01/11/2023
"যদি আসলেই এই বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেট টিমকে সাপোর্ট করতে চান, তাহলে সব সাপোর্ট সরায় নেন। স্পনসরশিপ সরান, ব্র্যান্ড এম্বাসাডরশিপ সরান, সবকিছু সরান। শুধুমাত্র তখনই বোর্ড এবং প্লেয়ারদের মনে হবে ডিম পাড়া হাঁসটাকে বাঁচানো দরকার।
যতদিন তারা ওইসব ঠিক করবে ততদিন অন্য কাউকে সাপোর্ট দিয়ে উঠান।"
এটা এমন একজন মানুষের কথা, যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ৫ মার্কেটিং এজেন্সির একটির সিওও।
একটু বুঝায়ে বলি, এজেন্সির কাজ হয় ব্র্যান্ডের সাথে। ব্র্যান্ডই আমাদের রুটি রুজি, সে ব্র্যান্ড গুলো কাজ করায় সেলেব্রেটিদের দিয়ে।
তো এখানে এই স্ট্যাটাসে অনেক ব্র্যান্ডের রোষের মুখে পরার বেশ ভালো সম্ভবনা আছে। যেখানে ঊনার এজেন্সিতে এমন ব্র্যান্ড মিনিমাম ৩/৪টা আছে যারা ক্রিকেটারদের এন্ডোর্স করে।
তারপরও উনি শুধুই ক্রিকেটের একজন একনিষ্ঠ প্রেমিক বলেই এমন কথা পাবলিক প্ল্যাটফর্মে বলেছেন।
আমি একজন ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনার এ্যান্ড আ ব্র্যান্ড কিউরেটর। আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করছি।
যখনই কোন ক্রিকেটারের নাম সাজেসনে আসবে প্ল্যানারদের তরফ থেকে, যে উনাকে কাস্ট করালে ব্র্যান্ড ম্যাক্সিমাম এক্সপোজার পাবে। তখনই আমি তাকে কাস্ট করতে না করে দিব।
এবং যারা ক্রিকেটারদের এন্ডোর্স করে, এমন ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট আমি যতদূর আমার পক্ষে সম্ভব হয় আমি ব্যবহার করা বন্ধ করে দিব।
এই ক্রিকেটারদের সবচেয়ে বড় ইনকাম সোর্স হল এন্ডোর্সমেন্ট। এটা বন্ধ হলে শুধু বিসিবির বেতনে চলতে হলেও টনক নড়বে। এবং তাদের সাথে বিসিবিরও, যেহেতু তারাও চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারদের ইনকামের একটা অংশ পায়।
আমি কাউকে আহবান জানাচ্ছি না এগুলো করতে, শুধু জানাচ্ছি আমার নিজের অবস্থানটা।
ধন্যবাদ।