02/09/2024
Attention please:
বাংলাদেশের ইতিহাসে রক্তক্ষয়ী জুলাইয়ের পর, গণঅভ্যুত্থানের উত্তাল বাতাস বইছে। আগস্ট এসেছে নতুন করে ইতিহাস রচনার জন্য, কিন্তু এত সহজে পরিবর্তনের সুযোগ হয়তো নেই। ভারতের সাম্প্রতিক তৎপরতা এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। শেখ হাসিনাত্তর বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার একের পর এক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে দাবি করেছে জার্মানির বনভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দা মিরর এশিয়া।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের প্রথম প্রজেক্ট চালু হয়েছে ১ সেপ্টেম্বর থেকে, যা চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এই প্রজেক্টের মূল লক্ষ্য হলো ড. ইউনুসের সরকারের ওপর ইসলামপন্থীদের প্রভাব বিস্তার করেছে এমন একটি বয়ান তৈরি করা।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, আন্দোলনকারীদের সাথে হিজবুত তাহরীর সংশ্লিষ্টতা প্রমাণের চেষ্টায় জনগণের মধ্যে ভয় সৃষ্টির প্রচেষ্টা চলছে। এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হচ্ছে তরুণ বামপন্থী নেতাদের। ইতোমধ্যে তিনজন বামপন্থী সাবেক ছাত্রনেতার সাথে দিল্লির এক সাংবাদিক দীর্ঘ আলোচনা করেছেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতের অগ্রাধিকারে রয়েছে, তরুণদের কোনো দল গঠনের সুযোগ না দিয়ে বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালানো। ইতোমধ্যে ভারতের অভ্যন্তরে একটি গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে, যাদের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের এই মিশন সম্পন্ন করা। এছাড়াও, ‘ভিক্টর টু’ নামে একটি সেল তৈরি করা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশ সম্পর্কিত সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই যখন হাসিনা সরকার শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেন, তখন ধীরে ধীরে পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। পরে শেখ হাসিনার বিশেষ অনুরোধে এবং ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টার সরাসরি তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৪০০ র কর্মী ঢাকায় আসে এবং কাশ্মীরি কায়দায় আন্দোলন দমন করে ফিরে যায়।
তবে, পরবর্তী সময়ের পরিস্থিতি নিয়ে র উদ্বিগ্ন ছিল না। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ৫ আগস্টের পর ১০ আগস্ট সংখ্যালঘুদের সমাবেশের আড়ালে একটি প্রতিবিপ্লবের পরিকল্পনা করা হয়, যেখানে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় সাংবাদিক ঢাকায় উপস্থিত ছিলেন।
সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে, ১৫ আগস্ট আরেকটি পরিকল্পনা করা হয়, কিন্তু সেটিও ব্যর্থ হয়। বর্তমানে শেখ হাসিনা ভারতের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর সুরক্ষিত একটি ভবনে অবস্থান করছেন এবং সেখানে বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করছেন। তার মনোবল ফিরিয়ে আনতে নিয়মিত সাক্ষাৎ করছেন তার কন্যা সাইমা ওয়াজেদ পুতুল।
ভারতে দীর্ঘ সময় থাকার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা চলছে, এবং এসব ঘটনার পিছনে ভারতীয় আগ্রাসনের ছায়া ক্রমশ ঘনিয়ে আসছে। বাংলাদেশ কি তার নতুন ইতিহাস লিখবে, নাকি এই আগ্রাসনের সামনে মাথা নত করবে? এই প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা, কিন্তু একে উপেক্ষা করা যাবে না।
বিপ্লবের পথিকৃৎ, প্রস্তুত হও—কালের অমোঘ পরিবর্তন সামনে এসে দাঁড়িয়েছে!
(Source: BVNEWS24 on YouTube)