22/10/2024
কিছু কিছু ইবাদত এমন রয়েছে যেগুলোর ফযীলত অনেক।
যেমন: জিহাদ, জামাতে নামাজ আদায়, জানাযায় শরীক হওয়া, একের পর হজ করা ইত্যাদি। সাধারণত নারীদের এ সকল ইবাদত করার সুযোগ হয় না। তাহলে কি নারীরা এ সকল ইবাদতের সওয়াব থেকে বঞ্চিত থাকবে? নারী সাহাবীদের মনেও এমন প্রশ্ন জেগেছিল। তখন নারীদের পক্ষ থেকে আসমা বিনতে ইয়াযিদ রাদিয়াল্লাহু আনহা নবীজির দরবারে গিয়ে আরজ করেন,
“হে আল্লাহর রাসূল, আমি আমার পেছনে উপস্থিত বড় এক মুসলিম নারীদলের প্রতিনিধি। আমার কথাই তাদের কথা। আমার মতই সবার মত। আমার আবেদন হচ্ছে, আল্লাহ তাআলা আপনাকে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই রাসূল হিসেবে প্রেরণ করেছেন। আমরা আপনার উপর ঈমান এনেছি এবং আপনার অনুসরণ করি। আমরা নারীরা ঘরে পর্দায় থাকি। পুরুষের জৈবিক চাহিদা পূরণ করি। তাদের সন্তান-সন্ততির দেখভাল করি। পুরুষরা জামাতের সাথে নামাজ আদায় করে। রোগী দেখতে যায়। জানাযায় শরীক হয়। জিহাদে অংশ নেয়। একের পর এক হজ করে। এসব কারণে তো তারা নেক কাজে আমাদের চেয়ে অগ্রগামী হয়ে যাচ্ছে। পুরুষরা জিহাদে বের হলে আমরা তাদের ধন-সম্পদের হেফাজত করি। তাদের সন্তানদের লালন-পালন করি। তাদের নেকী ও প্রতিদানে কি আমাদের অংশ থাকবে?”
নবীজি তখন সাহাবায়ে কেরামের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, দ্বীনি বিষয়ে তোমরা কি কোনো নারীকে এর চেয়ে সুন্দর প্রশ্ন করতে শুনেছ?
এরপর নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে নারীকে লক্ষ্য করে বললেন,
“তুমি আমার কথা ভালোভাবে অনুধাবন করো এবং অন্যান্য মহিলাদেরও এ কথা জানিয়ে দাও যে, স্বামীর সাথে সদাচরণ করা, তার সন্তুষ্টি কামনা করা, আদেশ মান্য করা ও তার পছন্দনীয় কাজ করা, এ সকল আমলের (অর্থাৎ জিহাদ, জামাতে নামাজ আদায়, একের পর এক হজ করা ইত্যাদির) সমতুল্য সওয়াব ও মর্যাদা রাখে।”
এ কথা শুনে হযরত আসমা রা. আল্লাহু আকবার বলতে বলতে উঠে দাঁড়ালেন এবং খুশী মনে কালিমা পড়তে পড়তে ফিরে গেলেন।
অর্থাৎ, স্বামী ঘরে আছে, স্ত্রী তার সঙ্গে সদাচরণ করছে; সালাতে যাচ্ছে, স্ত্রী তার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এগিয়ে দিচ্ছে; স্বামী জিহাদে বের হবে, স্ত্রী পাথেয় গুছিয়ে বিদায় দিচ্ছে; স্বামী হজে গমন করেছে, স্ত্রী সংসারে থেকে সন্তানদের আগলে রাখছে, সম্ভ্রম রক্ষা করছে, সম্পদের হেফাজত করছে; তাহলে আশা করা যায়, স্বামী সালাতের জন্য জামাতে শরীক হয়ে, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে, হজ্জে বাইতুল্লাহ তাওয়াফ ও অন্যান্য আমল করে যে সওয়াব অর্জন করবে, স্ত্রীও সেই সওয়াব লাভ করবে, ইনশাআল্লাহ। কেননা একজন আদর্শ স্ত্রী স্বামীর এই অধিকারগুলোর প্রতি অবশ্যই যত্নবান থাকবেন।
এক মলাটে জান্নাত লাভের ৩৫০+ আমল।
এখন ৩৫% ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে.
দ্বীন পাবলিকেশন