তাকওয়া

তাকওয়া ‘হায়, আমরা যদি আল্লাহর আনুগত্য করতাম এবং রাসূলের আনুগত্য করতাম’! (সূরা আহযাব:৬৬)

10/10/2025
10/10/2025

যুদ্ধ বিরতির ঘোষণায় গাজাবাসীর আনন্দ

07/10/2025

আমাদের নিজেদের প্রশ্ন করা উচিত—
এই জীবনে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য, ভালো থাকার জন্য আমরা যতটা পরিশ্রম করছি; আল্লাহ কে খুশি করার জন্য, আখিরাতে ভালো থাকার জন্য আমরা কি ততটা পরিশ্রম করছি?
আমরা তো ভালো করেই জানি— এই দুনিয়া তো ক্ষনস্থায়ী, একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আমাদের এই দুনিয়া থেকে বিদায়ও নিতে হবে, এই দুনিয়ার চাকচিক্য, পদমর্যাদা, অর্থ-সম্পদ— সবই মৃ*ত্যুর সঙ্গে এখানেই পড়ে থাকবে। অথচ আখিরাত অনন্তকাল, অসীম, যার শেষ নেই। আমাদের তো করণীয় হওয়া উচিত— দুনিয়ার চেয়েও আখিরাতকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া, আখিরাতের জন্য পরিশ্রম করা, সর্বোপরি আল্লাহ কে খুশি করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা।

কিন্তু আজ আমরা উল্টো পথে চলছি— দুনিয়ার সাময়িক মোহে আমরা এতটাই ডুবে আছি যে, আখিরাতের চিন্তা আমাদের মন থেকে মুছে গেছে। দুনিয়ার কাজে আমরা এতোটাই ব্যস্ত যে, সালাতের জন্য সময় পাই না, দ্বীনি কাজের জন্য সময় পাই না। এমনকি উপার্জনে হালাল-হারামেরও তোয়াক্কা করি না।
আমরা পরিকল্পনা করি দুনিয়ার সাফল্যের জন্য, কিন্তু ভুলে যাই কিয়ামতের হিসাবের দিনকে। সত্যিকারের সফল তো সেই নয়, যে দুনিয়ায় বড় কিছু অর্জন করেছে; বরং সফল সেই, যে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে আখিরাতে জান্নাত লাভ করেছে!

লেখা : মাহমুদুল হাছান

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন অবমাননার দায়ে অপূর্ব পালের বিরুদ্ধে যে ধারায় FIR করা হয়েছে সেটি ২৯৫-এ। (৫ই অক্টোবর, ২০২৫;জাগোনিউ...
06/10/2025

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন অবমাননার দায়ে অপূর্ব পালের বিরুদ্ধে যে ধারায় FIR করা হয়েছে সেটি ২৯৫-এ। (৫ই অক্টোবর, ২০২৫;জাগোনিউজ২৪)

১৯২৭ সালে যোগ করা এই ধারায় মূলত ইচ্ছাকৃতভাবে কারও ধর্মীয় অনুভূতি আহত করা হলে মামলা দায়ের হয়। আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ২ বছরের সাজা, বা জরিমানা অথবা উভয়ই শাস্তি হতে পারে।

এই ধারা প্রমাণে বাধাগ্রস্থ করতে পারে পেনাল কোডের ধারা ৮৪ (Act of a person of unsound mind)। এই ধারা অনুসারে,অপরাধের সময় যদি অভিযুক্ত মানসিকভাবে অসুস্থ থাকে এবং অপরাধের প্রকৃতি, পরিণতি বা নৈতিকতা বুঝতে অক্ষম হয়, তাহলে সে দোষমুক্ত। (Chapter IV & XV, The Penal Code, 1860)

এই জায়গায় NSU-এর কিছু শিক্ষক ও ব্যাক্তি বিশেষ অপূর্ব পালকে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত (যেমন ড্রাগ অ্যাডিকশন এবং অস্বাভাবিক আচরণ) হিসাবে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার করেছে।

তবে এটি প্রমাণে কয়েক পর্যায়ের পরীক্ষাসহ কোর্ট অর্ডার্ড ইভালুয়েশনের জন্যে মেন্টাল স্ট্যাটাস এক্সামিনেশন (MSE) রিপোর্ট প্রয়োজন হবে।

যদি মানসিক বিকারগ্রস্ততা (৮৪-ধারা) প্রমাণিত হয়, তাহলে কোনো শাস্তি হয় না—অভিযুক্তকে দোষমুক্ত মনে করা হয়। ক্রিমিনাল প্রসিডিওর কোড অনুসারে আদালত তাকে নিরাপদ স্থানে (মেন্টাল হাসপাতাল বা কাস্টডি) রাখবে যতক্ষণ না সে সুস্থ হয় এবং সমাজের জন্যে নিরাপদ হয়।

মজার বিষয় হল এটি কোন শাস্তি নয়, বরং দোষীর জন্যে একটি সুরক্ষার নিশ্চিয়তা করা।

তবে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট (CSA), ২০২৩- ধারা ২৮ এ বলা আছে ,(১) যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করিবার বা উস্কানি প্রদানের অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এইরূপ কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যাহা ধর্মীয় অনুভূতি বা ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।

(২) যদি কোনো ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ২(দুই) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে,বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। (সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩)

এবার দেখি অপূর্ব পালের নিজের করা ভিডিওতে কি দেখা গিয়েছে। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় সে স্পষ্টতই আমাদের পবিত্র কুরআনুল কারীমকে নিজ হাতে ছিঁড়ছে, এবং পা দিয়ে মাড়িয়ে (নাউযুবিল্লাহ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ঘুরছে।

একজন মানুষ মাতাল, উদ্ভ্রান্ত, মানসিক বিকারগ্রস্থ হলে সে আর কোন বই আর কোন কিতাব চিনবে না কেবল ইসলাম ধর্মের ধর্মগ্রন্থকেই চিনবে এইটা আবার কিসের বিকার?

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে প্রায় ৪৯,৬০০ বই, রিপোর্ট এবং বাইন্ডেড জার্লাল হার্ড কপিতে আছে। অপূর্ব এমন এক বিকারে আক্রান্ত যে সে ৪৯,৬০০ বইয়ের উপর তার বিকার প্রয়োগ করেনি করেছে মুসলমানদের প্রাণ পবিত্র কুরআনের উপর।

অপূর্বের ধর্মীয় অবমাননার ক্ষেত্রে অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর চাপ বা আন্তর্জাতিক প্রভাবের কারণে এসব মামলায় ধারা ২৯৫-এ প্রায়ই কার্যকর শাস্তি নিশ্চিত করা যায় না।

যদিও ফরেনসিক এনালাইসিস ও ইনভেস্টিগেশন করে ধারা পরিবর্তন সম্ভব তবে শুরুতেই তাকে মানসিক বিকারগ্রস্থ প্রমাণে বিভিন্ন স্টেটমেন্টই প্রমাণ করে এই ঘটনা ধারা ৮৪-র দিকে চলে যাবে।

বস্তুত, এই দেশে ধর্ম বিশেষ করে ইসলাম অবমাননার কোন প্রকার শাস্তিই আজ পর্যন্ত হয়নি।

১৯৭৩ সালে দাউদ হায়দার (কবি) বিরুদ্ধে রাসূল (সাঃ), ইসা (আঃ) ও গৌতম বুদ্ধের অবমাননার দায়ে অভিযোগ উঠলে তাকে হেফাজতে নেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে সে ভারতে পালিয়ে যায়।(Amnesty International Report, ১৯৭৩)

১৯৯৩ সালে তসলিমা নাসরিন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালে ইউরোপে পালিয়ে যায়। ২০০২ সালে আদালত তার অনুপস্থিতিতে মাত্র ১ বছরের কারাদণ্ড রায় দেয়।(Human Rights Watch, “Bangladesh: Persecution of Writers”, ২০০২)

১৯৯৫ সালে হুমায়ুন আজাদ ধর্মীয় অবমাননা করলেও কোন বিচার হয়নি। (মিডিয়া রিপোর্ট, ১৯৯৫; বাংলাদেশ প্রকাশনা ইতিহাস)

২০০৭ সালে আলপিনে কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমান ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন আঁকার দায়ে ২০০৯ সালে তার অনুপস্থিতে মামলার রায়ে মাত্র ২ মাসের কারাদন্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা হয়। (দৈনিক প্রথম আলো, ২০০৯,“কার্টুনিস্টের শাস্তি”)

২০২৫ সালের জানুয়ারীতে প্রান্ত তালুকদার ইসলাম অবমাননা করলেও কোন শাস্তি হয়নি। এছাড়া ২০২৫ সালের আরও কয়েকটি ঘটনার তদন্ত চলমান।

এবং এই রেকর্ডগুলোর মতই এটা প্রতীয়মান হচ্ছে যে অপূর্ব পালের মামলার ভবিষ্যৎ বিভিন্ন মানবতাবাদিদের কথিত বিকারগ্রস্থের প্রতি ভালবাসার আড়ালে চাপা পড়ে যাবে।

06/10/2025

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিআর পর সাতক্ষীরায় #কুরআন_অবমাননা_করেছে আরেক নব্য কুলা*ঙ্গার। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার (পুষ্পকাটি) মুনজুরের ছেলে সালাউদ্দীন সোহাগ কুরআনকে অবমাননা করে আপত্তিকর ভাষায় ফেসবুকে পোস্ট করেছে। যদি যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা না হয়,তাহলে মুসলমানরা থেমে থাকবেনা।
যথাযথ শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না।

06/10/2025

হে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মার্ট মুসলিম প্রজন্ম!

এবার থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোকে মহান কুরআন চর্চার দূর্গে পরিণত কর।
এটা উত্তম প্রতিশোধ হবে।

আমি নর্থসাউথের ট্রাজেডিতে এক নতুন বিজয়ের গন্ধ পাচ্ছি।

কুরআনিক আধ্যাত্মিকতা ও কুরআনিক সমাজবিজ্ঞানের সমন্বিত গুণে সজ্জিত হয়ে
নতুন এক জীবনের দর্শনের আজান তোমাদেরক দিতে হবে।

আমরা তোমাদের ডানে, বামে ও সামনে, পিছনে আছি।
হারুন ইজহার

সেকুলারদের মানসিক রোগ পরীক্ষার জোর দাবি।  North South University
06/10/2025

সেকুলারদের মানসিক রোগ পরীক্ষার জোর দাবি।
North South University

উস্কানিদাতাদের কোন সাজা হইছে?Dr. Muhammad Unus
06/10/2025

উস্কানিদাতাদের কোন সাজা হইছে?
Dr. Muhammad Unus

06/10/2025

আজ পর্যন্ত কি কেউ কখনও শুনেছেন? বিশ্বের কোন মুসলিম খ্রিস্টানদের যীশুকে অবমাননা করেছে? কোন গালি দিয়েছে (নাউজুবিল্লাহ)। বা ব্যাঙ্গাত্বক কোন কার্টুন এঁকেছে? বা তাদের ধর্মগ্রন্থ পুড়িয়েছে?

না। কোন মুসলিমের পক্ষে কখনও এটা সম্ভব নয়। কারন মুসলমানরা তাদের ধর্ম বিশ্বাসের এক অবিচ্ছেদ্য ফরজ অংশ হিসেবেই তাদের অন্যতম নবী হযরত ঈসা (আঃ)-কে গভীরভাবে সম্মান করেন। কারন খ্রিস্টানদের যীশুই হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত ঈসা (আঃ)। ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে নাম ধরে উল্লেখ করা হয়েছে এমন নারী আছেন মাত্র একজন। তিনি হচ্ছেন হযরত মারইয়াম (আঃ)। আর তিনিই হচ্ছেন খ্রিস্টানদের 'ঈশ্বরের মাতা' মেরি।

অন্যদিকে ইহুদিদের ‘মোশি’ হচ্ছেন মুসলিমদের সম্মানীত নবী হযরত মুসা (আঃ)। এভাবে আব্রাহাম হচ্ছেন মুসলিমদের জাতির পিতা হযরত ইবরাহিম (আঃ)। জোসেফ হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত ইউসুফ (আঃ)। জেকব হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত ইয়াকুব (আঃ)। ডেভিড হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত দাউদ (আঃ)। আইজেক হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত ইসহাক (আঃ)। নোয়াহ হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত নুহ (আঃ)। অ্যারন হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত হারুন (আঃ)। সলেমন হচ্ছেন মুসলিমদের নবী হযরত সোলায়মান (আঃ)। মাইকেল হচ্ছেন মুসলিমদের সম্মানিত একজন ফেরেশতা হযরত মীকাঈল (আঃ)।

আল্লাহর প্রেরিত এই মহাসম্মানীত নবীদের উপর বিশ্বাস রাখা মুসলিমদের ঈমানের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তেমনিভাবে আল্লাহর ফেরেশতাদের উপর বিশ্বাস রাখাটাও ঈমানের অংশ। তাই পৃথিবীর যে কোন প্রান্তেই হোক। কোন মুসলিমের পক্ষে খ্রিস্টানদের যীশুকে এবং ইহুদিদের মোশিকে কোনভাবেই অবমাননা, কটুক্তি বা ব্যাঙ্গাত্বক কার্টুন আঁকা একেবারেই অসম্ভব।

অন্যদিকে কেউ কখনও শুনেছেন? বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন মুসলিম ছাত্র গীতা বা মহাভারত পুড়িয়েছে? ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে অন্যান্য সব পৌত্তলিক ধর্মের উপাস্য দেব-দেবীদের গালিগালাজ করতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই মুসলিমদের পক্ষে আল্লাহর এই আদেশ অমান্য করে দেব-দেবীদের গালিগালাজ করাও সম্ভবপর নয়।

অথচ প্রকাশ্যে যখন পবিত্র কোরআনের অবমাননা হলো, মুসলিমদের হৃদয় ভেংগে চুরমার হয়ে যাচ্ছে! তারপরও আমরা চরম ধৈর্য্যের সাথে পরম সহনশীলতার প্রমান দিয়েই যাচ্ছি।

এখন বলুন তো। কারা সত্যিকার অর্থে অন্য ধর্মের প্রতি সহনশীল? কারা সত্যিকার অর্থে অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল? হ্যাঁ, এটাই ইসলাম। এটাই ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য।

05/10/2025

আর কতদিন বলব — “দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই”?
এবার বলব — #ইসলামী_আদালত_চাই, ইসলামী ন্যায়বিচার চাই!”
যেখানে ধনী-গরিব, ক্ষমতাবান-দুর্বল—সবার জন্য একই আইন থাকবে।
সেকুলাররা যদি “ইসলামী ব্যাংক” করতে পারে, তবে আমরা কেন “ইসলামী আদালত” চাইতে পারব না?
#ইসলামী_আদালত_চাই #ন্যায়ের_বিচার #ইসলামী_ন্যায়ব্যবস্থা

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when তাকওয়া posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share