Neel Avenue

Neel Avenue প্রতিটা মানুষের দুইটা গল্প থাকে,
একটা সে সবাইকে শুনায়, আরেকটা সে লুকায়'

26/10/2025

late night watching movie❤️

22/10/2025

অসম্ভব সুন্দর একটি জায়গা ❤️


বউকে বলে গেলে কাজে যাচ্ছ।কিন্তু গেলে তার বান্ধবীর বাসায়, যার স্বামী একজন সৈনিক।সৈনিকটি ঐসময়েই বাড়ি ফিরলো, তুমি লুকিয়ে পড়...
20/10/2025

বউকে বলে গেলে কাজে যাচ্ছ।

কিন্তু গেলে তার বান্ধবীর বাসায়, যার স্বামী একজন সৈনিক।

সৈনিকটি ঐসময়েই বাড়ি ফিরলো, তুমি লুকিয়ে পড়লে খাটের তলায়।

সৈনিক তার স্ত্রীকে বাজারে পাঠালো প্রিয় খাবার কিনে আনতে।

তখনও তুমি খাটের তলায়।

তুমি শুনতে পেলে, সৈনিক ফোনে তাড়াতাড়ি আসতে বলছে কোনো এক মহিলাকে।

মহিলা এলো।

বাজারে না-গিয়ে তখনই ফিরে এলো সৈনিকের বউ, জামায় ময়লা লেগেছে, পাল্টাবে।

দরজা খোলার আগে, লোকটা মহিলাটিকে খাটের তলায় লুকিয়ে পড়তে বললো।

তখনও তুমি খাটের তলায়।

মহিলাও ঢুকে পড়লো, খাটের তলায়।

দেখলে সে তোমার বউ।

দু'জনে দু'জনের দিকে তাকিয়ে রইলে খরগোশের মতো।

একে, স্কুলে আমরা বলতাম— পুণর্মিলনী।
সামাজিক ক্ষেত্রে এর নাম— গেট্টুগেদার।
অঙ্কে একে আমরা বলি— সিমাল্টেনিয়াস ইকুয়েশন।
সাইকোলজিতে এই পরিস্থিতিকে বলা হয়— সবকিছু ফিরে আসে।
কেমিস্ট্রিতে এটি— চেইন রিয়েকশান।
ইকোনোমিক্সে একে বলে— ডিমান্ড এণ্ড সাপ্লাই।
ফিজিক্সে এরই নাম— নিউক্লিয়ার ফিউশান।
©

18/10/2025

শূন্য পকেটে পুরুষ বেওয়ারিশ লাশের মতোন।

Send a message to learn more

কটি সুখী পরিবারের ভিত্তি গড়ে ওঠে স্বামী-স্ত্রীর সুন্দর সম্পর্কের ওপর। সংসার নামক ছোট্ট জগৎটিকে টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে বড় ভূ...
17/10/2025

কটি সুখী পরিবারের ভিত্তি গড়ে ওঠে স্বামী-স্ত্রীর সুন্দর সম্পর্কের ওপর। সংসার নামক ছোট্ট জগৎটিকে টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে স্ত্রীর মন, ব্যবহার ও ভাষা। একজন স্ত্রীর নরম মন, কোমল ব্যবহার এবং মধুর ভাষা শুধু সংসার নয়, আশেপাশের প্রতিটি মানুষকেও শান্তিময় করে তোলে।

💖 নরম মন — ভালোবাসার প্রতীক

স্ত্রীর নরম মন কোনো দুর্বলতা নয়, বরং সেটাই তার সবচেয়ে বড় শক্তি। নরম মন মানে সহানুভূতি, মমতা আর ক্ষমাশীলতার প্রতিফলন। এমন মন থাকা স্ত্রী সহজেই বুঝে নিতে পারে স্বামীর ক্লান্ত মুখের পেছনের কষ্ট, সন্তানের অদেখা ব্যথা, আর শ্বশুরবাড়ির সবার মানসিক চাহিদা।
একজন স্ত্রী যদি তার কোমল হৃদয় দিয়ে সংসারকে আগলে রাখে, তবে সেই সংসারে ঝড় আসলেও শান্তি ভেঙে যায় না।

🌼 কোমল ব্যবহার — সম্পর্কের সৌন্দর্য

সংসারের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো স্ত্রীর ব্যবহার। কঠিন আচরণ বা রাগী স্বভাব যেমন সম্পর্ককে দুর্বল করে, তেমনি কোমল ব্যবহার সম্পর্ককে করে দৃঢ় ও স্থায়ী। কোমল ব্যবহার মানে বিনয়ী থাকা, অন্যের প্রতি সম্মান দেখানো, রাগের সময়ও ধৈর্য ধরা এবং প্রতিটি বাক্যে ভালোবাসা জড়ানো।
একজন কোমল ব্যবহারের নারী স্বামীকে করে আরও শ্রদ্ধাশীল, সন্তানকে করে অনুগত, আর পুরো পরিবারকে করে একত্রিত।

🍯 মধুর ভাষা — সংসারের প্রাণবায়ু

ভাষা মানুষের চরিত্রের প্রতিচ্ছবি। স্ত্রী যদি কথা বলেন মধুরভাবে, তবে ক্লান্ত স্বামীর মনও আনন্দে ভরে যায়। অল্প কিছু স্নেহমিশ্রিত বাক্য রাগ গলিয়ে দেয়, দুঃখ দূর করে, আর সংসারে এনে দেয় প্রাণের উচ্ছ্বাস।
কখনও কখনও একটি মিষ্টি কথা হাজার উপদেশের চেয়েও বেশি প্রভাব ফেলে — কারণ মধুর ভাষা হৃদয়ের দরজা খুলে দেয়।

📊 গবেষণার আলোকে:
🔹 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Gottman Institute-এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, দাম্পত্য জীবনে মধুর ভাষা ও ইতিবাচক আচরণ ৮৭% ক্ষেত্রে সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী করে।
🔹 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক জরিপে প্রকাশ— স্ত্রীর কোমল ব্যবহার ও ধৈর্যশীল মনোভাব থাকা পরিবারে কলহের মাত্রা ৬৫% কম।

🌺 শেষ কথা —
স্ত্রীর মন যদি হয় নরম, ব্যবহার যদি হয় কোমল, আর ভাষা যদি হয় মধুর — তবে সেই সংসার হবে জান্নাতের মতো।
একটি সুখী সংসার গড়ে ওঠে ভালোবাসা, সম্মান ও সহনশীলতার ভিত্তিতে।
💬 তাই প্রতিটি নারীর কাছে অনুরোধ —
তুমি তোমার কোমল মন, স্নিগ্ধ ব্যবহার, আর মধুর ভাষা দিয়েই সংসারকে সাজাও; কারণ তোমার হাসিই পারে একটা ক্লান্ত পরিবারের প্রাণ ফিরিয়ে দিতে।

“ভালো স্ত্রী সে নয়, যে প্রতিদিন নিখুঁত;
ভালো স্ত্রী সে, যে প্রতিদিন একটু একটু করে ভালো হতে চায়।”

তারা কখনো বন্ধুর হওয়ার কথা ছিল না…কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা হলো এমন বন্ধু — “মৃত্যু পর্যন্ত একসাথে” 🥺💔এক পথকুকুর ব্রুনো আর...
16/10/2025

তারা কখনো বন্ধুর হওয়ার কথা ছিল না…
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা হলো এমন বন্ধু — “মৃত্যু পর্যন্ত একসাথে” 🥺💔

এক পথকুকুর ব্রুনো আর এক রাস্তার বেড়াল মিমি — দুজনেই ছিল একা, ভুলে যাওয়া এক পৃথিবীতে।
এক বৃষ্টির রাতে ব্রুনো দেখে মিমিকে কাঁপতে, পাশে শুয়ে উষ্ণতা দেয়।
সেই রাত থেকেই শুরু তাদের বন্ধুত্ব।
একসাথে খাবার ভাগ করে খেত, একে অপরকে পাহারা দিত, আর একে অপরের একাকীত্ব ভরিয়ে দিত নিঃস্বার্থ ভালোবাসায়।

কিন্তু একদিন ব্রুনো অসুস্থ হয়ে পড়ে…
মিমি তার পাশে থাকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত, আর যখন ব্রুনো চিরনিদ্রায় যায় — মিমি আর দূরে যায়নি।
সে থেকেছে তার গায়ে মাথা রেখে, যতক্ষণ না তার নিজের নিঃশ্বাসও থেমে যায়…

মানুষ তাদের একসাথে কবর দেয়।
একটি কুকুর ও একটি বেড়াল — যাদের কিছুই ছিল না, তবুও তারা একে অপরকে সবকিছু দিয়েছিল।
ভালোবাসা বোঝাতে শব্দ লাগে না ❤️🐾

আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ফোরাত নদী অবশ্যই শুকিয়ে যাবে আর সেখান থেকে স্বর্নের পাহাড় বের হবে।সেই স্বর্ন নিয়ে এমন যু*দ্ধ...
15/10/2025

আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ফোরাত নদী অবশ্যই শুকিয়ে যাবে আর সেখান থেকে স্বর্নের পাহাড় বের হবে।

সেই স্বর্ন নিয়ে এমন যু*দ্ধ হবে যে প্রতি ১০০ জনে ৯৯ জন মা*রা যাবে আর প্রত্যেকেই ভাববে, হয়তো আমিই বেঁচে যাবো।
আবার রাসূল (সাঃ) এটাও বলেছেন, যেন আমরা সেখানে কেউ ভুলেও না যাই।

বর্তমানে ২লাখ ১০ হাজার ২২ ক্যারেট স্বর্নের ভরি!
এত দাম হওয়া স্বত্তেও মানুষ কিন্তু নিজ টাকা খরচ করেও স্বর্ন কিনেই যাচ্ছে তো কিনেই যাচ্ছে।

দাম বাড়লে যেনো স্বর্ন কেনার হিড়িক একটু বেশিই পরে যায়। তাহলে, সেই যে স্বর্নের পাহাড় বের হবে সেটার জন্য মানুষের কি অবস্থা হবে একটু চিন্তা করেন তো....

হাদিস টা আছে মুসলিম শরীফের হাদিস নং ২৮৯৪ ও ২৮৯৫, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ২২০ ও ২২১ নাম্বারে।
(সংগৃহিত)

সুন্দরবনের বাঘেরা দৈনিক ৫-১৫ কেজি হরিনের মাংস খায়, তবে সুযোগ পেলে বড় পুরুষ বাঘ ৩০ কেজি মাংসও খেতে পারে। যার বর্তমান বা...
14/10/2025

সুন্দরবনের বাঘেরা দৈনিক ৫-১৫ কেজি হরিনের মাংস খায়, তবে সুযোগ পেলে বড় পুরুষ বাঘ ৩০ কেজি মাংসও খেতে পারে। যার বর্তমান বাজার দর আনুমানিক (২০-৩০) হাজার টাকা। যদি গরু বা মহিষের মাংস খায় তারও বর্তমান বাজার দর (১৫-২০) হাজার টাকা।

অথচ বাঘের কোন ইনকাম নাই, কোনো চিন্তাও নাই।

কিন্তু আপনি ভাত খান ২৫০-৩৫০ গ্রাম!

তার জন্য আপনি চুরি করেন, সুদ খান, ঘুষ খান, অন্যের হক নষ্ট করেন। আরো কত কী...

আপনার একাউন্টে অনেক টাকা,আপনার শরীরে অনেক রোগ,আপনার সন্তানেরা কথা শুনে না, আপনার অনেক দুশ্চিন্তা।

বাঘ চিন্তা করে আজকে কি খাবো!

আপনি চিন্তা করেন আগামি ২০ বছর কি খাবো….?

আপনার কি মনে হয়,,, কথায় কি ভুল আছে??
সৃষ্টিকর্তা আমাদের কে সঠিক জ্ঞান দান করুক।

আমেন।

07/10/2025

🤣🤣🤣🤣

06/10/2025

Late night outing...



ডিভোর্সের পর ছোট বোনটা দশ মাসের বাচ্চা নিয়ে আমাদের বাসায় এসে উঠলো।  ভাবলাম বোনের বাচ্চাকে নিয়ে আমার স্ত্রী লুনার সময়টা এ...
06/10/2025

ডিভোর্সের পর ছোট বোনটা দশ মাসের বাচ্চা নিয়ে আমাদের বাসায় এসে উঠলো। ভাবলাম বোনের বাচ্চাকে নিয়ে আমার স্ত্রী লুনার সময়টা এবার হয়তো ভালোই কাটবে। বোনটাও আমার এ বাড়িতে একটু শান্তিতে থাকতে পারবে। আমাদের বিয়ের সাত বছরেও কোনো বাচ্চাকাচ্চা হলো না। বাবা বললেন আমি বৃদ্ধ হয়েছি তো কি হয়েছে? তোদের চার ভাইবোনকে খাইয়ে পরিয়ে এতো বড় করতে পারলে শেষ বয়সে আমার ছোট মেয়ের দায়িত্বও নিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

মাস তিনেক পর থেকেই আমার স্ত্রী লুনার সাথে বিথীর ঝামেলা হতে লাগলো। এ নিয়ে মা প্রায়ই আমার কাছে বিচার দিতেন। আমি লুনাকে বুঝানোর চেষ্টা করতাম যে আজ বিথীর অবস্থা যদি তোমার হতো তাহলে কি করতে?

একদিন অফিস থেকে এসে দেখি বিথী বারান্দায় বসে কাঁদছে। আমার স্ত্রী লুনা বললো, খালি তো বলো আমি খারাপ। তাইলে আজ দুপুরে মা কেন বিথীকে বকলো "বিয়ে দিয়েছি স্বামীর ঘর করার জন্য। নিজের খাসলতের কারণে স্বামীর ভাত খেতে না পেরে ভাই-ভাবীর ঘাড়ে এসে উঠেছিস। তুই মরতে পারিসনা?"

একটা মেয়ে তার এই চরম দুঃসময়ে নিজের মাকেই সবচেয়ে কাছে চায়, পাশে চায়। কিন্তু আমার বোনের বেলায় হলো সম্পূর্ণ উল্টা। মা কেনো জানি দিনকে দিন ওকে আর সহ্যই করতে পারছিলো না। রোজই কিছু না কিছু নিয়ে ঝামেলা হতো। আমার স্ত্রী লুনা মনেমনে তাতে বেশ খুশিই হতো। আমি হলাম মাঝখানে দিশাহারা। ছোট বোনের এমন বিপদে মাকে সামলাবো নাকি নিজের স্ত্রীকে সামলাবো!? কিন্তু মার আচরণে আমি দিনকে দিন অবাক হচ্ছি। নিজের মেয়ের এমন বিপদে মার এই আচরণ একেবারেই অপ্রত্যাশিত।

বিথী রোজ রাতে বারান্দায় বসেবসে কাঁদে। আমার চার ভাইবোনের মধ্যে এই অসহায় বোনটা ছিল পরিবারের সবার চোখের মণি।তার প্রতি পরিবারের সবার আদরযত্ন ছিল অন্যরকম। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস আজ সেই সবচেয়ে বেশি অবহেলিত লাঞ্চিত।

আব্বার বয়স হয়েছে। বেশির ভাগ সময় অসুস্থ থাকেন। শুধু মুখটাই যা শক্ত আছে। আমার অন্য দুই ভাই বোন নিজের মতো করে আলাদা থাকে। আব্বা মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এখন অবসরে আছেন। পেনশনের টাকা আর আমার চাকরির যৎসামান্য বেতনে কোনরকম দিন চলে যায়। মধ্যবিত্ত পরিবারের একটাই সমস্যা। তা হলো টাকা। তার উপর এখন নতুন যোগ হয়েছে ছোট বোনটা। প্রতি মাসে তার এবং তার বাচ্চার পেছনে বাড়তি অনেকগুলা টাকা খরচা হয়। মাঝেমাঝে আমি বেদিশা হয়ে যাই খরচ সামলাতে সামলাতে। তবুও যতই অভাবে থাকি নিজের মায়ের পেটের বোনকে ফেলে তো আর দেয়া যায়না। এব্যাপারটা মাও বুঝতে চায়না আমার স্ত্রীও বুঝতে চায়না।

ইদানিং বিথী আমার সামনে আসতে চায়না। সবসময় নিজেকে লুকিয়ে রাখে। আমি বুঝতে পারি ওর মধ্যে হয়তো অপরাধ বোধ কাজ করে। বর্তমান উর্ধগতির বাজারে টানাপোড়েনের সংসারে হুট করে দুজন মানুষের বাড়তি খরচ নেহাতই কম না।

মাস শেষে আজ বেতন পেলাম। বিথীকে ডেকে জিগ্যেস করলাম "কিরে কই থাকিস সারাদিন? সবসময় এমন মন মরা হয়ে থাকিস কেন? মা আর লুনা ছাদে গেছে শুকনো কাপড় আনতে। আমি বাজারে যাব কিছু লাগবে তোদের? লাগলে বল মা আর তোর ভাবি জানতে পারবেনা। "

বোনটার মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। চেহারার কি হাল হয়েছে। চিন্তায় রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে চোখ দুটো কঠোরের ভেতর ঢুকে গেছে। চাঁদমাখা মুখটার কি শ্রী হয়েছে! দুধে আলতা গায়ের রঙ ছিল বোনটার। অথচ ডিভোর্সের এই কয়েক মাসে যেন পাতিলের তলায় রুপ নিয়েছে।

ও ঝরঝরে কেঁদে উঠলো। বললো ভাইয়া মেয়েটার জ্বর দুদিন থেকে। বুকের দুধ ছাড়া বাড়তি কোনো খাবার মুখে দিতে পারিনা ভয়ে। মা ফ্রিজ লক করে রাখে। ভাবিও নিষেধ করেছে ওনাকে না বলে যেন কোনো কিছু না ধরি। তার কান্না ভরা কন্ঠে কথাগুলো শুনে আমার চোখ ভিজে এলো। তাকে শান্তনা দিয়ে বললাম, চিন্তা করিস না বোন। মানুষের খারাপ সময় আজীবন থাকেনা। রাত যত গভীর হয় ভোর তত নিকটে আসে। আমি বাজার থেকে তোর মেয়ের জন্য কিছু খাবারদাবার নিয়ে আসবো। তুই তোর খাটের নিচে লুকিয়ে রাখিস কেমন।

বাবার ভুলের খেসারত আজ বোনটাকে দিতে হচ্ছে। কত করে নিষেধ করেছি কোনো বিদেশি ছেলের কাছে বিথীকে বিয়ে দিও না। মার অতি চালাকি আর লোভের কারণে বাবা আমাদের ভাইবোনের কথা অগ্রাহ্য করে ছেলের কোনো খোঁজ খবর না নিয়েই তড়িঘড়ি করে বিয়ে দিয়ে দিল। বিয়ের কিছুদিন পর জানতে পারি ছেলের কোনো লেখাপড়া নেই তারউপর নেশা করে। সৌদি থেকে দেশে এসে কয়দিন রমরমা চললেও এখন ধারকর্জ করে নেশা করে। বিথী কিছু বললে গায়ে হাত তোলে। বিথীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। টাকার বিনিময়ে বাজে বন্ধুদের বাড়িতে এনে বিথীকে বলে তাদের মনোরঞ্জন করে খুশি করতে। বিথী রাজি না হওয়াতে তাকে মারপিট করে ডিভোর্স দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।

গত মাসে একটা বড় কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম। আজ এইচ আর থেকে ফোন করে কনফার্ম করলো। আগামী মাসে জয়েনিং। সেলারি বর্তমানের দিগুণ। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে প্রায় দিগুণ সেলারির জবটা বিথী আর বিথীর মেয়ের জন্যই হয়েছে। নাহয় গত বার বছরে আমি মনে হয় বারটা ইন্টারভিউ ফেস করেছি। অনেক ভালো ভালো ইন্টারভিউ দিয়েও টেন পার্সেন্ট বাড়তি সেলারিতে কোথায়ও ঢুকতে পারলাম না। অথচ এখন কোনো রকম প্রস্তুতি ছাড়াই হঠাৎ ইন্টারভিউ ফেস করে চাকরি হয়ে গেল, তাও আবার দিগুণ সেলারিতে! অবিশ্বাস্য ব্যাপার। অসহায় বোন ভাগ্নীর রিজিক হয়তো আল্লাহ আমার মাধ্যমেই পাঠাচ্ছেন। যাক, বাসায় গিয়ে বিথীকে বলবো আর যেন চিন্তা না করে। আগামী মাস থেকে হাতখরচ বাবত ওকে কিছু টাকা দেব যেন ওদের মা মেয়ের প্রয়োজন মিটাতে পারে। সে সাথে একটা সেলাই মেশিন কিনে দিব। বিয়ের আগে যুব উন্নয়ন থেকে ওর সেলাইয়ের উপর প্রশিক্ষণ নেওয়া ছিল। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসেই যেন অনলাইনে একটা ছোটখাটো বিজনেস দাড় করাতে পারে। আমার বিশ্বাস বিথী বেশ খুশি হবে আমার পরিকল্পনা শুনে এবং একজন সফল উদ্দোক্তাও হতে পারবে নিজের শ্রম আর বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে।

এসব ভাবতে ভাবতে বাসের হেল্পার যখন আজমপুর আজমপুর বলে ডাকতে লাগলো তখন ভাবনায় আমার ছেদ পড়লো। বাস থেকে নেমে বনফুল থেকে দুই কেজি মিষ্টি নিলাম। ছোট বেলায় বিথীর মিষ্টি খুব ফেবারিট ছিল। তাছাড়া নতুন জবের সুসংবাদটা খালি মুখে দেওয়া বেমানান হবে। সারাদিনের ক্লান্তি আর ঘর্মাক্ত শরীর নিয়ে যখন বাসার সামনে আসি দেখি চেনা অচেনা অনেক মানুষের ভিড়। প্রতিবেশী কয়েকজনকে বলতে শুনলাম, এইতো মেয়ের ভাই এসেছে। বাসার সামনে লোকে লোকারণ্য। ভিড় ঢেলে ড্রয়িং রুমে প্রবেশ করতেই সবার কান্নাকাটির শব্দ কানে আসলো। বিথীর রুমের খোলা দরজায় চোখ পড়তেই দেখি বোন আমার ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে ঝুলে আছে। আমাকে দেখে বাবা হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলে উঠলেন খোকা তুই এসেছিস? এদিকে আমার যে সব শেষ হয়ে গেল রে বাবা। আমার সোনার ময়না পাখি উড়াল দিয়ে চলে গেল অচিন দেশে। দুপুরে বিথী মাছের পেটির পিসে কাঁটা কম সেজন্য পেটি খুটে ভাত খাইয়েছিল মেয়েকে। এ নিয়ে তোর মা আর বৌমা বিথীকে কথা শুনিয়েছে। তাতেই পাখি আমার অভিমান করে আত্নহত্যা করে ফেললো।

আমি যেন একমুহূর্তে পাথর মূর্তি হয়ে গেলাম। মাকে দেখলাম মেঝেতে বসে খাটে মাথা ঠেকিয়ে বিলাপ করে কাঁদতে। আমার স্ত্রী লুনা, বিথীর মেয়েকে কোলে নিয়ে কাঁদছে। আমার বাকি দুই ভাইবোন খবর পেয়ে বিকালেই চলে এসেছে। আমার ফোনের চার্জ শেষ হয়ে অফ হয়ে গিয়েছিল তাই কেউ কিছু জানাতে পারেনি। লোকজন বলাবলি করছে, থানায় খবর দেওয়া হয়েছে।

আমি তাকিয়ে দেখি বোন আমার ছাতক পাখির মতো আমার দিকেই যেন চোখ মেলে চেয়ে আছে। হাতের চুড়িতে ভাঁজ করা একটা চিরকুট পাওয়া গেল। তাতে ছোট বড় কষ্টের অক্ষরে লেখা- "ভাইয়া তুই এসেছিস? বিশ্বাস কর ভাইয়া এতো সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে এতো তাড়াতাড়ি মোটেও যেতে ইচ্ছা করছিল না আমার। কিন্তু কি করবো? উপায় যে আমার আর ছিল না। পৃথিবীটা আমার জন্য জাহান্নাম হয়ে গেছে। আমার মেয়েটাকে তুই দেখে রাখিস ভাইয়া। পারলে আমাকে ক্ষমা করিস। আমি তোদের বোঝা ছিলাম। তাই বোঝাটাকে নামিয়ে মাটিচাপা দিয়ে দিস চিরদিনের জন্য। মা আর ভাবিকে বলিস ভালো থাকতে শান্তিতে থাকতে। আমি আর জালাতন করবো না কোনদিন।
সবাইকে নিয়ে খুব বেশি ভালো থাকিস ভাইয়া।"



দরজায় কলিং বেল বাজল।ময়লা নিতে এসেছে ভেবে দরজা খুললাম।কিন্তু পরের দৃশ্যটা আমাকে থমকে দিলো।ছেলেটার গায়ে আমার পুরনো টি-শার্...
06/10/2025

দরজায় কলিং বেল বাজল।
ময়লা নিতে এসেছে ভেবে দরজা খুললাম।
কিন্তু পরের দৃশ্যটা আমাকে থমকে দিলো।

ছেলেটার গায়ে আমার পুরনো টি-শার্টটা।
হ্যাঁ, ঠিক এইটা—যেটা আমি গতকালই ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিয়েছিলাম।
বসে ছিল অনেকদিন, পুরনো হয়ে গিয়েছিল—ভাবছিলাম, আর দরকার নেই।

জিজ্ঞেস করলাম,
"এই জামাটা কোথায় পেলে তুমি?"
সে মাথা নিচু করে হাসিমুখে বলল,
"ভাই, ময়লার ভ্যানে পাইছি। বাসায় নিয়া ধুয়ে পরছি আজকে।"

সেই মুহূর্তে নিজেকে জঘন্য, অসহায়, আর লজ্জিত লাগছিল।
আমি যে জামাটা ফেলেছিলাম "অপ্রয়োজনীয়" মনে করে—
কারও কাছে সেটা হয়তো "সেরা পোশাক" হয়ে উঠতে পারে, কে জানে!

আমার চোখ ভিজে গেলো।
বুক ফেটে কান্না চলে আসলো—সামনেই কেঁদে ফেললাম নির্লজ্জের মতো।

এই আমি—ভালো একটা বাইক নেই বলে কয়েকদিন ধরে আফসোসে মন খারাপ!
আর ওই ছেলেটা—আমার ছেঁড়া-পুরনো জামায় পরিপাটি হয়ে দাঁড়িয়ে, গর্বিত।

আমি বললাম, “তুমি দাঁড়াও এখানে।”
রুমে গিয়ে আলমারি খুললাম।
যেসব ভালো জামাকাপড় পড়ে থাকতো, সেগুলোর অনেকগুলো এনে ওকে দিয়ে দিলাম।

মন চাইছিল—যদি পারতাম, সব দিয়ে দিতাম।
ওর মুখের সেই হাসিটুকুই আমার আজকের সবচেয়ে দামি প্রাপ্তি। ❤️

#মানবতা_বাঁচুক
#ছোট_ঘটনা_বড়_শিক্ষা
#ভালোবাসা_থাকুক_মনে

Address

Dhaka
1205

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Neel Avenue posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share