20/07/2025
বৈদ্যনাথ বাবু অবসরের পর পাওয়া ৬0 লাখ টাকা এক ব্যাংকে স্ত্রীর সঙ্গে যৌথ অ্যাকাউন্টে রাখেন। ATM কার্ডের PIN-ও স্ত্রীকে জানিয়ে রাখেন। কখন কি দরকার পড়ে,বলা যায় না।
শ্যামলবাবু একদিন বাইরে যাওয়ার সময় ভুল করে নিজের মোবাইল ফোনটি বাড়িতে রেখে যান। "কোথাও কি পড়ে গেল?" এই চিন্তা করতে করতে দ্রুত পায়ে বাড়ি ফিরে আসেন এবং দেখেন মোবাইলটা টেবিলের উপরেই আছে। দু:শ্চিন্তা দূর হতেই স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন,"কোন ফোন এসেছিল?"
স্ত্রী বললেন,"ব্যাংক থেকে ম্যানেজার ফোন করেছিলেন।"
শ্যামলবাবু শুনেই ঘামতে শুরু করলেন। জিজ্ঞাসা করলেন, "ম্যানেজার কি বললেন?"
"উনি আমাদের যৌথ অ্যকাউন্ট আপডেট করার জন্য কিছু তথ্য জানতে চাইলেন এবং বললেন একটা OTP যাবে মোবাইলে এবং সেটা জানালেই অ্যাকাউন্ট আপডেট হয়ে যাবে।"-স্ত্রী বললেন।
বাবুর অ&%জ্ঞান হয়ে যাওয়ার উপক্রম। সমস্ত সঞ্চয় বোধহয় শেষ হয়ে গেল! গলা শুকিয়ে গেল। খবরের কাগজে রোজ যা দেখেন! উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন,"তুমি কি OTP বলে দিয়েছ?"
"ব্যাংক ম্যানেজার জিজ্ঞাসা করলেন,আমি কি না জানিয়ে পারি?"
বাবু চেয়ারে বসে পড়লেন,দরদর করে ঘামতে শুরু করলেন নি:স্ব হয়ে যাওয়ার ভয়ে। ভয়ে ভয়ে মোবাইলটা তুলে নিয়ে অ্যাকাউন্টে ব্যালান্স চেক করলেন। অবাক বিস্ময়ে দেখলেন অ্যাকাউন্টে ৬২ লাখ টাকাই আছে। গ্যাংটি টাকা সরিয়ে নিতে পারেনি। ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল।
স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন - "কত নম্বর OTP এসেছিল?"
স্ত্রী বললেন-৮০৮২
"তুমি ঠিকঠাক বলে দিলে?"
"আমি ৪০৪১ বলেছি। আমিতো পুরোটা বলতে পারিনা। যৌথ অ্যকাউন্ট,তাই হাফ বলেছি। আমি তো ব্যাংকের কর্মচারীর স্ত্রী,জানি এ টাকার অর্ধেক তো আমার। তাই OTP-ও হাফ বলেছি।"
বাবু স্ত্রীকে কি বলবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।
এই বুদ্ধিকে প্রশংসা করবেন, নাকি মাথায় হাত দেবেন! 😅
---
মোরাল:
👉 OTP, পাসওয়ার্ড, বা ব্যাংক তথ্য—কাউকে ফোনে কখনোই দেবেন না।
👉 ব্যাংক কখনোই ফোনে এসব চায় না।