Raj MN Bokul

Raj MN Bokul হাসি খুশি জীবন সুন্দর আগামীর দিন। এগিয়ে চলুন দুর্বার গতিতে। যেকোন পিছুটান ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকুক।

এক কেজি সয়াবিন থেকে সর্বোচ্চ ২০০ মিলি তেল পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সয়াবিন মেশিনে ঢোকানোর আগে বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশিয়ে...
11/09/2025

এক কেজি সয়াবিন থেকে সর্বোচ্চ ২০০ মিলি তেল পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সয়াবিন মেশিনে ঢোকানোর আগে বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশিয়ে নেওয়া হয়। ফলস্বরূপ এক কেজি সয়াবিন (+কেমিক্যাল) থেকে মোটামুটি এক লিটার তেল পাওয়া যায় (যেটা আসলে ভোজনযোগ্য তেল নয়, কেমিক্যালের মিশ্রণ)। যদি শুধুমাত্র সয়াবিন থেকে তেল বের করে বাজারজাত করা হতো, সেক্ষেত্রে প্রতি লিটারের মূল্য হতো কয়েক হাজার টাকা।

একইভাবে এক লিটার ভেজিটেবল অয়েল তৈরি করতে এক মিনি ট্রাক সবজি দরকার- যার বাজার মূল্য অর্ধ লক্ষাধিক টাকা।

আখের রস থেকে গুড় বানালে যে দাম হয়, বাজারে তার চাইতে সস্তায় সাদা চকচকে (কেমিক্যাল যুক্ত) চিনি পাওয়া যায়!

কিভাবে সম্ভব?!? আসলে ভোগ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে ঘটছে-টা কী?

কনজিউমারিজম আপনাকে সস্তায় সয়াবিন তেল, রিফাইন্ড চিনি, প্রসেসড চাল, রিফাইন্ড আটা ইত্যাদি খাওয়াচ্ছে বটে, কিন্তু হেলথ কেয়ার-এর নামে সুদে-আসলে লাভ তুলে নেওয়া হচ্ছে..!

সয়াবিন তেল, চিনি, পলিশড চাল, ময়দা- এসব খাবার উচ্চমাত্রায় প্রক্রিয়াজাত এবং পুষ্টিহীন। আর এগুলোই বাজারে সবচেয়ে সস্তা ও সহজলভ্য। কারণ এগুলো বিপুল পরিমাণে উৎপাদন, ট্রান্সপোর্টেশন ও স্টোরেজ সহজ। অনেক সময় সরকারি ভর্তুকি থাকে। আবার কর্পোরেট লবিং সরকারের খাদ্য-নীতি প্রভাবিত করে (যেমন রিফাইন্ড ভোজ্যতেলের আমদানি বাধ্যতামূলক করা)।

ভোজন-রসিক মানুষ এগুলো বেশি বেশি খায় এবং দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার, স্থূলতা, হরমোনাল সমস্যা, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয়। আর এখানেই হেলথ কেয়ার ইন্ডাস্ট্রির লাভের খেলা!

আপনি যখন ওইসব সস্তা খাবারের কারণে অসুস্থ হন, তখন আপনাকে যেতে হয় হেলথ কেয়ার সিস্টেমে। সেখান থেকে চিকিৎসা, ওষুধ, ল্যাব টেস্ট, সার্জারি ইত্যাদির মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি মুনাফা উঠে আসে। কেননা সেখানে রোগ নিরাময় না করে উপশমের ব্যবস্থা করা হয় যেন রোগী আজীবন অসুস্থ থাকে। ইনসুলিন, ব্লাড প্রেসার বা কোলেস্টেরল কমানোর ড্রাগসের বেশিরভাগই আজীবন খাওয়ার জন্য নকশাকৃত!

Consumer Capitalism মানুষকে প্রথমে সস্তা খাবারে অভ্যস্ত করে, তারপর তাদের অসুস্থতাকে পুঁজি করে মূল লাভটা উসুল করে নেয়। এজন্যই আপনি বাজারে সয়াবিন তেল, চিনি, পলিশড চাল, ময়দা এসব সস্তায় পান। অন্যদিকে Whole food বা অপ্রক্রিয়াজাত প্রাকৃতিক খাবার, যেমন লাল চাল, ঘানির তেল, দেশি ফলমূল, শাকসবজি, লাল আটা, গুড় ইত্যাদির দাম তুলনামূলক বেশি হয় (এখানে profit Cycle নেই)!

সস্তা, অস্বাস্থ্যকর, উচ্চ প্রক্রিয়াজাত খাদ্য দীর্ঘমেয়াদে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্থূলতা, গ্যাস্ট্রিকের কারণ হয়ে জনস্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়। এরা অসুস্থ হলে ফার্মা কোম্পানিগুলো ওষুধ/চিকিৎসা সরবরাহ করে। ক্রনিক রোগের চিকিৎসা চলে আমৃত্যু। এদেশে শুধু গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের বাজারই বছরে ১২,০০০+ কোটি টাকার!

লোকাল জায়ান্ট গ্রুপগুলো সমান্তরালভাবে ফুড, ফার্মা, হাসপাতালে বিনিয়োগ করেছে..! ফুড ডিভিশন অস্বাস্থ্যকর পণ্য বিক্রি করে রোগ সৃষ্টি করে, ফার্মা ডিভিশন তা ম্যানেজ করে মুনাফা কামায়!

যারা প্রসেসড খাদ্যপণ্য কনজিউম করছে, এরাই কিছুদিন পর কর্পোরেশনগুলোর রোগীর জোগান দেবে।
সাধারণ মানুষ তো আর ফুড-ফার্মা কমপ্লেক্স-এর ইনভেস্টমেন্ট সাইকেল বোঝে না? সস্তার খাদ্যপণ্য গরিব, মধ্যবিত্ত, অসচেতন মানুষদেরকে আকৃষ্ট করে। দীর্ঘমেয়াদে তাঁদের চিকিৎসা ব্যয়ে দারিদ্র্য বাড়ে। শুধুমাত্র চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে গিয়ে বাংলাদেশে প্রত্যেক বছর সাড়ে ৫২ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে যাচ্ছেন..!

সস্তার খাবার আর হাসপাতালের বিল একই কর্পোরেটের হাতে। এই চক্র ভাঙতে ভোক্তা সচেতনতা আর নীতিগত হস্তক্ষেপ একসঙ্গে প্রয়োজন। আপনি সস্তা খাবারের প্রলোভন এড়িয়ে স্থানীয়, ঐতিহ্যবাহী, অপ্রক্রিয়াজাত, পুষ্টিকর খাদ্য বেছে নিন। এটাই হোক হোক কর্পোরেট লাভ চক্রের ফাঁদ ভাঙার প্রথম ধাপ..!

26/08/2025

কতকাল দেখেনি তোমায়,একবার তোমায় দেখি

😁😁
25/08/2025

😁😁

নবী রাসূলগনের আগমনের ধারা
16/08/2025

নবী রাসূলগনের আগমনের ধারা

“যাকে দেখতেছেন, সে একটা স্বনামধন্য অফিসে চাকরি করে। আজকে লাঞ্চের সময় সে এখানে শুয়ে আছে… পাশে জুতা। তার গেটআপ ইত্যাদি দে...
14/08/2025

“যাকে দেখতেছেন, সে একটা স্বনামধন্য অফিসে চাকরি করে। আজকে লাঞ্চের সময় সে এখানে শুয়ে আছে… পাশে জুতা। তার গেটআপ ইত্যাদি দেখে, আমি আর আমার এক বন্ধু তার পাশে গেলাম। বললাম, ‘এভাবে শুয়ে আছেন কেনো?’ বলতেছে, ‘ছোট ভাই, ডিস্টার্ব করো না, ঘুমটা নষ্ট করে ফেলো না!’

তখন বলল, ‘শোনো, আমি বিয়ে করেছি প্রায় তিন বছর হলো। আমার পিতা-মাতা মেনে নেয়নি… কারণ আমার শ্বশুর নেই (আরো অনেক কারণ বলেছে)। আমি এখানে চাকরি করি, আমার ওয়াইফকে নিয়ে এখানেই একটা ভাড়া বাসা নিয়ে থাকি। আলহামদুলিল্লাহ, চার দিন হলো আমাদের একটি কন্যা সন্তান হয়েছে—সি! জারের মাধ্যমে। তিনদিন হসপিটালে থাকতে হয়েছে ওয়াইফকে নিয়ে। আমার কোম্পানি আমাকে তিনদিন ছুটি দিয়েছিল। আজ আমার ছুটি শেষ, তাই অফিসে এসেছি। এই তিনদিন আমি প্রায় ঘুমবিহীন অতিবাহিত করেছি। কারণ আমার ওয়াইফ ও সন্তান দেখার মতো এই শহরে কেউ নেই। আমাকে একাই সব সামলাতে হয়েছে। দেখো ছোট ভাই, এই প্যান্ট আমি চারদিন ধরে পড়ে আছি।’

আমি বললাম, ‘আপনার ওয়াইফ প্রেগ! ন্যান্ট অবস্থায়—আপনার বাবা-মা বা শ্বশুরবাড়ির কেউ তাকে নিতে আসেনি? বা দেখতে আসেনি?’

বললো, ‘আমার শাশুড়ি মারা গেছেন প্রায় এক বছর হলো। আর শ্বশুরবাড়িতেও আমার বউয়ের আপন কেউ নেই যে আসবে। আর আগেই তো বলেছি, আমার পরিবার মেনে নেয়নি। আমি যোগাযোগ করতে চাইলেও তারা আমার সাথে যোগাযোগ করে না। আমাকে বলে, এই বউ বাদ দিতে! না হলে বাড়ির মায়া ছাড়তে হবে। আমার ওয়াইফ আমাকে অনেক ভালোবাসে এবং বিশ্বাস করে। আমিও তাকে ভালোবাসি। আমি ছাড়া ওর আপন কেউ নেই। তাহলে বলো ভাই, এই মেয়েটাকে আমি কীভাবে ছেড়ে দিই? আমি আমার পরিবারকে খুশি রাখতে পারিনি, তাই তারা আমার খোঁজও রাখে না।’

আমি বললাম, ‘লাঞ্চ করছেন?’

সে বললো, ‘সকালে রান্না করে ওয়াইফকে খাইয়ে নিজেও খেয়ে এসেছি।’

আমি বললাম, ‘তাহলে লাঞ্চ টাইমে বাসায় যাননি কেন?’

বললো, ‘এখান থেকে বাসায় যেতে ১৫ মিনিট, আসতে ১৫ মিনিট—টোটাল ৩০ মিনিট। আমার লাঞ্চ টাইম ৪৫ মিনিট। ওয়াইফকে বলে এসেছি, দুপুরে খাবারটা তুমি খেয়ে নিও। আমি বাইরে খেয়ে নেব। আমার চোখ আর কুলাচ্ছে না। অফিসে ঘুমানোর কোনো ব্যবস্থা নেই, তাই এখানে… ৩০ মিনিটের জন্য এলার্ম দিয়ে পকেটে ফোনটা রেখে ঘুমিয়েছিলাম। আর ২০ মিনিট না যেতেই আপনারা ডেকে তুললেন।’

শেষে বলল, ‘শোনো ছোট ভাই, জীবন সহজ না। বাবা-মার কথা মেনে চলো, তাহলে তাদেরকে পাশে পাবে। না হলে নয়।’

আমার প্রশ্ন? অনেক কিছু থেকেই গেলো… আর তার লাঞ্চ টাইম শেষ।
©collected

14/08/2025

নারী কিসে আটকায় জানি না,
পুরুষ একবার হলেও প্যান্টের চেনে আটকায়.!😌

জেনে নিন
12/08/2025

জেনে নিন

ট্রেনে আসার সময় এক লোককে দেখলাম জনে জনে জিজ্ঞেস করছে, জুতা কালি করাবেন? পায়ের দিকে অসহায় চোখে তাকিয়ে খুঁজছেন, কাকে বলা য...
10/08/2025

ট্রেনে আসার সময় এক লোককে দেখলাম জনে জনে জিজ্ঞেস করছে, জুতা কালি করাবেন? পায়ের দিকে অসহায় চোখে তাকিয়ে খুঁজছেন, কাকে বলা যায়, কাকে প্রস্তাব দেওয়া যায়।

কখনো কাস্টমার মিলছে, তখন শুরু হয় দামাদামি। বাইরে যেখানে বেশি দাম নেয়, ট্রেনের ভেতরে সবাই চান কমে করাতে।

শেষে বিশ টাকায় ঠিক হলো দাম। লোকটার মুখে ফুটে উঠলো এক টুকরো হাসি। আনন্দে বসে পড়লেন জুতা হাতে।

যাত্রী আর হকাররা যাতায়াতের সময় অনিচ্ছায় লাথি মে*রে যাচ্ছেন শরীরে। তিনি যেন নিজেকে ছোট করে ফেলছেন, গুটিয়ে নিচ্ছেন শরীর।

কেউ কেউ ধমক দিয়ে বলছেন, দূরে গিয়ে বসেন। ধমক খেয়েও লোকটা সাহেবের দিকে তাকিয়ে হাসছেন।

আমার অদ্ভুত লাগে, ধমক খেয়েও মানুষ কীভাবে হাসতে পারে! জুতা কালি শেষ করে দুই হাতে এগিয়ে দিলেন মালিকের দিকে।

মনে হলো, কাস্টমার সন্তুষ্ট নন। বললেন, আরেকটু কালি দেন। লোকটা বিনা প্রশ্নে আরও যত্ন করে কালি করে দিলেন।

তারপর বিশ টাকার নোট হাতে নিয়ে খুশি মনে এগিয়ে গেলেন। সম্ভবত অন্য কোনো ধমকের দিকে। আমার চোখ ভরে উঠলো। পরিবারের জন্য মানুষ কত কষ্টই না করে!

#সংগ্রহীত

❤️ আসুন খাওয়ার কিছু আদব-লেহাজ শিখি।। একত্রে বসে খাওয়ার কিছু আদব লেহাজ: ১. যে পাত্র থেকে সবাই খাবার নিচ্ছে ( খিচুড়ি বা ম...
08/08/2025

❤️ আসুন খাওয়ার কিছু আদব-লেহাজ শিখি।। একত্রে বসে খাওয়ার কিছু আদব লেহাজ:

১. যে পাত্র থেকে সবাই খাবার নিচ্ছে ( খিচুড়ি বা মুড়ি মাখা), তার উপর ঝুঁকে খাবার নেওয়া যাবে না, মুখ থাকবে মুখের জায়গায় - হাতে খাবার নিয়ে হাতটাকে মুখের কাছে নিতে হবে।

২. হাতে থেকে যাওয়া অতিরিক্ত খাবার যা একেবারে মুখে ঢুকানো যায়নি তা ঝাড়া মেরে প্লেটে ফেলে দেওয়া যাবে না, হাতে ধরে রাখতে হবে তারপর মুখের খাবার শেষ হলে বাকিটুকু মুখে দিতে হবে।

৩. হাতে নেওয়া সমস্ত খাবার মুখে দিয়েছেন, এখন হাত কোথায় রাখবেন? অনেকে মুখে খাবার খাচ্ছেন আর খালি হাতটা সম্মিলিত খাবারের পাত্রে রেখে দিচ্ছেন, এটা করা যাবে না। হাত নিজের কাছে রাখতে হবে।

৪. কিছুক্ষণ পরপর সকলের অনুমতি না নিয়ে নিজের ইচ্ছেতেই "ভালো করে মিশানোর" অজুহাতে খাবার উলট পালট করা যাবে না।

৫. সকলের অনুমতি না নিয়ে নিজের পছন্দমতো এডিশনাল ফুড (মুড়ি মাখার ক্ষেত্রে বুন্দিয়া বা পুদিনা পাতা, খিচুড়ির ক্ষেত্রে লাউয়ের ঝোল) ফট করে পাত্রে ঢেলে দেওয়া যাবে না।

৬. আপনি যেদিক দিয়ে খাচ্ছেন সেদিকে যা আছে তাই খাবেন, আরেকজনের দিক থেকে বারবার পিয়াজুর পার্ট বা মাংসের টুকরো নিবেন না।

৭. সবাই যে আইটেম খাচ্ছে সেটাই খেতে হবে। সবাই যখন করলা ভাজি খাচ্ছে তখন আপনি "করলা ভাজি খাই না" বলে তড়িঘড়ি করে রোস্টের বড় পিচটা নিয়ে নিবেন - এটা ঠিক হবে না। অপেক্ষা করুন - করলা ভাজি দিয়ে সবার খাওয়া শেষ হোক।

৮. হোস্ট বা সাহিদার একজনকে খাবার সার্ভ করছে, তাকে সিরিয়ালি তা করতে দিন। মাঝখান থেকে সিরিয়াল ব্রেক করে আপনার দিকে ডাকবেন না তাকে।

৯. নিজের খাবারের দিকে তাকিয়ে থাকুন, অন্যদের পাতের দিকে ঘনঘন তাকাবেন না।

১০. যে হাতে খাবার খাচ্ছেন - ঐ হাতে চামচ, প্লেট, গ্লাস ইত্যাদি ধরবেন না।

১১. খাওয়ার সময় ঢেঁকুর পারবেন না, কোঁৎ কোঁৎ শব্দ করবেন না।

১২. হুট করে নিজের পাতের খাবার আরেকজনের পাতে দিয়ে দিবেন না। আপনি সিদ্ধ ডিম না খেয়ে একটা মাংসের পিচ বেশি খাবেন বা জিলিপি না খেয়ে আলুর চপ খাবেন বাড়তি তাই বলে জিলিপি বা সেদ্ধ ডিম পাশেরজনের পাতে দিয়ে দিবেন না - আপনার মতো সেইম চিন্তা তারও থাকতে পারে।

১৩. যতটুকু খেতে পারবেন ততটুকুই পাতে নিবেন। খাবারের দখল নেওয়ার অপচেষ্টা চালাবেন না। মুখে অল্প করে খাবার নিবেন, খাবার মুখে ঢোকানোর পর দুই গাল যাতে দৃষ্টিকটু ভাবে ফুলে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

১৪. খাবারের শেষে দই বা ডাল আছে কিনা জিজ্ঞেস করবেন না; সেটা নাই ধরে খাওয়া চালাতে থাকবেন।

১৫. হোস্ট আপনার সামনে টিস্যু রাখবে কিন্তু তাই বলে সেটা অযথা অপচয় করবেন না। পর্যাপ্ত পানি দিয়ে হাত ধুয়ে তারপর রুমাল বা টিস্যু দিয়ে ভেজা হাতটা মুছবেন।

১৬. নির্দিষ্ট কোন খাবার বেশি ভালো লেগেছে এটা বলবেন না, হোস্ট সবগুলো আইটেমই যথেষ্ট মমতা সহকারে রান্না করেছেন আপনাদের জন্য - এটা মাথায় রাখবেন।

১৭. খাবার মুখে নিয়ে চপ চপ করবেন না, খাইতে খাইতে নাকে পেডা আসলে সেটা আস্তে করে মুছে নিবেন - উখ্খু উখ্খু শব্দ করে সেটাকে পেটে ঢুকানোর চেষ্টা করবেন না। মুখে কাকড় বা কাটা পড়লে মুখের খাবারটুকু বের করে সকলের সামনে ফেলে দিবেন না, সকলের আড়ালে কোথাও ফেলুন।

১৮. কোন একটা আইটেম নেওয়ার জন্য যদি আপনি প্রথমে উদ্যোগ নেন তাহলে চেষ্টা করবেন আশেপাশে দুএকজনকে আগে দিয়ে পরে নিজে নিতে। নিজে বড়ো পিসটা নিয়ে পাশেরজনের দিকে বাটি ঠেলে দিবেন না। নেওয়ার সময় চামচ দিয়ে সবগুলো পিস ঘাটাঘাটি করবেন না, চোখের আন্দাজে আগে সিলেক্ট করে তারপর সেটা চামচে তুলবেন।

১৯. দূরে থাকা কোন খাবার নেওয়ার জন্য বাটি নিজের দিকে দেওয়ার জন্য আরেকজনকে বলবেন না, সেটা উনার জন্য পরিশ্রমের। আপনার প্লেট বাটির কাছে এগিয়ে নিয়ে তারপর প্লেটে নিজে নেন বা কাউকে দিতে বলেন।

২০. নিজে ডিমের কুসুম না খেয়ে রেখে দিয়ে পাশেরজনকে কুসুমের পুষ্টিগুণ বুঝাতে যাবেন না।

২১. সালাদের বাটি থেকে বেছে বেছে শুধু টমেটো নিবেন না। টমেটো, শসা, মূলা আনুপাতিক হারে নিবেন।

২২. শুধুমাত্র আপনাকে একা কাঁচামরিচ বা লবন এনে দেওয়ার জন্য কাউকে অনুরোধ করবেন না।

২৩. হোস্ট পোলাওয়ের বাটি আনার সাথে সাথেই জিজ্ঞেস করে বসবেন না - সাদা ভাত আছে কিনা?

২৪. মজলিশে যিনি সবচেয়ে আস্তে খান তার সাথে তাল মিলিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন, এতে করে সবাই সমানভাবে খাওয়ার অংশ পাবে।

২৫. সকলের সাথে একসাথে খাওয়া শেষ করুন।

২৬. গলা পর্যন্ত খেয়ে হোস্টের মুখে " কিছুই তো খাইলেন না" শোনার জন্য "বেশি খায়ালছি" বলে ঢং করবেন না। আপনি যে বেশি খায়ালছেন এটা সবাই এতোক্ষণে ভালোই বুঝে গেছে!

আজ এ পর্যন্তই।

এর বাইরে আরো পয়েন্ট থাকলে কমেন্টে যোগ করুন।

থিওরি বুঝতে সমস্যা হলে - বাসায় দাওয়াত দিন, হাতে কলমে শিখুন!

Collected From:
Mohiuddin Fahim

১৬ বছর ধরে যারা এই দেশটাকে জাহান্নামে পরিণত করেছিল, তারা তো এখন আর ক্ষমতায় নেই। তাহলে এখন চারদিকে এত চাঁদাবাজি, খুন, সন্...
08/08/2025

১৬ বছর ধরে যারা এই দেশটাকে জাহান্নামে পরিণত করেছিল, তারা তো এখন আর ক্ষমতায় নেই। তাহলে এখন চারদিকে এত চাঁদাবাজি, খুন, সন্ত্রাস—এসব করছে কারা? কেন প্রশাসন নিরব? কে দিচ্ছে এসব অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা?

আজ দেশের সাধারণ মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই। রাস্তায় রাস্তায় চাঁদাবাজ, পেশিশক্তির দাপট, নিরপরাধ মানুষের আর্তনাদ—সবই যেন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। প্রশ্ন হলো, এই চাঁদাবাজদের এত ক্ষমতা কোথা থেকে আসে? কাদের ছত্রছায়ায় তারা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়?

প্রশাসন কি অন্ধ? নাকি ইচ্ছা করেই চোখ বুজে আছে? দেশের মানুষের জীবনের যদি দামই না থাকে, তাহলে রাষ্ট্র নামের এই কাঠামোরই বা দরকার কী?

এই দেশটা কি শুধুই ক্ষমতাবানদের? যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে, তারা কি চিরকালই ভয়ের মধ্যে থাকবে?

আজ প্রশ্ন প্রশাসনের কাছে, রাষ্ট্রের কাছে—আমরা কি এমন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?

07/08/2025

শো-রুম গুলো আমাদের সঙ্গে ডা'কাতি ব্যবসা করে। এটা সবার জানা দরকার, শেয়ার করে জানার সুযোগ করে দিন

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Raj MN Bokul posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Raj MN Bokul:

Share