TheVoice of DarAl-Arqam

TheVoice of DarAl-Arqam Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from TheVoice of DarAl-Arqam, Digital creator, Dhaka.

আল্লাহ তায়ালা বলেন:

"তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা উচিত যারা আহ্বান করবে কল্যাণের দিকে, নির্দেশ দিবে সৎকাজের এবং নিষেধ করবে মন্দ কাজ থেকে। আর তারাই হবে সফলকাম।"
— (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১০৪)

জুম্মার দিনের সুন্নাহসমূহ ও ফজিলত হাদিসের আলোকে!জুম্মার দিন সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলিমদের জন্য ই...
04/10/2024

জুম্মার দিনের সুন্নাহসমূহ ও ফজিলত হাদিসের আলোকে!

জুম্মার দিন সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনটি মুসলিমদের জন্য ইবাদত ও আল্লাহর কাছাকাছি যাওয়ার একটি বিশেষ সুযোগ। জুম্মার দিনে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যে সুন্নাহগুলো পালন করতেন, সেগুলো আমাদেরও পালন করা উচিত। আসুন, জুম্মার দিনের সুন্নাহ ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।

১. আগেভাগে মসজিদে প্রবেশ করা
জুম্মার দিনে মসজিদে আগে প্রবেশ করা একটি ফজিলতপূর্ণ আমল। যারা আগে মসজিদে আসে, তাদের জন্য আল্লাহ বিশেষ পুরস্কার রেখেছেন।
হাদিস:
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
"যখন জুম্মার দিন হয়, তখন ফেরেশতারা মসজিদের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে যায় এবং একে একে আগত লোকদের নাম লিখতে থাকে। যারা আগে আসেন, তাদের নাম প্রথমে লিখে। প্রথম আসা ব্যক্তি যেন একটি উট কোরবানি করল, এরপর আসা ব্যক্তি যেন একটি গরু কোরবানি করল, এরপর আসা ব্যক্তি যেন একটি ভেড়া কোরবানি করল, তারপর যেই আসবে, সে যেন একটি ডিম কোরবানি করল। আর যখন ইমাম (মিম্বারে) উঠে খুতবা দিতে শুরু করেন, তখন ফেরেশতারা তাদের বই বন্ধ করে খুতবা শুনতে বসে যায়।"
— সহীহ বুখারী ৯২৯, সহীহ মুসলিম ৮৫০
ব্যাখ্যা:
এই হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, যারা আগে মসজিদে আসে, তাদের জন্য আল্লাহর কাছ থেকে বিশেষ প্রতিদান নির্ধারিত আছে। প্রথম আগতদের জন্য কোরবানির সওয়াবের মতো ফজিলত রয়েছে, যা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তাই, জুমার দিন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মসজিদে উপস্থিত হওয়া উচিত।

২. গোসল করা
জুম্মার দিনে গোসল করা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ। রাসূলুল্লাহ (সা.) এই দিনে বিশেষভাবে গোসল করতেন এবং সাহাবীদেরও তা করতে উৎসাহিত করতেন।
হাদিস:
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
"যে ব্যক্তি জুম্মার দিনে গোসল করে, যতটুকু সম্ভব পরিষ্কার হয়, চুলে তেল লাগায় বা ঘরে থাকা সুগন্ধি ব্যবহার করে, এরপর মসজিদে যায় এবং ইমামের খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনে এবং চুপ থাকে, তার জন্য পূর্ববর্তী জুম্মা থেকে বর্তমান জুম্মা পর্যন্ত সমস্ত ছোট গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।"
— সহীহ বুখারী ৮৮৩
এই হাদিসের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, জুমার দিনে গোসল করা শুধু সুন্নাহ নয়, বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কারের কারণও।

৩. পরিষ্কার পোশাক পরিধান করা
জুম্মার দিন উত্তম পোশাক পরিধান করা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর একটি সুন্নাহ। তিনি মসজিদে যাওয়ার আগে পরিষ্কার পোশাক পরতেন।
হাদিস:
ইয়াযীদ ইবনু খালিদ ও মূসা ইবনু ইসমাঈল ..... আবূ সালামা ও আবূ উমামা থেকে আবূ সাঈদ (রাঃ) ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর সূত্রে বর্ণিত। তারা উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমুআর দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধাণ করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে যদি তার নিকট থাকে। অতঃপর জুমুআর নামাযে আসে এবং অন্য মুসল্লীদের গায়ের উপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়, নির্ধারিত নামায আদায় করে, অতঃপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর হতে নামায সমাপ্তি পর্যন্ত চুপ করে থাকে; তবে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমুআর দিন হতে পরের জুমুআর দিন পর্যন্ত সমস্ত সগীরা গুনাহর জন্য কাফফারা হবে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আরো অতিরিক্ত তিন দিনের সগীরা গুনাহে্র কাফফারা হবে। তিনি আরো বলেন, একটি ভাল কাজের পরিবর্তে কমপক্ষে দশগুণ ছওয়াব দান করা হবে। -সুনান আবূ দাউদ ৩৪৩
এই হাদিস থেকে বোঝা যায় যে জুমার দিন আল্লাহর দরবারে পরিষ্কার ও সুন্দরভাবে উপস্থিত হওয়া এক বিশেষ পুরস্কারের মাধ্যম।

৪. মিসওয়াক করা (দাঁত পরিষ্কার করা)
মিসওয়াক করা একটি বিশেষ সুন্নাহ এবং জুম্মার দিনে এটি করতে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে।
হাদিস:
আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
"জুম্মার দিনে মিসওয়াক করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি ইবাদতের আগ্রহ বৃদ্ধি করে।"
— সহীহ মুসলিম ৮৫৪
জুমার দিন ইবাদতের জন্য বিশেষ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মিসওয়াক করার গুরুত্ব হাদিস থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়।

৫. সুগন্ধি ব্যবহার করা
জুম্মার দিন সুগন্ধি ব্যবহার করা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রিয় আমলগুলোর একটি ছিল।
হাদিস:
আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
"যে ব্যক্তি জুম্মার দিনে সুগন্ধি ব্যবহার করে মসজিদে যায়, সে যেন সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে।"
— সহীহ বুখারী ৮৮১
সুগন্ধি ব্যবহার ইবাদতের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং এটি মুসলিমদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্মান বৃদ্ধি করে।

৬. খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং চুপ থাকা
খুতবার সময় মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং চুপ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হাদিস:
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “জুমার দিন ইমাম খোতবাদানকালে আপনি যদি পাশের কাউকে বলেন:‘চুপ থাকুন’ তাহলে আপনি জুমার সওয়াব নষ্ট করে দিলেন।” -সহিহ বুখারি (৮৯২) ও সহিহ মুসলিম (৮৫১)
এই হাদিসের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, খুতবার সময় কোনও ধরনের কথাবার্তা বা মনোযোগের বিঘ্ন ঘটানো উচিত নয়। খুতবার প্রতি মনোযোগ দেওয়া আমাদের ইবাদতের অংশ।

৭. সূরা কাহফ তিলাওয়াত করা
জুমার দিনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ হলো সূরা কাহফ তিলাওয়াত করা। এই সূরার বিশেষ ফজিলত রয়েছে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের পাশাপাশি আখিরাতের জন্যও উপকারী। বিশেষ করে, দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষার জন্য সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত আয়াতের তিলাওয়াত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হাদিস:
আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
"যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহফ তিলাওয়াত করে, তার জন্য দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ে নূর (আলো) থাকবে।"
— সহীহ মুসলিম ৮৭৪
এই হাদিসের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, সূরা কাহফ তিলাওয়াত করা জুমার দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ, যা দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ে পথপ্রদর্শক নূর বা আলো সরবরাহ করে।

দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষার ক্ষেত্রেও সূরা কাহফের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বিশেষভাবে এ সূরার প্রথম দশ আয়াত তিলাওয়াত করতে উৎসাহিত করেছেন, যা দাজ্জালের ফিতনা থেকে আমাদের রক্ষা করবে।

হাদিস:
আবু দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
"যে ব্যক্তি সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা পাবে।"
— সহীহ মুসলিম ৮০৯
এই হাদিসের মাধ্যমে স্পষ্ট হয় যে, দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার জন্য সূরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তাই, শুধু জুমার দিনে নয়, দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষার জন্যও সূরা কাহফ নিয়মিত তিলাওয়াত করা উচিত।

৮. দোয়া করা
জুম্মার দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন আল্লাহ বান্দার কোন দোয়া প্রত্যাখ্যান করেন না।
হাদিস:
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
"জুম্মার দিনে এমন একটি সময় রয়েছে, যখন কোন মুসলিম বান্দা আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ তাকে তা দিয়ে দেন।"
— সহীহ বুখারী ৯৩৫, সহীহ মুসলিম ৮৫২

কিছু বর্ণনায় এই বিশেষ মুহূর্ত আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত বলা হয়েছে:
হাদিস:
"জুম্মার দিন আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিবের আগে যে সময়ে দোয়া করা হয়, তা আল্লাহর নিকট বিশেষভাবে কবুল হয়।"
— তিরমিজি ৪৮৯

এই ছিল জুম্মার দিনের সুন্নাহ ও এর ফজিলত সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আল্লাহ তাআলা আমাদের এই সুন্নাহগুলো পালন করার তাওফিক দিন এবং জুম্মার দিনকে সর্বোত্তমভাবে কাজে লাগানোর তাওফিক দান করুন আমিন।

পোস্টটি শেয়ার করে সকলকে জুম্মার দিনের ফজিলতের ব্যাপারে জানিয়ে দিন!

যে নবী (ﷺ)-কে গালি দেয় তার সম্পর্কিত বিধান ?কুরআনে রাসূল (সা.) কে অবমাননা করার ব্যাপারে সরাসরি উল্লেখ আছে এবং এটি গুরুতর...
25/09/2024

যে নবী (ﷺ)-কে গালি দেয় তার সম্পর্কিত বিধান ?

কুরআনে রাসূল (সা.) কে অবমাননা করার ব্যাপারে সরাসরি উল্লেখ আছে এবং এটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। কিছু উল্লেখযোগ্য আয়াত নিচে দেওয়া হলো:

১. সুরা আহজাব (৩৩:৫৭)
"যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে আক্রমণ করে, আল্লাহ তার জন্য দুনিয়া ও আখেরাতে শাস্তি প্রণয়ন করেছেন।"

২. সুরা আল-হুজরাত (৪৯:১১)
"হে বিশ্বাসীগণ! কোনো সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়কে উপহাস না করুক।"

৩. সুরা আল-আনফাল (৮:৬১)
"এবং যদি তারা শান্তির দিকে ঝুঁকে পড়ে, তবে তুমি তাদের জন্য শান্তি আনতে প্রস্তুত থাকো।"

এই আয়াতগুলো থেকে বোঝা যায় যে রাসূলের সম্মান রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাঁর বিরুদ্ধে অপমান বা আক্রমণ করা মুসলিমদের জন্য অগ্রহণযোগ্য।

এছাড়া, ইসলামী ঐতিহ্যে রাসূলের সম্মান রক্ষা করা এবং তাঁকে অবমাননা করার শাস্তি অত্যন্ত কঠোর। ইসলামে রাসূলের মর্যাদা ও গুরুত্বের কারণে এ বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

যে নবী (ﷺ)-কে গালি দেয় তার সম্পর্কিত বিধান

হাদিসের নাম্বারঃ- ৪৩৬১
ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। জনৈক অন্ধ লোকের একটি উম্মু ওয়ালাদ’ ক্রীতদাসী ছিলো। সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গালি দিতো এবং তাঁর সম্পর্কে মন্দ কথা বলতো। অন্ধ লোকটি তাকে নিষেধ করা সত্ত্বেও সে বিরত হতো না। সে তাকে ভৎর্সনা করতো; কিন্তু তাতেও সে বিরত হতো না। এক রাতে সে যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গালি দিতে শুরু করলো এবং তাঁর সম্পর্কে মন্দ কথা বলতে লাগলো, সে একটি একটি ধারালো ছোরা নিয়ে তার পেটে ঢুকিয়ে তাতে চাপ দিয়ে তাকে হত্যা করলো। তার দু’ পায়ের মাঝখানে একটি শিশু পতিত হয়ে রক্তে রঞ্জিত হলো। ভোরবেলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘটনাটি অবহিত হয়ে লোকজনকে সমবেত করে বলেনঃ আমি আল্লাহর কসম করে বলছিঃ যে ব্যক্তি একাজ করেছে, সে যদি না দাঁড়ায় তবে তার উপর আমার অধিকার আছে।

একথা শুনে অন্ধ লোকটি মানুষের ভিড় ঠেলে কাঁপতে কাঁপতে সামনে অগ্রসর হয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে এসে বসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি সেই নিহত দাসীর মনিব। সে আপনাকে গালাগালি করতো এবং আপনার সম্পর্কে অপমানজনক কথা বলতো। আমি নিষেধ করতাম; কিন্তু সে বিরত হতো না। আমি তাকে ধমক দিতাম; কিন্তু সে তাতেও বিরত হতো না। তার গর্ভজাত মুক্তার মতো আমার দু’টি ছেলে আছে, আর সে আমার খুব প্রিয়পাত্রী ছিলো। গত রাতে সে আপনাকে গালাগালি শুরু করে এবং আপনার সম্পর্কে অপমানজনক কথা বললে, আমি তখন একটি ধারালো ছুরি নিয়ে তার পেটে স্থাপন করে তাতে চাপ দিয়ে তাকে হত্যা করে ফেলি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা সাক্ষী থাকো, তার রক্ত বৃথা গেলো।[1]

সহীহ।

যে নবী (ﷺ)-কে গালি দেয় তার সম্পর্কিত বিধান

হাদিসের নাম্বারঃ-৪৩৬৩
৪৩৬৩। আবূ বারযাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আবূ বকর (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন তিনি একটি লোকের প্রতি খুবই ক্রোধান্বিত হলেন। আমি তাকে বললাম, হে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খলীফাহ! আমাকে অনুমতি দিন, তাকে হত্যা করি। তিনি বলেন, আমার একথায় তার ক্রোধ দূর হলো। তিনি উঠে বাড়ির ভেতরে চলে গেলেন।

অতঃপর তিনি লোক পাঠিয়ে আমাকে (ডেকে নিয়ে) র্প্রশ্ন করেন, তুমি এইমাত্র কি বলেছ? আমি বললাম, আমাকে অনুমতি দিন, আমি তাকে হত্যা করি। তিনি প্রশ্ন করেন, আমি যদি তোমাকে আদেশ করতাম, তুমি কি তাই করতে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, না আল্লাহর কসম! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরে অন্য কোনো মানবের এ অধিকার নেই।

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এই মূল পাঠ বর্ণনাকারী ইয়াযীদের। আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে তিনটি অপরাধের কোনটিতে লিপ্ত ব্যক্তিকে হত্যা করার কথা বলেছেন, তাদের ছাড়া অন্য কাউকে হত্যা করা আবূ বকরের জন্য বৈধ নয়ঃ কেউ ধর্ম ত্যাগ করলে, বিবাহিত ব্যক্তি যিনা করলে এবং নিরপরাধ ব্যক্তির হত্যাকারী। তবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হত্যা করার কর্তৃত্ব ছিলো।[1]

সহীহ।

🌟 ইসলামের সৌন্দর্য আবিষ্কার করুন 🌟আসসালামু আলাইকুম.বিশ্বের পরিবর্তনশীল এবং চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে শান্তি এবং উদ্দেশ্য খ...
11/09/2024

🌟 ইসলামের সৌন্দর্য আবিষ্কার করুন 🌟

আসসালামু আলাইকুম.

বিশ্বের পরিবর্তনশীল এবং চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে শান্তি এবং উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম তার শিক্ষার মাধ্যমে গভীর নির্দেশনা এবং প্রশান্তি প্রদান করে। আমাদের সাথে যুক্ত হোন এবং সত্য ধর্মের চিরন্তন জ্ঞান ও দয়া আবিষ্কার করুন।

🔹 ইসলাম কী শিক্ষা দেয়:

তাওহীদ (আল্লাহর একত্ব): আল্লাহর একত্ব এবং মহিমা উপলব্ধি করুন, যিনি একমাত্র সত্তা।

নবুওয়াত: নবী মুহাম্মদ (সঃ)-এর জীবন ও শিক্ষার মাধ্যমে শিখুন, যিনি মানবজাতির জন্য রহমতস্বরূপ পাঠানো হয়েছেন।

দয়া ও ন্যায়: ইসলাম কিভাবে সকল সৃষ্টির প্রতি দয়া, ন্যায়বিচার এবং সহানুভূতির প্রতি উৎসাহিত করে তা আবিষ্কার করুন।

উদ্দেশ্য এবং নির্দেশনা: কুরআন ও সুন্নাহের মাধ্যমে জীবনের উদ্দেশ্য এবং পথনির্দেশনা খুঁজুন, যা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শান্তি এবং নির্দেশনা প্রদান করে।

🔹 ইসলাম অনুসন্ধানের কারণ:

আধ্যাত্মিক পরিতৃপ্তি: ইবাদত এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে একটি গভীর সংযোগ এবং শান্তির অভিজ্ঞতা লাভ করুন।

সম্প্রদায় এবং সমর্থন: একটি বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত হন, যা একত্রিত বিশ্বাস এবং মূল্যবোধ দ্বারা গঠিত, এবং সমর্থন ও সঙ্গ প্রদান করে।

ব্যক্তিগত উন্নয়ন: এমন শিক্ষার সাথে যুক্ত হোন যা ব্যক্তিগত উন্নয়ন, নৈতিক জীবনযাপন, এবং সামাজিক দায়িত্বের প্রতি প্রেরণা দেয়।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমআসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আল্লাহর নামে শুরু করছি। ...
04/09/2024

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু,

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আল্লাহর নামে শুরু করছি। আমাদের পেইজে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি, এখানে আমরা পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ইসলামি শিক্ষা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ নিয়ে আলোচনা করে থাকি। এখানে আপনি পাবেন মৌলিক ভিডিও ও পোস্ট ।যা আপনাকে আপনার ঈমানকে দৃঢ় করতে এবং আল্লাহর পথে চলার অনুপ্রেরণা দেবে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন:

"তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা উচিত যারা আহ্বান করবে কল্যাণের দিকে, নির্দেশ দিবে সৎকাজের এবং নিষেধ করবে মন্দ কাজ থেকে। আর তারাই হবে সফলকাম।"
— (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১০৪)

আরও একটি আয়াত:

"তোমরা মানুষকে সৎকাজের আদেশ দাও এবং মন্দকাজ থেকে বিরত রাখো এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখো।"
— (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১১০)

আল্লাহ আরও বলেন:

"আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মধ্যেই একজন সতর্ককারী ছিল।"
— (সূরা ফাতির, আয়াত ২৪)

একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা:

"তোমরা উত্তম কথার মাধ্যমে তোমাদের পালনকর্তার পথে দাওয়াত দাও এবং তাদের সাথে উত্তম পন্থায় তর্ক করো।"
— (সূরা নাহল, আয়াত ১২৫)

আরও একটি আয়াত:

"তুমি তোমার পালনকর্তার পথে আহ্বান কর প্রজ্ঞা ও উত্তম উপদেশসহ।"
— (সূরা আন-নাহল, আয়াত ১২৫)

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

"যে ব্যক্তি ইসলামে ভালো কোনো কাজের প্রচলন করলো, তার জন্য রয়েছে সে কাজের পুরস্কার এবং যারা তা অনুসরণ করে তাদের পুরস্কারও (তাদের পুরস্কারের কোনো কমতি না ঘটিয়ে)।"
— (সহীহ মুসলিম ১০১৭)

আরও একটি হাদিস:

"তোমরা সবাই পথপ্রদর্শক এবং তোমাদের সবাইকে তোমাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।"
— (সহীহ বুখারি ৫২০০)

আরও একটি হাদিস:

"যে ব্যক্তি ভালো কিছু শেখায় এবং তাকে অনুসরণ করা হয়, তার জন্য প্রতিটি অনুসরণকারীর আমলের সমপরিমাণ পুরস্কার রয়েছে।"
— (তিরমিজি ২৬৭৬)

আসুন, আমরা সবাই ইসলামের সঠিক দিকনির্দেশনা অনুসরণ করি এবং আমাদের জীবনকে আলোকিত করি। আমাদের সাথে থাকুন, শেয়ার করুন এবং ইসলামি দাওয়াতের এই মহৎ কাজে অংশ নিন।

আল্লাহ আমাদের সবার ঈমানকে মজবুত করুন এবং আমাদেরকে তাঁর সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত করুন। আমীন।

AminRabiul Islam Ibn MannanSylhet A2ZAbu Ibrahim KholilRokonuzzamanElias AminRashedul Islam

Address

Dhaka
1219

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when TheVoice of DarAl-Arqam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share