21/07/2025
আলোচনা সমালোচনায় ঘটনা লম্বা হতে হতে যে দিকে যাচ্ছে তাতে করে এটাতে দূর্ঘটনার চাইতে আত্মঘাতী হামলার এলিমেন্ট বেশী। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে এখন এনাকোন্ডা না পাওয়া গেলেই হয়।
একজন ওয়েল-ট্রেইন্ড ফ্লাইট এক্সপার্ট এর সন্দেহ কি নিছক সন্দেহ? পড়ে দেখুন।
"আমি একজন প্রফেশনালি ট্রেইন্ড পাইলট। Instrument Flight Rules (IFR), Multi-engine Handling ও Emergency Landing Simulation-এর ট্রেনিং নিয়েছি আন্তর্জাতিক মানের ফ্লাইট একাডেমি থেকে। “আমি IFR ও মাল্টি-ইঞ্জিন কোর্স সম্পন্ন করেছি IGIA, India থেকে। প্রাথমিক এভিয়েশন ট্রেনিং নেই বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি থেকে। একজন পাইলট হিসেবে দিয়াবাড়ি বিমান দুর্ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা বলা যায় না। এটি ‘একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র’ বলেই প্রতীয়মান হয়।
এই "দুর্ঘটনা" আসলে একটি নিখুঁত পরিকল্পিত “Military-PR Operation” — যার মাধ্যমে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানো হচ্ছে। আমি একজন এভিয়েশন ট্রেইন্ড পাইলট হিসেবে বিষয়টা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছি।
কেন এটিকে ষড়যন্ত্র মনে হচ্ছে?
1. Timing of the Ejection: পাইলট “Low Altitude Training Circuit”-এ ছিলেন — সেখানে ইজেকশন সিস্টেম ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ। অথচ এখানে অস্বাভাবিক দ্রুততায় পাইলট ইজেক্ট করেন। সন্দেহ জাগে — ইজেকশন প্রি-প্ল্যানড ছিল?
2. Crash Impact Location: বিমানটি ভেঙে পড়ে ঠিক এমন ভবনে, যেখানে তখন ক্লাস চলছিল। একটি মিলিটারি ট্রেইনার জেট এরকম জনবহুল এলাকায় উড়ানোই অস্বাভাবিক।
এটা কি নেহাত দুর্ঘটনা? নাকি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাছাই করা “impact site”?
3. Media Synchronization: দুর্ঘটনার ঠিক পরপরই স্পেশাল অ্যাঙ্গেলের ক্যামেরা ফুটেজ, অসাধারণ রেসকিউ দৃশ্য এবং একই ধরনের শিরোনাম দিয়ে News Push — এই সব ছিল কী আগে থেকেই প্রস্তুত করা?
4. Military Image Crisis Before the Crash: দেশজুড়ে সেনাবাহিনীর ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল — বিশেষ করে ইউনুস ইস্যু, গোপালগঞ্জের ঘটনা, ড্রোন বিতর্ক ও মাঠ পর্যায়ের সমালোচনার কারণে।
এই দুর্ঘটনার “পর রেসকিউ নাটক” যেন সেই ইমেজ রিকভারির Mission Red Alert.
5. Planned Distraction Model: গোপালগঞ্জ গণহত্যা, বিদ্যুৎ সংকট, অর্থনৈতিক চাপ, ছাত্র আন্দোলন, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার রিপোর্ট ইত্যাদি বিষয় থেকে জনমনোযোগ সরাতে এটি “Controlled Catastrophe” হতে পারে।
6. Ejection timing: পাইলট আগেই ইজেক্ট করেছেন, অথচ এরকম লো লেভেল ট্রেনিং ফ্লাইটে সাধারণত এটি শেষ পর্যায়ের রিস্ক।
সাবধান হও। এটি কেবল দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি সাইকলজিক্যাল রি-ফ্রেমিং অপারেশন — যার উদ্দেশ্য সেনাবাহিনীকে আবার জাতীয় ‘হিরো’ বানানো।
আমরা দাবি জানাই:
আন্তর্জাতিক মানের নিরপেক্ষ তদন্ত
Flight Recorder (Black Box) উন্মুক্ত করা।
ঘটনাস্থলের পূর্ণ GPS log ও ATC টাওয়ার কমিউনিকেশন প্রকাশ করা।
দিয়াবাড়ির ঘটনাটি সাধারণ বিমান দুর্ঘটনা নয় — এটিকে সরলভাবে 'এক্সিডেন্ট' বলা একপ্রকার কৌশলে আড়াল করা। এটি একটি Controlled Disaster Narrative, যেটি গভীরভাবে রাজনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিকভাবে ডিজাইনড।
কেন বলছি পরিকল্পিত?
মূল লক্ষ্য কি?
দেশের চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা, মানবাধিকার ইস্যু, গোপালগঞ্জ ইস্যু, বিদ্যুৎ সংকট, সেনাবাহিনী বিতর্ক ইত্যাদি থেকে জনমনোযোগ সরিয়ে "Heroic Distraction" তৈরি করা।
সেনাবাহিনীর ইমেজ পুনঃগঠনের PR stunt — যেটা 'Rescue Psychology' দিয়ে ঢেকে দেওয়া চেষ্টা।
আমরা চাই—
দুর্ঘটনার Flight Recorder (Black Box) জনসমক্ষে আনা হোক।
Independent Aviation Board দিয়ে তদন্ত।
সেনাবাহিনীর মিডিয়া শো নয়, তথ্যভিত্তিক জবাবদিহিতা"
~পাইলট ( নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, নিরাপত্তা জনিত কারনে)
#বাংলাকথা
আমাদের কন্ঠে, আপনার কথা॥