Subodh Balika

Subodh Balika আল্লাহ আমার জন্য যথেষ্ট।
(1)

So called liberal, অথচ অন্যের পছন্দকে সম্মান করতে জানেনা🤣🤣এরাই আবার বলে my life my rules..তাহসানের লাইফ, তার রুল, সেটা এ...
23/09/2025

So called liberal, অথচ অন্যের পছন্দকে সম্মান করতে জানেনা🤣🤣
এরাই আবার বলে my life my rules..
তাহসানের লাইফ, তার রুল, সেটা এখন আবার মানবেনা। পশ্চাৎদেশে আগুন লাগছে 😅

18/09/2025
08/09/2025

মেয়েরা আজীবন আসলে করেই যায়।আর যে পুরুষ বা যে ফেমেলি বুঝে যে এই মেয়ে আসলে অনেক প্রেশার নিতে পারবে তাকে প্রেশার দিতেই থাকে।সহ্য করতে পারা মেয়েদের কপাল একটু বেশিই খারাপ। এরা প্রাপ্যটুকু কখনোই পায় না 😓

 #ফুফাতো_বোন_যখন_ক্রাশ   #পর্ব_১২রাতে ফারিহা তার আম্মুকে ঐ কথাটি বলার সাথে সাথে...... ফারিহার আম্মু রেগে যায়......ফারিহা...
07/09/2025

#ফুফাতো_বোন_যখন_ক্রাশ #পর্ব_১২
রাতে ফারিহা তার আম্মুকে ঐ কথাটি বলার সাথে সাথে......

ফারিহার আম্মু রেগে যায়......

ফারিহার আম্মু : তোর সাহস কি করে হলো ঐসবে জড়ানোর?

ফারিহা : আম্মু হঠাৎ করে সব হয়ে গেছে আমি কিছু বুঝতে পারিনি!! ওকে ছাড়া আমি অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবো না??

ফারিহার আম্মু : কে সেই ছেলেটি??

ফারিহা : আম্মু ... মাহিম 😞

ফারিহার আম্মু : মাহিম মানে?? কোন মাহিম?

ফারিহা: তোমার ভাইয়ের ছেলে?

এটা বলার সাথে সাথে ফারিহার আম্মু রেগে আরো আ/গু/ন

ফারিহার আম্মু : তোর কি মাথা ঠিক আছে!!! এসব কি বলছিস?

ফারিহা: হ্যাঁ মা সত্যি!!

ফারিহার আম্মু : শোন আমি ডিরেক্ট বলে দিচ্ছি তোকে বিয়ে আমার পছন্দের ছেলেকেই করতে হবে??

ফারিহা : না আমি মাহিমকে ভালেবাসি ওকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবো না!

এটা বলার সাথে সাথে ফারিহার আম্মু ফারিহাকে একটা ক/সে

থা/ প্প/ র মেরে বসে!

তবুও ফারিহা কাঁদতে কাঁদতে বলতেই থাকে!!

আম্মু আমি ওকে অনেক ভালোবাসি ওকে ছাড়া আমি অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবো না 😢

ফারিহার আম্মু : রাখ তোর ভালোবাসা আমার পছন্দের ছেলেকেই তোর বিয়ে করতে হবে আর একটি কথাও বলবি না!!

এরপর ফারিহা.... বিছানায় উপর হয়ে শুয়ে বালিশে মুখ গুঁজে কান্না শুরু করে দেয়!!

ফারিহার আম্মু ফারিহাকে ওভাবে বলে ফারিহার রুম থেকে চলে আসে.......

একটু পর ফারিহা মাহিমের কাছে ফোন করে বাট হ্যালো বলতেই ফারিহার আম্মু বুঝতে পেরে ফারিহার রুমে গিয়েই ফোনটা কেড়ে নেয়....... এবং সাথে সাথে কল কেটে দেয়!

ফোন কেড়ে নেওয়াতে মাহিম কিছু বুঝতে পারে না!!

মনে মনে ভাবতে লাগলো কি হলো হ্যালো বলেই ফোনটা কেটে দিলো কেন??

এরপর মাহিম আর অন্য কিছু না ভেবে স্টাডি শুরু করলো কেনোনা মাহিমের সামনে এডমিশন এক্সাম আছে!!!

তো এরপর ফারিহার আম্মু......


মাহিমের আম্মুর কাছে ফোন করে এবং তারপর......

ফারিহার আম্মু : এই ভাবি এই কি সমস্যা কি তোমার???

মাহিমের আম্মু কিছু বুঝতে পারলো না!!

মাহিমের আম্মু : কি হয়েছে এভাবে কথা বলছো কেনো আর কি সমস্যা হবে??

ফারিহার আম্মু : মানুষের ভালো সহ্য হয়না তোমার তাই না!

মাহিমের আম্মু : আরে কি হয়েছে বলবা তো???

ফারিহার আম্মু : বলছি! আমার মেয়ের সরকারি চাকরী ওয়ালার সাথে বিয়ে ঠিক করেছি!! তোমার ছেলে আমার মেয়ের মাথা খে/য়ে/ছে? যার জন্য ফারিহা বিয়েতে রাজি হচ্ছে না!

মাহিমের আম্মু : ঘটনাটি খুলে বলুন তো??

ফারিহার আম্মু : আরে আপনি জানেন না ফারিহাকে বিয়ের কথা বললেই বলতো এ বিয়ে করতে পারবো না??

মাহিমের আম্মু : হ্যাঁ!!

ফারিহার আম্মু : তার কারণ কি জানেন??

মাহিমের আম্মু : না তো??

ফারিহার আম্মু : আপনার গুণধর ছেলে এবং আমার মেয়ের মধ্যে নাকি সম্পর্ক আছে!! যার জন্য ফারিহা এ বিয়েতে রাজি হচ্ছে না!!

আমি এতো ভালো একটা সরকারী চাকরিওয়ালা ছেলে খুজে বের করলাম আপনার ছেলের জন্য আজ আমার মেয়ে এগুলো কি বলতেছে!!! ও নাকি এ বিয়ে করতে পারবে না ( কেঁদে কেঁদে)

মাহিমের আম্মু : আচ্ছা তুমি কান্না করো না আমি মাহিমের থেকে সব কিছু আগে ভালো করে শুনি???

ফারিহার আম্মু : হ্যাঁ ঠিক আছে... আমি কিন্তু এসব সহ্য করবো না বলে দিলাম তোমার ছেলের কারণে যদি এতোভালো পাত্র হাত ছাড়া হয়ে যায় তাহলে কিন্তু বেপারটা খুব খারাপ হয়ে যাবে!!!

মাহিমের আম্মু : আচ্ছা আচ্ছা তুমি শান্ত হও বেপারটা দেখছি আমি!!!

এরপর মাহিমের আম্মু কল কেটে দেয়....

এবং সাথে সাথে মাহিমের রুমে গিয়ে....

এরপর মাহিমের আম্মু কল কেটে দিয়েই মাহিমের রুমে গেলো....

এরপর..

মাহিমের আম্মু : কিরে কি শুনতেছি এগুলো??

মাহিম: কি হয়েছে আম্মু কিসের কি শুনছো?

মাহিমের আম্মু : আজ তোর জন্য মানুষ আমাকে অপমান করে কথা বলে.....

মাহিম কিছুটা আনদাজ করতে পেরেও শিওর হওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করে নিলো...

মাহিম: আম্মু কি হয়েছে বলবা তো??

মাহিমের আম্মু : কি হয়েছে মানে? তোর ফুফু ফোন করেছিলো?

মাহিম: হ্যাঁ তো কি হয়েছে?

মাহিমের আম্মু : তোর আর ফারিহার মাঝে নাকি প্রেমের সম্পর্ক??

মাহিম এ কথা শোনার সাথে সাথে নিচু হয়ে যায় কিছু বলতে পারে না!!

মাহিমের আম্মু : কিরে চুপ হয়ে গেলি যে ওসব কি সত্যি??

মাহিম : ইয়ে মানে আম্মু?

মাহিমের আম্মু : (রেগে গিয়ে) কিসের ইয়ে মানে মানে করছিস যা জিজ্ঞেস করছি সরাসরি বল?

মাহিম: হ্যাঁ!!

এটা বলার সাথে সাথে মাহিমের আম্মুও মাহিমকে গালে চ/ড় বসিয়ে দেয়

মাহিমের আম্মু : তোর সাহস কি করে হলো এসব করার আজ তোর জন্য তোর ফুফু আজ আমাকে কতো কথা শোনাচ্ছে?

মাহিম: আম্মু তুমি একটু ফুফুকে বোঝাও না প্লিজ??

মাহিমের আম্মু : চুপ কর এটা তোর বিয়ে-সাদী প্রেম ভালেবাসার বয়স না....

এসব মাথা থেকে বের করে ফেল!!

মাহিমের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে তাই সব শরম লজ্জা ভয় দূর করে মাহিম বলে ফেললো...

মাহিম: দেখো আম্মু আমি এবং ফারিহা দুজন দুজনকে ভালোবাসি.....

আর আমরা একে অপরকে ছাড়া ভালো থাকতে পারবো না!!

ওকে ভুলে যাওয়া সম্ভব না!!!

মাহিমের আম্মু : এবার কিন্তু বেশি বেশি বলছিস? আমি এ সম্পর্ক কখনোই মেনে নিবো না....

এটা শোনার পর মাহিম ওখানে থেকে চলে যায়
..

ওদিকে ফারিহাও তার আম্মুকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেও তার আম্মু বুঝতে চায় না....

দুই পরিবারের কেউ এ সম্পর্ক মানতে নারাজ.....

এরপর বিকেল দিকে মাহিম ফারিহাকে কল করে......

এবং তারপর..

মাহিম: আমি আমার পরিবারকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলাম আম্মু আমার কথা শুনছেই না?

ফারিহা: আমারো একই অবস্থা??

মাহিম: তাহলে আর কি পথ এখন একটাই পালাতে হবে.....

ফারিহা: আমি যেকোনো কিছুর বিনিময়ে তোমাকে চাই.....

মাহিম: আমিও......

এটা বলার সাথে সাথে ফারিহার আম্মু টের পায় ফারিহা ফোনে কার সাথে জানি কথা বলছে তখনি মোবাইল কেড়ে নেয়...

মাহিমের সাথে ফারিহার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়....

সেদিন আর কোনো কথা হয় না মাহিম ফারিহার মাঝে.... 💔😢

এরপর দিন হঠাৎ.....
চলবে........
পরবর্তী পর্ব পেতে পেজ ফলো করে রাখুন।

 #তুমি_অন্য_কারো_সঙ্গে_বেঁধো_ঘর   #পর্ব১৩সকালের অপমানের কথা তাহেরা বেগম ভুলেন নি,একটু আগে খেতে বসে নিতুর করা বেয়াদবির কথ...
07/09/2025

#তুমি_অন্য_কারো_সঙ্গে_বেঁধো_ঘর #পর্ব১৩

সকালের অপমানের কথা তাহেরা বেগম ভুলেন নি,একটু আগে খেতে বসে নিতুর করা বেয়াদবির কথাও মনে আছে তার
।তাই রাতে ১০ টার সময় মধুর স্বরে নিতুকে ডাকলেন তিনি।মিষ্টি হেসে বললেন,"আমার পা টা ব্যথা করছে একটু টিপে দাও তো মা।"

নিতু কথা না বাড়িয়ে পা টিপে দিতে লাগলো।নিতু ২০ মিনিট পরে বললো,"মা আমি এবার যাই?"

তাহেরা বেগম করুণ স্বরে বললো,"আমার তো পা ব্যথা এখনো কমে নি।"

নিতু বললো,"তাহলে লুবনা অথবা দিশাকে ডেকে নিন।আপনার ছেলে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। "

তাহেরা বেগমকে আর কথা বলার সুযোগ না দিয়ে নিতু চলে গেলো রুমের দিকে। তাহেরা বেগম হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলো নিতুর দিকে।তার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না নিতু তার মুখের উপর কথা বলে চলে গিয়েছে।

রুমে গিয়ে দেখে তামিম স্মোক করছে বসে বসে। নিতু বুঝতে পারলো তামিমের কোনো একটা সমস্যা হয়েছে।নয়তো গতকাল থেকে এখনো এরকম ভরসাহারার মতো বসে থাকতো না।সারাদিনে নিতুর সাথে তেমন একটা কথাও বলে নি তামিম।দুপুরে ঘুম থেকে উঠে বের হয়ে গিয়েছে বাসা থেকে।যাবার সময় নিতুকে বলে গিয়েছে দুপুরে খেয়ে নিতে।

নিতু দুপুরে খেয়ে নিয়েছে ঠিকই কিন্তু খাবার তার মনের মতো হয় নি।এরা বাহিরের হোটেল থেকে খাবার এনে খায়।খাবার খুব একটা ভালো হয় নি।
তবুও দুপুরের খাবারের পর নিতু চুপ হয়ে ছিলো।রাতেও নিতু দেখলো তামিম আসার সময় ভাত তরকারি নিয়ে এসেছে। ভাত আর হাঁসের মাংস নিয়ে এসেছে তামিম।নিতুর রাতের খাবারটা ভালো লাগলো ভীষণ। মাংস রান্নাটা বেশ ভালো হয়েছে। নিতু সবাইকে বেড়ে দিলো খাবার। সবার প্লেটে দুটো করে মাংস দিয়ে নিজে রানের দুই পিস মাংস নিজের প্লেটে নিলো।

তাহেরা বেগম হা করে তাকিয়ে রইলেন নিতুর কান্ড দেখে।এই বাসায় রানের দুই পিস মাংস লুবনা আর দিশার জন্য বরাদ্দ থাকে।
লুবনা আর দিশা ও তেমন হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলো নিতুর দিকে। নিতু সেসব নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে খেয়ে উঠলো।

খাবার পর তাহেরা নিতুকে বললো,"বউ মা,আমাদের বাসায় মাংস রান্না হলে সবসময় দিশা আর লুবনা রানের পিস খায়।এরপর থেকে এই ভুল করো না"

নিতু সোজা জবাব দিলো, "কি বলেন মা,আমি নিজেও তো রানের পিস না হলে খেতে পারি না।তাহলে কিভাবে হবে?আচ্ছা এবার থেকে তাহলে হাঁস,মুরগী যাই আনুক ২ টা করে আনতে বলবেন আপনার ছেলেকে,তাহলে ওরা দুজন দুটো খাবে আর আমি দুটো খেতে পারবো। "

তাহেরা বেগম মুখ কালো করে খাবার শেষ করলেন।
নিতু এখনো এই বাসার হাবভাব বুঝতে পারছে না ভালো করে। তবে এটুকু বুঝতে পারছে তার শাশুড়ী খুব একটা সুবিধার মানুষ না।

তামিমের পাশে বসে নিতু জিজ্ঞেস করলো,"তোমার কি মন খারাপ? কোনো সমস্যা? আমার সাথে শেয়ার করো তাহলে। তুমি এভাবে চুপ হয়ে থাকলে আমি কিভাবে বুঝবো?
বিয়েটা আমাদের দুজনের সম্মতিতে হয়েছে।এমন নয় যে জোর করে তোমাকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।তাহলে আমার সাথে এরকম ব্যবহার করার মানে কি?"

তামিম নিজেই বুঝতে পারছে না তার আসলে কি করা উচিত। নবনী যদি এতো কাছে না থাকতো তবে তামিমের হয়তো কোনো অসুবিধা হতো না। একটু কষ্ট হলেও মানিয়ে নিতো।কিন্তু এখন মাথায় বারবার নবনী ঘুরছে।

এই প্রথমবার তামিম বুঝতে পারলো এক নারীতে আকৃষ্ট থাকার মতো সুখের পৃথিবীতে আর দ্বিতীয় কিছু নেই।

বিয়ের আগ থেকে তার চান্স পেলেই লাইন মারার স্বভাব ছিলো।যে কারণে তামিমের মন নিজেও কনফিউজড হয়ে গেছে যে সে আসলে কাকে চায়,কাকে নিয়ে সুখী?

বহুগামী হওয়াতে সবার কথাই মনে পড়ে তামিমের।এজন্যই নবনী থাকতে মনে হয়েছে নিতু ভালো হবে তার জন্য। আর এখন নিতু আসায় মনে হচ্ছে নবনী তার জন্য বেস্ট ছিলো।

তামিম নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করলো।নিজের মনে যাই চলুক নিতুকে তা বুঝতে দিবে না বলে ঠিক করলো।তাই জোর করে হেসে বললো,"তেমন কিছু না নিতু,বাবার কথা মনে পড়ছে আসলে।বিয়ে করলাম অথচ বাবা তোমাকে দেখে যেতে পারে নি।বাবার এভাবে চলে যাওয়াটা আমি মানতে পারছি না।"

নিতু তামিমকে নিজের কাছে টেনে নিলো। তামিম নিতুর শরীরে পারফিউমের হালকা ঘ্রাণ পেলো।অন্য সময় এই ঘ্রাণ তামিমের মাথা ধরয়ে দিতো কিন্ত আজকে তেমন কিছু হচ্ছে না।তবুও নিতুকে কিছু বুঝতে না দিয়ে তামিম এগুলো সামনে।

অনেকক্ষণ পরে নিতুর বুকের উপর মাথা রেখে শুয়ে পড়লো তামিম।নিতু ঘুমিয়ে পড়লো খুব তাড়াতাড়ি। তামিমের আর ঘুম এলো না সহজে।

আজ সকালেও নিতুর ঘুম ভাঙলো তাহেরা বেগমের ডাকাডাকিতে।রাতে দেরিতে ঘুম হওয়ায় নিতুর দুচোখে রাজ্যের ঘুম এসে জমা হয়েছে।তার উপর মাঝখানে একবার উঠে গোসল করে নামাজ পড়ে শুয়েছে নিতু।

তাহেরা বেগম এক নাগাড়ে দরজায় নক করতে লাগলেন। নিতু তামিমকে ডেকে বললো,"তোমার মা কি এলার্ম-ঘড়ির দায়িত্ব পালন করছে না-কি? ঘুমিয়েছি কতোক্ষণ হলো যে উনি এভাবে ডাকছে?
নতুন বিয়ে হলে ছেলে বউকে এভাবে সাত সকালে ডাকা যে অনুচিত তা কি উনি জানে না?"

তামিম কি বলবে ভেবে পেলো না।মায়ের এভাবে ডাকাডাকি যে অনুচিত তা তামিম বুঝে কিন্তু তাই বলে নিতু এভাবে তার মা'কে নিয়ে কথা বলাটাও তামিমের পছন্দ না।
নিতুকে তাই রাগ না দেখিয়ে গম্ভীরমুখে বললো,"মা এই পরিবারের কর্ত্রী। মা যা বলে সবাইকে তাই করতে হয় নিতু।এসব নিয়ে কখনো মায়ের সাথে তর্ক করবে না।আমার পছন্দ না। "

নিতু অবাক হয়ে বললো,"না আমি তো এসব মেনে নিবো না।তোমার মা পরিবারের কর্ত্রী বলে ওনার যা মনে চায় তাই করবে,উচিত অনুচিত না ভেবে কাজ করবে?
তুমি যদি আমাকে শাবানা টাইপের মেয়ে ভেবে থাকো তবে আমি তোমাকে আগেই সরি বলে নিচ্ছি।আমি ওসব টলারেট করার মেয়ে না।আমি স্বাধীনচেতা মেয়ে।কেউ আমাকে ডমিনেট করবে আমি সেটা মোটেও সহ্য করবো না।তুমি নিশ্চয় এটুকু বুঝেছ এতো দিনে আমি অন্যের কথায় প্রভাবিত হই না।যদি হতাম তবে বিয়ের আগেই তোমার কথা শুনে সুড়সুড় করে বিছানা পর্যন্ত চলে যেতাম।
তোমাদের বাড়ির এরকম অবস্থা হলে তুমি আমাকে আগেই বলে দিতে,আমি তাহলে বিয়ের আগে ভেবে দেখতাম বিয়ে করাটা ঠিক হবে কি-না। "

তামিম নিতুর থেকে এরকম কথা প্রত্যাশা করে নি।এখন এরকম কথা শুনে তামিম বিস্মিত হয়ে গেলো।

তাহেরা বেগমের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলো নক করতে করতে।তারপর বিরক্ত হয়ে চলে গেলেন রুমের দিকে।
তামিম ও আজ ঘুম থেকে উঠে বাহিরে থেকে নাশতা আনতে পারে নি।
নয়টা বাজতেই দিশার চিৎকার শুরু হয়ে গেলো। তার নাশতা এখনো দেওয়া হয় নি।

তাহেরা বেগম দিশার চিৎকার শুনে ছুটে গেলেন রান্নাঘরে দিশার জন্য নাশতা বানাতে।আর সেই সাথে নিতুর চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে ফেললেন।
নিতু উঠে দেখলো দিশা নাশতা করছে।শাশুড়ীকে ডাক দিয়ে নিতু বললো,"মা আমার নাশতাটাও দিয়ে যান।ভীষণ ক্ষিধে লেগেছে আমার ও।"

তাহেরা বেগম লুবনার জন্য নুডলস বানালেন,সেখান থেকে অর্ধেকের কম নিতুকে এনে দিলেন।নিতু দেখলো পিরিচে নুডলস অল্প পরিমাণে। নিতু বুঝলো এই মহিলা আসলেই সুবিধাজনক না।নিজেরটা খেয়ে নিতু কিচেনে গিয়ে বাকি নুডলসটাও নিয়ে নিলো।তারপর তাহেরার রুমে গিয়ে বিছানায় পা তুলে বসে বললো,"নুডলস ভীষণ ভালো হয়েছে মা।আমি তো কড়াইতে রাখা বাকিটা ও নিয়ে নিয়েছি।"
তাহেরা বেগম চমকালেন।এটুকু নিজের মেয়ের জন্য রেখেছেন তিনি।
বাসায় সব ঠিক করার পর নবনী চৈতালী আর ফাল্গুনী কে নিয়ে বনানীর একটা স্কুলে ভর্তি করিয়ে এলো।তারপর বাসায় বসে ভাবতে লাগলো কিছু একটা করতে হবে। এভাবে তো দিন যাবে না।এসব গহনা,টাকা একদিন ওদের ফেরত দিয়ে দিতে হবে।কিন্তু তার জন্য কিছু একটা করা দরকার তার।

চাকরির কথা মনে পড়তেই নবনীর মন খারাপ হলো ভীষণ। তামিম তাকে বলেছিল নিতু সোনার ডিম পাড়া হাঁস,২৫ হাজার টাকা বেতন পায়। অথচ নবনীর নিজের ১০ টাকা ও নেই।

চাকরি তো আর বললেই হয়ে যায় না। তাই নবনী সিদ্ধান্ত নিলো আপাতত টিউশন করবে আর এর মধ্যে চাকরি খুঁজবে,চাকরির জন্য পড়বে।

সাহস করে বের হলো নবনী ১০ টার দিকে বাসা থেকে একা।কোথায় যাবে,কার কাছে বলবে তাকে একটা টিউশন জোগাড় করে দিতে খুঁজে পেলো না নবনী।
তবুও হাটতে লাগলো উদ্দেশ্যহীনের মতো।

নবনীর নজর রাস্তার পাশের দেয়াল,পিলারে।এসব জায়গায় সবসময় লিফলেট দেখা যায় শিক্ষক চেয়ে।দেখতে দেখতে নবনীর নজর গেলো ৬-৭ বছর বয়সী একটা ছেলে দুষ্টুমি করতে করতে রাস্তার মাঝখানে চলে যাচ্ছে। অপরদিক থেকে ধেয়ে আসা বাসটা দেখে নবনী আর্তনাদ করে উঠে ছুটলো বাচ্চাটি কে বাঁচাতে।
ততক্ষণে বাচ্চার মায়ের ও চিৎকার শুরু হয়ে গিয়েছে। ঝড়ের মতো নবনী ছেলেটাকে জড়িয়ে নিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়।
নবনীর পাশ ঘেঁষে বাসটি চলে যায়। রাস্তায় শুয়েই নবনী টের পায় তার হার্টবিট বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। একটুর জন্য কতোবড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো।
আল্লাহ রক্ষা না করলে আর বাঁচার উপায় ছিলো না দুজনের।
আশেপাশের লোকজন এসে নবনী আর বাচ্চাটাকে রাস্তা থেকে তুললো।
ভারী শাড়ি পরা এক মহিলা এসে বাচ্চাটাকে বুকে জড়িয়ে ধরে ব্যাকুল হয়ে কাঁদতে লাগলেন।নবনী বুঝলো বাচ্চাটা এই মহিলার।কিছুক্ষণ কান্নার পর মহিলাটি নবনীর দিকে তাকালেন।কিছুটা লজ্জিত হয়ে বললেন,"মাফ করবেন,বাচ্চার জন্য কাঁদতে গিয়ে আপনার কথাই ভুলে গেছি।আপনার তো কপালে আঘাত লেগেছে।আমার সাথে চলুন হাসপাতালে নিয়ে যাই।"

নবনী কপালে হাত দিয়ে দেখল সত্যিই কপাল কেটে গেছে।হেসে বললো,"না তা লাগবে না।আমি নিজেই যেতে পারবো।আপনি বাচ্চার দিকে আরেকটু ভালো করে খেয়াল রাখবেন,রাস্তায় বের হলে বাচ্চার হাত ছাড়বেন না।"

মহিলাটি নবনীর হাত ধরে বললো,"আপনি আগে আমার সাথে চলুন প্লিজ,আপনার জন্য কিছু করতে না পারলে আমার ভীষণ খারাপ লাগবে।প্লিজ না করবেন না,প্লিজ।
আর আমি আসলে ওর বাবার সাথে কথা বলছিলাম ফোনে,ছেলেটা হাত ছেড়ে কখন যে চলে এলো বুঝতে পারি নি।
প্লিন আসুন আপনি। "

নবনীকে আর কোনো কথা বলতে না দিয়ে হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো।
নবনীর আঘাত তেমন গুরুতর না।ব্যান্ডেজ করে দিয়েছে ডাক্তার।

মহিলাটি নবনীকে জিজ্ঞেস করলো,"আপনার নাম কি?এতোক্ষণে নামও জানা হলো না।"

নবনী বললো,"নবনী আমার নাম।"

মহিলাটি বললো,"আমি শিমলা।আর আমার ছেলের নাম নীড়।আপনি থাকেন কোথায়?"

নবনী বললো,"বনানীতেই থাকি।"

শিমলা বললো,"আমরা ও তো বনানীতেই থাকি।কি করেন আপনি? "

নবনী কিছুটা বিব্রতবোধ করলো এই প্রশ্নের জবাব দিতে। ইতস্তত করে বললো,"আপাতত কিছুই করছি না।চাকরি খুঁজছি।অনার্স শেষ করেছি,সামনের বছর মাস্টার্সে এডমিশন নিবো।বের হয়েছি টিউশন খুঁজতে। "

শিমলা নবনীর হাত চেপে ধরে বললো,"কি আশ্চর্য!আমি ও তো আমার ছেলের জন্য একজন টিচার খুঁজছি।নীড়কে পড়াবার জন্য তেমন কোনো টিচার পাচ্ছি না।ছেলেটা ভীষণ দুষ্ট বলে কোনো টিচার টিকে না।আপনি একটু চেষ্টা করে দেখুন না প্লিজ।"

নবনী ছেলেটির দিকে তাকালো। ফর্সা গোলগাল মুখ,দেখলে মনে হয় এই পৃথিবীতে বুঝি এর চেয়ে শান্ত বাচ্চা আর দুটি নেই।

নবনীকে চুপ থাকতে দেখে শিমলা নবনীর হাত চেপে ধরে বললো, "প্লিজ না করবেন না।একবার চেষ্টা করে দেখুন,আপনার সম্মানী নিয়ে ভাববেন না।আপনি শুধু একবার আমার ছেলেটাকে পড়াতে আসেন।"

নবনী কিছুক্ষণ ভেবে রাজি হয়ে গেলো। ঠিক করা হলো আগামীকাল থেকে নবনী নীড় কে পড়াতে যাবে।শিমলা নবনীকে নিজেদের গাড়িতে করে নিয়ে বাসা দেখিয়ে এলো।নবনী গেইটের ভেতর আর গেলো না।বাহিরে থেকে বাসা দেখে চলে এলো।শিমলা জোর করে ও নিতে পারলো না ভেতরে।

নবনী বাসায় ফিরতেই তামিমের সাথে দেখা হয়ে গেলো। তামিম বের হচ্ছে বাসা থেকে নবনী দাঁড়িয়ে ছিলো কলিং বেল বাজিয়ে ভেতর থেকে দরজা খোলার অপেক্ষায়।তামিমের দিকে এক নজর তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে নিলো।
বুকের ভেতর কেমন একটা মোচড় দিয়ে উঠলো।

যেই মানুষটা একসময় চির আপন ছিলো সেই কিনা আজ সবচেয়ে পর!

তামিম নবনীর কপালে ব্যান্ডেজ দেখে দাঁড়িয়ে গেলো। দ্বিধাবোধ ফিরে এলো আবারও। নবনীকে দেখলেই কেনো এমন অশান্তি লাগে তার ভেবে পেলো না।

তামিম দুপুরের খাবারের জন্য যাচ্ছিলো কিন্তু নবনীকে দেখার পর পা আর সামনে যেতে চাইলো না। বাসায় ফিরে গেলো আবার।

তাহেরা বেগম জিজ্ঞেস করতেই বললো,"শরীর খারাপ লাগছে।বাসায় রান্না করে নাও।"

তাহেরা নিতুকে ডাকলেন।নিতু চুলে বিনুনি করছিলো রুমে বসে।ডাক শুনে বের হয়ে এলো। তাহেরা বেগম বললো,"দুপুরের জন্য রান্নাটা বসাও তো মা।তামিম আজকে বাহিরে থেকে খাবার আনতে চাচ্ছে না। বলছে তোমার হাতের রান্না খাবে।"

নিতু তামিমের দিকে তাকালো। তাকিয়েই বুঝতে পারলো, এটা তাহেরার একটা চাল তাকে দিয়ে কাজ করানোর।নিতু হাসিমুখে রান্না করতে গেলো।

বিকেলে খেতে বসে তাহেরা বেগম চমকে গেলেন। সব খাবারে লবন বেশি দেওয়া।নিতু মুচকি হেসে নিরবে খেতে লাগলো। কষ্ট হলেও খাবে সে।তাকে দিয়ে রান্না করানোর মজা সে বুঝাবে এভাবেই।

তাহেরা চোখ সরু করে তাকিয়ে রইলো নিতুর দিকে।নিতু মনে মনে বললো,"আপনি যেমন বুনো ওল,আমি তেমন বাঘা তেঁতুল।"

চলবে.......
পরবর্তী পর্ব পেতে পেজ ফলো করে রাখুন।

সবায় দেখতেছে লাল চাঁদআমি দেখতেছি লাল আকাশ!
07/09/2025

সবায় দেখতেছে লাল চাঁদ
আমি দেখতেছি লাল আকাশ!

02/09/2025
02/09/2025
 #রোদ্দুর_এবং_তুমি  #পর্ব১৫-“অরু, আমাদের অফিসে নতুন একটা ছেলে জয়েন করেছে। এতো সুন্দর দেখতে!”এরিনার কথায় অরু হাসে। কম্পিউ...
02/09/2025

#রোদ্দুর_এবং_তুমি #পর্ব১৫

-“অরু, আমাদের অফিসে নতুন একটা ছেলে জয়েন করেছে। এতো সুন্দর দেখতে!”

এরিনার কথায় অরু হাসে। কম্পিউটারের চোখ রেখেই টাইপ করতে করতে বলল,

-“তাই নাকি?”

এরিনা নতুন উদ্যমে উৎসাহিত হয়ে বলল,

-“হ্যাঁ। প্রচন্ড সুন্দর। হ্যান্ডসাম, গুড লুকিং, বডি, মাসলস্—!”

অরু ফিক করে হেসে ফেলল,

-“কন্ট্রোল প্লিজ৷ তুমি এখন এতোটাও লাফালেও এই হ্যান্ডসাম, গুড লুকিং ছেলেটা তোমার হবে না।”

এরিনা ভোঁতা মুখে চাইল। ঠোঁট উল্টে বলল,

-“এমা! কেন?”

অরু পিঠ ঠেকিয়ে বসলো রোলিং চেয়ারে৷ পা মেঝে ঠেস দিয়ে ঘুরে বসল এরিনার দিকে। বলল,

-“দেখো; ছেলেটা সিঙ্গেল কি না, ওটা জানারও তো দরকার তাই না? হোয়াট ইফ, তার গার্লফ্রেন্ড আছে? তখন কি করবে?”

উজ্জ্বল মুখখানা আঁধারে ঢাকলো এরিনার। বিষাদ বদনে চেয়ে বলল,

-“তাও ঠিক। আমি একটু কথা বলেছিলাম অবশ্য। মনে হচ্ছিল—”

কথাটুকু সম্পন্ন করার আগেই থামতে তাকে। পরপর চোখ বড়বড় করে চাইল অরুর পেছনে। অরু ভ্রু কুঁচকে ফেললো। একরাশ কৌতুহল এসে ভীড় জমালো চোখের কিনারায়। সে পলক ঝাপটে তাকালো পিছে৷ তখনই নজরে এলো একটি সুশ্রী সুদর্শন যুবকের মুখ। তাদের দিকেই চেয়ে। অরু একপল চাইলো বান্ধবীর দিকে। হাভাতের মতো এরিনাকে চেয়ে থাকাতে দেখে মনে মনে কপাল চাপড়ালো। তার মানে এ-ই সেই ছেলে। এরিনা এমন ভাবে তাকিয়ে আছে কেন? লোকে পাগল বলবে তো তাকে। ছেলেটা না আবার ছ্যাঁচড়া ভেবে বসে। অরু আড়ালে চিমটি কাটে তার হাতে। এরিনা ব্যথা পেল। হকচকিয়ে অরুর দিকে তাকালে অরু চোখ রাঙিয়ে স্বাভাবিক হতে বলে।

এরিনা চুল কানে গুঁজলো দু'হাতে। নিজেকে স্বাভাবিক করার প্রয়াসে বড় করে শ্বাস ফেলল। পাশ থেকে পানির বোতল নিয়ে ঢকঢক করে খেতে লাগল। তখনই কানে বাজলো পুরুষালী কন্ঠস্বর,

-“হ্যালো।”

আড় চোখে চাইলেই অনাকাঙ্ক্ষিত মুখ দেখে এই পর্যায়ে বিষমই খেয়ে বসলো মেয়েটা। পানি ছিটকে পড়ল। কাশতে কাশতে নাজেহাল অবস্থা তার। লোকটা বিস্ময় নিয়ে চেয়ে আছে তা এরিনা বুঝেছে। তবুও নিজের হাতে কিছু নেই। কাশতে কাশতে জীবাণুদের সঙ্গে মান-সম্মানটুকুও বেরিয়ে গেল বলে মনে হলো। প্রথমবারেই এমন অবস্থা, সেই লোককে পছন্দ করে ঘর বাঁধার স্বপ্ন স্বপ্নই যে রয়ে যাবে তা অরু বেশ বুঝছে। এরিনার দেকে চেয়ে আফসোস করলো খু-উ-ব।

মাথায় আলতো হাতের স্পর্শ পেয়ে এরিনা কাশতে কাশতেই চোখ তুলল। কর্ণধার হলো চিন্তিত কন্ঠস্বর,

-“What is wrog Arina? Are you okay, dear?”

অরু চোখ বড় বড় করে তাকালো এরিনার দিকে। এরিনা হতভম্ব হয়ে গেলো। ডিয়ার? কে কার ডিয়ার? কিসের ডিয়ার? অদ্ভুত তো! অরুর দিকে চোখ পড়তেই তা মার্বেল আকার ধারণ করলো। ঠোঁট চেপে চোখ রাঙাতেই অরু তৎপর হলো মিটমিটিয়ে হাসি চাপতে। নিজের মধ্যকার হাসি লুকোতে পন্থা বের করে উঠে দাঁড়ালো আসন ছেড়ে। আগন্তুক বিদেশি লোকটা আর এরিনার দিকে চেয়ে ইংরেজিতেই বলল,

-“আমি কফি খাবো। ক্যান্টিতে যাচ্ছি। তোমরা কিছু নিবে? আনবো আসার সময়?”

আড়ালে চোখ চাপলো এরিনার উদ্দেশ্যে। এরিনা কৌশল বুঝে চাপা হাসে। হাসি সরিয়ে তাকায়। মৃদু স্বরে বলে,

-“আমার কিছু লাগবে না।”

-“আচ্ছা? তাহলে থাকো। আমি যাই।”

সুযোগ বুঝে কেটে পড়তেই এরিনা তাকালো লোকটার দিকে। লোকটার অরুর যাওয়ার দিকেই হা করে চেয়ে। এরিনা অপ্রস্তুত হলো। এমন করে কেন চেয়ে আছে? এরিনা গলা পরিষ্কার করলো শব্দ তুলে। লোকটা চাইল। এরিনাকে প্রশ্ন করে,

-“আর ইয়্যু ওকে ডিয়ার?”

এরিনা ইতস্তত বোধ করলো। আড়ষ্ট হয়ে বলল,

-“ইয়েস।”

লোকটা তপ্ত শ্বাস ফেলল। এরিনা ক্ষণেই জিজ্ঞেস করে,

-“আপনার নাম?”

-“নিকোলাস। রিমেম্বার, আমরা একটু আগেও কথা বলেছি।”

এরিনা লজ্জিত হলো,

-“আপনার নামটা জানা হয়নি আসলে।”

-“বুঝেছি। ইট’স ওকে।”

লোকটা এবার তার সামনে বসল। চেয়ার টেনে মুখোমুখি করলে এরিনা চমকে উঠলো। বুকখানা ধরফরিয়ে উঠল। চোখ কোটরের বাইরে বেরিয়ে এসেছে যেন। এরিনাকে জিজ্ঞেস করে,

-“উম্, ইজ শি ইয়র ফ্রেন্ড? আই মিন বেস্ট ফ্রেন্ড অর সামথিং?”

এরিনা অবাক হয়। কপাল কুঁচকে চায়,

-“আব্— ই-ইয়েস। বাট হোয়াই?”

নিকোলাস প্রত্যুত্তর করে না। উল্টো হাত বাড়িয়ে দেয় নিঃসংকোচে। মিষ্টি হেসে বলে,

-“লেটস্ বি ফ্রেন্ডস্, বেবি গার্ল?”

এরিনা হকচকিয়ে খানিকটা সরে এলো। ভীষণ অপ্রস্তুত বোধ করলো। নিকোলাস ভ্রু উঁচিয়ে তাকালো। এরিনা জমে গেল। প্রকম্পিত হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দিলো লোকটার শক্ত খ’ড়খ’ড়ে হস্ত যুগল। কেমন যেন বু’কটা কেঁপে উঠল। পায়ের তলায় কেমন শি’রশি’র করে উঠল। শরীর জুড়ে অদ্ভুত রকমের শি’হরণ বইয়ে দিলো। এরিনার এতো অদ্ভুত লাগলো! তার এমন হৃদয় ছলকানো অনুভূতিরা যখন অ’স’হ’নী’য় পর্যায় পেখম মেলেছে, ওমনি নিকোলাস তার পেল্লব হাত খানা ছে’ড়ে দিলো। এরিনা গু’টিয়ে গেল। লোকটা ভারি অদ্ভুত তো!

ক'দিন কেটেছে। অরু একাই যাতায়াত করছে হোম টু অফিস। অফিস টু ভার্সিটি। ভার্সিটি টু হোম। আবারও হোম টু অফিস। একই সার্কেল প্রতিদিন রিপিট করতে করতে ক্লা’ন্ত সে। প্রথম প্রথম ভারি অসুবিধা পো’হা’তে হয়েছিলো বৈ কি! এখন কিছুটা অভ্যস্ত শুভ্রকে যথাসম্ভব এড়িয়ে যাচ্ছে। যতটুকুন তার সাধ্যি। ছেলেটা সে সবের আদতেও কতটুকু ধার ধারে তা কে জানে! অরুকে নিয়ে তার কোনো মাথা ব্য’থা আদতেও রয়েছে কি? অরুর তো মনে হয় না।

বাস স্টপেজে বসে বাসের অপেক্ষায় ছিল অরু। আপাতত এমন অনেকেই পাশে দাঁড়ানো তার। অফিস ছুটির পর এসেছিল বাস ধরতে, তবে অফিস থেকে বেরুতে বেরুতে সেই দেরি হলো। ফলস্বরূপ বাস মি’স। নেক্সট বাসের শিডিউল এখনো এক কি দু’ঘন্টা বাদে। তার জন্য অপেক্ষা করা ব্যতিত কোনো উপায় পেল না মেয়েটা। চুপচাপ বসে রইলো বে’ঞ্চিতে।

খানিক বাদেও বাস না এলে এই পর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠলো অরু। কাঁধে ঝুলতে থাকা চামরার ব্যগ খানা নখ দিয়ে খুঁটতে খুঁটতে অপর হাতের হাত ঘড়ি দেখল। রাত হয়েছে। ঘন্টার কাঁটা আটের ঘর ছুঁয়েছে। আবার হুট করে বৃষ্টিও নামলো খুব৷ এবার বিরক্তিতে মুখটা তেঁতো হয়ে এলো পুরোদমে। মেজাটা খিঁচড়ে এলো চরমভাবে। ওভার কোটের বড়সড় পকেট হাতড়ে ফোন বের করল। আশপাশে তেমন লোক নেই। অরু চোখ সরায়। ফোনের স্ক্রিনের নীল আলোতে ডুবিয়ে ফেলে নিজেকে। সময় পেরুলেও বৃষ্টি থামলো। তারউপর দেরিও হচ্ছে খুব।

অরু উঠে পড়ল৷ বৃষ্টি মাথায়ই রওনা হবে সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলল। এত সময় এখানে বসে থাকার চেয়ে এভাবে যাওয়াও ঢের ভালো। ছাতাও বাসায় ফেলে এসেছে। অসহ্য বিরক্ততে মেজাজ বিগড়ে গিয়েছে তার। অসহ্য! অসহ্য! অসহ্য!

মাঝরাস্তায় অরুকে থামতে হলো রাস্তার এক পাশে ঘাপটি মেরে থাকা জ্বলজ্বলে চোখ দেখে। অরু চমকে গেল। ভয় পেল ভূত-প্রেত ভেবে। শঙ্কায় সিঁটিয়ে গিয়ে চলে যেতে নিলেও কৌতুহলের নিকট পরাস্ত হতে হলো তাকে। কৌতুহলী হয়ে এগিয়ে গিয়ে দেখতে নিলো ওটা কি। অরু রাস্তার পাশে হাঁটু মুঁড়ে বসল। বৃষ্টির ছাঁটে ভিজে চুপচুপে গায়ের জামা-কাপড়। অরুকে দেখে জ্বলজ্বল করতে থাকা চোখের অধিকারী ছোট্ট শরীরটা কেমন গুটিয়ে গেল। সরে যেতে গেলে অরু বুঝলো এটা একটা বিড়াল। অরু হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দিলো বিড়ালকে৷ আদুরে হাতে কোলে তুলে নিলো। বিড়ালটা চেঁচিয়ে উঠে থেমে গেল। ভিজে ভীষণ করুণ অবস্থা তার। চেঁচাতে থাকলে অরু আদুরে ভঙ্গিতে হাত বুলালো তার গায়ে। মুহুর্তেই থেমে গেল বিড়ালছানা। অরুর বুকে মিশে গেল এক প্রকার। অরু হেসে ফেলল। ঠিক করলো, বাড়িতে নিয়ে যাবে বিড়ালটিকে। শুভ্র কিছু বললে, অরুও তাকে দেখে নিবে। অরু আদুরে গলায় ডাকল,

-“কোকো।”

বৃষ্টি মাথায় বাড়ি ফিরে ফ্রেশ-টেশের মতো যা-তা রকমের কাজগুলো সেরে-টেরে বেরুতেই অরু বুঝলো তার ঠান্ডা লেগে গিয়েছে ইতোমধ্যে। ক্ষনেই পরপর পাঁচ, ছ'বার হাঁচি দিয়ে বসলো। নাক টেনে পাশ টেবিল থেকে টিস্যু নিতেই পুনরায় হাঁচি এলো। অত্যন্ত বিরক্তিকর এই হাঁচি-কাশি তার নিকট৷ মানে; যখন সে চায় তার জ্বর-সর্দি-কাশি হয়ে বিদিকিস্তি অবস্থা হোক, তখন এসব কিচ্ছুটি হয় না। তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ওমন দু'মুখো কাল সাপের মতো ঘাপটি মেরে গর্তে লুকোয়। আর যখন তার মনে হয় না, এমন কিছু না হোক, সুস্থ মতো পড়াশোনা করবে একটু; ওমনি, ওমনি গিরগিটির মতো রঙ বদলে নেবে সেকেন্ডে! পুরো নাজেহাল অবস্থা বানিয়ে ছাড়ে তার। এসব বড়ো তাজ্জব ব্যাপার। বড়ো বিরক্তিকর ব্যাপার। এমন হলে লোকে সাধারণত খুব বিরক্ত হয়। তবে অরু, মাত্রাতিরিক্ত রেগে যায়। মনে হয়, কাউকে সামনে পেলে রামদার কোপ নয়তো হাতে গুনে গুনে দশ খানা শক্তপোক্ত চড় বসাবে। কি বিদঘুটে চিন্তা!

শুভ্র অরুর ঘরের দরজার কাছে এসে থামল। দরজাটা কেমন হা করে খুলে রাখা। তার দিকে ওমনই চেয়ে আছে যেন।

শুভ্র মুখ কুঁচকে তাকায়। এতো অগোছালো কেন মেয়েটা? ঘরে আরেকজনও যে থাকে, সেই চিন্তা কি সেলাইন দিয়ে গুলিয়ে খেয়েছে? সেলাইনও তো খায় না। সেইদিন পেট খারাপ করায় শুভ্র বানিয়ে দিয়েছিল এক গ্লাস সেলাইন। পুরো হোম মেইড। পানিতে চিনি, লবন গুলিয়ে বানানো চমৎকার একটা সেলাইন। একদম কেনা পাতার মতো। তার হাতে জাদু আছে বৈ কি! শুভ্রর নিজেকে নিয়ে প্রচন্ড গর্ববোধ হচ্ছিলো। তবে দুঃখের সঙ্গে তা ধোপে টেকেনি খুব বেশিক্ষণ। তার গর্ববোধকে মুখ ভেঙচিয়ে অরু ইনিয়ে বিনিয়ে সেলাইন খেলো না। শুভ্র জোরালো ধমক বসিয়েও এক রোখা বেয়াদব মেয়েটাকে গ্লাস টুকুন অবধি ছোঁয়াতে পারল না। এতো রাগ হলো তার! অসভ্য মেয়ে। বড়দের কথা শোনে না। অদ্ভুত রকমের পাঁজি এই মেয়ে!

শুভ্র অরুর দরজায় টোকা বসালে অরু চমকে তাকালো সেদিকে। শুভ্রর দিকে চাইতেই শুভ্র ঘরে এলো পায়ে পায়ে। অরুর সামনে দাঁড়াতেই অরু চোখ বড়বড় করে চাইল। নাকটা পিটপিট করছে কেমন। না আসুক! না আসুক! শুভ্র কিছু বলতেই নিচ্ছিলো, ওমনি ঘর কাঁপিয়ে হাঁচি দিলো অরু। একটা দিয়ে যদি তাও ক্ষান্ত হতো মেয়েটা! পরপর চারবার হাঁচি দিয়ে থামলো। শুভ্র হকচকিয়ে গিয়ে দ্রুত মাথা পিছিয়ে নিল। আচমকা ঘটা বিশ্রি বিষয়টাতে অরু নিজেও অপ্রস্তুত হলো। শুভ্র কিছুই বলল না। বরং কপাল কুঁচকে তাকায়,

-“অসুস্থ তুমি?”

অরু মাথা নাড়ে তাৎক্ষণিক,

-“না। একদমই না।”

-“তাই?”

লোকটার জোরালো আওয়াজে অরু গুটিয়ে গেল। মিনমিন করে বলল,

-“এমনিতেই। সত্যি।”

শুভ্র মাথা দোলালো,

-“বুঝেছি।”

বুঝেছে মানে? কি বুঝেছে? আজব লোক তো। শুভ্র বলল,

-“আন্টি ফোন করেছিল। ওনাদের ফোন রিসিভ করো না তুমি?”

অরুর সরল মুখটা আচানক শক্ত হয়ে এল। খিঁচে যাওয়া মেজাজে তপ্ত চোখে চাইল। কন্ঠে চাপা ক্ষোভ নিয়ে বলল,

-“না।”

-“কেন? তারা তোমার মা-বাবা নয় কি? অস্বীকার করতে পারবে সেটা? ওদের জন্য তুমি এক্সিস্ট করছো, আদার ওয়াইজ তোমার কোনো অস্তিত্বই থাকত না।”

-“থাকুক সেটাও তো চাই না।”

শুভ্র রেগে গেল,

-“কেন চাও না? আমার সাথে বিয়ে দিয়েছে বলে? কি চাও তুমি অরু?”

-“তো আপনাকে বিয়ে করে আমি কোনদিকে সুখে আছি বলে মনে হচ্ছে আপনার? আর আমি আমার মা-বাবার সাথে কথা বলবো নাকি সম্পর্কচ্যুত করবো; সেটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনি এমন কেন করছেন?”

-“তুমি—”

অরু তাকে থামায়,

-“কথা বলতে চাইছি না এখন। যেতে পারেন।”

বলে বসে পড়লো বিছানায়। অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে বসে থাকলে শুভ্র রেগেমেগে চলে গেল। অরু হাসে। আদিখ্যেতা!

আবছা আবছা চোখের সামনে দু’জন দানবীয় লোক দন্ডায়মান। অরু দৌড়ে পালাচ্ছে তার থেকে৷ লোকগুলো সমানে তাকে তাড়া করছে। অরু ছুটছে। প্রাণপণে দৌড়াচ্ছে নিজেকে বাঁচাতে। লোকগুলো ধরতে পারলে তাকে খুবলে খাবে। সামনে। চারিপাশে বদ্ধ সব। সামনে একটাই দরজা। বেরুতে হবে। একটু একটু করে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দরজা। অরু ছুটলো। পায়ের গতি বাড়ালো আরো৷ শেষ রক্ষা হলো না। দরজার শেষ প্রান্তে পৌঁছাতেই বিশাল আকৃতির দরজা বন্ধ হয়ে গেল। অরুর ধাক্কা লাগল তাতে। ব্যথা পেয়ে থেমে গেল। থমকে রইল। ভয়ে ভয়ে পিছু মুড়তেই লোকগুলো ঝাঁপিয়ে পড়লো তার উপর।

ধরফরিয়ে চোখ মেলল অরু। আচমকা মাঝরাতে বিশ্রি স্বপ্ন দেখে ঘুম ভাঙল তার। চমকে গিয়ে উঠতে চাইলে পারল না। শরীরে অসহনীয় যন্ত্রণা। অরুর সামান্য পাশ ফেরারও শক্তি নেই বোধহয়। প্রচন্ড জঘন্য একটা স্বপ্ন। অরু…. অরু কেঁদে উঠলো শব্দ করে। রাত বাড়তেই বুঝলো জ্বর তীব্র হচ্ছে৷ তখন বিছানা থেকে ওঠাও দায়।

অরু তবুও হাতড়ে হাতড়ে বিছানা ছাড়ল। মাথা ঘুরছে। সমগ্র পৃথিবী যেন দুলছে। শরীরের অবস্থা বেগতিক। টালমাটাল পায়ে অরু দেয়াল ধরে দাঁড়াল কোনোরকম। খোলা রেশমের মতোন চুলগুলো এলোমেলো হয়ে লেপ্টে আছে মুখে, গলায়। অরু অন্ধকার ঘরটায় চোখ বুলালো। দম বন্ধ হয়ে আসছে। বড় করে শ্বাস টেনে কোনোরকম ভেজানো দরজা খুলল। দেয়াল হাতড়ে হাতড়ে পাশের ঘরের দরজার কাছে এসে দাঁড়ালো কোনোমতে। দূর্বল হাতের তালুতে ধাক্কায় দরজা। কিছুক্ষণের মাঝেই দরজা খুললো শুভ্র। বেগতিক অবস্থায় থাকায় অরু তার গায়েই পড়ে গেল। শুভ্র হতভম্ব হয়ে গেল। অরুর দিকে তাকালো। গাল চাপড়ে ডাকে মৃদুস্বরে,

-“অরু? এ্যাই? কি হয়েছে?”

সারা শরীর গরম। আগুনের মতোন ধরাও দায়। শুভ্র তার কপাল, গালে হাতের পৃষ্ঠ ছুঁইয়ে শরীরের তাপমাত্রা বুঝে আনল। অরু কিছু বিড়বিড় করছে। শুভ্র ঝুঁকলো খানিকটা। শুনতে পেল মেয়েটার অস্পষ্ট স্বর,

-“আ-আমি এখানে থাকি? প্লিজ? ও-ওরা, ওরা আ-আবারও এসেছে। আমায় মেরে ফেলত। আমি পালিয়ে এসেছি। আমায় খুবলে খেতো ওরা।”

অরু ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো। শুভ্র দীর্ঘ শ্বাস ফেললো। হাঁটুর নিচে এক হাত আর পিঠের নিচে একহাত গলিয়ে মেয়েটার ছোট্ট-খাট্টো শীর্ণকায় দেহ পাঁজা কোলে তুলে ফেলল চট করে। নিজ বিছানায় যত্ন সহকারে শুইয়ে কম্ফোর্টার টেনে দিল। অরু তখনও কাঁদছে। শুভ্র তার শিয়রে বসলো। হাত ধরলো নিঃশব্দে। অপর হাতে একটা একটা করে চুল গুছিয়ে পাশে ছড়িয়ে দিল। চার দেয়ালের আবদ্ধ ঘরের মাঝে গুটিকয়েক কাতর শব্দ তরঙ্গ ভাসল,

-“কেউ তোমার কিচ্ছু করবে না। আমি আছি তো। তোমাকে সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ উপহার দেওয়ার দায়িত্ব আমার। তুমি শুধু ভালোবাসাটা আমার কাছে চেয়ো না। প্লিজ!”

চলমান……
পরবর্তী পর্ব পেতে পেজ ফলো করে রাখুন।

01/09/2025

মাশাল্লাহ 🥀আমার স্টুডেন্ট এর ছোট বোন🥀

29/08/2025

Air Action leaders:From Data to impact
Training onAir Quality Monitoring & Report Writing

মেয়েটা দেখতে এমনিতেই কালো ভুতের মতো। তার উপর কতো কেজি যে আটা ময়দা লাগাইছে তার হিসেব নেই। ওহ সরি ভুত বললেও ভুল হবে। কারন ...
29/08/2025

মেয়েটা দেখতে এমনিতেই কালো ভুতের মতো। তার উপর কতো কেজি যে আটা ময়দা লাগাইছে তার হিসেব নেই। ওহ সরি ভুত বললেও ভুল হবে। কারন ভুতেও ওকে দেখে ভয় পাবে নিশ্চিত। আর সেই মুহূর্তে আমার বিছানার মাঝখানে বসে আছে। ভাবতেই গা ঘিনঘিন করছে। কোথায় আমি সুন্দরী বান্ধবী আর মেয়েদের এড়িয়ে চলেছি তাদের চেয়েও সুন্দরী বউ পাবো বলে। আর সেই আমার ঘরে কালো কাক

ঘটনা খুলে বলি,,,,,,,,
মেয়েটার আজ বিয়ে ছিলো। কালো বলে যৌতুকের টাকাও চেয়েছিলো আকাশছোঁয়া। ওর বাবা আমার মায়ের দূরসম্পর্কের কেমন জানি খালাতো ভাই। লোকটা আমার আম্মুকে টাটকা সবজি আর মুরগি দিয়ে যেতো। সেই সুবাদে মা জানতে পারেন ওনার মেয়ের বিয়ে আর যৌতুকের কথা।
কিন্তু আমার মা আবার যৌতুক বিরোধী। তাই আমাকেই পাঠিয়েছিলেন এর প্রতিবাদ করতে। আমি হতভাগা গিয়েই সোজা বরের গায়ে কষে ৩ টা চড় দিয়েছিলাম।
ব্যাস, বরপক্ষ রেগে গিয়ে বিয়ে না করেই চলে গেলো। আর গ্রামের লোক বরের জায়গায় আমাকে বসিয়ে বিয়ে দিয়ে দিলো।
বাসরঘরে ঢোকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই। তবুও বাধ্য হয়ে ঢুকতে হচ্ছে নিয়ম ঠেকাতে। আর ঘরে ঢুকতেই দেখি, কালো কাকটা আটায় ডুবে নিজেকে সুন্দরী জাহির করতে ব্যস্ত

মেয়েটিকে বললাম, কি নাম যেনো তোর?
মেয়েটি আমার কথা শুনে ২ মিনিট চুপ করে আমার দিকে তাকালো। যেনো তুই কথাটা তার সাথে বেমানান।
আবারও ধমক দিলাম,
কিরে কথা কানে যাচ্ছে না?
কাঁদো কাঁদো গলায় মেয়েটি উত্তর দিলো,
---জী নিরুপমা

আমি যেনো বিদ্যুৎ সক খেলাম, নাহ তার নামে নয়, তার কন্ঠে।
কালো মেয়েদের কন্ঠ বুঝি এমনিতেই সুন্দর হয়। খুব সুন্দর কথাও তারা দারুন গোছালো কন্ঠে বলতে পারে। তা এই প্রথম জানলাম
কাক না বলে কোকিল বলা উচিত ছিলো বোধহয়
সে কথাগুলো মনেই রাখলাম, তারপর নিরুপমাকে বললাম,
শোন আমার সামনে এইসব আটা ময়দা মেখে আসবিনা। আমার সহ্য হয় না। গা জ্বালা করে। তোর ঐ মবিলের মতো চেহারা থেকে আটাগুলো খসে পরতে পারলে যে ওরাও একটু প্রানে বেঁচে যায়।
-----আমাকে কি খুব বাজে দেখাচ্ছে?
এই কান্ড জ্ঞান টুকুও নেই? যা এখনি এসব ধুয়ে ফেল। আমার বমি আসছে
-----জ্বি, আচ্ছা
বলেই মেয়েটা ওয়াশরুমে চলে গেলো। কিন্তু আমি ভাবছি কাজটা কি ঠিক হলো? আর তারপরেই বা আমার কি করা উচিত?
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি তা খেয়াল নেই। না জানি মেকাপ বিহীন নিরুপমাকে কি জঘন্য দেখাতো? ঘুমিয়ে গিয়ে সেটা অন্তত দেখতে হলো না।
সকালে ৫ টার দিকে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলো। পায়ের কাছে কারো অস্তিত্ব টের পেলাম। চোখ দুটো মুছতে মুছতে পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখি.............

চলবে,,,,,,,,,

গল্পঃ #কালো_বউ
পর্বঃ১

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Subodh Balika posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share