Joygraphy

Joygraphy Photography is my addiction

নাম না জানা কেউ একজন
13/09/2025

নাম না জানা কেউ একজন

Sometimes I feel hopeless, sometimes it feels like a battle within myself. In those moments, the best way to calm my min...
11/09/2025

Sometimes I feel hopeless, sometimes it feels like a battle within myself. In those moments, the best way to calm my mind is to think of something else, to keep myself occupied. And that’s exactly what I did.

14/08/2025

আমার সাথেও এমন হয়েছিল

20/07/2025

এই শহরে সব কিছু বিক্রি হয়!
ক্ষিদের জ্বালায় শরীর বিক্রি হয়!
ঠান্ডা মাথায় আইন বিক্রি হয়!
দায়িত্বের চাপে শিল্প বিক্রি হয়!
অন্যভাতের ভয়ে ধর্ম বিক্রি হয়!
দরদাম করতে জানলে এই শহরে সব কেনা যায়!

16/07/2025

মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ,
আমি এই দেশের একজন সাধারণ নাগরিক। আমার হাতে নেই ক্ষমতা, নেই সশস্ত্র প্রতিরোধ, কিন্তু আছে চোখ, আছে স্মৃতি, আছে বিবেক। আমি সেই চোখ দিয়ে দেখেছি— ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই দেশের তরুণদের কীভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
আমি সেই চেতনায় বড় হয়েছি— যেখানে শেখ মুজিব বলেছিলেন: “মানুষের অধিকার আগে, তারপর রাষ্ট্র।”কিন্তু সেই রাষ্ট্রই যখন নিজ সন্তানদের বিরুদ্ধে লিথাল অস্ত্র তোলে, তখন প্রশ্ন তুলতেই হয়—
এই রাষ্ট্র কার? এই রাষ্ট্র কাদের জন্য?
সম্প্রতি BBC যে ভয়ঙ্কর অডিও রেকর্ড প্রকাশ করেছে, তা যেন রাষ্ট্রীয় খুনের জবানবন্দি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠে বলা—
“আমি বলে দিয়েছি লিথাল ওয়েপন ব্যবহার করতে, তাদের যেখানেই পাবা, সোজা গুলি করবা।”
এই একটি বাক্যে একটি সরকার নিজের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
যারা এখন এই অডিওকে ২০১৬ সালের বলে চালাতে চাইছেন, তারা হয় নির্লজ্জ, না হয় অপরাধে অংশীদার।
BBC তাদের ENF (Electric Network Frequency) বিশ্লেষণ, মেটাডেটা, এবং Earshot-এর মতো অডিও ফরেনসিক সংস্থার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে— এই অডিওটি ২০২৪ সালের ১৮ জুলাইয়ের।
এটি কোনো রাজনৈতিক পক্ষের প্রচারণা নয়—এটি বৈজ্ঞানিক সত্য।
২০২৪ সালের গণহত্যা যেন এক ভয়াবহ সমাপ্তি,
যার শুরু হয়েছিল বহু বছর আগে:
• গুম: একের পর এক বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী, সাংবাদিক, ছাত্র নিখোঁজ হয়ে গেছে। UN Working Group-এর রিপোর্টে এসেছে শতাধিক গুমের অভিযোগ।
• বিচারবহির্ভূত হত্যা: র‍্যাব-পুলিশের নামে চালানো হয়েছে “ক্রসফায়ার”— যেখানে বিচার নয়, হয়েছে সরাসরি মৃত্যুদণ্ড।
• গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভয় দেখিয়ে বহু সাংবাদিককে চুপ করানো হয়েছে।
গণতন্ত্র মানেই যেখানে প্রশ্ন, সেখানে প্রশ্ন করলেই জেল।
• নির্বাচনী প্রহসন: তিনটি জাতীয় নির্বাচন রাতের অন্ধকারে জালিয়াতি ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। জনগণ ভোট দিতে পারেনি, শুধুমাত্র ভোট দেখেছে টিভির পর্দায়।
• নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, কোটা আন্দোলন, শিক্ষক-কর্মচারী আন্দোলন: সবগুলোই দমন করা হয়েছে গুলি, গুম ও হুমকির মাধ্যমে।
মাননীয় প্রধাণ উপদেষ্টা,আপনারা নতুন নেতৃত্বে এসেছেন—আপনারা চাইলে পারেন এই দমনযন্ত্রের ইতিহাসে একটি আলাদা অধ্যায় যুক্ত করতে:
বিচারের অধ্যায়। জবাবদিহির অধ্যায়। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অধ্যায়।
আমাদের দাবি:
১. ২০২৪ সালের জুলাই হত্যাকাণ্ডের পূর্ণ তদন্ত ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণে বিচার।
২. শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ।
৩. বিগত ১৫ বছরের গুম-খুন-নিপীড়নের তালিকা প্রকাশ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পুনর্বাসন।
৪. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
৫. ভবিষ্যতের জন্য একটি গ্যারান্টি—রাষ্ট্র আর কখনো জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে না।
শেষ কথা, এই দেশের মানুষ ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিল পাকিস্তানের দমনযন্ত্রের বিরুদ্ধে, আজ ২০২৪-এর পরে তারা যুদ্ধ করছে নিজেদের রাষ্ট্রীয় দানবের বিরুদ্ধে।
আপনাদের হাতে এখন একটি সুযোগ— আপনারা ইতিহাসের অপরাধীদের ঢেকে রাখবেন, নাকি ইতিহাসের চোখে সাহসী বিচারকের ভূমিকা নেবেন।
আপনাদের জবাবের অপেক্ষায়—কারণ নীরবতা মানেই সহযোগিতা।

ইতি,
একজন বেঁচে থাকা মানুষ,যার আত্মা এখনো মরে যায়নি।

30/06/2025

বাংলাদেশে অনেক মন্ত্রী এসেছেন, গেছেন, কেউ হয়েছেন কোটি টাকার মালিক, কেউ হয়েছেন মামলার আসামি। কিন্তু এক বিশেষ নেতা আছেন যিনি সব জায়গায় একটু করে ছিলেন, আর সব কথায় পুরোটা ছিলেন। তাঁর নাম—ওবায়দুল কাদের। পদে ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, কথায় ছিলেন “নেত্রীর মুখপাত্র”, আর আচরণে ছিলেন “স্বৈরাচারের দর্জি”—যে নেত্রীর মাপে মিথ্যা ও মেকআপ সেলাই করেন।

পদযাত্রার প্রতীকঃ তিনি এমন একজন মন্ত্রী যিনি মাথায় হেলমেট, পায়ে সাদা কেডস পরে রাস্তা পরিদর্শনে যেতেন। তাঁর হাঁটার চিত্র সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতো, যেন দেশ হেঁটে উন্নয়নশীল হচ্ছে।

একবার সাংবাদিক জিজ্ঞেস করলো:
— "সড়কে এত দুর্ঘটনা হচ্ছে কেন?"
তিনি বললেন,
— "এটা বিএনপির ষড়যন্ত্র।"
অর্থাৎ, রাস্তায় গর্ত থাকলে সেটা বিএনপি কোপ দিয়েছে, ব্রিজ ভাঙলে বুঝতে হবে বিএনপি শিকল কেটেছে।

হাসপাতালের রাজনীতি
২০১৯ সালে যখন তিনি অসুস্থ হয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন, তখন দেশবাসী ভাবলো, একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ অবসর নেবেন।
কিন্তু না, তিনি ফিরেই বললেন—

“নেত্রী আমাকে সুযোগ দিলে আমি আবার কাজ করবো।”

এই ‘সুযোগ’ শব্দটাই তাঁর রাজনীতির মূল—
নেত্রী বললে তবেই আমি আছি।
নেত্রী চুল কাটলে উনিও স্টাইল পাল্টান, নেত্রী চোখ টিপলে উনিও মাইক্রোফোনে চোখ মারেন।

সবজান্তা মুখপাত্র
কাদের সাহেব দেশের একমাত্র রাজনীতিবিদ যিনি সকালে বলেন
— “আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী,”
আর বিকালে বলেন
— “আপনারা বেশি কথা বললে অ্যাকশনে যাবো।”

তিনি এতটাই নেত্রী-কেন্দ্রিক, যে একবার সাংবাদিক প্রশ্ন করলো,
— “ভবিষ্যতে দলের নেতৃত্বে কে আসবেন?”
তিনি বললেন,
— “এটা নেত্রীর বিষয়, আমি জানি না।”
অথচ, দল তাঁকে সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছে!
ভাবা যায়? অফিসের চাবি তাঁর কাছে, কিন্তু তিনি জানেন না জানালাটা কবে খুলবে!

উন্নয়ন কাগজে, বাস্তবে কাদা
কাদের সাহেব সব সময় বলেন,

“আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে।”
কিন্তু চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে গেলে দেখা যায়—
গর্তে রিকশা পড়ে যায়,
বাস চালক চায় খোদা,
আর মানুষ ভাবে—
“এই রাস্তার ঠিকাদার কি কাদের ভাইয়ের ভাগ্নে?”

তাঁর ভাষায় উন্নয়ন মানে—

ফ্লাইওভারে নেত্রীর ফটো,

ব্রীজের নাম নেত্রীর নামে,

আর বিলবোর্ডে “দৃষ্টি রাখুন, উন্নয়ন চলছে।”

ব্যক্তিগত জীবনে শুনা যায়, ওবায়দুল কাদের সাহেব একসময় ছিলেন সাংবাদিক।
ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতি করতেন, কিন্তু শেখ হাসিনার নৌকায় উঠার পর
“ডানপন্থী বাহাদুরি” শিখে ফেলেন।

তিনি কবিতা লেখেন, বই বের করেন,
তবে বইয়ের ভেতরে থাকে—
“নেত্রীর চোখ দুটি নদীর মতো”
বা
“আমার নেত্রী, তুমি আমার পথের দিশারী।”
(কে জানে, উনি প্রেমের কবিতা লিখতেন কি না!)

সত্যি কথা বলতে কি, কাদের সাহেবের বক্তৃতা এখন একই স্ক্রিপ্টে ঘোরে—

“বিএনপি ষড়যন্ত্র করছে।”

“নেত্রী উন্নয়ন করছেন।”

“আওয়ামী লীগ জনগণের দল।”
(আর জনগণ কোথায়? তারা খুঁজে ফিরছে চাল, ডাল আর গণতন্ত্র।)

শেষ কথা: ওবায়দুল কাদের সাহেব একজন নেত্রীকেন্দ্রিক রাজনীতির প্রতীক—
যেখানে নিজের চিন্তা গুটিয়ে গেছে, আর নেত্রীর প্রশংসা ফুলে ফেঁপে উঠেছে।

তিনি রাস্তায় হাঁটেন, কিন্তু গণমানুষের পাশে হাঁটেন না।
তিনি বলেন "আমরা ভুল করি না", কিন্তু জনগণ প্রতিদিন তার সেই ভুলে ঠেকে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ওবায়দুল কাদের হয়তো থাকবেন—
“যিনি মন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু সিদ্ধান্তহীন ছিলেন।
যিনি মুখপাত্র ছিলেন, কিন্তু নিজের কোনো কথা ছিল না।
আর যিনি সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, কিন্তু জনগণের নয়, কেবল নেত্রীর।

29/06/2025

আজ যখন জনতা কারো গলায় জুতার মালা পরিয়ে প্রতীকী অপমান করলো, তখন হঠাৎ করে কিছু মহল ‘মব জাস্টিস’ বলে চিৎকার শুরু করেছে। তারা বলছে—এটা নৈতিকতার পতন, আইনের অপমান। কিন্তু প্রশ্ন হলো, গত ৫৩ বছর ধরে রাষ্ট্র, প্রশাসন ও ক্ষমতার করিডোরে বসে যে বিচারবহির্ভূত নিপীড়ন চালানো হয়েছে—সেটা কি মব জাস্টিস নয়? যদি হয়, তাহলে তখন আপনি চুপ ছিলেন কেন?

প্রশাসনিক মব জাস্টিস, আয়না ঘর ও গুম-হত্যার ছায়া গত ১৬ বছর ধরে একের পর এক মানুষ গুম হয়ে গেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়হীন সদস্যরা রাতে তুলে নিয়ে গেছে সাংবাদিক, ছাত্র, বিরোধী নেতাকর্মীকে। অনেকেই ফিরেনি, অনেকে ফিরেছে নিথর দেহ হয়ে। কোথাও বিচার হয়নি। এসব কি রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক মব জাস্টিস নয়? তাহলে আজ শুধু জনতার ঘৃণার বহিঃপ্রকাশকে আপনি কেন ‘মব’ হিসেবে চিহ্নিত করছেন?

অর্থনৈতিক মব, রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়ায় ব্যাংক লুট শেয়ার মার্কেট কেলেঙ্কারি, জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ—এগুলো কি মব নয়? একটি গোটা গোষ্ঠী রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দাঁড়িয়ে জনগণের অর্থ লুট করে নিয়েছে। এতে কোটি কোটি সাধারণ মানুষ নিঃস্ব হয়েছে। তারা কোথায় যাবে? তাদের ক্ষোভ, যন্ত্রণার ভাষা যদি প্রতীকী প্রতিবাদে রূপ নেয়, সেটাকে কি আপনি অন্যায় বলবেন?

রাষ্ট্রীয় মব, গুলি করে হত্যার ইতিহাস, ২০০৬ সালের কানসাট বিদ্যুৎ আন্দোলনে ২৪ জন মানুষকে গুলি করে মারা হলো—তাদের অপরাধ কী ছিল? বিদ্যুৎ চাওয়া? ২০২৪ সালে কোটা আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কলেজের ছাত্র, বেকার যুবকদের বিনা উস্কানিতে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতার নয়, জিজ্ঞাসাবাদ নয়—সরাসরি গুলি। এই সংস্কৃতি কি আইনগত বিচার নয়, বরং খাঁটি মব জাস্টিস নয়?

আইনি ব্যবস্থার অপপ্রয়োগ, বিচারের নামে হয়রানি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিগত দিনে ধ্বংস করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর ইচ্ছার বাইরে কোনো রায় হয়নি বললেই চলে। বিরোধীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, জামিন না দেওয়া, বছরের পর বছর মামলায় ঘুরিয়ে রাখার নামও এক ধরনের 'মব জাস্টিস'। এটি হয় আদালতের গাউন পরে, পেন ধরে—কিন্তু বাস্তবে তা একটি ন্যায়ের মুখোশে নিপীড়নেরই রূপান্তর।

তাহলে প্রশ্ন আসে—আজকের প্রতিক্রিয়াকে কেন ‘মব’ বলছেন? যে দেশে টাকা দিয়ে বিচার কেনা যায়, যেখানে বিচার হয় রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে, সেখানে যদি জনগণ প্রতীকীভাবে নিজের ঘৃণা প্রকাশ করে, তাহলে সেটা কি পুরোপুরি অন্যায়?
একজন নুরুল হুদার গলায় জুতার মালা পড়েছে—হ্যাঁ, তা অশালীন। কিন্তু তিনি কি সৎ ও নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করেছিলেন? জনগণের ভোট রক্ষা না করে ক্ষমতাসীনদের সুবিধা করে দিয়ে, বিচারহীনতা টিকিয়ে রেখে যিনি ভোট নামক অধিকারকে ধ্বংস করেছেন, তাকে ঘৃণা করার অধিকার কি জনগণের নেই?

আমি মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে দাঁড়াবো, যখন আপনি—
বিচার বিভাগকে স্বাধীন করবেন,
আইনকে সমানভাবে প্রয়োগ করবেন,
গুম-খুনের বিচার করবেন,
অর্থনৈতিক দুর্নীতির জবাব দেবেন,
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি বন্ধ করবেন।
তার আগে ‘আইনের শাসন’ বলাটা শুধু সুশীল ভন্ডামি।

সত্যিকার বিচারহীনতা, লুটপাট ও রাষ্ট্রীয় দানবীয়তার বিপরীতে যে ক্ষোভ জমে আছে, তার প্রতিফলনকে যদি আপনি একপাক্ষিকভাবে ‘মব জাস্টিস’ বলে দাগিয়ে দেন—তাহলে আপনি অন্যায়ের শরিক।

এই দেশে জনগণের হাতে ‘মব জাস্টিস’ জন্ম নেয়নি, এটা জন্ম দিয়েছে সেই বিচারহীন শাসকচক্র, যারা আইনের ভেতরে বসে বিচার ধ্বংস করেছে।

28/06/2025

একজন মানুষ মরলে যদি আপনি হাসেন—তাহলে আপনার মনুষ্যত্ব কোথায়?" বিনোদন তারকার মৃত্যুর পর সামাজিক মাধ্যমে তাচ্ছিল্য ও কটূ মন্তব্যের মানসিকতা।

বাংলাদেশে কিংবা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে, যখন কোনো অভিনেত্রী, গায়িকা, মডেল বা বিনোদন জগতের কোনো মানুষ মারা যান—সামাজিক মাধ্যমে কিছু মানুষের প্রতিক্রিয়া হয় চমকে দেওয়ার মতো।

শোক নয়, দোয়া নয়—তারা হাসির ইমোজি দেয়, লেখে “এটাই তো হওয়া উচিত ছিল”, কিংবা মন্তব্য করে “অবশেষে কর্মের ফল পেল”।

একজন মানুষ মারা গেলেও, তাদের মৃত্যু সমবেদনার নয়, বরং তাচ্ছিল্য ও বিদ্বেষের উৎসব হয়ে দাঁড়ায় কিছু ব্যবহারকারীর কাছে।

এই মানসিকতা কি ধর্মীয় শিক্ষা? না। প্রতিটি ধর্ম—বিশেষ করে ইসলাম—মৃত্যুকে সর্বোচ্চ গম্ভীরতা ও সম্মান দিয়ে দেখে।

ইসলাম বলে: “তোমরা মৃতদের গাল দিও না; তারা তাদের কর্মফল পেয়ে গেছে।”
— (সহীহ বুখারী)

হাদীস অনুযায়ী, জানাজা দেখে দাঁড়িয়ে পড়া, মৃতকে সম্মান করা, তার আত্মার শান্তির জন্য দোয়া করা—এগুলোই ঈমানদারদের পরিচয়।

অতএব, কোনো মানুষ মারা গেলে তাকে নিয়ে হাসা, কু-মন্তব্য করা, এমনকি অন্যদের উস্কে দেওয়া—ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মারাত্মক গুনাহ।

তাহলে এর উৎস কোথায়? পারিবারিক শিক্ষার অভাব?
পারিবারিক শিক্ষা এখানে বড় ভূমিকা রাখে।
যে সন্তান ছোট থেকে সহানুভূতি, সহনশীলতা ও ভদ্রতা শেখে না, সে বড় হয়ে কীবোর্ড যোদ্ধা হয়ে ওঠে।

মৃত্যুকে ‘গসিপ’ মনে করা, ‘কনটেন্ট’ বানানো, ‘কমেন্ট শো অফ’ ভাবা—এসব আসে এক ধরনের বিকৃত সামাজিকীকরণ থেকে।

অনেকের মধ্যেই তৈরি হয়েছে এক অদ্ভুত “নৈতিক পুলিশ” সত্তা, যারা মনে করে বিনোদন জগতের মানুষ মানেই পাপী, আর তারা মরলেই “আল্লাহ শাস্তি দিলেন” বলে উল্লাস করতে হবে।

এই আচরণ দিয়ে তারা কী প্রমাণ করতে চায়?
১. ভণ্ড ধর্মীয় শ্রেষ্ঠত্ব: তারা চায় সবাই বুঝুক, তারা ‘ধার্মিক’, ‘শুদ্ধ’ আর অন্যরা ‘বেহায়া’।
২. ভিন্ন জীবনধারার প্রতি হীনমন্যতা ও ঈর্ষা: বিনোদন জগতের মানুষরা যেহেতু খ্যাতি ও ভালোবাসা পায়, সেই ঈর্ষা মৃত্যুর মধ্যেও হাসির মাধ্যমে ‘প্রতিশোধ’ নেয়।
৩. নিজের জীবনের অপূর্ণতা ঢাকার চেষ্টা: অনেকে বাস্তবে খুব অক্ষম, জীবনে সফল নয়, তাই অন্যের মৃত্যুতে নিজেকে বড় মনে করতে চায়।

সমাজে এর ফল কী?
সমাজে সহানুভূতির মৃত্যু ঘটে,
আমরা একে একে সংবেদনশীলতা হারিয়ে ফেলি,
গুজব, ঘৃণা ও বিভক্তির সংস্কৃতি তৈরি হয়,
পরবর্তী প্রজন্ম অশ্রদ্ধা ও নিষ্ঠুরতাকে স্বাভাবিক হিসেবে নেয়।

একজন মানুষ মারা গেলে তার গুনাহ আর আল্লাহর বিচার নিয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার অধিকার আমাদের নেই।

আমরা যদি সত্যিই ধার্মিক হই, যদি সত্যিই সভ্য হই, তবে আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে—"ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন",
না যে–"হাহা, শাস্তি পেল।"

আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত অন্যের মৃত্যু নিয়ে হাসবো, ততক্ষণ আমরা নিজের আত্মাকে মারবো।

শেষ কথা: একজন মানুষ যখন চুপচাপ কবরে চলে যায়, তখন আপনার কমেন্ট নয়—চাই সহানুভূতি, দোয়া, আর একটু নীরবতা।

23/05/2025

থু মারি তোদের এই নপুংসক, ভণ্ড, পচা রাজনীতির মুখে!

তোদের রাজনীতি মানে গলা ফাটিয়ে স্লোগান, আর পেছনে হোটেলে বসে লুটপাটের হিসাব। তোদের দল মানে নেতা বানানোর ফ্যাক্টরি, তোদের নেতা মানে পাপের ওপর দাঁড়ানো দাঁত দেখানো শকুন। তোদের নীতি মানে ‘ক্ষমতা যেভাবেই হোক দখল করো, তারপর যা ইচ্ছা করো।’

তোরা যারা প্রতিদিন দেশের নামে নাটক করিস। তোদের ঘৃণা করি, ঘেন্না করি, কারণ মানুষের কান্না, মানুষের লাশ, মানুষের ক্ষুধা দেখেও তোদের পেট ভরে না। তোদের মুখে "গণতন্ত্র", আর পকেটে "গুমের তালিকা।"

তোদের নেতা মানে চাটুকারের পালঙ্ক-গদিতে ঘুমিয়ে পড়া বেহায়া।

তোদের রাজনীতি মানে রাস্তার মোড়ে চাঁদাবাজি, সরকারি টাকায় বিলাসিতা, আর বিরোধী বললেই পুলিশ দিয়ে পিঠের চামড়া তুলে নেওয়া।

তোরা শিক্ষিত তরুণদের ভয় পাস, কারণ তোরা জানিস সচেতন মানুষের সামনে তোদের নেতার ফুসকুড়ি ফাটবে। তোদের পেছনে পড়ে আছে একটা ধ্বংস হয়ে যাওয়া দেশ, যেখানে বেকার ছেলে ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয়, আর মন্ত্রীর ছেলে বিদেশে বিলাসবহুল হোটেলে ঘুমায়।

থু মারি তোদের ওপর!
এই দেশে আগুন লাগলে পানি আসবে না,
পেট্রল দিয়ে তোদের দলীয় কার্যালয় জ্বালিয়ে দিতে ইচ্ছে করে
যেখানে স্বাধীনতার নামে বসে আছে শকুনদের দল!

লুটে পুটে খা নিজেরা নিজেদের গোশত, রক্ত আর ইজ্জত।
একদিন তোদের গিলতে হবে তোদের নিজেদেরই হাড়।

27/04/2025

বোরকার পর্দা!
কেউ নিজেকে এক্সদের কাছ থেকে লুকাতে ব্যবহার করে আর কেউ আল্লাহু বিধান অনুসারে ব্যবহার করে।

27/04/2025

তার সাথে আমার একটা সুন্দর সম্পর্ক ছিল। সে আমার অনেক জুনিয়র ছিল। তাই সে বলতো সমবয়সীদের সম্পর্ক তার ভালো লাগে না। এরা একজন আরেক জনকে সম্মান দেয় না। আমি বেকুব, তার ছলনায় পড়ে তাকে বিশ্বাস করলাম। কিন্তু দেড় বছর পরে হঠাৎ করে সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিল।

এর পর শুনি তার ক্লাসফ্রেন্ড তাকে বৌ বলে ডাকে! তার স্বপ্ন পরিবর্তন হয়ে গেলো। দুই/তিন মাস পরে সে সম্পর্কও বন্ধ হয়ে যায়।

এর পর এক এনজিও কর্মচারীর সাথে সম্পর্ক। বাড়ি টেকনাফ। ভালই চলছিল তাদের। স্বপ্ন এবার টেকনাফ। মোটর বাইকে ঘরতে যাওয়া। কিন্তু হঠাৎ ছন্দ পতন হয়। বাইক থেকে পরে প্রেম টাই ভেঙ্গে যায়।

এবার আসে কৃষি অধিদপ্তরের মাস্টার রুলের একজন। স্বপ্ন এখন সরকারি চাকরি। কিন্তু সেটাও চলে ফোনের প্রেম। দেখা হবার আগেই কৃষি অফিসার পেয়ে যায় অন্য কাউকে।

আপনারা কি মনে করছেন সে এখানে অফ হয়ে যাবে। না এবার আসে ব্যাংকার! আহা সেই প্রেম। দেখা করতে যেতে হয় ৩০/৪০ কিলোমিটার। কিন্তু এই সম্পর্ক থাকে নাই বেশি দিন।

আমার আগেও তার সম্পর্ক ছিল, আমার পরেও তার সম্পর্ক হয়েছে অনেকের সাথে। তাই ভুল মানুষের সাথে যাবেন না। খুজ নিন, পর্দাটা কি চেহারা ঢাকার জন্য না কি বেগানা পুরুষকে না দেখার জন্য। আমি পর্দার দোষ দিচ্ছি না। তবে জানতে হবে সে কেন পর্দা করে।
ধন্যবাদ

এই আফার ছেলেই নাকি ম দ খেয়ে গাড়ি চালিয়ে বুয়েট এর ছাত্র কে মে / রে ফেলছে। আফা নাকি বলছেন তার ছেলের ছবি যাতে পোস্ট না দেয়া...
23/12/2024

এই আফার ছেলেই নাকি ম দ খেয়ে গাড়ি চালিয়ে বুয়েট এর ছাত্র কে মে / রে ফেলছে। আফা নাকি বলছেন তার ছেলের ছবি যাতে পোস্ট না দেয়া হয় কারণ তার ছেলের ভবিষ্যত আছে....

আফা দেখতে যতটা সুন্দর মন টা ততটাই "কুৎসিত"।

গতকাল রাতে মাতাল অবস্থায় এক ব্রিগেডিয়ারের ছেলে গাড়ি চাপা দিয়ে বুয়েটের এক ছাত্রকে মে*রে ফেলে। এছাড়াও দুইজনের অবস্থা গুরুতর। এদিকে অপরাধীর মা বলেছে, "মামলা করলে করো। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার ছেলের ছবি দিও না। ওর ক্যারিয়ার নষ্ট হবে৷"

আমি দিলাম অপ*রাধীর ছবি। আপনারাও দেন। এরা ক্ষমতার জোরে মামলা থেকে রেহাই পাবে জানে। কিন্তু জনতার কাছে চিহ্নিত থাকুক।

Address

Noorjahan Road, Mohammadpur
Dhaka
1207

Telephone

+8801715283197

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Joygraphy posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Joygraphy:

Share

Category