03/06/2025
ঝালকাঠি জেলা:
ঝালকাঠি জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি জেলা বা অঞ্চল। নদী বন্দরের জন্য ঝালকাঠি সবসময় ইউরোপীয়দের আকর্ষণ করেছে। ফলে বিভিন্ন সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ডাচ ও ফরাসিরা এখানে ব্যবসা কেন্দ্র খুলেছিল। বাণিজ্যিক গুরুত্বের জন্য ঝালকাঠিকে দ্বিতীয় কলকাতা বলা হত।
ইতিহাস:
ঝালকাঠি পূর্বে পিরোজপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত। ১ এপ্রিল ১৮৭৫ সালে ঝালকাঠি পৌরসভার গোড়াপত্তন হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে সেনাবাহিনী কর্তৃক কুলকাঠিতে ১৭ জন মুসলমান নিহত হন। স্থানীয় দাঙ্গা নিরসন ও শৃঙ্খলা প্রদানের জন্য ১৮৮২ সালে ঝালকাঠিতে একটি পুলিশ থানা স্থাপন করা হয়। নদী বন্দরের জন্য ঝালকাঠি সবসময় ইউরোপীয়দের আকর্ষণ করেছে। ফলে বিভিন্ন সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ডাচ ও ফরাসিরা এখানে ব্যবসা কেন্দ্র খুলেছিল। বাণিজ্যিক গুরুত্বের জন্য ঝালকাঠিকে দ্বিতীয় কলকাতা বলা হত। কিছু স্থানীয় রাজাকার এর সহায়তায় ১৬ই জুন ১৯৭১ সালে পাক-হানাদার বাহিনী তাদের হত্যা করে। স্বাধীনতা লাভের পরে ১৯৭২ সালের ১ জুলাই ঝালকাঠি থানাকে পিরোজপুর জেলার মহকুমায় উন্নীত করা হয়।
অবস্থান ও আয়তন:
এ উপজেলার মোট আয়তন ৭৫৮.০৬ বর্গকিলোমিটার। ঝালকাঠি উপজেলার উত্তর ও পূর্বে বরিশাল জেলা, পশ্চিমে পিরোজপুর জেলা, দক্ষিণে বিষখালী নদী ও বরগুনা জেলা।
প্রধান নদী:
কীর্তনখোলা নদী
খায়রাবাদ নদী
বিষখালী নদী
সুগন্ধা নদী
ধানসিঁড়ি নদী,
গাবখান নদী
জাংগালিয়া নদী ও
বাসন্ডা নদী।
ঐতিহাসিক স্থাপনা ও নিদর্শন:
সুজাবাদ কেল্লা, ঘোষাল রাজবাড়ী, পুরাতন পৌরসভা ভবন, মাদাবর মসজিদ, সুরিচোরা জামে মসজিদ, ঝালকাঠি এন এস কামিল মাদ্রাসা, গাবখান সেতু, কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি, শের-ই বাংলা ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজ, বিনয়কাঠি, আটঘর নৌকা বাজার, ভীমরুলি ভাসমান পেয়ারা
বাজার, পেয়ারা বাগান,কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ি