29/07/2025
হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহ: ফজরের পর না ঘুমানো
আমাদের ব্যস্ত জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ আমরা ভুলে গেছি। এমনই একটি সুন্নাহ হলো, ফজরের পর না ঘুমানো।
ঘুমে বিভোর থাকার সময়।
ফজরের নামাজ আদায় করে....
দুআ, রাকাআত, আল্লাহ তা'আলা,
দিনের ব্যস্ততার পর রাতে একটি ভালো ঘুম মানুষের শরীরের জন্য প্রয়োজন। এশা থেকে ফজর পর্যন্ত সময়টা ঘুমের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত সময়। কোষ চব্বিশঘণ্টা সচল থাকে। ঘুমালে, এই কোষ আরো এক্টিভ হয়ে যায়। ফজরের সময় থেকে মানুষের দেহের কোষগুলো সচল হয়ে ওঠে। এই সময় ডোপামিনের পিক টাইম এবং পড়াও খুব ভালো স্মরণে
থাকে ।
এ সময় অলস শুয়ে থাকা স্বাস্থ্যের পক্ষে সুখকর নয়। তবে আমাদের জীবনবাস্তবতায় এ সময়টাই হয়ে উঠেছে ঘুমমগ্নতার সময়।
ইসলাম এ সময়কে বিশেষ বরকতময় সময় হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। ফজরের নামাজ শেষ করে সূর্যোদয় পর্যন্ত দুআ-দরুদ-জিকিরে মশগুল থাকতে উৎসাহিত করেছে। ঘুমিয়ে থাকতে বারণ করেছে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতে আদায় করে, সূর্যোদয় পর্যন্ত নামাজের স্থানে বসে আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকে, এরপর দুই রাকাআত (ইশরাক) নামাজ আদায় করে, তাঁর জন্য একটি হজ ও ওমরাহর পূর্ণ সওয়াব, একদম পূর্ণ সওয়াব।’ (তিরিমিজি: ৫৮৬)
ফাতেমা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমার পাশ দিয়ে গেলেন। তখন সকাল, আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। তিনি পা দিয়ে আমাকে নাড়া দিলেন এবং বললেন, ‘মেয়ে আমার, ওঠো।
তোমার রবের রিজিক বণ্টন দেখো। অলসতায় থেকো না। কারণ আল্লাহ তা'আলা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মানুষের রিজিক বণ্টন করেন।’ (শুআবুল ইমান: ৪৪০৫)
অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতদের ভোরে বরকত দাও।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন কোনো সৈন্য দল পাঠাতেন, তখন দিনের প্রথম প্রহরেই পাঠাতেন। সাখর গামেদি (রা.) ও একজন ব্যবসায়ী। তিনি নিজের ব্যবসায়িক যেকোনো কার্যক্রম ভোরে পরিচালনা করতেন। ফলে তিনি নেহাত লাভবান হয়েছেন এবং প্রচুর সম্পদের অধিকারী হয়েছেন। (আবু দাউদ: ২৬০৬)
চলুন আমরা নবীজির এই প্রিয় সুন্নাহটি আবার জীবনে ফিরিয়ে আনি— ফজরের পর আর না ঘুমিয়ে জীবন বরকতময় করি।