Physionews24.com

Physionews24.com The first and complete Physiotherapy Newspaper in Bangladesh

বাংলাদেশের প্রথম ও পূর্ণাঙ্গ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা বিষয়ক পএিকা
The first and complete Physiotherapy Newspaper in Bangladesh

আমরা কি জানি?ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক কারা-বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৮ তথ্যমতে-কোন স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ৫...
01/06/2025

আমরা কি জানি?
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক কারা-
বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন ২০১৮ তথ্যমতে-
কোন স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ৫ বছর মেয়াদী " ব্যাচেলর অব ফিজিওথেরাপি (বিপিটি)/ "ব্যাচেলর অব সাইন্স ইন ফিজিওথেরাপি (প্রফেশনাল)" ডিগ্রীধারীগণই হলেন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক।
এবং
কোন স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠান হতে ৩/৪ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি (ফিজিওথেরাপি) কোর্স সম্পন্নকারীগনই হলেন ফিজিওথেরাপি টেকনোলজিস্ট।
(একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন এবং পরামর্শক্রমে একজন ফিজিওথেরাপি টেকনোলজিস্ট চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন)

সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পেতে আমাদের উচিত:-
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নেওয়ার আগে একজন রোগী অবশ্যই উক্ত ফিজিওথেরাপি প্রতিষ্ঠানে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক আছে কি না জেনে নিবেন। প্রয়োজনে ভিজিটিং কার্ড দেখে নিবেন, উক্ত ব্যক্তি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক কি না। সঠিক তথ্য নিয়ে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ করুন। প্রতারণা থেকে দূরে থাকুন।

জনসচেতনতায়:-
বাংলাদেশ ফিজিক্যালথেরাপি এসোসিয়েশন (বিপিএ)

প্রিয় ফিজিওথেরাপি পেশাজীবী, শিক্ষার্থী, রোগী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও দেশবাসী।  গত এপ্রিল মাসে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন কর্তৃক স্ব...
19/05/2025

প্রিয় ফিজিওথেরাপি পেশাজীবী, শিক্ষার্থী, রোগী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও দেশবাসী। গত এপ্রিল মাসে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন কর্তৃক স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার এর জন্য যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছ, সেটা অত্যন্ত অযৌক্তিক ও বৈষম্যপূর্ণ। যেখানে স্বাস্থ্যের অন্যতম স্টেকহোল্ডার ফিজিওথেরাপি পেশা ও পেশাজীবী দের কে অবজ্ঞা করা হয়েছে অত্যন্ত চতুর ভাবে।

সেই সাথে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক দের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল কে সম্পূর্ণ রুপ পাশকাটিয়ে গেছেন, যা বিদ্যমান আইনের পরিপন্থী।

তার প্রতিবাদে আগামী ২৪ মে রোজ শনিবার সকাল ১০ ঘটিকার সময়, জাতীয় প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সকল ফিজিওথেরাপি পেশাজীবী, শিক্ষার্থী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কে অংশ নিয়ে তা সফল করার জন্য আহবান জানানো যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ফিজিক্যালথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সামনে....জাতীয় মানসিক স্...
13/05/2025

বাংলাদেশ ফিজিক্যালথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সামনে....
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে গত ২৪ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে “ফিজিওথেরাপিস্ট ” পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও গ্রেড সংশোধন এর দাবিতে আগামী ১৩.০৫.২০২৫, রোজ মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বাংলাদেশ ফিজিক্যালথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) এর আহবানে বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি সোসাইটি (বিপিএস), বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (বাপসু) সাধারণ পেশাজীবীরা এবং শিক্ষার্থীদের নিয়ে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।

এবিষয়ে বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ডাঃ দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় ফিজিওথেরাপি একটি অন্যতম চিকিৎসা পদ্ধতি। বিশ্বব্যাপী এই চিকিৎসা ব্যবস্থার গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অথচ বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে ফিজিওথেরাপিস্ট এর নিয়োগ হচ্ছে না।বাংলাদেশে বিদ্যমান বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন আইন -২০১৮ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক কারিকুলাম অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের “ব্যাচেলর অব ফিজিওথেরাপি/ব্যাচেলর অব সাইন্স ইন ফিজিওথেরাপি” ডিগ্রি ০৫ বছর মেয়াদী এবং উক্ত ডিগ্রিধারীরাই কেবলমাত্র ফিজিওথেরাপিস্ট এর বাইরে ফিজিওথেরাপিস্ট হওয়ার কোন সুযোগ নেই । কিন্তু খুবই পরিতাপের বিষয় আমরা লক্ষ্য করছি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ফিজিওথেরাপিস্ট পদের সার্কুলার হয়েছে যেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে যেটা ফিজিওথেরাপিস্ট এর শিক্ষাগত যোগ্যতা নয়। অপরপক্ষে বাংলাদেশে ফিজিওথেরাপিস্ট পদের জন্য নবম গ্রেডের বিদ্যমান পদ ছিল এবং বর্তমানে রয়েছে সেখানে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ফিজিওথেরাপিস্ট এর ১২ তম গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে যেটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং এই সার্কুলার ফিজিওথেরাপি পেশাজীবীদের সংক্ষুব্ধ করছে। এ ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা সর্বসাধারণের জন্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি করবে। ফিজিওথেরাপি পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অনতিবিলম্বে ফিজিওথেরাপিস্ট এর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটির শিক্ষাগত যোগ্যতা ও গ্রেড সংশোধনের দাবি জানাচ্ছে, তা না হলে এ বিষয়ে আরো কঠোর কর্মসূচি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। জাতীয় সংগঠনের প্রতিনিধিরা বলেন মানববন্ধন শেষে জাতীয় মানসিক মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক মহোদয়ের কার্যালয়ে “ফিজিওথেরাপিস্ট ” পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শিক্ষাগত যোগ্যতা ও গ্রেড সংশোধন এর দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হবে ।

ভারতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের স্থায়ী ভাবে নামের আগে Dr. এবং পরে PT লেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং সেই সাথে ফিজিওথেরাপি চিকি...
24/04/2025

ভারতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের স্থায়ী ভাবে নামের আগে Dr. এবং পরে PT লেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং সেই সাথে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকগন First Contact Practitioner হিসেবে চিকিৎসা দেবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়াও এখন থেকে পুরো ভারতে একই কারিকুলামে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা শিক্ষা পরিচালিত হবে।

ভর্তি পরিক্ষা হবে কেন্দ্রীয় ভাবে।

ভারতে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের এই অর্জনকে ফিজিওনিউজ২৪ শুভেচছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছে।

ফিজিওথেরাপিস্টরা কি ডাক্তার?----------------------------------------------ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা যারা প্রদান করেন, তারা ফিজ...
19/03/2025

ফিজিওথেরাপিস্টরা কি ডাক্তার?

----------------------------------------------
ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা যারা প্রদান করেন, তারা ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক। উনারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদ থেকে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা বিষয়ে পাঁচ বছর ( তত্ত্বীয় চার বছর ও ইন্টার্নশিপ এক বছর) পড়াশোনা করেন। এছাড়াও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের সহকারী হিসাবে সহায়তা করার জন্য ৩-৪ বছর মেয়াদি "ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি" কোর্স রয়েছে।

এই যে আমি এখানে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক বললাম, এটাতে কিছু মানুষের আপত্তি থাকলেও ৫ বছর মেয়াদী "ব্যাচেলর অব সাইন্স ইন ফিজিওথেরাপি (বি.পি.টি)" ডিগ্রিধারীরা যে ফিজিওথেরাপিস্ট, সে বিষয়ে তাদের কোনও আপত্তি নাই।

আসুন এবার "ফিজিওথেরাপিস্ট" শব্দটি বিশ্লেষণ করি। "ফিজিওথেরাপিস্ট" শব্দটি "ফিজিক্যাল" ও "থেরাপিস্ট" দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। তো "ফিজিক্যাল" শব্দের অর্থ এখানে "ভৌত" এবং " থেরাপিস্ট" শব্দের অর্থ " চিকিৎসক"। সুতরাং "ফিজিওথেরাপিস্ট" অর্থ ভৌত চিকিৎসক। এখন আপনার মনে না মানলে চিকিৎসা শাস্ত্রে থেরাপিস্ট আর ডক্টর যে সমার্থক, তা আগে জেনে নিন।

এবার আসুন যারা বলেন এমবিবিএস বিডিএস ব্যতীত কেও ডাঃ লিখতে পারবে না, তাদের মত নিয়া কথা বলি।
আচ্ছা ভাই, এমবিবিএস ও বিডিএস কিসের ভিত্তিতে ডাঃ লিখে? তো সহজ উত্তর "বিএমডিসি আইন ২০১০" এর ভিত্তিতে। এই আইনটি কাদের জন্য, ভাই? যারা এ্যালোপ্যাথিক সিস্টেম অব মেডিসিন প্র্যাকটিস করে, তাদের জন্য। ফিজিওথেরাপিস্টরা কি এ্যালেপ্যাথিক সিস্টেম অব মেডিসিনে প্রাকটিস করে?মোটেই না।

ফিজিওথেরাপি হলো ভৌত চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে বল, তাপ, চাপ, গতি, তরঙ্গ, শক্তি, জল, শৈত্য, বিদ্যুৎ ইত্যাদি বিভিন্ন ভৌত উপাদান ও পদ্ধতি দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। আর এ্যালোপ্যাথি সিস্টেম অব মেডিসিন হলো এ্যালোপ্যাথিক ড্রাগ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। আরো সোজা কথায় এ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি এসব হলো ফার্মাসিউটিক্যাল চিকিৎসা পদ্ধতি, আর ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পদ্ধতি হলো নন-ফার্মাসিউটিক্যাল চিকিৎসা পদ্ধতি।
শুধু তাই নয়, এ্যালোপ্যাথিক প্রেসক্রিপশন এবং ফিজিওথেরাপি প্রেসক্রিপশনও সম্পূর্ণ পৃথক ধরনের। কাজেই ফিজিওথেরাপি কখনোই বিএমডিসি আওতাভুক্ত ছিলো না। তারপরও জাস্ট হয়রানি করার যে দূরাভিলাষ কিছু কুচক্রী লোকের ছিলো "বিএমডিসি আইন-২০১০" এর ২৯ নং ধারা দিয়ে, তাও মহামান্য হাইকোর্ট ফিজিওথেরাপিস্টদের উপর প্রয়োগমূলক নয় বলে স্হগিত করে দিছে।

এবার আসুন পরের কথায়। যখন আইনুকানুন ছিলো না, তখন লোকে কিসের ওপর ভিত্তি করে ডাঃ হতো বা লিখতো? নিশ্চয়ই তার অর্জিত নলেজ এবং সেই নলেজ রোগীর সমস্যা নির্ণয় করে সমাধানক্ষম কি না, তার উপর ভিত্তি করেই লিখতো। সেই হিসেবেও ফিজিওথেরাপিস্টদের ডাঃ বলতে হবে। কারণ ফিজিওথেরাপিস্টদের অর্জিত নলেজ পর্যাপ্ত এনাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, অর্থোপেডিক্স, কাইনেসিওলজি, প্যাথলজি, রিউম্যাটোলজি, মাইক্রোবায়োলজি ও ফার্মাকোলজি সমৃদ্ধ। যার বিশ্বাস হবে না, তিনি বিপিটি কারিকুলাম পড়ে দেখতে পারেন। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার "ক্লাসিফিকেশন অব হেলথওয়ার্কার" এ বলে দিছে যে, ফিজিওথেরাপিস্টরা সমস্যা নির্ণয় এবং সমাধান পরিকল্পনা প্রণয়নে সক্ষম। সুতরাং এর পরেও অবিশ্বাসের কারণ থাকতে পারে না।

এবার আসুন একদল লোক মনে করে যে, ফিজিওথেরাপিস্টরা ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশনের অন্তর্ভুক্ত। এটিও স্বল্প নলেজের বহিঃপ্রকাশ। ফিজিক্যাল মেডিসিন একটি আলাদা ধারা। আর রিহ্যাবিলিটেশন একটি টিম এপ্রোচ, সেখানে বহু পেশাজীবি কাজ করে। ফিজিওথেরাপির কাজটুকু ফিজিওথেরাপিস্টরা করে। এটার মানে এটা নয় যে, ফিজিওথেরাপি মানেই রিহ্যাব। একজন এনেস্থেলজির ডাক্তার অপারেশন থিয়েটারে টিম মেম্বার হিসেবে থাকেন বলে এটা নয় যে, পেইন ম্যানেজমেন্টে তাদের পৃথক সত্তা নাই। রিহ্যাবের বাইরেও ফিজিওথেরাপির স্বাধীন সত্তা আছে মাস্কুলোস্কেলটাল মেডিসিনে, আছে নিউরোলজিতে, আছে ইউরোলজিতে, আছে স্কিন ভিডিতে, আছে ওমেন হেলথে, আছে ফিটনেস কেয়ারে, আছে পিডিয়াট্রিক্সে। এত বিস্তৃত একটা বিষয়কে রিহ্যাবের ভিতর চাপিয়ে দেওয়াও এক ধরনের মূর্খতা। দুর্ভাগ্য এই মুর্খতার শিকার অনেক শিক্ষিতরাও। এরপরও কিছু লোক নানান কথা দিয়ে প্যাচাঁবে। তাদের জন্য একটু ইতিহাস বলি। ১৯২৯ সালের আগে ফিজিক্যাল মেডিসিন বলে কিছু ছিলো না। তখনও ফিজিওথেরাপি ছিলো। ম্যাকেন্জি সাহেব ১৯০৪ সালে পেনসেলভেনিয়া ইউনিভার্সিটিতে ফিজিওথেরাপি পড়াতেন মেডিকেল স্টুডেন্টদের। তিনি তখন "দ্যা হ্যান্ডবুক অব ফিজিক্যাল থেরাপি" নামক টেক্সটবুক লিখেন। তার সেই বই পড়া ছাত্রদের একজন 'জন স্ট্যানলি' ফিজিক্যাল মেডিসিন স্পেশালিটি তৈরির চেষ্টা শুরু করেন। তখন আমেরিকায় ছিলো "আমেরিকান কলেজ অব রেডিওলজি এন্ড ফিজিওথেরাপি"। ১৯২৩সালে এটারই নামকরন করা হয় "আমেরিকান কংগ্রেস অব রিহ্যাবিলিটেশন মেডিসিন", যেটার সদস্য ছিলো ফিজিক্যাল থেরাপি ফিজিশিয়ান (যারা পরবর্তীতে ১৯৩৮ সালে নিজেদের ফিজিয়াট্টিস্ট বলা শুরু করে এবং লোকে যাদের ফিজিক্যাল মেডিসিন বলে জানে), ফিজিক্যাল থেরাপি টেকনিশয়ান (এরা কিন্তু ফিজিওথেরাপিস্ট ছিলো না) এবং রেডিওলজিস্টরা। পরবর্তীতে ১৯৩৮ সালে এই ফিজিক্যাল থেরাপি ফিজিশিয়ানরা মনে করেন তাদের ভিন্ন ধারায় মেডিকেল স্পেশালিটি হিসেবে বেড়ে ওঠা উচিৎ। সেই হিসেবে ১৯৩৮ সালে তারা "আমেরিকান এ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিক্যাল মেডিসিন" এর যাত্রা শুরু করেন। তারও বহু আগে ১৯২১ সালে ম্যারি ম্যাকমিলান কতৃক "আমেরিকান ফিজিক্যাল থেরাপি এ্যাসোসিয়েশন" গঠিত হয়। তারও আগে ১৮৯৪ সালে "চার্টার্ড সোসাইটি অব ফিজিওথেরাপি" লন্ডনে গঠিত হয়। সুতরাং বুঝা গেলো, ফিজিক্যাল মেডিসিন থেকে ফিজিওথেরাপি আসে নাই। বরং ফিজিওথেরাপি থেকে ফিজিক্যাল মেডিসিন জন্ম নিছে।
আজও আমেরিকায় ফিজিক্যাল মেডিসিন আছে, আছে ফিজিওথেরাপিস্টরাও। কিন্তু কেউ কারো অধীন নয়। ফিজিক্যাল মেডিসিন আলাদা রোগী দেখে, ফিজিওথেরাপিস্টরাও আলাদা বিভাগে রোগী দেখে।

এবার বাংলাদেশের কথায় আসি। বাংলাদেশেও ফিজিওথেরাপি ১৯৫৮ সালে আসছিলো। ১৯৬০ সালে ঢাকা মেডিকেলে ফিজিওথেরাপি বিভাগ চালু হয়। এই ঢাকা মেডিকেলে ইলেক্ট্রোথেরাপিরও আলাদা বিভাগ ছিলো। চট্টগ্রাম মেডিকেলসহ আরো কয়েকটি মেডিকেলে পরে ফিজিওথেরাপি বিভাগ চালু করা হয়।
১৯৬৯ সালে ঢাকা মেডিকেলের সেই ফিজিওথেরাপি বিভাগটি দখল করে "ফিজিক্যাল মেডিসিন" বিভাগ নামে এদেশের ফিজিক্যাল মেডিসিন এর যাত্রা শুরু হয়।
সুতরাং আজকে এদেশে ফিজিওথেরাপিস্টরা ডাঃ নয় বলার আগে ইতিহাসটা জেনে বলুন। তাহলে মনুষ্যত্ব থাকলে নিজের কিছুটা হলেও লজ্জা পাওয়ার কথা।

সবশেষ কথা বলি ইংল্যান্ডে এ্যালোপ্যাথিক ফিজিশিয়ানরা ডাঃ লিখে। ডাঃ লিখে না সার্জনরা। তাই বলে সার্জনরা চিকিৎসক নয়?
সার্জনদের সবচেয়ে বড় শক্তি এনাটমি। (সার্জারী কোনও প্যাথির অন্তর্ভুক্ত নয়, এটি পৃথক সিস্টেম অব ট্রিটমেন্ট)। সার্জনরা তার এনাটমির নলেজ শরীর কেটে প্রয়োগ করে, আর ফিজিওথেরাপিস্টরা খালি চোখে শরীর না কেটে এনাটমির নলেজ প্রয়োগ করে। সেই বিচারে ফিজিওথেরাপিস্টরা সার্জনদের আগে ডাঃ লিখার ও চিকিৎসক হওয়ার যোগ্যতা রাখে।
উপমহাদেশের সার্জনরা ইংল্যান্ডকে ফলো করলেও ডাঃ লিখার বেলায় উপমহাদেশের ট্রেন্ডকে আইন বানিয়ে তা ফলো করে। আর পুরো উপমহাদেশে ভারত, পাকিস্তানে ফিজিওথেরাপিস্টরা ডাঃ লিখে প্র্যাকটিস করলেও বাংলাদেশের বেলায় অনেকের মানতে কষ্ট লাগবে। তা লাগারই কথা। কারণ দীর্ঘদিন আয়া বুয়াকে ব্যায়াম শিখায়া রোগীদের কাছে যারা বলেছে এরাই "ফিজিওথেরাপিস্ট"। হঠাৎ করে বিপিটি ডিগ্রিধারীদের রোগীদের কাছে ডাঃ বলতে তাদের জ্বলে বৈকি।

এইদেশে এই ডাঃ বিভ্রান্তি দূর হয়ে সকল চিকিৎসকদের মানুষ তার জেনেরিক নেম যেমন ইউরোলজিস্ট, নেফ্রোলজিস্ট, ফিজিশিয়ান, জেনারেল সার্জন, হাকীম, কবিরাজ, ফিজিওথেরাপিস্ট, ডেন্টিস্ট ইত্যাদি নামে জানুক; প্রতারিত না হোক, এই প্রত্যাশায় এখানেই শেষ করছি।

© ডাঃ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।

বাংলাদেশের প্রখ্যাত গাইনী চিকিৎসক তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী (টি এ চৌধুরী) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন...
10/03/2025

বাংলাদেশের প্রখ্যাত গাইনী চিকিৎসক তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী (টি এ চৌধুরী) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রমজানুল মোবারক ২০২৫
28/02/2025

রমজানুল মোবারক ২০২৫

👉ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক কে এবং কোথায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিবেন?⚕️ স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছর একাডেমি এবং এক বছর বাধ...
23/02/2025

👉ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক কে এবং কোথায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিবেন?

⚕️ স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছর একাডেমি এবং এক বছর বাধ্যতামূলক ইন্টার্নিশিপসহ মোট পাঁচ বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অফ ফিজিওথেরাপি (বিপিটি) ডিগ্রীধারী ব্যাক্তিই হলেন ফিজিওথেরাপিস্ট বা ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক। (বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন-২০১৮)
একজন কোয়ালিফাইড ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রোগীর রোগ নির্ণয়, পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসাসেবা দিতে পারবেন।


🔰যেখানে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিবেন ☞

বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এর মধ্যে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পায় না এবং অপচিকিৎসার শিকার হন। আমাদের দেশে এই চিকিৎসাসেবাটি বিভিন্ন মহলের অপপ্রচার (ব্যায়াম ও স্যাক) ও অপব্যবহারের (কোয়ালিফাইড ফিজিওথেরাপিস্ট ছাড়া অন্য কোনো চিকিৎসক কর্তৃক ফিজিওথেরাপি পরামর্শ দেওয়া) কারণে সাধারণ মানুষ সঠিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

তাই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ও পরামর্শ নেওয়ার জন্য অবশ্যই বিপিটি (ব্যাচেলর অফ ফিজিওথেরাপি) ডিগ্রীধারী একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের কাছে যাবেন । কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাসপাতালে বা ক্লিনিকে ভর্তি থেকে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে হয়। সেক্ষেত্রে রোগী দ্রুত আরোগ্য লাভ করে।

⭕ বাত ব্যথা ও প্যারালাইসিসে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বা চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করুন।

ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের প্রতি সেশন চার্জ এর পার্থক্য 👨‍⚕️ 💸একজন বাংলাদেশি বৃটিশ চ্যাটার্ড ফিজিওথের...
21/02/2025

ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের প্রতি সেশন চার্জ এর পার্থক্য 👨‍⚕️ 💸

একজন বাংলাদেশি বৃটিশ চ্যাটার্ড ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে অনেকেই বিভিন্ন প্রশ্ন করেন এইদেশে আমাদের পেশা সম্পর্কে। আজ তেমনই একটি বিষয় নিয়ে লিখলাম।

ইংল্যান্ড ও বাংলাদেশের ফিজিওথেরাপি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে চার্জ বা ফি-এর মধ্যে বড় পার্থক্য রয়েছে, যা বেশ কয়েকটি কারণের ওপর নির্ভর করে, যেমন—স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো, অর্থনৈতিক অবস্থা, পেশাদারদের স্বীকৃতি, এবং সরকারি-বেসরকারি সেবার পার্থক্য।

১. ইংল্যান্ডে ফিজিওথেরাপি সেবার চার্জ: 🇬🇧
• NHS (National Health Service):
• ইংল্যান্ডে NHS-এর মাধ্যমে ফিজিওথেরাপি সেবা সাধারণত ফ্রি হয়ে থাকে, তবে অপেক্ষার সময় (waiting time) অনেক বেশি হতে পারে।
• প্রাইভেট ফিজিওথেরাপি:
• প্রাইভেট ফিজিওথেরাপিস্টদের ক্ষেত্রে প্রতি সেশনের চার্জ £40-£100 (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫,৬০০-১৪,০০০ টাকা) হতে পারে।
• কিছু বিশেষায়িত থেরাপির ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি হতে পারে।
• বিশেষজ্ঞ বা কনসালটেন্ট ফিজিওথেরাপিস্টের ফি আরও বেশি হয়, প্রায় £100-£200 (বাংলাদেশি টাকায় ১৪,০০০-২৮,০০০ টাকা)।
• ইনসুরেন্স কভারেজ থাকলে অনেকে আংশিক বা সম্পূর্ণ ফি ক্লেইম করতে পারে।

২. বাংলাদেশে ফিজিওথেরাপি সেবার চার্জ: 🇧🇩
• সরকারি হাসপাতাল:
• সরকারি হাসপাতালে ফিজিওথেরাপি সাধারণত খুবই কম খরচে বা ফ্রি দেওয়া হয়, তবে পর্যাপ্ত সুবিধা ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের অভাব রয়েছে।
• প্রাইভেট ক্লিনিক ও চেম্বার:
• সাধারণত প্রতি সেশন ৫০০-২০০০ টাকা হয়ে থাকে।
• উন্নত ও আধুনিক সরঞ্জাম থাকলে চার্জ কিছুটা বেশি হতে পারে, বিশেষ করে কর্পোরেট হাসপাতাল বা বড় ফিজিওথেরাপি সেন্টারগুলোতে।
• হোম ভিজিট:
• বাসায় গিয়ে চিকিৎসা দিলে চার্জ ১০০০-৫০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, লোকেশন ও ফিজিওথেরাপিস্টের অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে।

স্বীকৃতি ও রেগুলেটরি বডির অভাবের প্রভাব :👨‍⚕️

১. ইংল্যান্ডে সঠিক স্বীকৃতির প্রভাব: 🇬🇧
• HCPC (Health and Care Professions Council) এবং CSP (Chartered Society of Physiotherapy) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায়:
• ফিজিওথেরাপিস্টদের মান বজায় থাকে।
• প্র্যাকটিশনারদের যোগ্যতা যাচাই করা হয়, তাই রোগীরা নিরাপদ ও উচ্চমানের সেবা পায়।
• ফিজিওথেরাপিস্টরা ভালো বেতনে চাকরি পায় এবং তাদের পেশাদারিত্বের মূল্যায়ন হয়।
• ইনসুরেন্স কোম্পানিগুলো ফিজিওথেরাপি কভার করে, ফলে রোগীদের সাশ্রয় হয় এবং প্রফেশন আরও মর্যাদাপূর্ণ হয়।

২. বাংলাদেশে রেগুলেটরি বডির অনুপস্থিতির প্রভাব: 🇧🇩
• স্বীকৃত রেগুলেটরি বডি না থাকায়:
• ফিজিওথেরাপিস্টদের পেশাদারিত্বের স্বীকৃতি কম, ফলে অনেকেই উপযুক্ত পারিশ্রমিক পান না।
• কোয়ালিটি কন্ট্রোলের অভাব থাকায় অনেক অনিয়ন্ত্রিত ও অদক্ষ ব্যক্তি ফিজিওথেরাপির নামে চিকিৎসা দিচ্ছেন, যা রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
• সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবায় ফিজিওথেরাপির ভূমিকা এখনও স্বীকৃত নয়, ফলে ফিজিওথেরাপিস্টদের ক্যারিয়ারের সুযোগ সীমিত।
• ইনসুরেন্স কভারেজ নেই, ফলে রোগীদের পুরো খরচ বহন করতে হয়, যা সেবা গ্রহণকে সীমিত করে।
• চিকিৎসকদের মতোই ফিজিওথেরাপিস্টদের স্বতন্ত্র কাউন্সিল বা রেগুলেটরি বোর্ড না থাকায় প্রফেশনাল উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সবশেষে বলা যায় ইংল্যান্ডে ফিজিওথেরাপিস্টদের জন্য সুপ্রতিষ্ঠিত রেগুলেটরি বডি এবং প্রফেশনাল স্বীকৃতি থাকায় তাদের চার্জ অনেক বেশি, কারণ তারা উচ্চমানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং রোগীদের নিরাপদ ও কার্যকর চিকিৎসা প্রদান করে। অপরদিকে, বাংলাদেশে ফিজিওথেরাপিস্টদের জন্য স্বতন্ত্র রেগুলেটরি বডির অভাব এবং স্বীকৃতি না থাকায় তাদের পারিশ্রমিক কম এবং পেশার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সৈয়দ শামীম আহসান
চ্যার্টাড ফিজিওথেরাপিস্ট, যুক্তরাজ্য।

07/02/2025
এই বিষয়ে আপনাদের মতামত জানতে চাচ্ছি 🫣
30/01/2025

এই বিষয়ে আপনাদের মতামত জানতে চাচ্ছি 🫣

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Physionews24.com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Physionews24.com:

Share