31/08/2024
দ্য ডার্ক কালচার অব জাপান।। জাপানিজরা কি পৃথিবী থেকে হারিয়ে যেতে চলেছে?
জাপান,যেখানে বিগত ছয় মাসে ৪০,০০০ লোক একাকী মৃত্যুবরণ করে!জাপান,যেখানে সন্তান জন্ম দিতে উৎসাহিত করতে প্রদান করা হয় টাকা!
**মানুষ সামাজিক জীব। তবে জেনে অবাক হবেন, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে জাপানে নিজ বাড়িতে একাকী মারা গেছেন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। এদের মধ্যে ৪ হাজার ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে মৃত্যুর ১ মাস পর। এছাড়া ১৩০ জনকে পাওয়া গেছে মৃত্যুর ১ বছর পর। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।জাতিসংঘের হিসাব মতে, বর্তমানে পৃথিবীতে জাপানেই সবচেয়ে বেশি বয়স্ক মানুষ বসবাস করে।
বাংলাদেশের কালচারের সাথে তুলনা করে নিঃসন্দেহে আমরাই সেরা। সমাজে বসবাসকারী প্রতিটি চেনা-অচেনা মানুষের সাথে চায়ের দোকান হোক কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, বেশি হোক কিংবা কম,পত্যক্ষ হোক কিংবা পরোক্ষভাবে যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা করি। মা-বাবা,স্ত্রী,সন্তান এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে বলা চলে সারাজীবন কাটিয়ে দিতে পারলে বাঁচি!
আমাদের দেশে, যত গরিব পরিবারই হোক,বংশগতির ধারা অব্যাহত রাখতে নিম্নে দুই সন্তান সবাই নিতে চায়।জাপান বিশ্বের অন্যতম ধনী হওয়া সত্ত্বেও,জাপান সরকারের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ৬০ শতাংশ উত্তরদাতারা মনে করেন যে জাপানে সন্তানের বাবা-মা হওয়া কঠিন। সন্তান লালনের খরচ জোগাড় করার পাশাপাশি জাপানি কর্মসংস্কৃতির তীব্র চাহিদাগুলো পূরণ করতে অনেককে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। তারা ক্যারিয়ার, পদোন্নতি নিয়ে এতটাই চিন্তিত যে পরিবার শুরু করার ব্যাপারে কথা বলার সুযোগই অনেকে পায় না।
**আপনি জেনে অবাক হবেন, যেখানে বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, চীনের মতো দেশগুলো জনসংখ্যার ভারে ‘হেলে’ পড়ছে সেখানে
জাপানে শিশুজন্মের হার কমতে কমতে ২০ বছর পর কোনো কোনো শহরে শূন্যের ঘরে চলে আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এভাবে সন্তান নিতে তরুণ দম্পতিদের উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি সন্তান প্রতিপালনে ব্যয়, স্কুলের খরচ, বিনা খরচে ছুটি কাটাতে ঘুরে বেড়ানো ও আবাসনে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে।
তরুণ দম্পতিদের সন্তান নিতে উৎসাহ দিতে জাপানের স্থানীয় সরকারগুলো নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে নাগি শহর যেন কিছুটা বেশি এগিয়ে। ওকাইয়ামা বিভাগের কাতসুতা জেলার একটি শহর নাগি।আজ শুক্রবার সিএনএন অনলাইনের খবরে জানানো হয়, নাগিতে সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য দম্পতিদের অর্থ দেওয়া হয়। যত বেশি সন্তান, তত বেশি অর্থ। প্রথম সন্তানের জন্য ১ লাখ ইয়েন বা ৮৭৯ মার্কিন ডলার (প্রায় ৭৩ হাজার ৩৫৮ টাকা), দ্বিতীয় সন্তানের জন্য ১ হাজার ৩৩৫ ডলার (প্রায় ১ লাখ সাড়ে ১১ হাজার টাকা) এবং ধাপে ধাপে পঞ্চম সন্তান পর্যন্ত ৩ হাজার ৫১৮ ডলার ( প্রায় ২ লাখ সাড়ে ৯৩ হাজার টাকা)। ২০০৪ সাল থেকে নাগি এ অর্থ দিয়ে যাচ্ছে।
এতকিছুর পরেও জাপানের জন্মহার গত বছরে ১৮৯৯ সালের পর সর্বনিম্ন।