Shoppers Bogie

Shoppers Bogie কোথায় কমে ভালো মানের পণ্য পাবেন তাই দেখানোর চেষ্টা করি।

22/08/2024

স্পিডবোট ম্যানেজ হয়েছে। প্রতি ট্রিপে অন্তত ৩০ জন উদ্ধারে সক্ষম স্পিডবোট চাঁদপুর থেকে ফেনীর পথে রওনা হয়েছে। কুমিল্লা ও ফেনী পৌঁছাতে এখন থেকে ৩ ঘণ্টা লাগতে পারে।

এখন কোন এলাকায় যাওয়া বেশি প্রয়োজন জানান!
সহযোগিতা পেতে যোগাযোগ
01814720758 (সোহাগ)
01875810789 (সাজ্জাদ)

ফেনী সদর থেকে সেনাবাহিনীর উদ্ধারদল ১২টি স্পীড বোট ও হেলিকপ্টার নিয়ে পরশুরাম-ফুলগাজী যাচ্ছে।
যোগাযোগ:
মেজর সানজিদ 01769331213

শেয়ার করুন। কেউ না কেউ দেখবেই।

22/08/2024

সোর্স : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন (ফেনী জেলা)

*বেশ কিছু স্পীডবোট পরশুরামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। আপনাদের যাদের সহযোগিতা লাগবে দ্রুত যোগাযোগ করুন।

মোঃ আরাফাত-01836-889812
মোঃফোরকান -01818738984
আরাফাত হোসেন-01829260044
নাদের চৌধুরী -01690-028474
মীর হোসাইন হৃদয় -01875-149204
মাহেদী হাসান -01766-046785
জিয়াউর রহমান ফারুকী 01820746314(ফুলগাজী)
আবদুর রহমান -01887954818(ফুলগাজী)
আসাদুল ইসলাম -01402933308(পরশুরাম)
ওমর ফারুক -01822789872(ছাগলনাইয়া)
মেহেদী হাসান -01865445795(ছাগলনাইয়া)
চিথলিয়া: 01639746448

পরশুরাম UNO: 01713187316

দুলাকাজি বাডি সংলগ্ন,আনন্দপুর ইউনিয়ন, ফুলগাজিতে জরুরি প্রয়োজনে -ফেনী আর্মি ক্যাম্প এর নাম্বার-
০১৭৬৯-৩৩৫৪৬১
০১৭৬৯-৩৩৫৪৩৪

মোঃ আরাফাত-01836-889812

▫️পরশুরামে বন্যাদূর্গত কারো নৌকার প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করুন। এছাড়া কোথাও উদ্ধারের প্রয়োজন হলেও তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন।
Uno Parshuram
মোবাইল: ০১৭১৩১৮৭৩১৬

▫ফুলগাজী পরশুরাম এর বাসিন্দারা ০১৭১৩১৮৭৩১৬ এই নাম্বার এ যোগাযোগ করুন। আপনার এলাকায় যে কোনো জায়গায় নৌকা লাগলে ওনারা ব্যবস্থা করে দিবেন ইনশাল্লাহ।

▫️ফুলগাজীবাসি,
ইতোমধ্যে নৌকার ব্যবস্থা হয়েছে। ঘনিয়ামোড়ায় উদ্ধার কাজ চলছে। কোথায় কোথায় লোকজনকে উদ্ধার করতে হবে, তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার - ০১৭১৩১৮৭৩১৫

▫️FIRE SERVICE, FENI - 01730-002492

22/08/2024
17/08/2024

সাইকোপ্যাথ হাসিনা যেভাবে বিপ্লবী মেজর বজলুল হুদাকে জেলখানায় জবাই করেছিল

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পাকিস্থান বন্দি শিবির থেকে যে কয়জন অফিসার পালিয়ে এসে বাংলাদেশে যুদ্ধ করেছিলেন তাদের অন্যতম মহান বীর মেজর বজলুল হুদা।
স্বাধীনতার পর শেখ মুজিব বিনা ভোটে ক্ষমতা দখল করে দেশকে ভারতের কলোনী বানাতে জনগণকে জিম্মি করে ফেলে। ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী প্রধান ইসলামী দল জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়। আগ্রাসন বিরোধী কমিউনিস্ট ও বামপন্থী দলগুলোর নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়।

এক পর্যায়ে ১৯৭৫ সালের ২ জানুয়ারি মহান বীর শহীদ কমরেড সিরাজ সিকদারকে শেখ মুজিব নিজে নেতৃত্ব দিয়ে নির্যা|তন করে এবং ক্রসফায়ার করে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে শহীদ সিরাজ সিকদার ভারতীয় দালাল ফ্যাসিস্ট হিসাবে মুজিবকে ঘৃণা জানান। এই শাহাদাতের ২৩ দিন পর মুজিব গণতন্ত্র বিলুপ্ত করে একদলীয় ফ্যাসিবাদ বাকশাল কায়েম করে। এরপর সর্বহারা পার্টি ও সেনাবাহিনীর বিপ্লবীরা শেখ মুজিবকে উৎখাতের পরিকল্পনা করে।

১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট একদল বীর সেনানী জাতিকে দিয়েছিলো এক 'ডিভাইন জাস্টিস'। জাতিকে মুক্ত করেছিলো এক রাহুগ্রাস থেকে। মুজিবকে উৎখাত করে ধরে এনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ধরে এনে বিচার করার পরিকল্পনা ছিল বিপ্লবীদের। কিন্তু মুজিব পরিবারের সদস্যরা ছিল প্রকৃত সন্ত্রাসী ফ্যাসিস্ট। এরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে অ|স্ত্রের মুখে তুলে এনে জোর করে বিয়ে থেকে শুরু করে ব্যাংক ডাকাতিও করেছিল। এই সন্ত্রাসী তথা শেখ কামাল ও জামালই প্রথম সেনাদের ব্রাশফায়ার করে।

তখন সেনাবাহিনী বাধ্য হয়ে পাল্টা গু|লি চালালে মুজিব পরিবারের নারী ও শিশুরাও নিহত হয়। দেখবেন আওয়ামী মিথ্যাচারীরা কখনোই বলে না যে কামাল জামাল আগে গুলি করায় সেনারা পাল্টা গুলি করেছিল।
হ্যা, একমাত্র মুজিবকেই ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছিলেন মেজর নূর। তিনি সর্বহারা পার্টির কমরেড ছিলেন। শহীদ সিরাজ শিকদার হত্যার বদলা হিসাবে তিনি মুজিবকে হত্যা করেন।

তবে মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে জাতি ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পাওয়ার কৃতজ্ঞতা স্বরূপ বিপ্লবী সেনাদের ৭৫ এর ২৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন খোন্দকার মোশতাক সরকার ইন্ডেমনিটি আইনের মাধ্যমে দায়মুক্তি দিয়েছিল।

১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার দায়মুক্তি অধ্যাদেশটি বাতিল করে৷ জাতীয় বীরদের হত্যার বিচারিক নাটক শুরু করে।

সাজানো মামলায় বিশ জনকে শেখ মুজিব হত্যার আসামি করা হয়েছিল। প্রায় চার বছর মিথ্যা বিচার শেষে রায় দেওয়া হয়। রায়ে ১৫জনকে ফাঁ|সি ও ৫জনকে খালাস দেওয়া হয়।

তবে ওই রায় এতটা বেআইনী ও ভুয়া ছিল যে হাইকোর্টের ৮জন বিচারপতি এটির কনফার্মেশনের শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন। পরে খাঁটি বাকশালী ফ্যাসিস্ট বিচারকরা কনফার্মেশন দেয়।

এতে মোট ১২জনের ফাঁসির রায় বহাল থাকে। তারা হলেন, মেজর (অব.) বজলুল হুদা, মেজর (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার), লে. কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল (অব. ) মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি), আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, মোসলেমউদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী, আব্দুল মাজেদ এবং আব্দুল আজিজ পাশা।

আর খালাস পান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, কে এম ওবায়দুর রহমান, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর, তাহের উদ্দিন ঠাকুর ও মেজর (অব.) খায়রুজ্জামান।

তবে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদূদ আহমেদের অবহেলায় বিপ্লবীদের আপিল আবেদন পাঁচ বছর ধরে শুনানি হয়নি। মাঝখানে ওয়ান ইলেভেন চলে আসে। তারপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর তৎকালীন সেনাপ্রধান মঈন উ ভোট জালিয়াতি করে হাসিনাকে ক্ষমতায় বসায়।

হাসিনা ক্ষমতায় বসার দুই মাসের মাথায় সেনাবাহিনীর ভারত বিরোধী অফিসারদের পিলখানা ম্যাসাকারের মাধ্যমে হত্যা করে। ফলে দেশকে দীর্ঘ সময় ধরে শাসন শোষণ করার, ১৫ আগস্টের বীরদের ও জামায়াত-বিএনপি নেতাদের হ|ত্যার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়।

যার প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে। তড়িঘড়ি করে সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগ আপিল আবেদন খারিজ করে দেয়। মানে নিম্ন আদালতের ফরমায়েশি রায়ের ত্রুটি নিয়ে বিপ্লবের আপিলের শুনানিই হয়নি। বরং আপিল আবেদন খারিজ করার পরপর ২৮ জানুয়ারি বিপ্লবীদের জেলখানায় হ|ত্যা করা হয়।

এই শহীদ বীররা হলেন
মেজর (অব.) বজলুল হুদা, মেজর (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার), লে. কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান এবং লে. কর্নেল (অব. ) মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি)।

জেলখানায় হত্যার শিকার নেতাদের মধ্যে মেজর (অব.) বজলুল হুদা গ্রেপ্তার থেকে শুরু করে শহীদ হওয়া পর্যন্ত অকল্পনীয় নির্মমতার শিকার হন।

মূলত ১৯৯৬ সালে মেজর (অব.) বজলুল হুদাকে গ্রেফতারের পর তার মাকে আওয়ামী লীগের লোকজন লাথি মারতে মারতে ঘর থেকে রাস্তায় এনে ফেলে দেয়। সেই থেকে বৃদ্ধ মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২০০০ সালের ১৫ মার্চ তিনি ইন্তেকাল করেন।
তখন মায়ের জানাজায় অংশ নিতে বজলুল হুদার প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানায় তার পরিবার। কিন্তু মায়ের জানাজায় অংশ নিতে অনুমতি পাননি। তখন মায়ের লা|শ জেলগেটে দেখার আবেদন করেন। জেলগেটে ৭ ঘন্টা তার মায়ের লাশ রেখে অনেক তালবাহানা করে বজলুল হুদাকে ১ মিনিটের জন্য মায়ের লাশ দেখতে দেয়।
নির্মমতার এখানেই শেষ নয়।

২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঘটে সবচেয় পৈশাচিক নিষ্ঠুরতা।

রাত ১১টায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব আব্দুস সোবহান শিকদার, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল ইসলাম খান, ঢাকার জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অমিতাভ সরকার, ডিএমপি কমিশনার এ কে এম শহীদুল হক, ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. মুশফিকুর রহমানসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, র‍্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

১১টা ২০ মিনিটে পাঁচটি কফিন বক্স কারাগারের ভেতরে ঢোকানো হয়।
রাত ১১:৪০ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আশেপাশের ও কারাগারের অভ্যন্তরে বিদ্যুৎ একসাথে চলে যায়। ঠিক তখন দুইটা কালো টিল্টেড গ্লাসের পাজেরো জীপ ঢুকে কারা অভ্যন্তরে। এর একটা পাজেরোতে ছিলো শেখ হাসিনা স্বয়ং। হাসিনা নিজে সেদিন ফাঁসির মঞ্চের সামনে উপস্থিত থেকে চারজনের ফাঁসি কার্যকর দেখে।
এরপর ঘটে সেই পৈশাচিক ঘটনা। মেজর বজলুল হুদাকে ফাঁসির মঞ্চে না নিয়ে কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের একটি রুমে রাখা হয়েছিল। চার জনের ফাঁসির কাজ সমাপ্তির পর হাসিনা সেই রুমে যায়।

সেখানে কোরবানির গরু যেভাবে জ|বাই করা হয় ঠিক একই ভাবে চারজন মেজর হুদার শরীর চেপে ধরেছিল। আর হাসিনা মেজর হুদার বুকের উপর এক পা দিয়ে চেপে রেখে প্রথমে নিজ হাতে মেজর হুদার গলায় ছু|রি চালায়। এসময় মেজর হুদার রক্ত ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে হাসিনার শাড়ির বেশকিছু অংশ ভিজে যায়। পরে কাশিমপুর কারাগার থেকে নেওয়া এক হিন্দু জল্লাদ বাকি জ|বাই কাজ সম্পন্ন করে।

শহীদ মেজর (অব.) বজলুল হুদার লাশ পরেরদিন ১০টায় চুয়াডাঙার আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া গ্রামে তার নিজ বাড়িতে নেওয়ার আগে কয়েক হাজার পুলিশ, বিডিআর ও র‍্যাব অবস্থান নিয়েছিল। লাশ নেওয়ার সাথে সাথে র‍্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ৫ মিনিটের মধ্যে লাশ দাফনের জন্য চাপ দিতে থাকে তার পরিবারের সদস্যেদের। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা ও কয়েক লক্ষ উপস্থিত জনতার চাপের মুখে র‍্যাব কর্তারা পিছু হটে।

এরপর কফিন খুলে দেখা যায় শহীদ বজলুল হুদার লাশ অর্ধেক ডুবে আছে র|ক্তের মধ্যে। আবার গোসল করানোর জন্য লা|শ নামানোর পর দেখা যায় মেজর হুদার গলা কাটা যা জাল বোনার মোটা সুতা দিয়ে সেলাই করা। আর জ|বাই করে হত্যা করা হয়েছিল বলে ফাঁসির আসামীদের হাত, পা ও ঘাড়ের রগ কে|টে মৃত্যু নিশ্চিত করার কিছুই করা হয়নি। বরং তার লায় ছিল স্রেফ জ|বাই করা আর হাতের উপর একটু চামড়া ছিলা।

২০১০ সালের এ ঘটনার পর এক যুগেরপ বেশি সময় মেজর বজলুল হুদার স্বজনরা তাদের জীবনের নিরাপত্তার কারণে হাসিনার পৈশাচিকতা নিয়ে মুখ খোলেননি।

তবে ২৪ সালের ৫ আগস্ট শত শত ছাত্র হত্যাকারী হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলে মহাবীর মেজর (অব.) বজলুল হুদার ভাই মুখ খুলেছেন।

কোথায় কমে ভালো মানের পণ্য পাবেন তাই দেখানোর চেষ্টা করি।

15/08/2024

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ ফজলে শামস পরশ এর বয়স ছিল ছয়! তার ছোট ভাইয় শেখ ফজলে নূর তাপস এর বয়স ছিল সাড়ে চার!

পনেরোই আগস্ট রাত এর কথা পরশের আবছা আবছা মনে আছে - তাপসের নেই! ওরা দু ভাইই এরই একই সাথে ঘুম ভেঙে যায় বাইরে হৈচৈ / শব্দে এবং দুজন একসাথেই ওদের রুম থেকে বের হয়ে আসে! বড়ভাইয়ের পিছন পিছন ছোটভাই!

ছ বছরের পরশের ভাষ্য অনুযারী দোতালার ল্যান্ডিং এ রক্তের পুল এর মাঝে শুয়ে আছে ওদের বাবা আর মা! ওদের বাবা শেখ মনি নিচে আর তার উপরে পারপেন্ডিকুলারলি ওদের মা আরজু মনি সেরনিয়াবাত|

তারপরের কয়েক বছর ধরে চলে এই দুইভাইকে নিয়ে লুকোচুরি খেলা| সপ্তাহ পার হয়ে যায় - খাবার - ঘুম আশ্রয়ের ঠিক নেই! এক পর্যায়ে লুকিয়ে ওদের কে বর্ডার ক্রস করে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়! কিন্তু সেখানে ওখানে ওদের ফুলটাইম টেক কেয়ার করার লোক নেই - ছমাস একবছর পর আবার ফিরে আসতে হয় দেশে| তখন বলা হচ্ছে পরশ তাপস নিরাপদ! তারপরেও সমস্যা! শেখ মনির ছেলে আর আব্দুর রব সেরনিয়াবাত এর নাতি শুনলেই কোন স্কুল ওদের ভর্তি করতে চায় না|

উপরের গল্পটা বললাম কারণ ১৫ আগস্ট শুধু মাত্র শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের মৃত্যুর দিন না! ষোলো জন মানুষ মারা যায় ঐদিন! তিনটা পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়|
পনেরোই আগষ্টের সমর্থন যারা করেন তারা বলেন - শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি করেছিলেন - উনি নিজের দল ছাড়া সব রাজনৈতিক দল ব্যান করেছিলেন; সরকারি পত্রিকা ছাড়া সব পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিলেন আর নিজে নিজেকে আজীবন রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেছিলেন| তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ননভায়োলেন্ট কোন পথ ছিল না!
কথাটা আসলে ঠিক না| পথ ছিল| যদিও সেনাবাহিনীর বিভিন্ন গ্রপ / কর্নেল তাহেরের গ্রূপ - সবাই আলাদা আলাদা ভাবে তাকে হত্যার সুযোগ খঁজছিলো / প্ল্যান করছিলো- সেনা বাহিনী ওই ক্যু না করলেও একটা গণ অভ্যুথ্যান হয়ে যেত - হয়তো অনেক কম রক্তপাতে বা রক্তপাত ছাড়াই সরকার পরিবর্তন হয়তো হয়ে যেত| ২০২৪ সাল তা প্রমান করে দিয়েছে যে গণ অভ্যুথ্যান কি করতে পারে! মানুষ কিভাবে অকাতরে জীবন দিতে পারে|

১৯৭১ পূর্ববর্তী পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালীদের স্বাধিকার আন্দোলনে শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের সমকক্ষ অবদান আর কারো নেই! ৭২ পরবর্তী সময়ে ওনার ভুল ত্রুটি যেগুলো আছে তা সব মোচন হয়ে গিয়েছে তার করুন মৃত্যু দিয়ে! তার যদি কোন পাপ হয়ে থাকে তা স্খলন হয়ে গিয়েছে ১৫ আগষ্টের ম্যাসাকার দিয়ে!
বাংলাদশের মানুষ জন শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের অবদান অস্বীকার করে না - তাকে ভালো বাসতে চায়| জিয়াউর রহমান সাহেব এর আমলে বঙ্গভবনে শেখ সাহেবের ছবি ছিল| জিয়া যখন প্রথম পঁচাত্তর পরবর্তী পার্লামেন্ট এর উদ্বোধনী বক্তৃতা দিলেন - উনি বক্তৃতা শুরু করেছিলেন মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান আর মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে স্মরণ করে| জিয়াউর রহমান সাহেব ভারত সরকার কে নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিয়ে শেখ হাসিনার দেশে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করেন - ৩২ নম্বর এর বাড়ি বুঝিয়ে দেন| ১৯৮০ সালে থিয়েটারে / সিনেমা হলে একটা বাংলা চলচিত্র দেখেছিলাম যেখানে শেখ সাহেবের ৭ ই মার্চের ভাষণ এর কিছুটা দেখেছিল| আমার মনে পরে যখন ই এই ভাষণ টা বাজত - পুরো থিয়েটার হাত তালি তে ফেটে পড়তো|
এর পর ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারিক রহমান টুঙ্গিপাড়া গিয়েছেন শেখ সাহেবের সমাধি তে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে|

কিন্তু শেখ সাহেবের মেয়ে শেখ হাসিনার কাছে শুধু মুজিব কে ভালো বসলেই হবে না - এখানে মুজিব একটা কাল্ট ফিগার - এই ওরশিপে কোন শিরক করা যাবে না| শুধু মাত্র শেখ সাহেব কে - একমাত্র শেখ সাহেব কে সম্মান করা যাবে - অন্য কাউকে সম্মান করা যাবেই তো নাই - তাদের কে ঘৃণা করতে হবে|

তাই আজ পনেরোই আগস্টের ন্যারেটিভ এ পরশ তাপস দের কোন কথা নেই|

যেই জেনারেশনটা আজ শেখ হাসিনা কে টেনে নামালো - দেশ ব্যাপী ছড়িয়ে থকা মুজিবের শত শত মূর্তি তিন ঘন্টার মধ্যে ধ্বংস করে ফেললো - সেই জেনারেশন টাকে ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস ১২ পর্যন্ত প্রতিটি বছর প্রতিটি সাবজেক্ট এর বইয়ে শেখ মুজিব চ্যাপ্টার মুখস্ত করতে হয়েছে|
ওদের ইতিহাস শিক্ষায় মাওলানা ভাসানী নেই, তাজউদ্দীন এর কোন নামোল্লেখ নেই|

ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের যেই বাড়িতে জিয়াউর রহমান সাহেব ১৯৭২ সাল থেকে ছিলেন মৃত্যু পর্যন্ত - উচ্ছেদ হওয়া পর্যন্ত যেখানে খালেদা জিয়া থাকতেন - সেই বাড়িটি শেখ হাসিনা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছিলেন|

শেখ হাসিনা শেখ মুজিবের যে গড লাইক পারসোনা ক্রিয়েট করতে চান - সেই পারসোনা কে নার্চার করার জন্য জিয়াউর রহমান কে শুধু ইতিহাস থেকে উচ্ছেদ করলেই হবে না - তার বাড়ি গুঁড়িয়ে দিলেই হবে না - তাকে জাতীয় শত্রু বানাতে হবে! হাসিনা মুজিবের যেই ন্যারেটিভ তৈরী করেছেন - সেখানে শুধু জিয়াই জাতীয় শত্রু না; ভাসানী তাজুদ্দিন অদৃশ্য না - এমন কি মুক্তি যুদ্ধের দ্বিতীয় প্রধান এ কে খন্দকার ও জাতীয় শত্রু হয়ে যান|

এখন যে মুজিবের মূর্তি ভাঙা হচ্ছে - তা মুজিবের প্রতি আক্রোশ থেকে না - তা হচ্ছে হাসিনা মুজিব এর গড লাইক কাল্ট ক্রিয়েট করেছিলেন প্রতি আক্রোশ থেকে| আজ পনেরোই আগষ্ট - আজ যদি ছাত্র জনতা বাধ্যগত ভাবে শোকাভিভূত না হয় - তার কারণ মুজিব না| মুজিব চরম মূল্য দিয়ে চলে গিয়েছেন - তার প্রতি মানুষের ক্ষোভ নাই আর| আজ এই শোকের প্রকাশ টা ফিকে হয়ে গিয়েছে শেখ হাসিনার মুজিব কাল্ট নিয়ে বাড়াবাড়ির কারণে|

আজ অনেককেই দেখলাম ৫০ বছর আগের হত্যাকাণ্ডের জন্য শোক প্রকাশ করছেন - কিন্তু এই লোকগুলো নিজেদের চোখের সামনে গত মাসে ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ডগুলো নিয়ে একটা কোথাও বলেন নাই!
আমার কাছে এর মানে হচ্ছে এরা এমন একটা ইজম বা বাদ এ বিশ্বাস করেন তা প্রটেক্ট করার জন্যে দরকার হলে এরা মনে করেন শত শত তরুণ কে মাথায় গুলি করে হত্যা করতে হলে করতে হবে - করাটা প্রয়োজনীয় | এই হত্যাকান্ড গুলো ওদের কাছে নেসিসারি| সুযোগ পেলে ওরা আবার এগুলো করবেন|

এই ১৫ আগষ্টের অঙ্গীকার হোক সেই ভালোবাসার মুজিব কে ফিরিয়ে আনা আর হাসিনা যেই মুজিব কাল্ট কে বেইজ করে একটা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিলেন সেই মুজিব কাল্ট থেকে দেশকে মুক্ত করা।

Rumi Ahmed এঁর টাইম লাইন থেকে কপি।

14/08/2024
11/08/2024

Ever since student protestors forced Sheikh Hasina to resign and flee Bangladesh - there has been a FLOOD of clips on social media and some mainstream channe...

Address

Newpalton, Azimpur
Dhaka
1205

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shoppers Bogie posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Shoppers Bogie:

Share

Category