29/01/2025
ঘুটঘুটে অন্ধকার ,ও কনকনে শীতের রাতে ঝিরি পথ ধরে পাহাড়ি জঙ্গলের ভেতরে ,পথ ভুলে একটা অজানা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে হেঁটে চলেছি আমরা তিন ভাই ,আমি লিজন ভাই, আর নিবিড়।তাও আবার সঙ্গে মাছ নিয়ে কি সাংঘাতিক ব্যাপার বলুনতো মশাই! অনেকটা পথ পাড়ি দিলাম তাঁর আগে অবশ্য খেলা শুরু হয়ে গেছে যদিও আমরা প্রথমে ঘাবড়ে গেল ও পরে পাত্তা দেই নাই কিছুটা আহত এবং ক্লান্ত হয়েছি ততক্ষণে!কিন্তু মহান রব আমাদের কাছে মানুষরূপী একটা ফেরেশতা পাঠিয়েছিলেন মুহূর্তেই ,(আলহামদুলিল্লাহ) নাম তার মাসুম বয়স এগারো কি বারো বছরের বালক !সন্ধ্যা বেলা পরিবারের জন্য বাজার করে ফিরতেছে গন্তব্য,সোনাইছড়ির গভীর জঙ্গলে তাদের নীড়। একা একটা বাচ্চা ছেলে অন্ধকার রাতে কাঁধে ১০/১১কেজির বাজারের বস্তা নিয়ে হেঁটে চলেছে একবার ভাবুন তো গভীরভাবে, আপনি আমি হলে কি করতাম। যাইহোক মাসুম কে পেয়ে ওর সঙ্গে পরিচিত হলাম সবাই, ও খুবি খুশি হলো আমাদের পেয়ে। তারপর,ওর পিছনে আমরা তিনজন সহ সর্বমোট চারজন হলাম!, মাসুমের আন্তরিকতায়, মুগ্ধ হয়ে ওর সঙ্গে গল্প ও আনন্দ করতে করতে চলেছি আমরা ,অনেকটা রাস্তা, ঝিরি পথ ,পেরিয়ে উঁচু উঁচু পাহাড়ি জঙ্গল ধরে হেঁটে চলেছি মাঝে মধ্যে অবশ্য দু পাঁচ মিনিট করে বিশ্রাম নিয়েছি,অন্যরকম একটা থমথমে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলেছি ,ক্লান্ত হয়েছি বারবার প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে ১১°/১২°ছিল তখন তাপমাত্রা, আমাদের অর্ধেক শরীর তখন ভিজে! সে রাতে মাসুমের ভালোবাসাই আমাদেরকে শক্তি জুগিয়েছে! অবশেষে, রাতটুকু কাটাবার জন্য গন্তব্য নির্বাচন করতে সক্ষম হলাম, (জয়হোক🙏) মাসুমদের বাড়ীর কাছে কাম্পিং করবো,তার আগ পর্যন্ত ক্যাম্পিং করবো কই, এসব নিয়ে কনফিউজড ছিলাম বেশ।যাইহোক ততক্ষণে মোটামুটি স্বস্তিতে সবাই ,তো গন্তব্য পৌঁছানোর পরের অংশটুকু ব্লগ আকারে তুলে ধরবার চেষ্টা করেছি! সবটা বলেদিলে তো মজাটা উপভোগ করবেন কি করে মশাই,তাই এই ভিডিও টা সকলে দেখবেন আশা রাখছি !আর হ্যাঁ, কারো এমন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা থাকলে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না।
সোনাইছড়ি অফ ট্রেইল ব্লগ নং:০১
সময়কাল: আটাইসে, ডিসেম্বর, দুহাজার চব্বিশ।
© TanVir KhAn