24/10/2025
পাহাড়ে পাহাড়ে উঠলো বেজে শিঙা আর রণভেরি,
সাউথ কিংডমে ঝিলিক দিচ্ছে ঝকঝকে তরবারি।
ঘোড়াগুলো সব যাচ্ছে ছুটে হাওয়ার মতো করে,
শুরু হয়ে গেছে যুদ্ধে এবার, পাথরে-গড়া শহরে।
থিঙ্গেল-পুত্র থিওডেনও সেই যুদ্ধে গেলেন মারা
বাহিনী তখন করলো লড়াই, সর্বাধিনায়ক ছাড়া।
আর কখনো হলো না ওনার স্বর্ণ-দরবারে ফেরা,
নর্দার্ন ফিল্ডের চারণভূমিও কেঁদে কেঁদে হয় সারা।
সেই দূর দেশে মারা গেলো কতো দুঃসাহসী বীর,
হার্ডিং আর গুথলাফ, কিংবা ডেওরওয়াইন, ডানহির,
মহাতেজী গ্রিমবোল্ড, সাথে ফাসট্রেড আর হর্ন
হিরফারা, হেরুব্রান্ড: আরো নাম না জানা কতো জন।
মাউন্ডস অভ মুন্ডবার্গের নিচে শায়িত আছেন তারা
সাথে আছে জ্ঞাতি-যোদ্ধা, আর গনডরের প্রভুরা।
হলো না যাওয়া হিরুলিন দ্য ফেয়ারের পাহাড়-সমুদ্রের তীরে
ফর্লং দ্য ওল্ড ফিরলেন না আরনাচে, বিজয়ীর বেশ ধরে!
ধনুর্ধর দুজন: ডেরুফিন, ডুইলিন- ছিলেন দীর্ঘদেহী খুব
মর্থন্ড দিঘীর কালো জলে, দেওয়া হলো না আর তাদের ডুব।
মৃত্যুতে হলো দিনের শুরু, শেষেও ছাড়লো না পিছু,
রাজন্য-জন, যোদ্ধা, প্রজা- মানলো না তো কিছু।
বহুকাল হলো রিভারের ধারে চিরনিদ্রায় শোয়া তারা;
নদীর জল এখন অশ্রু-ধূসর, চকচকে রুপালি তার ধারা।
সেই দিনটাতে রক্ত ছুটেছে স্রোতেরও আগে আগে,
টকটকে হয়ে জ্বলেছে ফেনা, গোধূলির ছোঁয়া লেগে;
সাঝের বেলা, সঙ্কেত যেমন জ্বলে পাহাড়ের ’পরে;
রাম্মাস একরে লোহিত শিশির পড়েছিলো ঝরে ঝরে।
দ্য রিটার্ন অভ দ্য কিং
দ্য লর্ড অভ দ্য রিংস
অসীম পিয়াসের দুর্দান্ত অনুবাদে।