ট থেকেই একটি চাঁদের গাড়ী ঠিক করে দিয়েছিল চারহাজার টাকায়। আমরা গাড়ীতে রওনা হই সাইরু হিল রিসর্ট এর উদ্দেশ্যে। বান্দরবন শহর হয়ে পাহারের আকাবাঁকা-উচুনিচু পথধরে আমাদের গাড়ী ছুটে চলে রিসর্ট পাণে। কিছুক্ষন পর গাড়ী দাড়ায় একটি পুলিশ চেকপোস্টে গাড়ি এন্ট্রির জন্য। আবার শুরু হয় যাত্রা; আহঃ সে-কি সৌন্দর্য পথে, পুরাই মন্ত্রমুগ্ধ ছিলাম আমরা। প্রায় দুইঘন্টা পর পৌছাই ওয়াইজংশন আর্মি চেকপোস্টে। এখানে আমাদের NID চেক করে যাওয়ার অনুমোদন দেয়। এখানে একটি রোড থানচির দিকে এবং অন্যটি নীলগিরির দিকে গেছে। ওয়াইজংশন হতে নীলগিরি রোডে অল্পপরেই সাইরু হিল রিসর্টে পৌছে যাই। রিসর্টের গেটটিতেই নান্দনিকতার ছোঁয়া। গেট থেকে কয়েকটি সিড়ি বেয়ে উপরেই উঠতেই চোখে পড়ল সবুজ ও আর্কিটেকচারাল নান্দনিকতায় পূর্ন একটি খোলা জায়গা। এরপর রিসিপশান ও রেস্তোরা। রিসিপশানটি অনেক বড় ও নান্দনিক। রিসিপশনের পাশেই রেস্তেরাঁ। রেস্তোরাঁর বাইরেও বসার জায়গা আছে যা সবচাইতে আকর্ষণীয় ও অনবদ্য। পূরা রেস্তেরাঁ ও এরপাশ মাঝেমধ্যেই মেঘের মধ্যে ঢেকে যায়। সে এক অতুলনীয় পরিবেশ!
আমরা চেকইন করে আমাদের রুমে চলে যাই। আমরা প্রিমিয়াম কাপল রুম বুক করেছিলাম। ভাড়া নিয়েছিল আঠারো হাজার টাকা।রুমগুলোতে যাওয়ার দুটি পথ। একটি কাঠের সিড়ি পথ অন্যটি কংক্রিটের ঢালু পথ। আমরা কাঠের সিড়ি বেয়ে উঠে যাই। রুমগুলো বেশ উপরে। রিসর্ট এর বেলবয় বাগীকারে করে রুমে লাগেজ পৌছে দেয়। রুমগুলো বেশ বড়, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও রুচিশীল আসবাব ও পেইন্ট দিয়ে সাজানো। একটু পরেই শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। আমরা রুমের বেলকুনি ও সামনের ঘাসঢাকা লনে ছাতা নিয়ে বৃষ্টি উপভোগ করি। মেঘের মধ্যেই বৃষ্টি সে এক অনন্য উপভোগ।
দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ রেস্ট নিই এরপর চলে যাই এই রিসর্টের মূল আকর্ষন সুইমিংপুলে। রিসর্টের সবচেয়ে উঁচু জায়গাই তথা পাহাড়ের চূড়াতে পুলটির অবস্থান। মাঝারি সাইজের পুলটি বেশ ভালভাবেই মেইনটেইন করা হয়। সে সময় পুলটিতে বেশ লোকজন ছিল। পুলের একপাশে একটি বিল্ডিং আছে। নীচতলায় চেইনজিং রুম। উপরতলায় একটি রেস্টুরেন্ট; কনফারেন্স রুম ও ইনডোর গেমের ব্যবস্থা। আমরা একটু টেবিল টেনিস খেলে এরপর সুইমিংপুলে নামি। পুলের একপাশে জাকুজির ব্যবস্থা আছে। পুল থেকে চারদিকে যে ভিউ পাওয়া যায় তা এককথায় অনন্য। এই সুইমিংপুলের সৌন্দর্যের সাথে একমাত্র কক্সবাজারের সায়মনেরই তুলনা করা যায়। কিন্তু পাহাড়ের চূড়া থেকে এমন সৌন্দর্য উপভোগের সূযোগ আর দ্বিতীয়টি আছে বলে আমার জানা নেই। এরপর আমরা রিসর্টএর কিছু অংশ ঘুরে দেখি। সন্ধ্যায় রেস্টুরেন্টের খোলা অংশে বসে নাস্তা করি। এখানে বাচ্চাদের কিছু খেলনা ছিল। বাচ্চারা খেলায় মেতে ওঠে আর আমরা বসে বসে মেঘের আনাগোনা উপভোগ করি। রাতের খাবার খেয়ে আমরা রুমে ব্যাক করি।
পরদিন খুব সকালবেলায় প্রায় সকাল ছয়টায় আমরা রওনা হই নীলগিরির উদেশ্যে। আগের দিন যে গাড়ি আমাদেরকে রিসর্টে দিয়ে গেছিলেন উনাকেই আমরা বুক করে রেখেছিলাম। খুব সকাল হওয়ায় বলতে গেলে রাস্তা ছিল একদম ফাঁকা। মাঝে মাঝে কিছু পাহাড়ী মানুষকে কাজে যেতে দেখলাম। পাহাড়ের গা ঘেসে রাস্তাটি এমন ভাবে তৈরি যার একপাশে উচু পাহাড় অন্য পাশে খাড়া নীচু। আর অন্যপাশটি ছিল সাদা মেঘের ভেলায় পরিপূর্ণ। সে এক স্বর্গীয় দৃশ্য। খুব সকালে বের না হলে এমন দৃশ্য দেখা দূস্কর কারন সূর্য উঠার দরূন এই মেঘের ভেলাগুলো আস্তে আস্তে উপরের দিকে উঠে যায়। তখন শুধু নীচের সবুজ পাহাড়ের চূড়াগুলো দেখা যায় যা আমরা ফিরার সময় বুঝতে পারি। চলতে চলতে একসময় আমরা চুংদার ক্যাফে নামক এক রেস্টুরেন্টের সামনে থামি। তখনও রেস্টুরেন্টটি খোলা হয় নাই। রেস্টুরেন্টটি রাস্তার পাশে খাড়া গিরিখাতের উপর তৈরী। এক ভয়ংকর সৌন্দর্য উপভোগের স্থান। এরপর আমরা আর কোথাও না দাঁড়িয়ে সরাসরি চলে যাই নীলগিরিতে। তখনও বাইরের কোন পর্যটক আসে নাই। আমরা টিকেট কেটে প্রবেশ করি।
এখানে বেশ কিছু ভিউ পয়েন্ট আছে। একপাশে আর্মিদের ক্যাম্প, মাঝে একটি রিসর্ট ও অন্যপাশে হেলিপ্যাড। জায়গাটি খুবই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও সাজানো গোছানো। এই পাহাড়ের চূড়া থেকে আমরা দুইপাশে দুই ধরনের প্রকৃতি প্রত্যক্ষ করি। বঙ্গোপসাগরের দিকের অংশে কোন মেঘ ছিল না শুধুই সবুজ পাহাড়ের চূড়া। অন্যপাশে তথা মায়ানমারের দিকে সাদা শুভ্র মেঘের সাগর। আমরা পূরো জায়গাটি ঘুরে ও বিভিন্ন পয়েন্টে একটু করে বসে জায়গাটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকি। এখানে আর্মি পরিচালিত একটি রেস্টুরেন্ট ও দুইটি সুভেন্যিয়রের দোকান আছে। রিসর্ট এর অভ্যন্তরেও একটি রেস্টুরেন্ট আছে যা শুধুমাত্র রিসর্টএর গেস্টদের জন্য সংরক্ষিত। আর রিসর্ট-এর আশপাশে কিছু এলাকা সংরক্ষিত যেখানে বাইরের পর্যটকদের প্রবেশ নিষেধ। এই রিসর্ট এ থাকতে হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোন অফিসারের রেফারেন্স লাগে।
যাই হোক আমরা কিছু সময় সেখানে উপভোগ করে আবার রওনা হই। আসার পথে আমরা ডবল হান্ড পয়েন্ট কিছু সময়ের জন্য নামি। এখানে হাতেরমত করে দুটি ভিউ পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। নীচে ততক্ষণ মেঘের পরিমাণ অনেক কমে এসেছিল। হালকা মেঘ ও সবুজ পাহাড় দেখতে খুবই অনন্য লেগেছিল। এরপর আমরা চিম্বুক ভিউ পয়েন্ট হয়ে রিসর্টে চলে আসি।
রিসর্টে আমরা কমপ্লিমেন্টারি ব্রেকফাস্ট করি। রিসর্টটির নিরিবিলি পরিবেশ আমাদের খুব মুগ্ধ করে। তাই রিসিপশনে কথা বলে আমরা আরও একদিন থাকা এক্সটেনশান করি। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাদের রুমের ক্যাটাগরি চেঞ্জ করে ডিলাক্স রুমে যেতে হয়। আর এই রুমের ভাড়া ছিল ষোল হাজার টাকা। রুম চেঞ্জ করে আমরা আবার চলে যাই সুইমিং পুলে দাপাদাপি করতে। এরপর লাঞ্চ করে কিছুক্ষণ রেস্ট নিই। বিকেলে আমরা পূরা রিসর্টটি ঘুরে দেখি। সামনের লন থেকে বেশ নীচুতে এদের চারটি বড় কটেজ আছে গ্রুপ ট্রাভেলারদের জন্য। এখানে যেতে বেশ কিছু সিড়ি পাড়ি দিতে হয়। আর জায়গাটাও বেশ নির্জন ও একটু ভূতুড়ে ভূতুড়ে ভাব আছে। আর সাঙ্গু ভিউ কটেজের থেকে একটু উপরের দিকে একটি সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন পাহাড় চূড়া আছে যেখানে সুন্দর বসার ব্যবস্থা আছে। এখানে যেতে একটি ছোট্ট হাংগিং ব্রীজ পার হতে হয়। প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানোর এক বিচিত্র জায়গা। এই রিসর্টের সবচেয়ে মজার ব্যপার হলো ক্ষনেক্ষনে এর পরিবেশের বৈচিত্র্যতা। এই মেঘের আচ্ছাদনে পুরো রিসর্ট তো একটু পরেই পূরা ফকফকে পরিবেশ। অথবা একটু পরই একপশলা বৃষ্টি। একজায়গায় বসে প্রকৃতির এই খেলা উপভোগের মনে হয় আর দ্বিতীয়টি দেখিনি। পূরোটাই মন্ত্রমুগ্ধ ছিলাম এখানে। সন্ধ্যায় হালকা নাস্তা সেরে রিসর্টের রাত্রীকালিন পরিবেশ উপভোগ করি। কি এক শান্ত ও মায়াবী পরিবেশ। রাতের ডিনার শেষ করে রুমে ফিরি। এই রিসর্টের খাবারের দাম বেশ চড়া। প্রতি বেলা আমাদের মিনিমাম দেড় হাজার থেকে সর্বচ্চ তিন হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
পরদিন সকালের নাস্তা সেরে রওনা হই বান্দরবন শহরের উদ্দেশ্যে। আসার সময় অধিকাংশ সময় রাস্তা ছিল মেঘে ঢাকা তাই কোন কিছুই ঠিকমত দেখাযাচ্ছিল না। একটু ভয়ও কাজ করছিল। এসআর পরিবহনের বাসে করে সাড়ে এগারো টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হই। আর পিছনে ফেলে আসি স্মৃতিরোমন্থনের এক অনবদ্য গল্প।