ঢাকার গণপরিবহন

ঢাকার গণপরিবহন সকল প্রকার পরিবহনের খবর পেতে এবং বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
(3)

সকল প্রকার পরিবহনের খবর পেতে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন ইতিহাস সম্পর্কে জানতে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন।

24/09/2025

Full Version Of Dhaka City |
কেমন হতো যদি ঢাকা এমন হতো |
আপনার এলাকাটি দেখে নিন | Funny Video |
নামকরণের সাথে মিল রেখে ঢাকার রুপ |
_________________________________
Video Created By Nayem Bhuiyan (নাঈম)
_____________________________
All Photo Generated By AI
_________________________
Music Credit-
Scirocco
Global Genius
___________________
#ঢাকারগনপরিবহন #ঢাকা
_

24/09/2025

উত্তরবঙ্গের মানুষকে মফিজ বলার ইতিহাস ||
Thanks For 4 Million Views |
মফিজ বলার আগে ইতিহাস পড়ুন ||
সত্য বলতে সবাই যদি মফিজ হতে পারতো,তাহলে দেশটা কতই না সুন্দর হতো || গাইবান্ধার মফিজ সাহেব ||
উত্তরবঙ্গের মানুষকে মফিজ বলার কারন কি? ||
মফিজ কি সবাই হতে পারে?? ||
#ঢাকারগনপরিবহন #মফিজ #গাউবান্ধার_মফিজ
#উত্তরবঙ্গের_মানুষকে_কেন_মফিজ_বলা_হয়
#উত্তরবঙ্গের_মফিজ #বাসের_নিউজ #পরিবহন_নিউজ
#মফিজ_বলার_ইতিহাস

🚲 ঢাকাকে রিকশার শহর বানানোর গল্প ||আজ আমরা যে ঢাকাকে “রিকশার শহর” বলে জানি, তার পেছনে আছে বহু বছরের ইতিহাস, সংগ্রাম আর প...
24/09/2025

🚲 ঢাকাকে রিকশার শহর বানানোর গল্প ||

আজ আমরা যে ঢাকাকে “রিকশার শহর” বলে জানি, তার পেছনে আছে বহু বছরের ইতিহাস, সংগ্রাম আর পরিবর্তনের গল্প। রিকশা শুধু একটি বাহন নয়—এটি ঢাকার সংস্কৃতির প্রতীক, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গী এবং নগরজীবনের স্মৃতি।

---

🌍 রিকশার উৎপত্তি ও আবিষ্কার

রিকশার জন্ম জাপানে।
১৮৬৯ সালে জাপানি উদ্ভাবক ইজুমি ইউসুকে প্রথম রিকশা (Hand-Pulled Rickshaw) তৈরি করেন। তখন একে বলা হতো “জিনরিকিশা”—জাপানি ভাষায় এর অর্থ হলো “মানুষের শক্তিতে চালিত গাড়ি”। প্রথমে এটি ছিল হাত দিয়ে টানা রিকশা, যা ১৯শ শতকে চীন, ভারতসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

________________________________

🚲 রিকশার জন্ম-কাহিনি: প্রেম নাকি টোকিওর কারিগরদের মেধা?

🚲 কাহিনি-১ — (জনপ্রিয় লোককথা) : “পঙ্গু স্ত্রীকে শহর দেখানোর জন্য”

বহুল প্রচলিত গল্প অনুযায়ী ১৮৬৯ সালের আশে পাশে জোনাথান (Jonathan) গোবলে / Scobie নামের একজন আমেরিকান মিশনারি ইয়োকমাতে ছিলেন। বলা হয় তাঁর স্ত্রী অসুস্থ/অক্ষম ছিলেন এবং তাঁকে শহরে সহজে নিয়ে যেতে একটি নতুন ধরনের দুইচাকার বাহন বানাতে তিনি স্থানীয় কারিগরকে অনুরোধ করেন — এই অনুরোধ থেকেই (লোককথা অনুযায়ী) প্রথম রিকশার ডিজাইন তৈরি হয়। এটি অনেক সাহিত্য ও সাংবাদিক প্রতিবেদনে কথ্যভাবে পাওয়া যায় এবং এই গল্পটি রিকশার জনপ্রিয় “মানবিক” উৎপত্তি হিসেবে প্রচলিত।

---

🚲 কাহিনি-২ — (ঐতিহাসিকভাবে বেশি গ্রহণযোগ্য) : টোকিওর তিনজন উদ্যোক্তা/কারিগরের কথা

তবে ইতিহাসবিদদের মধ্যে সবচেয়ে স্বীকৃত এবং প্রামাণ্যগতভাবে শক্তিশালী বিবরণ হলো — জাপানে ১৮৬৯–৭০ সালের মধ্যে টোকিওতে রিকশার উদ্ভব। এখানে সাধারণত ইজুমি ইয়োসুকে (Izumi Yosuke), তাকায়ামা কোসুকে (Takayama Kosuke) এবং সুজুকি টোকুজিরো (Suzuki Tokujiro)—এই তিনজনকে একত্রে রিকশার প্রথম নকশা ও উৎপাদনের দায়ী হিসেবে দেখানো হয়। তারা ১৮৭০ সালে টোকিও সরকার থেকে লাইসেন্স/অনুমতি নিয়ে উৎপাদন শুরু করেন এবং দ্রুত জাইগান-পরিবহনে (jinrikisha) জনপ্রিয়তা পায়। অনেক গবেষক ও জাপানি সূত্র এই ট্রায়ো-মডেলটিকেই সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করেন।

🇮🇳 বাংলায় রিকশার আগমন

বাংলায় প্রথম রিকশা আসে কলকাতায়। ১৮৮০-এর দশকে ধনীরা বিলাসবহুল যাতায়াতের জন্য জাপান থেকে রিকশা আমদানি করেন। প্রথমে ছিল হাতে টানা রিকশা—একজন মানুষ অন্য মানুষকে টেনে নিয়ে যেত। তবে সামাজিকভাবে এই বাহন নিয়ে অনেক বিতর্কও হয়েছিল, কারণ একজন মানুষকে আরেকজন মানুষ টেনে নিয়ে যাচ্ছে—এটাকে অনেকেই অমানবিক বলতেন।

---

🇧🇩 ঢাকায় রিকশার সূচনা

ঢাকায় রিকশা আসে ১৯৩৮ সালের দিকে। প্রথমদিকে ধনীদের বাড়ি, নবাব পরিবার ও ইউরোপীয় সাহেবদের জন্য রিকশা আনা হয়।
শুরুর দিকে রিকশা খুব কম সংখ্যায় ছিল, তবে ধীরে ধীরে মধ্যবিত্ত ও সাধারণ মানুষের যাতায়াতের প্রধান বাহন হয়ে ওঠে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ঢাকায় রিকশার সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে।

🚲 ঢাকাকে রিকশার শহর বানানোর গল্প

১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ঢাকায় মানুষের যাতায়াতের জন্য সস্তা ও সহজ কোনো বাহনের প্রয়োজন ছিল। তখন থেকেই রিকশার ব্যবহার দ্রুত বাড়তে থাকে। ১৯৫০–৬০-এর দশকে ঢাকার অলিগলি, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, বাজার থেকে শুরু করে সর্বত্র রিকশা ছড়িয়ে পড়ে।

স্বাধীনতার পর (১৯৭১) বাস, ট্রেন, ট্রাক ধ্বংস হয়ে যাওয়া নগরীতে রিকশাই হয়ে ওঠে মানুষের প্রধান ভরসা। প্রতিদিন অফিসগামী থেকে শুরু করে স্কুলের ছাত্রছাত্রী—সবার পছন্দের বাহন ছিল এই রঙিন রিকশা।

👉 এভাবেই ধীরে ধীরে ঢাকাকে বিশ্বের বুকে আলাদা করে চেনালো রিকশা। আজও বিদেশিরা ঢাকাকে চেনে এই নামে—
“The City of Rickshaws” 🌍

---

🛠 হাতে টানা থেকে প্যাডেল চালিত রিকশা

ঢাকায় প্রথম যে রিকশা দেখা যায় তা ছিল হাতে টানা। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই প্যাডেল চালিত রিকশা চালু হয়, যেখানে চালক সাইকেলের মতো প্যাডেল ঘুরিয়ে যাত্রী বহন করত।

হাতে টানা রিকশার ব্যবহার দ্রুত কমে যায়।

১৯৫০ সালের মধ্যে ঢাকার রাস্তায় প্যাডেল রিকশাই প্রধান বাহন হয়ে ওঠে।

---

⚡ প্যাডেল থেকে ব্যাটারি চালিত অটো-রিকশা

সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তি বদলেছে—

১৯৯০-এর দশকে ব্যাটারি চালিত ভ্যান ও অটো-রিকশার প্রচলন শুরু হয়।

আজকের দিনে ঢাকা ও বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে ইজিবাইক/ব্যাটারি চালিত রিকশা মানুষের সস্তা ও সহজ যাতায়াতের মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

---

🖌 রিকশার শিল্প ও সংস্কৃতি

বাংলাদেশে রিকশা শুধু বাহন নয়, এটি একটি লোকশিল্প।
রিকশার পেছনের রঙিন ছবি, ফুল, পাখি, সিনেমার নায়ক-নায়িকার ছবি বা গ্রামীণ জীবনের দৃশ্য—সব মিলিয়ে এটি হয়ে উঠেছে রিকশা আর্ট। UNESCO ২০১৬ সালে এই রিকশা আর্টকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

---

🔎 কিছু অজানা তথ্য

1. ঢাকায় বর্তমানে আনুমানিক ১৫ লাখের বেশি রিকশা চলে, যদিও সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত সংখ্যা অনেক কম।

2. একসময় ঢাকার প্রায় ৭০% যাত্রী পরিবহন রিকশা নির্ভর ছিল।

3. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে ১৯৫০ সালে সবচেয়ে বেশি রিকশার ব্যবহার হতো।

4. বাংলাদেশের রিকশা শিল্পের সাথে প্রায় ৩০-৪০ লাখ মানুষের জীবিকা জড়িত।

5. ঢাকার রিকশাকে বর্তমানে বাংলার "টেসলা" বলা হয়ে থাকে 🛞🛞🛞

---

🏙

রিকশা এসেছে জাপান থেকে, কলকাতা ঘুরে ঢাকায়। হাতে টানা থেকে প্যাডেল, আর এখন ব্যাটারি—রিকশার ইতিহাস আসলে আমাদের নগর ইতিহাসের অংশ।
আজকের দিনে যানজট ও আধুনিক পরিবহনের ভিড়ে রিকশা অনেকটা সমস্যার কারণ হিসেবে দেখা হলেও, সত্য হলো—রিকশা ছাড়া ঢাকা শহরের কল্পনা করা অসম্ভব।
ঢাকাকে পৃথিবীর বুকে আলাদা করে চেনায় এই রঙিন রিকশা।

____________________________________
লেখা-মোঃনাঈম ভুইয়া ||
এডমিন-ঢাকার গণপরিবহন ||
____________________________



#ঢাকাররিকশা #রিকশারশহর
#ঢাকারগনপরিবহন #নাঈম #রিক্সারইতিহাস
#রিকশারশহর

23/09/2025

বৃটিশ আমলে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের রেল ব্যবস্থা
বৃটিশ ইন্ডিয়ায় কেমন ছিলো ভারতবর্ষের রেল স্টেশন গুলো
প্রাচীন কালে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা কেমন ছিলো |
ভারতবর্ষের রেল স্টেশন গুলোর প্রাচীন চিত্র |
________________________
Railway system of Bangladesh, India and Pakistan during the British period
How were Indian railway stations in British India?
How was the railway communication system in ancient times?
Old pictures of railway stations in India |
_______________________
All Image Collected From - Pinterest
Music Credit- Newton
-------------------
#ঢাকারগনপরিবহন #বৃটিশ_ভারতের_রেল_ব্যবস্থা
#প্রাচীন_রেল_স্টেশন

23/09/2025

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার নামের মিলকরণ |
আমি মানিকগঞ্জে যাবো😃আপনার পছন্দের জেলা কোনটি?
এআইতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার নামের মিলকরণ |
এই ভিডিওটি শুধু মাত্র বিনোদনের জন্য তৈরি করা |
Funny Bangladeshi Video By AI Generate |
----------------------------------------------------------------
All Image Created By AI Generate.
Video Created By Nayem Bhuiyan (নাঈম)
_______________________________________
Music Credit-
Scirocco
Global Genius
___________________
#ঢাকারগনপরিবহন #ফানি_ইমেজ #ভাইরাল_ইমেজ
#নাঈম #নামের_মিলকরণ

23/09/2025

অতীতে কেমন ছিলো-পদ্মা,মেঘনা,বুড়িগঙ্গা,শীতলক্ষ্যা
আমাদের বাংলাদেশের নদীগুলোর প্রাচীন চিত্র |
বুড়িগঙ্গা, পদ্মা,মেঘনা ও শীতলক্ষ্যার যৌবনকাল |
How was it in ancient times - Padma, Meghna, Buriganga, Sh*talakshya |
Ancient pictures of our Bangladesh rivers |
The youth of Buriganga, Padma, Meghna and Sh*talaksha |
_______________________________
All Image Collected From -Pinterest,Facebook, Google,Old Photo Archive,Getty Image |
Music Credit- Newton |
_______________________________
#বাংলাদেশের_নদীগুলোর_যৌবনকাল
#ঢাকারগনপরিবহন #পদ্মা_মেঘনা_বুড়িগঙ্গা

22/09/2025

এলিয়েন দ্বারা তৈরি বাংলাদেশের ভৌতিক সকল সেতু |
যেখানে সেতু আছে কিন্তু রাস্তা নেই 🥸🥸🥸
বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় গত ১৫ বছর ধরে এমন ভৌতিক সেতু নির্মান করে ভিনগ্রহে পাড়ি জমিয়েছে এলিয়েনরা | এর মধ্যে অনেক সেতুর সমাধান হয়তো হয়েছে কিন্তু এমন আরো অনেক ভৌতিক সেতু রয়ে গেছে দেশে |
ব্রীজ আছে রাস্তা নাই - এ কেমন সেতু |
#ঢাকারগনপরিবহন #ব্রীজ_আছে_রাস্তা_নেই

🕌 ঢাকার নবাবপুর রোডের ইতিহাস ও স্মৃতি ||ঢাকার পুরান শহরের প্রাণকেন্দ্রের অন্যতম একটি পথ হলো নবাবপুর রোড। শাখারী বাজার থে...
22/09/2025

🕌 ঢাকার নবাবপুর রোডের ইতিহাস ও স্মৃতি ||

ঢাকার পুরান শহরের প্রাণকেন্দ্রের অন্যতম একটি পথ হলো নবাবপুর রোড। শাখারী বাজার থেকে শুরু হয়ে গুলিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত এই রাস্তা আজও পুরান ঢাকার ব্যবসা-বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও জীবনের অন্যতম সাক্ষী।

🏛️ নামকরণের ইতিহাস

মুঘল আমলে এই এলাকার নাম ছিল “উমরাহ পাড়া”। উমরাহারা ছিলেন কূটনীতিক ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার। তাঁদের বসবাস থেকেই জায়গাটির নামকরণ হয়েছিল। পরবর্তীতে এখানকার সঙ্গে নবাব পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে, আর তখন থেকেই এর নাম পরিচিত হতে থাকে “নবাবপুর” নামে।

আবার অনেকের মতে,,,
ইসলাম খানের আমল থেকেই নবাব বাহাদুর এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করতেন বলে এই রোডের নামকরণ করা হয় নবাবপুর রোড ||

লোকমুখে সবাই ভাবেন ‘নবাবপুর’ মানেই নবাবদের এলাকা— তাই অনেকেই ধরে নেন কোনো নবাব বা নবাব পরিবার সরাসরি এখানে বাস করত। কিন্তু পুরনো সূত্র দেখলে বোঝা যায় — নামের উৎপত্তি কেবল নবাব-টাই নয়; ‘উমরাহা’ (মুঘল যুগের কূটনীতিক/উচ্চপদস্থ)–এর আবাস/ক্রিয়াকলাপ থেকেও নামটি গড়ে উঠেছে। এই নিছক ভাষাগত পরিবর্তনটি (Umraha → Nawabpur) জনসাধারণের কাছে সাধারণত স্পষ্ট থাকে না।

আপনি জানেন কি?
নবাবপুর রোড আসলে কোন এক সময়
‘উমরাহা পাড়া’ নামে ছিল???

👑 নবাবদের স্মৃতি

যদিও নবাবপুর রোডে কোনো নবাব সরাসরি স্থায়ীভাবে বসবাস করেননি, তবে পুরান ঢাকা ছিল ঢাকা নবাব পরিবারের কেন্দ্রস্থল। নবাব খাজা সালিমুল্লাহ থেকে শুরু করে ঢাকা নবাব পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের পদচারণা ও স্মৃতি পুরান ঢাকার অলিগলিতে ছড়িয়ে আছে। নবাবপুর রোডের নামকরণও সেই নবাবদের সামাজিক-রাজনৈতিক প্রভাবের সাক্ষ্য বহন করে।

🏘️ উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক স্থান

শাঁখারী বাজার — নবাবপুর রোডের পাশে অবস্থিত এই প্রাচীন বাজার হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী শাঁখা ও পূজা সামগ্রী তৈরির জন্য বিখ্যাত।

নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় — ১৯৩৫ সালে প্রতিষ্ঠিত, পুরান ঢাকার শিক্ষার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।

আশেপাশের গুলিস্তান, সদরঘাট ও ঠাটারীবাজার—সব মিলিয়ে নবাবপুরকে ঢাকার বাণিজ্যিক কেন্দ্র করে তুলেছে।

💡 কেন বিখ্যাত?

নবাবপুর রোড আজও পুরান ঢাকার অন্যতম বাণিজ্যকেন্দ্র। বিশেষ করে ইলেকট্রিক্যাল, যন্ত্রাংশ ও হার্ডওয়্যারের দোকানপাটের জন্য এটি সারা বাংলাদেশেই পরিচিত।

রাজনৈতিক আন্দোলন, যেমন ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বিক্ষোভ, এই রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েছিল।

এর প্রতিটি ইট ও ভিড় ঢাকা শহরের অতীত ও বর্তমানকে এক সুতোয় বেঁধে রেখেছে।



নবাবপুর রোড কেবল একটি রাস্তা নয়—এটি পুরান ঢাকার জীবনের প্রতিচ্ছবি। ভোরের দোকান খোলা থেকে রাতের ভিড়, নবাবদের ঐতিহাসিক প্রভাব থেকে বর্তমানের ব্যস্ত ব্যবসা—সব মিলিয়ে নবাবপুর রোড এখনো ঢাকার প্রাণস্পন্দনের সঙ্গে বেঁচে আছে।

---

👉 তোমাদের কাছে প্রশ্ন:
🔹 তুমি কি কখনো নবাবপুর রোডে ঘুরে এসেছো?
🔹 তোমাদের চোখে নবাবপুর রোডের সবচেয়ে বিশেষ জিনিসটা কী?

===============================
লেখা-মোঃনাঈম ভুইয়া ||
এডমিন-ঢাকার গণপরিবহন ||
======================

#ঢাকারইতিহাস #পুরানঢাকা #নবাবপুররোড
#ঢাকারগর্ব #ঢাকারস্মৃতি #পুরানঢাকারগল্প
#নবাবপুরবাজার #ঢাকারঅতীত #ঐতিহ্যেরঢাকা
#ঢাকারগল্প #ঢাকারগনপরিবহন #নাঈম
#নবাবপুররোডেরইতিহাস #নবাবপুররোডেরনামকরণ




#নবাবপুররোড
#ঢাকারইতিহাস
#পুরানঢাকা
#ঢাকারগল্প
#ঐতিহ্যেরঢাকা

🏰 জিঞ্জিরা প্রাসাদের অজানা ইতিহাস – ঢাকার হারানো ঐতিহ্য ও এক বিশ্বাসঘা-তকতার অশ্রুধারা।ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গার দক্...
21/09/2025

🏰 জিঞ্জিরা প্রাসাদের অজানা ইতিহাস – ঢাকার হারানো ঐতিহ্য ও এক বিশ্বাসঘা-তকতার অশ্রুধারা।

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গার দক্ষিণ তীরে দাঁড়িয়ে থাকা জিঞ্জিরা প্রাসাদ এক সময় ছিল বাংলার ইতিহাসের এক করুণ সাক্ষী।
এটি শুধু একটি স্থাপনা নয়—এখানে বন্দি ছিল বাংলার নবাব পরিবার, প্রবাহিত হয়েছিল রাজনীতি, ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতকতার অশ্রুধারা।

---

📜 নির্মাণ ও নামকরণ

জিঞ্জিরা প্রাসাদ মুঘল সুবাদার ইব্রাহিম খান ১৭শ শতকে (১৬৮৯-১৬৯৭)এই প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন।
ইব্রাহিম খান এই প্রাসাদটি একটি বিলাসবহুল প্রমোদকেন্দ্র বা অবকাশকেন্দ্র হিসেবে নির্মাণ করেছিলেন।

জিঞ্জিরা প্রাসাদটি বাংলাদেশের কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত।

জিঞ্জিরা প্রাসাদের নামকরণ হয়েছে মূলত এর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে; এটি বুড়িগঙ্গা নদীর পাশে একটি দ্বীপসদৃশ স্থানে অবস্থিত ছিল, তাই এর নাম হয় 'কস্র-এ-জাজিরা' বা 'দ্বীপের প্রাসাদ', যা থেকেই 'জিঞ্জিরা' নামটি এসেছে।

আবার অনেকের মতে---

🏰 জিঞ্জিরা প্রাসাদের নামকরণের ইতিহাস

📖 ফারসি উৎস থেকে

"জিঞ্জিরা" শব্দটির উৎস ফারসি শব্দ “Zanjir” থেকে, যার অর্থ শিকল বা শৃঙ্খল।

কারণ, এখানে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব পরিবারকে বন্দি করে শিকল পরিয়ে রাখা হয়েছিল।

তাই লোকমুখে প্রাসাদটি পরিচিত হয়ে যায় “জঞ্জির/জিঞ্জিরা প্রাসাদ” নামে।

---

📜 মুঘল সময়ের প্রেক্ষাপট

মুঘল আমলে ঢাকার এই প্রাসাদটি তৈরি হয় মূলত বিনোদন ও আবাসনের জন্য।

কিন্তু ১৭৫৭ সালের পলাশীর যু-দ্ধের পরাজয়ের পর, নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রী, মা ও অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের এখানে শিকলবন্দি অবস্থায় রাখা হয়।

বন্দিত্ব ও শিকলের সঙ্গে এই প্রাসাদের নাম এমনভাবে জড়িয়ে যায় যে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম এটিকে "জিঞ্জিরা" নামেই চেনে।

---

🗣️ স্থানীয় লোককথা

অনেক স্থানীয়ের বিশ্বাস, বন্দিদের রাতের বেলায় শিকল টেনে নিয়ে যাওয়া হতো। সেই শব্দ থেকেই এর নাম হয় "জিঞ্জিরা"।

আরেকটি মত হলো, প্রাসাদের ভেতরে থাকা লোহার দরজা ও শিকলবদ্ধ কারাগারের কারণে এ নাম প্রচলিত হয়।

---

🏛️ ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায়

১৭৫৭ সালের পলাশীর যু-দ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর তাঁর স্ত্রী, মা ও পরিবারের সদস্যদের মুর্শিদাবাদ থেকে ঢাকায় এনে এই প্রাসাদে বন্দি করা হয়।

কারও কারও মতে, সিরাজের পতনের পর তাঁর স্ত্রী লুৎফুন্নিসা বেগম এখানে বন্দি জীবনে মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব পরিবারের কান্না আর অভিশাপ জড়িয়ে আছে এই প্রাসাদের প্রতিটি ইটের সঙ্গে।

---

🕌 স্থাপত্য

প্রাসাদটি ছিল বিশালাকার—অভ্যন্তরে দালান, মসজিদ, দীঘি, ও গোপন সুড়ঙ্গপথ ছিল।

অনেকে বলেন, সুড়ঙ্গপথ বুড়িগঙ্গার নিচ দিয়ে লালবাগ কেল্লা পর্যন্ত চলে গিয়েছিল।

মুঘল কারুকাজে গড়া খিলানওয়ালা দরজা, উঁচু দালান, ও পুকুরঘাট এখনও প্রাচীন ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

---

🔎 অজানা তথ্য ও লোককথা

স্থানীয়দের বিশ্বাস, রাতের বেলা প্রাসাদ থেকে অদ্ভুত শব্দ শোনা যায়—যেন শিকল টানা হচ্ছে।

অনেকের মতে, নবাব পরিবারের আত্মাদের আর্তনাদ এখনও সেখানে ঘুরে বেড়ায়।

মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এখানে পাকিস্তানি সেনারা অবস্থান করেছিল বলে স্থানীয়রা দাবি করে।

একসময় প্রাসাদটি নদীপথে নওয়াবদের বিনোদনকেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হতো।

---

❌ বর্তমান অবস্থা

আজকের দিনে জিঞ্জিরা প্রাসাদ ধ্বংসপ্রায়।
অবহেলা, দখলদারি আর অবকাঠামোগত ক্ষতির কারণে এক সময়কার ঐতিহ্য আজ প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ এটি সংরক্ষণ করা গেলে ঢাকার অন্যতম বড় পর্যটনকেন্দ্র হতে পারত।

==============================

👑 ঘষেটি বেগম ও জিঞ্জিরা প্রাসাদ

📜 ঘষেটি বেগম কে ছিলেন?

ঘষেটি বেগম ছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার খালা।
তিনি ছিলেন আলীবর্দী খানের জ্যেষ্ঠ কন্যা ।
আলীবর্দী খানের জীবিত অবস্থায় থেকেই তিনি ছিলেন রাজনীতিতে প্রভাবশালী ও ধনবান এক নারী।
তিনি।
নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, যা শেষ পর্যন্ত পলাশীর যু-দ্ধের কারণ হয়েছিল।

---

🏰 জিঞ্জিরা প্রাসাদের সঙ্গে সম্পর্ক

প্লাসির যুদ্ধের (১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দ) পর সিরাজউদ্দৌলার পতন ঘটে।

নবাব সিরাজের পরিবারকে ধরে এনে ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরা প্রাসাদে বন্দি করে রাখা হয়।

ঘষেটি বেগমও তখন এই প্রাসাদে বন্দি হন।

এখানে তাঁকে কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছিল।

---

💰 তাঁর বিপুল ধনসম্পদ

ঘষেটি বেগম ছিলেন অত্যন্ত ধনী।

বলা হয়, তাঁর কাছে এত স্বর্ণ-রৌপ্য ও অলঙ্কার ছিল যে, তা দিয়ে সম্পূর্ণ এক নগর সাজানো সম্ভব হতো।

মীরজাফর ও ব্রিটিশরা তাঁর সেই বিপুল ধনসম্পদ দখল করে নেয়।

---

⚔️ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র

ইতিহাসে বলা হয়, সিরাজের পতনের পেছনে ঘষেটি বেগমেরও ভূমিকা ছিল।

তিনি মীরজাফরদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সিরাজকে দুর্বল করার চেষ্টা করেছিলেন।

অনেকে মনে করেন, সিরাজের প্রতি ঈর্ষা ও নিজের প্রভাব হারানোর ভয়ে তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের প্রশ্রয় দিয়েছিলেন।

---

⚰️ করুণ পরিণতি

সিরাজের পতনের পর মীরজাফর প্রথমে তাঁকে কলকাতায় পাঠান।

পরে মীরনের নির্দেশে ঘষেটি বেগমকে নদীপথে ডুবিয়ে হ-ত্যা করা হয়।

তাঁর মৃ-ত্যু ছিল অত্যন্ত করুণ ও নৃশংস।

ইতিহাস বলে, তাঁকে নৌকায় উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে মাঝ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, যাতে তিনি আর কখনো ফিরে না আসতে পারেন।

---

🏛️

ঘষেটি বেগম ছিলেন একদিকে ধনসম্পদ আর ক্ষমতার প্রতীক, অন্যদিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বলি।
জিঞ্জিরা প্রাসাদে তাঁর বন্দি জীবন এবং নদীতে মৃত্যুর কাহিনী আমাদের মনে করিয়ে দেয়—
যে সম্পদ আর ক্ষমতা মানুষকে একদিন শীর্ষে তোলে, তা-ই আবার তাকে করুণ পরিণতির দিকে ঠেলে দেয়।

---

❓ দর্শকদের জন্য প্রশ্ন

1. আপনার কি মনে হয়, জিঞ্জিরা প্রাসাদকে পর্যটনকেন্দ্র বানানো উচিত?

2. ঢাকার হারানো ঐতিহ্যগুলোর মধ্যে আপনার প্রিয় কোনটা?

🏛️

জিঞ্জিরা প্রাসাদ শুধু একটি প্রাচীন স্থাপনা নয়, বরং বাংলার ইতিহাসের করুণ ও রক্তক্ষয়ী অধ্যায়ের প্রতীক। এর নামকরণ হয়েছে ফারসি শব্দ “জঞ্জির” (শিকল) থেকে, যা নবাব পরিবারের শিকলবন্দি জীবনের সাক্ষী হয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে।

এই নাম আমাদের মনে করিয়ে দেয়—শক্তি, ঐশ্বর্য আর ক্ষমতার শেষ পরিণতি অনেক সময় কতটা ভয়াবহ হতে পারে।
যেখানে একসময় ছিল রাজকীয় আভিজাত্য, আজ সেখানে কেবল ভগ্নাবশেষ আর লোককথার আছর।

তবুও জিঞ্জিরা প্রাসাদ আমাদের ইতিহাসের এক জীবন্ত দলিল, যা সংরক্ষণ করা গেলে নতুন প্রজন্মকে শেখাতে পারবে বাংলার হারানো ঐতিহ্য আর স্বাধীনতার করুণ ইতিহাসের পাঠ।

==============================
লেখা-মোঃনাঈম ভুইয়া ||
এডমিন-ঢাকার গণপরিবহন ||
======================

👉
#জিঞ্জিরা_প্রাসাদ #ঢাকার_ইতিহাস
#জিঞ্জিরাপ্রাসাদেরইতিহাস #জিঞ্জিরাপ্রাসাদেরনামকরণ
#ঢাকারগনপরিবহন #নাঈম

20/09/2025

বঙ্গ বা বাংলার গ্রামাঞ্চলের এক ঐতিহাসিক ভিডিও |
২০০ বছর পূর্বে কেমন ছিলো বৃটিশ ইন্ডিয়ার গ্রামাঞ্চল |
অতীতে কেমন ছিলো আমাদের বঙ্গ |
অতীতে কেমন ছিলো বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান |
কেমন ছিলো ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার দৈনন্দিন জীবন |
২০০ বছর পূর্বে কেমন ছিলো কলকাতা,আসাম,ত্রিপুরা, মনিপুর, আসাম, পূর্ব বঙ্গ ও পশ্চিম বাংলা |
----------------------------------------
A historical video of rural areas of Bengal
How was the countryside of British India 200 years ago
How was our Bengal in the past?
How was Bangladesh, India and Pakistan in the past?
How was the daily life of British India?
How was Kolkata, Assam, Tripura, Manipur, Assam, East Bengal and West Bengal 200 years ago?
----------------------------------------------
History Of British India | Old Bengal | Bengle In 1800
Old Photo Of British India | Old Photo Of Bangladesh | Old Photo Of Pakistan | Rare Photo Of Bengal | Village Life | Old Village | Nayem |
----------------------------------------------
Picture Credit - Pinterest |
Music Credit- Newton |
--------------------
Video Owner- ঢাকার গণপরিবহন
Video Created By- নাঈম ভুইয়া |
_______________________________
#ঢাকারগনপরিবহন #ইতিহাস #কেমন_ছিলো_বৃটিশ_ইন্ডিয়া #প্রাচীন_বাংলার_গ্রামাঞ্চল
#বঙ্গ

📜 ঢাকার লালবাগ কেল্লার ইতিহাস ও নামকরণ ||ঢাকার ইতিহাসের সাথে সবচেয়ে বেশি জড়িয়ে আছে লালবাগ কেল্লা। এটি শুধু একটি স্থাপ...
20/09/2025

📜 ঢাকার লালবাগ কেল্লার ইতিহাস ও নামকরণ ||

ঢাকার ইতিহাসের সাথে সবচেয়ে বেশি জড়িয়ে আছে লালবাগ কেল্লা। এটি শুধু একটি স্থাপত্য নয়, বরং মুঘল আমল থেকে শুরু করে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমল পর্যন্ত নানা শাসকগোষ্ঠীর সাক্ষী হয়ে আছে। আসুন জেনে নেই এর সম্পূর্ণ ইতিহাস—
---

🕌 মুঘল আমলে লালবাগ কেল্লা

নির্মাণ শুরু: ১৬৭৮ সালে মুঘল সুবাদার মোহাম্মদ আজম শাহ (মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র) কেল্লাটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

কেল্লাটি মূলত ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে গড়ে তোলা হচ্ছিল।

এর নাম প্রথমে ছিল “আওরঙ্গাবাদ কেল্লা” (Aurangabad Fort)।

পরে সম্রাট আওরঙ্গজেব শায়েস্তা খাঁ-কে সুবাদার নিযুক্ত করলে তিনিও কেল্লার কাজ চালিয়ে যান।

🔶 নির্মাণ অসম্পূর্ণ থেকে যাওয়ার কারণ

শায়েস্তা খাঁর কন্যা পরিবিবি ১৬৮৪ সালে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করলে শায়েস্তা খাঁ মনে করেন এই কেল্লা “অশুভ স্থান”। এরপর তিনি কাজ বন্ধ করে দেন। ফলে কেল্লাটি আর সম্পূর্ণ হয়নি।

বর্তমানে পরিবিবির সমাধি কেল্লার ভেতরেই রয়েছে, যাকে ঘিরে অনেক কিংবদন্তি প্রচলিত।
---

⚔️ ব্রিটিশ আমলে লালবাগ কেল্লা

১৭৫৭ সালের পলাশীর যু-দ্ধ-এর পর ব্রিটিশরা বাংলার নিয়ন্ত্রণ নেয়।

লালবাগ কেল্লা তখন তাদের প্রশাসনিক ঘাঁটি, সামরিক ব্যারাক ও অস্ত্রাগার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

কেল্লার সৌন্দর্য ও স্থাপত্যের অনেক অংশ তারা নষ্ট করে এবং নতুনভাবে সাজিয়ে নেয়।

ব্রিটিশরা এই কেল্লার কৌশলগত অবস্থানকে কাজে লাগালেও তারা এটিকে কোনো রাজপ্রাসাদ হিসেবে ব্যবহার করেনি।

---

🇵🇰 পাকিস্তান আমলে লালবাগ কেল্লা

পাকিস্তান আমলে কেল্লাটি দীর্ঘদিন অবহেলিত অবস্থায় পড়ে থাকে।

কিছু অংশ প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার করা হলেও সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বে খুব একটা যত্ন নেওয়া হয়নি।

পরে ১৯৫০ সালের দিকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর সংরক্ষণের দায়িত্ব নেয়।

---

🇧🇩 স্বাধীন বাংলাদেশে লালবাগ কেল্লা

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার এটিকে সংরক্ষিত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা হিসেবে ঘোষণা করে।

বর্তমানে এটি ঢাকা শহরের অন্যতম প্রধান ঐতিহাসিক নিদর্শন ও পর্যটন কেন্দ্র।

প্রতিদিন হাজার হাজার দেশি-বিদেশি দর্শনার্থী লালবাগ কেল্লা দেখতে আসেন।

---

🏰 লালবাগ কেল্লার ভেতরের উল্লেখযোগ্য স্থাপনা

1. পরিবিবির সমাধি – সাদা মার্বেল পাথরে তৈরি কবর।

2. শাহী মসজিদ – মুঘল আমলের অন্যতম সুন্দর স্থাপত্য নিদর্শন।

3. দিওয়ান-ই-আম (Diwan-i-Aam) – মুঘল শাসকদের প্রশাসনিক সভার স্থান।

4. দেওয়ান-ই-খাস – বিশেষ সভা ও অতিথিদের জন্য ব্যবহৃত ভবন।

5. সুন্দর উদ্যান ও জলাধার – মুঘল স্থাপত্যশৈলীর সৌন্দর্য বহন করে।

---

🌸 নামকরণের ইতিহাস

মূল নাম: আওরঙ্গাবাদ কেল্লা।

শায়েস্তা খাঁর সময় থেকে কেল্লাটির নাম হয় “লালবাগ কেল্লা”।

লালবাগ এলাকা (তখনকার ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ) থেকে নামটি নেওয়া হয়।

“লালবাগ” শব্দটি এসেছে লাল রঙের ইট এবং আশেপাশের বাগানের নাম থেকে।

---

✨ উপসংহার

লালবাগ কেল্লা কেবল একটি অসম্পূর্ণ দুর্গ নয়; এটি বাংলার ইতিহাসের উত্থান-পতন, মুঘল রাজকীয়তা, ব্রিটিশ শাসন, পাকিস্তানি অবহেলা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ঐতিহ্য—সব কিছুর সাক্ষী। আজও এটি ঢাকার বুকে দাঁড়িয়ে আছে অতীতের গৌরব বর্ণনা করে।
_________________________________

লেখা-মোঃনাঈম ভুইয়া ||
এডমিন-ঢাকার গণপরিবহন ||

_________________________________

#লালবাগকেল্লা #ঢাকারইতিহাস #মুঘলস্থাপত্য #ঐতিহাসিকঢাকা #বাংলারইতিহাস #ঢাকারগনপরিবহন #নাঈম

✨ ঢাকার ওয়ারী খ্রিস্টান কবরস্থান: ৪০০ বছরের পুরনো নীরব ইতিহাস ✨ঢাকার ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ির হর্ন, দোকানের ভিড়, মানুষের আনা...
19/09/2025

✨ ঢাকার ওয়ারী খ্রিস্টান কবরস্থান: ৪০০ বছরের পুরনো নীরব ইতিহাস ✨

ঢাকার ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ির হর্ন, দোকানের ভিড়, মানুষের আনাগোনা। কিন্তু এই ভিড়ভাট্টার মাঝেই আছে একদম অন্যরকম এক জায়গা—
ওয়ারীর খ্রিস্টান কবরস্থান।
৪০০ বছরের পুরনো এই কবরস্থান শুধু একটি সমাধিক্ষেত্র নয়, বরং এটি ঢাকার ইতিহাসের নিঃশব্দ সাক্ষী।

ঢাকার ওয়ারী বা নারিন্দার খ্রিস্টান কবরস্থান হয়তো অনেকেই নাম শুনেছেন, কিন্তু ভেতরে ঢুকে দেখেছেন কজন?
বাহির থেকে হয়তো এটিকে কেবলই একটা কবরস্থান মনে হবে। কিন্তু ভেতরে পা দিলেই যেন ইতিহাসের এক গুদামঘরে ঢুকে পড়েন।

এই কবরস্থান শুধু মৃতদেহের বিশ্রামস্থল নয়, বরং এখানে ঘুমিয়ে আছেন ঢাকার প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো নানা ঘটনার নীরব সাক্ষীরা।

---

🕰

ধারণা করা হয়, ১৭শ শতাব্দীর শুরু থেকেই (অর্থাৎ প্রায় ৪০০ বছর আগে) এই কবরস্থানের যাত্রা শুরু। তখন বাংলায় আসত পর্তুগিজ, ডাচ, আর্মেনিয়ান আর পরবর্তীতে ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ও মিশনারিরা। যারা কেউ এখানে ব্যবসা করতে এসে ধনী হয়েছেন, আবার কেউ রোগ, দুর্ঘটনা বা জলবায়ুর কারণে এখানে মৃত্যুবরণ করেছেন।

---

⚰️

প্রথম দিকে মূলত পর্তুগিজ ব্যবসায়ী, ইউরোপীয় ধর্মযাজক আর তাদের পরিবারের সদস্যদের সমাহিত করা হতো।
পরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মকর্তা, ইউরোপীয় সেনাসদস্য, আর্মেনিয়ান ব্যবসায়ী, এমনকি চাইনিজ খ্রিস্টান রূপান্তরিতদেরও এখানে দাফন করা হয়েছে।

---

🌟

এখানে অনেক বিশিষ্ট ও অজানা মানুষ চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। যেমন:

রেভারেন্ড জোসেফ প্যাজেট (১৭২৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন) – তাঁর কবরকে সবচেয়ে পুরনো কবরগুলোর একটি ধরা হয়।

Columbo Sahib নামে পরিচিত বিশাল সমাধি, যা নিয়ে আজও রহস্য আছে।

জেন ভ্যান টাসেল, যিনি ১৮৯২ সালে ঢাকায় এক বেলুন দু-র্ঘটনায় মারা যান।

পোগোস পরিবারের কবর – যাদের মধ্যে আছেন বিখ্যাত পোগোস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার পরিবার।

আরও অনেক ব্রিটিশ কর্মকর্তা, আর্মেনিয়ান ব্যবসায়ী, মিশনারি এবং উপনিবেশিক যুগের অচেনা নাম।

=======================

🎈 জেন ভ্যান টাসেলের রহ-স্যময় মৃত্যু

১৮৯২ সাল। ঢাকার নবাবরা তখনও আভিজাত্যের চূড়ায়। একদিন ঢাকার আকাশ রঙিন হতে চলেছিল এক অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখে—
ঢাকার প্রথম বেলুন উড্ডয়ন----

একজন বিদেশিনী মহিলা, নাম জেন ভ্যান টাসেল।
কথিত আছে, নবাব পরিবারের (খাজা আহসান উল্লাহ) বিশেষ অনুরোধে এবং সামান্য বাড়তি অর্থের লোভে খারাপ আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও ল্যান্ডিং পয়েন্ট আহসান মঞ্জিলের ছাদকে বেছে নেয়া হয়। নবাবের সাথে তাদের ১০ হাজার টাকার চুক্তি হলেও আহসান মঞ্জিলের ছাদে নামার জন্য তাকে আরো ৪,৫০০ টাকা অফার করা হয়,তারপর তিনি রাজি হন বেলুনে উঠে আকাশে ভেসে যেতে।
ঢাকার মানুষ সেই সময় ছুটে এসেছিল এই অভিনব দৃশ্য দেখতে।

বেলুন যখন আকাশে উঠল, সবার চোখ বিস্ময়ে বড় হয়ে গেল।
কিন্তু সেই বিস্ময় মুহূর্তেই পরিণত হলো আতঙ্কে।
হঠাৎই বেলুনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মেয়েটি জঙ্গলে একটি গাছের উপর পড়ে। তারপর তাকে নামানোর জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতি চলে,, একপর্যায়ে বাশের সাহায্যে গাছ থেকে নামতে গিয়ে দু-র্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি,, গাছ থেকে নামতে গিয়ে সরাসরি মেয়েটি পড়ে যায় নিচে,,
মুহূর্তেই প্রা-ণ হারালেন জেন ভ্যান টাসেল।

আজও তাঁর সমাধি আছে এই কবরস্থানে।
অনেকে বলেন, ভ্যান টাসেলের সমাধির সামনে দাঁড়ালে এখনো সেই অদ্ভুত শীতলতা শরীরে ভর করে।
কেউ কেউ দাবি করেন, গভীর রাতে কবরস্থানের ভেতর থেকে শোনা যায় মৃদু ফিসফাস—যেন কারো দীর্ঘশ্বাস

👻 ভৌতিক গুজব ও বাস্তবতা

দিনে গেলে এই কবরস্থান শান্ত, নিরিবিলি, বরং ঐতিহাসিক।
কিন্তু রাতে?
লোকমুখে শোনা যায় নানা গল্প—

মাঝরাতে সমাধির ভেতর থেকে কারো পায়ের শব্দ,

বাতাসে ভেসে আসা মোমবাতির গন্ধ,

কিংবা ছায়ার মতো কারো হেঁটে যাওয়া।

যদিও এসবের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই, তবুও পুরনো কবর, নিস্তব্ধতা আর রহস্যময় পরিবেশের কারণে অনেকেই রাতে এই জায়গায় পা দিতে ভয় পান।

⏳ সবচেয়ে পুরনো কবরগুলো

১৭২৪ সালের কবরফলকগুলোই সবচেয়ে পুরনো প্রমাণ। সেই কবরগুলো দেখে বোঝা যায়, ঢাকায় ইউরোপীয়দের ইতিহাস কতটা প্রাচীন।

---

👻

অনেকে মনে করেন কবরস্থান মানেই ভৌতিক! কিন্তু দিনের বেলায় এখানে গেলে ভয় নয়, বরং অদ্ভুত শান্তি আর ইতিহাসের ছোঁয়া পাবেন।
শত শত পুরনো পাথরের সমাধি, শ্যাওলা ঢাকা দেয়াল আর নিস্তব্ধ পরিবেশ – এগুলো মনে হয় যেন আপনাকে নিয়ে যাচ্ছে ৩০০-৪০০ বছর আগের ঢাকায়।
রাতে অবশ্য জায়গাটা নির্জন, গা ছমছম করে – তবে সেটা ভয়ের জন্য নয়, বরং নীরবতার জন্য।

---

🙏 Souls’ Day এর রীতি

প্রতি বছর নভেম্বর মাসে "All Souls’ Day" বা সোলস ডে-তে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা এখানে আসেন।
তারা তাদের প্রিয়জনদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ফুল দেন, মোমবাতি জ্বালান।
যারা বিদেশি হয়ে এখানে ঘুমিয়ে আছেন, হয়তো তাদের স্বজনরা কোনোদিন ফুল দিতে পারেননি। কিন্তু ঢাকার মানুষ আজও সেই স্মৃতি বাঁচিয়ে রেখেছেন।

---

🏛

ঢাকার উপনিবেশিক যুগের ইতিহাস জানতে চাইলে এই কবরস্থান এক জীবন্ত দলিল।

এখানে শুয়ে আছেন বণিক, মিশনারি, সেনাসদস্য থেকে শুরু করে সাধারণ ইউরোপীয় নাগরিক পর্যন্ত।

এটি প্রমাণ করে, ঢাকা শুধু বাঙালিদের শহর নয়, বরং এখানে বহু জাতি ও সংস্কৃতির পদচিহ্ন রয়ে গেছে।

---



ওয়ারীর খ্রিস্টান কবরস্থান কোনো ভৌতিক গল্প নয় – এটি আমাদের শহরের বহু পুরনো স্মৃতির ভাণ্ডার।
ঢাকার ব্যস্ততার ভেতর এই নীরব জায়গাটি মনে করিয়ে দেয়, সময়ের স্রোতে সবকিছু বদলায়, কিন্তু ইতিহাস কখনো হারায় না।

📌 তাই একদিন সময় করে ঘুরে আসতে পারেন এই কবরস্থান থেকে। হয়তো নিস্তব্ধতার মাঝে দাঁড়িয়ে আপনিও শুনতে পাবেন পুরনো ঢাকার অজানা কাহিনি।

---

👉 আপনার কি মনে হয়, এই ধরনের ঐতিহাসিক স্থানগুলো কি আমাদের সংরক্ষণ করা উচিত?
কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না।

===========================
লেখা-মোঃনাঈম ভুইয়া ||
এডমিন-ঢাকার গণপরিবহন ||
=======================


#নারিন্দ্রাখ্রিস্টানকবরস্থানএরইতিহাস #খ্রিস্টানকবরস্থান
#খ্রিস্টানসিমেট্রি
#ঢাকারগনপরিবহন #নাঈম

Address

MIRPUR
Dhaka
1216

Opening Hours

Monday 12:15 - 15:15
20:15 - 02:00
Tuesday 12:15 - 15:15
20:15 - 02:00
Wednesday 12:15 - 15:15
20:15 - 02:00
Thursday 12:15 - 15:15
20:15 - 02:00
Friday 12:15 - 15:15
20:15 - 02:00
Saturday 12:15 - 15:15
20:15 - 02:00
Sunday 12:15 - 15:15
20:15 - 02:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ঢাকার গণপরিবহন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ঢাকার গণপরিবহন:

Share

Category