চিরকুটে ভালবাসা

চিরকুটে ভালবাসা �আপনার মনের জমানো কথাগুলো আমাদের লিখে পাঠান আমরা তা পৌঁছে দিবো হাজারও মানুষের কাছে।
"ধন্যবাদ"

02/08/2025

সামান্য কোটা আন্দলোন কে কেন্দ্র কইরা আইজ একটা চাঁদাবাজ দল গঠনে আমরা জনগন সমান অপরাধে অপরাধি.....
সত্য শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্য.....

আমাদের বাংলাদেশ আগামীতে একটা গালিতে পরিণত হবে ,অন্যান্য দেশ সমূহ বাঙ্গালির নাম নেওয়ার পূর্বে একটা করে গালি দিয়ে নাম নেবে।

ওরা নিজেরাই সৎ নয় অথচ
ওরা অসৎ সঙ্গ তাড়াতে মরিয়া......
ওদের কোনো বিচার হচ্ছে না কারণ বর্তমান সময় টা ওদের.......

ওরা ভুলে গেছে
সময় সব সময় নিজ হস্তে থাকে না.....

ওরা এখন একটা গালি
এবং একটা অসৎ চক্র ব্যতীত কিছু না.....

একেকজন মাত্র এক বছরে যত কামিয়েছে তা বিগত কোনো সরকার তাদের ক্ষমতা থাকা অবস্থাতেও কামায় নাই.....

একেকজন আঙুল ফুলে কলাগাছ আর চেহারায় হয়েছে ফুলে উঠা বেগুনের মত.....

আসলে জনগন টা যে কারা
সেটাই মাথায় ঢুকে না....।

দল ব্যতীত কোনো জনগন আছে বলে মনে হয় না........
ভাই জনগন আমি ,যে কোনো দল সাপোর্ট করিনা কারণ প্রত্যেকেই চোর বাটপার চাদাবাজ আর জোচ্চর।
দেশের উন্নতির খোজ নাই ,দারিদ্রতা কিভাবে দূর করবে তার কোনো চিন্তা নাই ,লেখাপড়ার ব্যবস্থা ভালো নাই সেদিকে খেয়াল নাই,জিনিস পত্র কাচামালের দাম আসমানে তা নিয়ে মাথা ব্যথা নাই,আইছে দেশ গঠন করতে।
যে কোঠা নিয়ে এত কাহিনি সে কোঠার অবসান কতটুকু হইলো...?

পুরাণ কোঠার ভাত নাই আবার নতুন কত কোঠা বানাইলো.....ধ র্ষ ন বাচ্চা খু ন এগুলোর মাত্রা বেড়েই চলেছে তার অবসানের চিন্তা নাই আছে শুধু চাঁদাবাজি নিয়া..... তাহলে বিগত সরকারগুলোর কি দোষ ছিলো...?একই তো রে ভাই সেই একই অপরাধ তো তোমরাও করতাছো....

মুক্তিযুদ্ধ অস্বিকার করলে সে বাঙ্গালিই না কারণ যুদ্ধ আমরার মামা চাচারাও করছে ওটা ছেলে খেলা ছিলো না,তারা যুদ্ধ করছে তামসা দেখাইতে জীবন দেয় নাই শহিদ হয় নাই।

ভবিষ্যৎ এ তোমাদের ছবিতেও লোকে হিসু করবে কারণ অতীত তোমরাই শেখাইছো সে রাস্তা চিনাইছ.....
ফ্যসিবাদি দূর করতে আইসা নিজেরাই ফ্যাসিবাদি হইয়া গেলা........

বলি যদি লোভ সামলাতে না-ই পারবা তাহলে নিজেদের অনেস্ট দাবি কইরা ওয়ালে ওয়ালে বড় বড় লেকচার দেও কেনো....?
বিদেশ বইয়া কলকব্জি তোমাদের দুই বাপ লাড়তাছে আর তোমরা সে বাপের কথায় নাচতাছো......

ফ্যসিস্ট যাওয়ার সময় যেমন একাই গেছে সবাইরে মায়ের ভোগে রেখে তেমনি তোমরাও কাউরে পাইবা না তোমাগো আব্বারেও না......

পোস্ট কেউ গায় মাখবেন না,
রাগ থেকে লিখছি।
দেশটা ভালো নেই
ওরা ভালো থাকতে দেয় নি।

একটা দেশ এতদিন অহেতুক উপদেষ্টা দিয়ে চলছে কোনো সরকার ছাড়া....
কবে সরকার আইবে তারো কোনো নিশ্চয়তা নাই.....
উনুস সাব বইয়া কি কাম ডা করতাছে
তারো কোনো দিক পাইনা.....

কোনো কাজ কইরা শান্তি পাইনা ,
সামান্য বার্থ সার্টিফিকেট বানাতে গেলেও শালার টাকা খাওয়ানো লাগে অলিতে গলিতে। তারউপর সময় নষ্ট তো আছেই।

সব খানেই স্বমন্নয়ক নামক দালাল গালি বিদ্যমান ,সবাই টাকার কাঙ্গাল......

শেষ কথা সব মাছ-ই গু খায়
আর অহেতুক রাঘব বোয়াল আর পাঙ্গাসের নাম হয়........

✍️ আমি 🤮🤮🤮

21/07/2025

মাইলস্টোন কলেজের ভিতরের দৃশ্য 💔😭

21/07/2025

দূর্ঘটনাস্থলে তখনও এম্বুলেন্স পৌঁছাতে পারেনি। তাই আশেপাশের মানুষজন পুড়ে যাওয়া বাচ্চাদের কোলে নিয়েই দৌড়াচ্ছিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যে।

মেট্রো স্টেশন থেকে সবচেয়ে কাছের হাসপাতাল মন্সুর আলী মেডিকেল কলেজের রেগুলার ভাগা ৩০-৪০ টাকা। কিন্তু রিকশাওয়ালারা চাচ্ছিল ১২০ টাকা, ১৫০ টাকা।

মাইলস্টোন থেকে কাছাকাছি মর্ডান হাসপাতালে রেগুলার ভাড়া ২৫০-৩০০ টাকা, অথচ সিএনজিওয়ালারা চাচ্ছে ১০০০ টাকা, ১২০০ টাকা।

একজন লোক পুড়ে যাওয়া একটা বাচ্চাকে নিয়ে অনেকক্ষণ যাবত ঘুরছিল কিন্তু একটা রিকশাওয়ালা, সিএনজিওয়ালাও রেগুলার ভাড়ায় যেতে চাচ্ছিল না। তাদেরকে বেশি ভাড়াই দিতে হবে।

এমনকি একটা প্রাইভেট কার পর্যন্ত থামেনি পুড়ে যাওয়া মাসুম বাচ্চাগুলোকে নিয়ে যাওয়ার জন্যে। এইদিকে বাচ্চাগুলোর পুরো শরীর পোড়া,শরীরের মাংস গলে গলে পড়ার মতো অবস্থা।

বাচ্চাগুলো তখন পোড়া শরীর নিয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছিল, গোঙাচ্ছিল শুধু।

এদেশের মানুষগুলো এমন কেন.? বিপদ দেখলেই ওরা সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেয়। এদেশের মানুষগুলো সভ্য হবে কবে.?

গল্প_বড়ো-জা  #পর্ব_২আমার ছয় বছরের ছেলেটা বোনকে বুকে চেপে প্রাণপণে দৌড়াচ্ছে।পেছনের কুকুরগুলো তাদের ধাওয়া করেছে।আমি দৌড়ে ছ...
14/02/2025

গল্প_বড়ো-জা
#পর্ব_২

আমার ছয় বছরের ছেলেটা বোনকে বুকে চেপে প্রাণপণে দৌড়াচ্ছে।
পেছনের কুকুরগুলো তাদের ধাওয়া করেছে।
আমি দৌড়ে ছেলেকে জড়িয়ে ধরলাম।

আমায় দেখে কুকুরগুলো উল্টো পথে চলে গেল।ছেলে ভয়ে কথা পর্যন্ত বলতে পারছে না।
জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিচ্ছে।
মেয়েটা গগনবিদারী চিৎকার করছে।নিজেকে পাগল পাগল মনে হচ্ছে আমার।
মেয়েকে কোলে নিয়ে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে বলি,”শান্ত হও বাবা।আম্মু চলে এসেছে।আর কোনো ভয় নেই তোমার।
কুকুর গুলো কী তোমায় কামড়েছে?
ধাওয়া কেন করল তোমাদের?”

“আমি জানিনা আম্মু।
আমি তো আপুকে নিয়ে বসেই ছিলাম,হঠাৎ কোথা থেকে কুকুর গুলো এসে আমাদের দিকে তেড়ে আসে।
আমি ভয় পেয়ে আপুকে নিয়ে দৌড়েছি।
আমার কোথাও লাগেনি।
তুমি আর আমাদের রেখে যেও না কেমন!
আমার ভীষণ ভয় করছে।”

আমি ছেলের কপালে চুমু দিয়ে বললাম,”আর ভয় নেই।আম্মু আছে তো।
চলো আমরা নতুন বাড়ি যাই।আজ থেকে আমরা নতুন বাড়ি থাকব।”

ছেলেকে নিয়ে সেই বাড়ির কাছে গেলাম।
গিয়ে দেখি বাড়িওয়ালা দরজাতেই দাড়িয়ে আছে।
আমাদের দেখে এগিয়ে এলো সে।মেয়েকে কোলে নিয়ে বলল,”বাহ ভারী মিষ্টি মেয়ে তো তোমার!
এমন চান্দের টুকরা ছেলে,মিষ্টি মেয়েকে কীভাবে ছেড়ে দিল তোমার স্বামী!”

আমি জবাব দিলাম না কোনো।উত্তর দেওয়ার মতো কোনো কথাও নেই।

বৃষ্টির বেগ বাড়ছে ক্রমাগত।
সময় নষ্ট না করে বাড়িওয়ালা খালার থেকে একটি ঝাটা চেয়ে এনে ঘরটা পরিষ্কার করতে লাগলাম।
কী যে বিশ্রি গন্ধ!ঝাড় দিতে দিতে দু-বার বমিও করেছি।
কোনো মতে ঘরখান পরিষ্কার করে ভাবতে লাগলাম,এই মাটির মেঝেতে দুটো ছেলে-মেয়ে নিয়ে শুই কীভাবে?
ভাঙা বেড়ার ফাক গলিয়ে বৃষ্টির পানি ছিটছে ঘরে।
অল্প সময়ের মাঝেই হয়ত ঘরটা কাঁদা কাঁদা হয়ে যাবে।
আমার এমতাবস্থায় বাড়িওয়ালা খালার হয়ত মায়া হলো কিছুটা।
তার রান্নাঘর থেকে দুটো প্লাষ্টিকের চট মতো এনে দিল।
ঘরের এককোণে সেগুলো বিছিয়ে দিয়ে মেয়েকে নিয়ে বসলাম।
খালার দিকে কৃতজ্ঞতা স্বরুপ তাকিয়ে বললাম,”আপনায় ভীষণ ধন‍্যবাদ খালা।এই বিপদের সময় আপনি আমায় সাহায্য করলেন।”

সে পান চিবিয়ে বলল,”তা করলাম ঠিক আছে।
বস্তা দুটো তুমি রেখে দিতে পার।দুটোর দাম হিসেবে আমায় বিশটাকা দিও।”
তোমার ছেলের খিদে পেয়েছে নিশ্চয়।
সাথে তো কিছুই নেই তোমাদের।দোকান ও সব বন্ধ।
আমার ঘরে একটা রুটি আছে।দিয়ে যাই খেয়ে নাও।ওটার দাম দিতে হবে না সমস্যা নেই।”

তিনি চলে গেলেন রুটি আনতে।
আমি শুধু ঝিম ধরে বসে রইলাম।ভাবার মতো বিষয়টিও খুঁজে পাচ্ছিনা।

খালা একটাই রুটি আনল সত্যি করে।তাও সেই রুটি প্রচন্ড শক্ত ও পিপড়ে ধরা।না জানি কতোদিন ঘরে রেখেছিল।

রুটি দিয়ে চলে গেলেন তিনি।
ছেলে কামড় দিয়ে রুটির এক টুকরোও ভাঙতে পারল না।
আমার দিকে ফ‍্যালফ‍্যাল করে তাকিয়ে রইল।
বলল,”এটা আমি খাব না আম্মু।তুমি না দুপুরে বাড়িতে চিকেন রান্না করলে রাতে খাওয়ার জন্য।
আমি চিকেন খাব।
আমায় বাড়ি নিয়ে চলো।চিকেন খেয়ে আবার এখানে আসব।”

আমি কিছুটা কড়া গলায় বললাম,”ঐ বাড়ি আর আমাদের নয়।ওখানকার খাবার উঠে গেছে আমাদের ভাগ্য থেকে।
আমি পানি এনে দিচ্ছি।তুমি ফোনের টর্চটা বাইরে ধরে থাকবে।”

মেয়েকে শুইয়ে দিয়ে বৃষ্টিতে ভিঝেই টিউবওয়েলের কাছে গেলাম।রুটির বাটিটি নিয়ে গেলাম পানি আনতে।
এতো শক্ত টিউবওয়েল যে বলে বোঝানো যাবেনা।
যতো চাপছি নোংরা পানি বের হচ্ছে।সম্ভবত অনেকদিন ব‍্যবহার করা হয়নি এটি।
প্রায় আধঘন্টা টিউবওয়েল চেপে স্বচ্ছ পানি বের করলাম।
পেটের একদিক ব‍্যাথা করছে রীতিমতো।

ছেলেকে সেই পানি দিয়ে রুটি টুকরো করে ভিজিয়ে খাইয়ে দিলাম।খেতে চায়না বেচারা।
তবুও খেল পেটের দায়ে।

এবার ঘুমোনোর পালা।
ছেলে বলছে,”কোথায় ঘুমাব আমি?বালিশ নেই।বেড নেই।কোথায় ঘুমাব?”

আমি সামান্য হেসে বলি,”মায়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমাও।বালিশ লাগবেনা।”

অবুঝ ছেলে আমার তাই করল।
রাত বাড়তে লাগল। বৃষ্টি বাড়ছে।সেই সঙ্গে প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস।
শরীর আমার কেঁপে কেঁপে উঠছে।
এক সাইটের প্লাষ্টিক কাগজের বেড়া উড়ে যাচ্ছে বাতাসে।বিদ‍্যুৎ চমকাচ্ছে সেই সঙ্গে।
ওদিকে জঙ্গল।বাজের আলোয় স্পষ্ট জঙ্গল দেখা যাচ্ছে।মনে হচ্ছে এই বুঝি কোনো হিংস্র জন্তু ঘরে ঝাপিয়ে পড়ে।
দোয়া-দরুধ যা পারি পরছি।
ছেলে শীতে আমার বুকের মাঝে ঢুকে পড়ছে যেন।মেয়েটাকে বুকে চেপে বসে আছি।
হাত-পা নিজেরই অবশ লাগছে।

সারারাত কেঁদেছি আমি।
কোথায় দুতলা বাড়ি ছিল আমাদের।ছেলে-মেয়ের আলাদা বেড।কতো সৌখিনতা ও সুন্দর জীবন ছিল।
আজ কীনা সেই ছেলে-মেয়ে দুটোই শীতে কাঁপছে।পোলাও,মাংসের বিপরীতে অন‍্যের দেওয়া শুকনো রুটি।
মা হয়ে এত দুঃখ আর সহ‍্য হচ্ছেনা আমার।
কিছু একটা ব‍্যবস্থা করতেই হবে আমায়।

ভোররাতে দু-চোখ একটু লেগেছে আমার।
সকালে খালার ডাকে ঘুম ভাঙে।
পা নিয়ে আর উঠে দাড়াতে পারছি না আমি।ব‍্যাথায় ছিড়ে যাচ্ছে।একটানা সারারাত বসে থেকেছি।
তবুও উঠলাম কষ্ট করে।খালা বলল,”বিশটাকাটা নিতে এলাম।
আমার আবার একটু বাজারে যেতে হবে।”

মনে মনে বলি,আমার এই বিশটাকার জন্য আপনার বাজার আটকে থাকবে!
পার্স থেকে একশত টাকার একটি নোট বের করে দিয়ে বললাম,”বিশটাকা আপনি রাখুন।
আর আমার ছেলেটার জন্য একটা পাউরুটি এনেদেবেন।”

তিনি টাকা নিয়ে চলে গেল।

ছেলেকে টিউবওয়েলের কাছে নিয়ে বললাম মুখ ধুয়ে নাও।আজ আমরা বাড়ি যাব।

ছেলে আমার মহা খুশি।
আসলে বাড়ি যাব আমার কাগজপত্র গুলো নিতে।
যদিও খুব একটা আশা ভরসা নেই।তবুও চেষ্টা করতে চাই।
সামান্য এস.এস.সি সার্টিফিকেট দিয়ে কী কিছু সম্ভব?
হাল ছাড়া যাবেনা না।চেষ্টা করলে ক্ষতি কী?

খালা পাউরুটি এনে দিলেন।বাকি টাকা আমার হাতে দিলেন।
আলিফ অর্থাৎ আমার ছেলেকে পাউরুটি খাইয়ে মেয়েকে ফিডিং করিয়ে রওনা হলাম।
ব‍্যাথা পা নিয়ে হাঁটতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল।তবুও গেলাম হেঁটে হেঁটেই।

বাড়ি গিয়ে দেখলাম পরিবেশ অন‍্যরকম।
আকাশের পরণে লাল টকটকে পাঞ্জাবী।ক্লিন সেভ করেছে।চুল স্টাইল করে কাঁটা।গায়ে কড়া পারফিউম।
শাশুড়ির পরণেও নতুন শাড়ি।বড়োজার হাতা কাঁটা ব্লাউজ,জর্জেট শাড়ি।মুখে ভারী মেকআপ।
জায়ের তিন ছেলে মেয়ে।বড়োমেয়েটার বয়স বারো।সেই মেয়েটিরও প্রচুর সাজ।হাঁটাচলা,কথাবার্তা দেখলে মনে হয় কলেজে পড়ে।এতো স্টাইল।

আমি দরজার কাছে দাড়াতেই আকাশ তেড়ে এলো।
ছেলে দৌড়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলল,”দেখ বাবা আমরা চলে এসেছি।তুমি কী আমাদের মিস করেছ?”

আকাশ পশুর মতো আমার ছেলেটাকে দূরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল।
ছেলে আমার কিছু বলল না।এমন ব‍্যবহার সে আগেও পেয়েছে বাবার থেকে ।আমি বলতাম,বাবার মন খারাপ তাই এমন করছে।মন ভালো হলে তোমায় আদর করবে।

ছেলে এবারেও তাই ভাবলো।
দৌড়ে ঘরে চলে গেল আমাদের।

শাশুড়িমা এগিয়ে এসে বলল,”এইনা বললে কাবিনের টাকা নেবে না।ঠিক ভিক্ষুকের মতো চলে এসেছ হাত পাততে।”

বড়োজা তার মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বলল,”মা রশ্মি কখান হাড় এনে কুকুরটার মুখে ছুড়ে মার তো।”

আমি চেচিয়ে বললাম,”কুকুর তো আপনি।
আপনার স্বভাবটাও কুকুরের মতো।আমি এখানে টাকা নিতে আসিনি।আমার কিছু কাগজপত্র রয়ে গেছে এখানে সেগুলো নিতে এসেছি।”

আকাশ বিশ্রি ভাষায় বলল,”কেন রে?নতুন নাগর ধরতে যাবি নাকি?
তোর কাগজ নেওয়াচ্ছি আমি।”

ঘর থেকে একটি ফাইল আনে সে।এটাতেই রয়েছিল সব।
আমার চোখের সামনে সব পেপার্সগুলো আগুন লাগিয়ে দেয়।
বাধা দিতে গেলে বড়োজা থাপ্পড় বসায় আমার গালে।তার মেয়ে রশ্মি আমার চুল ধরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
মেয়ে কোলে আমার।কোনোমতে বাঁচি।

আমি পুলিশের কাছে যাওয়ার কথা বলি।আকাশ হাসতে হাসতে বলে,”যাবি যা।ছেলে-মেয়ে দুটোকেই হারাবি।বলব তুই নোংরা।নাগর নিয়ে ভেগেছিলি।
আমার দুজন মামা পুলিশ।কেস কীভাবে ঘুরিয়ে দিতে হয় তা তারা জানে।
আর খানায় গিয়ে কেস লড়তে টাকা লাগে।টাকা আছে তোর কাছে?
তোর মুখের কথা কেউ বিশ্বাস করবে না।তোর বিপক্ষে আমি একশ জন দাড় করাব।দেখি তুই পারিস কী করে!
ছেলে-মেয়ে দুটোই কেড়ে নেব আমি।
এর কদিন পর শুনবি ছেলে পানিতে ডুবে মরেছে,মেয়ে হারিয়ে গেছে।”

“তোর লজ্জা হয়না?
নিজ সন্তানকে হত‍্যা করতে চাস।”

“কিসের সন্তানরে?সন্তান সন্তান করে আমার ভবিষ্যৎ নষ্ট করব নাকি?
জীবনে কোনো ইনজয়ই করতে পারিনি এইসব ঝামেলা পালতে গিয়ে।
অথচ আমার জীবনে এখনো কতোকিছু বাকি।
আমি এসবের কথা চিন্তা করে আমার সুখ বিসর্জন দিতে পারব না।
এখন আমার ওড়ার সময়।মহল্লার সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে আমার বউ হবে।আমার হবু শশুর আমাদের হানিমুনের জন্য কানাডার টিকেট ও করে দিয়েছে।
ইনজয় করব সুন্দরী বউ নিয়ে।সারা জীবন বসে যাওয়ার জ‍্যাকপট পেয়ে গেছি আমি।
আমার শশুর আমার মুখ দেখে আইফোন দিয়েছে।
বিয়েটা হবে সবচেয়ে বড়ো সেন্টারে।কত নামিদামি লোক আসবে জানিস?
তোর সঙ্গে থাকলে এসব পেতাম?সারাজীবন গাধার খাটুনি খেটে তোদের পালতে হতো আমার।জীবনে শখ-আল্লাদ ছিল না।
এবার আমি সব পাব।”

“তোর মতো কাপুরুষের শেষ পরিণতি যেন ভয়ংকর হয়।
আমি তন্নি ফিরব অবশ্যই।তোর চেয়ে তিনগুণ ধনী হয়েই ফিরব।
এই এতিমের ভাগ্য সে নিজেই এবার পরিবর্তন করবে।
যেই মরিচিকার পেছনে তুই ছুটছিস তা তোকে ধ্বংস করে দিবে।
আজ আমি এতিম বলে আমায় রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দিলি না?একদিন সময় আসবে,এই এতিমের পায়ে পড়বি তুই।
আবর্জনা বলে যেই সন্তানদের মেরে তাড়িয়ে দিলি,সেই সন্তানের জন্য হাহাকার করবি তুই।
জীবনে অর্থ পাবি,কিন্তু সুখ-শান্তি পাবিনা তুই।”

আকাশ বলে,”টাকা থাকলে সুখ আপনাআপনি আসবে।”

শাশুড়িমায়ের দিকে তাকিয়ে বললাম,”ছোট থেকে মায়ের আদর পাইনি।আপনাকে মা বলে মেনেছি।বড়ো বউমার টাকার কাছে আজ আপনারা আমায় ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিলেন।
এ পথ থেকে উঠব আমি অবশ্যই।ভাববেন না মরে যাব।আপনাদের চূড়ান্ত পরিণতি দেখতে আমাকে থাকতেই হবে বেঁচে।দেখবেন,শেষকালে এই নাতী-নাতনি একমাত্র অবলম্বন না হয়।
যেদিন আমার সময় আসবে,একই ভাবে আকাশকে ছুড়ে ফেলব আমি।”

ওদিকে আমার ছেলেটা নিজের বাড়ির টেবিল মনে করে একগ্লাস জুস হাতে নিয়েছে সবে।
আকাশ ধেয়ে যেয়ে ছেলের হাত থেকে ছো মেরে গ্লাস কেড়ে নেয়।
বাচ্চার হাত ধরে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়।
মাটিতে পড়ে হাটু ছিলে কান্না করতে লাগে আমার ছেলে।
আমার সইতে না পেরে একটি ইটের টুকরো উঠিয়ে আকাশকে নিক্ষেপ করি।
আকাশের হাতে লাগে তা।
শাশুড়িমা চিৎকার করতে লাগে।
আমি নাকি তার বাড়ি এসে তাদের মারধর করছি।

প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসে।
আমার হাতে আরেকটি ইট ছিল তখন।
বড়োজা তার আটবছরের ছেলে ও মেয়েকে হাতে আচড় কেঁটে রক্ত বের করে বলে,আমি নাকি তার ছেলে-মেয়েকে মেরে রক্তাক্ত করেছি।
ওদের বাড়ির দলিল পুড়িয়ে দিয়েছি।আকাশকে ইট মেরেছি।শাশুড়ির চুল ধরেছি।এসব করেছি কাবিনের টাকার জন্য।তারা নাকি কালই আমায় টাকা দিত।আমি আজ চাইতে এসে তাদের মেরেছি।

কজন মহিলাতো বিশ্বাস করেই নিল সবটা।

আমায় বের করে দেওয়ার পর তারা এলাকাতে ছড়িয়েছে আমি ঝগড়া করে প্রেমিকের সঙ্গে চলে গেছি।
বাচ্চা দেখে প্রেমিকও আমায় তাড়িয়ে দিয়েছে।
আমার দেওয়া দুঃখ নাকি সইতে না পেরে আকাশকে আজই জোর করে বিয়ে দিচ্ছে আমার বড়োজার বোনের সঙ্গে।
মহিলাগুলো ওদের কথাই বিশ্বাস করেছে।কেননা আমার শাশুড়ি শুরু থেকেই আমার নামে নিন্দা করত,মিথ‍্যে বলত তাদের কাছে।
এদিকে আমি তেমন বাড়ি থেকে বের হতাম না আর তাদের সাথে কথাও বলতে দিত না আকাশ তাই সত‍্য কখনো সামনে আসেনি।

আমায় নিয়ে ছি-ছিৎকার শুরু হলো।
খুনি,ডাকাত থেকে শুরু করে যা তা বলতে লাগল আমায়।
দু-তিনজন আবার আমার পক্ষেই বলছে।
বলেই বা লাভ কী?

আমাদের বাড়ির সঙ্গে লাগোয়া এক ভাবির বাড়ি।
ভীষণ ভালো তিনি।নামাজি,পর্দাওয়ালি একজন নারী।
আমার সঙ্গে তারই একটু আধটু কথা হতো।
সে জানত আমার অবস্থা সম্পর্কে।

তিনি আমায় পাশে দাড়ায়।
ছেলেকে উঠিয়ে কোলে নেয়।
আমাকে নিয়ে তার বাড়ির আঙিনায় নিয়ে যায়।

একটা চেয়ারে বসিয়ে বলে,”তন্নি তুমি চলে যাওয়ার পর তোমার শাশুড়ি কেঁদে কেটে সবাইকে মিথ‍্যা রটিয়েছে।
তুমি নাকি পরপুরুষের সঙ্গে বহুবার ধরা পরেছ।এবং তোমার মেয়েও নাকি আকাশের সন্তান না।
আরো অনেক কথা হয়েছে।
তোমার শোকে নাকি আকাশ ভাই মরতে যাচ্ছিল।সে তোমাকে ভীষণ ভালোবাসত।তুমি তাকে ঠকিয়েছ।
তোমার বড়োজা তখন জনদরদী সেজে বলেছে,তার অবিবাহিত বোনের সঙ্গে আকাশ ভাইয়ের বিয়ে দিয়ে আকাশ ভাইয়ের সম্মান বাঁচাবে।
আসলে এগুলো সবই মিথ‍্যা।আকাশ ভাইয়ের সঙ্গে তার বোনের বিয়ে দিতেই এতো কিছু করেছে সে।
তোমাদের স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভাঙন সেই ই ধরিয়েছে।
যা হওয়ার হয়েছে।তোমায় ঘুরে দাড়াতে হবে বোন।
আমি চাইলেই আমার কাছে রাখতে পারব না তোমাদের।
আমিও একজনের সংসারে অধিনস্ত।তাদের মত ছাড়া কিছু করা সম্ভব নয়।
তবে তোমায় একটা সাহায্য করব।”

তিনি তিনটি ব‍্যাগ এনে আমার হাতে দিয়ে বললেন,”এগুলোতে তোমার আর বাচ্চাদের পোশাক আছে।আকাশ ভাইয়ের মা সব ফেলে দিয়েছে যাতে নতুন বউ এলে কোনো সমস্যা না হয়।
আমি সব তুলে এনে গুছিয়ে রেখেছি।
তাড়াহুড়োর মাঝে ওরা হাজার দশেক টাকাও ফেলে দিয়েছিল না দেখে।
সম্ভবত এই টাকাটা তোমার গোছানো।তোমার মেয়ের জামার ভাজে ছিল তাই তারা দেখেনি।
আমি টাকা গুলো সহ সবকিছু দিয়েছি এই ব‍্যাগে।সঙ্গে কিছু হাড়ি-পাতিল ও দিয়েছি।তোমার এই কঠিন সময়ে এসব কাজে লাগবে।
শূন্য হাতে তাড়িয়েছে তোমায়।
পূর্ণ হাতে ফিরবে।এই এলাকাতে আর কখনো এসো না তুমি।
কজন ছেলেকে লেলিয়ে দিয়েছে ওরা তোমার পিছে।তোমায় এখানে দেখা মাত্র যেন সর্বনাশ করে।
আমি আড়াল থেকে একথা শুনেছি।কিন্তু প্রমাণ নেই কাছে,ছেলেগুলোকেও চিনিনা।তাই কিছু করতে পারলাম না।
তুমি চলে যাও দ্রুত।
কেউ দেখলে আবার ঝামেলা করতে পারে।
খাবার আছে ব‍্যাগে।আর কিছু ঔষধ।ছেলেকে খাইয়ে দিয়ে নিজেও খেও।”

আমি একহাতে ভাবীকে জড়িয়ে ধরি।সে একটা রিক্সা ডেকে আমাদের উঠিয়ে দেয়।

আকাশ আমার চোখের সামনে দিয়ে বিয়ে করতে চলে যায়।
কী হাসি তার মুখে।ছেলে নিয়ে রিক্সাতে বসে এ দৃশ্য দেখি আমি।
ছেলে বাবা বাবা বলে পিছু ডাকে কতোবার।
আকাশ ফিরেও তাকায় না।

অভিমানে ছেলে আমার বলে,”বাবা বাজে বাবা।
আমি আর কোনোদিন বাবার কাছে যাব না।
এই বাড়িতেও আর আসব না।চিকেন ও আর খাবনা।
আমি তোমার সঙ্গে ঐ নোংরা ঘরেই থাকব আম্মু।”

ছেলেকে নিয়ে বাড়ি এলাম।
রিক্সাওয়ালা ব‍্যাগগুলো নামিয়ে দিল।আমি ভাড়া দিতে চাইলাম।তিনি নিল না।
বলল,”তোমার কাছে টাকা নিয়ে নিজের বিবেকের কাছে ছোট হতে পারব না মা।
আমি তোমার বাবার বয়সি।
সাহায্য না করতে পারি,ভালো তো চাইতে পারি।
তোমার জন্য দোয়া রইল মা।
ঐ ধনীদের মুখের ওপর জবাব দিতে হবে তোমায়।”

একথা বলে তিনি চলে গেলেন।
ব‍্যাগ নিয়ে ঘরে রেখে মেয়েকে ছেলের কোলে দিয়ে মুখে একটু পানির ঝাপটা দিলাম।ঝড় বয়ে গেছে আমার মনের ওপর দিকে।
শাড়ির আচল দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে ঘরে আসছি এমন সময় দেখলাম,খালা আমার ব‍্যাগপত্র সব খুলে খুলে দেখছে।
ব‍্যাগ থেকে টাকা বের করে গুণছে।

আমি ভীষণ অবাক হলাম।আমার টাকা সে গুনছে কেন?

আমায় দেখতেই টাকাগুলো ব‍্যাগে রেখে বলল,”এতোগুলো জিনিস কোথায় পেলে?
গেছিলে তো স্বামীর বাড়ি থেকে কাগজপত্র আনতে।
এতোটাকা,নতুন কাপড় কই থেকে পেলে?তোমার স্বামী তো তোমাদের খালিহাতে বের করে দিয়েছে।এগুলো নিশ্চয় তারা দেয়নি।দিলে কালই দিত।তাহলে এগুলো পেলে কই?
চুরি টুরি করে আনলে নাকি?”

"সামান্য দু-পিছ মাংস খাওয়ার অপরাধে আমায় ডিভোর্স দেবেন আপনারা মা?দু-মাসের মেয়ে,ছবছরের ছোট্ট ছেলেটাকে নিয়ে এই বৃষ্টির দিনে...
13/02/2025

"সামান্য দু-পিছ মাংস খাওয়ার অপরাধে আমায় ডিভোর্স দেবেন আপনারা মা?
দু-মাসের মেয়ে,ছবছরের ছোট্ট ছেলেটাকে নিয়ে এই বৃষ্টির দিনে কোথায় যাব আমি মা?
এক অনাথের সঙ্গে আপনারা এমন অবিচার করতে পারেন না।
আমি তো কম করিনি আপনাদের জন্য।নিজে না খেয়ে খাইয়েছি।সেবা করেছি।মা বলে ডেকেছি।সেই আপনি কীনা আমায় ঘার ধাক্কা দিচ্ছেন মা?"

মিসেস রজনীর ঝাঝালো কন্ঠ,”অবশ‍্যই দেব।
দু-পিছ মাংসের লোভ যে সামলাতে পারেনা।সে যে কেমন মানুষ তা আমার বোঝা হয়ে গেছে।
ঝটপট আমার ছেলের ঘার থেকে নামো তোমরা মা-ছেলে,মেয়ে।”

তন্নি অশ্রুসিক্ত নয়নে স্বামীর দিকে তাকাল।
লোকটা পাথরের ন‍্যায় দাড়িয়ে আছে।মুখে টু শব্দটি নেই।

তন্নি চেচিয়ে বলে,”কিছু বলছ না কেন আকাশ?
আমি না তোমার স্ত্রী।
তোমার মা এসব কী বলছে আকাশ?
আমি কোথায় যাব?কে আছে আমার তুমি ছাড়া?
কি দোষ আমার?কেন প্রতারণা করছ আমার সঙ্গে?ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে কোথায় যাব আমি?ছেলেটা তোমায় ছাড়া কিচ্ছু বোঝেনা।
অন্তত নিজের সন্তান দুটোর কথা ভেবে হলেও আমায় ঠাই দাও প্লিজ।”

আকাশের চটপটা উত্তর,”মা যেটা বলবে সেটাই শেষ কথা।
উনি আমায় জন্ম দিয়েছে।আমার খারাপ চাইবে না নিশ্চয়।
উনি যেহেতু এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে,সুতরাং আমার মঙ্গলের জন্যই নিয়েছে।
তাই আমি মায়ের বিরুদ্ধে যেতে পারব না।”

তন্নি ধপ করে মেঝেতে বসে পড়ে।
বছর ছয়েকের ছেলে আলিফ মায়ের চিৎকারে ঘুম ভেঙে চোখ কচলাতে কচলাতে মায়ের কাছে আসে।
মায়ের কোলে মাথা রেখে সেখানেই শুয়ে পড়ে।
তন্নি ছেলের দিকে তাকিয়ে চোখের জল বিসর্জন দেয়।
মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।

শাশুড়ি রজনী খাম সমেত একটি পেপার এনে তন্নির মুখে ছুড়ে দেয়।
তন্নি মাটি থেকে কুড়িয়ে নেয় সেটি।
ভাঝ খুলে দেখে ডিভোর্স পেপার এটি।
আগে থেকেই আকাশের সাইন করা।

তন্নি আকাশের দিকে তাকায়।

“এই তোমার ভালোবাসা আকাশ?
এর জন্যে বিয়ে করেছিলে আমায়।এতো ভালোবাসা,এতো প্রমিস, কোথায় গেল সব?
নিজের সন্তানদের মুখের দিকেও তাকালে না তুমি।
এতো পাষণ্ড,এতোটা অমানুষ!”

আকাশ তেড়ে আসে।তন্নির গালে স্বজড়ে এক থাপ্পড় দিয়ে বলে,”বেশি বুঝিস না।দোষ টা তোর।এতিম হয়ে আমার মতো ধনী ঘরের ছেলেকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেছিস তুই।
আমায় ঠকিয়েছিস।
আমি তোর থেকে ভালো ডিজার্ভ করি।সেসময় অন্ধ ছিলাম।তাই তোর মতো ভিখারীকে জীবন সঙ্গী করেছিলাম।
এবার আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।
আমার ভাবীর কৃপায় আমার চোখ খুলেছে।
এবার এসব বাচ্চা আবর্জনা নিয়ে বেড়িয়ে যা তুই।”

তন্নি পাশের ঘরে তাকায়।
বড়োজা মিতালি পর্দার আড়ালে দাড়িয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।
ভাবভঙ্গিতেই বোঝা যাচ্ছে,কাজটা এ মহিলার।
তারমানে ইনি আজ নিজের স্বার্থসিদ্ধি করেই ছাড়ল।
হায় রে আমার পোড়া কপাল!
সাজানো গোছানো সংসারটা পরনারী এসে শেষ করে দিল।
হয়ত এটাই আমার নিয়তি ছিল।

আমি উঠে দাড়ালাম।
এখানে থেকে লাভ নেই আমার।
পেপারে সই করে দিলাম।

ঘরে গেলাম।এ ঘরটা আর নেই আমার।
কতশত স্মৃতি এখানে।
আমার প্রথম প্রেম,প্রথম ভালোবাসা,প্রথম বিয়ের সংসার এঘরে।
এতো স্মৃতি ভুলি কী করে?
অথচ আকাশ কতো সহজে পর করে দিল আমায়।

আমার দু-মাসের ঘুমন্ত মেয়েটিকে ঘুমানো অবস্থাতেই কোলে নিলাম।
মেয়ে আমার আৎকে উঠল যেন।
পিছে ছেলে দাড়িয়ে আছে।দু-বার ঘুম ভেঙে কপাল কুচকে দাড়িয়ে আছে সে।
হয়ত মায়ের ওপর ভীষণ বিরক্ত হচ্ছে।

আবারো ছেলে আমার বিছানায় উঠল।
আমি তাকে নামতে বলি।
সে আধো বুলিতে বলে,”নামব কেন আম্মু?আমি ঘুমাব।
এটা আমার ঘর।
আমি এখানে ঘুমাব।আপুকেও শুইয়ে দাও।
আপুও ঘুমাবে।”

আমি ছেলেকে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে হুহু করে কেঁদে উঠলাম।
বললাম,”এটা আর আমাদের ঘর নেই বাবা।
আমাদের এখান থেকে চলে যেতে হবে।
আমরা আজ ঘুরতে যাব বাবা।
সারাজীবনের জন্য চলে যাব ঘুরতে।”

ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনে ছেলে আমার ভীষণ খুশি।
ছোট্ট বাচ্চাটা ভাবতেও পারছে না কী হবে তার জীবনে।

মিনিট পাঁচেকের মধ্যে ছেলে-মেয়েকে তৈরি করে নিলাম।
নিজের একটি পার্সে চারশত টাকা আর ফোন ব‍্যাতিত কিছুই নিতে পারলাম না।
বাহির থেকে শাশুড়ি মা বলছেন,"আমার বাড়ির টাকা-পয়সা পারলে লুট করে নিয়ে যেও না।
কাবিনের টাকাটা দুদিন পর নিয়ে যেও।
আমরা অকৃতজ্ঞ নই।"

আমি হাসলাম।
ছেলেদের নিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে বললাম,"কাবিনের পঞ্চাশ হাজার আপনাদের সাদকা দিয়ে গেলাম।টাকাগুলো দিয়ে ছেলের বিয়ে করিয়ে দেবেন।
আর আমার রেখে যাওয়া জামা আপনার পরবর্তী নতুন মেজো বউয়ের জন্য।"

হনহন করে বেড়িয়ে গেলাম আমি।
আমার বড়োজা মিতালির দিকে তাকিয়ে বললাম,"আসি ভাবি।আপনার জন্য বদদোয়া রইল আমার সংসার ভাঙার জন্য।
যেভাবে আমার জীবন ধ্বংস করলেন।আমার সন্তানদের এতিম করলেন,ঠিক তেমনি আপনি নিঃস্ব হন।
আমার প্রতিটি চোখের পানি আপনার জীবনে অভিশাপ হয়ে আসুক।
আমি এতিম।একজন এতিমের ওপরে হওয়া অন‍্যায় বিধাতা কখনো মেনে নেবেন না।
আমার সন্তানদের হাহাকার আপনার জীবন নরক করে দিক।
মন থেকে আপনার জন্য এ দোয়া গুলোই এলো।
মিথ্যা মহাপাপ।তাই মনে এক আর মুখে অন‍্য বললাম না।"

বড়োজা রাগে তেড়ে এলো আমার নিকট।
আমি বেড়িয়ে গেলাম বাড়ি থেকে।একহাত ধরা ছেলের।অন‍্যহাতে মেয়েকে বুকে নিয়ে হাঁটছি।

এরই মাঝে শুরু হলো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি।আমার দুঃখ যেন বৃষ্টি হয়েই ধরণীতে নামছিল।
নিজেকে ভীষণ অসহায় লাগছিল।ইচ্ছা করছিল চিৎকার করে কাঁদি।
কিন্তু আমার শক্ত থাকতে হবে।
আমার ছেলে-মেয়েদের দিকে তাকিয়ে হলেও নিজেকে শক্ত রাখতে হবে আমায়।

দু-মাসের মেয়েটির মুখখানায় টিপটিপ বৃষ্টি পরছে।
মেয়ে আমার কেঁপে উঠছে।
ছেলেও কাঁপছে এই অসময়ের বৃষ্টিতে।ঠান্ডা বাতাসে ছেলে আমায় জড়িয়ে ধরে শীতে।
উপায়ন্ত না পেয়ে এক চা'য়ের দোকানে আশ্রয় নিলাম কোনোমতে।
সেখানেও দশ বারোজন লোকেরা চা পান করছে,টিভি দেখছে।
লোকগুলো আমায় দেখে যেন অবাক হলো বেশ।
এই বৃষ্টি -বাতাসের বিকেলে দু-মাসের মেয়েকে নিয়ে চা'য়ের দোকানে আমি।ব‍্যাপারটি অপ্রত্যাশিতই।
আমি একা একটা মেয়ে।
ভীষণ অস্বস্তি লাগছিল।আবার ভয় ও করছিল।

ছেলেকে এক ব্রেঞ্চেতে বসিয়ে দিলাম।
ফোন বের করে এক বান্ধবীকে কল দিলাম।
সব জানালাম তাকে।সে নেটওয়ার্ক প্রবলেম বলে কল কেটে দিল।
আরেকজন বলল পরে কল দিচ্ছি।আরেকজন তো বলল সে নাকি দেশেই নেই।

উপায় না পেয়ে কাছে পিঠে এক দূরসম্পর্কের বোনের বাড়ি গেলাম সরাসরি।
ফোন দিলে সেও যদি মানা করে দেয়,এ জন‍্য সরাসরি বাড়িতেই গেলাম।ততক্ষণে বৃষ্টি টা আর নেই।রয়েছে শুধু কনকনে বাতাস

বোনের বাড়ি গিয়ে কলিং বেল চাপলাম।
ওর বিশাল বাড়ি।তিনতলা বাড়ির পুরোটাতেই ওরা স্বামী-স্ত্রী ও একজন বাচ্চা থাকে।
ভেবেছিলাম এখানে হয়ত একটু আশ্রয় পাব।

বোনের নাম রিতা।
দরজা খুলে এ অবস্থাতে আমায় দেখে রিতা ভ্রু কুচকায়।

আমি বলি,"আমায় একটু আশ্রয় দে বোন।
অন্তত আমার এই দুধের শিশুর দিকে তাকিয়ে।
আকাশ আমায় ডিভোর্স দিয়েছে।
এই ঝড়-বাদলের দিনে কোথাও একটু মাথা গোজার স্থান পাচ্ছিনা।
তুই দয়া করে আমায় ফিরিয়ে দিসনা।
কথা দিচ্ছি,তিন-চার দিনের মাঝে কিছু একটা ব‍্যবস্থা করে আমি চলে যাব ওদের নিয়ে।
আপাতত একটু থাকতে দে বোন আমার।
নাহলে বৃষ্টিতে ভিজে মেয়েটাকে আর হয়ত বাঁচাতে পারব না।”

রিতার হয়ত একটু মায়া হলো আমার ওপর।
বাড়িতে আসতে বলল।
ও আগে আগে বাড়িতে প্রবেশ করল।
আমি ছেলের হাত ধরে ধীরে ধীরে প্রবেশ করি।
সবে মাত্র দরজা পেড়িয়ে ভেতরে ঢুকেছি,এমন সময় ওর স্বামীর প্রচন্ড চিৎকার শুনতে পেলাম।
ঘরে দুজনের মাঝে কথা কাটাকাটি হচ্ছে।রিতাকে বকছে সে।বলছে,”কোন সাহসে তোমার বোনকে আমার বাড়িতে থাকতে দিলে?
তিন তিনটে পেট চালানো কম কথা নাকি?
আমার কী রাজভান্ডার আছে?নাকি তুমি জনদরদী হয়েছ?
আমার বাড়ি এসব সমাজ সেবা চলবে না।
ওর স্বামী ওকে ডিভোর্স দিয়েছে তাতে আমাদের কী?ওকে কেন আমাদের আশ্রয় দিতে হবে?আর দিলেও বা,সহজে যাবে নাকি এ বাড়ি থেকে?
ঘারে বসিয়ে তিনজন মানুষকে খাওয়াতে কম খরচ নাকি?
বাজার-সদাই এখন আগুন বরাবর।সেখানে ওদের কীকরে রাখব আমি?
নিশ্চয় তোমার বোন লোভে পড়ে এখানে এসেছে।
এবার চুরি-ডাকাতি করে আমাদের নিঃস্ব করে নিজের পেট চালাবে।”

আর শুনতে পারলাম না আমি।
ছেলের হাত ধরলাম।ঘর থেকে আমার দিকে অসহায়ের দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল রিতা।
আমি কিছু বললাম না।শুধু একটু হাসলাম।

ছেলেকে নিয়ে,মেয়েকে বুকে চেপে বাইরে বেড়িয়ে এলাম।
চোখ থেকে এবার টপটপ পানি পড়ছে।
চোর পর্যন্ত বলতে বাধল না।অথচ এই মানুষটিকে আমি কম সাহায্য করিনি।
রিতার যখন এর সঙ্গে বিয়ে হয় ছেলেটা বেকার।
রিতার সংসারের জন্য লুকিয়ে-বাঁচিয়ে অনেক দিয়েছি আমি।দুনিয়াতে কেউ নেই আমার। দূরসম্পর্কের বোনটাকেই আপন মনে করতাম।
বাড়িতে পালা হাঁস মুরগির ডিম থেকে শুরু করে দুধ,ঘরের চাল-ডাল পর্যন্ত দিয়েছি।
ওর স্বামী ব‍্যবসা করবে।কিন্তু টাকা নেই।আমার কাছে হাত পাতে।
নিজের জমানো টাকা দেই।সেই টাকার অর্ধেক এখনো শোধ করেনি ওরা।
আমার টাকায় ব‍্যবসা করে ওরা উন্নতি করেছে খুব।গাড়ি-বাড়ি সব করেছে।
এতে আমি খুশিই হয়েছি।ওরা ভালো থাক।সুখে থাক।
এটাই আমার প্রত‍্যাশা।

আজ কীনা তারাই আমাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল।
একটি দিনের জন্য হলেও আশ্রয় দিলনা।
আমি একটা মেয়ে মানুষ কতোই বা খেতাম!ছয় বছরের ছেলেটা আমার না জানি কত মণ খেত!
মেয়েটা তো দুধের শিশু।ওদের বাড়ির ভাত তো আর খেত না।
ওদের বর্তমান যা সার্মথ‍্য তাতে আমার মতো দশটা মেয়েকে খাওয়ালেও ফুরোবেনা।
বাড়িতে চারজন কাজের মেয়েই।আমায় না হয় কাজের মেয়ে করেই রাখত।কাজ করে খেতাম দু-বেলা।
বরাবরই আমি প্রবল আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচেছি।পরের বোঝা হয়ে থাকতাম না কখনোই।
এই চরম বিপদে একটু আশ্রয় পেলেই হতো আমার।
ঠিক কিছু না কিছু ব‍্যবস্থা করে নিতাম।
কিন্তু সেই ধৈর্য্য টুকোও হলো না ওদের।
কথায় আছেনা ধণ হলেই হয় না,মন বড়ো লাগে।

ছেলের চোখে ধরা দিল আমার চোখের পানি।
প্রশ্ন করল,”কাঁদছ কেন আম্মু?ঘুরতে যাব না আমরা আম্মু?
শুধু বৃষ্টিতে ভিজছি কেন?আমার খুব ঠান্ডা লাগছে।চলো বাড়ি যাই।ঘুরতে যাব না আমি।
আপুও ভিজে যাচ্ছে।চলো আপুকে নিয়ে বাড়ি যাই।”

আমি ছেলের দিকে তাকিয়ে বললাম,”কাঁদছি না বাবা।বৃষ্টির পানি পড়েছে চোখে।
তুমি একটু কষ্ট করে সহ‍্য করো বাবা।
আমি কিছু একটা ব‍্যবস্থা করছি।”

এক বন্ধ দোকানের ছাউনির নিচে এসে দাড়ালাম ছেলেকে নিয়ে।
নিজেকে যে কী পরিমাণ অসহায় লাগছে বলে বোঝাতে পারব না।
বৃষ্টি আবার শুরু হয়েছে।বড়ো বড়ো ফোটায় পড়ছে পানি।
এমন অবস্থায় মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে পারব না আমি।তাই ছেলেকে বসিয়ে ছেলের কোলে মেয়েকে দিলাম।
ছেলে আমার ঠিক ভাবে কোলে নিতে পারছিল না।মাথা ধরছে তো পা ঝুলছে আবার পা ধরছে তো ঘার বাকা হয়ে যাচ্ছে।
তবুও কোনো মতে ছেলের দু-হাতে মেয়েকে জড়িয়ে দিয়ে বললাম,”বোনকে এভাবে শক্ত করে ধরে রেখ।ফেলে দিও না।আপু ব‍্যাথা পাবে।
এখানেই বসে থাকবে।আমি আসছি একটু।
আম্মুর কথা মনে রাখবে।”

আমি ছুটলাম।মেয়ের কান্নার শব্দও পাচ্ছি।হয়ত শক্ত করে চেপে ধরায় কাঁদছে।
কিন্তু আমার থামলে চলবে না।একটা ব‍্যবস্থা করতে হবে।সন্ধ‍্যা হয়ে আসছে।রাস্তায় রাত কাঁটানো সম্ভব নয়।আকাশের অবস্থাও ভালোনা।রাতে ঝড় হবে নিশ্চিত।
আশেপাশের ছোট্ট বাড়িগুলোয় খোঁজ করতে লাগলাম।
থাকার মতো একটি ঘর খুজছি।ভারা নিয়ে সেখানে উঠতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে অন‍্য কোথাও যেতে পারব না আমি।
মিনিট দশেক খুঁজে একটা ঘর পেলাম।
ভারা সাতশ।তিনশত অগ্রিম নিল।

টিনের ভাঙা ঘর।দরজাটাও আধ ভাঙা।বেড়ার একপাশে কাপড় আর প্লাষ্টিক দিয়ে ঢেকে রাখা।
অজস্র নোংরা ও বিশ্রি গন্ধ ঘরে।সম্ভবত কুকুর-বেড়াল থেকেছে সেখানে।
বাথরুম বলতে একটা টিউবওয়েল আর একটা ভাঙা টয়লেট মাত্র।
টয়লেটের আশেপাশে শাড়ি দিয়ে ঢেকে দেওয়া।
কিন্তু এই জায়গাটিকেই স্বর্গ মনে হলো আমার।
রাস্তায় বৃষ্টিতে ভিজে ম*রা*র চেয়ে এই ঘরের এক কোণে আশ্রয় নেওয়া অনেক ভালো।

আমি আবারো ছুট লাগালাম ছেলে-মেয়েকে আনতে।
অর্ধেক রাস্তা আসতেই দেখলাম আমার ছেলে মেয়েকে বুকে চেপে ঐ বৃষ্টির মাঝেই দৌড়ে আমার দিকে আসছে।যেন খুব ভয় পেয়েছে সে।
মেয়েটে পড়া পড়া ভাব।
ছেলের পেছন তিনটি কুকুর ধাওয়া করেছে।
প্রাণপণে ছুটছে সে।

চলবে???

গল্প:-বড়-জা
পর্ব:-১

গল্প ভালো লাগলে পেজটিতে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন নিত্য
নতুন নতুন গল্প পড়তে।
ধন্যবাদ

টাকা নিয়ে উক্তি ❣️💕💞🌺🌹🥀1. যখন টাকা থাকে তখন সবাই পাশে থাকে!!! আর টাকা না থাকলে, নিজের পরিচিত মানুষ গুলোও অপরিচিত হয়ে য...
26/11/2024

টাকা নিয়ে উক্তি ❣️💕💞🌺🌹🥀
1. যখন টাকা থাকে তখন সবাই পাশে থাকে!!! আর টাকা না থাকলে, নিজের পরিচিত মানুষ গুলোও অপরিচিত হয়ে যায়।

2. প্রতিটি সুখ টাকা দিয়ে অর্জন করা যায় না!!!!! এর জন্য প্রিয়জনের সঙ্গ থাকাও প্রয়োজন।

3. টাকা থাকলে পৃথিবী কেনা যায়,,, আর টাকা না থাকলে পৃথিবী চেনা যায়।

4. সুখী হতে যদি টাকা লাগে….!!!!! তবে আপনার সুখের সন্ধান কখনই শেষ হবে না।

5. এটা স্বার্থপর দুনিয়া! এখানে বুকভর্তি ভালোবাসার থেকে পকেট ভর্তি টাকার মূল্য অনেক বেশি।

6. যখন কাছে টাকা থাকবে, তখন ভালোবাসার মানুষের অভাব হবে না।

7. অতিরিক্ত টাকা.. একজন ব্যক্তিকে স্বার্থপর এবং অহংকারী করে তোলে।

8. প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ, কোনো মানুষের মঙ্গল আনতে পারে না।

9. আপনার যদি টাকা না থাকে, সম্পদ না থাকে, এবং কোন আশা না থাকে! তাহলে বিশ্বাস করুন আপনি এই পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী মানুষ।

10. বেকার ছেলেটাও বোঝে, টাকা ছাড়া ভালোবাসার কোন মূল্য নেই এই সমাজে।

11. যখন আমাদের টাকা থাকে….! তখন আমরা ভুল করা শুরু করি।

12. মানুষ তখনই ভুলে যায় কে আপন কে পর! যখন সে টাকার ঘোরে থাকে।

13. লোকে বলে টাকা এলে কিছু করে দেখাবো! আর টাকা বলে কিছু করলে আমি আসবো।

14. যে পৃথিবীতে টাকার বিনিময়ে আপন মানুষ কেনা যায়, সেই পৃথিবীতে টাকার চেয়ে আপন আর কেউই হতে পারে না…!!

15. একটি বাস্তব সত্য হলো, অর্থ যেখানে নেই ভালোবাসা সেখানে দুর্লভ।

16. টাকায় টাকা আনতে পারে, কিন্তু সম্মান আনতে পারেনা…!!

17. যার টাকা আছে তার কাছে আইন খোলা আকাশের মতো! আর যার টাকা নেই, তার কাছে আইন মাকড়সার জালের মতো।

18. টাকা মানুষকে সুখী করে না!!! এটি কেবল তাকে ব্যস্ত করে তোলে।

19. নিজের উপার্জিত টাকা হয়তো তোমাকে ধনী বানাবে না…! কিন্তু তোমাকে স্বাধীন হয়ে উঠতে সাহায্য করবে নিশ্চই।

20. যারা খেটে খায় তারা টাকার মূল্য বোঝে!! আর যারা পরের টাকা মেরে খায়, তারা টাকার মূল্য বোঝে না, শুধু টাকার গরম দেখায়।

21. টাকা মানুষকে পরিবর্তন করে না!!!!! এটি শুধুমাত্র তাদের মুখোশ খুলে দেয়।

22. বাস্তব এটাই যে, নিজের পকেটের টাকা না থাকলে, পৃথিবীর কেউ কারো আপন হয় না।

23. টাকা ছাড়া জীবন জল ছাড়া মাছের মতো!

24. যখন একজন ব্যক্তির কাছে টাকা থাকে, তখন সে ভুলে যায় সে কে! কিন্তু যখন তার টাকা থাকে না, তখন পৃথিবী ভুলে যায় সে কে।

25. যে লোকের খুব কম আছে, সে কখনো গরীব নয়! যে লোক বেশি কামনা করে, সেই আসলে গরীব।

26. জীবনে অনেক টাকা থাকাটা খুব জরুরী নয়! কিন্তু জীবনে শান্তিতে থাকাটা অত্যন্ত জরুরী।

27. আগে টাকা কামাও, তারপর ভালোবাসো!! কারণ গরীবের ভালোবাসা নীলাম হয় চৌরাস্তার মোড়ে।

28. একজন ধনী ব্যক্তি…..! অর্থ-বিশিষ্ট গরীব ছাড়া আর কিছুই নয়!

29. আপনি যত বেশি অর্থ উপার্জন করবেন, তত বেশি সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

30. অর্থ মানুষের অবস্থান পরিবর্তন করলেও,, স্বভাব বদলাতে পারে না।

31. টাকা যদি অন্যের উপকারে কাজে লাগে, তবে তার কিছু মূল্য আছে! অন্যথায় তা মন্দের স্তূপ।

32. সবসময় টাকা সবকিছু করতে পারেনা! মাঝে মাঝে মনুষ্যত্বের কাছে টাকাও পরাজিত হয়।

33. এই পৃথিবীতে আপনার আপন মানুষ, কাছের মানুষ, পাশের মানুষ, কোনো কিছুরই অভাব হবে না…!! যদি আপনার টাকা থাকে।

34. টাকা ধার দেওয়ার সময় নিজেকে মহান মনে হয়! তার পাওনা টাকা চাওয়ার সময় নিজেকে ভিক্ষুক মনে হয়।

35. এই পৃথিবীতে সবাই টাকা ও প্রশংসা নিতে চায়..! কিন্তু কেউ দিতে চায় না।

36. যে ব্যক্তি টাকার অহংকার করে…! তার সর্বনাশ হতে বেশি সময় লাগে না।

37. যদি একজন ব্যক্তির কাছে শুধুমাত্র টাকা থাকে,, তাহলে পৃথিবীতে সেই ব্যক্তির চেয়ে গরীব আর কেউ নেই।

38. টাকায় ভরা হাতটির চেয়ে….! বিশ্বাসে ভরা হাতটি অনেক বেশি দামী।

39. কিছু মানুষের অনেক টাকা থাকলেও, মানুষকে সাহায্য করার মন থাকে না…!! আর কিছু মানুষের টাকা কম থাকলেও নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করে অন্যকে সাহায্য করার..!!

40. টাকাই সব কিছু নয়; কিন্তু সব কিছুর জন্যই টাকা দরকার।

41. টাকা লবণের মতো প্রয়োজনীয়! কিন্তু যদি এটি অতিরিক্ত হয়ে যায়, তবে তা জীবনের স্বাদ নষ্ট করে দেয়।

42. টাকা রোজগার করা বড় কথা! কিন্তু পরিবারের সাথে বসে একসঙ্গে খাওয়া, তার থেকেও বড় কথা।

43. আজকের যুগে যার টাকা আছে, সবাই তার বন্ধু!

44. টাকার প্রশ্ন হলে, সবাই একই ধর্মের!

45. অনেকে বলে আমি নাকি টাকা কে ভালোবাসি? কিন্ত আমি টাকা কে ভালোবাসি না,, আমি অভাব কে ভয় পাই।

46. টাকা দিয়ে খুশি কেনা যায়!! কিন্তু শান্তি কেনা যায় না।

47. পার্থিব জীবনে টাকা ছাড়া সুখী হওয়া যায়না।

48. টাকা ছাড়া প্রত্যেকটা পুরুষ অসহায়!

49. জীবনে টাকা ইনকাম করতে না পারলে, কাউকে পাশে পাবে না।

50. স্বার্থ আর অর্থ…!! ভালো মানুষকেও অমানুষ করে তোলে। সংগৃহীত ❣️💕💞🌺🌹🥀💐🍀🌿

জীবন্ত লাশগুলোর কান্না বুঝিগভীর রাতেই প্রকাশ পায়-এ শহরে কতো আত্মাহীন শরীর আছে,গলিতে গলিতে কতো ধূসর অনুভূতি আছে,মেঘাচ্ছন্...
13/11/2024

জীবন্ত লাশগুলোর কান্না বুঝি
গভীর রাতেই প্রকাশ পায়-
এ শহরে কতো আত্মাহীন শরীর আছে,
গলিতে গলিতে কতো ধূসর অনুভূতি আছে,
মেঘাচ্ছন্ন আকাশের নিচে কতো
জীবন্ত লুকানো আর্তনাদ আছে,
ঝড়া পাতার মতো শুষ্ক হয়ে যাওয়া
কতো অভিযোগ আছে,
অপ্রয়োজনীয় তাচ্ছিল্যের সূরে গাঁথা
কতো অভিমান আছে,
তারপরও
প্রকৃতি নিত্যদিনের মতো হাসতে ভোলে না-
ওই লাশগুলোকে বাঁচাতে ভোলে না!

✍️

゚ ゚viralシfypシ゚

কেন রাতভর অপেক্ষা আমারআলোর খোঁজেআঁধার ভেঙে সূর্য আসবে তাই?চাইনি তো ঘুম জাগানিয়া পাখি হতে কোনো,ভোরের নরম কোমল আলোয় স্নাত...
13/11/2024

কেন রাতভর অপেক্ষা আমার
আলোর খোঁজে
আঁধার ভেঙে সূর্য আসবে তাই?

চাইনি তো ঘুম জাগানিয়া পাখি হতে কোনো,
ভোরের নরম কোমল আলোয় স্নাত।

পাহাড় কঠিন পরীক্ষা হাসি মুখে,
সাজিয়ে এতটা
মেনে নেয়ার গল্প আমার!
চাইনি তো হতে কোনো স্বপ্ন-কুমারী
কিংবা কোনো অস্তিত্বের প্রাণ।
তবে কেন দায়ভার আমার
তোমার মনের আঙিনায়
রঙিন স্বপ্নগুলো নিয়ত বেছে নেয়ার।

আমিতো চাইনি কারো আকাশ হতে
কিংবা জোৎস্না হতে রাতের পাড়ায়।

কেন ভালোবাসার বিকীর্ণ শব্দগুলো,
হারিয়ে এভাবে
খুঁজে ফেরার বাহানা তোমার!
মিথ্যে নাট্যমঞ্চে অভিনেতা,
হতে চাওয়ার, ভুল স্বপ্ন
সে তো আমার নয়!
তবে ঘুরে ফিরেই দোষের
দায় নেয়ার এমন পুরুষ্কার।

আমি তো চাইনি কারো গল্প হতে
মিথ্যে কোনো চরিত্র হয়ে, থেকে যেতে।

"হতে চাইনি"

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when চিরকুটে ভালবাসা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to চিরকুটে ভালবাসা:

Share