22/07/2025
একটা ভয়ংকর সত্যি যে, আগুনে পো*"ড়া রোগীর ভবিষ্যৎ অনেকাংশেই নির্ভর করে তার শরীরের কত শতাংশ পুড়েছে তার ওপর।
শরীরে কতটুকু পুড়ল, তা মাপার জন্য ডাক্তাররা “রুল অফ নাইনস” (Rule of Nines) নামে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করেন।
একটা পুরো হাত (সামনে-পেছনে) পুড়ে গেলে ধরা হয় ৯%। একটা পুরো পা (সামনে-পেছনে) পুড়ে গেলে ধরা হয় ১৮%। শরীরের সামনের পুরো অংশ (বুক-পেট) ১৮% এবং পেছনের পুরো পিঠ ১৮%।
কারো যদি শুধু দুই হাত আর সামনের পুরো শরীরটা পুড়ে যায়, তাহলেই তার প্রায় (৯+৯+১৮) = ৩৬% পোড়া হয়ে যায়।
কারো শরীর যদি ৪০% এর বেশি পুড়ে যায় তবে তার মৃ*"ত্যু"ঝুঁকি ৯০% বেড়ে যায়। কারণ, পোড়া শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও দরকারি তরল বেরিয়ে গিয়ে শরীর পানিশূন্য (dehydration) হয়ে পড়ে। এরপরই হয় ইনফেকশন। এরপর মারাত্মক জীবাণু রক্তে মিশে গিয়ে সেপসিস (sepsis) ঘটায়।
আগুনে পোড়ার রোগীরা প্রথম কয়েকদিন কথা বলে, হাঁটাচলাও করতে পারে, দেখে মনে হয় সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু কিছুদিন যেতেই পানিশূন্যতা আর ইনফেকশনের কাছে শরীর হার মানতে শুরু করে। চিকিৎসা দিয়ে হয়তো ৪-৫ দিন বা তার কিছু বেশি সময় লড়াইটা চালানো যায়, কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না।
যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সামনের দিনগুলোতে প্রতিদিনের খবরে ২-৩ জন করে মৃ"ত্যু"র সংবাদ আসাটা এক অবধারিত ও হৃদয়বিদারক বাস্তবতায় পরিণত হতে পারে।
মহান আল্লাহ প্রতিটি পরিবারকে তাঁর কুদরতি রহমত দিয়ে এই ভয়াবহ শোক সামলানোর শক্তি দিন। তাদের পরিবারকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
Written By: AH Abubakkar Siddique