Nusaiba Amreen Ridi

Nusaiba Amreen Ridi ষোলো -এর প্রতিনিধি (মিরপুর,শেওড়াপাড়া ও কাজিপাড়া)

03/01/2025

ষোলো ৮ম সংখ্যায় যেসব লেখা থাকছে...

03/01/2025

আলহামদুলিল্লাহ, অষ্টম সংখ্যা প্রকাশনীতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ - ৭ জানুয়ারি ২০২৫

কিশোর -তরুণ ম্যাগাজিন  'ষোলো' পেয়ে যাবেন আমার কাছে।যেসব এলাকার প্রতিনিধিত্ব করছি - মিরপুর, শেওড়াপাড়া এবিং কাজিপাড়া।( শুধ...
18/10/2024

কিশোর -তরুণ ম্যাগাজিন 'ষোলো' পেয়ে যাবেন আমার কাছে।
যেসব এলাকার প্রতিনিধিত্ব করছি - মিরপুর, শেওড়াপাড়া এবিং কাজিপাড়া।( শুধুমাত্র মাহরামের কাছে)
মুল্য-৫০৳
ষোলো
#ষোলোগ্রাফি

16/10/2024
ষোলো ।একটি কিশোর ম্যাগাজিন।যেটা বর্তমান সময়ের পথ হারা কিশোর কিশোরীদের পথ দেখানোর মহৎ দায়িত্ব পালন করছে।অন্যান্য কিছু দ...
16/09/2024

ষোলো ।
একটি কিশোর ম্যাগাজিন।যেটা বর্তমান সময়ের পথ হারা কিশোর কিশোরীদের পথ দেখানোর মহৎ দায়িত্ব পালন করছে।অন্যান্য কিছু দল যেখানে তাদের ভ্রান্তির পথে নিয়ে যাচ্ছে সেখানে স্রোতের বিপরীতে এই কাজকে সফল করতে চেষ্টা করতে হবে আমাদের সকলকে।ইতোমধ্যেই তুমুল পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে এই ম্যাগাজিনটি।
এবারের সংখ্যাটা স্পেশাল একটি সংখ্যা।যেটাতে জুলাই অভ্যুত্থান পেয়েছে প্রধান বিষয়বস্তুর জায়গা।জুলাই অভ্যূত্থানকে কেন্দ্র করে লেখা ছাড়াও আছে জীবনমুখী নানা প্রবন্ধ এবং গল্প।এবারের সংখ্যার সূচিপত্রও সাথে দেওয়া হলো।

মিরপুর,শেওড়াপাড়া ও কাজিপাড়া এর আপুরা আমার কাছ থেকে নিতে পারবেন। ইন শা আল্লাহ।

মূল্য:৫০ টাকা মাত্র।

ষোলো  ৭ম সংখ্যা 🤎মিরপুর,শেওড়াপাড়া ও কাজিপাড়া -এর আপুরা পেয়ে যাবেন আমার কাছে।ইন শা আল্লাহ
12/09/2024

ষোলো ৭ম সংখ্যা 🤎

মিরপুর,শেওড়াপাড়া ও কাজিপাড়া -এর আপুরা পেয়ে যাবেন আমার কাছে।
ইন শা আল্লাহ

আফ্রিকার দেশ মিশর। আব্দুল্লাহ নামের একজন অনেকদিন ধরেই কঠিন অসুখে ভুগছিলেন। স্থানীয় ডাক্তারকে দেখানো হলো। তিনি পরামর্শ দি...
28/08/2024

আফ্রিকার দেশ মিশর। আব্দুল্লাহ নামের একজন অনেকদিন ধরেই কঠিন অসুখে ভুগছিলেন। স্থানীয় ডাক্তারকে দেখানো হলো। তিনি পরামর্শ দিলেন- আপনি জার্মানিতে যান। সেখানে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারবেন। কিছুদিনের মধ্যেই আব্দুল্লাহ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জার্মানিতে গেলেন। সেখানে এক নামকরা ডাক্তারের কাছে চেকআপ করালেন। ডাক্তার শরীরের অবস্থা দেখে তক্ষুনি আব্দুল্লাহকে অপারেশন করার কথা বলল। ডাক্তার আরও বলল- অপারেশনে আপনি মারাও যেতে পারেন।
আব্দুল্লাহর স্ত্রী ও সন্তানের কথা খুব মনে পড়ল। অপারেশন করার আগে একবার তাঁদের দেখতে মন চাইল। তিনি ডাক্তারকে বললেন- আপনি সবকিছু রেডি করে রাখুন। আমি আগে একবার মিশরে যাব আর আসব। একবার স্ত্রী আর সন্তানদের সঙ্গে দেখা করে আসি।
দ্রুত মিশরের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন আবদুল্লাহ। রাস্তায় এমন এক দৃশ্য দেখলেন যা তাকে নাড়া দিল প্রবলভাবে। তিনি দেখলেন কসাইখানার পাশে এক মহিলাকে ফেলে দেওয়া মাংসগুলো কুড়িয়ে নিতে। কৌতুহলী ও বিস্মিত আব্দুল্লাহ মহিলার কাছে এগিয়ে গেলেন।
- আপনি কসাইয়ের ফেলে দেওয়া মাংসগুলো কেন নিচ্ছেন?
- দেখুন, এ ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই। আমার ছেলেরা দুই বছর হলো মাংস খেতে পায়নি। মাংস কেনার মতো টাকাও আমার নেই৷
মহিলার কথা শুনে আব্দুল্লাহ প্রচণ্ড কষ্ট পেলেন। কসাইকে ডেকে নিলেন একপাশে।
এই যে নিন এ টাকাগুলো। এখানে একবছরের টাকা রয়েছে। আপনি এই ভদ্রমহিলাকে প্রতি সপ্তাহে উনার চাহিদামাফিক মাংস দেবেন।
কৃতজ্ঞতায় চোখে পানি চলে আসল অসহায় মহিলাটির। দু’হাত তুলে আব্দুল্লাহর জন্য আল্লাহর কাছে প্রাণভরে দুআ করলেন তিনি।
আব্দুল্লাহ বাড়ি পৌছালেন। স্ত্রী-সন্তানদের তাঁর শরীরের অবস্থার ব্যাপারে সব খুলে বললেন। তাঁর স্ত্রী বললেন-
আপনি ভয় পাবেন না। আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।
আব্দুল্লাহ সবার থেকে দুআ নিয়ে জার্মানিতে ফিরে গেলেন। অপারেশন করার আগে ডাক্তাররা আরেকবার চেকআপ করতে চাইল। চেকআপ করার পর অবাক হয়ে গেল তারা।
আরে! এ কী করে সম্ভব! আপনি তো একদম সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। আপনার শরীরে তো অসুখের চিহ্নমাত্র নেই!
আব্দুল্লাহর চোখেমুখে হাসির ঝিলিক খেলে গেল। তিনি বললেন- এ অসম্ভব সম্ভব হয়েছে সবচেয়ে বড় ডাক্তারের মাধ্যমে। তিনি আর কেউ নন, এই সৃষ্টিজগতের একমাত্র স্রষ্টা মহান আল্লাহ। মিশরে ফেরার পথে এক অসহায় মা অন্তর থেকে আমার জন্য দুআ করেন। মহান আল্লাহ তাঁর দুআ কবুল করেছেন। আমাকে এই কঠিন অসুখ থেকে মুক্তি দিয়েছেন।
বিপদাপদে সাহায্য করলে আল্লাহ অত্যন্ত খুশী হন। কারও বিপদ দেখলে আমরা অবশ্যই তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব। টাকাপয়সা দিয়ে, হাসিমুখে সুন্দরভাবে কারও সঙ্গে কথা বলে, সাহস জুগিয়ে, বিপদ দূর করার জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করে… যে যেভাবে পারি সাহায্য করব। হয়তো পুরো বিপদ দূর করতে পারব না। কিন্তু যতটুকু পারি, আমার পক্ষে যতখানি করা সম্ভব, করতে পিছপা হব না।
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবি ﷺ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমকে দুনিয়ার বিপদসমূহের মধ্যকার কোনো বিপদ থেকে রক্ষা করবে, এর প্রতিদানে আল্লাহ কিয়ামতের দিনের বিপদসমূহের কোনো বিপদ থেকে তাকে রক্ষা করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো গরিব লোকের সঙ্গে (পাওনা আদায়ে) নম্র ব্যবহার করবে, আল্লাহ তার সঙ্গে দুনিয়া ও আখিরাতে উভয়স্থানে নম্র ব্যবহার করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষত্রুটি গোপন রাখবে, আল্লাহও তার দোষত্রুটি দুনিয়া ও আখিরাত উভয়স্থানে গোপন রাখবেন। বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহও ততক্ষণ তাঁর বান্দার সাহায্য করেন।’
সত্য ঘটনা: কসাইখানার পাশের মহিলা!
-আয়াত

[ষোলো ৬ষ্ঠ সংখ্যা থেকে নেওয়া, পাওয়া যাচ্ছে সারাদেশে।অর্ডার লিংক কমেন্টে].

#ষোলো
#ষোলোর_পাতা_থেকে

আপুরা,ষোলো -৭ম সংখ্যা প্রি-অর্ডার করতে পারেন আমার কাছে।(ইন শা আল্লাহ) এলাকাসমূহ : মিরপুর১,২,৬,৭,১০,১২,১৩,১৪,শেওড়াপাড়া   ...
27/08/2024

আপুরা,ষোলো -৭ম সংখ্যা প্রি-অর্ডার করতে পারেন আমার কাছে।(ইন শা আল্লাহ)

এলাকাসমূহ : মিরপুর১,২,৬,৭,১০,১২,১৩,১৪,শেওড়াপাড়া ও কাজিপাড়া।
ষোলো

#মিরপুর #মিরপুর১০ #মিরপুর-১ #মিরপুর২ #মিরপুর৬
#মিরপুর১৩ #মিরপুর৭ #মিরপুর১২ #মিরপুর১৪ #শেওড়াপাড়া #কাজিপাড়া
#ফিমেল

ষোলো ৭ম সংখ্যা প্রি-অর্ডার করতে পারেন আমার কাছে। (ইন শা আল্লাহ) মুল্য-৫০৳ এলাকাসমুহ- মিরপুর ১,২,৬,৭,১০,১২,১৩,১৪,শেওড়াপাড়...
27/08/2024

ষোলো ৭ম সংখ্যা প্রি-অর্ডার করতে পারেন আমার কাছে। (ইন শা আল্লাহ)
মুল্য-৫০৳
এলাকাসমুহ- মিরপুর ১,২,৬,৭,১০,১২,১৩,১৪,শেওড়াপাড়া ও কাজিপাড়া।
(শুধুমাত্র মেয়েরা অর্ডার করতে পারবেন)

সপ্তম সংখ্যার পরিবর্তিত প্রচ্ছদ। সবকিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরের শুরুতেই প্রকাশিত হবে ইন শা আল্লাহ।

প্রতিনিধি ভাইয়া-আপুরা প্রমোশন শুরু করতে পারেন। এখন থেকে সেরা তিনজন প্রতিনিধিকে পুরস্কৃত করা হবে ইন শা আল্লাহ।

গ্রামের রাস্তা। একটি গ্রীষ্মের দুপুর।ক্লাস ফোর পড়ুয়া সাইফ স্কুল শেষে বাড়ি ফিরছে। প্রচণ্ড রোদে ঘামছে সে। কপাল দুটো কুঁচকে...
27/08/2024

গ্রামের রাস্তা। একটি গ্রীষ্মের দুপুর।
ক্লাস ফোর পড়ুয়া সাইফ স্কুল শেষে বাড়ি ফিরছে। প্রচণ্ড রোদে ঘামছে সে। কপাল দুটো কুঁচকে আছে তার। গরমে, বিরক্তিতে।
কতকিছুই মনে আসছে তার। এই গরমে রাস্তায় প্রচণ্ড রোদ, অনেকদূর হেঁটে বাড়ি যেতে হবে, গাড়ি করে যাবার পয়সা নেই; কখনোই থাকে না। বাড়িতে গিয়েও আরাম নেই।
অজপাড়াগাঁয়ে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। পৌঁছালেও ওদের বাড়িতে বিদ্যুৎ আনার সামর্থ্য ওর পরিবারের নেই। তালপাখার হাওয়া খেয়ে শরীর ঠান্ডা করতে হয়। এখন গিয়ে পুকুরের ঠান্ডা পানিতে গোসল করতে পারলে তবেই একটুখানি শান্তি।
এই রোদে এদ্দূর হেঁটে বাড়ি যেতে হবে, একটা ছাতা থাকলেও তো হতো। ভাবতে গিয়ে নিজেরই কেমন হাসি পায় সাইফের।
ছাতা কেনার চিন্তাটা বিলাসিতা ওদের কাছে। বাবার আদ্দিকালের ছাতাটা ফুটো হয়ে গেছে, ওটা দিয়ে কোনোরকমে বরষা যায়। ঝুম বৃষ্টি না হলে সেটা নামানো হয় না। টুপটাপ বৃষ্টিতে কচুপাতা মাথায় দিয়েই সাইফরা চার ভাইবোনের কাজ হয়ে যায়। মুষলধারে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হতেই দেওয়া হয় না। বাড়িতে বসে থাকো, নয় ছেঁড়া কাঁথা গায়ে ঘুমাও। বাড়ির টিনের চালের ফুটোগুলো তালি দেওয়া হয় কোনোমতে। তারপরও ঘরের ভেতর ফোঁটা ফোঁটা পানি পড়ে প্রায়ই।
হঠাৎই পেছন থেকে ভরাট গলায় নিজের নামটা শুনতে পেল সাইফ। পেছনে তাকিয়ে বাবাকে দেখতে পেল সে। কাঁচাপাকা চুল-দাড়ির মধ্যবয়সী মানুষটা, সংসারের জন্য গাধার খাটুনি খাটেন। ওদের দু’ভাইবোনের পড়াশোনা, ছোট কোলের ভাইটির নানান রকম প্রয়োজন, সংসারের অন্যান্য খরচ। বড় বোনের বিয়েতে প্রচুর খরচ হয়েছে, মেজো আপুর বিয়েতেও আরও খরচ হবে। এসব কারণে বাবার সাথে খুব কমই দেখা হয় ওর। মানুষটাকে তাই অদ্ভুত রকমের ভয় পায় সাইফ।
-
‘ক্লাস কেমন হলো?’
‘ভালো।’
‘কপাল কুঁচকে রেখেছ কেন?’
‘রোদ লাগছে।’
কেমন কাঁচুমাচু হয়ে জবাব দিল সাইফ।
মধ্যবয়সী মানুষটা একটু কাষ্ঠ হাসলেন। তার হাসির মধ্যে লুকিয়ে রইল হাজারটা দুঃখ।
‘তুমি আমার ডানপাশে সরে এসে হাঁটো। হ্যাঁ, এইবার হয়েছে। এখন রোদ লাগছে?’
এপাশ ওপাশ মাথা নাড়ল সাইফ। তার ছোট্ট ছায়া আরেকটা দীর্ঘকায় ছায়ার আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে। বাবার শরীর তাকে আড়াল করে রেখেছে তীব্র রোদ থেকে। একপাশে বাবা এবং আরেকপাশে বাবার ছায়া। সাইফের মনে হলো তার দু’পাশেই বাবা আছে, তাকে ঘিরে রেখেছে, আড়াল করে রেখেছে। কী অদ্ভুত!
***
১০ বছর পর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। আরেকটি গ্রীষ্মের দুপুর।
একটি ফোনকল পেয়ে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে স্তব্ধ দাঁড়িয়ে আছে সাইফ। মায়ের ফোন। সংবাদ- পিতার মৃত্যু। যে বাবার ছায়া আজীবন তার মাথার ওপর ছাতার মতো ছড়িয়ে ছিল, রক্ষা করছিল সব দুঃখ-কষ্ট থেকে; সেই বাবা আজ চলে গেলেন। সাইফ বাড়ি যেতে পারবে না। সেমিস্টার ফাইনাল এখন। কেন যেন মনে হচ্ছে, যে বাবার অক্লান্ত পরিশ্রমে সে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, সে বিশ্ববিদ্যালয় তাকে আজ বাবার জানাযায় উপস্থিত হতে দেবে না।
অনেকটা উদ্দেশ্যহীন হাঁটা শুরু করল সাইফ৷ তার কল্পনায় নিজের একপাশে আরেকটা বড় ছায়া এসে ঢেকে দিল তাকে রোদ থেকে। একপাশে বাবা এবং আরেকপাশে বাবার ছায়া। তীব্র রোদের মধ্যে এই মিথ্যা কল্পনা করে নিজের অজান্তেই কান্নায় ফুঁপিয়ে উঠল সে।
***
আরও ১০ বছর পর।
গ্রামের রাস্তা। আরেকটি গ্রীষ্মের দুপুর।
নুসায়ের উদ্দেশ্যহীনভাবে রোদের মধ্যে হাঁটছে। সে শহরের স্কুলে ক্লাস ফোরে পড়ে। গ্রীষ্মের ছুটিতে দেশের বাড়িতে বেড়াতে এসেছে।
এসেই বিরক্তি বোধ শুরু করেছে সে। গ্রামে টিভি নেই যে, দেখে সময় কাটাবে। গরমে অতিষ্ঠ অবস্থা। বাসায় এসি রুমেও ওর গরম লাগে, আর গ্রামের সিলিং ফ্যানের কথা বলে লাভ নেই, কচ্ছপের গতি। শেষমেশ বিরক্ত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছে। শহরে সে বাসা থেকে কমই বের হয়। আজ গ্রামে এসে রাস্তায় নেমে আবার মেজাজ গরম হয়ে গেল। এত রোদে মানুষ থাকে কীভাবে! বোকামি করে ফেলেছে, ঘরের দাওয়ায় লটকানো ছাতাটা হাতে নিয়ে বেরুনো উচিত ছিল। যাকগে!
গ্রামের রাস্তা ঠিকঠাক চেনে না, তারপরও হেঁটে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে চলে আসলো নুসায়ের। মসজিদ পেরিয়ে একটু দূরে পথের একপাশে দেয়ালঘেরা একটা খোলা জায়গা চোখে পড়ল ওর। গেটের ওপর লেখা—কবরস্থান।
খোলা গেট দিয়ে ভেতরে তাকালো নুসায়ের। কেমন একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। কবরস্থান, এখানে তাহলে মানুষ মারা গেলে কবর দেওয়া হয়। এই গ্রামের যত মানুষ মারা যায় সবার কবর তাহলে এখানে, ভাবল সে। তার দাদা-দাদীর কবরও কি এখানে?
ভাবতে ভাবতে কবরগুলোর দিকে তাকালো সে। সব একরকম, আলাদা করে চেনার উপায় নেই। বাবা প্রতিদিন কবর জিয়ারত করে, দাদা-দাদীর কবর নিশ্চয়ই চেনে। ওরা নুসায়েরের জন্মের আগেই মারা গিয়েছিলেন, সে কখনো দেখেনি ওদেরকে। এখন কেন যেন ওদের শেষ আবাসস্থল দেখতে ইচ্ছা হলো নুসায়েরের।
প্রচণ্ড রোদের মধ্যে চারপাশে তাকাতে গিয়ে হঠাৎ মাথাব্যথা শুরু হলো নুসায়েরের। মনে হলো, চোখে অন্ধকার দেখছে। দু’হাতে চোখ ঢেকে রেখে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর মনে হলো তার পাশে কেউ একজন এসে দাঁড়িয়েছে।
চোখ খুলে আর মাথায় ব্যথা অনুভব করল না ও। পাশে দাঁড়ানো মানুষটার ছায়া তাকে ঢেকে দিয়েছে। আড়াল করে দিয়েছে সূর্য থেকে। ঘাড় ঘুরিয়ে বাবার দিকে তাকালো সে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এই গম্ভীর মানুষটিকে সে ভীষণ ভয় পায়।
‘দাদা-দাদীর কবর দেখতে এসেছ?’
‘হ্যাঁ, তুমি চেনো কোনগুলো?’
ইশারা করে পাশাপাশি দু’টো কবর দেখালেন প্রফেসর সাইফ।
‘ওদের দাফনের সময় তুমি ছিলে?’
‘তোমার দাদীমার কবরে নিজহাতে মাটি দিয়েছি। কিন্তু তোমার দাদাভাই যখন মারা গেলেন, আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরীক্ষার জন্য গ্রামে আসতে পারিনি। এখনো কষ্ট হয়, যে মানুষটা এত কষ্ট করে বড় করলেন আমাকে, তার চলে যাবার দিন আমি উপস্থিত থাকতে পারলাম না।’
সদাগম্ভীর মানুষটির চোখে পানি দেখে আশ্চর্য হলো নুসায়ের।
‘তুমি বাড়ি থেকে একা একা বের হয়ে গেলে কেন?’
হঠাৎই প্রসঙ্গ বদলে ফেললেন নুসায়েরের বাবা।
‘গরম লাগছিল…।’
কাঁচুমাচু হয়ে জবাব দিল নুসায়ের।
‘ঘরে গরম লাগছিল! রাস্তায় বুঝি রোদ নেই?’
‘ছিল.. মানে আছে। কিন্তু এখন লাগছে না। তুমি যে পাশে এসে দাঁড়ালে…।’
ছেলের দিকে আনমনে তাকিয়ে নিজের অতীতে চলে গেলেন প্রফেসর। তখন তিনি ছোট্ট, নুসায়েরের মতো ক্লাস ফোরে পড়েন। স্কুল থেকে ফেরার পথে একপাশে বাবা, আরেকপাশে বাবার ছায়া নিয়ে হাঁটছেন।
‘তোমার দাদাভাই’, আর্দ্র কণ্ঠে ছেলেকে বলতে লাগলেন সাইফ। ‘আমি যখন তোমার মতো ছোট্ট ছিলাম, তখন এভাবে নিজের শরীর দিয়ে আমাকে আড়াল করে রাখতেন রোদ থেকে।’
‘শুধু রোদ না, জীবনের সব দুঃখ-কষ্ট থেকে আড়াল করে রেখেছিলেন আমাকে, তোমার চাচা-ফুপিদেরকে। আমাদের তখন ছাতা ছিল না, তোমার দাদাভাই-ই ছিলেন আমাদের ছাতা। আমরা যখন তালপাখার হাওয়া খেয়ে আরাম করতাম, উনি তখন রোদের মধ্যে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করেছেন আমাদের আরামের জন্য। তোমার দাদাভাই বাবা হিসেবে যা করেছেন আমাদের জন্য, তোমাদের জন্য তার হাজার ভাগের এক ভাগও করতে পারিনি আমি, নুসায়ের।’
বাবার বাষ্পরূদ্ধ চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে নুসায়েরের মনে হলো, মানুষটাকে সে ভীষণ ভয় পায় না, বরং অনেক ভালবাসে।
বাবারা এমনই, ছাতার মতো ছড়িয়ে থাকেন মাথার ওপর। সন্তানদেরকে আড়াল করে রাখেন রোদ-ঝড় থেকে। দেন না কোনো দুঃখ-কষ্ট সন্তানদের স্পর্শ করতে।
وَ اخۡفِضۡ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحۡمَۃِ وَ قُل رَّبِّ ارۡحَمۡهُمَا کَمَا رَبَّیٰنِیۡ صَغِیۡرًا
‘আর তাদের উভয়ের জন্য দয়াপরবশ হয়ে বিনয়ের ডানা বিছিয়ে দাও এবং বলো, “হে আমার রব, তাদের প্রতি দয়া করুন, যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন।”’ (সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত- ২৪)

ছাতা
-আফরীন

[ষোলো ৬ষ্ঠ সংখ্যা থেকে নেওয়া, পাওয়া যাচ্ছে সারাদেশে।অর্ডার লিংক কমেন্টে]
#ষোলো
#ষোলোর_পাতা_থেকে

এবারের সংখ্যার টপিক "গাযা"!!!  রক্তে মাখানো গাযাবাসীদের আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দান করুক আমিন।।।।। #মিরপুরবাসি  #ষোলো (গায...
03/06/2024

এবারের সংখ্যার টপিক "গাযা"!!!
রক্তে মাখানো গাযাবাসীদের আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দান করুক আমিন।



। #মিরপুরবাসি #ষোলো
(গাযার পাশাপাশি অন্যান্য টপিকতো রয়েছেই)
বি.দ্র: শুধুমাত্র মেয়েদের কাছে বিক্রি করা হবে,নন-মাহরাম নিষিদ্ধ!

ষোলো এমন একটি ম্যাগাজিন যা এই যুগের নন-প্র‍্যাক্টিসিং মুসলিম  টিনএজারদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য  ম্যাগাজিনের ম...
02/06/2024

ষোলো এমন একটি ম্যাগাজিন যা এই যুগের নন-প্র‍্যাক্টিসিং মুসলিম টিনএজারদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য ম্যাগাজিনের মতো হলেও গল্পের মাধ্যমে বা জীবনীর মাধ্যমে ইসলাম শিক্ষা দেওয়ার জন্য এটি ইউনিক!🌸

মিরপুর -১,২,৬,৭,১০,১৩, শেওড়াপাড়া,কাজিপাড়ায় বসবাসরত আপুরা আমার কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। ইন শা আল্লাহ

Address

Mirpur
Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nusaiba Amreen Ridi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category