
03/07/2025
আমার শাশুড়ির জন্য আমার খুব মায়া হয় বেচারী ১৮ বছরের সংসারে এত ত্যা*গ ক*ষ্ট করে দিনশেষে পেয়েছিল ধোঁ*কা।
এখন আসি মূল ঘটনায়।
আমার শাশুড়ি ৪ভাইয়ের একমাত্র বোন, মানে অনেক বেশি আদরের ছিলো তিনি। উনি চাওয়ার আগে সব কিছু রেডি থাকতো।তার জন্য আলাদা একটা কাজের লোক ছিলো। মাশাল্লাহ সৌন্দর্যতেও উনি কোন অংশে কম ছিলেন না।
এক বিয়ের অনুষ্ঠানে আমার শাশুড়ির সাথে প্রথম শ্বশুরের দেখা হয়। আমার শ্বশুরের চাচাতো ভাইয়ের বউ হচ্ছে আমার শাশুড়ির খালতো বোন।
সেদিন থেকেই আমার শশুর পাগল আমার শাশুড়িকে বিয়ে করবে।
কিন্তু আমার শাশুড়ির ফ্যামিলি রাজি না। কারণ শশুরের ফ্যামিলি অনেক বড়। তার মধ্যে কোন ভাই বোনের সাথে কোন ভাই বোনের ভালো সম্পর্ক নেই।
আমার শ্বশুর প্রায় প্রতিনিয়ত তার চাচাতো ভাইয়ের বাসায় যেতো তার ভাবির সাথে কথা বলতে মানে আমার শাশুড়ির খালাতো বোনের সাথে কথা বলতে।
আমার শশুর অনেক ঘোরাঘুরি কর আমার শাশুড়ির পিছনে। প্রায় ২ বছর ঘুরে।
শেষমেশ আমার শাশুড়ি ও রাজি হয়ে যায়। তাদের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর আমার শ্বশুর নিজের ব্যবসা শুরু করে সেটা তে লস।
আমার শাশুড়ি নিজের বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দেয় ২য় ব্যবসার জন্য। সেটাও লস।
আমার শাশুড়ি আমার শ্বশুরকে যথেষ্ট পরিমাণ ভালোবাসতো সে তার গয়না বিক্রি করে দেয় আমার শ্বশুরকে আবারও ব্যবসা শুরু করার জন্য।
এই বার ও আগের মতো অবস্থা।
ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারি নি।
এই বার আমার শ্বশুর সিদ্ধান্ত নে হোটেল দিবে। আর এই বার ও আমার শাশুড়ি টাকা যোগাড় করে। নিজের বাপের বাড়ির যে অংশ পাবে সেটা সে বিক্রি করে দেয়।টাকার বেশির অর্ধেক সে আমার শ্বশুরকে দিয়ে দেয় ব্যবসার জন্য। বাকি টাকা ব্যাংকে রেখে দেয়।তাদের একমাত্র ছেলের জন্য।
আমার শ্বশুরের বিজনেস করতে যেয়ে প্রায় ১৬ বছর পার হয়ে যায় সে সফলতার মুখ দেখে না।
আর এই ১৬ বছরে আমার শাশুড়ি অনেক বেশি কষ্ট করে। এমন ও সময় গেসে তাদের বাজার করে খাওয়ার টাকাও ছিলো না। আমার শাশুড়ি ছেঁড়া কাপড় পড়ে ঘুরতো৷ অথচ বাপের বাড়িতে তার কোন কিছুর কমতি ছিল না।
যাই হোক, এই বার আমার শ্বশুরের হোটেল অনেক বেশি মুনাফা কামনা শুরু করব। তার হোটেলের খাবার অনেক সুস্বাদু ছিলো,অনেক দূরে থেকেও লোকজন আসতো আর হোটেলে খাবার খাওয়ার জন্য।
১বছরের মাথায় আমার শশুর হোটেলের পাশাপাশি রেস্টুরেন্ট শুরু করে।
এখন আর তাদের কোন টানা পোড়া নাই সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে।
আমার শশুর যতগুলো স্বর্ণ আমার শাশুড়ি থেকে নিয়েছিল সব স্বর্ণ আবার কিনে দেয়৷
সবকিছু ঠিক যাচ্ছিলো এর মধ্যে হঠাৎ একদিন আমার শাশুড়ি জানতে পারে আমার শ্বশুর তাকে চিট করছে।
এক ২০/২২ বছরের মেয়ের সাথে তার পরকীয়া সম্পর্ক আছে।
এই ব্যাপার নিয়ে শশুর শাশুড়ির মাঝখানে অনেক ঝগড়া হয়। সেদিন আমার শাশুড়ি অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু কাওকে কিছু জানায় না।
কিন্তু আমার শশুর জানতো তার বউযে অসুস্থ। তাদের একমাত্র ছেলে তখন ঢাকার বাহিরে।
আমার শাশুড়ির অনেক হাই পেশার ছিলো। সারা রাত সে অসুস্থতার কারনে বমি করে মাঝে মাঝে নাকি বেহুশ ও হয়ে গেসিলো। যখন অবস্থা অনেক বেশি খারাপ হয়ে যায় তখন না পেরে আমার শশুর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।
আমার শাশুড়ি মাত্র ৩৫ বছর বয়সে দুনিয়া ত্যাগ করেন।
আর আমার শাশুড়ির মৃ* ত্যুর ১৫দিনের দিন সে কাওকে না জানিয়ে ২য় বিয়ে করে।
আর আমার শাশুড়ির মৃত্যুর ৪১ দিনের দিন সে তার ২য় বউকে ঘরে তুলে৷
ওই যে আমার শাশুড়ি ব্যাংকে আমার স্বামীর জন্য কিছু টাকা রেখেছিল।
সেটা সে বের করে নিয়ে নেয়।
আমার শাশুড়িকে যে গোল্ড গুলো কিনে দিয়েছিল সব দিয়ে দেয় তার ২য় বউকে।
আমার শাশুড়ি মা রা যাওয়ার ৮ বছর পর তার ছেলের সাথে আমার বিয়ে হয়।
আমি সব সময় আমার শাশুড়ির জন্য দোয়া করি। এত ভালো একটা ছেলেকে জন্ম দেওয়ার জন্য। আল্লাহ অনাকে বেহেস্তের শ্রেষ্ঠ স্থান দিক। 💗