30/05/2025
🤣🤣🤣বিড়াল এবং একজোড়া জুতা🤣🤣
একদিন সকালবেলা, মিস্টার আহমেদ তার নতুন কেনা চকচকে জুতো জোড়া নিয়ে বেশ আত্মতৃপ্তির সাথে অফিসে যাচ্ছিলেন। জুতোজোড়া তার কাছে ভীষণ পছন্দের ছিলো, কারণ ওগুলো ছিলো আরামদায়ক এবং দেখতেও দারুণ। কিন্তু মিস্টার আহমেদ জানতেন না যে, তার বাড়িতে বসবাসকারী বিড়াল, মিকু, তার জুতোগুলোকে অন্য চোখে দেখতো।
মিকু ছিলো খুব কৌতূহলী একটি বিড়াল। কোনো নতুন জিনিস দেখলেই সে সেটার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তো। সেদিন যখন মিস্টার আহমেদ তার জুতোজোড়া দরজার পাশে রাখলেন, মিকুর চোখ চকচক করে উঠলো। তার মাথায় একটি দুষ্টু বুদ্ধি এলো। সে ভাবলো, “আহ্! কী সুন্দর নতুন খেলনা! এগুলো নিয়ে একটু খেলা করলে মন্দ হয় না।”
মিস্টার আহমেদ যেই না দরজা খুলে বাইরে পা রেখেছেন, মিকু অমনি লাফিয়ে পড়লো তার জুতোজোড়ার ওপর। সে জুতোজোড়ার ওপর চড়তে লাগলো, নেমে দৌড়াতে লাগলো, আবার জুতোর ফিতার সাথে যুদ্ধ শুরু করে দিলো। মিকুর কাছে এই জুতোজোড়া ছিলো তার জীবনের সেরা খেলনা।
মিস্টার আহমেদ অফিসে পৌঁছে দেখলেন, তার জুতোজোড়ার এক অদ্ভুত অবস্থা। জুতোর ফিতা এলোমেলো, জুতোয় ছোট ছোট দাঁতের দাগ, আর কেমন যেন একটা বিড়ালের লোমের গন্ধ! তিনি প্রথমে একটু রেগে গেলেও, পরে যখন বুঝতে পারলেন মিকু এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তখন তার হাসি পেলো। তিনি ভাবলেন, “আমার বিড়ালটা সত্যিই একটা অদ্ভুত প্রাণী। জুতোকেও খেলনা বানিয়ে ফেলেছে!”
সেইদিন থেকে মিস্টার আহমেদ তার জুতোগুলো নিয়ে একটু সাবধান থাকতে শুরু করলেন। কিন্তু মিকু তার এই খেলার অভ্যাস ছাড়েনি। এরপর থেকে মিস্টার আহমেদ যখনই নতুন কিছু কিনতেন, মিকু সেটাকে তার খেলনার তালিকায় যোগ করে ফেলতো। আর মিস্টার আহমেদও প্রতিবার নতুন কোনো জিনিস দেখলে মিকুর কীর্তিকলাপের কথা ভেবে মৃদু হাসতেন।
গল্পটি কেমন লাগলো? আরও কোনো মজার গল্প শুনতে চান?