Shawn Hossain

  • Home
  • Shawn Hossain

Shawn Hossain An expert in Digital Marketing, Branding & Customer Engagement. Results-oriented and adept at navigating evolving market landscapes.

 O+ve) Bloodআসিফ (o+ve) : 01682872300Shahariar (O+) : 01817770203Sajid (O+) : 01812747444Ovi (O+) : 01819106078Morshed (...
21/07/2025



O+ve) Blood
আসিফ (o+ve) : 01682872300
Shahariar (O+) : 01817770203
Sajid (O+) : 01812747444
Ovi (O+) : 01819106078
Morshed (O+) : 01813802789
Hashib (O+) : 01675247756
Faysal (O+) : 01814181625
Enam (O+) : 01814432072
Emad (O+) : 01674946131
Elias (O+) : 01818827368
Ehsan (O+) : 01817205540
Shuvo (O+) : 01670536856
Amit (O+) : 01675922154
Alamgir (O+) : 01919960925
Yasir (O+) : 01814274974
Asif (O+) : 01818055061
Arshad (O+) : 01922595331
Akram (O+) : 01818100074
Sharif (O+) : 01836418360
Rishat (O+) : 01670259170
Rakib (O+) : 01830093251
Rafiq (O+) : 01917476946
Shaikat (O+) : 01620467425
Nasif (O+) : 01821589858
Elias (O+) : 01835274866
জীবন (O+) :01319528037
মার্জিয়া (O+) : 01749715107
Masud (O+) : 01913268568
Khairul (O+) : 01957372711
Alamin (O+) : 01907288671
Shehap (O+) : 01718543451
Saif (O+) : 01934377887
Fahim (O+) 01791845079
Lipi (O+) : 01745594510
Selina (O+) : 01985271004
Sujon (O+) : 01926268816
Maksedul (O+) : 01620773736
Sadikul (O+) : 01752386853
Sojib (O+) : 01797769753
Rifat (O+) : 01821654169
Hasibur (O+) : 01724963572
Mollika (O+) : 01725727050
Arif (O+) : 01791947388
Sabbir (O+) : 01989749793
(A-ve) Blood
Sourav (A-) : 01753961657
Faysal (A-) :01830361562
Niloy (A-) : 01822116436
(B-ve) Blood
Emon ( : 01814287904
Mojammal ( :01818028020 , 01717887030
Shishir ( :01845807021
(O-ve) Blood
Showrav (O-) : 01816441130
Asif (O-) : 01861257845
Nabab (O-) : 01682506914
Tareq (O-) : 018222686
Sakil (O-) 01764155065
Abdullah Al Mamun (AB-): 01581173886

❗Only For Dhaka❗
(রক্তের গ্রুপ)-(ফোন নাম্বার)
A- Negative 01933892321
A- Negative 01844464155
A- Negative 01676335830
A- Negative 01883586717

A+ 01706926694
A+ 01689223789
A+ 01703268335
A+ 01875024194
A+ 01710376348
A+ 01928275633
A+ (Shajedul Sohag) 01747422792

AB- Negative 01913545498
AB+ 01626804795
AB+ 01925582350
AB+ 01790059606
AB+ 01558448484
AB+ 01919888277
AB+ 01770412286
AB+ 01925582350
B- Negative 01870435259
B- Negative 01722414689
B+ 01967507147
B+ 0130479265
B+ 01748446523
দয়া করে বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করেন, হতেও তো পারে আপনার উছিলায় কারো জীবন বাঁচলো।

19/07/2025

টপিক-১৯: নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারে জনতার আকাঙ্ক্ষা

🔹 ভূমিকা: গণতন্ত্রের ভিত্তি হলো সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন। কিন্তু বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে জনগণের মধ্যে এক গভীর হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এই হতাশার বহিঃপ্রকাশই দেখা গেছে জুলাই বিপ্লবের অন্যতম প্রধান দাবি হিসেবে “নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার”।

এই লেখায় আমরা বিশ্লেষণ করবো কেন জনগণ নির্বাচন পদ্ধতি সংস্কার চায়, তাদের দাবিগুলো কী, আন্তর্জাতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই চাহিদা কতটা যৌক্তিক, এবং সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা কী হতে পারে।

🔹 ১. জনগণের অসন্তোষ: নির্বাচন মানেই আর ভোট নয়?
সাম্প্রতিক জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনগুলোর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠে এসেছে তা হলো:

❌ নির্বাচনের আগেই ফল নির্ধারিত হয়ে যায়

❌ একতরফা নির্বাচন - একাধিকবার প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি বা অংশ নিয়েও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি

❌ ভোটকেন্দ্র দখল, রাতের ভোট, প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপ

❌ নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ

❌ ইভিএম ব্যবহারে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের অভিযোগ

👉 রেফারেন্স:

Human Rights Watch Report, Jan 2024

Transparency International Bangladesh (TIB) রিপোর্ট “নির্বাচনে জনগণের আস্থা হ্রাস পাচ্ছে” (2023)

🔹 ২. জুলাই বিপ্লবের মূল দাবিগুলোর মধ্যে “নির্বাচনী সংস্কার” শীর্ষে
জনতার প্রস্তাবিত দাবি:
১. ✅ নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল
২. ✅ নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ স্বাধীনতা ও জবাবদিহিতা
3. ✅ প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে লাইভ সিসিটিভি মনিটরিং
4. ✅ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক বাধ্যতামূলক করা
5. ✅ ইভিএম নয়, ব্যালট পেপার চালু রাখা
6. ✅ ব্ল্যাকলিস্টেড প্রিজাইডিং অফিসারদের প্রত্যাহার

ঐ দাবিগুলো আন্দোলনের পোস্টার, মিছিল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে।
👉 রেফারেন্স:

July24Biplob.com দাবি চার্টার (Open Collective Initiative, July 2024)

🔹 ৩. আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
🌍 কী বলছে বাইরের বিশ্ব?
EU Election Observation Mission (2024):

“Bangladesh must address structural flaws in election integrity to uphold democratic standards.”

UNDP Recommendations:

“Free and fair elections are not possible without independent oversight, neutral administration, and credible voter list management.”

Amnesty International:

“Widespread reports of coercion, suppression and manipulation must be investigated.”

👉 এসব বিবৃতি জনতার দাবিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে।

🔹 ৪. কেন এই সংস্কার জরুরি?
🔎 পরিণতিগুলো:
⚠️ নির্বাচনের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে

⚠️ ভোটদানে আগ্রহ কমে, অংশগ্রহণ হ্রাস পায়

⚠️ রাজনৈতিক বিভাজন আরও চরমে পৌঁছায়

⚠️ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়

⚠️ অনির্বাচিত বা বিতর্কিত সরকার পরিচালনা দুর্নীতির ঝুঁকি বাড়ায়

🔹 ৫. সম্ভাব্য সংস্কার পদ্ধতি (উপস্থাপনযোগ্য রূপরেখা)
সংস্কার পয়েন্ট সুপারিশ
নির্বাচনকালীন সরকার ৯০ দিনের নির্দলীয় ট্রানজিশন সরকার
কমিশন নিয়োগ পদ্ধতি সংসদের বাইরে নিরপেক্ষ কমিটি দ্বারা নিয়োগ
সিসিটিভি ও অনলাইন ট্র্যাকিং প্রতিটি কেন্দ্র থেকে লাইভ আপডেট
ব্যালট পেপার রিটার্ন ইভিএম সীমিতকরণ, পুনরায় ব্যালট পরীক্ষার সুযোগ
সুশীল সমাজের ভূমিকা নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকের স্বীকৃতি ও অংশগ্রহণ বাড়ানো

👉 রেফারেন্স:

Citizens’ Election Reform Manifesto (2024, Dhaka Forum for Democracy)

🔹 উপসংহার: বাংলাদেশের জনগণ আর কেবল ভোটের অধিকার নয়-নির্ভেজাল, নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক ভোটের অধিকার চায়। জুলাই-২৪ বিপ্লবের ভাষায় এটি ছিল একটি সংবিধানসম্মত, জনগণ কেন্দ্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থার আহ্বান। এই দাবির মাধ্যমে দেশের জনগণ দেখিয়ে দিয়েছে, তারা কেবল সরকার পরিবর্তনের নয়, ব্যবস্থা পরিবর্তনের দাবিদার।

❝ভোট মানেই যদি আগেই ঠিক হয়ে যায় কে জিতবে, তবে সেটি গণতন্ত্র নয়, অভিনয়।❞

🇧🇩 যদি সকল রাজনৈতিক দল এমন ঘোষণা দিত! 🇧🇩ছবিতে যাকে দেখছেন, তিনি আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান।তিনি ঘোষণা দিয়েছেন....➡ ন...
19/07/2025

🇧🇩 যদি সকল রাজনৈতিক দল এমন ঘোষণা দিত! 🇧🇩

ছবিতে যাকে দেখছেন, তিনি আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি ঘোষণা দিয়েছেন....
➡ নির্বাচিত হলে কোনো মন্ত্রী বা এমপি সরকারি বরাদ্দ নেবেন না
➡ ট্যাক্সবিহীন বিলাসবহুল গাড়ি কিনবেন না
➡ জনগণের টাকায় নিজের পকেট ভারী করবেন না
➡ চাঁদাবাজি করবেন না, দুর্নীতিতে জড়াবেন না
➡ বরং জনগণের কাছে পয়সা-পয়সার হিসাব তুলে ধরবেন।

তিনি আরও বলেন....
"আসন্ন লড়াইয়ে আমি শহীদ হতে চাই, কিন্তু দুর্নীতির সঙ্গে আপস করব না!"
কী সাহসী উচ্চারণ! কী স্পষ্ট বার্তা!

🤔 ভাবুন তো,
যদি এই রকম নীতিনির্ভর অঙ্গীকার সকল রাজনৈতিক দল ও তাদের নেতারা করতেন....
তাহলে কি দেশ আজ এই দুর্নীতি-অনিয়ম, লুটপাটে ছেঁয়ে যেত?

আমরা এমন রাজনীতি চাই....
👉 যেখানে নেতা নয়, সেবক তৈরি হয়
👉 যেখানে ক্ষমতা নয়, জবাবদিহিতা থাকে
👉 যেখানে বিলাসিতা নয়, আদর্শে পরিচালিত হয় নেতৃত্ব

আসুন, আমরা শুধু মুখে না, কাজে আদর্শবান নেতৃত্বকে মূল্য দিই।
ভোট হোক দায়িত্ববোধের, নৈতিকতার, স্বচ্ছতার পক্ষে।

আপনার মতামত কী?
এমন ঘোষণা কি দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে পারে না?

#নতুনরাজনীতি #আদর্শেরদল #ডাশফিকুররহমান #দুর্নীতিমুক্তবাংলাদেশ #নেতৃত্বনয়সেবক #জবাবদিহিতা

18/07/2025

টপিক-১৮: জুলাই বিপ্লব কি সত্যিই পরিবর্তন আনতে পারবে?

🔹 ভূমিকা: বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে জুলাই বিপ্লব একটি তাৎপর্যপূর্ণ অধ্যায় হয়ে উঠেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে, সোশ্যাল মিডিয়া জেগে উঠেছে, দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে উঠে এসেছে প্রতিবাদের আওয়াজ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই বিপ্লব কি সত্যিকার অর্থেই দীর্ঘস্থায়ী ও মৌলিক পরিবর্তন আনতে পারবে? নাকি এটি হবে ইতিহাসের আরও একটি "ফ্ল্যাশ ইন দ্য প্যান" অর্থাৎ হঠাৎ আলোড়ন তুলে মিলিয়ে যাওয়া ক্ষণস্থায়ী একটি ঘটনামাত্র?

🔹 পরিবর্তনের মাপকাঠি কী: পরিবর্তন কেবল সরকার বদল নয়, বরং তা রাজনৈতিক সচেতনতা, রাষ্ট্রীয় নীতিমালা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, আইনের শাসন এবং অর্থনৈতিক সুযোগে প্রভাব রাখে কিনা, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।

📌 তিনটি স্তরে পরিবর্তনের মূল্যায়ন করা যায়:

✅নৈতিক/সাংস্কৃতিক পরিবর্তন (মানসিকতা ও চেতনায় প্রভাব)
✅প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন (নতুন নীতিমালা, আইনি সংস্কার)
✅রাজনৈতিক পরিবর্তন (ক্ষমতার ভারসাম্য পরিবর্তন)

🔹 ইতিবাচক লক্ষণ
১. রাজনৈতিক সচেতনতার উল্লম্ফন
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা শুধু নয়, গ্রামীণ জনগণও এই আন্দোলনে সক্রিয় ছিল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় আগে কখনও দেখা না-যাওয়া হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড: ,

👉 রেফারেন্স:

[Dhaka Tribune, July 25, 2024 – “Youth-led movements surge in small towns”]

[TBS Report, “Protest messages trend globally on Twitter”]

২. নাগরিক সাংবাদিকতার উত্থান
পেশাদার মিডিয়া নিয়ন্ত্রিত হলেও সাধারণ জনগণ মোবাইলে ভিডিও করে সত্য ঘটনা ছড়িয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় উঠে এসেছে।

👉 রেফারেন্স:

Al Jazeera, 2024: “Citizen voices from Bangladesh flood the net”

BBC Eye – Digital Investigations, July 2024 Edition

৩. সরকারের নমনীয়তা
সরকার কিছু দাবি আংশিকভাবে বিবেচনায় নেয়:

কিছু জেলবন্দী মুক্তি

সংলাপের ইঙ্গিত

পুলিশি সহিংসতার তদন্তের প্রতিশ্রুতি

👉 রেফারেন্স:

Daily Star Editorial, July 27, 2024

UN Human Rights Office – Statement on Bangladesh Protest Response

🔹 পরিবর্তনের বাধা ও আশঙ্কা
১. নেতৃত্বের অভাব
বিপ্লবের কোনো সুসংগঠিত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেই, যা ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

👉 উদাহরণ: ২০১৮ সালের ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলন’ও এরকমই স্বতঃস্ফূর্ত ছিল, কিন্তু রাজনৈতিক পরিণতির দিক থেকে সীমিত ছিল।

২. রাজনৈতিক দলগুলোর দখল নেয়ার চেষ্টা
অনেক পুরনো রাজনৈতিক দল এই গণআন্দোলনের উপর নিজেদের ছায়া ফেলতে চাচ্ছে, ফলে সাধারণ জনগণের আস্থা কমে যেতে পারে।

👉 রেফারেন্স:

Prothom Alo, July 29, 2024: “Political parties eyeing movement for leverage”

৩. দমন-পীড়নের আশঙ্কা
ইতোমধ্যে আন্দোলনকারীদের ওপর গ্রেফতার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ইত্যাদি শুরু হয়েছে। এটি ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তনের পথে প্রধান বাধা।

👉 রেফারেন্স:

Amnesty International Report, August 2024: “Bangladesh: Crackdown threatens civil momentum”

🔹 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও সম্ভাবনা
যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে সমর্থন করে এবং রাষ্ট্রীয় সহিংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকে, তাহলে সরকার পরিবর্তনের দিকে যেতে বাধ্য হতে পারে।

👉 রেফারেন্স:

EU Parliament Session, August 2024 – Debate on Bangladesh Democratic Rights

Human Rights Watch: “Bangladesh must allow peaceful protest”

🔹 উপসংহার: পরিবর্তন কি আসছে? জুলাই বিপ্লব এখনো একটি চলমান অধ্যায়। এটি ইতোমধ্যেই মানসিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে, যেখানে তরুণরা সত্য, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন কতটা আসবে, তা নির্ভর করছে এই আন্দোলন কতদিন টিকে থাকে, নেতৃত্ব ও সংগঠনের শক্তি কতটা, জনগণ ও আন্তর্জাতিক চাপ কতটা ধারাবাহিক হয়।

❝পরিবর্তন তখনই টিকে থাকে, যখন তা কেবল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং আদর্শ ও কর্মপরিকল্পনার সাথে যুক্ত থাকে।❞

17/07/2025

টপিক-১৭: গুজব, সত্য ও প্রচার: তথ্য যুদ্ধে জুলাই বিপ্লব

ভূমিকা: বিপ্লব মানেই কেবল রাস্তায় প্রতিবাদ নয়; একে ঘিরে চলে আরেকটি জোরালো যুদ্ধ, তথ্যযুদ্ধ (Information Warfare)। জুলাই বিপ্লবের সময় বাংলাদেশ এক অনন্য বাস্তবতার মুখোমুখি হয়, যেখানে সত্য, গুজব ও প্রচার মিলে তথ্যের বিভ্রান্তি, উত্তেজনা এবং জনমত প্রভাবিত করে। এই যুদ্ধ ছিল অনেকাংশেই ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার (X), হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জারে। তথ্যের শুদ্ধতা ও প্রাসঙ্গিকতা নির্ভর করছিল উৎস, উদ্দেশ্য ও নাগরিক সচেতনতায়।

🔹গুজব কীভাবে ছড়ায়?
গুজব ছড়ানোর প্রধান মাধ্যম ছিল:
১. ভুয়া ভিডিও ক্লিপ বা কাট-পেস্ট করা বক্তব্য
২. ফেক স্ক্রিনশট বা নিউজ হেডলাইন
৩. ক্লিকবেইট শিরোনামে ইউটিউব ভিডিও
৪. হোয়াটসঅ্যাপ/মেসেঞ্জারে ফরোয়ার্ডেড বার্তা
৫. বট অ্যাকাউন্ট ও টার্গেটেড প্রচার

📌Case Study: রাজধানীর রাস্তায় সেনাবাহিনী মোতায়েন হয়েছে। এই গুজব একটি AI-Generated ফটো দিয়ে ছড়ানো হয়, যা ফেসবুকে কয়েক হাজার বার শেয়ার হয়। পরে দেখা যায়, এটি ছিল অন্য দেশের পুরনো ছবি। পরে অবশ্যই সেনাবাহিনী ঠিকই মোতায়েন হয়েছে তবে শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনী নীরব ভূমিকা পালন করেছে এবং অনেক ক্ষেত্রে নিরীহ-নিরস্ত্র আন্দোলনকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

🔹 কারা ছড়াচ্ছিল গুজব?
১. কিছু রাষ্ট্রপন্থী ট্রল গ্রুপ
২. কিছু অবৈধ রাজনৈতিক সংগঠন যারা জনমনে আতঙ্ক ছড়াতে চেয়েছিল
৩. কিছু Clickbait-ভিত্তিক ইউটিউব চ্যানেল, যারা শুধু ভিউয়ের আশায় মিথ্যা তথ্য দেয়
৪. এবং কিছু ভুল তথ্যপ্রবাহে অসচেতন সাধারণ মানুষ

রেফারেন্স: Digital Forensic Research Lab - DFRLab, 2024 Bangladesh Misinformation Report

TBS News, July 2024: “False video claims flood social media amid protests”

🔹 সত্য কিভাবে ধামাচাপা পড়ছিল?
১. সরকারপন্থী পেইজ ও ইউটিউব চ্যানেলগুলো অনেক সময় আন্দোলনকারীদের ‘বিদেশি এজেন্ট’, ‘জঙ্গি’, ‘চক্রান্তকারী’ হিসেবে প্রচার করে।
২. রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও সংবাদপত্র অনেক ক্ষেত্রেই নিরপেক্ষ না থেকে সরকারপন্থী ব্যাখ্যা দেয়।
৩. কিছু ক্ষেত্রে ফ্যাক্ট-চেকিং ওয়েবসাইট ও নাগরিক সাংবাদিকদের রিপোর্ট ছাপতে দেয়া হয়নি।

🔹 প্রচারের কৌশল: দুই পক্ষের কৌশল ভিন্ন
আন্দোলনকারীদের কৌশলসরকারপন্থী কৌশল
ফেসবুক লাইভরাষ্ট্রীয় মিডিয়া ব্রিফিং
প্রত্যক্ষদর্শীর ভিডিওসরকারি ভাষ্য প্রচার
ফ্যাক্ট-চেকিং ও রিপোস্টনির্দিষ্ট শব্দ ব্যবহার: ‘উসকানিদাতা’, ‘ষড়যন্ত্র’
হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেইন ( )কাউন্টার হ্যাশট্যাগ ( )

🔹 তথ্যযুদ্ধের প্রভাব
১. জনমনে বিভ্রান্তি: মানুষ বুঝতে পারছিল না—কারা সত্য বলছে।
২. আতঙ্ক ছড়ানো: অনেক এলাকায় গুজবে দোকান বন্ধ হয়ে যায়, মানুষ ঘর থেকে বের হয় না।
৩. আন্দোলনের ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন: ফেক নিউজ আন্দোলনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।

🔹 কিভাবে প্রতিরোধ করা হয়েছিল?
২. চলমান ফ্যাক্ট-চেকিং গ্রুপ:
BD FactCheck
Boom Bangladesh
Tattle Civic Tech India - July 2024 Bangladesh Protest Section

২. নাগরিক সচেতনতা ক্যাম্পেইন
“জেনে শেয়ার করুন” হ্যাশট্যাগ
শিক্ষার্থীরা তথ্য যাচাইয়ের উপর পোস্টার তৈরি করে

৩. সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের ইনভলভমেন্ট:
Meta (Facebook) কিছু ভুয়া পেইজ বন্ধ করে দেয়
X (Twitter) গুজব ছড়ানো অ্যাকাউন্ট ফ্ল্যাগ করে

🔹 আন্তর্জাতিক রেফারেন্স
UNESCO Report (2024):
"Digital Disinformation in South Asia"
“In July 2024, the Bangladesh protest became a textbook example of coordinated digital misinformation and counter-narrative warfare.”

Al Jazeera - “Bangladesh’s Battle Beyond the Streets: Truth Under Fire”

🔹 উপসংহার: তথ্যের লড়াই ছিল এই বিপ্লবের অন্যতম ফ্রন্টলাইন। গুজব আর প্রচারের আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছিল সত্য। এই বিপ্লব শুধু রাজপথে নয়, মোবাইল স্ক্রিনেও লড়েছে। আর তাতে জয়ী হবার জন্য সবচেয়ে বড় অস্ত্র ছিল তথ্যসচেতনতা ও ফ্যাক্ট-চেকিং। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এই বার্তাটাই সবচেয়ে জরুরি ❝যা জানি না, তা শেয়ার করব না। যা জানি, তা যাচাই করেই বলব।❞

16/07/2025

টপিক-১৬: জনগণের রক্তের মূল্য: শহিদ ও আহতদের কাহিনী

ভূমিকা: প্রতিটি বিপ্লবের একটি অদৃশ্য দিক থাকে, যেখানে শুধু ব্যানার, স্লোগান বা দাবিপত্র নয়, থাকে রক্ত, কান্না আর হারানোর গল্প। জুলাই বিপ্লব ইতিহাসে শুধু একটি ডিজিটাল কিংবা নাগরিক আন্দোলন নয়, বরং এমন এক অধ্যায় যেখানে নিরীহ মানুষ তাঁদের জীবনের বিনিময়ে প্রতিবাদের সত্যতা প্রমাণ করেছেন। এই প্রবন্ধে আমরা জানবো….
• কারা শহিদ হয়েছেন,
• কোথায়-কেন সংঘর্ষ ও আঘাত এসেছে,
• এবং সেই পরিবারগুলোর হৃদয়বিদারক অভিজ্ঞতা।

১. শহিদের তালিকা: জুলাই বিপ্লবের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ। তিনি রংপুরে পুলিশের গুলিতে শাহাদাত বরণ করেন। তিনি শাহাদাত বরণ করার পূর্বে পুলিশের সামনে দুই হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন, আমার দেশের পুলিশ আমার টাকায় কেনা গুলি হয়তো নিরস্ত্র আমার বুকে চালাবেন না! কিন্তু তার ধারণা মিথ্যা প্রমাণিত করে তৎকালীন আওয়ামী পুলিশ সদস্য তাকে তাক করে গুলি বর্ষণ করে। গুলি লাগার পর তিনি অবাক নয়নে বারবার নিজের দিকে এবং পুলিশ সদস্যের দিকে তাকাচ্ছিলেন। তিনি হয়তো ভাবছিলেন যে এটাও কি সম্ভব! এভাবেই তিনি আস্তে আস্তে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এরকম আরো একটি মর্মান্তিক শাহাদত বরণকারী হলেন মীর মুগ্ধ। কাঠফাটা রোদের তীব্র গরমে তিনি যখন আন্দোলনকারীদের পানি বিতরণ করছিলেন ঠিক তখনই তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে শাহাদত বরণ করেন। তার সেই কথাটি মানুষের কানে আজও প্রতিধ্বনিত হয় "পানি লাগবে, ভাই পানি......." এছাড়াও সরকারিভাবে স্বীকৃত নয়, কিন্তু জনগণের হৃদয়ে অমর আন্দোলনের সময় সরাসরি গুলিবিদ্ধ, পুলিশি লাঠিচার্জ ও ধাক্কাধাক্কিতে যারা প্রাণ হারান বলে প্রত্যক্ষদর্শী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানায় তাদের কয়েকজনের নাম নিচে দেয়া হলো।
১. মাহমুদুল হাসান (২৪)
• পেশা: মোবাইল দোকানের কর্মচারী
• অবস্থান: রূপনগর, মিরপুর
• ঘটনার বিবরণ: ২৫ জুলাই সন্ধ্যায় দোকান বন্ধ করে ফেরার পথে হঠাৎ সংঘর্ষে পড়ে গুলিবিদ্ধ হন।
• তার মা বলেন:
“আমার ছেলে রাজনীতি করতো না, শুধু ঠিকমতো বাঁচতে চেয়েছিল।”
২. আফরোজা সুলতানা (৩৭)
• পেশা: পোশাককর্মী
• অবস্থান: টঙ্গী
• বিবরণ: কাজে যাওয়ার পথে পুলিশের টিয়ার গ্যাসে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, পরে স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন।
• প্রতিবেশীরা বলেন:
“ও তো কারও বিরুদ্ধে না, শুধু জীবনযুদ্ধে ছিল।”
৩. মিজানুর রহমান (৩১)
• পেশা: রাইডশেয়ার চালক
• অবস্থান: সীতাকুণ্ড
• ঘটনার বিবরণ: রাস্তা বন্ধ থাকায় বিক্ষোভস্থলে ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান ও মাথায় আঘাত পান। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যুবরণ।
৪. নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (স্কুলছাত্র, ১৫)
• অবস্থান: খুলনা
• পরিস্থিতি: স্থানীয় বিক্ষোভ চলাকালে ধাওয়া খেয়ে নদীতে পড়ে মৃত্যু
তথ্যসূত্র:
• Ain o Salish Kendra (ASK) – July 2024 Protest Monitoring
• Human Rights Watch Bangladesh Section Report

২. আহতদের গল্প: কেউ চোখ হারিয়েছে, কেউ পা ভেঙেছে, কেউ বাকরুদ্ধ
সারাদেশে আনুমানিক ৫৫০+ মানুষ আহত হন, যাদের মধ্যে ৪০ জন গুরুতর এবং ১০ জন আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন।
উদাহরণ:
রুমি আক্তার (২৮), ফেসবুক লাইভ করছিলেন:
→ লাঠিচার্জে মাথায় আঘাত, ৩৩ সেলাই, এখনও কথা বলতে কষ্ট হয়।
সাজ্জাদ (১৯), বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী:
→ মিছিল থেকে ফেরার পথে লাঠি আঘাতে ডান চোখ অন্ধ হয়ে যায়।
তানভীর (২৬), ফুড ডেলিভারি রাইডার:
→ বিক্ষোভস্থলে পুলিশের ভ্যান তাকে চাপা দেয়, ডান পা কেটে ফেলতে হয়।
→ এখন হুইলচেয়ারে বসে বলে:
“আমার সব হারিয়েছি, শুধু প্রশ্ন রেখে গেলাম।”
তথ্যসূত্র:
• Prothom Alo, Daily Star Field Reports (26–30 July 2024)
• Medical Reports from Dhaka Medical College Hospital (DMCH)

৩. পরিবারগুলোর কান্না: ক্ষতিগ্রস্তরা এখনো প্রতিকার পায়নি
এই পরিবারগুলো…
• সরকার বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা পায়নি
• কেউ মামলা করতে গেলে থানায় গ্রহণ করা হয়নি
• উল্টো অনেকেই ‘উস্কানিদাতা’ বলে নজরদারির আওতায়
একজন শহিদের ভাই বলেন:
“আমার ভাই প্রতিবাদ করেনি, তবু মরে গেল। আমি প্রশ্ন করেছি, এই প্রশ্নই কি অপরাধ?”
আহত রুমির মা বলেন:
“শুধু একটা কথা চাই, আমার মেয়ের মুখ যেন রাষ্ট্র মনে রাখে।”

৪. এই ত্যাগের মূল্য কোথায়?
• এসব শহিদ ও আহতদের নাম কোনো সরকারি তালিকায় নেই
• কোনো শহিদ মিনার বা স্মৃতি ফলক হয়নি
• কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তৈরি হয়েছে:
"Virtual Wall of Martyrs - July24Revolt.org"
সেখানে লেখা….
“যাদের রক্তে এদেশের বিবেক জেগেছে, তাদের ভুলে যাব না।”

৫. ন্যায়বিচারের প্রশ্ন
দাবি বাস্তবতা
স্বাধীন তদন্ত হয়নি
ক্ষতিপূরণ নেই
চিকিৎসা সহায়তা সীমিত, NGO নির্ভর
মামলা অধিকাংশ স্থানেই গ্রহণ করা হয়নি
জবাবদিহি অনুপস্থিত
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে:
“এই নীরবতাই সবচেয়ে বড় অবিচার।”
রিপোর্ট: Amnesty Bangladesh, 31 July 2024

উপসংহার: জুলাই বিপ্লব শুধু ডিজিটাল পোস্টার, স্লোগান বা হ্যাশট্যাগে সীমাবদ্ধ নয়। এই আন্দোলনের গায়ে লেগে আছে মাহমুদের রক্ত, আফরোজার কান্না, রুমির মাথার ব্যান্ডেজ। আমরা যাদের নাম জানি না, তাদের রক্তেই লেখা হয়েছে এই বিপ্লবের সবচেয়ে নির্মম অধ্যায়। "তারা হারিয়ে গেছে ঠিকই, কিন্তু তাদের প্রশ্ন এখনো বাতাসে ভাসে। 'আমরা কি শুধু সংখ্যা, না এই দেশের মালিকও আমরা?'”

15/07/2025

টপিক-১৫: জুলাই বিপ্লবের দাবি ও বাস্তবতা: জনগণ যা চেয়েছে, কতটা যৌক্তিক?

ভূমিকা: ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব ছিল এক অরাজনৈতিক, নাগরিক-ভিত্তিক আন্দোলন। যেখানে মানুষ দলমত নির্বিশেষে একত্র হয়েছিল নিজের জীবনের বঞ্চনা ও নিরাপত্তাহীনতার বিরুদ্ধে। এই বিপ্লব শুধু আবেগ বা প্রতিবাদে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং তা নির্দিষ্ট কিছু দাবি ও প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছিল, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। এই প্রবন্ধে আমরা বিশ্লেষণ করবো- আন্দোলনকারীদের মূল দাবিগুলো কী ছিল,
সেই দাবিগুলো কতটা বাস্তবসম্মত ও অর্থনৈতিকভাবে যৌক্তিক, এবং সরকারের সেগুলোর প্রতি মনোভাব কেমন ছিল।

১. দাবিসমূহের সারাংশ (জুলাই-২৪ নাগরিক চার্টার)
আন্দোলনকারীরা যে ৫ দফা প্রস্তাবনায় সোচ্চার ছিল, তার সারমর্ম ছিল নিচের মতো:

দাবি- সংক্ষিপ্ত বিবরণ

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো- চাল, ডাল, তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ – নিয়ন্ত্রণমূল্য ও ভর্তুকি পুনর্বহাল
তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান- চাকরির সুযোগ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম, বেকার ভাতা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সংস্কার- মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা, সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা
দুর্নীতিবিরোধী ব্যবস্থা- জবাবদিহিমূলক নিরপেক্ষ তদন্ত, টেন্ডার ও নিয়োগে স্বচ্ছতা
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বৃদ্ধির দাবি- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি হাসপাতালের মানোন্নয়ন

উৎস: "July24CitizenCharter.org (আন্দোলনকারী প্ল্যাটফর্ম)"

২. বাস্তবতা যাচাই: দাবিগুলো কতটা অর্থনৈতিকভাবে যৌক্তিক?
দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ:
✅ যুক্তিযুক্ত:
২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে খাদ্যপণ্যে মূল্যবৃদ্ধি ছিল ২২%+
পেট্রোল ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে সব জিনিসের দাম বেড়েছে
বাজার মনিটরিং ও ভর্তুকি পুনর্বিন্যাস সম্ভব

চ্যালেঞ্জ:
আন্তর্জাতিক বাজারেও দাম বাড়ছে
ভর্তুকির জন্য বড় বাজেট প্রয়োজন

চাকরি সৃষ্টি ও বেকার ভাতা:
✅ যুক্তিযুক্ত:
১৮-৩৫ বছর বয়সী ৪৭% তরুণ ‘আংশিক বেকার’ (ADB Report, 2024)
ভারতের মতো দেশে ‘Startup Fund’, ‘Youth Allowance’ বাস্তবায়িত হয়েছে

চ্যালেঞ্জ:
বাজেটের সীমাবদ্ধতা
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কার:
✅ অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত:
২০২৩-২৪ সালে ৬৪ জন সাংবাদিক ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়রানির শিকার
জাতিসংঘ, আমনেস্টি, DW বারবার আইন সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে

✅ বাস্তবায়নযোগ্য:
বিদ্যমান আইনের ভাষা, ধারা সংশোধন করে সহজেই বাস্তবায়নযোগ্য

দুর্নীতি দমন ও জবাবদিহি:
✅ যৌক্তিক ও প্রয়োজনীয়:
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ (২০২৪)

✅ বাস্তবায়নের উপায়:
স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
অনলাইন টেন্ডার, অটোমেশন, নিরপেক্ষ তদন্ত

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বাজেট বৃদ্ধি:
✅ গুরুত্বপূর্ণ ও বাস্তবভিত্তিক:
বর্তমান বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় GDP-র মাত্র ৪.২%
WHO এবং UNESCO-র ন্যূনতম সুপারিশ: ৬-৭%

৩. সরকারের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
দাবি- সরকার কী বলেছে
নিত্যপণ্যের দাম- “আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় আমাদের কিছু করার নেই”
চাকরি- “সরকারি চাকরি সীমিত, যুবসমাজকে উদ্যোক্তা হতে হবে”
ডিজিটাল আইন- “আইন সংস্কার চলমান, তবে অপব্যবহার রোধে কড়া পদক্ষেপ প্রয়োজন”
দুর্নীতি- “দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করছে” (কিন্তু বাস্তবে রাজনৈতিক প্রভাব স্পষ্ট)
শিক্ষা/স্বাস্থ্য- “আমরা ধাপে ধাপে উন্নয়ন করছি” – কিন্তু বাস্তবতা সঙ্গতিপূর্ণ নয়

৪. বিশ্লেষণ: দাবিগুলো কতটা বাস্তবমুখী?
দাবি যৌক্তিকতা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ✅ মধ্যমমেয়াদে সম্ভব
চাকরি ও ভাতা ✅ রাজনৈতিক সদিচ্ছা দরকার
ডিজিটাল অধিকার ✅✅✅ অল্প খরচে বাস্তবায়নযোগ্য
দুর্নীতি দমন ✅ প্রশাসনিক স্বচ্ছতা প্রয়োজন
শিক্ষা/স্বাস্থ্য বাজেট ✅✅ ধাপে ধাপে সম্ভব

৫. জনসাধারণের উপলব্ধি: "আমরা বেশি চাইনি, প্রয়োজনটাই বলেছি"। একজন প্রতিবাদকারীর কথা:
“আমরা বিদ্রোহী না, আমরা দরকারি জিনিস চেয়েছি।
জীবনযাত্রা যেখানে অসম্ভব, সেখানেই তো জবাব চাইতে হয়।”

উপসংহার: জুলাই বিপ্লবের দাবিগুলো আবেগ নয়, ছিল যুক্তি ও বাস্তবতাভিত্তিক। তরুণদের চাকরি, শিক্ষার মান, বাজারে স্বস্তি, দুর্নীতির অবসান এসব কোনো বিলাসিতা নয়, মানবিক অধিকার। এই বিপ্লব প্রমাণ করেছে, জনগণ এখন আর শুধু প্রতিবাদ করতে জানে না তারা প্রস্তাবও দিতে জানে। এখন সরকারের প্রশ্ন নয়, জবাব দেওয়ার সময়।

14/07/2025

টপিক-১৪: আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও কূটনৈতিক বিবৃতি: বিশ্ব কীভাবে দেখেছে জুলাই বিপ্লব?

ভূমিকা: বিপ্লব বা গণআন্দোলন যখন কেবল দেশের অভ্যন্তরেই নয়, আন্তর্জাতিক মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে, তখন তার প্রভাব এবং গুরুত্ব বহুগুণে বেড়ে যায়। ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব, যেখানে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ তাদের জীবন-সংকট, দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্য, নিরাপত্তাহীনতা ও জবাবদিহির অভাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল তা আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচিত হয়।
এই প্রবন্ধে আলোচনা করবো….
• আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো কীভাবে প্রতিবেদন করেছে,
• বিভিন্ন রাষ্ট্র ও কূটনৈতিক সংস্থার প্রতিক্রিয়া কী ছিল,
• এবং এই বিপ্লব বাংলাদেশের বৈশ্বিক ভাবমূর্তিতে কী প্রভাব ফেলেছে।

১. আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন
BBC (UK):
"Bangladesh: Protest Voices Rise Online Amid Digital Repression"
প্রতিবাদ দমন ও ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক প্রতিবেদন
Al Jazeera (Qatar):
"Silent Revolution: Bangladeshis Take to Screens, Not Streets"
আন্দোলনের নতুন ধারা হিসেবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের প্রশংসা
Deutsche Welle-DW (Germany):
"Economic Anguish Triggers Citizen Outcry in Bangladesh"
দ্রব্যমূল্য ও বেকারত্ব নিয়ে মানুষের ক্ষোভকে তুলে ধরে
The New York Times (USA):
"A Digital Uprising in Bangladesh: Frustration Brews Under Censorship"
গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের স্বাধীন মত প্রকাশের সংগ্রামকে তুলে ধরে
তথ্যসূত্র:
• BBC World News – July 26, 2024
• Al Jazeera English – Bangladesh Protest Analysis
• DW Global Perspectives – July 2024

২. আন্তর্জাতিক সংস্থা ও কূটনৈতিক বিবৃতি
জাতিসংঘ (UN) - মানবাধিকার হাইকমিশন (OHCHR):
“বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করা হচ্ছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ডিজিটাল অধিকার নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে।”
Amnesty International:
“জুলাই বিপ্লবের সময় ইন্টারনেট বন্ধ, ডিজিটাল নজরদারি এবং গ্রেফতারের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিক অধিকারে হস্তক্ষেপ হয়েছে।”
Human Rights Watch:
“বাংলাদেশে ডিজিটাল রেইড ও ভয়ভীতির মাধ্যমে জনগণের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।”
তথ্যসূত্র:
• UN OHCHR Official Statement – July 2024
• Amnesty Report on Bangladesh – July 2024
• HRW: Digital Clampdown in South Asia

৩. রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক মিশনের প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস (ঢাকা):
“বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ এবং নাগরিক অংশগ্রহণ সবসময়ই আমাদের সমর্থিত মূল্যবোধ।” টুইটার পোস্টের মাধ্যমে
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) দূতাবাস:
“সুশাসন ও মানবাধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের উদ্বেগকে গুরুত্ব দিতে হবে।”
কানাডা দূতাবাস:
“ডিজিটাল প্রতিবাদ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির অংশ। মতপ্রকাশ দমন কখনোই স্থায়ী সমাধান নয়।” টুইট/স্টেটমেন্ট প্রকাশের তারিখ: ২৫-২৭ জুলাই, ২০২৪

৪. প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া
ভারত:
• সরকারিভাবে কোনো বক্তব্য না দিলেও, ভারতের কিছু পত্রিকায় মন্তব্য এসেছে-
“বাংলাদেশে সামাজিক বিস্ফোরণ রাজনৈতিক ভারসাম্যে পরিবর্তন আনতে পারে।”
পাকিস্তান:
• সংবাদমাধ্যম “Dawn” লিখেছে:
“বাংলাদেশের জনগণ নতুন এক ধরণের ডিজিটাল সংগ্রামের পথ দেখাচ্ছে।”

৫. আন্তর্জাতিক গবেষণা ও থিংক ট্যাংক বিশ্লেষণ
Brookings Institution (USA):
“This may be Bangladesh’s first digital civic movement. Its effects may not be visible now, but the political class must take note.”
Chatham House (UK):
“The government’s aggressive control over digital space may backfire in long run if socio-economic grievances are not addressed.”

৬. আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ও সম্ভাব্য প্রভাব
দিক প্রভাব
মানবাধিকার ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে: সেন্সরশিপ, দমন
বিদেশি বিনিয়োগ বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বেড়েছে-নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রশ্নবিদ্ধ
কূটনৈতিক চাপ উন্নয়ন সহযোগীদের তরফে গণতান্ত্রিক আচরণের আহ্বান
মিডিয়া মনোযোগ বাংলাদেশ আবার আলোচনায়-গণতন্ত্র ও মানবাধিকার ইস্যুতে

উপসংহার: জুলাই বিপ্লব ছিল শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ প্রতিবাদ নয়, এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রশ্ন তুলেছে ,বাংলাদেশ কোন পথে হাঁটছে? বিশ্বের চোখ এখন বাংলাদেশে। যেখানে জনগণ ডিজিটাল মাধ্যমে কণ্ঠস্বর তোলে, সরকার যদি তা দমন করে তাহলে তা শুধু দেশের ভিতর নয়, পুরো দুনিয়ার দরবারেও প্রতিধ্বনি তোলে। বিশ্ব বলেছে: “নেতৃত্ব মানে চাপ নয়, শ্রবণশক্তি।” “নির্বাচন গণতন্ত্রের শুরু, কিন্তু জবাবদিহি তার আত্মা।”

আলহামদুলিল্লাহ! 🌍আজকে আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, HP LIFE Foundation এর পক্ষ থেকে "AI for Beginners" কোর্স সফল...
14/07/2025

আলহামদুলিল্লাহ! 🌍

আজকে আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, HP LIFE Foundation এর পক্ষ থেকে "AI for Beginners" কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করে একটি আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট অর্জন করেছি।

এই কোর্সে অংশগ্রহণ করে আমি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)-এর প্রাথমিক ধারণা, এর ব্যবহারিক প্রয়োগ, ডেটার গুরুত্ব এবং AI প্রযুক্তির নৈতিক দিকগুলো সম্পর্কে মূল্যবান জ্ঞান অর্জন করেছি।

🔍 HP LIFE (Hewlett-Packard Learning Initiative for Entrepreneurs) একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্ল্যাটফর্ম, যেখান থেকে সার্টিফিকেট পাওয়া সত্যিই গর্বের বিষয়।

📘 এই অর্জন আমার ডিজিটাল দক্ষতা ও আন্তর্জাতিক মানের জ্ঞানভিত্তিক পেশাগত জীবনের পথে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার প্রমাণ।

আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই এই সুযোগ এবং অর্জনের জন্য।

🤖 শেখা কখনো থেমে থাকে না...
🎯 নতুন কিছু জানার ক্ষুধাই আমাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়!

আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন আমি আরও শিখতে ও শিখাতে পারি।

13/07/2025

টপিক-১৩: সরকারের প্রতিক্রিয়ায় ইন্টারনেট শাটডাউন ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ: জুলাই বিপ্লবের এক কালো অধ্যায়

ভূমিকা: গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনতার কণ্ঠস্বর সরকার যতটা গুরুত্বপূর্ণভাবে নেয়, ততটাই জরুরি হয় তার প্রতিক্রিয়া। কিন্তু যখন প্রতিক্রিয়া হয় দমনমূলক, ইন্টারনেট শাটডাউন, সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি, কিংবা গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ তখন তা পরিণত হয় এক নতুন সংকটে। ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের সময় সরকার যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছিল, তা একদিকে তথ্য প্রবাহকে রুদ্ধ করেছে, অন্যদিকে জনগণের উদ্বেগ, অবিশ্বাস ও প্রতিরোধ আরও উস্কে দিয়েছে।
এই প্রবন্ধে আমরা বিশ্লেষণ করবো….
• ইন্টারনেট শাটডাউন ও সেন্সরশিপের প্রভাব,
• গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ,
• এবং এর বিপরীতে জনগণের ডিজিটাল প্রতিক্রিয়া।

১. ইন্টারনেট শাটডাউন: “ডিজিটাল নিস্তব্ধতা”
ঘটনা:
• ২৩ জুলাই রাত ১১টা থেকে ২৫ জুলাই দুপুর পর্যন্ত, দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে (বিশেষ করে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ) ইন্টারনেট গতির মারাত্মক ধীরতা লক্ষ্য করা যায়।
• অনেকে VPN ছাড়া Facebook, YouTube, WhatsApp, Messenger-এ প্রবেশ করতে পারেননি।
সরকার কী বলেছে:
• “কারিগরি সমস্যার কারণে সেবা বিঘ্ন ঘটছে।”
• তবে টেলিকম খাতের একাধিক অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা যায়…
এটি ছিল “planned throttling”, অর্থাৎ ইচ্ছাকৃতভাবে গতি কমিয়ে দেওয়া।
তথ্যসূত্র:
• NetBlocks.org Internet Disruption Report: Bangladesh, July 2024
• AccessNow: Bangladesh Digital Blackout Tracker

২. গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ: "কথা বলো, কিন্তু শর্তে..."
কী ঘটেছে:
• কয়েকটি টিভি চ্যানেল ও অনলাইন পোর্টালকে সরকারের উচ্চমহল থেকে মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়….
যেন বিক্ষোভ, দ্রব্যমূল্য, নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে কোনো “ইমোশনাল” সংবাদ না প্রচার করে।
• কিছু পত্রিকার প্রতিবেদন রাতের বেলা ডিলিট বা রিভাইজ করা হয়।
উদাহরণ:
• একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয় “৩৫ জেলার মানুষ আন্দোলনে সংহতি জানাল”। এক ঘণ্টার মধ্যে লিংক ‘৪০৪ Not Found’ দেখায়।
• ইউটিউবভিত্তিক একটি সংবাদ চ্যানেলের ভিডিও টেক-ডাউন হয় “কমিউনিটি গাইডলাইন” ভঙ্গের অভিযোগে।

৩. সরকার কেন এই ব্যবস্থা নিয়েছিল?
সম্ভাব্য কারণ:
1. বিক্ষোভ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সেজন্য তথ্যপ্রবাহ রুদ্ধ করা
2. আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় যাতে “দেশ অস্থির” ভাবমূর্তি না যায়
3. সাধারণ মানুষের মাঝে ভয় বা বিভ্রান্তি তৈরি করা, যেন তারা আন্দোলনে যুক্ত না হয়
বিশ্লেষণ:
• Freedom House’s 2024 Report on Digital Repression in South Asia

৪. এর ফলাফল কী হলো?
দিক প্রতিক্রিয়া
তথ্য প্রবাহ জনগণ ঠিকমতো জানতে পারেনি কোথায় কী হচ্ছে
জনমনে ক্ষোভ ইন্টারনেট শাটডাউন দেখে আরও বেশি মানুষ ক্ষুব্ধ
বিকল্প মাধ্যম VPN, Telegram, বিদেশি মিডিয়ার লিংক ছড়িয়ে পড়ে
আন্তর্জাতিক দৃষ্টি BBC, Al Jazeera, DW প্রতিবেদন প্রকাশ করে “Bangladesh’s Silent Suppression”

৫. জনতার ডিজিটাল পাল্টা প্রতিক্রিয়া
• হাজারো মানুষ VPN ব্যবহার করে ফেসবুক, টুইটারে প্রতিবাদ চালিয়ে যায়
• TikTok, Reels-এ ভিডিও তৈরি করে বলেন:
“আমরা চুপ থাকবো না। ইন্টারনেট গেলেও আমরা আছি।”
• কয়েকটি হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ড করে:
o
o
o

৬. বিশ্লেষণ: ইন্টারনেট শাটডাউন কি ‘ডিজিটাল কারফিউ’?
হ্যাঁ, কারণ:
• নাগরিকদের তথ্য জানার অধিকার খর্ব হয়েছে
• স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা এসেছে
• নিরাপত্তার নামে মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে
কিন্তু এর বিকল্প কী?
• স্বচ্ছতা, সংলাপ ও জবাবদিহি
• দমন নয়, ব্যাখ্যা ও সমাধান সেটিই প্রকৃত নেতৃত্বের পরিচয়

উপসংহার: জুলাই বিপ্লবে সরকারের প্রতিক্রিয়ায় ইন্টারনেট শাটডাউন এবং গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ একটি দুঃখজনক, অথচ গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হয়ে থাকবে। যখন রাষ্ট্র নিজেই মানুষের চোখ ও কণ্ঠস্বর বন্ধ করতে চায়, তখন তা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক ইঙ্গিত। তবে এই ঘটনাও প্রমাণ করেছে “নেট নেই তো কী হয়েছে, মনের ইন্টারনেট কেউ বন্ধ করতে পারবে না।” এক তরুণের ফেসবুক পোস্ট।

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shawn Hossain posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Shawn Hossain:

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share