01/05/2025
এক ছোট শহরে করিম নামের এক যুবক কর্পোরেট অফিসে নাইট শিফটে ঝাড়ুদারের কাজ করত। কেউ তাকে খেয়াল করত না। যখন অন্যরা পদবী আর প্রমোশনের পেছনে ছুটছিল, করিম চুপচাপ সব পরিষ্কার করত, ভাঙা চেয়ার মেরামত করত, অফিসটা জীবন্ত রাখত। তার গায়ে স্যুট ছিল না, কিন্তু সে অফিসটা ধরে রেখেছিল।
একদিন হঠাৎ করে ফায়ার অ্যালার্ম বেজে উঠল। সবাই আতঙ্কিত। কিন্তু করিম ছিল শান্ত। সে অনেক আগেই খেয়াল করেছিল তারের সমস্যা, আর ব্যাকআপ ব্যবস্থা ঠিক করে রেখেছিল। সেদিন রাতেই সে শত শত মানুষের জীবন বাঁচিয়েছিল—ডিগ্রি দিয়ে না, বরং দায়িত্ববোধ আর ভালোবাসা দিয়ে।
তবুও, কোনো পত্রিকায় তার নাম ছাপা হয়নি। কোনো পদকও আসেনি। কিন্তু কিছু বদলে গিয়েছিল—মানুষ তাকে সম্মান করতে শুরু করেছিল, “ধন্যবাদ” বলেছিল। প্রথমবারের মতো, করিম নিজেকে দৃশ্যমান অনুভব করেছিল।
শ্রমিক দিবস কোনো ছুটি নয়। এটা একটা মনে করিয়ে দেওয়ার দিন—প্রতিটা মসৃণ সিস্টেম, প্রতিটা পরিষ্কার জায়গা, প্রতিটা পণ্যের পেছনে করিমের মতো কেউ একজন কাজ করে যাচ্ছেন। সেটা ডেলিভারি গাই হোক, ফ্যাক্টরির শ্রমিক, ক্লিনার, কোডার বা কনটেন্ট ক্রিয়েটর—আমরা সবাই এই পৃথিবীটা একসাথে গড়ি।
তাই আজ, শুধু স্ক্রল করে চলে যেও না। শ্রমকে সম্মান করো। পরিশ্রমের কদর করো। “ধন্যবাদ” জোরে বলো। কারণ শ্রম মানে শুধু শারীরিক কষ্ট না—এটা মানসিক, আবেগিক—এটাই অগ্রগতির আসল শক্তি।
অদৃশ্য সব নায়কদের প্রতি শ্রদ্ধা। 💪
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের শুভেচ্ছা।