
11/07/2025
বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ষড়যন্ত্রের এক নতুন রূপ নিয়েছে—নকল ও এডিট করা অডিও। যেমন সদ্য ঘটে যাওয়া ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কণ্ঠ নকল করে ২৬ কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে। একইভাবে শেখ হাসিনার নামে একের পর এক ভুয়া অডিও ছড়ানো হচ্ছে, যা আর এখন নতুন কিছু নয়।
এই ধরনের ভুয়া অডিও ছড়িয়ে রাজনৈতিক নেতাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র সক্রিয় হয়েছে। তারা ভুয়া কণ্ঠ, বিকৃত তথ্য এবং সাংবাদিকতার অপব্যবহার করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। কিন্তু জনগণ এখন অনেক সচেতন। তারা জানে, উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় শেখ হাসিনার ভূমিকা অডিও দিয়ে নয়, বাস্তব কাজের মাধ্যমেই পরিমাপযোগ্য।
আরও উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে—আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম এখন AI দিয়ে ভয়েস তৈরি করে বিদেশি সংবাদমাধ্যমে সরবরাহ করছে, কখনও বিক্রি করে, কখনও বা বিনামূল্যে। বিদেশি মিডিয়ার প্রতি মানুষের কিছুটা আস্থা থাকায়, এসব ভুয়া কনটেন্ট সহজেই বিশ্বাসযোগ্যতা পেয়ে যাচ্ছে।
তাজুল ইসলামের হুমকির মতো বক্তব্য স্পষ্ট করে যে, এই ধরনের নকল ভয়েস ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাওয়া হবে। Gemini Veo-3-এর মতো উন্নত AI টুল ব্যবহারে আজ শুধু অডিও নয়, পূর্ণাঙ্গ ভিডিওও তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে—যা সত্য-মিথ্যার সীমারেখা ঘোলাটে করে ফেলছে।
কিন্তু স্মরণ রাখতে হবে, শেখ হাসিনার মতো একজন পরীক্ষিত নেতা—যিনি পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের অযৌক্তিক অভিযোগ পেরিয়ে স্বনির্ভরতা দেখিয়েছেন, তিনিও জানেন কীভাবে এসব ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে হয়।
মিথ্যা অডিও দিয়ে নেতাকে থামানো যায় না, কারণ জনগণ এখন উন্নয়নের আওয়াজ চেনে।