Zakir Hosen - জাকির হোসেন

Zakir Hosen - জাকির হোসেন দেশ ও দেশের বাহিরের সকল আপডেট পেতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন দেশ বিদেশের সংবাদ পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন।

চিনতে পারছেন?
05/07/2025

চিনতে পারছেন?

এটি একটি ১,০০০ গ্রাম লোহার বার, কাঁচামাল হিসেবে যার মূল্য মাত্র ১০০ ডলার।যদি আপনি এটাকে ঘোড়ার খুর বানাতে ব্যবহার করেন, এ...
05/07/2025

এটি একটি ১,০০০ গ্রাম লোহার বার, কাঁচামাল হিসেবে যার মূল্য মাত্র ১০০ ডলার।
যদি আপনি এটাকে ঘোড়ার খুর বানাতে ব্যবহার করেন, এর মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ২৫০ ডলার।
সেলাইয়ের সূঁচ তৈরি করলে এর মূল্য হয় প্রায় ৭০,০০০ ডলার।
ঘড়ির স্প্রিং ও গিয়ার তৈরি করলে এর মূল্য পৌঁছে যায় ৬ মিলিয়ন ডলারে।
আর এটাকে যদি উন্নত প্রযুক্তির লেজার উপাদানে রূপান্তর করা হয়, যা কম্পিউটার চিপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, তখন এই একই লোহার বারের মূল্য দাঁড়ায় ১৫ মিলিয়ন ডলার।
আপনার প্রকৃত মূল্য নির্ধারিত হয় আপনি কি দিয়ে তৈরি তার মাধ্যমে নয়, বরং আপনি কীভাবে আপনার দক্ষতাকে বিকশিত করেন এবং তা প্রয়োগ করেন, তার উপর।
#জীবন_চক্র

04/07/2025
শুধু ৫ দিন আগে বিয়ে করেছিলেন এই ফুটবলার তার মধ্যে বিদায় নিলেন!  বয়সটা বেশি নয় ১৯৯৬ সালে জন্ম। বিয়ে করেছিলেন হয়তো ভেবেছিল...
03/07/2025

শুধু ৫ দিন আগে বিয়ে করেছিলেন এই ফুটবলার তার মধ্যে বিদায় নিলেন! বয়সটা বেশি নয় ১৯৯৬ সালে জন্ম। বিয়ে করেছিলেন হয়তো ভেবেছিলেন প্রিয় মানুষের সাথে বাকিটা জীবন কাটিয়ে দিবেন 💔🥹 কী হয়ে গেলো দিয়াগো জটার?
লিভারপুলের এই তারকা প্লেয়ারের কি নাহ ছিলো, বিয়ে করে ছিলেন ৫ দিন আগে, শুধু ৫ দিন, বয়সটা কম 🙏🥹 হায়রে জীবন 💔


আজ বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাসের পাশের যাত্রী ছাউনির কর্নারে রিকশায় স্ট্রোক করে একজন রিকশাওলা মারা গেছেন।সবাই দেখে ভ...
01/07/2025

আজ বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাসের পাশের যাত্রী ছাউনির কর্নারে রিকশায় স্ট্রোক করে একজন রিকশাওলা মারা গেছেন।
সবাই দেখে ভেবেছে তিনি ঘুমাচ্ছেন হয়তো। কিন্তু একটা কাপল বিকেলে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখে যায়। একটু আগে আবারো এইদিকে যাওয়ার সময় ঘুমন্তই দেখে। পজিশন দেখে সন্দেহ হওয়ায় তারা গায়ে হাত দিয়ে বুঝতে পারে তিনি মারা গেছেন।
বর্তমানে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির দায়িত্বে আছে লাশ।এখনো পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা করছে।
মানুষের জীবন কি অদ্ভুত! ক্লান্ত শরীরে বিশ্রাম নিতে এসেছিলেন বোধহয়।শরীরটা রিকশায় ছেড়ে দেওয়ার সাথে সাথেই হয়তো স্ট্রোক হয়েছে।
আল্লাহ জান্নাতবাসী করুন তাকে।

ইন্তেকাল করেছেন ৩ হাজারের বেশি কবর খোঁড়া কিশোরগঞ্জের সেই মনু মিয়া কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের বাসিন্দা...
28/06/2025

ইন্তেকাল করেছেন ৩ হাজারের বেশি কবর খোঁড়া কিশোরগঞ্জের সেই মনু মিয়া
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের বাসিন্দা গোরখোদক মনু মিয়া ইন্তেকাল করেছেন। শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে আলগাপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন। কেউ মা*রা গেলে তিনি ছুটে যেতেন ক*বর খুড়তে। তিনি প্রায় ৪৯ বছর যাবত ধরে মোট ৩,০৫৭ টি ক*বর খুড়েছেন। কবর খুঁড়তে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে সুবিধার জন্য তিনি ঘোড়া ব্যবহার করতেন। কারো মৃ*ত্যুর সংবাদ পেয়ে দ্রুত সেই যায়গায় পৌছার জন্যই তিনি ঘোড়াটি কিনেছিলেন। কিছুদিন আগে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। এই সুযোগে রহস্যজনক কারণে দুর্বৃত্তরা মনু মিয়ার ঘোড়াটিকে হত্যা করে।
বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে চারদিকে সমালোচনার ঝড় উঠে। তবে শারীরিক দিক বিবেচনায় তখন মনু মিয়াকে তার ঘোড়ার মৃত্যুর কথা জানানো হয়নি।
এরপর কিছুটা সুস্থ হলে তাকে ঘোড়াটির মৃত্যুর খবর জানানো হয়। কিছুটা সুস্থ হলে নিজ বাড়িতে যান মনু মিয়া। আজ শনিবার সকালে সেখানেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আজ সকাল আনুমানিক ১০.৩০ মিনিটের দিকে তিনি দুনিয়ার মায়া ত্যা*গ করেন।
আজকে উনার ক*বরও অন্য কেউ খুড়বে আর মনু মিয়া সেখানের চিরস্থায়ী বাসিন্দা হবে। স্থানীয়রা জানায়, মনু মিয়া শুধু একজন কবর খননকারী নন—তিনি ছিলেন মানবিকতার প্রতীক। মৃত্যুর পরও বহু মানুষের দোয়া ও শ্রদ্ধায় বেঁচে থাকবেন তিনি। উনার মহৎ কর্মের ফলস্বরূপ মহান আল্লাহ উনাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম জান্নাতুল ফেরদৌসের ফয়সাল করে দিক, আমিন 🤲

এইচএসসি পরীক্ষার্থী এই মেয়েটির বাবা নেই। মা আজ সকালে মেজর স্ট্রোক করেছে। যেহেতু পরিবারে দায়িত্বশীল কেউ নেই, তাই মেয়েটিকে...
26/06/2025

এইচএসসি পরীক্ষার্থী এই মেয়েটির বাবা নেই। মা আজ সকালে মেজর স্ট্রোক করেছে। যেহেতু পরিবারে দায়িত্বশীল কেউ নেই, তাই মেয়েটিকেই সব সামলিয়ে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে। সেখান থেকে ছুটতে হয়েছে পরীক্ষার কেন্দ্র মীরপুর বাংলা কলেজে।

কিন্তু ভাগ্য খারাপ! লেট হওয়ায় পরীক্ষার হলে প্রবেশের সুযোগ পায়নি। অঝোরে কাঁদছিল মেয়েটি। পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের কেমন লেগেছে জানি না! কিন্তু ভিডিওটা দেখে কিঞ্চিৎ হলেও অনুভূতি বুঝতে পারছিলাম।

একজন মানুষ বোর্ড পরীক্ষার দিনে নিশ্চয়ই রঙঢঙ করে সময় নষ্ট করে না। অসুস্থ মাকে হাসপাতালের বেডে রেখে পরীক্ষার হলে ছুটে আসা— কিন্তু বস্তাপচা সিস্টেম মেয়েটির একটা বছর নষ্ট করে দিল।
কর্তৃপক্ষ যুক্তি দিবে— লেট করে আসলে প্রবেশের সুযোগ নেই। কিন্তু মানবিকতার চেয়ে নিয়ম বড় না। একটা বাচ্চা মানুষ মাকে হাসপাতালের বেডে রেখে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতে পেরেছে, আর আপনারা বা*লের যত নিয়ম ফলান।

যত নিয়ম, যত সিস্টেম সব বিপদগ্রস্থ মানুষের জন্য, সব অসহায়দের জন্য। আর চোর-বাটপার, টাকা পাচারকারী, প্রভাবশালীদের জন্য সব জায়েজ।
মানবিকতার চেয়ে মহান আর কি! এই প্রত্যয়ী মেয়েটিকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিলে দেশটা কি রশাতলে যেত? আর ওর পরীক্ষা না দেওয়ায় দেশটা কি সুইডেন হয়ে গেছে?

লেখা: সানাউল হক সানি ভাই

আহ! কত স্মৃতি এভাবে মাছ কুড়ানোর! এখনকার পোলাপান এগুলো বিশ্বাসই করবে না! ভাদ্র-আশ্বিন মাসে ধানের জমির পানি শুকিয়ে গেলে জম...
23/06/2025

আহ! কত স্মৃতি এভাবে মাছ কুড়ানোর! এখনকার পোলাপান এগুলো বিশ্বাসই করবে না! ভাদ্র-আশ্বিন মাসে ধানের জমির পানি শুকিয়ে গেলে জমি থেকে এভাবেই মাছ কুড়িয়ে কুড়িয়ে ধরতাম! কিন্তু এখন জমিতে পাওয়ার টিলারের ব্যবহার, মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক, রাসায়নিক সারের ব্যবহার এবং বিষ প্রয়োগ করে পুকুরের মাছ নিধন করাতে, এসকল দেশি মাছ কালভদ্রে চোখে পরে!.......

মনেপড়ে সেই দিনগুলো ❤️🙂
21/06/2025

মনেপড়ে সেই দিনগুলো ❤️🙂

এলি লোবেলের বয়স ছিলো মাত্র ২৭ বছর, যখন তিনি জঙ্গলে হাঁটতে গিয়ে পোকার কামড় খান। আপাতদৃষ্টিতে খুবই সামান্য একটা কামড়, একট...
21/06/2025

এলি লোবেলের বয়স ছিলো মাত্র ২৭ বছর, যখন তিনি জঙ্গলে হাঁটতে গিয়ে পোকার কামড় খান। আপাতদৃষ্টিতে খুবই সামান্য একটা কামড়, একটু জ্বালাপোড়া ও লাল ত্বক - তাই এলি তেমন পাত্তা দেননি। কিন্তু মাস ঘুরতেই দেখা গেলো এলির সারা শরীর জুড়ে অসহ্য ব্যাথা। ক্রমাগত কাশি ও শ্বাসকষ্ট। এবং সেই সাথে তাঁর স্মৃতিশক্তিও কমে আসতে লাগলো।
এলি ডাক্তারের কাছে গেলেন। কেউ বললেন ফ্লু, কেউ বললেন ভাইরাল ইনফেকশন, কেউ বললেন আর্থ্রাইটিস, আবার কারো মতে এটা ইমিউন সিস্টেমেরই সমস্যা। কিন্ত কেউই সল্যুশন দিতে পারলেননা। ধীরে ধীরে এলির অবস্থা খারাপের দিকে যেতে লাগলো।
একজন উৎসাহী গবেষক ও তিন সন্তানের মমতাময়ী মা, টগবগে চঞ্চল তরুণী এলি লোবেল শেষপর্যন্ত শরণাপন্ন হলেন হুইলচেয়ারের। স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারেননা, শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকেনা। তার ওপর তেমন কিছু মনেও রাখতে পারেননা। সবসময় থাকেন ঘোরের ওপর। সারা শরীরের জোড়াগুলোতে ব্যাথা তো আছেই, হাত পা নাড়াতে গেলে মনে হয় যন্ত্রণায় এখুনি প্রাণ হারাবেন।
এক বছর আগে যেখানে এলি পুরো সংসার আর বন্ধুমহল মাতিয়ে রাখতেন, কয়েক মাস পর দেখা গেলো তার আর একটা জড়বস্তুর মাঝে বিশেষ কোনো তফাত নেই!
এলি উত্তর পেলেন প্রায় একবছর পরে এসে। বোরেলিয়া গণের একটি ব্যাকটেরিয়া। পোকার কামড়ের মাধ্যমে তাঁর শরীরে ঢুকেছে এই ব্যাকটেরিয়া। আর ছড়িয়ে দিয়েছে লাইম ডিজিজ। রক্তশোষক পোকার কামড়ে এই রোগ ছড়ায়। বোরেলিয়া গণের ব্যাকটেরিয়া শরীরের নার্ভ সিস্টেম আক্রমণ করে। ফলে শরীরের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আর প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস হয়ে যায়। তবে শুরুর দিকে চিকিৎসা করলে সারানো সম্ভব।
কিন্ত এলির এক বছর পার হয়ে গিয়েছিলো।
এলি মোট ১৫ বছর যুদ্ধ করলেন। ২৭ থেকে ৪২। তরুণী থেকে মধ্যবয়স্কা। ছেলেমেয়েও বড় হয়ে গেছে। কিন্তু এলি আগের মতন। একটা কেয়ারটেকার রেখে দিয়েছেন। সে হুইলচেয়ার ধরে ঘোরায়। আর বাসায় থাকলে বেডে শুয়ে থাকেন। স্মৃতিশক্তিও সব ঝাপসা।
এভাবে কতদিন বেঁচে থাকা যায়? এলি লোবেল স্বেচ্ছামৃত্যুর ডিসিশন নিলেন। তিনি জড়বস্তু হয়ে বেঁচে থাকতে চাননা।
ডাক্তার তিন মাস সময় দিয়েছিলেন। আর তিন মাস। এরপরই নিজেকে শেষ করে ফেলবেন এলি। জড়পদার্থ হয়ে অন্যকে কষ্ট দিয়ে বেঁচে থাকার চাইতে সে ই ভালো। জীবনের শেষ কয়েকটা দিন পার করার জন্য এলি পাড়ি জমালেন ক্যালিফোর্নিয়ায়।
ক্যালিফোর্নিয়ার এক সূর্যস্নাত সকাল। এলি কেয়ারটেকারকে বলে হুইলচেয়ার নিয়ে বাইরে বাগানে এসেছেন। আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়িয়েছেন একটি দেয়াল ধরে। আর তাকাচ্ছেন সোনালী সূর্যের দিকে, নীল আকাশের দিকে, সবুজ প্রকৃতির দিকে। ❤️
কয়েক দিন পর সবাইকে বিদায় জানিয়ে অন্ধকারে পাড়ি জমাতে হবে।
ঠিক এমনসময় একটা দুর্ঘটনা ঘটলো!
হঠাৎই একটা মৌমাছি এসে কামড় বসালো এলির কপালে।
কী হচ্ছে বুঝে উঠার আগেই একঝাঁক মৌমাছি এসে ঘিরে ফেললো এলিকে। আর শুরু করলো দংশন।
কেয়ারটেকার হুইলচেয়ার ফেলেই ভাগলো। এলি যেহেতু একপ্রকার প্যারালাইজড, তাঁর পালানোর সৌভাগ্য হলোনা। দাঁড়ানো থেকে বসে পড়লেন! শয়ে শয়ে মৌমাছি ধেয়ে এলো তাঁর দিকে। কামড়ে কামড়ে কিছুক্ষণের মাঝেই জ্ঞান হারালেন এলি।
এলির মৌমাছির বিষে জন্মগত এলার্জি ছিল। তারওপর অলরেডি ভয়াবহ লাইম ডিজিজে প্রায় মরমর অবস্থা। ফলে এই আক্রমণ এলির জন্য প্রাণঘাতীই বলা চলে! মৌমাছি তাড়িয়ে এলিকে সরিয়ে তাঁর পরিবার দ্রুত যোগাযোগ করলো হাসপাতালে!
কিন্তু জ্ঞান ফিরে এলে এলি জানালেন - এই তার ভবিষ্যৎ। তিনি মরতে চেয়েছেন, সৃষ্টিকর্তা মৃত্যুদূত পাঠিয়েছেন, মৌমাছির ছদ্মবেশে। তিনি অতএব শান্তিতে মরতে চান।
এলি হাসপাতালে গেলেননা। বাসাতেই রয়ে গেলেন এবং প্রতিমুহূর্তে ক্ষণ গুণতে লাগলেন কবে মরণ আসবে আর সব জ্বালাযন্ত্রণা মিটিয়ে দিয়ে তাঁকে নিয়ে যাবে।
কিন্তু সেটা হলোনা। বরং হলো আরো অদ্ভুত কিছু।
যমে মানুষে টানাটানিতে অর্ধমৃত এলি লোবেল ঠিকই বেঁচে রইলেন। অদ্ভুত এক জ্বরে পুড়ে যেতে লাগলো তাঁর শরীর। এই জ্বর মৌমাছির বিষের ব্যাথাও নয়, নয় লাইম ডিজিজের ফলাফল। একসময়কার গবেষক এলি বুঝলেন এই জ্বর শরীরের ভেতর হয়ে চলা এক যুদ্ধের ফলাফল। নিশ্চয়ই এক অজানা বন্ধু এক চেনা শত্রুকে নিষ্ক্রিয় করছে।
তিনদিন পার হলো। এলি তখনও বিছানায়। বিছানায় শুয়েই খুব অদ্ভুত কিছু জিনিস খেয়াল করলেন তিনি।
শরীরের জয়েন্টে জয়েন্টে যে ব্যাথা ছিলো তা অনেকটাই কমে এসেছে।
হাত পা ইচ্ছামত নাড়াতে পারছেন।
আস্তে আস্তে হাঁটতেও পারছেন, কোনো সমস্যা হচ্ছেনা।
মাথা কেমন যেন হালকা হয়ে গেছে। ভাসাভাসা ব্যাপারটা আর নেই। অনেক স্মৃতিই মনে পড়ছে।
কয়েক সপ্তাহের মাথায় এলি লোবেল অনেকটাই সুস্থ হয়ে গেলেন। কোথায় লাইম ডিজিজ কিসের কি। হুইলচেয়ার ফেলে এলি তখন পুরোদমে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। আর ভেবে চলেছেন কাহিনী কী হলো।
এলি লোবেল তুখোড় গোয়েন্দার মতই কাহিনীর রহস্য উদ্ধার করেছিলেন। বড়ই অদ্ভুত সেই রহস্য।
মৌমাছির বিষে রয়েছে মেলিটিন নামের একটি পেপটাইড উপাদান। বিষে যে ব্যাথাটা হয় তার একটা বড় কারণ এই মেলিটিন। এলির শরীরে যখন বিষের সাথে মেলিটিন প্রবেশ করলো তখন তা মুখোমুখি হলো রক্তে ভেসে থাকা মিলিয়ন বিলিয়ন বোরেলিয়া ব্যাকটেরিয়ার। মেলিটিনের সংস্পর্শে আসা মাত্রই ব্যাকটেরিয়া গুলো প্যারালাইজড হয়ে গেলো। কোষের বাইরের পর্দা দ্রুত গলে যেতে লাগলো আর গণহারে মারা পড়তে লাগলো শয়তান বোরেলিয়া।
এভাবেই মৌমাছির বিষ সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুললো জীবনের আশা ছেড়ে দেয়া এলি লোবেলকে। 🌸
সুস্থ হবার পর এলি লাইম ডিজিজের প্রতিষেধক হিসেবে মৌমাছির বিষ ব্যবহারের ওপর ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেন। যোগাযোগ করেন বী ফার্ম থেকে লাইম ডিজিজের গবেষকসহ অনেকের সাথে। তাঁর প্রচেষ্টায় এই অদ্ভুত প্রতিষেধক আলোর মুখ দেখে। বিজ্ঞানীরা এখন চেষ্টা চালাচ্ছেন কিভাবে মেলিটিন এক্সট্রাক্ট করে বোরেলিয়া সম্পূর্ণ ধ্বংস করা যায়। পুরো বিষয়টি এখন গবেষণার পর্যায়ে আছে।
প্রকৃতি আমাদের জন্য এখনো অবাক হওয়ার উপাদান জমিয়ে রেখেছে। ক্ষণে ক্ষণে সারপ্রাইজ!
তাই কেউ বেঁচে থাকার আশা নিয়ে প্ল্যানমাফিক দিন শুরু করলেও দিনশেষে দেখা যায় সে মর্গে এককোণায় পড়ে আছে।
আর কেউবা জড় হয়ে বেঁচে থাকতে চায়না বলে মৃত্যুর কাছে ধর্ণা দিলেও দেখা যায় হুট করে একদিন সে হেসেখেলে বেড়াচ্ছে মুক্ত পাখির মতন!
প্রকৃতি সারপ্রাইজে ভরা। জীবনও সারপ্রাইজে ভরা। কখন কী আসে বলা যায়না।
তাই হাল ছাড়া যাবেনা। ❤️
কারণ এই দুঃখভরা ব্যাকটেরিয়ার সাগরে আপনাকে উদ্ধার করতে বিষাক্ত মৌমাছি হয়তো চলে আসতেও পারে - কেই বা বলতে পারে?

#কালেক্টেডফ্রম শত্রুঘ্ন_অর্পিত

Address

Dhaka
1900,1901,1902

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Zakir Hosen - জাকির হোসেন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Zakir Hosen - জাকির হোসেন:

Share