24/10/2024
তৃতীয় মন্দির (Third Temple) নির্মাণের বিষয়টি মূলত ইহুদী ধর্ম এবং বিশ্বরাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ⚠️
ইহুদী ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ:
ইহুদী ধর্মে তৃতীয় মন্দির পুনর্নির্মাণের ধারণাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মসীহ বা মসীহা (Messiah) এর আগমনের সঙ্গে সম্পর্কিত।
মসীহ: ইহুদী ধর্মের বিশ্বাসে, মসীহ হলেন এক মহা-নেতা, যিনি দ্বিতীয় মন্দির ধ্বংসের পর তৃতীয় মন্দির পুনর্নির্মাণ করবেন। মসীহের আগমন ইহুদীদের জন্য মুক্তি এবং বিশ্ব শান্তি আনবে। তিনি ঈশ্বরের নির্দেশে পৃথিবীকে শাসন করবেন এবং ইহুদী জনগণের জন্য একটি পবিত্র রাজ্য প্রতিষ্ঠা করবেন।
ইহুদী ধর্মে মসীহকে রাজা হিসেবে দেখা হয়, এবং তৃতীয় মন্দিরের শাসক হিসেবে তার ভূমিকা একটি দীর্ঘস্থায়ী শাসন প্রতিষ্ঠা করবে বলে বিশ্বাস করা হয়।
ঈশ্বরের রাজত্ব: ইহুদী ধর্মীয় গ্রন্থ তওরাত এবং তনাখ-এ বলা হয়েছে যে, মসীহের রাজত্ব কেবল ইহুদী জাতির জন্যই নয়, বরং পুরো পৃথিবীজুড়ে ঈশ্বরের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। তবে, মসীহের শাসনকে আধ্যাত্মিক এবং দ্বিতীয় মন্দিরের পুনর্নির্মাণ একটি বিশাল গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হিসেবে দেখা হয়।
বর্তমান রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ:
বর্তমানে, কিছু ইহুদী ধর্মীয় নেতা ও রাজনীতিবিদ বিশ্বাস করেন যে, তৃতীয় মন্দির পুনর্নির্মাণের জন্য ইসরায়েল একটি বিশ্বশান্তি স্থাপনকারী রাষ্ট্র হবে। তবে, এই মন্দির নির্মাণের জন্য রাজা বা শাসক হিসেবে মসীহ এর আগমন একটি ধর্মীয় আস্থা এবং অনেক সময় এটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ও বিশ্ব শক্তি দ্বারা প্রতিফলিত হতে পারে।
তৃতীয় মন্দির এর রাজা বা শাসক মসীহ (Messiah) হবেন, যারা ইহুদী ধর্মে বিশ্বাসী, এবং তিনি ঈশ্বরের নির্দেশে পৃথিবীকে শাসন করবেন।
⚠️⚠️ বর্তমান ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বা মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা অনেক মুসলিম চিন্তাবিদ ও ধর্মীয় নেতাদের কাছে কিয়ামতের পূর্ববর্তী কিছু চিহ্ন হিসেবে দেখেন,, ইসলামিক ঐতিহ্যে বলা হয়েছে যে, দাজ্জালের আগমন এবং তার শাসন পৃথিবীজুড়ে বিশাল অস্থিরতা ও যুদ্ধের মধ্যে ঘটবে। ⚠️⚠️