23/07/2025
“এই দুনিয়াতেই এত শাস্তি ভোগ করছি, আবার শুনি পরকালেও শাস্তি?”
এই প্রশ্নটা অনেকের মনে আসে, মুখে হয়তো কেউ বলে না, কিন্তু বুকের ভেতর ক্ষয়ে ক্ষয়ে বেড়ে ওঠে একধরনের ক্ষোভ, একরাশ ক্লান্তি।
আমরা কী সত্যিই সৃষ্টি হয়েছি কেবল হিসাব দিতে আর শাস্তি পেতে?
জন্মের পর থেকেই যুদ্ধ শুরু — টিকে থাকার যুদ্ধ, ভালো থাকার যুদ্ধ, সম্মান টিকিয়ে রাখার যুদ্ধ।
যেখানে প্রতিদিন কিছু হারাই — কেউ ভালোবাসা, কেউ স্বপ্ন, কেউ পরিবার, কেউ নিজেকে।
এই দুনিয়াতেই যখন মনে হয় নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছি, তখন 'পরকালেও হিসাব হবে' — শুনলেই মনে হয়, তাহলে শান্তিটা কোথায়?
তবে একটু থেমে ভাবো…
এই দুনিয়ায় তো সব অন্যায়ের বিচার হয় না।
নির্দোষরা শাস্তি পায়, অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে বাঁচে।
ভালো মানুষরা নীরবে হারিয়ে যায়, আর মিথ্যাবাদী লোকজনই মুখপাত্র হয়ে দাঁড়ায়।
তাহলে? এই অবিচারের জবাব কোথায়?
সেখানে আসে “পরকাল” — শাস্তির জন্য না, বরং ন্যায়ের জন্য।
যেখানে কেউ নিঃস্ব হয়ে যাওয়া কষ্টগুলোতে পুরস্কৃত হবে।
যেখানে চুপ করে সহ্য করে যাওয়া কান্নাগুলোরও মূল্য থাকবে।
আর আমরা যদি সত্যিই শুধু শাস্তির জন্য সৃষ্টি হতাম — তাহলে কি সৃষ্টি করেই বলা হতো,
“তোমার একটুখানি ভালো কাজও আমি নষ্ট হতে দিব না”?
না, আমরা শুধু শাস্তির জন্য তৈরি হইনি।
আমরা তৈরি হয়েছি সাহসী হবার জন্য, ঘুরে দাঁড়াবার জন্য, নিজের ভিতরের আলো জ্বালাবার জন্য।
এই দুনিয়াটা কষ্টের, ঠিক — কিন্তু এটাই শেষ না।
এটা একটা পথ — আর পথ মানেই ওঠানামা, ক্লান্তি, ঘাম, কান্না।
কিন্তু মনে রেখো — শেষে আলো আছে।
হিসাব থাকবে, কিন্তু দয়াও থাকবে।
আর সে আলোয় পৌঁছানোর জন্যই আমাদের এই যাত্রা।
আজকে মন খারাপ, তাই একটু নিজেকে বোঝালাম আর কী!! 🙂