27/03/2024
পণ্য বর্জন কি অর্জন
বিভিন্ন সময় একেকবার একেক দেশের পণ্য বর্জন করার আওয়াজ শুনি। আসলে এটা আমাদের দেশে কতটা কার্যকর? কথায় কথায় বিভিন্ন দেশের পণ্য বর্ঝনের কথা শুনলে একটা বিষয় প্রতিষ্ঠিত হয় যে, আমরা আসলে অন্যদের বিশাল বাজার। যদিও আমরা কোনো দেশের টাকা কিংবা ভিসা বর্জন করি না। কেন করি না, সেটা জানি না।
তবে পণ্য বর্জন একটা ভালো অস্ত্র। প্রাকযুদ্ধ ও উত্তরযুদ্ধের জন্য খারাপ না। বিশেষ করে যদি প্রতিপক্ষের সাথে অস্ত্র দিয়ে পেরে উঠা না যায় এবং পণ্য বর্জনের মাধ্যমে যদি সত্যিই কিছু করা যায়। যেমন সম্প্রতি ইসরাইলি পণ্য বর্জনে জর্দান মরক্কোসহ বেশ কিছু দেশে বেশ ভাল প্রভাব পড়েছে যা বাজার তথ্যে বেরিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশে এ ধরনের উদ্যোগের প্রভাব নেই বললেই চলে।
ফেসবুকে কয়টা পোস্ট হলো এটা দেখে কখনো বোঝা যাবে না যে, পণ্য বর্জন কতটা সফল হলো এটা বোঝা যাবে বাজারের তথ্যের উপর। তাই যে জিনিস পারবনা সে জিনিস স্লোগান দিয়ে কি লাভ?
তাছাড়া যেকোনো কথায় পণ্য বর্জন কোনো ভাল উপায় হতে পারে না। বিশেষ করে যে প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক রাখতে হবে তার ক্ষেত্রে কথায় কথায় এমনটা হাস্যকর। তবে অন্য কোনো উপায় না থাকলে এবং সত্যিকার অর্থে এর দ্বারা কোনো ছাপ সৃষ্টি করতে পারলে মন্দ হয়না।
সবচেয়ে বাজে ব্যাপার হলো, এগুলো মুখে আর ফেসবুকে যতটা হয়। বাস্তবে ততটা হয়না। তাছাড়া সিজনাল ও ইস্যুভিত্তিক পণ্য বর্জন কোনো কাজের কাজ নয়।
আপনি মাঝে মধ্যে পণ্য বর্জন না করে সারা জীবন যদি একটি নীতি অবলম্বন করেন এবং এই বিষয়ে জনমত গঠন করেন তা বেশ কার্যকর হবে। সেটা হলো, আপনি প্রতিজ্ঞা করুন যে পণ্য দে শী ও ভাল আছে তা বিদেশী কিনবো না। শুধুমাত্র যে বিদেশী পণ্য সেবা না নিলেই নয়, সেটাই নিব।
তাহলে দেশ বদলে যাবে। স্লোগান দিয়ে কেটে পড়লে কিছু হবে না।
যারা অমুকের পণ্য বর্জনের শত শত পোস্ট দেখে খুশিতে ডগমগ হয়েছেন। ব্যাপারটা আসলে ফেসবুকের খেলা। আপনি যে পোস্ট বেশী দেখেন ও পছন্দ করেন ফেসবুক আপনাকে সেটাই দেখাচ্ছে। বাস্তবতা ভিন্ন রয়েছে কিন্তু।
( দ্বিমত পোষন করাই নিজস্ব চিন্তার পরিচায়ক)