
08/06/2025
শ্রদ্ধাঞ্জলি
#দ্বিতীয়_মৃত্যুবার্ষিকী
সিরাজুল আলম খান
৬ জানুয়ারি ১৯৪১। ৯ জুন ২০২৩
সিরাজুল আলম খান বাংলাদেশের অতি সুপরিচিত নাম। প্রথম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র হিসেবে স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সুখ্যাতি ছিলো। সেই সময়েই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং পরবর্তীতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৩-'৬৪ এবং ১৯৬৪-৬৫ এই দুই বছর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বাঙালির 'জাতীয় রাষ্ট্র' বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ১৯৬২ সালে গোপন সংগঠন 'নিউক্লিয়াস' গঠন করেন। নিউক্লিয়াস 'স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ' নামেও পরিচিত। এই উদ্যোগে তাঁর প্রধান দুই সহকর্মী ছিলেন আবদুর রাজ্জাক এবং কাজী আরেফ আহমেদ। ১৯৬২-'৭১ সাল পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলন, ৬-দফা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার আন্দোলন, ১১-দফা আন্দোলনের পরিকল্পনা ও কৌশল প্রণয়ন করে এই 'নিউক্লিয়াস'। এই সব দুর্বার গণ-আন্দোলনের একক কৃতিত্বের দাবিদার যদি কেউ থেকে থাকেন তিনি হলেন সিরাজুল আলম খান। আন্দোলনের এক পর্যায়ে গড়ে তোলা হয় 'নিউক্লিয়াস'র রাজনৈতিক উইং 'বিএলএফ' এবং সামরিক উইং 'জয় বাংলা বাহিনী'। স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে 'জয় বাংলা' সহ সকল স্লোগান নির্ধারণ এবং বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে '...এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম' বাক্যসমূহের সংযোজনের কৃতিত্ব 'নিউক্লিয়াস'র। শেখ মুজিবুর রহমানকে 'বঙ্গবন্ধু' উপাধি প্রদানের সিদ্ধান্ত 'নিউক্লিয়াসে'র। এই সব সিদ্ধান্ত গ্রহণে সিরাজুল আলম খানের ভূমিকা ছিলো মুখ্য।