রুপকথা

রুপকথা সত্যের পথে চলে হালাল উপার্জন করবো। আমাকে সাপোর্ট করে সঙ্গে থাকবেন। ধন্যবাদ

মৎস্যকন্যা ও রাখালের ভালোবাসার গল্পসাগরের গভীরে বাস করত এক মৎস্যকন্যা, যার নাম ছিল নীরা। নীরা ছিল স্বপ্নবিলাসী, কিন্তু ম...
25/11/2024

মৎস্যকন্যা ও রাখালের ভালোবাসার গল্প

সাগরের গভীরে বাস করত এক মৎস্যকন্যা, যার নাম ছিল নীরা। নীরা ছিল স্বপ্নবিলাসী, কিন্তু মানুষ সম্পর্কে তার কোনো ধারণা ছিল না। সমুদ্রের তলদেশে তার দিন কাটত প্রবাল আর মাছেদের সঙ্গে খেলাধুলা করে। তবে তার মনে সবসময় এক অদ্ভুত টান ছিল উপরের পৃথিবীর প্রতি।

একদিন নীরা সমুদ্রের ওপরে উঠে এলো। সেখানে সে দেখল এক ঝড় উঠেছে। ঢেউগুলো প্রচণ্ড গর্জন করছে, আর তীরে কাছাকাছি একটি নৌকা ডুবে যাচ্ছে। নীরার চোখে পড়ল এক যুবককে, যিনি প্রাণপণে বাঁচার চেষ্টা করছেন। যুবকটি ছিল গ্রামের এক রাখাল, যার নাম ছিল রিদয়। রিদয় কোনোভাবে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিল, কিন্তু ঢেউয়ের তাণ্ডব তাকে টেনে নিচ্ছিল।

নীরা নিজেকে আটকাতে পারল না। সে ঝাঁপিয়ে পড়ল এবং রিদয়কে ডুব থেকে রক্ষা করল। নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে তাকে টেনে সমুদ্রের তীরে পৌঁছে দিল। রিদয় তখন অচেতন। নীরা তার পাশে বসে চুপচাপ দেখল। মানুষের এই মুখ তার জীবনে প্রথম দেখা। সেই মুহূর্তে সে অনুভব করল, এই মানুষটি তার হৃদয়ে বিশেষ কিছু করে দিয়েছে।

যখন রিদয়ের জ্ঞান ফিরল, তখন সে দেখল নিজের চারপাশে সাগরের বালি আর আকাশ। নীরা লুকিয়ে গিয়েছিল, কারণ সে জানত না কীভাবে মানুষের সামনে আসবে। কিছুক্ষণ দূরে দাঁড়িয়ে থেকে সে দেখে নিল রিদয় ঠিক আছে কি না।

তারপর থেকে নীরা প্রতিদিন সমুদ্রের কাছাকাছি আসত। রিদয়ও প্রতিদিন সমুদ্রতীরে এসে বসত। একদিন নীরা সাহস করে রিদয়ের সামনে এল। রিদয় প্রথমে হতবাক হলেও নীরার মিষ্টি মুখ দেখে তার সব ভয় কেটে গেল। তারা কথা বলতে শুরু করল।

নীরা জানাল সে সমুদ্রের গভীরের বাসিন্দা। রিদয় জানাল সে গ্রামের একজন সাধারণ রাখাল। তাদের মধ্যে কথা বাড়তে থাকল। দিনের পর দিন এই কথোপকথন থেকে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠল।

সময়ের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব গভীর ভালোবাসায় রূপ নিল। নীরা অনুভব করল, রিদয় তার জীবনে এক নতুন আলো নিয়ে এসেছে। আর রিদয় বুঝল, নীরা তার জন্য শুধু একজন মৎস্যকন্যা নয়, তার হৃদয়ের পরিপূর্ণতা।

কিন্তু তাদের এই ভালোবাসার পথ সহজ ছিল না। সমুদ্রের গভীরে নীরার এই সম্পর্কের খবর পৌঁছে গেল। সমুদ্রের রাণী, নীরার মা, এতে প্রচণ্ড রেগে গেলেন। তিনি নীরাকে সতর্ক করে বললেন, "মানুষের সঙ্গে মৎস্যকন্যার সম্পর্ক সম্ভব নয়। এটা আমাদের নিয়মের বিরুদ্ধে।"

নীরা কাঁদতে কাঁদতে বলল, "মা, আমি রিদয়কে ভালোবাসি। আমি তার সঙ্গেই থাকতে চাই।"

রাণী কঠোর স্বরে বললেন, "তুমি যদি এই সম্পর্ক চালিয়ে যাও, তবে তোমাকে সমুদ্রের রাজ্য ছাড়তে হবে।"

নীরা বুঝতে পারল, তার ভালোবাসার জন্য তাকে বড় ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। সে জানত, রিদয়ের সঙ্গে থাকতে গেলে তাকে তার জগত ছেড়ে মানুষের জগতে যেতে হবে।

অন্যদিকে, রিদয়ও গ্রামে অনেক বাধার সম্মুখীন হচ্ছিল। গ্রামের মানুষ তাকে বলল, "এক মৎস্যকন্যার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে তুমি আমাদের সংস্কার লঙ্ঘন করছ। এভাবে চলতে পারে না।"

কিন্তু রিদয় সবার কথা উপেক্ষা করে বলল, "ভালোবাসা কোনো সীমা মানে না। নীরা আমার জীবন। আমি তাকে ছেড়ে থাকতে পারব না।"

নীরা ঠিক করল, সে সমুদ্রের রাণীর কাছে যাবে। সে তার মাকে বলল, "আমি আমার ভালোবাসার জন্য সব কিছু ছাড়তে রাজি। দয়া করে আমাকে একজন মানুষ করে দাও, যাতে আমি রিদয়ের সঙ্গে থাকতে পারি।"

রাণী প্রথমে রাজি হচ্ছিলেন না, কিন্তু মেয়ের সত্যিকারের ভালোবাসা দেখে তিনি নরম হয়ে গেলেন। তিনি বললেন, "মানুষে পরিণত হলে তুমি কখনো সমুদ্রে ফিরে আসতে পারবে না। এটা বুঝে তবেই আমি তোমাকে এই সুযোগ দেব।"

নীরা রাজি হলো। রাণী তার জাদুর শক্তি ব্যবহার করে নীরাকে একজন মানুষের রূপ দিলেন।

নীরা তীরে এসে রিদয়ের সামনে দাঁড়াল। রিদয় তাকে দেখে অবাক হয়ে গেল। সে বুঝল, নীরা তার ভালোবাসার জন্য সব কিছু ত্যাগ করেছে।

তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরল। তাদের ভালোবাসা সব বাধা পেরিয়ে নতুন জীবনে প্রবেশ করল। নীরা আর রিদয় একসঙ্গে গ্রামের জীবন শুরু করল। নীরা মানুষের জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠল, আর রিদয় তার ভালোবাসা দিয়ে নীরার প্রতিটি মুহূর্তকে পূর্ণ করে তুলল।

নীরা ও রিদয়ের এই গল্প প্রমাণ করল, সত্যিকারের ভালোবাসা সবকিছুকে জয় করতে পারে। ত্যাগ, সাহস আর হৃদয়ের টানে এক অসম্ভব সম্পর্কও বাস্তবে রূপ নেয়। তাদের ভালোবাসা সাগরের ঢেউয়ের মতো চিরন্তন হয়ে রইল।

ভালো লাগলে একটা লাইক ও ফলো করে পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ

বিশাল এক পাহাড়ের উপরে এক ঈগল বাসা বানিয়েছিলো। ঈগলের বাসায় ছিলো তার চার চারটি ডিম। প্রতিদিন সকালে সে এগুলো রেখে খাবারের খ...
29/10/2024

বিশাল এক পাহাড়ের উপরে এক ঈগল বাসা বানিয়েছিলো। ঈগলের বাসায় ছিলো তার চার চারটি ডিম। প্রতিদিন সকালে সে এগুলো রেখে খাবারের খোঁজে উড়ে যেত।

একদিন ঈগল যখন বাসার বাইরে ছিলো তখন ভূমিকম্পে গোটা পাহাড় নড়ে উঠলো। এতে ঈগলের একটি ডিম বাসা থেকে ছিটকে পরে গেল। গড়াতে গড়াতে সেই ডিম এসে পড়লো পাহাড়ের নিচের এক মুরগীর বাসার উঠোনে ।

মুরগী সেই ডিমটিকে নিজের বাসায় নিয়ে এলো। অন্যান্য ডিমের সাথে রাখলো। যত্ন করে তা দিতে থাক...লো। একদিন সেই ডিম ফুটে ঈগলের একটি সুন্দর বাচ্চাও বের হলো। মুরগীর বাচ্চাদের সাথেই ঈগলের বাচ্চাটি বড় হয়ে উঠতে লাগলো।

কিন্তু সে ভেতর থেকে যে সবসময় অন্য কিছু অনুভব করতো। আকাশে একদিন ঈগলের একটা ঝাঁককে উড়ে বেড়াতে দেখে সে মুরগীকে বললো, ইস, যদি আমিও তাদের মত উড়ে বেড়াতে পারতাম। মুরগী হেসে উত্তর দিলো, তুমি কিভাবে উড়বে? তুমি তো মুরগী এবং মুরগী কখনো উড়ে না।

ঈগল মাঝে মাঝেই তার স্বগোত্রীয়দের উড়ে বেড়াতে দেখতো এবং স্বপ্ন দেখতো সেও তাদের মতই উড়ে বেড়াবে।

কিন্তু প্রতিবার সে তার স্বপ্নের কথা জানালে মুরগী বলতো যে এটা একেবারেই অসম্ভব। মুরগীর এই কথাটিই ঈগল বিশ্বাস করতে শিখলো এবং তার জীবনটা বাকী মুরগীদের মতই কাটিয়ে দিলো। অনেক দিন এভাবে কাটানোর পর একদিন সে মারাও গেল।

আসলে আমাদের জীবনেও এটা চরমতম সত্য। তুমি যা বিশ্বাস করতে শেখো একদিন তুমি তাই হয়ে উঠবে। তাই তুমি যদি ঈগলের মত উড়ার স্বপ্ন দেখো, তবে সেই স্বপ্নকেই অনুসরন করো। মুরগীর কথায় কান দিতে যেও না.

সমুদ্রের মাঝখানে এক জাহাজ প্রচন্ড ঝড়ের মধ্যে পরে লন্ডভন্ড হয়ে গেল। সেই জাহাজের বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী ভাসতে ভাসতে এক নির্...
29/10/2024

সমুদ্রের মাঝখানে এক জাহাজ প্রচন্ড ঝড়ের মধ্যে পরে লন্ডভন্ড হয়ে গেল। সেই জাহাজের বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী ভাসতে ভাসতে এক নির্জন দ্বীপে এসে পৌছালো। জ্ঞান ফেরার পর প্রথমেই সে আল্লাহর কাছে প্রানখুলে ধন্যবাদ জানালো তার জীবন বাঁচানোর জন্যে। প্রতিদিন সে দ্বীপের তীরে এসে বসে থাকতো যদি কোনো জাহাজ সেদিকে আসে এই আশায়।কিন্তু প্রতিদিনই তাকে হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হতো।এরই মধ্যে সে সমুদ্রতীরে তার জন্যে একটা ছোট ঘর তৈরী করে ফেললো। সমুদ্রের মাছ ধরে এবং বন থেকে ফলমূল শিকার সে বেঁচে থাকলো।

এরই মধ্যে সে একদিন খাবারের খোঁজে বনের মধ্যে গেল। বন থেকে সে যখন ফিরে এলো তখন দেখলো যে তার রান্না করার চুলা থেকে আগুন লেগে পুরো ঘরটিই ছাই হয়ে গিয়েছে এবং তার কালো ধোঁয়ায় আকাশ ভরে গিয়েছে।লোকটি চিৎকার করে উঠলো,

‘হায় আল্লাহ,তুমি আমার ভাগ্যে এটাও রেখেছিলে!’

পরদিন সকালে এক জাহাজের আওয়াজে তার ঘুম ভাঙলো।জাহাজটি সেই দ্বীপের দিকে তাকে উদ্ধার করার জন্যই আসছিলো। সে অবাক হয়ে বললো,

‘তোমরা কিভাবে জানলে যে আমি এখানে আটকা পরে আছি!’

জাহাজের ক্যাপ্টেন জানালো,‘তোমার জ্বালানো ধোঁয়ার সংকেত দেখে।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রুপকথা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share