ঢাকার গণপরিবহন

ঢাকার গণপরিবহন সকল প্রকার পরিবহনের খবর পেতে এবং বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
(3)

সকল প্রকার পরিবহনের খবর পেতে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন ইতিহাস সম্পর্কে জানতে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন।

23/10/2025

১৯০৪ সালে ফুলবাড়িয়া রেলস্টেশন ||
#ফুলবাড়িয়ারেলস্টেশন

23/10/2025

১৯৬৫ সালের নিউমার্কেট ||
#ঐতিহাসিকঢাকা #ঢাকারগনপরিবহন

23/10/2025

ঢাকার মুড়ির টিন ও কাঠবডি বাস ||
দেখেছেন কখনো??

22/10/2025

১০০ বছর পূর্বের ঢাকা || ভিডিওটি দেখুন ||

21/10/2025

ঐতিহাসিক ধানমন্ডির ভিডিওটি দেখুন প্রান ভরে ||
কেমন হলো কমেন্ট বক্সে জানাবেন ||
কোন জায়গাটি আপনার চেনা???

20/10/2025

সোনালি অতীত ||

মোহাম্মদপুর :- ৪০০ বছরের পথচলার ইতিহাস ||সাত মসজিদের ছায়া ও সময়ের স্রোত -------ঢাকার ইতিহাস বলতে গেলে নদী আর মোগল যুগে...
20/10/2025

মোহাম্মদপুর :- ৪০০ বছরের পথচলার ইতিহাস ||
সাত মসজিদের ছায়া ও সময়ের স্রোত -------

ঢাকার ইতিহাস বলতে গেলে নদী আর মোগল যুগের গল্প না বললেই নয়। সেই ধারাবাহিকতায় মোহাম্মদপুর—আজকের ঘনবসতি, আবাসিক ব্লক আর ব্যস্ত সড়কের আড়ালে লুকিয়ে আছে চার শতকের স্মৃতি।

মোগল আমল থেকে সূচনা

১৭শ শতকে (শায়েস্তা খাঁর সময়) মোহাম্মদপুরের যে অঞ্চলটি ছিল ঢাকার পশ্চিম প্রান্তের বন্যাপ্লাবিত চরভূমি, সেখানেই ওঠে ঐতিহাসিক সাত গম্বুজ মসজিদ। স্থাপত্যের দিক থেকে একে অনন্য করে তুলেছে সাতটি গম্বুজের বিন্যাস, চার কোনায় মিনার ও সুবিন্যস্ত মুগল অলংকরণ। কাছেই ছিল এক অজ্ঞাত নারীর সমাধি—বিবির মাজার নামে লোকমুখে পরিচিত।
কথিত আছে, নবাব শায়েস্তা খাঁর কোনো এক মেয়ের কবর এটি। তবে বিষয়টি নিশ্চিত নয়।
সাইনবোর্ডে লেখা: অজানা সমাধি।

“সাত মসজিদের পাশেই ছিল বুড়িগঙ্গা”—আজ কোথায়?

পুরনো ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা একসময় সাত মসজিদের একেবারে কাছ ঘেঁষে বইত। নদীর ধারা ক্রমে দক্ষিণে সরে যেতে থাকায় আজ মসজিদটি পড়েছে ভিতরের দিকে; এখন বরং তুরাগ ও বোসিলা-ঘাটের জলভূমিই নিকটবর্তী। নদীপথ বদলের সঙ্গে সঙ্গে পুরনো শাখাচ্যানেল (মোরাখারি/Old Channel) নানা জায়গায় ভরাট-দখলে সংকুচিত হয়েছে—বোসিলা থেকে লোহা-পুল পর্যন্ত সেই পুরনো ধারা আজও নথিতে টিকে আছে।

“মোহাম্মদপুর” নামের ইতিহাস:-

“মোহাম্মদপুর” নামটা নতুন DIT-এর বসতি গড়ার সময় (১৯৫০–৬০ দশক) বেছে নেওয়া হলেও নামটি নিজে অনেক পুরনো; এলাকাটা ব্রিটিশ আমল থেকেই “Muhammadpur/Mohammadpur” নামে মৌজা/গ্রাম হিসেবে নথিভুক্ত ছিল। নিচে নামকরণটা বোঝার তিনটি স্তর দিলাম—ভাষাগত, নথিগত, আর আধুনিক নগরায়ণ।

১) ভাষাগত উৎস (নামের অর্থ)

“মোহাম্মদ/মুহাম্মদ” + “পুর/পুরা” (সংস্কৃত pur = বসতি/নগর) → অর্থ দাঁড়ায় “মুহাম্মদের বসতি/নগর”।

এই গঠনটা মোগল-সুলতানি আমল থেকে পুরো বঙ্গদেশে খুব প্রচলিত (যেমন মিরপুর, যশোরের চন্দনপুর ইত্যাদি)।

২) পুরনো নথির ইঙ্গিত (নাম পুরোনো)

কলকাতা/ঢাকা সার্ভে মানচিত্র, ব্রিটিশ-আমলের রেভিনিউ/সার্ভে রেকর্ডে “Mohammadpur” নামে মৌজা দেখা যায়—লোকেশন বর্তমান রায়েরবাজার–বোসিলা–জাফরাবাদ–কাতাসুর ঘিরে।

মোগল আমলে পাশেই দাঁড়ানো সাত গম্বুজ মসজিদ (১৭শ শতক, শায়েস্তা খাঁ-পর্ব)–এর ওয়াক্‌ফ/খাস জমির চারপাশে যে মুসলিম বসতি বেড়েছিল, স্থানীয়রা সেটাকেই “মুহাম্মদ-পুর” বলত—এটাই নামটাকে টিকিয়ে রেখেছে বলে গবেষকেরা ধারণা করেন।

> সারমর্ম: “মোহাম্মদপুর” নাম DIT-এর আগেই ছিল; মানচিত্র/রেকর্ডে প্রমাণ মেলে।

৩) আধুনিক নগরায়ণ—নামটা স্থায়ী হয়

১৯৫০–৬০ দশকে DIT (Dhaka Improvement Trust) এখানে Mohammadpur Housing Estate/Model Town গড়ে তোলে।

তখনকার ব্লক/রোডের নামগুলো (বাবর, হুমায়ুন, নূরজাহান, তাজমহল রোড ইত্যাদি) মোগল-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে আগের “Mohammadpur” নামটাকেই আনুষ্ঠানিক ও শহুরে ব্র্যান্ডিং দেয়।

পরের দশকগুলোতে থানা/ওয়ার্ড গঠনের সময়ও সেই প্রচলিত নামই প্রশাসনিক নাম হয়ে যায়।

বিকল্প/লোকজ ব্যাখ্যা যা শোনা যায়

কোনো স্থানীয় জমিদার/ফৌজদার “মুহাম্মদ খান/শাহ”-এর নামে নামকরণ—এমন লোককথা আছে, কিন্তু নির্ভরযোগ্য নথি কম।

মোগল শাহজাদা মুহাম্মদ আজম শাহ–এর স্বল্পকালীন ঢাকাবাসের সঙ্গে নাম জোড়ার চেষ্টা হলেও প্রমাণ দুর্বল—গবেষকেরা একে কম সম্ভাব্য বলে দেখেন।

> অর্থাৎ, শক্ত নথির দিক থেকে মৌজা-নাম + DIT-এর নগরায়ণ—এই দুইয়ে “মোহাম্মদপুর” স্থির হয়, কোনো একক ব্যক্তির নামে নয়।
মোহাম্মদপুর নামটা নতুন নয়—ব্রিটিশ আমল থেকেই এ এলাকা “Muhammadpur” নামে মৌজা ছিল। নামের গঠন “মুহাম্মদ + পুর” = মুহাম্মদের বসতি; মোগল আমলে সাত গম্বুজ মসজিদের চারপাশে মুসলিম বসতি গড়ে ওঠায় নামটি প্রচলিত হয়। ১৯৫০–৬০ দশকে DIT এখানে Mohammadpur Model Town গড়লে পুরনো নামটাই আধুনিক শহুরে পরিচয় পায়। লোককথায় কখনো কোনো “মুহাম্মদ খান/শাহ”-এর নাম জুড়ে ব্যাখ্যা করা হলেও শক্ত নথি বলছে—পুরনো মৌজা-নাম + পরিকল্পিত নগরায়ণ = আজকের “মোহাম্মদপুর”।

সাত মসজিদের গল্প—আরও কিছু

নির্মাণকাল: মোগল শাসনামল, ১৭শ শতক (শায়েস্তা খাঁ পিরিয়ডে)।

বৈশিষ্ট্য: সাত গম্বুজের ক্লাসিক বিন্যাস, চার কোণে অষ্টভুজ মিনার, অলংকরণের সূক্ষ্ম কাজ।

প্রেক্ষাপট: একসময় নদীর বন্যাপ্লাবিত পাড়ে দাঁড়ানো “সীমানা-মসজিদ”, আজ নগরায়ণে ঘেরা।

মুক্তিযুদ্ধ, গণঅভ্যুত্থান ও স্মৃতিচিহ্ন

আসাদ গেট: ১৯৬৯ সালের ছাত্রনেতা শহীদ আসাদের স্মৃতিতে ‘আয়ুব গেট’ নাম বদলে ‘আসাদ গেট’—মোহাম্মদপুরের গণঅভ্যুত্থানের সাক্ষী এক তোরণ।

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ (রায়েরবাজার): ১৯৭১-এর ১৪ ডিসেম্বরের নৃশংস বুদ্ধিজীবী হত্যার স্মৃতিবাহী স্মৃতিসৌধ—রায়েরবাজারের ইটভাটার স্থানে নির্মিত, মোহাম্মদপুর থানার ভেতরেই অবস্থান।

মোহাম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্প—জেনেভা ক্যাম্পের কাহিনি

১৯৭১-এর পর আন্তর্জাতিক রেডক্রস (ICRC)-এর তত্ত্বাবধানে মোহাম্মদপুরে স্থাপিত জেনেভা ক্যাম্প—দেশের বৃহত্তম উর্দুভাষী (বিহারি) কমিউনিটির বসতি। “জেনেভা” নামটি এসেছে ICRC-এর সদর দপ্তরের শহরের নাম থেকে। সময়ের সঙ্গে নাগরিকত্ব ও অধিকার নিয়ে নানা অধ্যায় পেরিয়ে আজও এখানে হাজারো মানুষের ঘনবসতি, নিজস্ব অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক জীবনচক্র।

মোহাম্মদপুরের উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক/ঐতিহ্যচিহ্ন

সাত গম্বুজ মসজিদ ও বিবির মাজার (সাত মসজিদ রোড) – মোগল স্থাপত্য।

আল্লাকুড়ি মসজিদ (মোহাম্মদপুর কলোনি/জেনেভা ক্যাম্পের কাছে) – ১৭শ-১৮শ শতকের প্রাচীন মসজিদ।

আসাদ গেট ও আসাদ এভিনিউ – ১৯৬৯ গণঅভ্যুত্থানের স্মারক।

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, রায়েরবাজার – ১৯৯৯ সালে সম্পন্ন জাতীয় স্মৃতিচিহ্ন।

বোসিলা/বেরিবাঁধ নদীপাড় – বুড়িগঙ্গা-তুরাগের সঙ্গম-অঞ্চল ও পুরনো বুড়িগঙ্গার চ্যানেল এলাকার ধারাবৃত্ত ইতিহাস।

রামচন্দ্রপুর খাল ও চাঁদ উদ্যান-সংলগ্ন জলাধার – পশ্চিম ঢাকার বৃষ্টির জল নিষ্কাশনের ঐতিহ্যবাহী নালা-ব্যবস্থা।

আজকের মোহাম্মদপুর

DIT-পরিকল্পিত হাউজিং, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার, দারুশ সালাম-আদাবর-লালমাটিয়া-রায়েরবাজারের মতো উপ-পাড়া মিলিয়ে আজ মোহাম্মদপুর এক বৈচিত্র্যময় নাগরিক আবাস। অথচ একটু হাঁটলেই ধরা পড়ে মোগল যুগের ইট-পাথর, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন, আর জেনেভা ক্যাম্পের দীর্ঘ সামাজিক ইতিহাস—সব মিলেই মোহাম্মদপুর একটি ‘লেয়ার্ড সিটি’।

__________________________
লেখা-মো:নাঈম ভুইয়া ||
এডমিন-ঢাকার গণপরিবহন ||
_________________________

#মোহাম্মদপুর #পুরানঢাকা #ঢাকারইতিহাস #ঐতিহাসিকঢাকা #ঢাকারপ্রাচীনঐতিহ্য #ঢাকারঐতিহ্য #ঢাকারপ্রাচীনস্থাপনা #পুরানঢাকারগল্প #ঢাকারপুরানচিত্র #ঢাকারঅতীত

#সাতমসজিদ #মোগলস্থাপত্য

#বুড়িগঙ্গা #ঢাকারনদী

#মোহাম্মদপুরনামকরণ
#জেনেভাক্যাম্প #উর্দুভাষীসম্প্রদায় #শহীদআসাদ
#১৯৭১

🎈 ঢাকার আকাশে প্রথম বেলুন উড্ডয়ন ও জেনেট ভ্যান ট্যাসেলের ম-র্মান্তিক ইতিহাস ||ঢাকার ইতিহাসের অনেক অধ্যায় আজ ভুলে যাওয়া। ...
19/10/2025

🎈 ঢাকার আকাশে প্রথম বেলুন উড্ডয়ন ও জেনেট ভ্যান ট্যাসেলের ম-র্মান্তিক ইতিহাস ||

ঢাকার ইতিহাসের অনেক অধ্যায় আজ ভুলে যাওয়া। কিন্তু ১৮৯২ সালের ১৬ মার্চের একটি ঘটনা এখনও বিস্ময় জাগায়। সেদিন ঢাকার আকাশে প্রথমবারের মতো উড়েছিল একটি বেলুন—যার নায়ক ছিলেন না কোনো স্থানীয় অভিযাত্রী, বরং একজন তরুণী আমেরিকান নারী, জেনেট ভ্যান ট্যাসেল (Janet Van Tassel)। নবাব খাজা আহসানউল্লাহর উদ্যোগে আয়োজিত সেই প্রদর্শনী একদিকে ঢাকাবাসীর জন্য বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা এনে দিলেও, অন্যদিকে শেষ হয়েছিল এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায়।

১৮৯২ সালে ঢাকার আকাশে প্রথমবার বেলুন উড়েছিল এক আমেরিকান নারী—জেনেট ভ্যান ট্যাসেল। আহসান মঞ্জিল থেকে আয়োজিত সেই প্রদর্শনী একদিকে বিস্ময়, অন্যদিকে ছিল এক ভয়াবহ দু-র্ঘটনার সাক্ষী। জেনে নিন ঢাকার এই ভুলে যাওয়া ইতিহাস।”

---

ঢাকায় বেলুন উড্ডয়নের সূচনা

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে ইউরোপ ও আমেরিকায় হট এয়ার বেলুন ছিল বিনোদন ও প্রদর্শনীর অন্যতম আকর্ষণ। সেই ধারা ঢাকায় নিয়ে আসেন তৎকালীন নবাব খাজা আহসানউল্লাহ। তিনি প্রায় ১০,০০০ টাকার চুক্তিতে আমেরিকার এক সাহসী বেলুনবাদক—জেনেট ভ্যান ট্যাসেলকে ঢাকায় নিয়ে আসেন।

খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঢাকার সর্বস্তরের মানুষ উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে। আহসান মঞ্জিল প্রাঙ্গণ, বুড়িগঙ্গা নদীর তীর, এমনকি মাঝনদীর নৌকাতেও মানুষ গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে থাকে বিরল দৃশ্য দেখার জন্য।

---

জেনেট ভ্যান ট্যাসেল: এক সাহসী অভিযাত্রী

জেনেট ভ্যান ট্যাসেল তখন মাত্র বিশের শেষ প্রান্তে। এর আগেও তিনি ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকার বিভিন্ন শহরে বহুবার বেলুন প্রদর্শনী করেছেন। ঢাকায় তাঁর প্রদর্শনীর পরিকল্পনা ছিল—বুড়িগঙ্গা নদীর দক্ষিণ দিক থেকে আকাশে উড়ে উঠে আহসান মঞ্জিলের চূড়ায় অবতরণ করা।

এমন দৃশ্য আগে ঢাকার মানুষ কখনও দেখেনি। তাই উৎসাহ ও কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন এই তরুণী আমেরিকান।

---

সেই ঐতিহাসিক দিন: ১৬ মার্চ ১৮৯২

📍 সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে প্রদর্শনী শুরু হয়। কেরোসিন ও কাঠ পুড়িয়ে বিশাল বেলুনটি ফোলানো হয়। শীঘ্রই সেটি আকাশে উড়তে শুরু করলে দর্শকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে।

কিন্তু পরিকল্পনার মতো আহসান মঞ্জিলের চূড়ায় নামতে পারলেন না তিনি। প্রবল বাতাসের তোড়ে বেলুন ভেসে যায় দূরে। ধোঁয়া ও আগুনের ঝলকানি দর্শকদের আতঙ্কিত করে তোলে।

---

ম-র্মান্তিক দুর্ঘটনা

আকাশে ভেসে চলা বেলুন অবশেষে গিয়ে আটকে যায় রমনার একটি গাছে। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে। একটি বাঁশের খুঁটির সাহায্যে নিচে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বাঁশ ভেঙে পড়ে যায় জেনেট ভ্যান ট্যাসেল। মারাত্মকভাবে আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও কয়েকদিন পর তিনি মৃ-ত্যুবরণ করেন।

সবচেয়ে করুণ বিষয় হলো—দুর্ঘটনার মাত্র কয়েকদিন আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। তাঁর স্বামীসহ ঢাকার বহু অভিজাত ব্যক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

---

সামাজিক প্রতিক্রিয়া

ঘটনাটি ঢাকার অভিজাত সমাজে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। অনেকেই পুলিশের অব্যবস্থাপনা ও অদক্ষতাকে দায়ী করেন। সমসাময়িক কিছু সংবাদপত্র, যেমন Bengal Gazetteer, ঘটনাটি প্রকাশ করে।

এটি ছিল তৎকালীন পূর্ববঙ্গে প্রথম বেলুন উড্ডয়ন—এবং একইসাথে এক করুণ মৃত্যুর কাহিনী।

---

আজকের দিনে জেনেট ভ্যান ট্যাসেলের স্মৃতি

আজ প্রায় ভুলে যাওয়া এই ঘটনাটির একমাত্র চিহ্ন রয়ে গেছে তাঁর কবরের মাধ্যমে।
🪦 ঢাকার নারিন্দা খ্রিস্টান কবরস্থানে তাঁর সমাধি আজও আছে, তবে পরিচর্যার অভাবে তা প্রায় বিস্মৃতপ্রায়।

এই ঘটনার মাধ্যমে ঢাকার ইতিহাসে একদিকে যেমন যোগ হয়েছে নতুন অধ্যায়—‘আকাশযাত্রার প্রথম প্রচেষ্টা’, তেমনি জড়িয়ে আছে এক তরুণীর মর্মান্তিক মৃত্যু।

---

কেন এই ঘটনা গুরুত্বপূর্ণ?

এটি ঢাকার আকাশে প্রথম বেলুন উড্ডয়ন।

নবাব আহসানউল্লাহর উদ্যোগে বিশ্বজুড়ে আলোচিত একটি প্রদর্শনী আয়োজিত হয়েছিল।

জেনেট ভ্যান ট্যাসেলের করুণ মৃ-ত্যু ঢাকার ইতিহাসের একটি অজানা অধ্যায় হয়ে আছে।

==================================
লেখা-মোঃনাঈম ভুইয়া ||
এডমিন-ঢাকার গণপরিবহন ||
=========================

ঢাকার বেলুন ইতিহাস

Janet Van Tassel Dhaka 1892

Ahsan Manzil Balloon Show

নবাব আহসানউল্লাহ ইতিহাস

Dhaka Forgotten History

Hot Air Balloon Accident in Dhaka


#ঢাকারআকাশেপ্রথমবেলুনউড়ানোরগল্প
#ঢাকারগনপরিবহন #নাঈম

Address

MIRPUR
Dhaka
1216

Opening Hours

Monday 12:15 - 15:15
20:15 - 02:00
Tuesday 12:15 - 15:15
20:15 - 02:00
Wednesday 12:15 - 15:15
20:15 - 02:00
Thursday 12:15 - 15:15
20:15 - 02:00
Friday 12:15 - 15:15
20:15 - 02:00
Saturday 12:15 - 15:15
20:15 - 02:00
Sunday 12:15 - 15:15
20:15 - 02:00

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ঢাকার গণপরিবহন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ঢাকার গণপরিবহন:

Share

Category