Khokon Vai

Khokon Vai "ধ্বংস তার জন্য, যার আজকের দিনটা গতকালের চেয়ে উত্তম হলো না ।"
- আল কোরআন

23/09/2025

“আমি চাই তুই তোর বউ নিয়ে আলাদা হয়ে যা শাওন।”
মায়ের কথা শুনে শাওন হতভম্ব হয়ে যায়। সে বিষ্ময় নিয়েই বলে,“মা কী হয়েছে? রূপা তোমার সাথে খারাপ আচরণ করেছে? তোমাকে কষ্ট দিয়েছে? তুমি রূপার উপর রাগ করে আমাদের আলাদা হয়ে যেতে বলছো?”

“রূপা তোর বউ। তোর দায়িত্ব। তোর ভালোবাসা। বউরে সম্মান, ভালোবাসা না দিলে সংসার জীবন সুখের হবে না তোর। তাই কিছু না জেনে সব কথায় বউয়ের দোষ খোঁজার চেষ্টা করিস না শাওন। এটা খুবই খারাপ গুন।”
কথাগুলো বলে মা শাওনের দিকে শান্ত চোখে তাকায়। শাওন কিছুটা লজ্জা পায়। তার মা তাকে শান্ত কন্ঠে বলে,“রূপা খুব ভালো মেয়ে। ও কিছু করেনি।”

“তাহলে আমাদের আলাদা হয়ে যেতে বলছো কেন?”
শাওন কথাটি জিজ্ঞেস করে উত্তরের আশায় মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। তার মা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,“তেমন কিছু না। আমি আসলে তোর বাবার সাথে একা থাকতে চাই। জয়েন ফ্যামিলি হওয়ায় তোর বাবার সাথে একা কখনো সংসার করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমার খুব শখ ছিলো তার সাথে একা সংসার করবো, একটু এই আনন্দের অনুভূতি কেমন সেটা অনুভব করবো। কিন্তু তা কখনো হয়নি। আগে শ্বশুড়, শাশুড়ী, ননদ, দেবর এদের জন্য হয়নি। এখন এই বয়সে এসে তোর এবং তোর বউয়ের জন্য হচ্ছে না। তাই আমি চাচ্ছি তোরা আলাদা হয়ে যা।”

”এই ব্যাপার। তুমি আগে বলবে না মা। তোমার স্বপ্ন যদি এটাই হয় তাহলে আমি আলাদা হতে রাজি আছি মা। তুমি এবং বাবা এখন যদি সময়টাকে নিজেদের মতো করে উপভোগ করতে চাও তখন আমার সন্তান হিসাবে দায়িত্ব তোমাদের এমন সুন্দর জীবন দেওয়া।”
শাওনের কথায় মা মাথা নাড়ায়। দু’জনে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়, শাওন এই মাসের বেতন পেলে বাসা ভাড়া খুঁজবে অফিসের আশেপাশে। পরের মাসে সেখানে চলে যাবে। শাওনের মা এতে সম্মতি জানায়। শাওন মজা করে মাকে বলে,“মা তোমার আর বাবার আলাদা সুন্দর সংসারে আমরা অতিথি হিসাবে আসতে পারবো তো? এখানে না বলো না মা। আমি কিন্তু তোমাদের না দেখে থাকতে পারবো না। তাই তোমাদের সুন্দর স্বপ্নের মাঝে হুট করে চলে আসতে পারি।”

“পাগল ছেলে। এটা তোর বাড়ি। তুই আসবি না তো কে আসবে? তোরা এখানে আসবি, আমরা তোদের ওখানে যাবো।”
মায়ের কথা শুনে শাওন মুচকি হাসে। তারপর সিরিয়াস ভঙ্গিতে বলে,“মা সত্যি এটাই তো তুমি তোমার এবং বাবার একার সংসারের স্বপ্ন পূরণ করার জন্য আমাদের আলাদা করে দিচ্ছো।”
মা কিছুটা হচচকিয়ে যায়। পরক্ষণে নিজেকে সামলে বলে,“হ্যাঁ। এটাই সত্যি রে। তোর বাবার সাথে একা সংসার করার বড় স্বাদ ছিলো রে। সেটার জন্যই তোদের আলাদা করছি।”
__
সময় বয়ে চলে তার নিজস্ব গতিতে। তাই তো দিন পেরিয়ে দিন আসে। দেখতে দেখতে শাওনদের নতুন বাসায় ওঠার দিন চলে আসলো। আগামীকাল তারা এই বাড়ি থেকে চলে যাবে। আজ শাওনের মা সব শাওন এবং রূপার পছন্দের খাবার রান্না করেছে। রাতে শাওন তৃপ্তি করে খেয়ে বলে,“এই সুস্বাদু খাবার খুব মিস করবো মা। যদি এটা তোমার স্বপ্ন না হতো তাহলে কখনোই আমি এই সিদ্ধান্ত নিতাম না।”

রূপাও শাওনের কথায় সম্মতি জানায়। শাওনের মা কিছু বলে না। তার বাবা তার মায়ের দিকে ম্লান চোখে তাকায়।
*
রাতের বেলা শাওনের মা না ঘুমিয়ে খাটের এক পাশে বসে নিরবে চোখের পানি বিসর্জন দেয়। এটা দেখে তার বাবা বিরক্ত হয়ে বলে,“বুড়ো বয়সে ভিমরতিতে ধরেছে তোমায়। যখন ছেলের চলে যাওয়ায় এতই কষ্ট পাবে তাহলে এসব ফাল তু স্বপ্নের কথা মনে করে তাদের আলাদা করলে কেন? বুড়ো বয়সে কত শখ। স্বামীর সাথে আলাদা সংসার করবে।”
শেষ কথাটি ব্যঙ্গ করে বলে। মা তার কথা শুনে বিদ্রুপেরসুরে হাসি দিয়ে বলে,“না গো। বুড়ো বয়সে আমার কোন শখ জাগেনি। যে মানুষটাকে শখের বয়সে পেলাম না তাকে এই বয়সে চেয়ে কী করবো?”

“মানে?”
বাবা বুঝতে না পেরে কথাটি বলে। মা তার দিকে তাকিয়ে অভিমানের গলায় বলে,“তোমার মধ্যে তেমন কোন গুন নেই যার জন্য তোমার সাথে আলাদা, একান্ত সময় কাটানোর স্বপ্ন দেখবো আমি। এত স্বপ্ন আমি দেখি না।”

“কী বলতে চাও তুমি? যদি এটাই না হয় তাহলে ছেলেকে আলাদা করছো কেন?”
বাবার এই কথার জবাবে মা সুন্দরভাবে বলে,“দূরে থাকলে সম্পর্ক ভালো থাকবে।”

বাবা কিছু বলতে নেয় কিন্তু তাকে বলার সুযোগ না দিয়ে মা পুনরায় বলে,“আমার ছেলে যখন তার বউকে নিয়ে ঘুরতে বের হয় তখন আমার বড্ড হিংসা হয়। আমিও তো নতুন বউ ছিলাম। কই আমাকে নিয়ে তো তুমি কখনো ঘুরতে যাওনি? আমি যখন বৌমাকে বলি, রান্নায় এত তেল খরচ করছো কেন? তখন আমার ছেলে তার হয়ে বলে, তেল শেষ হয়ে গেলে আমি কিনে দিবো। এই নিয়ে কিছু বলো না। তখনও আমার হিংসা হয়। কই আমার হয়ে তুমি তো কখনো এই কথা বললে না। উল্টো তেল বেশি কেন দিয়েছি এই কৈফিয়ত তোমার মাকে দিতে পারিনি বলে কু কুরের মতো মে রেছো। ভবিষ্যতে আমার ছেলে বউয়ের জন্য অনেককিছু করবে, যা আমার হিংসা আফসোস বাড়িয়ে দিবে। এক পর্যায়ে তাদের সুখ সহ্য করতে না পেরে যদি আমি তাদের সুখের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াই। তখন তো সব শেষ হয়ে যাবে। সংসারে অশান্তি হবে। সম্পর্ক খারাপ হবে। আমি সেসব চাই না গো।
এই দুনিয়ায় কেউ কারো মনের দুঃখ বোঝে না গো। আমি যে কোন আফসোসে কোন দুঃখে এসব করছি তা বৌমা বুঝবে না। কারণ বৌমাদের তো জন্মের পর থেকেই মনে হয় বোঝানো হয় শাশুড়ী মানেই দজ্জাল। আর আমার হিংসায় বলা কথাগুলো তো তাকে কষ্ট দিবে। সে তো আজকালকার মেয়ে, আমাদের যুগের না। যে শত কষ্ট সয়ে এসে শাশুড়ীর পায়ে পড়বে। উল্টো শাশুড়ীর সাথে তর্ক করবে। করাই উচিত। কোন অন্যায় না করে কথা শোনালে তো মুখ খোলাই উচিত। সেই মুখ খুললেই তো আমি আর বৌমা হয়ে উঠবো দু’জনার চোখের বিষ। আমি চাই না এমন কিছু হোক। আমি যা পাইনি সেটা সে পাক আমি তাই চাই। আমি চাই না তার পূর্ণতা দেখে আমার কষ্ট হোক। আমি আমার ছেলের সুখে সুখী হতে চাই। সেজন্য তাদের আলাদা করে দিচ্ছি। তোমার সাথে সংসার সংসার আদিখ্যেতার জন্য নয়।”
মা কথাগুলো বলে বাবার দিকে তাকায়। বাবা অসহয় চোখে তাকিয়ে আছে। আজ তার বলার কিছুই নেই। বয়সের সময় কখনো নিজের স্ত্রীর শখ, আহ্লাদ সম্পর্কে জানতে চায়নি। কখনো তার জন্য কিছু করেনি। কোন দায়িত্বও পালণ করেনি। উল্টা অন্যদের কথায় গায়ে হাত তুলেছে। আজ যখন এসব বুঝতে পারছে তখন সবকিছু তার হাতের বাহিরে চলে গেছে। বাবাকে যে আর মা ভালোবাসে না। মা সারাজীবন ধরে শুধু দায়িত্ব পালণ হিসাবে সব করে গেছে। বাবার প্রতি থাকা ভালোবাসা তো সব ম রে গেছে বহুআগে। এখন বাবা এসব বুঝতে পারে।

মা বাবার অসহয় মুখ দেখে ম্লান হেসে বলে,“এভাবে তাকিও না গো।”

“আমাকে মাফ করে দিও শাওনের মা।”
বাবার অনুতাপে ভরা কথা শুনে মায়ের চোখ দিয়ে গড়িয়ে পানি পড়ে। সে শান্ত গলায় বলে,“না শাওনের বাবা। যে বয়সে ভালোবাসার দরকার ছিলো তখন আমি তোমার শুধু চাহিদা ছিলাম। আর আজ মাফ চেয়ে ভালোবাসা দেখাতে চাইছো। এমনটা করো না গো। এখন আর ভালোবাসার প্রয়োজন নেই আমার।”

বাবা মাথানত করে ফেলে। মা আবারও বলে,“সবাই বলে শাশুড়ীরা ছেলের বউয়ের সুখ সহ্য করতে পারে না। হ্যাঁ পারে না। কিভাবে পারবে? যেসব শখ তার পূরণ হয়নি সেসব শখ তার চোখের সামনে অন্যকারো পূরণ হচ্ছে এসব যে তাকে কতটা কষ্ট দেয় তা কেউ বোঝে? বোঝে না।
একদিন তুমি আমার জন্য একটি শাড়ী নিয়ে আসছিলে। সেটা আমার খুব পছন্দ হয়েছিলো। কিন্তু সেই শাড়ীটা যখন তোমার বোন বললো তার পছন্দ হয়েছে, তার চাই। তখন তুমি কী করলে? সঙ্গে সঙ্গে তাকে দিয়ে দিলে। আর আজ যখন আমার খুঁকির ভাবীর একটি শাড়ী পছন্দ হলো তখন আমার ছেলে বললো সে অন্য একটা কিনে দিবে, এটা তার ভাবীর। আজ আমি বৌমাকে কোন কথা বললে তার ঢাল হয়ে আমার ছেলে দাঁড়ায়। এসব দেখে আমিও তো অতীতে চলে যাই। আমারও তো মনে হয় আমার সাথে যখন এসব হচ্ছিলো তখন যদি তুমি প্রতিবাদ করতে তাহলে তো সব সমস্যা মিটে যেতো। কিন্তু করোনি।

আমার আজও মনে পড়ে, যখন আমার গর্ভে শাওন ছিলো তখন আমি নয়টা মাস ভাত ছাড়া কিছু পাইনি। ফল খেতে ইচ্ছে করলেও পাইনি। সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যায় সাতটা অব্দি গাধার মতো খেটেছি। তারপর সন্তান জন্ম দিয়েছি। কিন্তু আজকাল তো তা হয় না। আজকাল বউরা পোয়াতি হলেই বিছানায় পড়ে যায়, তাদের এটা সেটা ইচ্ছে হয়। ঘরের মধ্যে একটি জগ জাগানোর শক্তি হয় না। কিন্তু আমাদের সময় নয় মাসের ভরা পেট নিয়ে কলস ভর্তি পানি টানা লাগছে, ধান সিদ্ধ করা লাগছে। যখন আমার শাওনের বউ পোয়াতি হবে তখন তো সে কিছু করতে চাইবে না। ঘরের সামান্য কাজ করতেও অসুবিধা হবে। আর চোখের সামনে এসব তো আমার সহ্য হবে না। কিছু বললেই আবার আমার ছেলের সাথে তর্ক বেধে যাবে। তখন সারা দুনিয়া বলবে শাশুড়ী ভালো না। সে এত এত খারাপ। আমি এসব চাই না। সারাজীবন সংসারিক কলহের মাঝে কাটিয়েছি। কিন্তু আজ চাই না। তাই সময় থাকতে শাওন এবং রূপাকে আলাদা করে দিলাম। ওরা দূরে ভালো থাকুক। সুখে থাকুক।”

কথাগুলো বলে মা নিজের চোখের পানি মুছে নেয়। তারপর আবারও বলে,“তাই আমার যতই কষ্ট হোক না কেন, ওরা চলে যাক এটাই আমি চাই।”

বাবা কোন জবাব দেয় না। তার চোখেও অশ্রু এসে জমে। মা এটা বুঝতে পেরে বলে,“অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পড়ো।”
কথাটি বলে মা বিছানার একপাশে শুয়ে পড়ে। বাবা মায়ের দিকে অসহয় চোখে তাকিয়ে থাকে। যে বয়সে এসব বোঝা উচিত ছিলো সেই বয়সে বুঝেনি। তাই এই বয়সে বুঝে এখন আফসোস করা ছাড়া কিছুই করার নেই তার।

সকাল সকাল শাওন এবং রূপা তৈরি হয়ে নেয়। তাদের সকল ব্যাগপত্র গুছিয়ে নেয়। আজ তারা নতুন বাড়িতে উঠবে। মা এসে হাতে হাতে তাদের ব্যাগ গুছিয়ে দিচ্ছে। অতঃপর নিচে গাড়ি আসতে শাওন ঘরে এসে বলে,“গাড়ি চলে এসেছে। চলো রূপা।”

“হ্যাঁ চলো।”
রূপা খুশিমনে কথাটি বলে। রূপা এবং শাওন বাবা-মায়ের থেকে বিদায় নেয়। তাদের বিদায় দেওয়ার সময় মা শাওনকে বলে,“স্ত্রী স্বামীর দূর্বলতা নয় শক্তি। তার যথাযথ মর্যাদা করিস। আমি জানো কখনো শুনি না, তুই বৌমাকে কোন কারণে কষ্ট দিয়েছিস। তাহলে খুব খারাপ হবে।”

”মা তুমি শুধু আমাদের জন্য দোয়া করো। আমরা যাতে সবসময় একসাথে এভাবে থাকতে পারি। আমি আমার সকল দায়িত্ব কর্তৃব্য পালণ করতে পারি। তোমার দোয়া সঙ্গে থাকলে আমি সব পারবো মা। আমার দ্বারা রূপা কখনো কষ্ট পাবে না।”
শাওনের এই কথায় মা ম্লান হাসে। বাবা এসে শাওনের মাথায় হাত রেখে বলে,“দোয়া করি তোরা সবসময় ভালো থাক। একজন ভালো স্বামী হও। সেই সাথে ভালো সন্তানও হও শাওন। তোমার মায়ের জন্য হলেও অন্তত হও ভালো সন্তান।”
শাওন মাথা নাড়ায়। অবশেষে রূপা এবং শাওন বেরিয়ে যায়। তারা তাদের নতুন বাড়ির উদ্দেশ্য চলে যায়। যেখানে তাদের দু'জনার সুন্দর একটি সংসার তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। শাওনরা চলে যেতে শাওনের মা মনেমনে বলে,“প্রত্যেক মেয়েই বোধহয় একটি আলাদা সংসার ডিজার্ব করে। মা হিসাবে দোয়া করি, ওদের সংসার সুখের হোক।”

(সমাপ্ত)
সংসার

20/09/2025

অন্তর নষ্টকারী পাঁচটি বিষয়

১️⃣ অতিরিক্ত মেলামেশা (كثرة الخلطة)
মানুষের সাথে প্রয়োজনীয় সম্পর্ক রাখা ইসলামে বৈধ, তবে অতিরিক্ত মেলামেশা অন্তরের প্রশান্তি কেড়ে নেয়।

📖 আল্লাহ বলেন—
“অধিক হাসাহাসি অন্তরকে মেরে ফেলে।”
(সুনান ইবনে মাজাহ, ৪১৯৩)

বেশি ভিড়ভাট্টায় অন্তর নরম থাকে না, বরং গাফিলতিতে ভরে যায়।

২️⃣ দীর্ঘ আশা (طول الأمل)

দীর্ঘ আশা মানুষকে দুনিয়ার মোহে আটকে রাখে, আখিরাত ভুলিয়ে দেয়।

📖 রাসূল ﷺ বলেছেন—
“বৃদ্ধ হয়ে গেলেও মানুষের দুটি জিনিস তরুণ থাকে— ধন-সম্পদের লোভ এবং দীর্ঘ আশা।”
(সহিহ বুখারি ৬৪২১, সহিহ মুসলিম ১০৪৭)

মৃত্যু ভুলে গিয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্নে বিভোর থাকা অন্তরকে কলুষিত করে।

৩️⃣ গান-বাজনা (سماع المعازف)

গান-বাজনা অন্তরের নরমতা নষ্ট করে, আল্লাহর যিকর থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।

📖 আল্লাহ বলেন—
“মানুষের মধ্যে কেউ আছে, যারা অবান্তর কথা (লাহওয়াল-হাদীস) ক্রয় করে, যেন মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রান্ত করে।”
(সূরা লুকমান ৩১:৬)
অনেক তাফসিরকারক (যেমন ইবনু আব্বাস রা., ইবনু মাসউদ রা.) এখানে গান-বাজনাকে বুঝিয়েছেন।

৪️⃣ ভরপেট খাওয়া (كثرة الأكل)

অতিরিক্ত খাওয়া শরীর ও অন্তরের জন্য ক্ষতিকর।

📖 রাসূল ﷺ বলেছেন—
“মানুষ কোনো পাত্রই তার পেটের চেয়ে খারাপভাবে পূর্ণ করে না। কিছু কণিকা খাবার যথেষ্ট, যা তার পিঠ সোজা রাখে। আর যদি অবশ্যই খেতে হয়, তবে পেটের এক-তৃতীয়াংশ খাবারের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানির জন্য, আর এক-তৃতীয়াংশ নিঃশ্বাসের জন্য।”
(সুনান তিরমিযি ২৩৮০, সহিহ)

৫️⃣ অতিরিক্ত ঘুম (كثرة النوم)

বেশি ঘুম আলস্য আনে, নামাজ ও ইবাদত থেকে বিরত রাখে।

📖 আল্লাহ বলেন—
“তুমি তাদেরকে রাতের সামান্য অংশ ব্যতীত ঘুমাতে দেখবে না, আর ভোরের সময় তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে।”
(সূরা আয-যারিয়াত ৫১:১৭-১৮)

সাহাবী ও সালাফগণ কম ঘুমাতেন, রাতকে কুরআন-যিকরে জীবন্ত রাখতেন।

অন্তরের রোগ ধীরে ধীরে ঈমানকে দুর্বল করে দেয়।
অপ্রয়োজনীয় মেলামেশা কমানো,
দীর্ঘ আশা ত্যাগ করা,
গান-বাজনা থেকে বেঁচে থাকা,
খাবার ও ঘুম সংযত করা—

এসবই অন্তরকে পরিশুদ্ধ রাখার উপায়।

📖 আল্লাহ বলেন—
“সফল হলো সে-ই, যে তার অন্তরকে পবিত্র করেছে, আর ধ্বংস হলো সে-ই, যে তাকে কলুষিত করেছে।”
(সূরা আশ-শামস ৯১:৯-১০)

পুরুষ কতদিন সহবাস ছাড়া থাকতে পারে? আপনার স্বামী কি একটা টাইম বোম? যার ফিউজটা আপনার হাতে, কিন্তু যেকোনো মুহূর্তে ফেটে যে...
20/09/2025

পুরুষ কতদিন সহবাস ছাড়া থাকতে পারে?
আপনার স্বামী কি একটা টাইম বোম? যার ফিউজটা আপনার হাতে, কিন্তু যেকোনো মুহূর্তে ফেটে যেতে পারে? আপনি হয়তো ভাবছেন, "সে তো আমাকে ভালোবাসে, আমার জন্যই সব।" কিন্তু রাতের গভীরে যখন তার নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আসে, তার হাত আপনার শরীর খোঁজে, তখন কি একবারও মনে প্রশ্ন জাগে না—এই যে তীব্র ক্ষুধা, এই যে শারীরিক চাহিদা, এটা কি কেবলই ভালোবাসা, নাকি এক আদিম আগুনের বিস্ফোরণ যা নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় অসম্ভব?

রাস্তায় হেঁটে যাওয়া কোনো সুন্দরী নারীর দিকে তাকিয়ে আপনার স্বামীর চোখের মণিটা কি এক মুহূর্তের জন্য কেঁপে ওঠে? মোবাইলের স্ক্রিনে কোনো আবেদনময়ী শরীর দেখে তার আঙুলটা কি থমকে যায়? যদি যায়, তাহলে আতঙ্কিত হবেন না। বরং ভয়ংকর সত্যিটা জেনে নিন। একজন পুরুষকে যৌন উত্তেজিত করতে রকেট সায়েন্স লাগে না। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের একটা দৃশ্য, একটা কল্পনা, বা একটা পুরনো স্মৃতিই যথেষ্ট তার শরীরের ভেতর ঘুমিয়ে থাকা আগ্নেয়গিরিটাকে জাগিয়ে তোলার জন্য। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই সে শারীরিক মিলনের জন্য এমনভাবে প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে, যেন এটাই তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।

অথচ আপনি? আপনার শরীর আর মন যেন এক জটিল সুরের যন্ত্র। ভালোবাসা, যত্ন, মানসিক শান্তি আর সঠিক পরিবেশ না পেলে আপনার ভেতরের সেই সুরটা বাজেই না। আপনার সময় লাগে, প্রস্তুতি লাগে। কিন্তু পুরুষের শরীর? সে যেন এক ক্ষুধার্ত বাঘ, শিকার দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত।

এই পার্থক্যটাই কি আপনাদের সম্পর্কের ভেতর লুকিয়ে থাকা সবচেয়ে বড় টাইম বোম?

বেশিরভাগ গবেষণাই বলছে, পুরুষের যৌন আকাঙ্ক্ষা ঘন ঘন আসে এবং ঝড়ের মতো তীব্র হয়। এর পেছনে কাজ করে টেস্টোস্টেরন নামক এক আগ্রাসী হরমোন। এই হরমোন তাকে শিকারি বানায়, বিজয়ী হতে শেখায়। অন্যদিকে, নারীর আকাঙ্ক্ষা চাঁদের মতো—কখনো বাড়ে, কখনো কমে। তার শরীর আর মন জুড়ে ইস্ট্রোজেন আর প্রোজেস্টেরনের মায়াবী খেলা। মাসিক চক্র, মানসিক চাপ, আর সম্পর্কের গভীরতা—এই সবকিছু মিলে তার ইচ্ছেরা ডানা মেলে।

তাহলে প্রশ্নটা হলো, যে পুরুষের শরীর প্রতি ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নতুন করে বীর্য তৈরি করে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়, সে কতদিন এই জৈবিক চাপ সহ্য করতে পারে?

মেডিকেল সায়েন্স বলছে, শরীর তার নিজের মুক্তির পথ সে নিজেই খুঁজে নেয়। যদি সেক্স বা হস্তমৈথুনের মাধ্যমে এই চাপ কমানো না হয়, তাহলে স্বপ্নদোষের মাধ্যমে শরীর প্রকৃতির নিয়মে নিজেকে হালকা করে। তার মানে, পুরুষের শরীর যৌনতাকে অস্বীকার করতে জানে না। সে হয়তো আপনার কাছে প্রকাশ করবে না, কিন্তু তার শরীর নিজের তাগিদেই নিজের কাজটা সেরে নেবে।

তাহলে কি পুরুষেরা একেবারেই সেক্স ছাড়া থাকতে পারে না?

যদি ভাবেন পুরুষ কেবলই তার শরীরের দাস, তাহলে আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভুলটা করছেন। যে পুরুষ আপনার শরীরের উত্তাপ ছাড়া দু'দিনও থাকতে পারে না বলে আপনার মনে হয়, সেই একই পুরুষ যখন আপনার আর আপনার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য হাজার হাজার মাইল দূরে প্রবাসে পাড়ি দেয়, তখন সে কীভাবে বছরের পর বছর একা কাটায়?

তখন তার শরীরের সেই আগুনটা কোথায় যায়? সেই আগ্নেয়গিরিটা কি নিভে যায়?

না, নেভে না। বরং সেই পুরুষ তার ইচ্ছাশক্তি দিয়ে আগ্নেয়গিরির মুখে পাথর চাপা দিয়ে রাখে। তার শরীরের সমস্ত ক্ষুধা, সমস্ত কামনা আর উত্তেজনাকে সে তিলে তিলে দহন করে টাকায় পরিণত করে, যা সে আপনার জন্য পাঠায়। সে তখন আর শিকারি থাকে না, হয়ে ওঠে একজন যোদ্ধা। তার যুদ্ধটা হয় নিজের শরীরের বিরুদ্ধেই। প্রতি রাতে একাকী বিছানায় সে তার কামনাকে গলা টিপে হত্যা করে, শুধু আপনার মুখে হাসি ফোটাবে বলে।

আবার ভেবে দেখুন সেই সব পুরুষদের কথা, যারা ভালোবাসায় একবার ভয়ংকরভাবে প্রতারিত হয়ে সারা জীবনের জন্য নারীসঙ্গ ত্যাগ করে। বিয়ে না করে, কোনো সম্পর্কে না জড়িয়ে তারা কাটিয়ে দেয় গোটা জীবন। তাদের শরীরে কি টেস্টোস্টেরন তৈরি হয় না? তাদের কি ইচ্ছা জাগে না?

জাগে। কিন্তু প্রেমিকার দেওয়া ভয়ংকর এক ক্ষত তাদের ইচ্ছাশক্তিকে এতটাই ইস্পাত-কঠিন বানিয়ে দেয় যে, তারা সেই শারীরিক ক্ষুধাকে আমলেই নেয় না। তাদের কাছে ভালোবাসাটাই ছিল সবকিছু। সেটা যখন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়, তখন শরীরের চাহিদা তাদের কাছে তুচ্ছ মনে হয়।

তাহলে আসল সত্যটা কী? পুরুষ কি কামুক শিকারি নাকি মহৎ যোদ্ধা?

সত্যিটা হলো, পুরুষ দুটোই। সে একই দেহে একজন শিকারি এবং একজন রক্ষক। যখন সে আপনার কাছে থাকে, আপনার ভালোবাসা আর সান্নিধ্য পায়, তখন তার ভেতরের শিকারি সত্তাটা জেগে ওঠে। সে আপনাকে জয় করতে চায়, আপনার শরীরের প্রতিটি ভাঁজে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এটা তার পৌরুষের প্রকাশ। সে চায় আপনি তার জন্য নিজেকে উজাড় করে দিন, তার বাহুতে নিজেকে সঁপে দিন।

কিন্তু যখন পরিস্থিতি তাকে যোদ্ধা হতে বাধ্য করে, তখন সে তার সমস্ত শিকারের ইচ্ছা বিসর্জন দিতে এক মুহূর্তও ভাবে না। তার কাছে তখন পরিবার, দায়িত্ব আর ভালোবাসাটাই মুখ্য হয়ে ওঠে। শরীরের চেয়েও বড় হয়ে যায় তার আত্মসম্মান আর আত্মত্যাগ।

নারীদের প্রতি শেষ কথা

আপনার স্বামী যখন দু'দিন পরপরই আপনাকে কাছে টানতে চায়, তখন তাকে শুধু একজন 'কামুক' বা 'লুইচ্চা' পুরুষ ভেবে ভুল করবেন না। ভেবে দেখুন, সে তার এই তীব্র ইচ্ছাকে শুধুমাত্র আপনার জন্যই বাঁচিয়ে রেখেছে। বাইরের হাজারো প্রলোভন তার জন্যও আছে। কিন্তু সে সবকিছু ছেড়ে আপনার কাছেই ফিরে আসে, কারণ আপনিই তার কেন্দ্র, তার একমাত্র শান্তির আশ্রয়।

তার এই তীব্রতাকে সম্মান করুন। তার শরীর যখন আপনাকে চায়, তখন বুঝে নেবেন, সে আপনাকে তার পৃথিবীর একমাত্র নারী হিসেবে শিকার করতে চায়। আর যখন সে আপনার জন্য, আপনার পরিবারের জন্য নিজের শরীরকে শাসন করে, শত কষ্ট সহ্য করে দূরে থাকে, তখন তার সেই ত্যাগকে সম্মান করুন।

পুরুষের শরীর হয়তো একটা আগ্নেয়গিরি, কিন্তু তার মনটা হলো সেই পর্বতের চূড়ায় থাকা বরফ। ভালোবাসা আর সম্মান পেলে সেই বরফ গলে শান্তির নদী হয়ে আপনার জীবনকে শান্তিতে ভরিয়ে দিতে পারে। আর অবহেলা আর অসম্মান পেলে সেই আগ্নেয়গিরি এমনভাবে ফেটে যেতে পারে, যা আপনার সাজানো সংসারকে ছারখার করে দেবে।

প্রশ্নটা আপনার কাছেই। আপনি কি তার শরীরের আগুনের কাছে হার মানবেন, নাকি তার ত্যাগের গভীরতাকে সম্মান করতে শিখবেন? পুরুষ কি কেবলই এক ক্ষুধার্ত পশু, নাকি আপনার জন্য সবকিছু বাজি রাখা এক যোদ্ধা? আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আজ নিজেকেই প্রশ্নটা করুন। সিদ্ধান্ত আপনার।

মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি গত মাসে। একমাত্র মেয়ে। ছেলেটা ছোট এখনো কলেজে পড়ে।আজ মেয়ের বাসায় দাওয়াত পরেছে। ইফতারের দাওয়াত। কাল রাত...
18/09/2025

মেয়েকে বিয়ে দিয়েছি গত মাসে। একমাত্র মেয়ে। ছেলেটা ছোট এখনো কলেজে পড়ে।
আজ মেয়ের বাসায় দাওয়াত পরেছে। ইফতারের দাওয়াত।
কাল রাতেই মেয়েকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করলাম - তোর কি কি খেতে মন চায়? কি আনবো?

মেয়ে আমার এক লম্বা লিস্ট ম্যাসেজ করে পাঠালো। কিন্তু লিস্টের কোথাও মেয়ের পছন্দের কোন কিছু দেখলাম না। আমার মিসেস কে বললাম - মেয়ে তো জীবনেও মিষ্টি খায় নাই। আজ এতগুলা পদের মিষ্টি নিতে বলল কেন?
ফলও তো কোনদিন জোর করে খাওয়াতে পারি নাই। তবুও ৬ পদের ফলের নাম লিখে দিছে। আবার লিখছে ১০ কেজি দেশি দুধ আর ৮ টা দেশি মুরগি নিতে। এগুলাও তো তারে খাওয়াইতে পারতাম না এই বাসায় রেখে। এক মাসেই মেয়ের খাবারের রুচি বদলে গেলো? যাক ভালো অভ্যাস হয়েছে।

সে কোন কথার উত্তর দিলো না। যেন তার এতে কোন মাথা ব্যাথা নেই।

সকাল সকাল উঠে ঠাটারি বাজার গিয়ে দেশি মোরগ নিলাম। আগের রাতে একজনকে গোয়ালের দুধ এনে দিতে বলেছিলাম। সেও নিয়ে হাজির।

যাওয়ার পথে ফল আর মিষ্টি কিনে নিবো।

আমি যখন দুপুর বেলা নামাজে পড় রেডি হচ্ছি তখন আমার স্ত্রী মাত্র কুরআন পড়তে বসলো।
তার মেয়ের বাড়িতে যে তার দাওয়াত সেটা সে পাত্তাই দিচ্ছে না।

জোরে এক ধমক দিয়ে বললাম - মেয়েটার বাসায় তাড়াতাড়ি যাবো। দুটো গল্প করবো তা না উনি দেরি করে যাবে।

সে এখানেও কোন কথা না বলে এক পাতা পড়ে উঠে গেলো রেডি হতে।
ছেলেকেও ধমকিয়ে রেডি করলাম।
আমার বাসা থেকে ওর বাসায় যেতে প্রায় ৪৫ মিনিট লাগে। রাস্তায় জ্যাম থাকলে আরো বেশি সময় লাগে।

এক সিএনজি তে সবার জায়গা হচ্ছে না।
আমি মুরগি দুধ নিয়ে এক সিএনজি তে উঠলাম আর মা ছেলেকে আরেকটায় তুলে দিলাম।
রাস্তা theke ওর লিস্ট করা সব ফল নিলাম।

আমার ভীষণ আনন্দ লাগছে। মেয়েটাকে কত দিন পর দেখবো। কত কথা জমে আছে।
ছেলের চেয়ে মেয়েটাকেই আমার বেশি আপন লাগে। ও জন্মনোর সময় বারবার করে আল্লাহর কাছে বলেছি আল্লাহ একটা জান্নাত দিয়েন আমার ঘরে। মেয়েটার নামও রেখেছি জান্নাত।

ওদের বাসায় গিয়ে দরজায় নক করতেই বেয়াই সাহেব গেট খুলে দিলো। একে একে সবাই আসলো আমাদের স্বাগতম জানাতে। কিন্তু মেয়েটা এলো না।
যা যা এনেছি সব ওদের হাতে তুলে দিচ্ছিলাম কিন্তু কারো মুখে তেমন আনন্দ দেখলাম না।

আমরা বসেছি পরে মেয়েটা দৌড়ে আসলো। আমাকে দেখেই হেসে বললো - তুমি অনেক শুকায় গেছো আব্বা। আমি উঠে দাঁড়িয়ে মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরতে হাত বাড়িয়ে দিলাম।

তখন আমার জান্নাত বললো - আব্বা আমার গায়ে অনেক ঘাম। তুমি ফ্যানের নিচে বসো। রেস্ট নেও। আমি চুলায় রান্না রেখে আসছি। আমি যাই।

আমার হাত দুইটা ওভাবেই নামিয়ে নিলাম।

সে তার মা আর ভাই এর সাথে কুশল বিনিময় করে রান্না ঘরে চলে গেলো।
আমাদের সাথে ড্রইং রুমে বসে রইলো তার শাশুড়ি, শশুর, জামাই আর দেবর।
রোজা রেখেছি তাই পানি খাওয়া সম্ভব না। আজ যে গরম টা পরেছে একদম মগজ গরম হয়ে যাওয়ার মত।

এই ভাবতে ভাবতে দেখি বেয়াই বললেন - আজ অনেক গরম পরেছে। আমার রুমে এসে বসেন। এসি টা চালিয়ে দেই।
তার রুমের দরজা দিয়ে এসিটা চালিয়ে দিলো।

এরপর সবাই নানা বিষয়ে কথা শুরু করলো।

আমার মনটা এসিতেও ঠান্ডা হচ্ছিলো না।
মেয়েটা আমার তখনও চুলার সামনে দাঁড়িয়ে এই গরমে রান্না করছে।

আসরের নামাজের সময় ওরা সবাই যখন নামাজে অন্য রুমে গেলো,মেয়ে আবার আসলো আমাদের কাছে।
এসে চুপিচুপি বলল - আব্বা তোমাকে না বলছিলাম ৩ রকমের মিষ্টি আনতে? তুমি এক রকমের অনলা কেন? মুরগি গুলাও ছোট। তরমুজটাও বেশি বড় না।

শুনে আমার মনটা আরও খারাপ হয়ে গেলো।
আমার স্ত্রী খুব স্বাভাবিক ভাবেই শুনছে।

আমি বললাম - তুই যে মিষ্টি খাস এটাই তো আমি জানিনা।
- আহা আব্বা আমার জন্য না। ওদের জন্য।

রুমে জামাই ঢুকলো আর মেয়ে আমার বলল - তোমরা বসে গল্প করো আমি রান্না করতে যাই।

ওর পুরা গা ঘামে ভেজা।

এই মেয়েকে কত যত্নে রেখেছি। গরমে যেন কষ্ট না করে তাই ওর রুমে সবার আগে এসি দিয়েছিলাম। এখন সেটা ছেলে ব্যবহার করে।
আর এখন মেয়েটা গরমে কত কষ্ট করছে। বিয়েতে জামাই কেও একটা এসি দিয়েছি। এবার গিয়ে দেখলাম ঐটা ওর শ্বশুরের রুমে লাগিয়েছে।

সবাই একেক করে
ইফতারের আগে দিয়ে সবাই টেবিলে বসলো। জামাই মোবাইলে কি যেন দেখছে আর হাসছে।

মেয়ে তখনও রান্নাঘরে।
একটু পর প্রায় ১০-১২ পদের ইফতার টেবিলে পরিবেশন করলো।
আজান দিলো।
মেয়েটা তখন আমার পাশে বসে একটু ইফতার করল।
ইফতার করা অবস্থায় ওর জামাই বলল - চায়ের পানি বসাও নাই?
জান্নাত চেয়ার থেকে উঠে বলল - আল্লাহ একদম ভুলে গেছি।
এই বলে আবার রান্নাঘরে দৌড় দিলো।

আসার পর থেকে মেয়েটার সাথে একটুও কথা বলার সুযোগ পাই নি।

সবার ইফতার শেষে যে যার মত টেবিলে থালা বাটি রেখে চায়ের কাপ নিয়ে উঠে গেলো আবারো এসি রুমে।
আমাদেরও ডাকলো।
আমি তখন বললাম - আমার অত গরম লাগছে না। আমি সামনের রুমেই বসি।

মন চাইলো না। আমার স্ত্রী ও ছেলে গেলো। কিন্তু আমি গেলাম না।
কারন আমার সামনেই জান্নাত সবার এটো থালা নিচ্ছে ধোয়ার জন্য।
আমি বললাম - তোর বাসায় বুয়া নেই?

মেয়ে একটু হেসে বলল - বুয়া আছে। কিন্তু সে তো তার কাজ করে সকালেই চলে গেছে।

ও রান্নাঘরে সব ধোয়া মাজা করছে।
আওয়াজ পাচ্ছি।
এর মধ্যে সবার চায়ের কাপ নিয়ে জামাই জান্নাতের কাছে এনে বলল - এই নাও কাপগুলো।

জান্নাত এগুলাও ধোয়া শুরু করলো।

সব ধোয়া শেষ করে ওড়নায় হাত মুছতে মুছতে আমার কাছে এসে বলল - আব্বা তুমি এখানে কেন? এই রুমে যে গরম। যাও ঐ রুমে গিয়ে বসে ওদের সাথে গল্প করো।

আমি বললাম - তুই আমার পাশে বস। একটু কথা বলি।

ও আবার হেসে বলল - আরে নাহ। রাতের ডিনার এখনো রান্না হয় নাই। ঐটা বসাতে হবে।

এই বলে উঠে গেলো।
আমি বসেই রইলাম।
কিছু ভালো লাগছে না। ভীষণ রাগ রাগ লাগছে।

রাতের রান্না শেষ করে জান্নাত সবাইকে টেবিলে ডাকলো। সবাই একেক করে বসলো।
আমি বললাম - আমার ক্ষুধা নাই। ইফতার বেশি খেয়ে ফেলছি।
জান্নাত জোর করে বলল - একটু হলেও খাওয়া লাগবে।
বেয়াই বেয়াইনো জোর করলো।
খেতে বসলাম কিন্তু খাওয়া ভেতরে যাচ্ছেনা।
সবাই খেতে বসেছে। সবাইকে খাবার বেড়ে দিচ্ছে আমার মেয়ে। কিন্তু সে বসলো না।
বলল সে সবার শেষে খাবে।
খেয়াল করলাম তার হাতে তেলের ছিটে আসা অনেকগুলো দাগ।
আমি জানি সবার খাওয়া শেষে সে আবারো রান্নাঘরে গিয়ে থালাবাটি ধুবে। হয়ত সব শেষ করে আরো কয়েক ঘন্টা পর খাবে।

তাই হলো। আমাদের খাইয়ে সে রান্নাঘরে গেলো ধোয়ার কাজ করতে।

আমার তখন রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে।
আমার স্ত্রীকে বললাম - বাসায় চলো। রাত হইছে।

সেও সম্মতি জানালো।
জান্নাত রান্নাঘর থেকে দৌড়ে আসলো। আর বলল - আরেকটু থাকো তোমরা।

বাকিরাও বলল।

আমি খুব করে বলতে চাচ্ছিলাম যতক্ষন থাকবো তোমাকে শুধু কাজ করতে দেখবো। আমার ভালো লাগবে না।

কিন্তু কিছু না বলে রাত বেশি হয়ে যাচ্ছে সেই দোহাই দিয়ে বেরিয়ে গেলাম।

পুরা রাস্তায় কেউ কোন কথা বললাম না। এবার এক সিএনজতেই আসলাম।

বাসায় ফিরে আর রাগ ধরে রাখতে পারলাম না।
জান্নাতের মাকে বললাম - আমি মেয়েকে কাল যেয়ে নিয়ে আসবো। মেয়ের অবস্থা দেখছো? ঐ বাসার কেউ মেয়েটাকে একটুও হেল্প করে না। সবাই সুন্দর আরাম করে। জামাইটাও একটা গাধা। বসে বসে মোবাইল টিপে। ননসেন্স ফ্যামিলি। এইখানে আর মেয়েকে রাখবো না। অনেক হইছে। তার উপর উনাদের বাজার পছন্দ হয় নাই বলে মেয়েকে না জানি কি বলেছে আর আমরা আসার পর কি কি যেন আরো শুনাবে। না না এখানে না।
ইডিয়েট একেকটা।

মিসেস খুব স্বাভাবিক ভাবে বলল - মাথা ঠান্ডা করো।
এই বলে সে কাপড় বদলাতে লাগলো।
আমি বললাম - আমি আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি তোমাকে দেখে। কিভাবে পারছো এগুলা দেখে স্বাভাবিক হতে? মেয়ের জন্য কি মায়া লাগে না?

শাড়ির পিন খুলতে খুলতে সে খাটেতে বসলো।
আমার দিকে তাকিয়ে বলল - তোমার মেয়ে যা করছে, সেটা আমিও বিয়ের পর থেকে করে আসছি। তোমার কোনদিন মনে হয়নি আমিও কারো মেয়ে। তোমার কোনদিন মনে হয়নি আমারো কষ্ট হয়। তোমার কাছে যেমন সব স্বাভাবিক লেগেছে আমার কাছেও এখন এসব স্বাভাবিক লাগে। আমি আমার বাবার বাড়ি যেতে নিলেই তুমি তোমার মায়ের অসুস্থতায় কে দেখবে তাকে বলে থামিয়ে দিতে। আমার বাবার বাড়ি থেকেও কেউ আসলে তাদের হাতের দিক তাকিয়ে থাকতো সবাই কি এনেছে এই দেখার জন্য। একটু কথা বলারও সুযোগ পেতাম না। নিজের পছন্দ সই খাবার খাই নি কতদিন। এরপর তো ভুলেই গেলাম কি যে আমার পছন্দ। আস্তে আস্তে ধরে নিলাম এটাই স্বাভাবিক জীবন।
আমার জন্য এগুলা নতুন না। তাই আমার কাছে সব স্বাভাবিক ই লেগেছে। যেভাবে আমার মায়ের লেগেছিলো আমার জন্য। শুধু জান্নাতের বাবা হলে হয় না। জান্নাতের স্বামীও হতে হয়। স্ত্রীকে জান্নাতের মত পরিবেশও করে দিতে হয়।

এই বলে সে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলল - রাতে তো খেয়ে এসেছি। গোসল সেরে আসি। সেহেরির রান্না করা লাগবে।

এই বলে সে উঠে বাথরুমের দিকে গেলো।

আমার মুখে শ' মনের একটা তালা দিয়ে গেলো।
মুখ দিয়ে কিছুই বের হচ্ছে না। এতো বছর পর যেন চাপা আগুন বের করলো আজ।

সে একটা কথাও মিথ্যা বলে নাই। স্ত্রীর জন্য যদি সেসময় আমার খারাপ লাগতো আজ হয়ত মেয়ের কপালটাতেও বিবেকবান এক স্বামী জুটতো।

কিছুই ভালো লাগছিলো না আর। উঠে গিয়ে এসি রুম থেকে ছেলেকে ডেকে বের করলাম।
বললাম- তোমার আম্মা এখন রেস্ট করবে।
আসো আমরা সেহেরির রান্নাটা করে ফেলি।

ছেলে বেশ হাসি মুখে আমার সাথে সঙ্গ দিতে চলে আসলো। বুঝতে পারলাম সে আমার মত বিবেকহীন হয় নি।
তার মা গোসল থেকে বেরিয়ে দেখল ছেলে সবজি কাটছে আর আমি চাল ধুয়ে ভাত বসাচ্ছি।

আমি ছেলেকে বলছি - শোন বাবা তোর বৌ যেন তোর মা আর বোনের মত কষ্ট না পায়।

সে দরজার ধারেই দাঁড়িয়ে রইলো। কিছু বলল না। তার চোখের দিকে তাকানোর সাহস হলো না। তবে মনে হলো তার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।

Collected

উঠতি বয়সে প্রায় সব মেয়েদেরই প্রচন্ড বিয়ের মোহ থাকে। সারাক্ষন দু’চোখ দিয়ে চারপাশে শুধু সুন্দর ছেলে খুঁজে বেড়ায়। এ বয়সে মে...
16/09/2025

উঠতি বয়সে প্রায় সব মেয়েদেরই প্রচন্ড বিয়ের মোহ থাকে। সারাক্ষন দু’চোখ দিয়ে চারপাশে শুধু সুন্দর ছেলে খুঁজে বেড়ায়। এ বয়সে মেয়েরা প্রেমে পড়লেই বিয়ের জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠে। এমন কি পালিয়ে বিয়ে করতেও এক পায়ে প্রস্তুত থাকে তারা।
কিন্তু যদি না কারো সাথে দীর্ঘ ও গভীর কোন এফেয়ার থাকে, বয়স বাড়লে, শিক্ষিত হলে, বিয়ের প্রতি তাদের অধিকাংশেরই একটা অনীহা জন্ম নেয়। পড়ালেখা করে ক্যারিয়ার গড়বার এক দুরন্ত জেদ চেপে বসে তাদের মনে। সে সময়ে অনেক ছেলেকে ভালো লাগলেও পছন্দ করবার মতো যোগ্য ছেলেটিকে তারা তখন আর খুঁজে পায় না কিংবা খোঁজার গরজও বোধ করে না।
এরপর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পুরুষদের পাশাপাশি যোগ্যতার প্রমান দেয়ার প্রচন্ড নেশা চাপে তাদের। সে পরীক্ষায় অনেকে সাফল্যও পায়। তারপর চলে নিজের পায়ে দাঁড়াবার, স্বাবলম্বী হবার সংগ্রাম, নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার সংগ্রাম।
কিন্তু ততোদিনে পদ্মা যমুনার জল গড়িয়ে যায় অনেক। মেঘে মেঘে হয়ে যায় অনেক বেলা। খরচ হয়ে যায় আয়ুর সোনালী অধ্যায়। বিয়ের বাজারে নিজের চাইতে যোগ্য ছেলে খুঁজে পাওয়া তখন দুস্কর হয়ে দাঁড়ায় তাদের জন্য। প্রচন্ড মেধাবী যে মেয়েটি অনার্স, মাস্টার্স পাশ করে phd শেষ করে ফেলে, কিংবা হয়ে যায় BCS ক্যাডার, বিয়ের বাজারে তারচেয়ে অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন পাত্রের খোঁজ করতে গিয়ে এক বিশাল ধাক্কা খায় সে—তিরিশ প্লাস যোগ্য পাত্রগুলি তার তিরিশ প্লাস বয়সটার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
একুশ বাইশ বয়সের যুবতীর বর্ণিল স্বপ্নগুলি তিরিশ পেরিয়ে বিবর্ণ হয়ে পড়ে। তার একদা উপচে পড়া চকচকে যৌবনের কোথাও কোথাও গোপন মরচে পড়ে। তার বিশাল আর আলো ঝলমলে পৃথিবীতে রাত নামতে থাকে। এই পৃথিবীতে একটা নিরাপদ আশ্রয় আর অবলম্বন ছাড়া যে সে ভীষন অসহায়, এতোদিন পর এই নির্মম সত্য অনুধাবন করে সে কাঁপতে থাকে অনিশ্চয়তায়। স্বামী সন্তান নিয়ে একটা ছোট্ট সুখী সংসারের জন্য সে সারা জীবনের কষ্টার্জিত সকল ডিগ্রী ও যোগ্যতা বিসর্জন দিতেও প্রস্তুত হয়ে পড়ে।
পাত্রী দের অবস্থা কেমন হয় তখন ???
============================
০১। ফ্রেন্ডলিস্টের একজন নারী সফল BCS যিনি ৩৪ বছর বয়সে এসে 'যোগ্য' পাত্র খোঁজা বন্ধ করে এখন 'মোটামুটি' মার্কা পাত্র খুঁজছেন। কতোটা কম্প্রোমাইজ ভাবা যায়???
০২। ফ্রেন্ডলিস্টের একজন ডাক্তার। ৬ বছর ধরে 'যোগ্য' পাত্র খুঁজতে খুঁজতে তিনি নিজেই অযোগ্য হবার যোগাড় হয়ে পড়েছেন। বয়স ৩৫ চলছে। ওনার পরিবারের প্রথম টার্গেট ছিল ডাক্তার পাত্র ছাড়া বিয়ে করবে না। ২৯ বছর বয়সে যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলো তখন কিছু সিনিয়র অবিবাহিত ডাক্তার পাত্র পাওয়া যাচ্ছিল, কিন্তু সেগুলো তাদের পছন্দ হচ্ছিল না। পাত্র খুঁজতে খুঁজতে বয়স এখন ৩৫ এ এসে দাঁড়িয়েছে। এখন আর ডাক্তার পাত্র পাচ্ছে না। মনে হয় আর পাবেনও না। এখন 'কম্পাউন্ডার' ছেলে পেলেও চলবে। ইভেন জুনিয়র ডাক্তার বা ওষুধের দোকানের মালিক কোন ব্যাপার না।
০৩। এই আপা একজন উচ্চশিক্ষিত, বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রী নিতে গিয়ে বিয়ের বয়স পার হয়ে গেছে। ওনার জীবনের লক্ষ্যই ছিল উচ্চতর ডিগ্রী নেয়া। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে কিন্তু ততোদিনে বিয়ের বয়স পার হয়ে গেছে। এখন এতো এতো ডিগ্রী সত্বেও পাত্র পাচ্ছেন না। ওনার বয়স এখন ৩৮/৩৯।
আসলে সময়ের কাজ সময় থাকতেই করতে হয়। লেখাপড়া, ক্যারিয়ার ইত্যাদির জন্য অনেক মেয়ে বিয়ের ব্যাপারে উদাসীন থাকেন।
কিন্তু যতো বড় ক্যারিয়ার থাকুক না কেন ছেলেরা চাইবে তার চাইতে মিনিমাম ৫/৬ বছর জুনিয়র মেয়েকে বিয়ে করতে। সেই হিসেবে শিক্ষিত সমাজে সবচেয়ে বেশি ডিমান্ডের মেয়েরা হয় ২০/২১ থেকে ২৬ বছর বয়সী।
অফিসে এক সিনিয়র কলিগ বললো-- "একটা সময় টাকার অভাবে চুলে শ্যাম্পু দিতে পারতাম না, আর এখন চুলের অভাবে শ্যাম্পু দিতে পারি না"।
সুতরাং সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
একজন বলেছিল-- বিয়ে প্রেম আবেগের বশেই হয়ে যাওয়া উচিত। বিবেক এসে গেলে সেটা আর সঠিক বয়সে হয় না।

Aashiq Banaya গানে ডাক্তার ইমরান হাশমি তানুশ্রীর শরীরের এলার্জি পরীক্ষা করতে চাইলে তানুশ্রী প্রথমে আপত্তি করে। যখন ডাঃ হ...
02/09/2025

Aashiq Banaya গানে ডাক্তার ইমরান হাশমি তানুশ্রীর শরীরের এলার্জি পরীক্ষা করতে চাইলে তানুশ্রী প্রথমে আপত্তি করে। যখন ডাঃ হাশমি আপত্তির প্রতি সম্মান জানিয়ে সিড়ি নেমে চলে যাচ্ছিলেন তখন চুলকানির তীব্রতায় তানুশ্রী নিচে নেমে ডাঃ কে কাছে টেনে প্রথমে নিজের গলা এবং ব্রাউন কালারের লিপিস্টক দেখিয়ে বুঝায় এখানে শুধু চুলকানি হয়। ডাঃ হাশমি দীর্ঘ অভিজ্ঞতা দিয়ে প্রথমে ঠোঁটের উপর ত্রিশ সেকেন্ডের একটা অপারেশন চালিয়ে তানুশ্রীর ব্রেনে সিগন্যাল পাঠান যে তিনি কত বড় মাপের ডাক্তার। পরবর্তীতে গলায় ঘাড়ে উনার বিখ্যাত নাক এবং ঠোঁট দিয়ে ঘ্রাণ শুঁকে বলে দেন কি কি মেডিসিন লাগবে।

মেডিসিনের ভয়ে তানুশ্রীর পায়ে কাঁপন ধরলে দরদী ডাক্তার তাকে কোলে করে নিয়ে প্রথমে সোফায় এক দফা গভীর ভাবে শারিরীক পরীক্ষা করেন। দ্বিতীয় দফায় কোন কোন জায়গায় পিম্পল উঠেছে দেখার জন্য ফিতা খুলে দেন। যথেষ্ট ভদ্রতা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ডাঃ হাশমি উনার পরীক্ষা চালিয়ে যান মাঝখানে পরীক্ষা ডিপ হয়ে যাওয়ায় পা তুলে তানুশ্রী এর প্রতিবাদও জানায়।

তৃতীয় দফায় বিছানায় নিয়ে ফাইনাল পরীক্ষা করতে চাইলে তানুশ্রী একটু ইতস্ততবোধ করে। ডাঃ হাশমি রোগীর ভয় কাটাতে নিজেও শার্ট খুলে বুঝিয়ে দেন তুমিও যা আমিও তা। এর মধ্যে শীতকাল থাকায় ঠান্ডা অনুভূতিতে তানুশ্রী কেঁপে উঠছিলো যা দেখে স্বয়ং ডাক্তার উনার লোমশ বুক দিয়ে বার বার তানুশ্রীর শরীরে তাপ উৎপন্ন করে দিচ্ছিলেন। এমন মানবিক দরদী ডাক্তার ভবিষ্যতে আর আসবে কিনা সন্দেহ।

একদম পা থেকে মাথা পর্যন্ত যেভাবে দীর্ঘ ৪ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড পরীক্ষা করে গেছেন তা আজকালর ডাক্তাদের মাঝে দেখাই যায়না। এরা শুধু পারে প্রেসক্রিপশন লিখে দায়সারা রোগী দেখতে। যাই হোক ডাঃ হাশমির প্রতি রেসপেক্ট এদের জন্যই তানুশ্রীর মত রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পায়। (রিপোস্ট)

এক বক্তৃতা চলাকালীন, একজন অধ্যাপক হঠাৎ এক গ্লাস জল তুলে ধরে উপরে তুলে ধরলেন। তিনি চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলেন, শুধু এটি ধরে র...
01/09/2025

এক বক্তৃতা চলাকালীন, একজন অধ্যাপক হঠাৎ এক গ্লাস জল তুলে ধরে উপরে তুলে ধরলেন। তিনি চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলেন, শুধু এটি ধরে রাখলেন, যখন ছাত্ররা একে অপরের দিকে তাকাতে শুরু করল, ব্যাখ্যার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। দশ মিনিট কেটে গেল, তবুও তিনি তার হাত নামিয়ে দিলেন না।

অবশেষে, তিনি জিজ্ঞাসা করলেন:
“আমাকে বলো, তোমাদের কি মনে হয় এই গ্লাসটির ওজন কত?”

ছাত্ররা অনুমান করতে শুরু করল:
“হয়তো কয়েক আউন্স!”
“চার আউন্স!”
“পাঁচ!”

অধ্যাপক হাসলেন।
“সত্যি বলতে, আমিও জানি না। জানতে হলে আমাদের এটি ওজন করতে হবে। কিন্তু এটাই আসল প্রশ্ন নয়। যদি আমি এই গ্লাসটি কয়েক মিনিট ধরে রাখি তাহলে কী হবে?”

“কিছুই না,” ছাত্ররা উত্তর দিল।

“ঠিক আছে। এখন, যদি আমি এটি এক ঘন্টা ধরে রাখি তাহলে কী হবে?”

“তোমার হাত ব্যথা করতে শুরু করবে,” একজন উত্তর দিল।

“ঠিক আছে। আর যদি আমি এটি সারাদিন ধরে রাখার চেষ্টা করি তাহলে কী হবে?”

“তোমার হাত অসাড় হয়ে যাবে, তুমি প্রচণ্ড ব্যথা পাবে, হয়তো চিকিৎসারও প্রয়োজন হবে,” ক্লাসের সবাই হেসে উঠলে আরেকজন বলল।

অধ্যাপক শান্তভাবে মাথা নাড়লেন।

“ঠিক আছে। কিন্তু বলো তো—কাচের ওজন কি কখনও বদলেছে?”

“না,” উত্তর এলো।

“তাহলে বাহুতে ব্যথা কেন? পেশীতে টান কেন?”

ঘরটি নীরব হয়ে গেল।

তারপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন:
“ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে আমার কী করা উচিত?”

“কাচটা নামিয়ে দাও,” কেউ একজন বললেন।

“ঠিক আছে!” অধ্যাপক চিৎকার করে বললেন। “জীবনের সমস্যাগুলি একইভাবে কাজ করে। যদি তুমি কয়েক মিনিটের জন্য এগুলো মাথায় বয়ে বেড়াও, তাহলে এটা কোন বড় কথা নয়। এগুলো নিয়ে বেশিক্ষণ ভাবো, আর এগুলো ব্যথা করতে শুরু করে। সারাদিন এগুলো নিয়ে ভাবো, আর এগুলো তোমাকে পঙ্গু করে দেবে—তুমি আর কিছুই করতে পারবে না।”

তিনি একটু থামলেন, তারপর এই কথাটি দিয়ে শেষ করলেন:
“এজন্যই প্রতিদিনের শেষে আপনার সমস্যাগুলি চেপে রাখা এত গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলির বোঝা বহন করে বিছানায় যাবেন না। বিশ্রাম নিন, রিচার্জ করুন, এবং আপনি শক্তি এবং স্পষ্টতার সাথে আগামীকালের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে ঘুম থেকে উঠবেন।”

During one lecture, a professor suddenly picked up a glass of water and held it up. He stood there quietly, just holding it, as the students began to glance at each other, waiting for an explanation. Ten minutes passed, and he still didn’t lower his arm.

Finally, he asked:
“Tell me, how much do you think this glass weighs?”

The students started guessing:
“Maybe a couple of ounces!”
“Four ounces!”
“Five!”

The professor smiled.
“Honestly, I don’t know either. To find out, we’d have to weigh it. But that’s not the real question. What happens if I hold this glass for a few minutes?”

“Nothing,” the students replied.

“Right. Now, what if I hold it for an hour?”

“Your arm will start to hurt,” one answered.

“Correct. And what if I try to hold it all day?”

“Your arm would go numb, you’d be in serious pain, maybe even need medical help,” another said as the class laughed.

The professor nodded calmly.
“Exactly. But tell me—did the weight of the glass ever change?”

“No,” came the reply.

“So why the pain in the arm? Why the tension in the muscles?”

The room fell silent.

Then he asked:
“What should I do to get rid of the pain?”

“Put the glass down,” someone said.

“Exactly!” the professor exclaimed. “Life’s problems work the same way. If you carry them in your head for a few minutes, it’s no big deal. Think about them for too long, and they start to hurt. Dwell on them all day, and they paralyze you—you won’t be able to do anything else.”

He paused, then finished with this:
“That’s why it’s so important to put your problems down at the end of each day. Don’t go to bed carrying the weight of them. Rest, recharge, and you’ll wake up ready to face tomorrow with strength and clarity.”

Collected

Address

Boro Ashulia, Ashulia, Savar
Dhaka
1341

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Khokon Vai posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Khokon Vai:

Share