03/08/2024
মনে পরে কি বিডিআর বিদ্রোহের কথা সেই ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় তৎকালিন বিডিআরদের একটি গ্রুপ দ্বারা সংগঠিত বিদ্রোহ যেখানে সরকারি হিসাবে মেজর জেনারেল ৫৭ জন ও অন্যান্য সেনা কর্মকর্তা ১৭ জন বেসামরিককে হত্যা করে ( যেখানে ১৩০ জনেরও বেশি নিয়মিত সেনা কর্মকর্তা বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হয়েছেন এবং ৭২ সেনা কর্মকর্তা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।) এই হত্যাযগ্যের পর ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আরও ২৫৬ জনকে তিন থেকে দশ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এরপর ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ ই মে বাংলাদেশের ঢাকায় সংঘটিত মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের তৎকালীন সদ্যপ্রসূত ইসলামী অরাজনৈতিক জোট হেফাজতে ইসলামের গনসমাবেশ, আন্দোলন এবং তাদেরকে বিতাড়িত করার জন্য সরকার কর্তৃক পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সমন্বিত বাহিনীর ব্যবহার করে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস এর তথ্যমতে ২৫০০ হাজার ও হেফাজতে ইসলামের তথ্যানুযায়ী ৩০০০ হজারের অধিক সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয় এবং সংবাদ কভারেজ রিপোর্টারদের তথ্য মতে এই হত্যাকান্ড এতই বেশি যা সরকার কোনদিন তা জানতে দিবে না বলে জানান।
তারপর আসি
২০১৮-এ কোটা সংস্কার আন্দোলন যেখানে উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে ২৬২ জন আহত (কতজন মারা গেছে তা জানা যায় নি) এর প্রেক্ষিতে সরকার কোঠা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে।
কিছু সর্বশেষ সরকার নাটকিয় ভাবে হাইকোর্ট এর রায়ের মাধ্যমে পরিপত্র টি বাতিল করে। ফলশ্রুতিতে ছাত্র সমাজ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ করে যার উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্য বিরোধী কোঠা সংস্কার আন্দোলনে কিন্তু সরকার তার সজ্জিত বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ও সরকারি মদদে পালিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে ছাত্রদের দমন নিপীড়ন ও গণহত্যার চালায় যেখানে হাজার শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারী আহত হয় ও পাশাপাশি ২৬৬ জনের অধিক নিহত হয় এবং এই নিহতের সংখ্যা প্রতি দিন বেড়েই চলেছে এবং এই ১৪ দিনে ১০,৫০০-এর অধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করে। এই যে এত হত্যা, গুম করে অধিকার হরন করে ভোট জালিয়াতি করে দেশের নিরীহ মানুষকে জেলে ভরে এই সরকার এখনো ক্ষমতায় নিজেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছে।
আমি ধিক্কার জানাই।
আমার মনে পচন্ড ঘৃণা ছাড়া তার জন্য কিছুই নেই।
আমার প্রান প্রিয় নেতা বলেছিলেন বাংলাদেশের উত্তর গগনে কালো গনো আবাস দেখা যাচ্ছে যা এখনই প্রতিহত না করিলে স্বাধীনতা সূর্য আর না ও উঠতে পারে। সেই কথা আজ আমি দেখতে পাচ্ছি ।
আর একটি কথা বলে শেষ করতে চাই যে ব্যক্তি কোন জালিম কে একটি কথার মাধ্যমে আমি আবার বলছি কোন কাজ না শুধুমাত্র একটি কথার মাধ্যমে সাহাজ্য করে তার কেয়ামতের দিন হাসর হবে তার সাথে।
আমি আরো স্মরণ করিয়ে দিতে চাই অন্যায় ভাবে একজন মানুষকে হত্যা করল সে যেন দুনিয়ায় সকল মানুষকে হত্যা করল।
আর যে ব্যক্তি তাকে সমথর্ন করল সেও তাতে অংশ নিল।
আর যে ব্যক্তি কোন মুসলিম কে অন্যায়ভাবে হত্যা করে তার ঠিকানা চিরস্থায়ী জাহান্নাম ।
তথ্যসূত্র
https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%86%E0%A6%B0_%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%B9
Facebook
https://m.facebook.com › media › set
ভয়াল ৫ই মে গণহত্যা – বাংলাদেশের ইতিহা