
29/05/2025
কোরবানি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা ত্যাগ, আনুগত্য ও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পালন করা হয়। তবে এই ইবাদতের প্রস্তুতি হিসেবে রয়েছে আরো কিছু সুন্নাহ। তার মধ্যে একটি হলো জিলহজ মাসের ১ তারিখ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে চুল, নখ বা শরীরের ত্বকের কোনো অংশ না কাটা।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যখন তোমরা জিলহজ মাসের চাঁদ দেখবে এবং তোমাদের কেউ কোরবানি দেওয়ার ইচ্ছা করে, তখন সে যেন তার চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৯৭৭) এই হাদিসের ভিত্তিতে ইসলামি স্কলাররা বলেন, এই আমলটি মুস্তাহাব অর্থাৎ উত্তম, তবে ফরজ নয়।
এই আমলের মাধ্যমে সাধারণ মানুষরা হজ পালনকারীর ইহরাম অবস্থার মতই একটা বাস্তবিক অনুভূতি লাভ করেন।
এই নিষেধাজ্ঞা মূলত তাঁর জন্য প্রযোজ্য, যিনি নিজের অর্থে কোরবানির পশু কিনে তা জবাই করবেন। তবে তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর এই বিধান প্রযোজ্য নয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে কোরবানি করেছেন, কিন্তু এমন কোনো হাদিস নেই যেখানে তিনি তাঁদের চুল-নখ কাটতে নিষেধ করেছেন। সুতরাং, এই আমল কেবল কোরবানিকারীর জন্যই প্রযোজ্য।
অবশ্য কেউ যদি ভুলে বা না জেনে চুল বা নখ কেটে ফেলেন, তাতে তার কোরবানি বাতিল হবে না এবং কোনো কাফফারাও দিতে হবে না। এক্ষেত্রে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে ভবিষ্যতে সতর্ক থাকাই যথেষ্ট।
আবার যদি প্রয়োজন দেখা দেয়, যেমন: নখ ভেঙে যাওয়া, চুল চোখে পড়া বা চিকিৎসার জন্য কাটা প্রয়োজন হয় তবে তা কাটা জায়েজ এবং এতে কোনো গুনাহ নেই।
তাই নবী কারীম (সাঃ) এর সুন্নাহ অনুসরণ করতে চাইলে জিলকদ মাসেই চুল-নখ কেটে নেওয়া উত্তম, যেন জিলহজের প্রথম দশ দিন তা না কাটতে হয়।
#জিলহজ #জিলকদ #চুলকাটারবিধান #দাড়িকাটারবিধান #নখকাটারবিধান #ঈদুলআজহা #দৃষ্টিকোণ