27/11/2025
আমতলীতে পরীক্ষার আগমুহূর্তে ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ফের কর্মবিরতি!
পাঠদান বন্ধ, দুশ্চিন্তায় অভিভাবকরা।
বরগুনার আমতলী উপজেলার ১৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ফের কর্মবিরতি পালন করেছেন। বৃহস্পতিবার সারাদিন তারা শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রেখে এ কর্মবিরতিতে অংশ নেন। ফলে পরীক্ষার আগ মুহূর্তে উপজেলার প্রায় ২৪ হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষক না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।
জানা গেছে, দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবিতে গত ৮ নভেম্বর থেকে সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষকরা ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ১০ নভেম্বর তারা কর্মসূচি স্থগিত করেন। তবে ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় শিক্ষকরা ফের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার আমতলীতে এ কর্মবিরতি পালন করা হয়।
শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতি ও উচ্চতর গ্রেড বন্ধ থাকায় তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। পশ্চিম কেওয়াবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জুলেখা আফরোজ বলেন, চাকরিতে ১০ বছর হয়ে গেলেও এখনো ১৩তম গ্রেডে কর্মরত আছি। উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। সরকারের কাছে আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাই।
আমতলী একে হাই স্কুল সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি একেএম জিল্লুর রহমান বলেন, সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীত করতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। সরকার দাবিগুলো মেনে প্রজ্ঞাপন জারি করলে শিক্ষকরা শ্রেণি কার্যক্রমে ফিরে যাবেন।
এদিকে, কর্মবিরতির কারণে বিদ্যালয়ে পাঠদান না হওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। পশ্চিম কেওয়াবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মীম আক্তার, আনাফ ইসলাম রাফি ও জুনাইদা বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন না, তাই আমরা বাড়ি যাচ্ছি।
অভিভাবক লাভলী বেগম ও মাজেদা বেগম বলেন, আগামী মাসের শুরুতেই বার্ষিক পরীক্ষা। এখন ক্লাস বন্ধ থাকলে সন্তানদের পড়ালেখার বড় ক্ষতি হবে। সরকার দ্রুত শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিক।