Valobasar golpo kotha

Valobasar golpo kotha যারা গল্পো পরতে ভালোবাসেন তারা আমাদে?

---"২০ বছর বয়সী মেয়েদের সাথে শা'রীরিক সম্পর্ক করার মজাই আলাদা।।তোমার তো ২০ বছর তাই না।।তাছাড়া ১বার বিয়েও হয়েছে আর একটা ছ...
10/06/2024

---"২০ বছর বয়সী মেয়েদের সাথে শা'রীরিক সম্পর্ক করার মজাই আলাদা।।তোমার তো ২০ বছর তাই না।।তাছাড়া ১বার বিয়েও হয়েছে আর একটা ছেলেও আছে।।সো তুমি আমার বেড পার্টনার হিসেবে একদম পার্ফেক্ট,,,তাই না??" [ বাঁকা হেসে ]

সামনে থাকা ব্যক্তির এমন কথা শুনে আমার রাগ হওয়ার থেকে বেশি অবাক লাগছে,,,একজন অবিবাহিত ছেলে আমার অতীত জানা সত্ত্বেও আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে দেখতে এসেছে,,,তার উপর তার বাবা দেশের একজন নামকরা বিজনেস ম্যান,, আর সে একজন পুলিশ,,,ভাবতেও অবাক লাগছে,,একজন পুলিশের ভাষা এমন কেমনে হতে পারে??

আমাকে চুপ থাকতে দেখে উনি আবার বললেন,,,,

---" কি ঠিক বললাম তো?? "

---" দেখুন মিস্টার রেয়ান,,,আমি জানিনা আপনি এমন বাজে কথা কি জন্য আমাকে বলছেন,,,তার উপর বিয়ে করতে চাচ্ছেন,,,কেন??"

---" মিস....কি যেন নাম আপনার??"[ ভ্রুঁ কুঁচকে ]

কথাটা শুনে আমার মাথাটা আরও খা'রাপ হয়ে গেলো,,,আরে আমার নাম জানে না আর বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আমাকে দেখতে এসেছে,,, যত্তসব আবা*ল,,,ইচ্ছা করছে কথাগুলো মুখের উপর বলে দি,,,কিন্তু সে একজন অনেক বড় পসিসনের পুলিশ,,, বাজে ব্যবহার করা যাবে না,,,তাই মুখে হাসি রেখে বললাম,,,

---" আমার নাম মিরা,,,"

---" ও মরুভূমি।। তা যা বলছিলাম!! "

---" এক্সকিউজ মি,,, আমার নাম মিরা,, মরুভূমি না "

---" সে যাই হোক,,,শুনো আমি তোমার মতো মেয়েকে শুধু আমার বেড পার্টনার হিসেবে চাই,,,আর কিছু না,,,"

---"তাহলে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন কেন??"

---" তোমাকে যেন সমাজের মানুষ অন্য চোখে না দেখে,,আর বিয়ে না করলে আমারও নাম খা'রাপ হবে,,,তাছাড়া তোমরা তো অনেক গরিব,,তুমি আর তোমার মা তো হয়তো তোমার ছেলের লালনপালন করতে পারো না,, তাই আমি করব,,,এতে তোমার লাভও হবে,,, এখন তুমি বলতে পারো,,তোমাকেই কেন আমি বিয়ে করতে চাচ্ছি,,??একচুয়েলি আই লাইক ইউর বডি,,,প্রতিদিন তোমার শরীরের স্বাদ নিতে চাই,,,তাই বিয়ে করব,,,"[ বাঁকা হেসে ]

কথাটা শুনে নিজেকে আর দমিয়ে রাখতে পারলাম না।। বেয়া'দ*বির লিমিট ছেড়ে চলে গেছে এ-ই লোক।।রা'গে - জি'দে পাশে তাকা চা উনার মুখে মেলা মা'রলাম।।আর চেঁচিয়ে উঠে বললাম,,,

---" বের হন আমার বাসা থেকে এখনই।।আর কোনো দিনও যেন আপনাকে আমার আশেপাশে না দেখি।। বের হন!!"

রেয়ান কোনো কথা না বলে আমার দিকে রাগি ভাবে একবার তাকিয়ে তার গার্ডদেরকে নিয়ে চলে যান বাসা থেকে,,,,উনি চলে গেলেও আমার রাগ কমেনি,,,কি,, কি ভেবেছে-টা কি ও-ই লোক আমাকে,,,আমি আমার ছেলেকে লালন পালন করতে পারবো না,,, বেশ পারবো,,,আমার ছেলে আমার পরিচয়ে বড় হবে,,,ও-ই লোকের কি,,,আমাকে কি পতিতা মনে করে,,,আমার ১বার বিয়ে হয়েছে দেখে যা ইচ্ছা তা বলবে,,,আসলে মার কথা শুনে ওই লোককে বাসায় আসতে দেওয়াটাই আমার ভুল,,,

হঠাৎ মা'র ডাকে আমার ধ্যান ভাঙ্গে,,,,

---" কিরে,,,ছেলেটা এভাবে গেল গা কেন,,,কিছু কি উল্টাপাল্টা বলেছিস নাকি ছেলেটাকে??"

---" আমি কোনো উল্টাপাল্টা কথা বলি নি মা,,ও-ই লোক বলেছে,,, কত বাজে বাজে কথা বলেছে আমাকে তুমি জানো??তোমাকে আমি আগেই বলেছিলাম মা,, আমি এভাবে থাকতে পারবো,,,আমার ছেলেকে আমি একা মানুষ করতে পারবো,,,কাউকে লাগবে না আমার"

মা আমার কথা শুনে করুন চোখে তাকায় আমার দিকে,,,,তারপর আস্তে করে আমার পাশে বসে আমার কাধেঁ হাত রাখে,,,আর নরম গলায় বলে,,,,

---" মাফ করে দে মা,,,আমি আসলে তোকে এত ক'ষ্টে দেখতে পারছিলাম না,,,তাই যখন ছেলেটা বিয়ের প্রস্তা'ব দিলো তখন আর মানা করতে পারি নি,,,, আমি ভাবি নি এমন হবে,, মাফ করে দে মা "

বলতে বলতেই মা কেঁদে দিলেন,,আসলে মা আমার অনেক ইমোসনাল,,,কথায় কথায় কেঁদে দেয়,,,হয়তো আমার ক"ষ্টে উনি আরও বেশি ক'ষ্ট পাচ্ছেন,,,আমি মুচকি হেসে মাকে জড়িয়ে ধরলাম,,,

---" কেঁদো না মা,,,শুভ যা করেছে তার জন্য ও শা'স্তি পাবে,,,আর দেখবা,, আমরাও একদিন না একদিন সুখে থাকবো,,একবার আমার চাকরিটা ভালোভাবে হয়ে যাক,,,সব কষ্ট চলে যাবে আমাদের,,,তুমি আমি আর রিহান একসাথে আনন্দে থাকবো,,,"

এরপর মার চোখ মুছে দিলাম,,,এরই মাঝে আমার ছেলে রিহান এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল,,,আর বলতে থাকলো,,,

---" মা,,, তুমি আর নানু কি কান্না করেছো,,,তোমাদের চোখে পানি কেন??"

---" কই নাতো,,,আমরা তো হাসছি,,,এ-ই দেখ"

বলেই আমি আর মা হেসে দিলাম,,,আমাদের হাসি দেখে আমার ছোট্ট ছেলেটাও হেসে দিলো,,,কি মায়া ওর ভেতর,,ওর জন্যই তো,,এত কিছু হওয়া সত্ত্বেও বেঁচে আছি,,,

রিহানের কপালে আদরমাখা একটাচুমু দিয়ে বললাম,,,

---" চকলেট খাবি,,,আয় নানু,,আমি আর তুই একসাথে চকলেট খাবো আর গল্প করব,,,ওকে"

---" হুম চকলেট খাবো - গল্প করব "

বলেই রিহান খুশিতে নাচতে লাগলো,,আসলেই আমার ছেলেটা অনেক দু'ষ্টু,,সারাটা দিন দু'ষ্টু'মি করবে,, আর নাচানাচি করবে,,,একে নিয়েই তো আমার পৃথিবী!!

এভাবে হাসি আনন্দে কেটে গেল দিনটা,,,, কিন্তু রাতে,,, রাতে তো আর আনন্দে থাকতে পারি না,,রিহানও যখন ঘুমিয়ে যায়,,তখন তো আমার শুভর কথা মনে পড়ে,,তাছাড়া ও-ই লোকটা,, যে আমাকে এতগুলো বাজে কথা বলল,,,,আসলেই কি এগুলো হওয়ার কথা ছিল আমার জীবনে,,,শুভ আর আমি তো ভালোই ছিলাম,,তাহলে এমন কেন হলো,,,কেন ও ছেঁড়ে চলে গেল আমাকে?? কেন ??

রাতটা এভাবেই ক'ষ্টে কে'টে গেল আমার,,,

সকালে উঠেই আগে রেডি হয়ে নিলাম,,কারন আজকে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে হবে আমার,,,রিহান এখনও ঘুমাচ্ছে,, তাই তার কপালে একটা স্নেহভরা চুমু দিয়ে আর মাকে জড়িয়ে ধরে বিদায় নিলাম,,,,


ফুটপাতে দাঁড়িয়ে আছি রিকশার খোঁজে,,,কিন্তু একটা রিকশাও পাচ্ছি না,,, তাই বাধ্য হয়ে হাঁটা ধরলাম,,,হঠাৎ একটা গাড়ি এসে আমার সামনে দাঁড়ালো,,,কথা নাই বার্তা নেই,, আমাকে গাড়িটার ভেতর জোড় করে ডুকালো,,,,ভেতরে ডুকতেই দেখি রেয়ান এক হাতে জুস খাচ্ছে আর অন্য হাতে ফোন টিপছে,,,কিছু করতে যাবো তার আগেই হুট করে কিছু লোক আমার হাত,, পা আর চোখ বেঁধে দিলো,,,,,
যারা আমার পারসোনাল আইডিতে এড হতে চান তারা নীল

লেখায় চাপ দিয়ে ফলো করে নিন 👉 ডায়েরি

চলবে🍁🍁

#সে_কি_জানে🍁
Ishanur_Tasmia
Part:01

গ্রামের মেয়ে যখন শহরের বঁধু   পর্বঃ- ১এই যে ম্যাডাম! আর কতক্ষণ ঘুমাবেন?  এবার তো উঠুন। সকাল ৬টা বাজে;; এটা আপনার বাপের ব...
03/06/2024

গ্রামের মেয়ে যখন শহরের বঁধু
পর্বঃ- ১

এই যে ম্যাডাম! আর কতক্ষণ ঘুমাবেন? এবার তো উঠুন। সকাল ৬টা বাজে;; এটা আপনার বাপের বাড়ি নয় যে, ১০টা পর্যন্ত ঘুমাবেন। "

কিন্তু জয়ের ডাক যেন ঘুমন্ত নিহার কানেই পৌঁছালো না। জয় এবার আর সহ্য করতে না পেরে নিহার কোমরে দিলো একটা লাথি। জয়ের শক্ত পায়ের লাথি খেয়ে নিহা আদো আদো চোখ খুলে তাকালো। সামনের মানুষটিকে দেখে বড়সড় একটা ঢুক গিলে দ্রুত ফ্লোর থেকে উঠে বসলো।
" যাক, উঠলি তাহলে। ভালোই হলো। নয়তো আর একবার ডাকতে হলে কপালে শনি ছিলো। বাই দা ওয়ে,, জলদি উঠে আমার জন্য ব্রেকফাস্ট রেডি কর। আর শার্ট প্যান্ট গুলোও আয়রন করে রাখিস। আর একটা কথা, হাত ঘড়িটা খোঁজে রাখিস। ওটা কোথায় রেখেছি খোজে পাচ্ছি না। আমি মর্নিং ওয়াকে যাচ্ছি। আধ ঘন্টার মধ্যে এসে যেন সব রেডি পায়। এন্ড ইউ নো, না...?? আমি প্রতিদিন কয়টায় ঘর থেকে বের হই?? সো, হারি আপ। নয়তো কাল রাতের মারের কথা নিশ্চয় ভুলে যাসনি। মাইন্ড ইট। "
কথাগুলো ধমক দিয়ে বলেই জয় গদগদ পায়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলো। আর নিহা এক দৃষ্টিতে জয়ের যাওয়ার দিকেই তাকিয়ে রইলো কয়েক সেকেন্ড। আসলে কাল রাতে স্বামী নামক মানুষটির হাতে মার খেয়ে নিত্যকার মতো কখন যে ঘুমিয়ে ছিলো তার কোনো হিসেব নেই। এই হবে হয়তো রাত ১টা ২টার দিকে। শোয়া থেকে উঠে বসতে গিয়েও যেন হাজারো ব্যথা অনুভব করতে হলো শরীরে।
নিহার প্রতিদিনকার অভ্যাস এটা। স্বামী নামক মানুষটির হাতে বিনা দোষে কোনো না কোনো অজুহাতে সারাদিনে একবার মার খাবেই খাবে। আর এখন যেন এই মারটাই নিহার নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। পৃথিবী উল্টে গেলেও, পৃথিবীর সবকিছু পাল্টে গেলেও, নিহার শরীরে মার পড়াটা যেন পাল্টাই না কোনো ভাবে। কালও তার ব্যতীক্রম হয়নি। সামান্য একটা ভুলের রেশ ধরে ওকে পশুর মতো মেরেছে স্বামী নামক জানোয়ারটি। জয়ের মার খেয়ে ফ্লোরেই শুয়ে নিরবে চোখের জল ফেলেছে সে। কান্না টাও আজকাল নিরবে আসে। কারণ শব্দ করে কান্না করলেও এই বাড়িতে ওর কান্না শুনার জন্য কেউ নেই। আর যে ওর কান্না শুনবে, সে তো কখনো শুনবেই না হয়তো ওর এই আর্তনাদ। কাল মার খাওয়ার মেইন কারণ হচ্ছে- কাল রাতে জয় যখন খাবার খেয়ে রুমে এসেছিলো; তখন প্রতিদিনের মতো সে রুমে চলে আসার একটু পরে নিহা ওর জন্য এক কাপ গ্রীন টি নিয়ে এসেছিলো। মূলত ও-ই নিহাকে বিয়ের পর দিন কড়া আদেশ দিয়ে রেখেছে, যেন প্রত্যেকদিন রাতে সে রুমে আসার পর এক কাপ গ্রীন টি বানিয়ে আনে। আর যদি এর বিপরীত হয় তাহলে কপালে দুঃখ আছে। তাই নিহাও স্বামীর আদেশকে মান্য করে প্রতিদিন জয়ের জন্য গ্রীন টি নিয়ে আসে। কিন্তু কাল রাতে নিহার কিচেনে একটু কাজ বেশি ছিলো বলে রুমে আসতে একটু দেরি হয়ে যায়। আর ভুল বশত গ্রীন টি-ও আনতে ভুলে যায়। আসলে কপাল খারাপ হলে যা হয় আর কি!! ব্যাস, আর কি লাগে জয় নিহার গায়ে হাত তোলার জন্য। প্যান্টের বেল্ট খুলে পাষাণের মতো নিহার শরীরের প্রতিটা অংশে আঘাত করেছিলো। আর নিহা সইতে না পেরে ফ্লোরেই লুটিয়ে পড়েছিলো। তারপর ব্যথাযুক্ত শরীর নিয়ে কখন যে ঘুমিয়েছে; তার কোনো হিসেব নেই।

নিহা এবার কাতরাতে কাতরাতে আস্তে আস্তে বসা থেকে উঠে দাঁড়ালো। সারা শরীরে ব্যথা করছে। কিন্তু এই ব্যথাটাও এখন ওর জন্য বিষের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এই অসহ্য ব্যথা নিয়েই এখন কলুর বলদের মতো সারাদিনের কাজগুলো করতে হবে। আর যদি এর বিপরীতে একটু এদিক সেদিক হয়; তাহলে আবারও জয় ওর গায়ে হাত তুলতে ২ বার ভাববেনা। যদিও জয় সারাদিন বাড়িতে থাকেনা; কিন্তু নিহার ভুল ত্রুটি গুলো যেন জয়ের কাছে পৌঁছাতে ২ মিনিটও লাগেনা। নিহা ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে তারপর কিচেনে চলে আসলো ব্রেকফাস্ট রেডি করবে বলে। কি অদ্ভুত! বাসায় সার্ভেন্ট থাকা সত্বেও নিহাকেই বাড়ির সব কাজ করতে হয়। সার্ভেন্ট যেন নামমাত্র এই বাড়িতে আছে। হয়তো রায়হান সাহেবের ভয়ে সার্ভেন্টকে মা, ছেলে, আর মেয়ে, কেউ বিদায় করেনি। কারণ নিহার উপর ওদের অমানুষিক টর্চার গুলো যে ধরা পড়ে যাবে। নিহা নাস্তা তৈরি করছে আর কান্না মিশ্রিত চোখে ভাবছে, কতোটা সুন্দর ছিলো তার জীবন। ১ বছর আগেও সে কতোটা হাসতো। কতো হাসি খুশি ছিলো এই মেয়েটি। আর এখন নিয়তি এমন জায়গায় এসে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে যে আর চাইলেও হাসি বের হয়না মুখ দিয়ে। শুধু মিথ্যে হাসির অভিনয় করে যেতে হয় দিনের পর দিন। ১ বছরের ব্যবধানে সবকিছু যেন পাল্টে গিয়েছে। হ্যাঁ, নিহার বিয়ে হয়েছে প্রায় ১টা বছর ছুঁই ছুঁই। আর এই ১ বছরে এমন কোনো দিন যায়নি, যেদিন নিহা মার খায়নি কিংবা কথা শুনে নি।
নিহার মনে পড়ে গেলো সেই দিনটির কথা৷ যেদিন ওর জয়ের সাথে বিয়ের কথাবার্তা হওয়ায় ওর বাবা অতিমাত্রায় খুশি হয়েছিলো। উনি ভেবেছিলেন বন্ধুর ছেলের সাথে তার একমাত্র মেয়েটার বিয়ে হলে হয়তো মেয়েটা সুখেই থাকবে। কারণ জয়দের ঘরে তেমন কোনো লোক নেই। শুধু জয়, জয়ের ছোট বোন জেসি, আর জয়ের বাবা-মাই আছে। নিহার বাবা ভেবেছিলো মেয়েকে কম সদস্যের পরিবারে বিয়ে দিলে মেয়েকে তেমন খাটুনি করতে হবে না; মেয়েটা উনার সুখেই থাকবে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো রায়হান সাহেব অনেক ভালো একজন মানুষ। তাই উনার ছেলে মেয়ে আর বউ ও নিশ্চয় অনেক ভালো হবে। কিন্তু ঐ যে কথায় আছেনা! পানি অল্প হলেও কুমির সহজেই থাকতে পারে। এখানেও ঠিক তাই। জয়ের বাবা ছাড়া বাকি ৩ জনই নিহার গায়ে হাত তুলেছে। নিহাকে রোজ কথা শোনায়।
নিহা ব্যথাযুক্ত শরীর নিয়ে যতো দ্রুত সম্ভব সকালের নাস্তা রেডি করে রুমের দিকে হাঁটা ধরলো। কারণ এখন আবার জয়ের শার্ট-প্যান্ট গুলো আয়রন করতে হবে। আর ওর শার্ট-প্যান্ট আয়রন করা মানে যুদ্ধে জয়ী হওয়া। কারণ ওর শার্ট-প্যান্ট গুলো এতো ভালো করে আয়রন করতে হয় যে ২টা শার্ট-প্যান্ট আয়রন করতে ১০টা শার্ট-প্যান্ট আয়রন করার সম পরিমাণ সময় লাগে। তার উপর আবার ঘড়িটাও খোঁজে বের করতে হবে। কে জানে ঘড়িটা কোথায় পড়ে আছে?? নয়তো আবার ওকেই চোর ভেবে দোষারোপ করবে।
নিহা রুমে এসে শার্ট-প্যান্ট আয়রন করে ঘড়িটাও খোঁজে বের করে ড্রেসিং টেবিলের উপর রাখলো। আজ ভাগ্য হয়তো ওর পক্ষে ছিলো বলে সব জয় আসার আগেই করে ফেলতে পেরেছে। নয়তো কতো সময় তো এসব করতে না পারে বলে সকাল সকাল চড় আর থাপ্পড় কপালে জুটে। কিন্তু আমাদের সমাজে আজও একটা প্রবাদ আছে,, "অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকিয়ে যায়।" নিহার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। সবকিছু ঠিকঠাক করলেও যেন জয়ের চোখে ওর কিছু একটা ভুল পড়বেই। আজও তার ব্যতিক্রম হলোনা। সব রেডি করার পর যখন জয় মর্নিং ওয়াক করে বাসায় আসলো। তখন নিহা ডাইনিংয়েই ছিলো। মূলত ডাইনিংয়ে সবার জন্য নাস্তা সাজাচ্ছিলো। ডাইনিং টা ড্রয়িং রুমের সাথে এটাচ্ হওয়ায় ড্রয়িং রুম থেকে ডাইনিংটা সরাসরি চোখে পড়ে। জয় বাহির থেকে এসে ড্রয়িং রুমের সোফায় রেস্ট করার জন্য বসতেই ডাইনিংয়ে নাস্তা সাজানো নিহার দিকে চোখ গেলো। আর সাথে সাথে ডাক দিলো।
" নিহা...! নিহা....! "
জয়ের কণ্ঠটা বেশ রাগান্বিতই শুনিয়েছে। সাথে সাথে জয়ের ডাক অনুসরণ করে জয়ের দিকে তাকালো নিহা।
" আমার জন্য এক গ্লাস জুস বানিয়ে নিয়ে আয় তো রুমে। আজ খুব টায়ার্ড লাগছে। তাড়াতাড়ি আনিস। ফ্রেশ হতে হবে আমায় আবার। "
নিহা হাতের কাজ রেখে দ্রুত জয়ের জন্য এক গ্লাস জুস বানিয়ে নিয়ে রুমে গেলো। জয় বিছানায়ই বসে ছিলো। নিহা ধীর পায়ে হেঁটে জয়ের সামনে গিয়ে ওর দিকে জুসের গ্লাসটা এগিয়ে দিলো। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত জুসের গ্লাসটা নিহা জয়ের হাতে দিতেই গ্লাসটা ধপ করে ফ্লোরে পড়ে গেলো। সামান্য জুস গিয়ে জয়ের গায়েও পড়লো। ব্যাস, এতটুকুতেই জয় যেন রেগে ফায়ার। যদিও গ্লাসটা নিহার হাত থেকে নয় বরং ওর হাত থেকেই পড়েছে। কিন্তু তাতে কি?? ঐ যে কথায় আছে না যত দোষ নন্দ ঘোষ! জয়ের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। দোষটা তার হলেও সে মানতে নারাজ। সব দোষ গিয়ে পড়লো নিহার উপর। রেগেমেগে বসা থেকে উঠে জোরে একটা চড় বসিয়ে দিলো নিহার গালে। তারপর রাগী গলায় বললো----
" কি রে, একটা কাজও কি ঠিক করে করতে পারিস না?? তোর বাবা মা কি তুকে কোনো কাজ শিখায়নি?? যখনই দেখি শুধু হুটহাট এটা ফেলে দিস ওটা ফেলে দিস। ঘরের জিনিস গুলো কি তোর বাপের টাকায় কেনা?? যে এভাবে হাত থেকে ফেলে দিস?? অবশ্য তোর বাপের তো আমাদের বাড়ির চাকর হওয়ারও সামর্থ্য নেই। এসব কখনো চোখে দেখেছে নাকি?? তাই তো মেয়েকে বড়লোক ছেলে দেখে গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছে। ছোট লোক কোথাকার! "
রাগী কণ্ঠে কথাগুলো বলেই জয় নিজের গায়ে পড়া জুস গুলো হাত দিয়ে হালকা সারিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। নিহা জয়ের সব কথা এমনকি ওর হাতের মারধর পর্যন্ত সহ্য করতে পারলেও কেন যেন নিজের বাবা মা'কে নিয়ে কিছু বললে সেটা সহ্য করতে পারেনা। এখনও পারলোনা। জয়ের দিকে তাকিয়ে বলেই ফেললো। তবে কণ্ঠটা বেশ শান্ত রেখেই বললো।
" প্লিজ আপনার যা বলার আমাকে বলবেন। কিন্তু আমার বাবা মা'কে নিয়ে কিছু বলবেন না। দোষটা আমি করেছি; উনাদের কেন আপনি এখানে টেনে আনছেন?? দরকার পড়লে আপনি আমাকে মারেন কাটেন যাই করেন। তবুও প্লিজ উনাদের নিয়ে কিছু বলবেন না। উনাদের তো কোনো দোষ নেই। "
ব্যাস, নিহার শান্ত কণ্ঠে বলা কথাগুলো যেন জয়ের রাগকে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিলো। জয় এমনিতেই ওর কথার পিঠে কথা বলা পছন্দ করেনা। তার উপর এখন তো ওর কথার পিঠে কথা বলা ব্যক্তিটা ওর সবচেয়ে অপছন্দের ব্যক্তি নিহা। জয়ের যেন কথাগুলো সহ্য হলোনা। রাগী চোখে নিহার দিকে তাকালো। নিহা তো ওর চাহনি দেখেই ভয়ে শুকনো ঢুক গিলছে। এখন না জানি আবার সকাল সকাল কপালে কি আছে?? কথাগুলো বলে যে জয়ের রাগকে বাড়িয়ে দিয়েছে সেটা পরিষ্কার বুঝতে পারছে। কিন্তু ওর-ই বা কি দোষ?? ও দোষ করেছে যা বলার ওকে বলবে। কিন্তু বাবা মা'কে কথা শুনাবে কেন?? বাবা মায়ের তো কোনো দোষ নেই।
" তোর এতো বড় সাহস? তুই আমার মুখে মুখে তর্ক করিস?? তোর বাবা মা'কে নিয়ে কথা বলেছি বলে খুব গায়ে ফোষ্কা পড়ছে না...?? তোর সাহস কি করে হয় আমার মুখের উপর কথা বলার?? তোকে তো আজ আমি....

বলেই জয় নিজের প্যান্টের বেল্টটা খুলে নিতে লাগলো। নিহা যেন বেল্ট খুলতে দেখেই ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছে। হাত পা রীতিমতো কাঁপছে ওর। এখন আবার গরু ছাগলের মতো মার খেতে হবে। কথাটা ভাবতেই নিহার সারা শরীর কাঁপছে। নিহা কিছু বলতে চেয়েও যেন বলতে পারছেনা। কারণ সে বরাবরই নিজের জন্য জয়ের কাছে কোনো সাফাই দিতে পারেনা। আজ পর্যন্ত একটা বারও নিজের নির্দোষ হওয়ার কথা বলতে পারলোনা জয়ের কাছে। সবসময় বিনা দোষেই চড়, থাপ্পড়, বেল্টের মার এসব সহ্য করেছে। এখনও তাই হলো। জয় নিজের বেল্ট খুলে পশুর মতো মারতে লাগলো নিহার শরীরে।
" বল আর কখনো মুখের উপর কথা বলবি কিনা?? বল আর কোনোদিন এই দুঃসাহস করবিনা। আমার মুখের উপর কথা বলা? হ্যাঁ?? আমার মুখের উপর কথা বলা?? তোকে তো আজ আমি মেরেই ফেলবো। ছোট লোক কোথাকার! "
জয় কথাগুলো বলছে, আর নিহার শরীরে একটা করে বেল্টের আঘাত করছে। নিহা যেন এতো মার সহ্য করতে না পেরে ফ্লোরেই লুটিয়ে পড়লো।
" ও মা গো! আল্লাহ গো। ও মাআআআ! আল্লাহ গোওওওও! "
কিন্তু নিহার এসব আর্তনাদ কি আর জয়ের কানে পৌঁছাচ্ছে?? নিহার ফ্লোরে লুটিয়ে পড়াটা যেন ওর জন্য মারতে আরও সুযোগ হয়েছে। বেল্টের আঘাতের পাশাপাশি এবার পা দিয়েও লাথি দিতে লাগলো নিহার পেটে পিঠে। আর নিহা..... সে তো বোবার মতো মুখ বুঝে সব মার সহ্য করে যাচ্ছে। জয় ততক্ষণ নিহার শরীরে আঘাত করেছে; যতক্ষণ না সে নিজে ক্লান্ত হয়েছে। যখন নিহাকে মারতে মারতে নিজের হাতটাই ব্যথা হয়ে আসলো তখন মারটা থামিয়ে বেল্টটা বিছানায় ছুঁড়ে ফেলে ওয়াশরুমে চলে গেলো। আর নিহা সেখানেই শুয়ে রইলো।
কাল রাতের আর আজ সকালের মার খেয়ে এখন যেন পুরো শরীরটাই অসার হয়ে পড়েছে নিহার। পুরো শরীর যন্ত্রণা করছে ব্যথায়। ফ্লোর থেকে উঠে বসার শক্তিটাও যেন হারিয়ে ফেলেছে। জয় আসার আগে আগে কয়েকবার উঠে বসতে চেয়েও ব্যর্থ হলো। প্রায় আধ ঘন্টা পর জয় ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসলো। আর এসে এখনো নিহাকে ফ্লোরে শুয়ে কাতরাতে দেখে নাক মুখ কুঁচকে ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। হয়তো প্রতিদিনের মতো আজও কোনো ক্লাব কিংবা হোটেলে যাওয়ার জন্য রেডি হবে এখন। আর নয়তো বা গার্লফ্রেন্ডকে ডেটিংয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রেডি হবে। রেডি হতে হতে আয়নার দিকে তাকিয়ে জয় বললো।
" আর শুয়ে না থেকে এবার উঠে গিয়ে আমার কাপড় গুলো ধুয়ে দে। অনেক কাপড় জমা হয়ে আছে আমার। এখনও বেঁচে আছিস। মরে যাসনি যে, এতক্ষণ মরার মতো শুয়ে থাকবি। জলদি উঠে ওয়াশরুমে যা। "
মিনিট বিশেকের মধ্যেই জয় রেডি হয়ে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুত হলো। কিন্তু নিহাকে এখনো ফ্লোরে শুয়ে থাকতে দেখে মেজাজটা যেন চটে গেলো। তবে গায়ে হাত না তুললেও ধমক দিতে ভুল করলোনা।
" কি হলো? এখনো শুয়ে আছিস কেন?? আজ কি সারাদিন শুয়ে থাকার প্ল্যান করেছিস নাকি?? বলেছি না আমার সব কাপড় গুলো ধুয়ে দিতে! কথা কি কানে যায় না?? জলদি ধুয়ে শুকিয়ে সন্ধার আগে আয়রন করে রাখবি। আমাকে যেন আর বলতে না হয়। আমি এখন বাইরে যাচ্ছি। এসে যদি কোনো রকম অনিয়ম দেখি,, তাহলে হচ্ছে তোর। "
বলেই জয় রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। নিহা প্রায় ১ ঘন্টা পর ব্যথাযুক্ত শরীর নিয়ে কাপড় ধোয়া শেষ করলো। এখন আবার দুপুরের জন্য রান্না করতে হবে। তাই আর কোনো রকম দেরি না করে কিচেনের দিকে হাঁটা ধরলো। সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় দেখা হলো জেসির সাথে। জেসি ডাইনিং থেকে আসছিলো; নিহাকে কুড়িয়ে হাঁটতে দেখে থেমে জিজ্ঞেস করলো-----
" কি ব্যাপার ভাবিজী...?? আমার ভাইয়া বুঝি আজকেও আদর করেছে?? আচ্ছা আজ কি আদরের ডোজটা একটু বেশিই ছিলো?? অবশ্য তোমাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে আজ ডোজ একটু বেশি হয়েছে। বলি কি এতো কিছুর পরেও কেন পড়ে আছো এই বাড়িতে?? এবার হলেও তো চলে যেতে পারো! গেঁয়ো কোথাকার! (তাচ্ছিল্য স্বরে)

তখনই শায়লা বেগম; অর্থাৎ জয়ের মা আসলো। উনি তাচ্ছিল্য হেসে বললেন----
" আরে জেসি কি বলছিস তুই এসব?? কাকে কি বলছিস?? ও কেন যাবে এখান থেকে?? ও তো এই বাড়িতে রাজত্ব করবে বলেই পণ করে এই বাড়িতে ঢুকেছে। দেখছিস না..! তোর বাবাকে কিভাবে বস করে নিয়েছে?? বন্ধুর মেয়ে বন্ধুর মেয়ে করে করেতো সবসময় মাথায় তুলে রাখে। আমাদের কোনো কথা বিশ্বাসই করেনা ওর কথা ছাড়া। ভাগ্যিস জয় আমাদের সাথে ছিলো; নয়তো এই গেঁয়ো ভূতটা তো পুরো বাড়ি নিজের কব্জায় করে নিতো। যত্তসব। কেন যে তোর বাবা এই গেঁয়ো মেয়েটাকে আমার ছেলের বউ বানাতে গেলো?? আমি বুঝিনা। আমার ছেলে ওর থেকেও হাজার গুণ সরশ মেয়ে বিয়ে করতে পারতো।
এইসব বলতে বলতে শায়লা বেগম আর উনার গুনধর মেয়ে সিড়ি দিয়ে উপরে উঠে গেলেন। আর নিহা চুপচাপ কিচেনে চলে গেলো। কোনো রকম রিয়েক্ট কিংবা প্রত্তোত্তর করলোনা। কারণ এসব আজ নতুন কিছু নয়; প্রতিদিনই এইসব নানান কথা ওকে শুনতে হয়৷ এই বাড়িতে আসার পর থেকে ওর কপালে খাবারের চেয়ে কথা আর মারই জুটে বেশি। মাঝে মাঝে তো বলতে বলতে গায়ে হাতও তুলে মা মেয়ে। আর সবসময় ভাবে কিভাবে জয়কে দিয়ে মার খাওয়াবে নিহাকে। জয় এমনিতেও এই বিয়েতে রাজি ছিলোনা। কারণ নিহা গ্রামের মেয়ে, আর জয় হচ্ছে শহরের আধুনিক ছেলে; যাকে বলে আলট্রা মডার্ন। সবসময় পার্টি, ক্লাব, নেশা করা, বাবার কামানো টাকা অযথা খরচ করাই হচ্ছে জয়ের নিত্য দিনের কাজ। আর নিহাকে বউ হিসেবে না মানার দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে জয়ের একটা গার্লফ্রেন্ড আছে, মিরা। সেও জয়ের মতো ওভার স্মার্ট। যেই কারণে জয়ের পুরো ফ্যামিলির চোখের মণি সে; শুধু মাত্র জয়ের বাবা ছাড়া। রায়হান সাহেব তো এই মেয়েটাকে দু'চোখে সহ্য করতে পারেনা। উনার কলিজার টুকরা হলো নিহা; যাকে উনি নিজের মেয়ের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন। তবে রায়হান সাহেব জানেন না যে উনার ছেলে মিরাকে ভালোবাসে। উনি মনে করেন মিরা মেয়েটা শুধু উনার ছেলের বন্ধু। তাছাড়া আর কিছুি নয়।
দিনটা কোনো মতে পেরোলেও রাতটা যেন বরাবরই কালো। রাতে সবাই ডাইনিংয়ে বসে খাবার খাচ্ছে। তবে নিহা বাদে। কারণ নিহার ডাইনিংয়ে বসাটা ওরা মা, ছেলে, মেয়ে কেউই পছন্দ করেনা। যদিও রায়হান সাহেব প্রতিদিনই বলে নিহাকে ডাইনিংয়ে বসতে। কিন্তু নিহা বসে না।

বাকী পর্ব কমেন্ট বক্সে...

I have reached 8K followers! Thank you for your continued support. I could not have done it without each of you. 🙏🤗🎉
03/05/2023

I have reached 8K followers! Thank you for your continued support. I could not have done it without each of you. 🙏🤗🎉

Address

Dhaka

Telephone

+8801721123977

Website

http://www.youtube.com/@mojamaro

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Valobasar golpo kotha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category