17/04/2024
***ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
=>অনলাইনে পন্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচার করাকেই বুঝায়।সেটা হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আবার সার্চ ইঞ্জিন এর মাধ্যমে আবার সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে, ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ও হতে পারে।
আবার ইলেকট্রনিক মিডিয়া যেমন টিভি,রেডিও এর মাধ্যমে পন্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করাটাও ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতায় পড়ে।এছাড়াও মোবাইলে ম্যাসেন্জিং এর মাধ্যমে, ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড, মোবাইল এপ্লিকেশনের মাধ্যমে ও পণ্যের প্রচারণাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা যেতে পারে।
***ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপসমূহ কি কি?
=>ডিজিটাল মার্কেটিং এর কয়েকটি ধাপ রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে মার্কেটাররা বিভিন্ন প্লাটফর্মে ডিজিটাল মার্কেটিং করে থাকেন।
সেগুলো হলো...
১/এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃক্লায়েন্টের যেকোনো কিছু( ওয়েবসাইট, ব্লগ,প্র্যোডাক্ট) জনপ্রিয় করে তোলাই হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। যেমনঃ( Google,Yahoo, Bing etc)
২/এসইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংঃসার্চ ইঞ্জিন গুলোতে ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন দেয়াকে বুঝায়।ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা সেলস বাড়ানোর উদ্দেশ্য বিশ্বের নামি-দামি ব্রান্ডসহ কোম্পানি তাদের প্রচারণার জন্য সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ব্যবহার করে থাকেন।
৩/এসএসএম বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ হলো একটি পণ্যের বিজ্ঞাপন বা শেয়ারিং এর মাধ্যমে প্রচার করা।এসএমএম এর মাধ্যমে যেকোনো পণ্য কাস্টমারের কাছে পৌছে দেয়া যায়।এসএমএম হলো এমন এক টেকনিক বা প্রক্রিয়া, যেখানে বিভিন্ন আলাদা আলাদা সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যেমনঃYoutube,Facebook, LinkedIn etc
৪/কন্টেন্ট ক্রিয়েটিংঃ হলো একটি সৃজনশীল প্রক্রিয়া,যা বিভিন্ন প্লাটফর্মে তথ্য, সংবাদ বা বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী তৈরি করে।এটি লেখা,ছবি,অডিও,ভিডিও বা অন্যান্য মাধ্যমে কাজ করতে পারে।
৫/এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ 14, 2023
এফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন একটি ব্যবসা মডেল যেখানে একটি ব্যবসা অন্য ব্যবসা বা ব্র্যান্ডের পণ্য বা সেবা বিজ্ঞাপন করে এবং সেই বিজ্ঞাপন থেকে উপার্জন করে নেয় যখন তারা উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞাপিত পণ্য বা সেবা বিক্রি হয়।
এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে প্রধানত তিনটি পক্ষ থাকে :
১/প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ড:যা তাদের পণ্য বা সেবা বিজ্ঞাপন করতে চান।
২/এফিলিয়েট মার্কেটার বা পাবলিশার: যারা অন্য ওয়েবসাইটে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রদান করে এবং তাদের অনুযায়ী বিক্রি হলে কিছু কমিশন পান।
৩/কাস্টমার: যে ব্যক্তি বা গ্রাহক যে বিজ্ঞাপিত পণ্য বা সেবা কিনে।
৬/ই-কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিংঃই-কমার্স বিজনেস এর জন্য আমরা শুধু অনলাইন মার্কেটিংকে বর্তমানে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনলাইনে শুধু মার্কেটিং পদ্ধতিকে সীমাবদ্ধ রাখলে ই-কমার্স বিজনেসকে দাড় করানো সম্ভব না। এর জন্য প্রয়োজন ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং বা প্রথাগত মার্কেইটিং –এ ।
৭/ই-মেইল মার্কেটিংঃই-মেইলকে ব্যবহার করে কমার্সিয়াল মেসেজ প্রেরণের মাধ্যেমে সেলস জেনারেট করার প্রকৃয়াকে বলা হয় ই-মেইল মার্কেটিং। এটি একটি ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি। যার মাধ্যমে টার্গেটেড কাস্টমারের কাছে সরাসরি কোন পন্যের বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়। এই ই-মেইল গুলো অনেক কিছু বহন করে- যেমন প্রয়োজনীয় তথ্য, কোম্পানির খবর, বিজ্ঞাপন, স্পেশ্যাল অফার, এবং সেলস মিটিং এর নিমন্ত্রন পত্র সহ আরো অনেক কিছু।
৮/সিপিএ মার্কেটিংঃকোম্পানি বা বিজনেসের মালিকগণ তাদের পণ্য বিক্রি করার জন্য উক্ত পণ্যের মার্কেটিং করে থাকেন। তারা সাধারণত বিজ্ঞাপন দাতা কোম্পানিগুলোকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেয় যাতে তারা উক্ত পণ্য কাস্টমার পর্যায়ে নিয়ে যায়। সিপিএ মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এই বিজ্ঞাপন দাতা কোম্পানিগুলোকে বলা হয় CPA Network।
***ডিজিটাল মার্কেটিং কেনো প্রয়োজন?
=>বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং একটা অপরিহার্য অংশ।কারন এইসময়ে একটি ব্যবসা করতে গেলে বা সাফল্য পেতে হলে অনলাইনেও এর প্রচার করতে হয়।আর এখন বেশিরভাগ মানুষই অনলাইন এ পণ্য ক্রয় করে থাকেন।এর এটা কেনো প্রয়োজন সেটার কয়েকটি পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো:
১/টার্গেটিং ক্রেতাদের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি।
২/অনলাইন নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি।
৩/কম খরচে মার্কেটিং।
৪/ ক্রেতাদের রি-টার্গেটিং করা।
৫/প্রতিযোগীদের সাথে তাল মিলিয়ে চলা।