21/12/2024
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) বলতে এমন এক ধরনের প্রযুক্তি বোঝায় যা মানুষের মতো চিন্তা করতে, শিখতে এবং সমস্যা সমাধান করতে পারে। এটি কম্পিউটার বা মেশিনে এমনভাবে প্রোগ্রাম করা হয় যাতে তারা অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারে এবং বিভিন্ন জটিল কাজ করতে পারে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের গুরুত্ব :
বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি মানুষের কাজকে সহজ, দ্রুত এবং আরও কার্যকর করে তুলেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটি বিপ্লব ঘটাচ্ছে,
যেমনঃ ১. স্বাস্থ্যসেবা: রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা পরিকল্পনা এবং স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণে AI ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, AI-চালিত ডায়াগনস্টিক সিস্টেম ক্যান্সার এবং অন্যান্য জটিল রোগ দ্রুত শনাক্ত করতে পারে।
২. শিক্ষা: শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে শেখানোর জন্য AI ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি শিক্ষকদের শেখানোর পদ্ধতি উন্নত করতে সহায়তা করছে।
৩. কৃষি: ফসলের রোগ নির্ণয়, সঠিক সময়ে পানি সরবরাহ এবং সার ব্যবস্থাপনায় AI কৃষকদের সাহায্য করছে।
৪. পরিবহন: স্বয়ংক্রিয় গাড়ি (Self-driving cars) এবং স্মার্ট ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম AI-এর উদাহরণ।
৫. ব্যবসা ও শিল্প: বিভিন্ন সংস্থা তাদের কাজের প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় করতে এবং গ্রাহক পরিষেবায় উন্নতি আনতে AI ব্যবহার করছে।
৬. দৈনন্দিন জীবন: মোবাইল ফোনের ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্ট (যেমন, সিরি, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট), ফেস রিকগনিশন প্রযুক্তি এবং অনলাইন কেনাকাটার সুপারিশমূলক সিস্টেম—সবই AI-এর অংশ।
সাধারণ মানুষের জীবনে AI-এর প্রভাবঃ
AI আমাদের জীবনকে সহজ এবং আরও স্মার্ট করে তুলেছে। এটি দৈনন্দিন কাজে সময় বাঁচাচ্ছে, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিচ্ছে। তবে, এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আরও উন্নত ও ন্যায়সঙ্গত ভবিষ্যৎ তৈরি করা সম্ভব।