https://www.facebook.com/429159623613931/

Azad, Dhaka (2025)

01/07/2025

মাশা আল্লাহ 🫦

30/06/2025

পহেলা রক্তাক্ত জুলাই📍

26/06/2025

এইচএসসি "২৫ ব্যাচ" এর পরীক্ষার্থীদের জন্য দু'আ আর শুভকামনা রইলো।

ইনশাআল্লাহ, তোমরা ভালো করবে।

26/06/2025

আজকে বাসায় ফিরতে ফিরতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। তাই আর বাসে না উঠে সরাসরি রিকশা নিলাম।

রিকশায় উঠেই তাড়াহুড়ো করে রিকশাওয়ালা মামাকে বললাম- মামা একটু জোরে টান দাও তো দেরি হয়ে যাচ্ছে।

মামা কোন কথা বলে জোরে টান দিলেন।

রিকশাওয়ালা মামা মধ্যম বয়সের, মুখে চাপা দাঁড়ি। পরনে লুঙ্গি, শার্ট আর কাঁধে একটা ছেঁড়া ময়লা গামছা।

জোরে রিকশা চালানোতে গায়ে বেশ বাতাস লাগছিল।
রিকশায় কিংবা লেগুনাতে চড়লে প্রায়ই তাদের সাথে গল্পগুজব করি। এবারেও রিকশাওয়ালা মামার সাথে গল্পগুজব করে আসছিলাম।

১৫-২০ মিনিট পর রিকশা চালিয়ে কিছুদূর আসার পর রিকশাওয়ালা মামা বললেন-

মামা, রিকশাডা একটুখানি খাড়া করাইলাম মনে কিছু লইয়েন না। আপনের কি খুব বেশি তাড়া আছেনি?

আমি পাল্টা জিজ্ঞেস করলাম- প্রস্রাব করবেন না-কি?

মামা সুন্দর একটা হাসি দিয়ে বললেন- কি বলেন মামা, রাস্তায় পেশাব করি না আমি। আপনের মামি মেলাদিন আগেই এইসব নিষেধ করছে।

আমি বললাম - সমস্যা নেই বাসার কাছাকাছিই চলে এসেছি। কি কাজ আছে করুন।

এরপর রিকশাটা একটু সাইড করে মামা রোডের পাশের একটা ফাস্ট ফুডের দোকানের সামনে দাঁড়ালেন। তারপর দুটো বার্গার অর্ডার করে রিকশার পাশে এসে দাঁড়িয়ে রইলেন।

আমি কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম- বার্গার কার জন্যে মামা? আপনার জন্যে, না-কি মামির জন্যে?

মামা একটু আবেগী সুরে বললেন- আপনের মামী তো নাই মামা।

আমি আরও কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম- নাই মানে? রাগ করে কি বাবার বাড়ি চলে গিয়েছে না-কি?

মামা আবারও আবেগী সুরে বললেন- নাই মানে বাঁইচা নাই আরকি।

আমি আবারও জিজ্ঞেস করলাম- কি বলেন? মারা গিয়েছে কিভাবে? আর বার্গার নিয়ে যাচ্ছেন কার জন্যে?

মামা বলতে লাগলেন- আপনের মামি মারা গেছিল চৈইত মাসে। তীব্র গরমের সময়। হের কঠিন অসুখ হইছিল। পেটে আলসার। ভিতরে রক্ত যাইত।

আমি গরিব মানুষ। বেশি চিকিৎসা করাইতে পারি নাই। একবার ঢাকা আইনা ভর্তি করাইছিলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত মানুষটা টিকে নাই।

মামা এবার আমাকে জিজ্ঞেস করলেন- কিন্তু আফসোসের বিষয়ডা কি জানেন?
আমি পাল্টা জিজ্ঞেস করলাম- কি?

মামা বললেন- হের পেটে তখন আমার দ্বিতীয় বাচ্চাডা আছিল। বেশিদিন হয় নাই মাত্র ৪ মাস হইছিল।

বাচ্চা বাঁচাইতে পারবো কি-না এই শোকে হেয় আরও বেশি অসুস্থ হইয়া পড়ল। ভিতরে ভিতরে রক্ত গেল। আলসার ধরা পড়ল, এরপর শেষ।

আমি জিজ্ঞেস করলাম- আপনার তো বয়স খুব বেশি হয়নাই। এরপর আর বিয়ে করেননি কেন?

মামা এবার হেসে হেসে বললেন- কি কন? বড় একটা মাইয়া আছেনা? আর প্রেম কইরা বিয়ে করা বউরে কি এত সহজে ভুলা যায় কন?

হের লগে প্রেম ছিল, পরিবাররে জানাইছি এরপর বিয়া দিয়া দিসে। সংসার বেশিদিন করতে পারিনাই তো এইজন্যে ভুলতেও পারি নাই। খালি হের কথা মনে পড়ে।

আর মাইয়াডারও তো একটা ভবিষ্যত আছে এইজন্যে আরও করি নাই।

আর বার্গার কার জন্যে কিনেছেন? আমি জিজ্ঞেস করলাম।

মামা বললেন- ওই যে মাইডার লাইগাই। মা মরার পর মাইয়াডা নানির বাড়িতে বড় হইছে। আমি ঢাকা আইসা পড়ছি। ঢাকা আইসা রিকশা চালাই। মাইয়া বড় হওনের পর কইল বাপের লগে থাকব, আমারে রাইন্ধা বাইড়া খাওয়াইব, পড়ালেখা করব।

এর লাইগা লইয়া আইলাম ঢাকা শহরে। আইনা মিরপুর কলেজে ভর্তি করাইলাম। ভাবছিলাম পড়াশোনায় ভালা হইব না। কিন্তু দেখি অনেক ভালা। স্যাররাও একবার ডাকাইয়া নিয়া কইছে।

কাইলকা মাইয়াডা ইন্টার পরীক্ষা দিব এইজন্যে বারগার নিলাম। মা মরা মাইয়া তো তেমন কিছু দিবার পারি নাই।

আমি এতক্ষণ মনযোগ দিয়ে শুনছিলাম। ভাবছিলাম বাসায় চলে আসব কি-না। বাসায় কাছাকাছিই চলে এসেছিলাম।

কিন্তু উনার সাথে গল্প করতে ভালোই লাগছিল তাই রিকশাতেই বসে রইলাম।

তারপর জিজ্ঞেস করলাম- আপনার মেয়ে কালকে এইচএসসি পরীক্ষা দিবে? অনেক দোয়া রইল ওর জন্যে।

মামা বললেন- হ মামা দোয়া রাইখেন। মাইয়াডার না-কি ইচ্ছা মেডিকেলে পড়ব। আমি মূর্খ মানুষ কি বলমু কন? মেডিকেলে পড়তে তো ট্যাকা লাগব।

ট্যাকার কথা কইলেই মাইয়া কয় হেয় ভালা কইরা পড়তাছে সরকারিত যাতে চান্স পায়।

আবার টিউশনও করায়। মাইয়ার মুখেই পরথম বার বারগারের কথা শুনছিলাম। আমি তো মামা এইসব খাওন খাইও না, বুঝিও না।

মাইয়াডার পরীক্ষা, এইডা নিলে মনে হয় খুশি হইব তাই লইয়া লইলাম।

আমাদের কথার মাঝে দোকানদার এসে বার্গারের প্যাকেটটা দিয়ে গেল। দুটো বার্গারের দাম ১২০ টাকা।

আমার মাথায় তখন কি যেন খেলে গেল।

আমি মামাকে বললাম- মামা তুমি কি তোমার মেয়েকে আরেকটু বেশি খুশি করতে চাও.?

মামা জিজ্ঞেস করলেন- কেমনে করমু.?
মামাকে বললাম- দাঁড়াও বলছি।

তারপর ৯ ইঞ্চির একটা পিৎজা অর্ডার দিলাম।

তারপর মামাকে বললাম- এই পিৎজাটাও আপনার মেয়েকে দিবেন। এটা আমার পক্ষ থেকে। কিন্তু আমি যে কিনে দিয়েছি এটা বলার দরকার নেই।

আপনার মেয়ে আপনাকে বার্গার খাওয়া শিখিয়েছে, আপনি ওকে আজকে পিৎজা খাইয়ে চমকে দিবেন। নতুন একটা রেসিপিও ট্রাই করা হবে।

পিৎজা রেডি করাই ছিল। শুধু ওভেন থেকে গরম করে এনে দোকানদার রিকশাওয়ালা মামার আগের বার্গারের প্যাকেটের সাথে এড করে দিল।

পিৎজাটা দেয়ার সময় মামার চোখ কেমন টলমল করছিল। বারবার ছেঁড়া ময়লা গামছাটা দিয়ে চোখ মুছিতেছিলেন।

আমি বুঝতে পারছিলাম উনি কাঁদতেছেন, কিন্তু সেটা আমার কাছ থেকে লুকানোর চেষ্টা করছিলেন।

এরপর আমাকে বাসা পর্যন্ত নিয়ে আসার জন্যে মামা রিকশা টান দিলেন।

আমি বলেই বসলাম- সামান্য একটা পিৎজাই তো দিলাম। বেশি কিছু তো দেই নাই। এটুকুতেই কান্না করা লাগবে?

মামা একদম আবেগী হয়ে বললেন- কেউ তো এইটুকুন ও দেয় না মামা। কতজন কতদিন ভাড়া না দিয়া দৌড় দিসে। ভাড়া কেন কম দিসে বলায় উল্টা গালি দিসে, কয়েকজন চড়ও দিসে কয়েকবার।

আর আইজকা আপনে পিতজা (মামা পিৎজার উচ্চারণ করছিলেন পিতজা) কিনা দিলেন। কানমু না কন? আনন্দে কানছি মামা।

আমি জিজ্ঞেস করলাম- সন্ধ্যা তো হয়েই গেল। এরপর রিকশা নিয়ে কোনদিকে যাবেন?

মামা বললেন- আপনেরে নামাইয়া দিয়া মাইয়ারে খাওনডা দিয়া নিজে দুইডা ডাইলভাত খামু। এরপর আইসা সারা রাইত রিকশা চালামু।

মাইয়ার পড়াশোনার লাইগা মেলা ট্যাকা লাগবো না মামা কন? আপনে ভারসিডিত পড়েন না? আমার মাইয়াডার লাইগাও দোয়া কইরেন।

হ্যাঁ করব,করব- আমি বললাম।

এরপর বাসায় আসা পর্যন্ত আর কোন কথা হয়নি আমাদের। আমি চুপচাপ রিকশায় বসে রইলাম।

আর ভাবছিলাম- কত এমপি,মন্ত্রী, টাকাওয়ালা লোকেদের ছেলেমেয়ে ঠিকমতো পড়াশোনা করে না বলে তারা আফসোস করে। সুদ, ঘুষের টাকা দিয়ে বিশাল পাহাড় বানিয়েছে কিন্তু ঘরে শান্তি নাই, ছেলেমেয়ে কথা শুনে না।

অথচ এই মামার মেয়ে টাকার অভাবে পড়তে পারবে কি-না সে দুশ্চিন্তা তার। এ দুশ্চিন্তায় সারারাত রিকশা চালান। মেয়ের স্বপ্ন পূরণের জন্যে নিজের জীবনটা বিলিয়ে দিচ্ছেন।

বাসার কাছাকাছি এসে ভাড়া দিয়ে আমি রিকশা থেকে নেমে পড়লাম। বললাম- এখানের পুরো টাকাটাই রেখে দেন, ফেরত দিতে হবে না।

খেয়াল করলাম উনার চোখগুলো তখনও টলমল করছে।

প্রচন্ড দুঃখে থাকা কাউকে মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দিলেই যেমন কান্না করে দেয়, মামার অবস্থাও হয়েছে তেমন। সামান্য ভালো ব্যবহারেই চোখ টলমল করছে।

না জানি কতদিন তার সাথে কেউ ভালো ব্যবহার করে নাই।

আমি রিকশা থেকে নেমে তাড়াহুড়ো করে বাসার দিকে চলে আসছিলাম। উনি তখন রিকশাটা ঘুরাচ্ছে।

আমি একটু দূর থেকেই খেয়াল করলাম উনি আবারও ছেঁড়া গামছাটা দিয়ে চোখ মুছতেছে।
©

25/06/2025

আলহামদুলিল্লাহ

24/06/2025

Iran 💪🔥🔥

24/06/2025

Breaking..
TEHRAN, NOW 🇮🇷

24/06/2025

মেট্রোরেল লাইনচ্যুত!

23/06/2025

সুপ্রভাত 🍀

23/06/2025

এই জাতটার শরীরে হাড়-গোড় নাই, বুকভরা শুধু আগুন আর কলিজা! পারস্যের রক্তে ভয়ের কোনো স্থান নেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কেউ সাহস করেনি আমেরিকার দিকে এমন চোখ তুলে তাকাতে—ইরান তাকিয়েছে না শুধু, ঘুঁষি মেরে দিয়েছে।

"মরলে মরবো, কিন্তু সম্মানে একচুল ছাড় না!" — এই যেন ইরানের শপথ।

যখন খামেনি মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশে আমেরিকান ঘাঁটির ওপর হামলার নির্দেশ দিলেন, তখন তিনি নিজের জীবনকে নয়, পুরো জাতির ইতিহাসকে একটা কফিনে ভরে বললেন— "চলো, মরতে মরতে বেঁচে যাই!"

এইটা তো যুদ্ধ না ভাই, এইটা আত্মমর্যাদার মিছিল।

আমরা মুসলমান, আমরা পারস্য—আমরা কারো গোলাম না। হাজার বছরের ইতিহাসের কোনো পাতায় হার লেখা নাই, এবারও লেখা হবে না।

কনসিকুয়েন্স? কে কতো মরে, কার কী উড়ে যায়, সেটা বড় কথা না। বড় কথা হলো—খামেনি অলরেডি জিতে গেছেন। তিনি ট্যাবু ভেঙে দিয়েছেন, ভয়কে গলা টিপে মেরেছেন।

এই সাহস, এই আত্মত্যাগ, এই বুকের পাটা—এটাই তো জাতাভিমান!
Azad এর সাথে থাকুন!

23/06/2025

কাতারের আকাশসীমা পুনরায় চালু।

23/06/2025

এই সংঘাতকে '১২ দিনের যুদ্ধ' নাম দিয়েছেন পান্ডা ট্রাম্প!

Azad

01/07/2025

30/06/2025

26/06/2025

26/06/2025

25/06/2025

24/06/2025

24/06/2025

24/06/2025

23/06/2025

23/06/2025

23/06/2025

23/06/2025

Address

Website

Alerts

Shortcuts

Share

Category