Sukun Kids

Sukun Kids ফুলের মতো মন

আপনি এই পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন 🤍
06/08/2025

আপনি এই পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন 🤍

06/08/2025

“রিয়াদ ও সালেহর নতুন অভ্যাস”

এক গ্রামে থাকত দুইজন ছোট্ট বন্ধু—রিয়াদ আর সালেহ। ওরা একসাথে খেলত, স্কুলে যেত, আর গল্প করত। একদিন বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে রিয়াদ বলল:

— "সালেহ, জানিস? আজকে আমাদের ক্লাসে হুজুর বলছিলেন, প্রতিদিন সুরা ফাতিহা পড়লে অনেক সাওয়াব হয়!"

সালেহের চোখ বড় হয়ে গেল।
— "সত্যি? আমি তো শুধু নামাজে পড়ি। আলাদা করে কখনও পড়িনি।"

রিয়াদ হাসল।
— "চল, আমরা প্রতিদিন একবার করে একসাথে পড়ি। তারপর অর্থটাও জানার চেষ্টা করি।"

সেইদিন থেকেই ওরা প্রতিদিন বিকেলে খেলাধুলার আগে কয়েক মিনিট বসে সুরা ফাতিহা পড়ত। রিয়াদের দাদু একদিন ওদের দেখে বললেন,
— "তোমরা যদি প্রতিদিন এক আয়াত করে বোঝার চেষ্টা করো, তাহলে এক সপ্তাহেই পুরো সুরার অর্থ বুঝে ফেলতে পারবে।"

দাদুর কথা শুনে ওরা খুব খুশি হলো।
পরদিন রিয়াদ বলল,
— "আজ প্রথম আয়াত— ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ এর মানে হচ্ছে— আল্লাহর নামে, যিনি পরম দয়ালু, অতি দয়ালু।"

সালেহ মাথা নেড়ে বলল,
— "এত সুন্দর! আল্লাহ কত দয়ালু!"

এভাবে এক সপ্তাহে ওরা পুরো সুরা ফাতিহা অর্থসহ শিখে ফেলল। এরপর ওরা সিদ্ধান্ত নিল,
— "প্রতি সপ্তাহে এক নতুন সুরা শিখব, আর ভালো কাজের অভ্যাস গড়ব।"

একদিন ওরা রাস্তায় একটা ছোট্ট বিড়াল ছানা দেখতে পেল, যেটা খুব কাঁপছিল। সালেহ ওর মায়ের কাছ থেকে দুধ নিয়ে এল আর রিয়াদ শুকনো কাপড় দিল। বিড়ালটা মিউমিউ করে খেতে লাগল।

সেদিন ওদের খুব ভালো লাগছিল। ওরা বুঝে গিয়েছিল, ইসলাম শুধু নামাজ-রোজা নয়, দয়ালু হওয়াও ইসলামের বড় শিক্ষা।

রিয়াদ আর সালেহ এখন শুধু খেলার বন্ধু না, ইসলাম শেখারও সাথি। ওরা জানে— ছোট ছোট ভালো কাজ দিয়েই বড় সওয়াব পাওয়া যায়।

সুকুন কিডস
ফুলের মতো মন…

❝ চিৎকার বা মারধর নয় — সংযোগের মাধ্যমেই পরিবর্তন সম্ভব ❞।আমরা অনেক সময় ভাবি, শাসনের মানে হলো চিৎকার করা বা মারধর করা, কঠ...
05/08/2025

❝ চিৎকার বা মারধর নয় — সংযোগের মাধ্যমেই পরিবর্তন সম্ভব ❞।

আমরা অনেক সময় ভাবি, শাসনের মানে হলো চিৎকার করা বা মারধর করা, কঠিন কঠিন নিয়মে আমাদের সন্তানদের বেঁধে দেওয়া —তাতেই বুঝি কাজ হবে। কিন্তু আসল পরিবর্তন আসে তখনই, যখন আপনার সন্তানের সাথে আপনার সম্পর্কটা সুন্দর হয়ে ওঠে, সাবলীল হয়ে ওঠে। আর এটাই তার পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করে তখন।

কেন প্রচলিত “শাসন” পদ্ধতিগুলো ফল দেয় না :

• শিশুর মনে হয় কেউ তাকে ঠিকমতো বুঝছে না বা সে একা

• ওরা আরও বেশি রাগ, হতাশা বা দুঃখে আক্রান্ত হয়

• সত্যিকারের শেখার বদলে লুকিয়ে চলার প্রবণতা তৈরি হয়

• আপনার সঙ্গে সন্তানের বিশ্বাস ও সম্পর্ক নষ্ট হতে থাকে

• ভবিষ্যতের জন্য দরকারি দক্ষতা শেখানোর চেয়ে শাস্তির উপরই জোর পড়ে

• আচরণগত সমস্যার আসল কারণটাই চিহ্নিত হয় না

• ক্ষমতার দ্বন্দ্ব তাদের মাঝে বিরক্তি তৈরি করে

কেন সম্পর্ক ও সংযোগ এক্ষেত্রে বেশি কার্যকর :

• শেখার জন্য শিশুর মন খুলে যায়

• ওদের নার্ভাস সিস্টেম শান্ত হয়, ফলে সহজে গ্রহণ করতে পারে

• আপনাদের মধ্যে বিশ্বাস এবং নিরাপত্তা এক বলয় তৈরি হয়

• দীর্ঘমেয়াদে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার দক্ষতা গড়ে ওঠে

• নিজেদের সামাল দেওয়ার আত্মবিশ্বাস বাড়ে

• অনুভূতি ভাগাভাগি করার সাহস ও ইচ্ছা জন্মায়

• নিজের ব্যবহার দিয়ে আপনি ওদের সহানুভূতি শেখাতে পারেন

• শিশু নিজেকে মূল্যবান ও প্রিয় মনে করে

• ওরা ধীরে ধীরে সমস্যার সমাধান করতে শেখে

শাসনের বদলে নিজেদের মাঝে একটা সুন্দর ‘Connection’ বা সংযোগ গড়ে তোলার কিছু বাস্তব উপায় :

• টাইম-আউট নয়, টাইম-ইন দিন- শিশুর পাশে বসুন, দুজনেই শান্ত হোন, তারপর কথা বলুন

• আগে অনুভূতি স্বীকৃতি দিন- “আমি বুঝতে পারছি তুমি কষ্টে আছো” বলুন, তারপর সংশোধন করুন

• একসাথে শান্ত হোন-একসাথে গভীর শ্বাস নিন, আবেগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করুন

• পজিটিভ কাজে মনোযোগ দিন বা বিকল্প দিন - যেন শিশু নিজের কিছু নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে

• আপনি যেমন আচরণ চাইছেন, সেটাই দেখান - এমনকি রেগে গেলে ক্ষমা চাইতেও ভয় পাবেন না

• নম্রভাবে স্পষ্ট নিয়ম দিন এবং কেন সেটি জরুরি তা বুঝিয়ে বলুন

• তার সাথে কোয়ালিটি সময় কাটান, এতে সম্পর্ক দৃঢ় হয়

এই পথ একটু ধৈর্যের, কিন্তু ফলটা গভীর এবং স্থায়ী। মনে রাখবেন, আপনি কেবল কারো আচরণ ঠিক করছেন না—আপনার দায়িত্ব এরচেয়ে অনেক বড়। আপনি একজন আত্মবিশ্বাসী, সংবেদনশীল মানুষ গড়ে তুলছেন, তাই সবদিক থেকে নিজে সচেতন হয়ে উঠুন । আপনি ঠিক থাকলে তার সঠিকভাবে বেড়ে ওঠাটা প্রায় অনেকটাই নিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।

সুকুন কিডস
ফুলের মতো মন…

05/08/2025

আমান ছিল এক ছোট্ট ছেলে। বয়স তার মাত্র সাত বছর। সে ছিল খুবই ভদ্র, মায়ের কথাও সে সব মানতো। তার মা সবসময় বলতেন,

"বিপদে পড়লে ভয় পেয়ো না, আল্লাহকে ডাকবে। আল্লাহ সবসময় আমাদের সাহায্য করেন।"

একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে হঠাৎ খুব কালো মেঘ করে এলো। আমান বুঝতে পারলো, বৃষ্টি নামতে আর বেশি দেরি নেই। কিন্তু সে তখনো অর্ধেক পথেই ছিল।

বৃষ্টি শুরু হতেই ঝড়ো বাতাস বইতে লাগল। গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ছিল, রাস্তাও ফাঁকা হয়ে গেছে। আমান ভয় পেয়ে গেল। সে আশেপাশে কাউকে দেখতে পেল না। একা, ভিজে আর কাঁপতে কাঁপতে দাঁড়িয়ে রইল এক গাছের নিচে।

তখনই তার মনে পড়ল মায়ের কথা—
"বিপদে পড়লে আল্লাহকে ডাকবে।"

আমান চোখ বন্ধ করে দুই হাত তুলে বলল,
"হে আল্লাহ! আমাকে বাড়ি পৌঁছাতে সাহায্য করুন। আমি খুব ভয় পাচ্ছি।"

হঠাৎ করেই একটা পরিচিত কণ্ঠ শুনতে পেল সে—
"আমান! এইখানে কি করছো? চলো, তোমার মা তোমাকে খুঁজছে!"

আমান চোখ খুলে দেখল, তাদের পাশের বাড়ির চাচা ছাতা হাতে দাঁড়িয়ে। তিনি মিষ্টি হেসে বললেন,

“ ভয় পেয়েছ বুঝি! চলো, তোমার মা খুব চিন্তা করছে!"

চাচা আমানকে কোলে তুলে নিলেন, ছাতার নিচে নরম কণ্ঠে সান্ত্বনা দিলেন। কিছুক্ষণ পর তারা বাড়ি পৌঁছে গেল।

মা দরজা খুলে আমানকে দেখে ছুটে এলেন। জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলেন।

"তুমি ঠিক আছো, মা গো? আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম!"

আমান মায়ের কাঁধে মাথা রেখে শান্ত গলায় বলল,

"আমি ভয় পেয়েছিলাম, কিন্তু তোমার কথা মনে পড়তেই আল্লাহকে ডেকেছিলাম। তিনি তোমার দোয়ার মতোই আমাকে সাহায্য করেছেন।"

মা আবেগে চোখ মুছে বললেন,
"আল্লাহ কখনোই আমাদের ডাকে উপেক্ষা করেন না, মা। তুমি সঠিক কাজ করেছো। তুমি আজ শুধু সাহস দেখাওনি, বরং প্রমাণ করেছো—আল্লাহ আমাদের সবচেয়ে বড় আশ্রয়।"

তারপর মা তাকে জড়িয়ে ধরে বললেন,

"সবসময় মনে রেখো আমান, মানুষ পাশে না থাকলেও, আল্লাহ আছেন—তিনি সবসময় শোনেন, দেখেন আর রক্ষা করেন।"

আমান ছোট্ট গলায় বলল,
"আমি কখনো ভুলবো না, মা। আমি সবসময় আল্লাহকে ডাকব।"

বাইরে তখনও হালকা বৃষ্টি পড়ছিল, কিন্তু আমানের ছোট্ট মনটা শান্তিতে ভরে গিয়েছিল। কারণ সে জেনে গিয়েছিল—আল্লাহ কখনো কাউকে একা ফেলেন না।

“ আমানের দোয়া ”
সুকুন কিডস
ফুলের মতো মন…

ইসমাইল আলাইহিসসালাম তখন খুব ছোট্ট বাবু। আল্লাহ তাআলার আদেশে তার বাবা ইব্রাহিম আলাইহিসসালাম তাকে ও তার মা বিবি হাজেরাকে ব...
05/08/2025

ইসমাইল আলাইহিসসালাম তখন খুব ছোট্ট বাবু। আল্লাহ তাআলার আদেশে তার বাবা ইব্রাহিম আলাইহিসসালাম তাকে ও তার মা বিবি হাজেরাকে বিরান মরুর মাঝে রেখে এলেন। তাদের কাছে তখন বেঁচে থাকার সম্বল হিসেবে ছিল কয়েকটি শুকনো খেজুর আর অল্প একটু পানি।

কী কষ্টেইনা কেটেছে তাদের সেই সময়টা! কিন্তু হঠাৎ করে এক অলৌকিক ঘটনা ঘটে গেলো মরুর বুকে, আর বদলে গেলো সবকিছু। বিরান সেই জায়গায় এসে বাস করতে লাগল হাজার হাজার মানুষ।

কী ছিল সেই ঘটনা? কী হয়েছিল ছোট্ট ইসমাইল আলাইহিসসালাম ও তার মা হাজেরার? তারা কি পেরেছিলেন টিকে থাকতে?

এসব প্রশ্নের উত্তর আপনার সোনামণি কি জানে? তার ছোট্ট লাইব্রেরিতে কী আছে আমাদের ‘ বাইতুল্লাহর গল্প ’ বইটি?

সুকুন কিডস
ফুলের মতো মন …

আলহামদুলিল্লাহ, গত সপ্তাহেও আমাদের কুইজ সেগমেন্টে আপনারা বেশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। আল্লাহ তাআলা আপনাদের সকলে...
04/08/2025

আলহামদুলিল্লাহ, গত সপ্তাহেও আমাদের কুইজ সেগমেন্টে আপনারা বেশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। আল্লাহ তাআলা আপনাদের সকলের জ্ঞানে বারাকাহ দিয়ে সকল।

গত সপ্তাহের শেষ কুইজটির উত্তর ছিল, আবু আইয়ুব রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু। আপনারা অধিকাংশ অভিভাবকই সঠিক উত্তর দিয়েছেন। বারাকাল্লাহ ফীকুম! সকল সচেতন অভিভাবকদের সুকুন কিডসের তরফ থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন। আশা রাখি ভবিষ্যতেও এভাবেই আপনারা জ্ঞানের পথে আপনাদের পথচলা জারি রাখবেন, ইনশাআল্লাহ।
সুকুন কিডস
ফুলের মতো মন…

আপনার শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে তার আর্লি এজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে নিজেদের জ্ঞানের কমতির কারণে কিংবা ব...
03/08/2025

আপনার শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে তার আর্লি এজটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে নিজেদের জ্ঞানের কমতির কারণে কিংবা বেখেয়ালে হরহামেশাই আমরা এমন কিছু কাজ করে চলেছি যা আমাদের শিশুদের বেড়ে ওঠাকে করছে ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের ব্রেইনের ডেভেলপমেন্টকে করে তুলছে ধীর। আসুন এমন পাঁচটি এ্যাক্টিভিটি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, যা আমাদের সন্তানদের বেড়ে ওঠার গতিকে মন্থর করে তুলছে :

তার সাথে পর্যাপ্ত কথা না বলা :

শিশুদের ব্রেইন নতুন নতুন শব্দ শিক্ষার মাধ্যমে প্রতিদিন একটু একটু করে ম্যাচিউর হতে থাকে। এমন না যে শব্দই সব! তবে মানবজাতির শারীরিক, মানসিক ও আচরণগত দিকের উপর ভাষার রয়েছে একটি বিস্তর প্রভাব।

তাই আপনি যদি আপনার সন্তানের সাথে পর্যাপ্ত কথা না বলেন, ঠিকমতো তাকে সময় না দেন, তবে তার স্বাভাবিক বেড়ে ওঠা ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং তা তার নিজস্ব গতি হারাবে।

কম ঘুম :

ঘুমের মাধ্যমে কিন্তু আমাদের শরীরযন্ত্র থেমে থাকেনা বরং কখনো কখনো আমাদের শরীরের সুস্থতার জন্য এই ঘুমটাই হয়ে ওঠে এক অঘোষিত ঔষধের মতো। শিশুদের জন্য তা আরো গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেক ক্ষেত্রে মা বাবার ঘুমের রুটিন এলোমেলো হওয়ায় শিশুদের ঘুমের উপরেও তা প্রভাব ফেলে এবং তাদের ব্রেইন ডেভলপমেন্ট কমে আসে।

স্ক্রীনটাইম :

১৮ মাসের কম বয়সী শিশুদের জন্য স্ক্রীনটাইম একদমই অদরকারি এবং ক্ষতিকর একটা বিষয়। তাদের প্রয়োজন Face to Face ইন্ট্রাকশন। তবে অনেক সময় আমাদের শিশুদের Tantrum থেকে বাঁচতে আমরা তাদের হাতে ফোন তুলে দেই যেন তারা কিছুক্ষণের জন্য হলেও চুপ থাকে। এ ধরনের এ্যাক্টিভিটি তাদেরকে স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে ফেলে দেয় আর এর পিছনে দায়ভারটা কেবলই আমাদের।

শোয়ার সময় তার মাথাকে সবসময় একই পজিশনে রাখা :

আপনার সন্তান ঘুমিয়ে থাকার সময় যদি প্রতিবার তার মাথাকে একইভাবে বালিশে রাখেন, তার শরীরকে সঠিকভাবে না নাড়ান এবং তার মাথার পজিশনটা না বদলান তবে তার Flat Spot হতে পারে এবং একইসাথে এভাবে দিনের পর দিন পার করলে তার ঘাড়ের মাংসপেশি খুবই দুর্বল হয়ে পরবে।

বেবী গিয়ারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার :

Swings, Bouncer কিংবা Carrier এ দীর্ঘক্ষণ থাকলে তা শিশুদের মোটর এবং সেন্সরী স্কিলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আজকাল আমরা নিজেদের কর্মব্যস্ততায় বাচ্চাদের সুরক্ষার জন্য এসবের ব্যবহার অনেক বেশি বাড়িয়ে দিয়েছি। কমে গিয়েছে মাটি বা ফ্লোরে তাদের চলাচল। এটাও শিশুর ব্রেইন ডেভলপমেন্ট ধীর হয়ে আসার অন্যতম একটি কারণ।

আপনার যে সন্তানের জন্য দিনরাত এত কষ্ট করে চলেছেন নিজেদের ছোটোখাটো অবহেলা ও ভুলের দরুন তার বেড়ে ওঠাকে ক্ষতিগ্রস্ত করলে কী চলে! আসুন আমরা আমাদের সন্তানদের যত্ন এমনভাবে নেই যা তাদের জন্য উপকার বৈ অপকার কখনোই বয়ে আনবে না। দিনশেষে, ওরাই তো আমাদের জীবনের সর্বোত্তম সম্পদ!

সুকুন কিডস
ফুলের মতো মন…

যখন কুরবানির ঈদ আসে, আমাদের শিশুরা এটাই  দেখতে পায়  যে, আমরা সবাই বেশ তড়িঘড়ি করে একটা পশু কিনছি, সেই পশুটা নিয়ে ব্যস্ত হ...
03/08/2025

যখন কুরবানির ঈদ আসে, আমাদের শিশুরা এটাই দেখতে পায় যে, আমরা সবাই বেশ তড়িঘড়ি করে একটা পশু কিনছি, সেই পশুটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছি, তাকে সাজাচ্ছি, তাকে খাওয়াচ্ছি। কারণ, ঈদের দিন আমরা তাকে জবাই করে তার মাংস ভাগাভাগি করব, তা দিয়ে মজার মজার ডিশ হবে, বেশ কদিন ফ্রিজ ভর্তি থাকবে মাংসের টোপলা দিয়ে।

আমরা কজন তাদেরকে কুরবানির বাস্তবতাটা বুঝতে দেই বলুন তো! আপনি! আমি! হয়ত আমরা বলি দুয়েকটা নীতি বাক্য, কিন্তু কাজের মাধ্যমে কজন তাদেরকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির সাথে পরিচয় করিয়ে দেই! আমরা অনেকেই চাই ঠিকই, তবে পেরে উঠিনা কিংবা আমাদের ঠিক একটা ‘ মনে থাকে না ’। এজন্য আমাদের সন্তানেরাও কুরবানির আসল মহত্ত্ব বুঝে উঠতে পারেনা। তাদের জন্য কুরবানি ঈদটা হয়ে যায় খাওয়া-দাওয়ার উৎসব!

আবরার আর আয়িশারও কুরবানির একটা গল্প আছে। সেই গল্পে আছে তাদের ছোট্ট ছাগল, ডাবু। ডাবু, আবরার, আয়িশা.. সব মিলে কেমন হবে তাদের ঈদের গল্পটা! আবরার আর আয়িশার চোখ দিয়ে আমরা দেখতে পারব, কীভাবে দুজন অবুঝ শিশু কুরবানি নিয়ে চিন্তা করে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গিটা কেমন! কিন্তু তাদের সেই দৃষ্টিভঙ্গিতে কি কোনো বদল আসবে? তারা কি জানতে পারবে কুরবানির মহত্ত্ব?

শীঘ্রই এসব প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আপনাদের হাতে পৌঁছে যাবে ‘আমাদের কুরবানি’ বইটি। আশা রাখছি আর বেশি সময় লাগবেনা ইনশাআল্লাহ। আমরা অপেক্ষায় রয়েছি, আপনিও অপেক্ষারত রয়েছেন কি..এই মিষ্টি গল্পের পাঠক হওয়ার জন্য?

সুকুন কিডস
ফুলের মতো মন...

ইট পাথরের এই শহরগুলোর ভিড় থেকে দূরে, বহু দূরে.. আজ থেকে বহু আগে, এক দেশে এক শহর ছিল। রাসুলের পদচারণায় মুখরিত ছিল যে শহর...
02/08/2025

ইট পাথরের এই শহরগুলোর ভিড় থেকে দূরে, বহু দূরে.. আজ থেকে বহু আগে, এক দেশে এক শহর ছিল। রাসুলের পদচারণায় মুখরিত ছিল যে শহরের ধুলোমাখা পথগুলো, যেই শহরের নামটা ছিল মদিনা। সেখানে আল্লাহর রাসুল একদিন তার সাহাবিদের নিয়ে একটি মাসজিদ বানালেন। মাটির দেয়াল আর খেজুর পাতার চাটাই দিয়ে সাজানো সেই মাসজিদের সাথে মিশে ছিল আল্লাহর প্রিয় সেসব বান্দাদের হাতের ছোঁয়া।

মক্কার মুশরিকদের দুর্বিষহ অত্যাচার সহ্য করার পর , মদিনায় আল্লাহ তাআলার ইবাদাতের জন্য নিজস্ব একটি মাসজিদ তখন মুসলিমদের জন্য হয়ে উঠেছিল এক টুকরো শান্তির নীড়। সেখানে মুসলিমরা একসাথে সালাত আদায় করত, দ্বীন শিখত, একে অন্যের সাথে আলোচনা করত জরুরি বিষয়াদি! মাসজিদটা যেন ছিল এক মিলনায়তনের জায়গা। যেখানে বসে দুরাকাত সালাত আদায় করাটাও যেন পরম সৌভাগ্যের বিষয়।

সেই মাসজিদের গল্পটা জানা আমার আপনার জন্য যেমন জরুরি, আপনার আমার পরিবারের ছোট্ট সোনামণিটার জন্যও ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। মাসজিদ আন নববী মুসলিমদের তিনটি পবিত্র স্থাপনার মধ্যে একটি। তাই এর প্রতিষ্ঠা, গুরুত্ব সবকিছু সম্পর্কে নিজ সন্তানদেরকে সঠিক শিক্ষায় দীক্ষিত করা, মুসলিম হিসেবে আমাদের অন্যতম দায়িত্ব। আর আপনার হয়ে এ কাজটিকে সহজ করে তুলতে আমাদের ‘মাসজিদ আন নববীর গল্প’ বইটি হয়ে উঠতে পারে দারুণ এক সমাধান।

বইটিতে মাসজিদ আন নববীর ইতিহাস ও এর গুরুত্বের সাবলীল বর্ণনার পাশাপাশি এর প্রতি পাতায় রয়েছে চমৎকার সব রঙিন ছবি। যা গল্পে গল্পে বাচ্চাদের মনোজগতে প্রবেশ করে তাদের দিবে ভরপুর আনন্দ।

বইটি সম্পর্কে আপনার কী মতামত? আপনার সংগ্রহশালায় চমৎকার এই বইটি আছে তো?

মদীনায় প্রবেশ করে রাসুল ﷺ কার ঘরে মেহমান হয়েছিলেন বলুন তো? সঠিক উত্তরটি জানা থাকলে চট করে কমেন্টবক্সে লিখে ফেলুন ইনশাআল্...
01/08/2025

মদীনায় প্রবেশ করে রাসুল ﷺ কার ঘরে মেহমান হয়েছিলেন বলুন তো?

সঠিক উত্তরটি জানা থাকলে চট করে কমেন্টবক্সে লিখে ফেলুন ইনশাআল্লাহ, তবে গুগল, চ্যাটজিপিটি কিংবা বইয়ের সাহায্য নেওয়া যাবে না কিন্তু!

সুকুন কিডসের সবগুলো বইয়ের পাতায় পাতায় মিশে থাকে আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং নিষ্কলুষ ভালোবাসা, যেন আমাদের শিশুরা জ্ঞান এ...
29/07/2025

সুকুন কিডসের সবগুলো বইয়ের পাতায় পাতায় মিশে থাকে আমাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং নিষ্কলুষ ভালোবাসা, যেন আমাদের শিশুরা জ্ঞান এবং আনন্দ সবটাই একসাথে লাভ করতে পারে।। প্রচ্ছদগুলোও তাদের মনে আকাঙ্ক্ষাকে কেন্দ্র করেই অত্যন্ত যত্নের সাথে করা।

আচ্ছা, সুকুন কিডসের বইগুলোর প্রচ্ছদ আপনার কাছে কেমন লাগে বলুন তো! কোন তিনটি প্রচ্ছদ আপনার কাছে সবচেয়ে বেশি পছন্দনীয়?

দেশের উপর সক্রিয় রয়েছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘ধারা’। এসময়টা, কীভাবে নিজের শিশুর যত্ন নিবেন? নিরন্তর  বৃষ্টি কি সব শিশুর কা...
28/07/2025

দেশের উপর সক্রিয় রয়েছে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‘ধারা’। এসময়টা, কীভাবে নিজের শিশুর যত্ন নিবেন? নিরন্তর বৃষ্টি কি সব শিশুর কাছেই আনন্দদায়ক? আসুন এই জরুরি বিষয়টায় আজ কিছুটা আলোকপাত করা যাক।

আমরা হয়ত ভেবে বসতে পারি যে বর্ষায় ঠান্ডা ঠান্ডা একটা ভাব রয়েছে চারিদিকে, এতে আমাদের শিশুরা বেশ ভালোই থাকবে, অন্তত গরম তো কিছুটা কমল! কিন্তু সবক্ষেত্রে বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। একেকজন শিশুর কাছে বর্ষাকালটা একেকরকম। সবাই কিন্তু একে সমান উপভোগ করে না।

কিছু শিশুর কাছে বৃষ্টি মানে স্কুলের ছুটি, দিনভর মজা আর খেলাধুলা হলেও অনেকের জন্য এই সময়টা কিন্তু বেশ কষ্টের হয়ে থাকে। টানা ভারি বৃষ্টির শব্দ, বজ্রপাতের গর্জন - এসব অনেক শিশুর কাছে ভয় লাগার মতো বিষয়। চারপাশ ভিজে স্যাঁতসেঁতে, কাদায় ভরা—এসবও অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শুধু ভিজে যাওয়ার ভয় নয়, অনেক শিশুরা এমনও আছে যাদের শরীর ও মন একটু বেশি সংবেদনশীল। তাই তারা বর্ষার শব্দ, গন্ধ বা ভেজা ভাবগুলো অনেক বেশি তীব্রভাবে অনুভব করে।

এই সব কারণেই বর্ষার সময় কিছু শিশু অশান্ত বা অস্বস্তিতে ভুগতে পারে। কিন্তু যদি আমরা বুঝতে পারি যে ঠিক কী কারণে, কখন তাদের খারাপ লাগছে, কখন তারা বিষণ্ন হয়ে পড়ছে , তাহলে সহজ কিছু উপায়েই তাদের স্বস্তি দেওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ।

আপনি যদি জানতে চান কীভাবে বর্ষার দিনে আপনার শিশুকে একটু শান্ত ও স্বস্তিতে রাখা যায়, তাহলে জানার আছে আরও অনেক কিছু, যা শুধু গল্প বা খেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। টানা বর্ষণমুখর দিনগুলোতে আপনার শিশুকে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখতে নিচের উপায়গুলো অবলম্বন করে দেখতে পারেন। সহায়ক হবে বলে আশা রাখছি, ইনশাআল্লাহ :

১. শান্ত ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করুন

আপনার শিশু যদি বজ্রপাত বা বৃষ্টির শব্দে ভয় পায়, তাহলে ঘরের পরিবেশটা একটু শান্ত ও আরামদায়ক রাখুন। নরম আলো, প্রিয় গল্প বলার মাধ্যমেও তার মনোযোগ অন্যদিকে ফিরিয়ে রাখতে পারেন। তবে যেই শিশু বজ্রপাত ভয় পায় অনুগ্রহ করে তাকে জোর করে বজ্রের শব্দ শুনিয়ে সাহসী করে তুলতে যাবেন না। হিতে বিপরীত ঘটতে পারে ।

২. নরম আর শুকনো পোশাক দিন

স্যাঁতসেঁতে জামাকাপড়ে অস্বস্তি আরও বেড়ে যায়। তাই তাকে নরম, আরামদায়ক এবং শুকনো জামাকাপড় পরিয়ে দিন। প্রয়োজনে অতিরিক্ত জামা ও তোয়ালে হাতের কাছে রাখুন।

৩. খেলার নতুন উপায় বের করুন

বাইরে না যেতে পারলেও ঘরের ভেতরে খেলাধুলার বা সৃজনশীল কাজের ব্যবস্থা করুন। পাজল, রং করা, গল্প শোনা বা ঘরের ভেতর ছোটখাটো খেলা—এসব শিশুকে ব্যস্ত ও খুশি রাখে।

৪. তাদের অনুভূতির প্রতি সহানুভূতিশীল হোন
শিশু ভয় পেলে তার ভয়কে ‘Cancel’ করে দিবেন না
ভয় পাওয়া মানুষের সহজাত আচরণ। এর বদলে তাকে বলুন, “তোমার ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক, আমিও মাঝে মাঝে বজ্রপাতের শব্দ ভয় পাই। তুমি চিন্তা নিও না আমি তোমার পাশে আছি।” এই আশ্বাস তাদের ভেতরের অশান্তি অনেকটাই কমিয়ে দেয়।

৫. রুটিন বজায় রাখুন

বর্ষাকাল এলেও শিশুদের ঘুম, খাবার ও খেলাধুলার সময় যেন বড় একটা পরিবর্তন না আসে, সেটা খেয়াল রাখুন। নিয়মিত রুটিন তাদের মনে নিরাপত্তা তৈরি করে।

৬. শারীরিক সংবেদনশীলতা বুঝে নিন

কিছু শিশু ভেজা কাপড়, ঠান্ডা মেঝে বা কাদা পছন্দ করে না। এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে তাদের আরাম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন।

৭. একসঙ্গে সময় কাটান

বর্ষার সময়টা শিশুদের সঙ্গে গল্প করে, একসাথে রান্না করে বা ছোট ছোট কাজ শেখানোর মাধ্যমে কাটানো যায়। এতে তাদের মন ভালো থাকে, আপনিও তাদের আরও ভালো বুঝতে পারেন।

আশা রাখি এভাবে যত্ন নিলে বর্ষণমুখর এই দিনগুলোও আপনার শিশুর জন্য স্বাভাবিক দিনের মতোই হয়ে উঠবে, বিষণ্নতা বা অস্বস্তি তাকে কাবু করে ফেলতে পারবে না। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে নিরাপদ রাখুন, আমিন৷।

সুকুন কিডস
ফুলের মতো মন…

Address

66 Paridas Road, Sheikh Mansion (Shop No 16), Banglabazar
Dhaka
1200

Website

https://t.me/sukunpublishing

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sukun Kids posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sukun Kids:

Share

Category