22/06/2025
অনেক অনেক বছর আগে, পৃথিবীতে একজন অসাধারণ শাসক ছিলেন। তার নাম ছিল # জুলকার্নাইন। তিনি ছিলেন শক্তিশালী, জ্ঞানী এবং সবচেয়ে বড় কথা—ন্যায়পরায়ণ। মানুষ যখন বিপদে পড়ত, তখন তিনি পাশে দাঁড়াতেন। তার রাজ্য ছিল অনেক বড়, কিন্তু তার মন ছিল আরও বড়।
---
🌅 অধ্যায় ১: সূর্য যেখানে ডুবে
একদিন জুলকার্নাইন বেরিয়ে পড়লেন এক বিশেষ যাত্রায়। তিনি দেখতে চাইলেন, পৃথিবীর কোন প্রান্তে সূর্য ডুবে যায়। দিনের পর দিন চলার পর তিনি পৌঁছালেন এমন এক জায়গায়, যেখানে মনে হয় সূর্য কাদার পানিতে ডুবে যাচ্ছে।
সেখানে তিনি এক জাতিকে পেলেন। তারা ছিল বর্বর, আইন-কানুন জানত না। কিন্তু তাদের চোখে ছিল ভয়ের ছাপ।
তারা বলল,
— “হে মহান শাসক, আমাদের শিক্ষা দাও। আমরা ভুলে গেছি কীভাবে ভালো মানুষ হতে হয়।”
জুলকার্নাইন তাদের বললেন,
— “তোমরা যারা অন্যায় করো, তাদের শাস্তি দেওয়া হবে। আর যারা ভালো পথে চলবে, তাদের আমি নিরাপত্তা দিবো।”
এরপর তিনি সেই জাতির মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করলেন। মানুষ খুশি হল। আর তিনি আবার রওনা হলেন।
---
🌄 অধ্যায় ২: পাহাড়ের ফাঁকে ভয়ংকর রহস্য
এবার তিনি গেলেন এক ভয়ংকর জায়গায়। দুই পাহাড়ের মাঝখানে ছিল এক গোপন পথ, আর সেখানে বাস করত এক ভয়ানক গোষ্ঠী—ইয়াজুজ ও মাজুজ।
এই ইয়াজুজ-মাজুজ রাত হলে বেরিয়ে পড়ত, আশেপাশের গ্রামে হামলা করত, লুটত, আগুন লাগাত। গ্রামের মানুষ ছিল খুব ভয়ে।
তারা এসে বলল,
— “জুলকার্নাইন! আমাদের রক্ষা করো! আমরা তোমাকে যা বলবে, তাই দেবো।”
কিন্তু জুলকার্নাইন বললেন,
— “আমি তোমাদের কোনো টাকা-পয়সা চাই না। শুধু সাহায্য করো, আমি তোমাদের জন্য এমন এক প্রাচীর তৈরি করবো, যেটা এই দানবেরা কখনো পেরোতে পারবে না।”
---
🔨 অধ্যায় ৩: প্রাচীর গড়ার গল্প
মানুষ সবাই মিলে কাজ শুরু করল। কেউ লোহা আনল, কেউ পাথর, কেউ তামা গলালো। জুলকার্নাইনের নির্দেশে গড়ে উঠল এক বিশাল লোহার প্রাচীর। এর ওপরে গলিত তামা ঢেলে দেওয়া হলো। প্রাচীরটি এতই শক্তিশালী ছিল যে ইয়াজুজ-মাজুজ যতবার চেষ্টা করল, এক চুলও নড়াতে পারল না।
মানুষ খুশিতে কাঁদল। তারা বলল,
— “তুমি তো ফেরেশতা! তুমি আমাদের রক্ষা করেছো!”
জুলকার্নাইন মাথা নিচু করে বললেন,
— না, আমি একজন মানুষ। আমি যা করেছি, সব আল্লাহর ইচ্ছায়।