Yeasir Yunus

Yeasir Yunus Story Narrator | PhD Student | Commonwealth Scholar

আমার জীবনের সব থেকে প্রাচীন যে স্মৃতিটা মনে পড়ে তা হলো  এক আষাঢ়ে দুপুর। আমার পৈতৃক বাড়িতে সেই দুপুরে আমার মা দরজা-জানালা...
18/07/2025

আমার জীবনের সব থেকে প্রাচীন যে স্মৃতিটা মনে পড়ে তা হলো এক আষাঢ়ে দুপুর। আমার পৈতৃক বাড়িতে সেই দুপুরে আমার মা দরজা-জানালা বন্ধ করে কাঁথা মুড়ি দিয়ে আমাকে নিয়ে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। অথচ আমি ঘুমাতে চাইছি না। ঘরের চালে প্রচণ্ড শব্দ হচ্ছে। সম্ভবত আম পড়ছে। সেই আম কুড়াতে কেউ কেউ হয়ত এসেছে। আমার কৌতূহল সেইদিকে। আমি একটার পর একটা প্রশ্ন করে যাচ্ছি। মা চোখ বন্ধ রেখে অলসভাবে সেসবের উত্তর দিয়ে যাচ্ছে। একসময় মা আমার প্রশ্নে বিরক্ত হয়ে আমার গায়ে কাঁথা জড়িয়ে ঘুম পাড়াতে শুরু করলো। আমি প্রবল আবেশে আর নরম সেই কাঁথায় শীত শীত একটা ভাব নিয়ে ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে পড়লাম।

এই স্মৃতিটা আমার সারাজীবনের সবথেকে প্রিয় স্মৃতির একটি। এর আগে পরে আমার আর কোন কিছু মনে নেই। সম্ভবত এই ঘটনার কারণেই বর্ষা ঋতুর মতো আর কোন ঋতু মন কাড়ে না।

ছবিটা এআই দিয়ে তৈরি।

লোকে আজকাল ফেইল টেইল করেও সিংগাপুর মালয়েশিয়াতে ট্যুর দিতে যাচ্ছে। এসব দেখে উদ্ভুদ্ধ হয়ে সাথেসাথে বের হয়ে গেছি।আর হবে কি ...
15/07/2025

লোকে আজকাল ফেইল টেইল করেও সিংগাপুর মালয়েশিয়াতে ট্যুর দিতে যাচ্ছে। এসব দেখে উদ্ভুদ্ধ হয়ে সাথেসাথে বের হয়ে গেছি।

আর হবে কি এ মানবজনমে?

জানলা দিয়ে তাকালে একপাশে পাহাড়ি ঢালে দিগন্তজোড়া প্রান্তর; আরেকপাশে সমুদ্রের নীল জলরাশি। এমন এক বাড়িতে কিছুদিন থাকতে এসেছ...
14/07/2025

জানলা দিয়ে তাকালে একপাশে পাহাড়ি ঢালে দিগন্তজোড়া প্রান্তর; আরেকপাশে সমুদ্রের নীল জলরাশি।

এমন এক বাড়িতে কিছুদিন থাকতে এসেছি AirBnB তে।

প্রাচীনকালের চিকিৎসা ব্যবস্থায় একে বলে- বায়ু পরিবর্তন।

Last Week.I presented findings from one of my PhD studies at the International Centre for Research on Forensic Psycholog...
07/07/2025

Last Week.

I presented findings from one of my PhD studies at the International Centre for Research on Forensic Psychology (ICRFP).

সুন্দরবন এলাকায় পরপর কয়েকজন মানুষ মরে গেল। যারা বাস্তবতায় বিশ্বাস করে- তারা ভাবছে এদের বাঘে ধরেছে। কিন্তু যারা পরাবাস্তব...
07/07/2025

সুন্দরবন এলাকায় পরপর কয়েকজন মানুষ মরে গেল। যারা বাস্তবতায় বিশ্বাস করে- তারা ভাবছে এদের বাঘে ধরেছে। কিন্তু যারা পরাবাস্তবতায় বিশ্বাস করে- তারা ভাবছে এদের বাঘ নয়, মায়াবাঘ খুন করেছে।

এই রহস্যের তদন্ত কাঁধে পড়েছে এস আই মনসুর এর উপর। তার সাথে যোগ দিয়েছে ঢাকা থেকে আগত নয়টা-পাঁচটা অফিস করা এক লেখক- যে কিনা খোদ গল্প খুঁজতেই চলে এসেছে এই সুন্দরবন।

কী এই মায়াবাঘ? এই রহস্যেরই ব্যাখা কী? এসব নিয়েই বই 'চন্দ্র চন্দ্র খুঁজে ফিরি।' বইয়ের নামটাও মানানসই। গল্পের এক পর্যায়ে লেখক শাহরিয়ার জাওয়াদ নিজেই বলে দিয়েছেন- সময়ের সাথ সাথে সব চরিত্র বদলে গেলেও বদলায়নি কেবল আকাশের চাঁদ। সে সব ঘটনার সাক্ষী।

সপ্তাহ শেষে বইটি পড়ার পর আমি হতাশ হইনি। আনন্দ পেয়েছি। লেখার মান আর প্লট দুটোই চমৎকার। ভবিষ্যতে এই লেখকের আরো বই পড়তে চাই।

সুন্দরবন এলাকায় পরপর কয়েকজন মানুষ মরে গেল। যারা বাস্তবতায় বিশ্বাস করে- তারা ভাবছে এদের বাঘে ধরেছে। কিন্তু যারা পরাবাস্তবতায় বিশ্বাস করে- তারা ভাবছে এদের বাঘ নয়, মায়াবাঘ খুন করেছে।

এই রহস্যের তদন্ত কাঁধে পড়েছে এস আই মনসুর এর উপর। তার সাথে যোগ দিয়েছে ঢাকা থেকে আগত নয়টা-পাঁচটা অফিস করা এক লেখক- যে কিনা খোদ গল্প খুঁজতেই চলে এসেছে এই সুন্দরবন।

কী এই মায়াবাঘ? এই রহস্যেরই ব্যাখা কী? এসব নিয়েই বই 'চন্দ্র চন্দ্র খুঁজে ফিরি।' বইয়ের নামটাও মানানসই। গল্পের এক পর্যায়ে লেখক শাহরিয়ার জাওয়াদ নিজেই বলে দিয়েছেন- সময়ের সাথ সাথে সব চরিত্র বদলে গেলেও বদলায়নি কেবল আকাশের চাঁদ। সে সব ঘটনার সাক্ষী।

সপ্তাহ শেষে বইটি পড়ার পর আমি হতাশ হইনি। আনন্দ পেয়েছি। লেখার মান আর প্লট দুটোই চমৎকার। ভবিষ্যতে এই লেখকের আরো বই পড়তে চাই।

৭ জুলাই ২০২৫

Conference Season Begins!Presented our mixed-method systematic review and meta-analysis at the IMISCOE Conference 2025 (...
03/07/2025

Conference Season Begins!

Presented our mixed-method systematic review and meta-analysis at the IMISCOE Conference 2025 (1–4 July 2025), in the session:
Forced Migration in Local and Regional Contexts and Different Cultural Backgrounds.

The conference is hosted on-site in Paris–Aubervilliers by the Institut Convergences Migrations (IC Migrations). Grateful to have contributed virtually.

29/06/2025
25/06/2025

--এআই বনাম নুইয়ে পড়া চারাগাছ--

টেবিল-চেয়ারে বসে গুরুগম্ভীর একটা রিপোর্ট পড়ছি। কিছুক্ষণ পর মন বিক্ষিপ্ত হয়ে ফেইসবুকে ঢুকতেই হুমায়ূন আহমেদ এর একটা লেখা চোখে পড়লো। সেই লেখায় আজমীর শরীফের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। লেখক নাকি একবার পরিবার নিয়ে আজমীর শরীফ গিয়েছিলেন এবং সেখানে তাঁর মেয়ে দোয়া করেছিলেন যেন বস্তা ভর্তি টাকা পাওয়া যায়। এরপর থেকেই নাকি তাঁদের আর টাকার অভাব হয়নি। আজমীর শরীফের কথা ছোটবেলা থেকে অনেক শুনেছি (বিশেষ করে বাংলা সিনেমায়)। কিছু হলেই মানত করতে মানুষজন আজমীর শরীফের পথে হাঁটা দেয়। এত বছর পর খেয়াল করে দেখলাম আজমীর শরীফ সম্পর্কে আমি তেমন কিছুই জানি না। সঙ্গে সঙ্গে গুগলে সার্চ করলাম- আজমীর শরীফ। উইকিপিডিয়াতে ঢুকে পুরো একটা পেইজ পেলাম। কৌতূহল বেড়ে গেলো। যার সমাধি তাঁর নাম সুফি সাধক মইনুদ্দিন চিশতি। তাঁকে নিয়েও বিশেষ কিছু জানি না। গেলাম তাঁকে নিয়ে লেখা পেইজে। সেখান থেকে গেলাম সুফিবাদ এর পেইজে। কৌতূহল বেড়েই চললো। রিপোর্ট শেষ করতে হবে দেখে কৌতূহলকে সাময়িক চাপা দিয়ে রাখলাম।

এই যে কৌতূহল, Curiosity বা inquisitiveness- তা মানুষ নামের প্রাণীর মস্ত বড় একটা ব্যাসিক জিনিস। মানুষের মধ্যে আল্লাহতালা জিনিসটা সেট করে দিয়ে বলে দিলেন- যা ব্যাটা, তুই আশরাফুল মাখলুকাত! হয়তো প্রাচীন এক সময়ে যখন মানুষ গুহায় বাস করতো, এই কৌতূহলই তাকে গুহার বাইরে এনে এক রাতে মাথার উপরের আকাশ দেখিয়ে বলেছে, আকাশ দেখেছো ভাল কথা, এবার তারাগুলো দেখো। তারা দেখেছো ভাল কথা, এবার ভাবো কোন তারা কখন ওঠে, কবে ওঠে। এরপর একের পর এক জ্ঞান আমরা পেয়েছি। পৃথিবী এগিয়ে গেছে। আমরা হয়েছি শ্রেষ্ঠ জীব।

এরপর এলো এআই। এলো বলাটা ভুল। আমরাই এনেছি। আমরাই বানিয়েছি। এখন আমরা প্রশ্ন করি- এআই কী মানুষের মতো ভাবতে পারে? কাজ করতে পারে? তাহলে কি মানুষের আর চিন্তা করার দরকার নেই? বাস্তবিকভাবেই মানুষের আর অনেক কিছু করার দরকার নেই। আমার নিজেরই অনেক কাজ এআই করে দেয়। তবে এআই এর কিছু ভুলভাল ব্যবহার আমরা করি। সবথেকে বড় ভুলটা করছে স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটির ছেলেমেয়েরা। এরা নিজেদের লেখার বদলে এআই দিয়ে রিপোর্ট বানিয়ে নেয়। হোমওয়ার্ক করে নেয়। এতে ভুলটা যেটা হচ্ছে- আমরা চিন্তা করতে ভুলে যাচ্ছি। যে কৌতূহল থেকে মানুষ চন্দ্র-নক্ষত্র জয় করে ফেললো, সেই কৌতূহল দিয়ে কিছু চিন্তা করার বদলে আমরা এআই এর উপর এমনই নির্ভর করে ফেলছি যে, সব চিন্তা তাকেই করতে দিচ্ছি। নিজেরা কিছু ভাবতে চাইছি না। এটাই সমস্যা। এআই এর যে বিপ্লব আমরা ঘটিয়েছি, তাতে এআইকে আরেকটা সত্তা হিসেবে চিন্তা করা কেবল হাতে গোনা দিনের অপেক্ষা। এআই কে মানুষের মতো আরেকটা প্রাণীই চিন্তা করেন। সে এগিয়ে যাচ্ছে, মানুষ চিন্তা করা ভুলে যাচ্ছে। ছেলেমেয়েদের চিন্তাশক্তিতে আর শান হচ্ছে না। আমার কাছে এআই নিয়ে সবথেকে ভয়ের কারণ এটাই। এইতো দুদিন আগেই MIT এর একটা রিসার্চের কথা জানলাম। এআই দিয়ে যারা রচনা লিখছে, লেখার মাত্র কয়েক মিনিট পরেই এরা কি লিখেছে তার একটি লাইনও ঠিকমতো মনে করতে পারছে না!! এআই এর অনেক ভাল ভাল দিক আছে। আমি নিজেও এআই ছাড়া অনেক কাজ এখন করার কথা ভাবতেও পারি না। তবে সেটা নিজের রিপোর্ট লেখার ক্ষেত্রে একদমই রিকমেন্ড করতে পারি না।

পরবর্তী প্রজন্ম এমন একটা অস্ত্র হাতে পেয়ে গেছে, যা দিয়ে অনেক মহৎ কিছু করা সম্ভব। কিন্তু তার আগে এদেরকে এক বিশাল পরিচর্চার মধ্যে দিয়ে নিতে হবে, ঠিক যেমনটি একদম নুইয়ে পড়া চারাগাছকে আমরা করে থাকি।

২৫ জুন ২০২৫

পঞ্চায়েত সিজন ফোর - Panchayat Season Fourবেশ কয়েক বছর আগের কথা। প্রথমবারের মতো ফুলেরা গ্রাম আর তার মানুষদের সাথে পরিচয় হ...
25/06/2025

পঞ্চায়েত সিজন ফোর - Panchayat Season Four

বেশ কয়েক বছর আগের কথা। প্রথমবারের মতো ফুলেরা গ্রাম আর তার মানুষদের সাথে পরিচয় হলো। প্রথম সিজনে পঞ্চায়েত সচিব অভিষেকের প্রবেশ হয় এই গ্রামে। তাই তার দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক কিছু দেখানো হয়েছে। দর্শক হিসেবে আমরাও ছিলাম অভিষেক এর মতোই নতুন একজন। সেই ফুলেরা গ্রামে চতুর্থবারের মতো প্রবেশ করলাম। আমরা যেন অভিষেকের শহুরে বন্ধু। এবার আর অভিষেকের দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, কেবল আমাদের দৃষ্টিতেই সব দেখছি। কারণ অভিষেক এখন এই গ্রামেরই একজন। পুরোদস্তুর এই গ্রামের বাসিন্দা। রীতিমতো তার একটি ডায়ালগও রয়েছে এক পর্যায়ে- এই গাও হামারা ভি। হ্যা কি নেহি?

তা বেশ! কিন্তু এবার বলি আসল কথা। কেমন লাগলো? এক কথায় বলে দেই। যেমন ভেবেছিলাম হুবহু সেইরকমই নির্মান হয়েছে। প্রথম দুই সিজন ছিল হাস্যরসে মুখর। তৃতীয় সিজনটা একটু খাপছাড়া হয়েছিলো, কিন্তু এবারেরটা...এবারের নির্বাচনে আপনি আসলেই বুঝবেন ভিলেজ পলিটিক্স কি জিনিস। অনেকেই এই পয়েন্টটাতে আপত্তি তুলছেন এই দাবীতে যে, আগের মতো মুহূর্তে মুহূর্তে হাসা যাচ্ছে না। আমার মনে হয় এই ই ভালো হয়েছে। মুহূর্তে মুহূর্তে হাসা যাচ্ছে না ঠিকই ই, কিন্তু সেই মুহূর্তে আপনি যে শুধু স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকবেন তা কিন্তু নয়। সেইসময় আপনার মন হবে বিষন্ন, হতবিহ্বল। এটাই তো স্বার্থকতা! উদাহরণ দিয়ে বলি- বিনোদ চরিত্রটা এবার ফাটিয়ে দিয়েছে। স্পয়লার দেব না বলে লিখতে পারছি না, তবে মন ভরিয়ে দেবে- বাজি রেখে বললাম। প্রহলাদ চরিত্রে অভিনেতা এবারও এমন কিছু অভিব্যক্তি দিয়েছেন, মন ভরে যাবে সেই সিনে।

হাসির এলিমেন্ট যে নেই একদম তা নয়! একদম প্রথম সিজন থেকে যারা দেখেছেন, অনেক ঘটনা শুধু তারাই রিলেট করতে পারবেন, আর মনে হবে- আরেব্বাস!

তবে সমালোচনা যদি করতেই হয়, শেষের এপিসোডের একদম শেষের কয়েক মিনিট নিয়ে আমার অভিযোগ রয়েছে।

সব মিলিয়ে কাজ কর্ম শেষ করে একটানে দেখে ফেলার প্রস্তুতি নিয়ে বসুন। আশা করি সারাদিনের ক্লান্তি আর অশান্তি দূর হয়ে যাবে।

Proof that I trust no one. Not even the photographer. 🙃 Taken and judged by me, my camera and tripod. 📸
23/06/2025

Proof that I trust no one. Not even the photographer. 🙃 Taken and judged by me, my camera and tripod. 📸

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Yeasir Yunus posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category